কিছু সমাপ্ত পূর্ণতার পর্ব -০৬

কিছু সমাপ্ত পূর্ণতার (পর্ব – ৬)
সুমাইয়া আক্তার
__________________
আজ একসাথে খাবার টেবিলে বসে খাবার খাচ্ছে নাহিদা আর আশফিয়া। রাতের নিস্তব্ধতা তখন ছড়িয়ে গেছে আশেপাশে। টেবিল ল্যাম্পের বিক্ষিপ্ত আলো নিজের কাজ করে যাচ্ছে। নাহিদা খুব স্বাভাবিকভাবে খাবার খাচ্ছে। মাথা তুলে আশপাশ দেখছেও না। আশফিয়া আড়চোখে নাহিদার দিকে তাকাচ্ছে। যদিও সে ভীষণ খুশি কিন্তু নাহিদার আচরণে অল্প খটকাও লাগছে। হঠাৎ তার এমন পরিবর্তন কেন? আশফিয়া প্রায় বেশিরভাগ’ই ঘরে গিয়ে খাবার খায়। এমনটাই এই দম্পতির আদেশ ছিল। কিন্তু মাঝে মাঝে সেই আদেশ অমান্য করে সে খাবার টেবিলে বসে যেত; সেটা অবশ্য শুধু রাতে—আশফিয়া আর তানজিমের খাওয়ার পর। যখন দম্পতি খেয়েদেয়ে শুয়ে পড়ত, তখন সে খাওয়ার জন্য ঘর থেকে বের হতো। তাছাড়া আর উপায়’ই-বা কী? আশফিয়ার কষ্ট ও ঘৃণাভরা চাহনি, তানজিমের রাগান্বিত চেহারা দেখলে ভাত গলা দিয়ে নামতে চায় না।

আশফিয়া হাসপাতাল থেকে ফেরার পর ঘরেই ছিল। নাহিদা আর তানজিম যখন শুয়ে পড়ল, তখন আশফিয়া বাইরে এলো। ডাক্টার বলেছেন ঠিক সময়ে খাবার খেতে। কিন্তু এখন বাজে এগারোটা। প্রায় বেশিরভাগ খাবার সময় ঠিক থাকে না। অসময়ে খেয়ে খেয়ে আর অতিরিক্ত সময় ঘরে বন্দির মতো জীবন কাটিয়ে তার শরীর ও মনের বেহাল দশা। খাবার টেবিলে সবকিছুই সাজানো ছিল আজ। দেখে কিছুটা অবাক হলো আশফিয়া। প্লেটে খাবার নিয়ে এক লোকমা মাত্র খাবার মুখে দিয়েছে সে, তখন’ই নাহিদা এসে হাজির। আজও নাহিদার মুখ মলিন। তবে আগের সেই ঘৃণাটার খোঁজ পেল না আশফিয়া।
নাহিদা সামনের চেয়ারে বসে পড়ল, প্লেটে খাবার নিল। বলল, ‘না খেয়ে শুয়েছিলাম।’
আশফিয়ার মুখের ভাত তখনও গলা দিয়ে নামেনি। কী হলো হঠাৎ মেয়েটির? এতদিনের আচরণের সাথে আজকের আচরণের বেশ তফাৎ। তবে আশফিয়ার অ্যাক্সিডেন্টের পর থেকে নাহিদা খারাপ আচরণ করে না বললেই চলে। কে বলতে পারে, মায়া জন্মেছে হয়তো! একটা কুকুরও তো এতদিন বাড়িতে থাকলে মায়া হবে, আর আশফিয়া তো একজন মানুষ!

‘তোমার রান্নার স্বাদ অতুলনীয়।’
সহসা আশফিয়ার কথায় মুখ তুলে তাকাল নাহিদা। তার মুখে তখন ভাবহীনতা বিরাজ করছে। চোখ দু’টিও অর্থবহ নয়।
আশফিয়া যখন নাহিদার উত্তর পাওয়ার আশা ছেড়ে দিয়েছে, তখন নাহিদা বলে উঠল, ‘জীবনের স্বাদ মিলিয়ে গেছে, সেটাকেই ঢাকতে হয়তো রান্নার এত স্বাদ হয়।’
আশফিয়া একদম চুপ করে গেল। কী মনে করে এক ঝলক তাকাল নাহিদার দিকে। নাহিদা চুপচাপ খাবার খেতে ব্যস্ত। আজকে অনেক স্বাভাবিক দেখাচ্ছে তাকে। তবে কষ্টের লেশ রয়ে গেছে মলিন মুখটিতে। কেন যেন একটু খারাপ লাগল আশফিয়ার। একটি সুন্দর সাজানো সংসার তার জন্য ভেঙে যাওয়ার উপক্রম। নাহিদার ঘৃণা আর তানজিমের রাগ—এগুলো যখন আশফিয়ার চোখে পড়ত; সে কষ্ট পেত। কিন্তু এখন নাহিদার ঘৃণা ছাড়া মলিন মুখটি কষ্ট দিচ্ছে বেশি, দ্বিগুণ বেশি। নিজেকে অপরাধী মনে হচ্ছে আশফিয়ার।
__________

তানজিমের চোখে ঘুম নেই। সিলিং ফ্যানে চোখ বদ্ধ তার। চোখের কোণ বেয়ে জলের ধারা বয়ে চলেছে। এতদিন অনেক কিছু সহ্য করেছে সে, কিন্তু নাহিদা কোনোদিনও মা হতে পারবে না কথাটা সহ্য করতে পারছে না। বুকের কোথাও খুব সুক্ষ্ম একটু ব্যথা করছে। যেটা আস্তে ধীরে ছড়িয়ে যাচ্ছে সারা শরীরে। বাবা না হতে পারার বেদনা এত হলে, মা না হতে পারার বেদনা কত কে জানে!

ঘরের দরজা হা মেলে খুলতেই সেদিকে তাকাল তানজিম। নাহিদা নীরবে এসে পাশে শুয়ে পড়ল। একবারও তানজিমের দিকে তাকানোর প্রয়োজনও মনে করল না। তার পাশেই যে এক জোড়া চোখ উদগ্রীব হয়ে তার দিকে তাকিয়ে আছে, নাহিদা সেটা কৌশলে না দেখার ভান করে থাকল।
বিছনায় দেড় ফুটের দূরত্ব কমিয়ে দিল তানজিম। নাহিদাকে আচমকা জড়িয়ে ধরল। এই দ্বিতীয়বার তানজিমের সোহাগে নাহিদার অস্বস্তি হতে লাগল। প্রথমবার হয়েছিল বিয়ের রাতে। সে রাতটাও কী অদ্ভুত সুন্দর ছিল! অর্ধ অন্ধকার ঘরে দক্ষিণা চাঁদের আলো ভিজিয়ে দিচ্ছিল নাহিদার পা-গুলো। হৃদপিণ্ডের ধুকপুকানি সেই আলোকে সমস্তভাবে উপভোগ করতে দিচ্ছিল না। সদ্য সম্পর্কে জড়ানো স্বামী নামের মানুষটি তখন সংকটে পড়ার মতো মুখ নিয়ে নাহিদার গা ঘেষে বসে ছিল। তানজিমের ডান হাতটা যখন নাহিদার মেহেদি রাঙা হাতে আলতো স্পর্শ রেখেছিল, ঠিক সেই সময় নাহিদার অস্বস্তি হয়েছিল। ইচ্ছে করছিল কোথাও ছুটে পালাতে। কিন্তু আজ অস্বস্তি হলেও ছুটে পালাতে ইচ্ছে করছে না, বরং তানজিমকে দুমদাম করে মারতে ইচ্ছে করছে। এমন ভাবনায় নিজেই নীরবে হেসে ফেলল নাহিদা। তবে এর মধ্যেই তানজিমের আলিঙ্গন থেকে নিজেকে মুক্ত করতে ভুলল না।

তানজিম কিছুক্ষণ চুপচাপ নাহিদার দিকে ফিরে শুয়ে থাকল। পরবর্তীতে আগের মতোই হঠাৎ করে জড়িয়ে ধরল। এবার নাহিদা নিজেকে ছাড়াতে পারল না। শারীরিক শক্তিতে নিশ্চয় নাহিদা তানজিমের কাছে দুর্বল!
তানজিম রিপোর্টের কথা কিছু বলবে ভাবতেই নাহিদা গম্ভীর কণ্ঠে বলে উঠল, ‘আমাকে কি ছাড়বে? আমি ঘুমাতে চাই।’
তানজিম সঙ্গে সঙ্গে উত্তর দিল, ‘যদি অনুমতি চাও, তাহলে বলব, ছাড়ার ইচ্ছে নেই। আর যদি আদেশ করো, তবে আরও শক্ত করে জড়িয়ে ধরব।’
‘আমি অনুরোধ করছি।’
নাহিদার ঠাণ্ডা স্বরে কাঁপুনি বোধ হলো। রিপোর্টের কথা এই মহূর্তে বলা যাবে না বুঝতে পারল তানজিম। সে সিরিয়াস ভঙিতে বলল, ‘এই অনুরোধ আমি রাখতে পারব না।’ নাহিদার গালের চুল সরিয়ে দিল তানজিম, ‘কতদিন হলো তুমি আমার সাথে ভালোভাবে কথা বলো না! খারাপ লাগে না একটুও?’
‘কী করে কথা বলব? কী’ই-বা বলব? এতকিছুর পর আমার ইচ্ছা হয় না তোমার সাথে কথা বলতে। কথা বললে বরং কষ্ট বাড়ে।’

নাহিদাকে নিজের দিকে ফিরিয়ে নিল তানজিম। নাহিদা বাধ্য পুতুলের মতো ফিরল। কোনো কথা বলল না। শুধু চোখের দৃষ্টি ঘরের এক কোণে ফেলে রাখল—তানজিমের দিকে তাকাল না।
তানজিম কপালে কপাল ঠেকিয়ে দিল, ‘আশফিয়া মিথ্যা বলছে, নাহিদা। তোমার কী আমার উপর বিশ্বাস নেই?’
‘আশফিয়া যে সেই নাহার, আমাকে তা বলোনি কেন?’
তানজিম কিছুটা সময় নিয়ে বলল, ‘তুমি কষ্ট পাবে ভেবে বলিনি। আমি মানছি, কলেজ জীবনে আশফিয়ার পেছনে ঘুরেছি আমি, ওকে সবথেকে বেশি পছন্দ করেছি। ভালোবেসে ‘নাহার’ নাম দিয়েছি। কিন্তু বিশ্বাস করো, ও আমাকে কখনোই পাত্তা দেয়নি। অনেক ছেলের সাথে ও রিলেশন করলেও ওর প্রেমের লিস্টে আমাকে ফেলেনি। তাই হয়তো আরও বেশি পাগল ছিলাম ওর জন্য। পরবর্তীতে বাবার কথা ফেলতে না পেরে তোমাকে বিয়ে করেছিলাম। কিন্তু কেমন করে জানি এই ক’দিনে খুব ভালোবেসে ফেলেছি তোমায়। আমার হৃদয়ে এখন আশফিয়ার এতটুকু জায়গাও নেই; সবটা জুড়ে তুমি।’
‘ভালোবাসা তো একবার’ই হয় তানজিম।’
‘তাহলে বলব, আশফিয়াকে আমি পছন্দের দেয়াল ডিঙিয়ে ভালোবাসিনি।’
নাহিদার ব্যঙ্গাত্মকভাবে হাসল। তা দেখে আহত হলো তানজিম। নাহিদা খুব সাবধানে নিজেকে ছাড়িয়ে নিল। বলল, ‘আমার থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করো। আজ-কাল তোমার যত কাছে থাকি, তত কষ্ট বাড়ে।’
__________

সকাল সকাল চুপচাপ বৈঠকঘরে বসে আছে নাহিদা। ঘুমে ঢুলুঢুলু চোখ। মাথাটাও ঝিমঝিম করছে তার। ইচ্ছে করছে আরেকবার ঘুমিয়ে যেতে। কিন্তু তানজিম কাজে যাবে বলে সেই সুযোগ নেই। রান্নাঘরে ঢুকল নাহিদা৷ প্রথমেই দুই মগ কফি তৈরি করল, আর এক মগ পরিমাণ দুধ স্টোভে রেখে দিল আশফিয়ার জন্য—ইচ্ছে হলে সে নিজেই তৈরি করে খেতে পারবে। নিজের কফিটুকু শেষ করে ঘরে গেল নাহিদা। তানজিম বেঘোরে ঘুমাচ্ছে। এই ক’দিনে তাকে পাগল পাগল লাগছে। মুখে খোঁচা খোঁচা দাঁড়ি, চোখের নিচে কালি, আর এলোমেলো বড় চুল। চুলগুলোর ভেতরে অবলীলায় বেড়ে উঠেছে দু-একটা পাকা চুল। তানজিম খেয়াল করেনি হয়তো। নইলে মেহেদী লাগিয়ে লাল করে নিত, নতুবা কেঁচি দিয়ে কেটে ফেলত। নিজের যত্নে এতটুকু ত্রুটি না করা ছেলেটি আজ নিজের প্রতিই উদাসীন।

টি-টেবিলে কফির মগ রেখে তাতে চামচ দিয়ে শব্দ করল নাহিদা। প্রথমবারেই কাজ হলো। তানজিমের ঘুম খুব হালকা। সে আস্তে করে চোখ খুলল। নাহিদা পর্দা সরাতেই দু’হাতে আলো আটকালো তানজিম। চোখগুলো পিনপিনে সরু করল। একটু পর আলোটা সয়ে এলে নাহিদার গম্ভীর মুখের দিকে তাকাল।
নাহিদা মুখের ভঙি ঠিক রেখে বলল, ‘তোমার কফি।’
নাহিদা চলেই যাচ্ছিল, তানজিম তার ডান হাতটা ধরে ফেলল। কতদিন হয়ে গেল এভাবে হুটহাট এই কোমল হাত ধরা হয়নি। এই ক’দিনে একবারও বলা হয়নি, ‘খুব ভালোবাসি।’
আজ তানজিমের ইচ্ছে করল বলতে। সে বলে দিল, ‘খুব ভালোবাসি।’
ভাবান্তর হলো নাহিদার। তানজিমের হাতে নিজের আবদ্ধ হাতটি একবার দেখে নিল। ছাড়ানোর চেষ্টা করতেই আরও শক্ত করে ধরল তানজিম। দাঁড়িয়ে পড়ল। নাহিদাকে কাছে দাঁড় করিয়ে কপালে কপাল ঠেকালো।
নাহিদা সরে যাওয়ার চেষ্টা করল। কম্পিত কণ্ঠে বলল, ‘ছাড়ো, আমার কাজ আছে।’
‘ছেড়ে দিলে ভুল হয়ে যাবে।’
‘অনেক ভুল তো করেছ। এই ভুলটাও করো।’
নাহিদার চোখ বরাবর তাকাল তানজিম। নাহিদার সাথে কথায় পারা মুশকিল। সে হেরে যায়, আজও হেরে গেল।
নাহিদা আবারও বলল, ‘ছেড়ে দাও।’

তানজিম দীর্ঘশ্বাস ফেলে হাত ছেড়ে দিল। নাহিদা দ্রুত ঘরে থেকে বেরিয়ে রান্নাঘরে গিয়ে থামল। কান্নার দমক সামলে নিয়ে নীরবে কাঁদতে লাগল সে। আশফিয়া রান্নাঘরেই ছিল। ফ্রিজ থেকে ঠাণ্ডা পানি বের করছিল সে। কিন্তু নাহিদার কান্না দেখে আর খাওয়া হলো না। শুকানো গলা আরও শুকিয়ে গেল।
নাহিদার কাছে যাবে না ভেবেও গেল সে। মিহি গলায় জিজ্ঞাসা করল, ‘কী হয়েছে তোমার?’
চমকে পেছন ফিরে তাকাল নাহিদা। আশফিয়াকে দেখে অপ্রস্তুত হয়ে গেল। দু’হাতে চোখের জল মুছে বলল, ‘কিছু না।’
আশফিয়া নাহিদার সামনে দাঁড়াল, ‘অকারণে কারো চোখ বেয়ে জল পড়ে না।’
‘তাহলে বলব, তোমাকে বলার ইচ্ছে নেই।’
মুচকি হাসল আশফিয়া। নাহিদাকে কিছু না বলে স্টোভে থাকা ছোট ডেকচি থেকে গরম দুধ নামিয়ে নিল। নাহিদাও আর কিছু বলল না; নিজের কাছে ব্যস্ত হয়ে গেল।

সকালের নাস্তা শেষে নাহিদা বিছানায় শরীর এলিয়েছে মাত্র—তখন’ই কলিং বেল বেজে উঠল। খুব বেশি বিরক্ত হলো নাহিদা। একটু আগেই তানজিম কাজে বেরিয়ে গেছে। কিছু ফেলে গেল কিনা কে জানে!

আশফিয়া বৈঠকঘরে বসে টিভি দেখছিল। কলিং বেলের শব্দে সেও একটু বিরক্ত হলো। টিভিতে একটা সুন্দর অনুষ্ঠান চলছে। আস্তে করে উঠে দরজা খুলতে গেল সে। দরজা খুলতে খুলতে বার কয়েক আড়চোখে টিভির দিকে তাকাল। আজকের অনুষ্ঠানে গেস্ট হয়ে এসেছে সাকিব খান। তাই আশফিয়ার আগ্রহ বেশি। দরজা খুলে ওপাশের মানুষটিকে দেখে আগ্রহটুকু মহূর্তেই বাষ্পের মতো উড়ে গেল। বাইরে ইফতেখার দাঁড়িয়ে।
ঠোঁটে হাসি ফোটানোর চেষ্টা করল আশফিয়া, ‘তুমি?’
ইফতেখার একটু অবাক হলো। আশফিয়ার পেটে ইশারা করে বলল, ‘কার বাচ্চা?’
‘আমার পেটে যখন আছে, তখন আমার’ই।’
‘সেটা তো দেখতেই পাচ্ছি। বলতে চাইছি, বাচ্চার বাবা কে?’ আড়চোখে আরেকবার আশফিয়ার পেটে তাকাল ইফতেখার।
আশফিয়া প্রশ্নটা এড়িয়ে গিয়ে বলল, ‘ভেতরর এসো। শুনেছি, তুমি নাকি এখানে খুব একটা আসো না?’
ভেতরে ঢুকল ইফতেখার, ‘অবৈধ বাচ্চাটা কার?’
ইফতেখারের তীক্ষ্ণ গলা শুনে আশফিয়া মুখ তুলে তাকাল। এখন কী বলা উচিৎ, তা ভেবে পাচ্ছে না সে। এমন সময় পেছন থেকে ইফতেখারের উদ্দেশ্য নাহিদার গলা শোনা গেল, ‘ওই অবৈধ বাচ্চাটা তানজিমের।’
আকাশ থেকে পড়ার মতো ভাব ধরল ইফতেখার। চোখ ছোট ছোট করে আশফিয়ার দিকে তাকাল। প্রথমে সে কিছু না বললেও পরক্ষণে সিংহের মতো গর্জে উঠল!

(চলবে)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here