কালো রাত্রির খামে পর্ব -০১

“আমাকে বিয়ে করবেন?”
দ্বিধাহীন প্রশ্নটিতে রাত্রি চমকে তাকালো আদিলের দিকে। ছেলেটা তাকে এমন অদ্ভুত একটা প্রশ্নও যে করতে পারে এ বিষয়ে ন‍্যূনতম চিন্তাও কখনও তার মাথায় আসেনি। প্রশ্নটিতে অবাক হয়নি সে। তবে প্রশ্নটায় তার হৃৎপিণ্ড কাঁপছে। ভয়ে। হ্যাঁ, এই ছেলেটাকে সে ভয় পায়। ভয় পাওয়ার যথেষ্ট কারণও আছে। রাত্রি শুনেছে আদিল মানসিক সমস্যাগ্রস্ত। তার জীবনের একটা বড়ো দুর্ঘটনার পরই সে এমন হয়ে গেছে। আগে ভালো ছিল। তবে রাত্রির ভয় পাওয়ার সূত্রপাত সেদিন থেকে, যেদিন ছাত্রী মালিহার রেজাল্ট প্রকাশিত হয়েছিল। সেদিন সে রোজকার মতো মালিহাকে পড়াচ্ছিল, হঠাৎ আদিল এলো একটা বেত নিয়ে। এসে প্রায় হুংকার দিয়ে বললো,
“কী পড়ান আপনি? হু? কী পড়ান? এত সুষ্ঠ-মিষ্ট ভাবে স্টুডেন্ট পড়ালে হবে? এই নিন বেত। পি’টিয়ে পিঠের চা’মড়া তুলে ফেলবেন। ধরুন।”

‘ধরুন’ কথাটা বলার সময় আবারও হুংকার দিয়ে উঠলো আদিল।
রাত্রি যেন কেঁপে উঠলো ধমকে। দ্রুত বেতটা ধরলো।

আদিল বললো,
“অঙ্কে মাত্র পঁয়ত্রিশ পেয়েছে। কেন? আপনি কি ওকে ভালো করে পড়ান না?”

রাত্রির কণ্ঠ বসে গেছে ভয়ে। কথা বলতে গিয়ে দেখলো গলা দিয়ে কথা বের হচ্ছে না। খাঁকারি দিয়ে গলা পরিষ্কার করে বললো,
“আমি তো ওকে অঙ্ক পড়াই না ভাইয়া। আমি ইংরেজি পড়াই।”

“আপনি ইংরেজি শিক্ষক? কেন বাংলা ভাষা অপছন্দ করেন?”

“জি না, পছন্দ করি।”

“তাহলে ইংরেজি শিক্ষক কেন হলেন?”

“অনেকেই তো হয়।”

“অনেকে হলেও আপনি হবেন না। কাল থেকে ওকে বাংলা পড়াবেন। কোনো ইংলিশ-টিংলিশ চলবে না। বুঝেছেন?”

“জি, জি ভাইয়া।”

আদিল হাসলো। রাত্রিকে একটা বাটিতে পায়েস খেতে দেওয়া হয়েছিল। রাত্রি তখনও এক চামচ পায়েসও মুখে দেয়নি। আদিল রাত্রিকে দেওয়া পায়েস থেকে এক চামচ পায়েস খেলো। শুধু এক চামচই খেলো না, সে পায়েসের বাটিটাই নিয়ে গেল। ওইদিন এবং আরও কিছু ঘটনার জন্য রাত্রি নিশ্চিত হয়েছিল এই ছেলের মাথায় আসলেই গন্ডগোল আছে। আর আজ আরও একবার প্রমাণ পেল।

“মৌনতা সম্মতির লক্ষণ। আমি কি তবে আপনার এই মৌনতাকে সম্মতি ভেবে নেবো?” রাত্রিকে নিশ্চুপ থাকতে দেখে বললো আদিল।

রাত্রি সঙ্গে সঙ্গে বলে উঠলো,
“না, এটা সম্মতির লক্ষণ নয়।”

“তার মানে আপনি অসম্মতও নন, তাই তো?”

রাত্রি বার বার দরজার দিকে তাকাচ্ছে। মালিহা কোথায় চলে গেল? মেয়েটা পড়তে বসে এখানে-সেখানে চলে যায়। ও এখানে থাকলে নিশ্চয়ই ওর ভাই এরকম একটা কথা বলতে পারতো না। ছেলেটার আবার মাথায় সমস্যা। একটা সাধারণ মানুষকে যা বুঝিয়ে বলা যায় তা একটা মাথায় গন্ডগোল থাকা মানুষকে বলা যায় না। এরা সহজেই রেগে যায়। এই যেমন সে দরজার দিকে তাকাচ্ছে বলেও আদিল রেগে গেল। টেবিলে চাপড় মে’রে বললো,
“ওদিকে তাকাচ্ছেন কেন বার বার?”

রাত্রি আবারও কেঁপে উঠলো টেবিলে আ’ঘা’ত করার তীব্র শব্দে এবং সঙ্গে সঙ্গে আদিলের দিকে তাকালো।
আদিল নরম হেসে বললো,
“আমি আপনাকে ভালো রাখবো। আমি আপনাকে ভালোও বাসবো। শুনেছি আপনার না কি যৌতুকের কারণে বিয়ে ভেঙে যায়? কথা দিচ্ছি, একটা টাকাও যৌতুক নেবো না আপনার বাবার থেকে। আপনি রাজি?”

“না, আমি আপনাকে বিয়ে করবো না।”

আদিলের চোখে তপ্ত দৃষ্টি ফিরে এলো। জানতে চাইলো,
“কেন?”

“এরকম করে বললেই বিয়ে করা যায়? তাছাড়া আপনার…” রাত্রি থেমে গেল। এখনই মস্ত বড়ো একটা ভুল করতে যাচ্ছিল সে। একজন মানসিক রোগীকে কখনোই বলা উচিত নয় তার মাথায় গন্ডগোল।

আদিল অবাক হয়ে জানতে চাইলো,
“আমার কী?”

“কিছু না।”
রাত্রি উঠে দাঁড়ালো। দ্রুত ব্যাগটা নিয়ে বেরিয়ে এলো রুম থেকে। জানে না মালিহা কোথায়। সে বসার ঘর থেকে ডেকে বললো,
“মালিহা, আমি চলে যাচ্ছি। জরুরি একটা কাজ আছে। কাল আসবো।”

বলে আর দাঁড়িয়ে রইল না। দ্রুত পায়ে বের হলো ফ্ল্যাট থেকে। সিঁড়ি দিয়ে নামতে নামতে আদিলের কণ্ঠ শুনতে পেল,
“না পড়িয়ে চলে যাচ্ছেন? মাইনে থেকে টাকা কাটবো কিন্তু।”

রাত্রি গ্রাহ্য করলো না। তবে মাইনে থেকে টাকা কাটলে তার অনেক ক্ষতি হবে। কিন্তু এই ছেলেটার সাথে আর এক মুহূর্তও থাকা সম্ভব ছিল না। বিল্ডিং থেকে বেরিয়ে দেখলো আকাশে কালো মেঘ জমেছে। বৃষ্টি হতে পারে। বৃষ্টির কবলে পড়ার আগেই বাড়ি পৌঁছতে হবে। একটা রিকশা থামালো। সচরাচর রিকশায় সে যাতায়াত করে না। মালিহার বাসা থেকে তার বাসা দশ টাকা ভাড়া। নিত্য যানবাহনে আসা যাওয়া করলে মাসে পাঁচশত বিশ টাকা খরচ। কী দরকার শুধু শুধু এই খরচ করার? তাছাড়া এত টাকা গাড়ির পিছনে খরচ করার সামর্থ্যও তার নেই।
বাসায় ফেরার সঙ্গে সঙ্গেই আকাশ ছাপিয়ে বৃষ্টি ঝরতে শুরু করলো। সঙ্গে ঝড়ো হাওয়া। বৈশাখ মাস হওয়ায় এখন হুটহাট করেই ঝড় শুরু হয়। ঘরে ঢুকে দেখতে পেল বাবা চিন্তিত মুখে বসার ঘরে বসে আছে। কারণ জানতে ইচ্ছা হলো। কিন্তু চিন্তিত মানুষটাকে বিরক্ত করা ঠিক বলে মনে হলো না।
রাত্রি চলে এলো নিজের ঘরে। ঘর অন্ধকার। ঝড়ের কারণে জানালা দুটো বন্ধ করেছে শ্রাবণী। বিদ্যুৎও নেই। তবে অন্ধকার ঘরেও ঝাপসা আলো আলো একটা ব্যাপার আছে। রাত্রি শ্রাবণীর উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুঁড়লো,
“বাবার কী হয়েছে?”

“তোমার বিয়েটা এবারও হবে না।” শ্রাবণী বললো।

রাত্রি কথাটায় অবাক হলো না। এটা নতুন কোনো ঘটনা নয়। হঠাৎ করে ঘটনাম ঘটনায় মানুষ অবাক হয়, কিন্তু যে ঘটনা ইতোমধ্যে অনেকবার ঘটে গেছে তাতে অবাক হওয়ার কিছু উপস্থিত থাকে না। সে এ সম্পর্কে কোনো উক্তি উচ্চারণ করলো না। মোবাইলের আলো জ্বালিয়ে দেওয়ালের কোণ ঘেঁষা সিলিং লাগাতার ফাটলটা দেখলো। ফাটল বেয়ে বৃষ্টির পানি নামতে শুরু করেছে। কিছুক্ষণ পরই সারা রুম তলিয়ে যাবে। শ্রাবণীর কণ্ঠে হঠাৎ তিক্ততা টের পাওয়া গেল,
“আর ভালো লাগে না এ ঘরে থাকতে। এখান থেকে ফুটো, ওখান থেকে ফাটা। অসহ্য!”

রাত্রি এ কথার প্রত্যুত্তরেও কিছু বললো না। বসার ঘরে এসে দেখলো বাবা তখনও বসে আছে। তার মুখে এখনও চিন্তার ভারী পর্দাটা দুলছে। রাত্রি এগিয়ে এসে বললো,
“মুখ ভার করে বসে থেকো না আর। কী হবে মুখ ভার করে? পাত্র-টাত্ৰও দেখো না আর। কোনো লাভ নেই।”

এনামুল শিকদার মুখ তুলে চাইলেন। তার চেহারাটা কেমন ম’রা ম’রা। দৃষ্টির ভাষারাও মৃ’ত। কয়েক সেকেন্ড কী যেন ভাবলেন। তারপর হঠাৎ বললেন,
“আমার ঘরে জন্ম নিয়ে কি তুই আফসোস করিস মা?”

“এটা কেমন প্রশ্ন বাবা? আফসোস করবো কেন? এটা আফসোস করার মতো কোনো বিষয় না।”

এনামুল শিকদার মাথা নুইয়ে ফেললেন। আর নুইয়েই রাখলেন। দীর্ঘক্ষণ কেটে গেল, তিনি মাথা তুললেন না।
দরজায় শব্দ হলো। অয়ন কাকভেজা হয়ে বাসায় ফিরেছে।

__________________

রাতে শ্রাবণী খেলো না। প্রায় রাতেই না খেয়ে থাকে সে। কীসব রান্না হয়! ওসব কি খাওয়া যায়? পটল ভাজি আর ঝিঙা ভাজি। দিন দিন নিরামিষ তরকারি শুধু! বাকি সবাই খেতে পারলেও সে পারে না। হয়তো ছোটো তাই। বাকিদের কোনো অভিযোগ নেই, কিন্তু তার নিজের পরিবারের প্রতি অনেক অভিযোগ। আজ রাতে সে কাঁদলোও অনেক কিছু মনে করে। তাদের ঘরে ভালো কিছু তেমন রান্না হয় না, তার তেমন ভালো জামাও নেই, স্কুলের সহপাঠীদের চলাফেরাই অন্যরকম। আর সে…
এসব কথা ভেবে তার কান্না আরও ভারী হয়ে ওঠে। টপটপিয়ে নামতে থাকে জল। প্রতিটা ফোঁটাই সে হাত দিয়ে মুছে ফেলে। কিন্তু জলের ধারা তার কপোল ভিজিয়ে দেয় আবারও। কারো পদধ্বনি কানে এলেই শ্রাবণীর অবাধ্য চোখের জল বাধ্যভাবে রুদ্ধ হয়ে যায়। দ্রুত চোখ মুছলো সে। ঘুমিয়েছে এমন ভঙ্গিতে শুয়ে পড়লো। আগমনকারীকে বোঝাতে চাচ্ছে সে ঘুমিয়েছে।

মেঝে থেকে পানি অপসারণ করা হলেও স্যাঁতসেঁতে ভাবটা যায়নি। রাতে যদি আবারও বৃষ্টি নামে তাহলে পানি অপসারণের মতো শ্রম সাধ্য কাজটাই বৃথা যাবে। শ্রাবণীর দিকে চোখ ফেরালো রাত্রি। ও কি ঘুমাচ্ছে? রাত্রির মনে হলো না শ্রাবণী আসলেই ঘুমাচ্ছে। তাই বললো,
“ঘুমের ভাণ কেন করছো শ্রাবণী?”

বোনের এ কথা শুনে শ্রাবণীর বাধ্য কান্নাজল আবারও অবাধ্য হলো।
শ্রাবণী কাঁদছে বুঝতে পেরে রাত্রি ওর দিকে এগিয়ে গেল দ্রুত পায়ে।

“তুমি কাঁদছো?”

শ্রাবণী আর কান্না লুকাতে পারলো না। মেয়েটা কোনো কিছু লুকিয়ে রাখতে একদমই পারদর্শী নয়। সে উঠে বসলো। কান্না চোখে জানতে চাইলো,
“আমরা কি খুব গরিব আপু?”

“হঠাৎ এরকম মনে হচ্ছে কেন?”

“আমাদের ঘরে কেন ভালো খাবার রান্না হয় না?”

রাত্রি চট করে কোনো উত্তর দিতে পারলো না। এরকম প্রশ্নের উত্তর চট করে দেওয়াও যায় না। ক্ষণিকের জন্য ভাবনাবিষ্ট হয়ে থেকে উত্তর দিলো,
“রোজ ভালো খাবার খেতে চাইলে ভালো পরিমাণ টাকাও দরকার। যদি ভালো খাবারের পিছনেই টাকা ব্যয় হয়, তাহলে তোমার আর অয়নের পড়ালেখার খরচ কীভাবে ম্যানেজ হবে? বাড়ি ভাড়া সহ যাবতীয় খরচ কীভাবে পরিশোধ হবে?”

“আমরা খুব দরিদ্র!” শ্রাবণীর কণ্ঠ করুণ শোনালো।

“খুব না। তবে দরিদ্র। আর দরিদ্রতা হয়তো কষ্টের, তবে কোনো আফসোসের বিষয় না। পাশের বাসার মিরাদের দিকে দেখো। কী আছে ওদের? ওদের পটল আর ঝিঙা ভাজি খেতেও অনেক কষ্ট করতে হয়। নিজেদের থাকার জায়গাটুকু বহু কষ্টে ধরে রেখেছে। তাদের থেকে কি তুমি ভালো আছো না?”

কোনো উদাহরণ শ্রাবণীকে মানাতে পারলো না। সে কাঁদতে কাঁদতে বললো,
“আমাকে বিয়ে দিয়ে দাও।”

রাত্রির ভীষণ হাসি পেলো এবার। মেয়েটা খুব বেশি যন্ত্রণা কাতর হলে কী যে বলে তা হয়তো নিজেও জানে না। রাত্রি বললো,
“বিয়ে? আচ্ছা পাত্র খুঁজে দেখবো, আগে এসএসসি পরীক্ষা দাও, এ প্লাস পাও তারপর।”

“তুমি জানো আমি কখনও এ প্লাস পাবো না।”

“সেজন্যই তো এ প্লাসের কথা বললাম।”

শ্রাবণীর কান্না থামলো। হঠাৎই একটা প্রশ্ন জানতে খুব আগ্রহ হলো তার। কিন্তু প্রশ্নটা করা উচিত হবে কি না জানে না। অবশ্য সে এমন মেয়েও না যে উচিত-অনুচিত নিয়ে ভাববে। সে জানার আগ্রহটা প্রকাশ করে ফেললো,
“আচ্ছা, এই যে তোমার বার বার বিয়ে ভেঙে যাচ্ছে তোমার কষ্ট হয় না?”

প্রশ্নটাতে রাত্রি ভাবনা আচ্ছন্ন হয়ে পড়লো আবারও। উত্তর খুঁজলো নিজের মনে। কষ্ট হয় না? সে খুঁজে পাওয়া উত্তরটা শ্রাবণীকে বললো,
“হতো।”

“এখন হয় না?”

“মানুষ কোনো কিছুর সঙ্গে থাকতে থাকতে অভ্যস্ত হয়ে যায়। তোমার সেটা নিয়ে ভাবতে হবে না। ঘুমাও।”

রাত্রি ঘরের লাইট অফ করে টেবিল ল্যাম্প জ্বালিয়ে বসলো। লেখাপড়া শেষ করলেও এখনও প্রতি রাতে টুকটাক লেখাপড়া করে সে। অনার্স শেষ করেছে। এরপর আর লেখাপড়া করার ইচ্ছা থাকলেও, নিজের পরিবারের কথা ভেবে ইচ্ছা হ’ত্যা করেছে। বর্তমানে ইচ্ছা শক্তি কিছু নয়, অর্থ শক্তিই সব। যাদের অর্থশক্তি নেই, তাদের ইচ্ছা শক্তি মূল্যহীন।

টেবিলের উপর মোবাইলটা বেজে উঠলো তারস্বরে। অপরিচিত কলার। রাত্রি রিসিভ করলো না। অপরিচিত নাম্বারের কল সে খুব একটা রিসিভ করে না। তাছাড়া এখন রাত সাড়ে এগারোটা। এটা কাউকে কল দেওয়ার উপযুক্ত সময় বলে মনে হয় না তার। কলটা বেজে কেটে গেল। সঙ্গে সঙ্গে আবারও কল এলো সেই নাম্বার থেকে। রাত্রি ফোন সাইলেন্ট করে ফেললো। কলটা এবারও বাজতে বাজতে কেটে গেল। রাত্রির মনে হলো পরিচিত কেউ কল দিচ্ছে। কিন্তু যারা পরিচিত তাদের সবার ফোন নাম্বার সে চেনে। চতুর্থ বার কল রিসিভ করলো সে।

“আসসালামু আলাইকুম, কে বলছেন?” রাত্রি জানতে চাইলো।

“ওয়াআলাইকুমুস সালাম। নিজের বরকে চেনেন না, কেমন স্ত্রী আপনি?”

রাত্রির ভ্রুকুটি হলো। বললো,
“রং নাম্বার।”

“রং না, একদম রাইট। আপনার নাম রাত্রি। আপনার বাবার নাম এনামুল শিকদার। মা মারা গেছে এগারো বছর আগে। সৎ মায়ের নাম প্রিয়ারা। বড়ো বোনের নাম মিথিলা। ভাইয়ের নাম অয়ন। ছোটো বোন শ্রাবণী। বলুন, আমি কি ভুল জায়গায় কল দিয়েছি? আপনি ভুল মানুষ?”

রাত্রি থ হয়ে গেছে। কে এই লোক? অনেকক্ষণ ভেবে তার আদিলের কথা মনে পড়লো। এটা কি আদিল? রাত্রি সঙ্গে সঙ্গে কল কাটলো। ব্লক করলো নাম্বারটা। মনে হলো কোনো যুদ্ধ ক্ষেত্রে ঢুকে পড়েছিল সে কিছুক্ষণের জন্য। ছেলেটা তো তাকে সত্যি সত্যি জ্বালাতন শুরু করেছে।

(চলবে)

#কালো_রাত্রির_খামে (০১)
#লেখা: ইফরাত মিলি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here