কি ছিলে আমার পর্ব -০৪

#কি_ছিলে_আমার
-রূবাইবা মেহউইশ
পর্ব-৪

আকাশটা পূব দিকে মেঘলা অথচ পশ্চিমে কমলাভ সূর্য যেন মুচকি হাসছে৷ মৈত্রী তার বিশাল বেলকোনিটার একদম কিনারায় গ্রিলে মাথা ঠেকিয়ে বসে আছে৷ তার সামনেই বসে আছে শিপলু আর মিশু৷ মিশু তার মায়ের ফোনে আজ গেম খেলার সুযোগ না পেয়েই বোনের ঘরে ঘাপটি মেরেছে আর তার লেজ হয়ে সাথে এসেছে শিপলু। মৈত্রীর হাতে সমরেশ মজুমদার এর অগ্নিরথ বইটা। সে অনেকটা সময় ধরে মনযোগে বইটা পড়ছিলো। সায়নের কলকাতায় গিয়ে রায় বাড়ির ভাঙন দেখে কেমন প্র-তি-ক্রিয়া ছিল তা পড়ার টান টান উ*ত্তে*জনা আর আবেগের অংশটুকুতেই মৈত্রীর মনযোগে বিঘ্ন ঘটালো নিচতলার ডানপাশের বেলকোনিতে কারো উপস্থিতি। বইয়ের ফাঁকে আঁড়চোখে দৃষ্টি রাখলো সেই বেলকোনির আগত ব্যক্তির দিকে। সাদা লুঙ্গি আর টি শার্ট গায়ে একটা ফুলের টব হাতে দাঁড়িয়ে আছে। উপর থেকে চুলগুলো দেখেই আন্দাজ করা গেল এটা সেই বিড়ালচোখা মানুষটি। কিন্তু এখান থেকে লোকটার মুখ একদমই দেখা যাচ্ছে না। মৈত্রী সেদিক থেকে দৃষ্টি সরিয়ে আনতে চাইলো কিন্তু কিছুতেই হলো না বরং দৃষ্টি আরও গাঢ়ভাবে নিবদ্ধ হলো। লোকটা বেলকোনির মেঝেতে হাঁটু ভেঙে পায়ের সামনের দিকে ভর রেখে বসে আছে৷ হাতের টবটা এক পাশে রেখে বাঁ হাতে এবার চশমা ঠিক করলো। মৈত্রী ভীষণ অবাক হলো , লোকটা কি চশমা পরে! কই যে ক’বার দেখা হয়েছে চশমা তো ছিলো না চোখে। হাতের বই বন্ধ করে এবার ডান হাতে চিবুক রেখে চেয়ে রইল মৈত্রী। ফুলের টব একের পর এক করে তিনটি টব সারি করে রাখা বেলকোনির কর্ণারে তারপর ইরশাদ সেখান থেকে সরে গেলে মৈত্রী বির-ক্ত হলো। কোথায় গেল লোকটা! মাত্র কয়েক সেকেন্ড আবার দেখা গেল তাকে পাখির খাঁচা হাতে। টব তিনটের পাশে পাখির খাঁচা তারপর আরও তিনটে টব। বেলকোনির এর পরের অংশ আর এখান থেকে দেখা যাচ্ছে না। লোকটা পাখি পোষে, ফুল গাছ লাগায় আর কি কি করে! হঠাৎই মন আনচান করছে মৈত্রীর ওই লোকটা সম্পর্কে জানার৷ তার মনের আনচান অ-স্থিরতাকে দূরে হটিয়ে দিলো ময়ূখের আগমন। ঝাঁকড়া চুলের বাঁ-দর ছেলে এসে হাজির বেলকোনির ঠিক সেই টবগুলোর সামনে৷ মৈত্রী আর বসলো না সেখানটায়। হাতের বইটা নিয়ে ঘরে চলে গেল। শিপলু আর মিশু তখনও মোবাইলে গেম খেলায় ব্যস্ত। হেমন্তের শেষ দিক দিন এখন একটু একটু করে রাতের চেয়ে ছোট হয়ে আসছে। সূর্য যখন পশ্চিম দিগন্তে ডুবে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে মৈত্রী তখন দু চোখ বুঁজে ঘুমের আয়োজনে ব্যস্ত। আজ বহু বহু দিন পর বুকের ভেতর শূন্যতার ক*ড়াল গ্রাসে হু হু করে কান্না পাচ্ছে। হঠাৎ এই শূন্যতার কারণ তার ওই নিচ তলার মানুষগুলোই। এসেছে তারা মাস হয়নি এখনো অথচ কয়েকটা দিনেই কেমন আপন হয়ে জড়িয়ে নিচ্ছে কথার মায়ায়। ইরিন আন্টি মানুষটা এত্তো কেন নরম বুঝে পায় না মৈত্রী। রোজ তাকে কোন না কোনভাবে কাছে ডাকেন, পাশে বসান এটা সেটা কথার বাহানায় মাথায় হাত বুলান। রোজ আসেন তাদের বাসায় মামনির সাথে কথা বলতে। অথচ মানুষটা মামনি কম তার সাথেই কথা বলে সময় ব্যয় করে। মামনি কখনো তাকে ডেকে পাশে বসান না। অসুস্থ হলেও কখনো গায়ে, মাথায় হাত ছুঁয়ে দেখেন না। অন্য আর দশজন সৎ মায়ের মত হয়ত কষ্ট দেননি কিন্তু কোনদিন আদর মেখে ছুঁয়েও দেখেননি৷ নিজের মায়ের আদর ভালোবাসা কেমন ছিলো জানে না মৈত্রী কিন্তু ইরিন আন্টি যা দিচ্ছেন তা কি মায়ের আদরসম নয়! আজ হঠাৎ কান্না পাচ্ছে নিচতলার সেই বেলকোনির ওই ঝাঁকড়া চুলের বাঁদর ছেলেটাকে দেখেই। আজ সকালেই সে বাবার মুখে শুনেছে ওই ছেলের মা নেই। ইরিন আন্টি শুধুই বিড়ালচোখা লোকটার মা অথচ তাদের দেখলে কে বলবে ময়ূখ আন্টির ছেলে নয়! মা না থাকাও সত্ত্বেও ময়ূখের মায়ের স্নেহের কমতি নেই জানতেই পেরেই যেন মৈত্রীর মনটা হিংসায় জ্বলে উঠলো। কষ্ট হলো তার সাথে কেন এমন হলো না!

“মাংস হয়ে গেছে আম্মু পোলাও কি এখনই বসাবো?” রান্নাঘর থেকে চেঁচিয়ে বলল ইরশাদ। ময়ূখ ইরিন বেগমের মাথায় তেল দিয়ে দিচ্ছে তার রুমে বসে। মোটামুটি সকল কাজই দু ভাই কলেজ জীবন থেকে রপ্ত করে নিয়েছে। ইরিন বেগম কখনোই পছন্দ করেননা এসব কিন্তু ছেলে দুটোই কেমন করে যেন এত বদলে গেল। হাতে হাতে মায়ের সকল কাজে নিজেদের পারদর্শী করতে লাগল। এই যে, ছেলে দুটো রান্না করে, ঘর মোছে, কাপড় ধোয় আবার মায়ের মাথায় তেলও লাগিয়ে দেয় ব্যাপারগুলো বড় আজব লাগে তাঁর। তিনি চান ছেলেরা এসব কাজ থেকে দূরে থাকুক তারা শুধু বাইরের কাজ করুক তাতেই চলবে। ঘর সামলাতে তো তিনি দুটো মেয়ে আনবে একদম পুতুল পুতুল দেখতে। ময়ূখ তেল দেওয়া শেষ করে দুটো রাবার ব্যান্ড নিয়ে এলো আম্মার ঘর থেকে। ইরিন বেগম তা দেখে ভ্রু উঁচিয়ে জানতে চাইলেন দুটো তুলি দিয়ে কি হবে!

“তুমি চুপচাপ শুধু দেখে যাও।” কথাটা বলেই ময়ূখ আবার আম্মার পেছনে বসলো। মাথার মাঝখানে সিঁথি টেনে চুলগুলো দু ভাগ করতেই চকিতে তাকালেন ইরিন বেগম।

“কি করবি তুই!” আতংকিত শোনালো কণ্ঠস্বর।

“আম্মা ডিস্টার্ব করবানা একদম বলে দিলাম।” জো-র করে ময়ূখ দু পাশে দুই বেণী করে দিলো ইরিন বেগমের। আঁকাবাঁকা দুই বেণীতে কিশোরী কন্যা সাজানোর বৃথা চেষ্টায় বড় উৎফুল্ল হয়ে গেছে ময়ূখ। এদিকে রান্নাঘর থেকে বার কয়েক ডেকেও যখন কোন জবাব পেলো না তখন রে-গে গিয়ে হাতে খুন্তি নিয়েই এ ঘরে এলো ইরশাদ।

“দুজনেই কি কানের মুখে তুলো বসিয়েছো?” কথাটা বলতে বলতে মায়ের দিকে তাকালো সে। রে-গে কিছু বলার আগেই তার দু’ঠোঁটে হাসি ফুটে উঠলো। এদিকে ছেলেদের হাসির কারণ টের পেয়ে লজ্জায় লাল হয়ে গেলেন ইরিন। এ কি বেহুদা কান্ড!

“তোমাকে একদম বাচ্চা মেয়ে লাগছে আম্মু।”

“এসব কি কথা!” লজ্জারুণ হয়ে ছেলেকে ধ-ম-কে উঠলেন ইরিন৷ তাতে লাভ বিশেষ হলো না। ছেলেরা থামার বদলে আরও বেশি করে বলতে লাগলো, “আবার তোমাকে বিয়ে দেওয়া যাবে। ভাবছি ফখরুল সাহেবকে এবার বিদায় করে নতুন একটা জামাই আনব।”

“মা*ইর খাবি কিন্তু এবার তোরা” বলেই মাথায় আঁচল টানলেন ইরিন বেগম। ময়ূখ তার আম্মাকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে মাথায় আলতো চুমু খেলো। ইরশাদও হাসিমাখা মুখে এবার জানতে চাইলো, পোলাও কি এখনই করবে! দেয়াল ঘড়িতে সময় দেখে ইরিন বেগম বললেন, বসিয়ে দে আমি আসছি।

পোলাওটা ইরশাদ খুব একটা ভালো রাঁধতে পারে না বলেই এটা মা দেখবে৷ পোলাও হওয়ার আগেই এশারের আজান কানে এলো৷ ইরশাদ তার বাবার সাথে নামাজের জন্য চলে গেলে ময়ূখ এসে ডাইনিং টেবিলটাকে সাফ করে নিল। একটু পরই হয়ত চলে আসবে মৈত্রীরা তাই যতোটা সম্ভব সোফা, ডাইনিং এমনকি তাদের তিনটে রুমই পরিপাটি করে গুছিয়ে নিল। ময়ূখ মনে মনে প্ল্যানও বানিয়ে রেখেছে আজ গানের আসর জমাবে। সব কাজ শেষ হতেই ফটাফট নিজের ঘরে ঢুকে পরনের কাপড়গুলোও বদলে নিলো। সবসময়কার থ্রী কোয়ার্টার প্যান্ট ছেড়ে আজ ছাইরঙা টি শার্ট আর জিন্স পরলো। মাথার এলোমেলো চুল গুলোতে চিরুনি বুলাতে গিয়েও আবার রেখে দিলো। দু হাতের আঙ্গুলে টেনে নিজের মত গুছিয়ে নিলো চুলগুলো। সবসময় নিজের প্রতিবিম্ব দেখার সাধ হয়না ময়ূখের আজ যেন সেই সাধটাই জেগে উঠলো মনের অগোচরে। নিজের ঘরে তার আয়না নেই আম্মার ঘরে গিয়ে ড্রেসিংটেবিল এর সামনে দাঁড়ালো। কয়েক সেকেন্ড দেখে নিয়েই বেরিয়ে এলো সে ঘর থেকে। আর কতক্ষণ! হঠাৎ করে মনে হলো সে ডে-স্পা-রেট হয়ে উঠছে কিন্তু কেন? কিসের এই অধীরতা! কিসের এত আগ্রহ! তার ভাবনার সুতো কা-ট-ল কলিংবেলের আওয়াজে। দরজা খুলতে ময়ূখই এগিয়ে গেল; তখনও নামাজ শেষ হয়নি ইরিন বেগমের। দরজা খুলতেই দেখা গেল ফখরুল সাহেব আর ইরশাদ দাঁড়িয়ে আছে সামনে। তাদের পেছনেই সিঁড়ির দিকে দেখা গেল রোকসানা বেগম, মুজিব সাহেব আর মিশু নেমে আসছে। তাদের দেখতেই ইরশাদ আর ময়ূখ দুজনেই সালাম দিলো৷ মিষ্টি হাসিতে অভ্যর্থনা জানিয়ে ঘরে ঢুকতে দিলো তাদের। মৈত্রী আর শেলীকে না দেখে ইরশাদই মুখ খুলল প্রথমে, “আঙ্কেল মৈত্রী আর শেলীকে কেন রেখে এলেন! আম্মু কিন্তু বারবার করে বলে দিয়েছে সবাই আসবেন।”

ময়ূখ উন্মুখ হয়ে আছে ইরশাদের করা প্রশ্নের জবাব শুনতে কিন্তু মুজিব সাহেব এর জবাব স্বস্তিদায়ক হলো না তার জন্য। মৈত্রীর মাথাব্যথা তাই আসতে পারেনি এটা যেন অহেতুক বাহানা। ময়ূখের অন্তত এমনটাই মনে হয়। সবাই একই সাথে খেতে বসে নানা গল্পে ব্যস্ত হয়ে উঠতেই ময়ূখ ভাইয়ের কানে ফিসফিস করে উঠলো।

“দেখলে ভাই ওই পেঁচামুখ ছেমড়ি ভাব দেখাইয়া আসে নাই। আমার তো এখন মন চাচ্ছে গিয়ে ঠা-ডায়ে দুই চ-ড় মে-রে আসি। মানুষকে দাম দেয় না!”

ইরশাদ সবে এক লোকমা মুখে তুলেছিলো। ময়ূখের কথা শুনে খাবার গলায় আটকে বি-ষ-ম খেলো। ঝাল ঝাল মাংসটা গলধঃকরণ ঠিকঠাক করা গেল না উল্টো ঝালে যেন জ্বলে যাচ্ছে ভেতরটা, চোখের তারায় জল জমছে। তার অবস্থা দেখে টেবিলের প্রায় সবাই অস্থির হয়ে উঠলো। ময়ূখও ভড়কে গেল ভাইয়ের অবস্থা দেখে। সে কি এমন বলে ফেলল! খাবারের আয়োজন জম্পেশ হলেও খাওয়াটা সবার জম্পেশ হতে পারেনি। ইরশাদের সত্যিই বা-জে অবস্থা হয়েছিল এক বিষমেই। খাওয়ার পর সবাই মিলে অল্পসল্প গল্পও জমালো। ঘড়ির কাঁটা দশ পেরোতেই রোকসানা বেগম তাড়া দিলেন ঘরে মেয়ে দুটো একা আছে বলে। শেলীও মৈত্রীর মত যুবতী, অবিবাহিত মেয়ে তাই না চাইতেও মাথায় চিন্তা দুজনের জন্যই আসে রোকসানা বেগমের৷ সে তার ভালোবাসা থেকে মৈত্রীকে বঞ্চিত রাখলেও দ্বায়িত্বের দিকটা ঠিকঠাক পালন করার চেষ্টা করেন। ইরিন বেগমও আর জোর করলেন না তাদের বসার জন্য তবে যাওয়ার সময় বাটিতে করে দুজনের খাবার দিতেও ভুললেন না। ইরশাদও চাইছিলো মাকে একবার বলবে তাদের জন্য খাবার দিতে কিন্তু সে আরও আগেই শুনেছে মা খাবার পাঠাতে চাচ্ছেন মৈত্রীর জন্য। রোকসানা বেগমই তখন থামিয়ে বলেছিলেন, মৈত্রী রাতের খাবার লেট করেই খায়। এ কথা শোনার পর আর তাড়াহুড়ো না করলেও এখন মনে করে ঠিকই দিয়ে দিলেন। রাতের আদর আপ্যায়নের সমাপ্তি টানতেই সবাই সবার ঘরে গিয়ে বিশ্রামের জন্য গা ছেড়ে দিলো বিছানায়। ইরশাদের জন্য আজকের দিনটা ছিল ব্যস্ততম এক দিন। অন্যান্য ছুটির দিনে একবার রান্না করেই তার কাজের সমাপ্তি কিন্তু আজ আর তেমন কিছু হলো না। বিছানায় শুতেই মনে হলো পাখির খাঁচায় কম্বল দেওয়া হয়নি। হেমন্তের শেষের দিক বলেই হয়ত এখন রাতের শেষে হিম হিম হাওয়া লাগে বাইরে। তাই পুরনো অব্যবহৃত এক কম্বল দিয়ে ঢেকে দেয় পাখিগুলোকে। ঘরের বাতি জ্বালানোই ছিল বলে আর বেলকোনিরটা জ্বালালো না। পাখির খাঁচায় কম্বল ছড়িয়ে দিয়ে রুমে ফিরতে গিয়ে মনে হলো উপরের বেলকোনিতে কেউ আছে। আবছা আঁধারে মুখ উঁচু করে তাকাতেই দেখতে পেল সেখানটাও আঁধার ঘেরা। কারো ওড়নার কোণ বেলকোনির গ্রিলের ফাঁকে বাইরের দিকে ঝুলে আছে৷ ওড়না গায়ে মানবী আঁধারে আকাশপানে মুখ উঁচু করে আছে। কি দেখছে ওই নক্ষত্রবিহীন অম্বরবক্ষে! কি আছে ওই মহাশূন্যের কোল জুড়ে! কি দেখছে সে! অজান্তে, আনমনেই ইরশাদ নিজেই নিজেকে শুধালো যেন কথাটা। মেয়েটাকে সে দেখেছে হাতে গুণে মাত্র কয়েকবার আর প্রতিবারই সে নিজ নিজ কাজে ব্যতিব্যস্ত ছিল। খেয়াল করে দেখা হয়নি ওই মেয়েটির মুখ তবে যতবার দেখেছে প্রতিবারই বড় মলিন আর উদাস মনে হয়েছে। ইরশাদ অনেকটা সময় তাকিয়ে ছিলো মৈত্রীর দিকে। মৈত্রী বোধহয় টের পেল আর তাইতো এদিকে একটিবার ঘাড় ঘুরিয়ে তাকিয়েই চলে গেল ঘরের ভেতর।

রাতে যেমন শীত শীত দুপুরটা তেমন গরম। ক্লাস শেষে আজ ইউনিভার্সিটি থেকে ফেরার পথে বাস থেকে নেমে গেল মৈত্রী কলেজের সামনে। লাইব্রেরিতে গত সপ্তাহে নেওয়া বইগুলো জমা দিয়ে নতুন বই নিয়ে যাবে বলে। ব্যাগ থেকে বই বের করে লাইব্রেরিতে জমা দিয়ে অনেক বেছে হুমায়ূন আহমেদ এর আজ মৃন্ময়ীর মন ভালো নেই বইটি নিলো। হঠাৎ পেছন থেকে কেউ একজন বলে উঠলো, ” মেঘ বলেছে যাব যাব বইটা না পড়ে থাকলে সেটাও নাও।”

আধ পরিচিত কণ্ঠটা শুনতেই ঘাড় ঘুরিয়ে তাকালো মৈত্রী। আপনাআপনি তার মন গুনতে লাগলো এক, দুই,তিন, চার, পাঁচ….. চলতে থাকলো গোনা কয়েক সেকেন্ড। একটু কি কমলো তার স্না-য়ুবিক উ-ত্তে-জনা!

চলবে
(ভুলত্রুটি ক্ষমার নজরে দেখবেন৷)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here