#কি_ছিলে_আমার
-রূবাইবা মেহউইশ
পর্ব- ২০
আংটি পরানোর পাঁচ দিন পেরিয়ে গেছে। বিয়ে নিয়ে কোন আলোচনাতেই আসেনি ইরিন আর ফখরুল তা নিয়ে বড় চি-ন্তি-ত মুজিব। যতোই হোক মেয়ের বাবা হয়ে তার পক্ষে তো আর বিয়ে নিয়ে কথা শুরু করাটা শোভনীয় লাগে না। এদিকে মৈত্রীর মামী ফিরে গিয়ে কিসব বলেছে কে জানে তার মামা ফোন করে যা নয় তা শুনিয়েছে। মুজিব সাহেব তাতে ভ্রুক্ষেপহীন কিন্তু টেনশন তো এখন ছেলে পক্ষের নির্লিপ্ততা। যতই হোক বন্ধুর ছেলে বিয়ে শাদীর ক্ষেত্রে পাত্রপক্ষ মানেই একটু উঁচু স্তরে থাকবে এটাই বোধহয় আমাদের দেশের রীতি। এমনটাই তো চলে আসছে যুগ যুগ ধরে। কিন্তু রোকসানা একটু অন্য ধাচের। সে দু দিন ধরেই মুজিবকে খুঁচিয়ে যাচ্ছে নিজে থেকে কথা বলতে। যত জড়তা মুজিবের মাঝেই সেক্ষেত্রে রোকসানাও আগ বাড়িয়ে কিছু বলতে পাটছে না৷ তার বরাবরই সৎ মা হওয়ার দো-ষা-রোপ পাওয়ার ভয়। পাঁচ দিনের মাঝে একদিন ইরশাদ এসেছিলো তবে সেটাও নিজের কথা বলতে। ছেলেটা কি কখনো প্রেম টেম করেনি নাকি বুঝে পায় না রোকসানা৷ একটা প্রাপ্তবয়স্ক ছেলে এসে তার বাগদত্তা ফোন নম্বর চাইতে পারতো, মেয়েটির সাথে বাইরে যেতে কিংবা ঘরেই আলাদা কথার অনুমতি চাইতে পারতো তা না করে এসে বলল, “আন্টি আমি আজ রাতে সিলেট যাচ্ছি তিন দিনের জন্য মৈত্রীকে জানাবেন।”
রোকসানা হা করে তাকিয়েছিল আর ভাবছিলো এখনই কাঁচুমাচু করে বলবে, “মৈত্রীর সাথে কথা আছে কিংবা আন্টি ওর ফোন নম্বরটা দিন৷ তা না হাভাতের মত ওইটুকু বলেই চলে গেল৷ এটুকুই বলার কি দরকার ছিল তার! কিন্তু আজ বিকেলে মৈত্রী, নোরা আর শেলি যখন ফুচকা খেতে গেল তখন ইরিন বলেছিল সন্ধ্যের আগেই যেন ফেরা হয়। কথাটা কার উদ্দেশ্যে বিশেষ ছিলো কেউ বুঝতে পারেনি৷ এখন বাড়ি ফিরে অবধি ঘটে বসে আছে মেয়েটা। রোকসানা দু কাপ চা নিয়ে মৈত্রীর ঘরে গেলেন। উনাকে দেখতেই বিছানায় আধশোয়া মৈত্রী সোজা হয়ে বসলো৷
” চায়ের জন্য আমাকে ডাকলেই হতো।”
নিচু শব্দে বলল মৈত্রী। রোকসানা একবার ভালো করে তাকে দেখে বললেন, “কথা ছিল তাই নিজেই এসেছি।”
“জ্বী!”
“ইরশাদের সাথে কথা হয় তোমার?”
প্রশ্ন শুনে সরাসরি তাকালো মৈত্রী। তারপর নিঃশব্দে মাতা নাড়লো ‘না’ তার কথা হয় না। রোকসানা আবার বললেন,
“তার ফোন নম্বর আছে তোমার কাছে?”
“জ্বী, নোরা সেভ করেছিলো।”
নোরা আর মৈত্রীর সম্পর্ক এখন অনেকটা প্রিয় বন্ধুর মত। দুজনে গল্প হয় কিছু, আড্ডায় বসে নোরা কত কি বলে আর মুখচোরা মৈত্রী তা বিনাবাক্যে শুনে যায়। রোকসানাও তাই এখন ভেবে নিয়েছেন নোরাকে দিয়েই করাতে হবে কাজটা৷ তিনি মৈত্রীকে বললেন, “সবসময় চুপ থাকতে নেই। কখনও কখনও প্রয়োজন বুঝে মুখ খুলতে হয়। সেদিন যেমন ইরশাদকে হারিয়ে ফেলার ভয়ে মুখ খুলেছিলে এখন আবার খুলবে তবে এবার তাকে দ্রুত নিজের করে পাওয়ার জন্য, বুঝলে! অনেকের মত ভেবোনা মামনি তোমাকে কু-বু-দ্ধি দিচ্ছে। অবশ্যই এটা তোমার এবং নতুন সম্পর্কটার জন্য জরুরি।”
রোকসানা কথা শেষ করে চায়ে চুমুক দিলেন৷ মৈত্রীও চুমুক দিলো চায়ে কিন্তু তার মস্তিষ্ক ব্যস্ত রইলো রোকসানার কথার অর্থ বুঝতে। রোকসানা ঘর ছেড়ে যেতেই দেখলো নোরা এসেছে। নোরার হাতে ছোট্ট বক্স সে এগিয়ে দিলো রোকসানার দিকে।
“এটা কি?”
“ফুপি নাড়ু বানিয়েছিল ময়ূখের জন্য তাই মৈত্রী, মিশুর জন্যও পাঠালো।”
ইরিন ভাবী পাঠিয়েছে! তারমানে কি তার মনের মেঘ বাষ্পীভূত হয়ে যাচ্ছে ধীরে ধীরে! রোকসানা বক্স হাতে নিয়ে নোরাকে প্রশ্ন করলো, ময়ূখ কবে আসবে? সে তো ভাইয়ের এনগেজমেন্ট দেখতে পেলো না
“ওর তো এ সপ্তাহেই পরীক্ষা আর ফুপি, আমি, ফুপা তিনজনেই আগামী পরশু যাব ঢাকায় তখন একসাথে ফিরব।”
“ওহ আচ্ছা! আর ইরশাদ কবে ফিরছে?”
“আন্টি ব্রো আজ রাতের বাসে ফিরছে।”
“ওহ! আচ্ছা নোরা একটা কথা বলার ছিল তোমাকে। আমি শ্বাশুড়ি টাইপ জড়তা নিতে পারছি না তাই খোলাখুলিই বলি বোসো একটু সোফায়।”
নোরা কৌতূহলী হয়ে তাকালো রোকসানার দিকে। এই মহিলা এতোটা রহস্যময়ী ইঙ্গিতে আগে কখনো কথা বলেনি। সে বসলো সোফায় পাশেই বসলো রোকসানা। মৈত্রীর ঘরের দরজায় আগে নজর ফেলে দেখলো সে এদিকে আসে কিনা তারপর বলল, “তোমার ফুপি কি মৈত্রীকে পছন্দ করছেন না? দেখো এখনো তাদের কিন্তু বিয়ে হয়নি। পরিবারের মানুষগুলোর খুশির বিরুদ্ধে সম্পর্ক তৈরি মানেই নানারকম জটিলতা অবশেষে কোন একটা সম্পর্কের বা-জে পরিণতি। তাই আমি সরাসরিই জানতে চাইলাম।”
“আপনার এমন কেন মনে হলো আন্টি।”
“ইরিন ভাবীর সেদিনের পর থেকে গম্ভীর হয়ে যাওয়া দেখে।”
“আসলে আন্টি, ফুপি একটু শকড আছে তাই। এই যে এখন স্বাভাবিক হতেই এটা দিয়ে পাঠালো। আর ঢাকায় তো ফুপির ইচ্ছেতেই যাচ্ছি আমরা। ফুপি তার ছেলের বউয়ের জন্য কেনাকাটা করবে বলে ঠিক করেছেন। ইউ নো শি ইজ ভেরি এক্সাইটেড ফর দিস ওয়েডিং। এন্ড… ” মুখ ফসকে বলেই দিচ্ছিলো প্রায় তাদের পারিবারিক যে ঝা-মে-লা সেটাও এবার মি-টি-য়ে নিবে তারা।
“আর কি!”
“আর ব্রো কে বলেছে মৈত্রীকেও চাইলে আমাদের সাথে নিবে।” সম্পূর্ণ কথাটাকেই বদলে দিলো নোরা। রোকসানাও বুঝতে পারলেন না এক মিথ্যের আড়ালো কোন সত্যি ঢাকা পড়লো। তিনি মনে মনে স্বস্তি পেলেন তাই এবার অন্য কথায় এলেন, “মৈত্রীর ফোনে ইরশাদের নাম্বার না দিয়ে ইরশাদকে মৈত্রীর ফোন নম্বর দিলেই বেশি ভালো করতে নোরা।”
“কেন আন্টি?”
“মৈত্রী কখনোই নিজে কল দিবে না ছেলেটাকে।”
“ওহ ইয়েস, ডোন্ট ওয়্যারি আন্টি আই হ্যাভ সল্যুশন।” নোরা চোখ টিপে চলে গেল মৈত্রীর ঘরের দিকে।
রাতের তখন সাড়ে এগারোটা৷ ময়ূখ নেই বলেই হয়তো ফ্ল্যাট জুড়ে নীরবতারা আসন গেঁড়েছে পাকাপোক্ত ভাবে। ফখরুল সাহেবই বিছানায় যেতে যেতে একটু মুখ খুললেন, “ইরিন শোনো।”
“বলো।”
“আমি ভাবছি কাল বাড়ি যাব… মানে আমাদের বাড়িতে যাব। বড় ভাইকে ফোন করেছিলাম কাল তোমাকে বলতে ভুলে গেছি।”
“ওহ!”
বেজায় নি-র্লি-প্ত ইরিনের আচরণ৷ ফখরুল সাহেবের মোটেই ভালো লাগলো না ব্যাপারটা। তিনি প্রশ্ন করলেন, “ওহ কেন?”
“এমনি।”
” আজ পাঁচ দিন হয়ে গেল ছেলের এনগেজমেন্ট হয়ে গেছে। ঠিক পাঁচ দিয়ে ধরেই দেখছি তুমি চুপ হয়ে গেছো। আমাকে কি বলবে সমস্যাটা কোথায়? তুমি তো মৈত্রীকে খুব ভালোবাসতে তবে এখন এমন করছো কেন?”
মনের ভেতর জমে থাকা প্রশ্ন আজ উগড়েই দিলেন ফখরুল সাহেব। ইরিনও বুঝতে পারলো তার এভাবে কথাবার্তা চে-পে রাখাটা সবাইকেই কৌতূহলী করছে। এমনটা তো তার স্বভাবে নেই একদমই৷ স্বামীর প্রশ্নের মুখে তিনিও মুখ খুললেন, “মৈত্রীকে আমি এখনও ভালোবাসি খুব কিন্তু ভেবে দেখো তো মৈত্রীর স্বভাব, আচরণ। তারপর ভাবো আমার ইরশাদটার স্বভাব৷ সে এবং মৈত্রী অনেকটাই একইরকম। ইরশাদ একটা ধা-ক্কা খেয়ে এমন হয়েছে আর মৈত্রী নাকি ছোট থেকেই এমন। সব জেনে আমি কি করে খুশি হবো ছেলের সিদ্ধান্তে! মৈত্রীকে আমি যতটুকু ভালোবাসি সবটাই তার প্রতি সহানুভূতি কিন্তু সহানুভূতি দিতে গিয়ে এমন মেয়েকে ছেলের বউ করার কথা আমি কল্পনাও করি না৷” একনাগাড়ে মনের ভেতর লুকিয়ে রাখা যেন সবটাই বলে দিলো ইরিন। ইরশাদের বাবাও বুঝতে পারলেন স্ত্রীর ভাবনা কিন্তু তার ধারণা সম্পূর্ণ ভিন্ন। তিনি স্ত্রীর কথার বি-রো-ধীতা করে বললেন, “জন্ম, মৃত্যু, বিয়ে এ তিনটা তো সম্পূর্ণ আল্লহর হাতে। তিনি ভাগ্যের সকল কাজে মনুষ্য জাতির চেষ্টার ওপর বদলে দিলেও এই তিনটি জিনিস কখনোই বদলাননা। এ তিন নিয়ে মানুষ কিছুই করতে পারে না। উপর থেকেই তো ঠিক হয়ে আসে এই জোড়াবন্ধন।”( আমার লেখায় কোন কিছু ভুল থাকলে অবশ্যই কমেন্টে জানিয়ে দিবেন।)
ইরিন দমে গেলেন এবার। সত্যিই তো বিয়ে তো তাদের হাতে নেই৷ গত পাঁচ বছরে কত চেষ্টাই না করলেন বিয়ে তো দূর ছেলে পাত্রী দেখা নিয়েও কত টালবাহানা করতো। আর সেদিন হুট করেই কি থেকে কি হলো সোজা আংটি পরিয়ে দিলো। অথচ ইরিন শতভাগ শিওর মৈত্রী -ইরশাদের মাঝে কখনোই প্রণয়ের সম্পর্ক ছিল না। স্বামী-স্ত্রী তে আরও কিছুক্ষণ আলাপ আলোচনা হলো। ইরিনও ভেতর থেকে হালকা বোধ করলেন। পরদিন সকালে হুট করেই বলে বসলেন, ” আজই রওনা দেব ঢাকায়।”
ইরশাদ মাত্রই ফিরেছে সিলেট থেকে। পোশাক বদলে সে গোসল সেরে সোজা ডাইনিংয়ে এসেছিলো নাশতার উদ্দেশ্যে। ফখরুল সাহেবও তৈরি হয়ে নাশতায় বসেছেন। আজ তিনি নিজেদের বাড়িতে যাবেন বলেছেন । ইরিনের কথা শুনে ইরশাদ আর তার বাবা দুজনেই অবাক হলো খুব। ইরশাদ কিছু বলার আগেই ইরিন বলল, মৈত্রীকে বলিস তোর জন্য খাবার পাঠাতে কাল থেকে দু দিন।”
“কেন!” বাবা-ছেলে একত্রেই বিষ্ময়ে প্রশ্ন করলো।
ইরিন মিটিমিটি হেসে বলল, “হবু শ্বশুরবাড়ির আপ্যায়ন নিবি দুদিন। আমরা একদম বিয়ের শপিং সেরেই ফিরব।”
ইরশাদ খাওয়া রেখে মায়ের দিকে তাকিয়ে রইলো। এত তাড়া কিসের! সে তো এখনও দ্বন্দে নিজের করা কাজ নিয়ে। মৈত্রীর সাথে তার মানসিক মিলটা কি আদৌও হয়ে উঠবে! নোরা ঘুম থেকে উঠতেই শুনলো তারা আজই ঢাকায় যাবে। সারা দিনে নোরা অল্পস্বল্প গোছগাছ করেই গেল মৈত্রীর কাছে। তারা বিয়ের শপিং করতে যাচ্ছে তাই মৈত্রীর কাছে জানতে চাইলো বিয়ের জন্য তার কি চাই, শাড়ি-লেহেঙ্গা! মৈত্রী ভেবেই পেলো না সে কি চায় তাই ছোট্ট করে বলল, “তোমাদের যা ইচ্ছে।”
“আমাদের নাকি শাদ ব্রো’র!” ভ্রু উঁচিয়ে রসিকতা করলো নোরা। মৈত্রী সে কথাতেও প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারলো না। শুধু মনে মনে বলল, “ইরশাদ যা চায় তাই হোক।”
রাত দশটার বাসে রওনা দিলো ইরিন, ফখরুল আর নোরা। বাড়িতে ইরশাদ একা; সে পুরো ঘরে ভালো করে দেখে দরজা -জানালা সব লক করে নিলো। আম্মু রাতের রান্না আগেই করে রেখেছে বলে ইরশাদকে আর রান্নার ঝা-মে-লা করতে হবে না এমন ভেবেই সে ল্যাপটপ নিয়ে বসলো ড্রয়িং রুমেই। ঘড়িতে তখন এগারোটা বাজতে চলল ইরশাদ ইমেইল চেক করে কফি বানাতে উঠে পড়লো। গ্যাস চালু করার সেকেন্ড দুই পরই কানে এলো কলিং বেল এর আওয়াজ৷ সে চলে গেল দরজার কাছে। কি হোলে দেখলো মিশু আর শেলি দাঁড়িয়ে। সে দরজা খুলতেই শেলি কাঁপা হাতে ঢাকনাসহ বাটি এগিয়ে দিলো একটা। মিশুর হাতেও ছিলো একটা বক্স। সেও ইরশাদকে এগিয়ে দিলো বক্সটা।
“এগুলো কি?”
“রাতের খাবার। আম্মু পাঠিয়েছে ভাইয়া।”
মিশু বলল।
“কিন্তু আমার তো ঘরে অনেক খাবার আছে এগুলো কি করে খাব।”
“তবুও এইগুলান রাখতে হইবো দুলাভাই।” অস্পষ্ট স্বরে বলল শেলি। ইরশাদ হাত বাড়িয়ে বক্সগুলো নিলো সাথে ধন্যবাদও দিলো তাদের৷ ইরশাদ বক্স, বাটি নিতেই শেলি হুড়মুড় করে পা-লি-য়ে গেল এক প্রকারে৷ ঘরে ঢুকে খাবার দেখতো দেখতেই তার ফোন বেজে উঠলো। নোরা কল দিয়েছে; রিসিভ করে কানে দিতেই নোরা বলল, “ব্রো, প্রেমটা এবার করেই ফেলো। মৈত্রীর ফোন নম্বর পাঠাচ্ছি আজ রাত আর ঘুমানোর দরকার নেই।”
খাবারের দিকে একবার, একবার ফোনের দিকে তাকালো ইরশাদ। নোরা সত্যিই পাঠিয়েছে মৈত্রীর ফোন নম্বর। সে কল দিলো মৈত্রীকে৷ প্রথম দফাতেই রিসিভ হলো তবে জবাব এলো না সেদিক থেকে৷ ইরশাদ নিজেই মুখ খুলল, “এত খাবার কেন পাঠিয়েছো? ঘরে আগে থেকেই অনেক খাবার আছে।”
“মামনি পাঠিয়েছে।”
ইরশাদ ভেবেছিলো মেয়েটি সহজভাবে কথার জবাব দেবে না। কিন্তু না তেমন হয়নি৷ সে আবারও বলল, ” তুমি তো আটকাওনি।”
“খাবার মামনি দিচ্ছিলো আমি কি করে আটকাবো?”
“তা ঠিক৷ কি করছো?”
” জ্বী! কিছু না।”
“কিছু না কেন?”
“এমনিতেই।”
“এমনিতেই কেন?”
“জানি না।”
“কেন জানো না?”
“আজব!” বড্ড অস্পষ্ট উচ্চারণে বলল মৈত্রী।
“কি বললে?”
“কিছু না।”
“কিছু বলা উচিত।”
মেহেরের হাতের অবস্থা শোচনীয়। মেহের অ-স্থির চিত্তে বারংবার ইরশাদের কথাই বলে চলছে। ময়ূখের মনে হলো একমাত্র ইরশাদের সাথে কথা বলেই মেহের স্থির হবে। সে দ্রুত ফোনটা নিয়ে ইরশাদকে কল দিলো। কিন্তু একি এতরাতেও ভাইয়ের নম্বর ব্যস্ত! ময়ূখ পরপর তিন চারবার কল দিলো লাভ হলো না। প্রতিবারই যান্ত্রিক শব্দ বলে চলল নাম্বারটি ব্যস্ত।
চলবে
(মন্তব্য না চাইলে আর আপনারা করেনই না এমন কেন?😔)