ক্রাশ পর্ব -১১

#ক্রাশ
#পর্বঃ১১
#মুমতাহিনা_জান্নাত_মৌ
মোহনা উঠানে একটা চেয়ার পেতে বসে আছে।
আর তার চতুর্পাশে অনেক গুলো মহিলা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে তাকে দেখছে।
মোহনা তাদের কে বসতে বললো।
কিছুক্ষন পর সাগরের মা কিছু মিষ্টি আর পান সুপারি এনে তাদের কে খেতে দিলো।
মোহনা কিছুক্ষন সবার সাথে গল্প করলো।
হঠাৎ মোহনার শাশুড়ী বললো,
মা তুমি রুমে যাও।
আর তোমাকে বসে থাকতে হবে না।
সবার দেখা হয়ে গেছে।
মোহনা সেই কথা শুনে রুমে চলে গেলো।

মোহনা রুমে গিয়ে দেখে সাগর নাই।।
তবে বারান্দায় সাগরের কন্ঠ শুনতে পেলো।
সাগর কার সাথে যেনো কথা বলছে।
তাই মোহনা রুমের বারান্দার দিকে এগিয়ে গেলো।।
গিয়ে দেখে সাগর তার ক্যাট কে কোলে নিয়ে বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছে।
আর তার মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে।
আর বলছে তুই ছাড়া আমাকে কেউ ভালোবাসে না।
সারাজীবন এভাবে ভালোবাসবি তো?

মোহনা সাগরের কাছে গেলো।
আর বললো তাই?
শুধু ক্যাট টায় আপনাকে ভালোবাসে?
আমি ভালোবাসি না?
সাগর মোহনার কথার কোন উত্তর দিলো না।
সে মোহনাকে বারান্দায় দেখে আবার রুমে চলে এলো।

মোহনা নিজেও আবার রুমে চলে এলো।
আর সাগর কে বললো এতো ভাব দেখাচ্ছেন কেনো?
আপনার আবার কি হলো?

সাগর এবারও কোন কথা বললো না।
সে মোহনাকে রুমে আসা দেখে এবার বাহিরে চলে গেলো।
মোহনা তাই দেরী না করে নিজেও সেখানে গেলো।

তখন সাগর মোহনাকে বললো,
কি চাই তোমার?
এভাবে আমার পিছু পিছু ঘুরছো কেনো?

মোহনা তখন বললো,
তার আগে বলুন আপনি আমাকে দেখে এভাবে চলে যাচ্ছেন কেনো?
সাগর সে কথা শুনে বললো,
তোমার মুখ দেখতে ইচ্ছে করছে না।
তাই আমি যেখানে থাকবো তুমি সেখানে থাকবে না।
এখন সিদ্ধান্ত তোমার হাতে।
রুমে থাকবে না ঘরের বাহিরে?

মোহনা সেই কথা শুনে সাগরের কপালে হাত দিয়ে বললো জ্বর তো নেই।।
তাহলে এমন আবোলতাবোল বকছেন কেনো?
এই কিছুক্ষন আগে তো ছাড়তেই চাইছিলেন না।
আর এখন আমার থেকে দূরে থাকতে চাচ্ছেন?
ব্যাপার কি?
না সকালের ঘটনার জন্য এখনো রেগে আছেন?
এখন কিন্তু ফ্রী আছি।
এই বলে একটা মুচকি হাসি দিয়ে মোহনা রুমে চলে যেতে ধরলো।

সাগর তখন মোহনার হাত টেনে ধরে বললো, কি ভাবছো আমিও তোমার পিছু পিছু যাবো?
মোটেও না।
আমি বাহিরেই দাঁড়িয়ে থাকবো।
তোমার প্রতি আমার কোন ইন্টারেস্ট নাই।
মোহনা তখন বললো,
একদিনেই অরুচি এসে গেলো???
ওকে দেখা যাক।
কতক্ষন এভাবে থাকতে পারেন?

সাগর তাই বাহিরেই দাঁড়িয়ে থাকলো।
আর তার রুমের দিকে বার বার দেখতে লাগলো।
কিন্তু এভাবে আর কতক্ষন দাঁড়িয়ে থাকা যায়?
হঠাৎ সেখানে তার দাদু এলো।
কি ব্যাপার সাগর?
এখানে কি করছিস?
সাগর বললো এমনি দাঁড়িয়ে আছি।
–এমনি আবার কেউ দাঁড়িয়ে থাকে নাকি?
বউমা কই?
–ঘরে আছে।
–তাহলে তুই এখানে একা একা দাঁড়িয়ে থেকে কি করছিস?
ঘরে যা।
মোহনাকে সময় দে।
ওর সাথে কথা বলে ফ্রি হয়ে নে।
নতুন বাড়িতে এসেছে ওর নিশ্চয় বাবা মার কথা ভীষণ মনে পড়ছে।
সাগর তখন বললো দূর দাদু।
ও তো আনন্দেই আছে।
কারো কথা মনে পড়ছে না ওর।
তাছাড়া আজকেই তো ওকে নিতে আসবে?
সাগরের দাদু তখন চোখ রাঙ্গিয়ে বললো যা করতে বলছি তাই কর।
মুখে মুখে এতো তর্ক করছিস কেনো?

সাগর তাই আর বাহিরে না থেকে নিজের রুমেই গেলো।

মোহনা সাগর কে দেখে হেসে উঠলো।
আর বললো আবার রুমে আসলেন যে?
তখন তো বললেন আর আসবেন না।
আমি জানি আপনি ঠিক আসবেন।
আমাকে না দেখে থাকতেই পারবেন না।
সাগর তখন বললো,
তুমি মনে হয় ভুলে গেছো এটা আমার রুম।
তাই আমার রুমে আমি কখন আসবো আর কখন যাবো সেটা সম্পূর্ণ আমার নিজস্ব ব্যাপার।
আর তোমার ধারনা সম্পূর্ণ ভুল।
আমি তোমাকে দেখার জন্য রুমে আসি নি।
এই বলে সাগর একটা বই হাতে নিয়ে বিছানায় গিয়ে চুপচাপ শুয়ে পড়লো।
মোহনা তাই আর কথা না বাড়িয়ে নিজের কাজ করতে লাগলো।

সাগর মোহনার মুখ দেখবে না দেখে অন্য পাশ হয়ে বই পড়তে লাগলো।
কিছুক্ষন পর সাগর মনে মনে ভাবলো,
মেয়েটার কোন সাড়াশব্দ নাই কেনো?
কোন কথাও বলছে না।
তাকে বিরক্তও করছে না।
রুমে নাই নাকি?
তাই সাগর পিছন ফিরে তাকালো।

সাগর এই পাশ হতেই দেখে মোহনা অন্য মুখ হয়ে কাপড় পড়ছে।
পরনে শুধু ব্লাউজ আর পেডিকোট।
কিন্তু চুল খোলা থাকার কারনে সেগুলো বার বার উড়ে উড়ে তার মুখে পড়ছে।
তাই মোহনা একটা ব্যান্ড দিয়ে মাথা টা আগে বেঁধে নিলো।
চুল বাঁধার ফলে মোহনার ঘাড় আর কোমর স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে।

সাগর কিছু না বুঝে হঠাৎ বইটা তার বিছানায় রেখে মোহনার কাছে চলে গেলো।
আর তার এক হাত কোমরে আর অন্য হাত ঘাড়ে দিলো।
মোহনা চমকে উঠে পিছন ফিরে তাকালো।
আর বললো কি???
এভাবে শরীরে হাত দিচ্ছেন কেনো?
তাছাড়া আপনি এখানে কেনো?
আপনাকে না বই হাতে নিয়ে পড়তে দেখলাম।
সাগর সাথে সাথে তার হাত সরিয়ে নিলো।
সাগর কি বলবে বুঝে উঠতে পারলো না।
সে হা করে তাকিয়ে রইলো।

মোহনা তখন বললো যখন এখানে এসেছেন।
তাহলে আমাকে একটু সাহায্য করেন।
সাগর কোন উত্তর দিলো না।
মোহনা সাগরের গায়ে ধাক্কা দিয়ে বললো কি হলো?
আমি কিছু জিজ্ঞেস করছি?
সাগর চমকে উঠে বললো কি বললে তুমি?
শুনতে পাই নি।

–আমার কুঁচি গুলো একটু ঠিক করে দিবেন?
আমি শাড়ি পড়তে পারছি না।

সাগর তখন বললো সামিরা কে ডাক দাও।
এসব আমার কাজ না।

মোহনা তখন শাড়ির কুঁচি গুলো সাগরের হাতে দিয়ে বললো আপনি থাকতে অন্য জনকে ডাকতে যাবো কেনো?
আপনিই ঠিক করে দিবেন।
আজ থেকে এটা আপনার কাজ।
বুঝেছেন?
সাগর কুঁচি গুলো হাতে ধরে আছে ঠিকই কিন্তু তাকিয়ে আছে মোহনার দিকে।
সাদা শরীরে খয়েরী কালারের পেডিকোড আর ছায়ায় অন্য রকম সুন্দরী লাগছিলো তাকে।
এইরকম যে সে মোহনাকে দেখবে ভাবতেই পারছে না।
হঠাৎ সাগর শাড়ির কুঁচি গুলো মেঝেতে ফেলে দিলো।
আর মোহনা যেটুকু শাড়ি পেডিকোড এ গুজিয়েছিলো সেগুলোও এক টানে খুলে ফেললো।
মোহনা তো চেঁচামেচি করতে লাগলো।
এই কি করছেন?
কত কাহিনী করে এই টুকু পড়লাম আর আপনি সেটা খুললেন?
কই সাহায্য করবেন?
তা না করে উলটা আমার কাজের ক্ষতি করছেন?
আপনি যান তো?
আপনাকে কোন সাহায্য করতে হবে না।

সাগর তখন মোহনার ঠোঁটে হাত দিয়ে বললো চুপ,,,,,,,,,
কোন কথা বলবে না।
শাড়ি আর পড়তে হবে না।
মোহনা সেই কথা শুনে সাগরের হাত সরিয়ে দিলো।
আর বললো,
আপনার মা যে বললো জামা চেঞ্জ করে শাড়ি পড়ে নিতে।
নতুন বউ দের নাকি শাড়িতেই ভালো মানায়।
সাগর তখন বললো শাড়ি পড়তে নিষেধ করি নি?
অবশ্যয় শাড়ি পড়বে কিন্তু এখন না।
–এখন তাহলে কি পড়বো?
এইভাবেই থাকবো?

সাগর কোন উত্তর না দিয়ে মোহনার কোমরে হাত দিয়ে বোলাতে লাগলো।
আর তার গলা আর ঘাড়ে মুখ ডুবিয়ে দিলো।

মোহনার ভীষণ সুরসুরি লাগছিলো।
সে সাগরের হাত দুটি ধরে বললো
–এই?
কি করছেন?
সাগর সেই কথা শুনে তার মাথাটা উপরে ওঠালো।
আর চোখ বড় বড় করে তাকালো।
মোহনা সাগরের রাগান্বিত চেহারা দেখে ভয় পেয়ে গেলো।
তাই সে বললো,না না।
কিছু না।
সেই কথা শুনে সাগর মোহনাকে এক ঝাটকায় কোলে তুলে নিলো।
মোহনা তখন আস্তে আস্তে বললো শুধু একটা কথা শুনুন।
দরজা টা কিন্তু খোলা আছে।
আগে ওটা লাগিয়ে দিয়ে আসুন।
তা না হলে কেউ আসলে তখন কিন্তু মুখ লুকানোর জায়গা খুঁজে পাবেন না।

সাগর সেই কথা শুনে বললো,
দূর,,,,,,,,
মুডটাই নষ্ট করে দিলে?
এই বলে সে মোহনাকে কোল থেকে ফেলে দিলো।
আর বললো, দরজা খোলা রেখেই কাপড় পড়ছিলে?
যদি কেউ রুমে আসতো কি হতো তখন।

মোহনা তখন বললো তাই বলে আপনি এভাবে ফেলে দিবেন?
ব্যাথা পেলাম তো?
ইসঃ
আর আপনার এতো রাগ কেনো?
কথায় কথায় রাগ করেন।
ভাবতেও অবাক লাগছে আপনি একসময় আমার ক্রাশ ছিলেন।
আপনার জন্য আমি কত টা পাগল ছিলাম।
সাগর সে কথা শুনে হাসতে হাসতে বললো একসময় মানে?
এখন না?
মোহনা তখন বললো আগে আমাকে ওঠান।
তারপর বলছি।
সাগর সে কথা শুনে তার হাত বাড়িয়ে দিলো আর বললো ধরো আমার হাত।
মোহনা সাগরের হাত ধরে উঠে পড়লো।
তারপর বললো এখন আপনি আমার ক্রাশ নন।
এখন আমি আপনার ক্রাশ।
কারন এখন আপনি আমার পিছু পিছু ঘোরেন।
আমি না।
বুঝেছেন?

তখন সাগর বললো,
কি বললে তুমি?
আরেকবার বলো?
মোহনা কোন উত্তর না দিয়ে শাড়িটা আবার পড়া শুরু করলো।
সাগর মোহনার হাত থেকে শাড়ি টা কেড়ে নিলো।
আর বললো,
আমি তোমার পিছু মোটেও ঘুরছি না।
বরং তুমি আমাকে ফাঁদে ফেলছো।
এইভাবে সেই তখন থেকে ড্রেস ছাড়াই আমার সামনে দিয়ে ঘুরছো।
আবার আমাকে শাড়ি পড়াতে বলছো।
যাতে আমি তোমার প্রতি আকৃষ্ট হই।
মোহনা তখন বললো,
আপনিও এইভাবেই আমার সামনে দিয়ে ঘুরুন।
দেখি আমি আকৃষ্ট হয়ে যাই নাকি?
সাগর তখন মোহনার মোহনার হাত দুটি টেনে ধরে তাকে অনবরত কিস করতে লাগলো।
আর এক হাত দিয়ে মোহনার পুরো শরীরে টাচ করতে লাগলো।
মুহুর্তের মধ্যে মোহনা মাতালের মতো হয়ে গেলো।
তার শ্বাস ঘন হতে লাগলো।
সাগর তখন মোহনাকে ছেড়ে দিলো।
আর একটু দূরে সরে গেলো।

মোহনা কিছু না বুঝে দৌঁড়ে সাগরের কাছে ছুটে গেলো আর তার পায়ের উপর দাঁড়িয়ে উঁচু হয়ে নিজেই সাগরের ঠোঁটে তার ঠোঁট ডুবালো।
আর অন্য হাত দিয়ে সাগরের চুল গুলো শক্ত করে ধরে থাকলো।
সাগর নিজেকে আর সামলাতে পারলো না।
কিছুক্ষনের জন্য দুইজনই হারিয়ে গেলো কোন এক অজানা দেশে।
কোন এক সুখে মাতোয়ারা দুজনই।
তলিয়ে যাচ্ছে প্রেমের অতল গহরে।

কিছুক্ষন পর,,,,,,,,,,,
মোহনা সাগর কে ডাকতে লাগলো।
আর দরজার দিকে হাত দিয়ে ইশারা করলো।
সাগর দরজার দিকে তাকিয়ে হাসতে লাগলো।
সেই থেকে দরজা টা খোলাই ছিলো।
মোহনা সাগর কে এভাবে হাসতে দেখে তার মাথায় একটা চড় দিলো।
আর বললো,
তুমি হাসছো?
যদি কেউ এসে পড়তো কি হতো তখন?
সাগর তখন বললো এমনও তো হতে পারে যে কেউ এসেছিলো আর আমাদের কে দেখে চলে গেছে?
মোহনা সেই কথা শুনে বললো কি বলছেন এসব?
এখন আমি সবার সামনে কি করে যাবো?
সাগর তখন মোহনাকে জড়িয়ে ধরে বললো,
দূর মেয়ে শুধু শুধু ভয় পাচ্ছো।
কেউ আসে নি।
আমি খেয়াল করেছি।
মোহনা সেই কথা শুনে বললো পরবর্তীতে খবরদার এইরকম কাজ করবেন না।
আপনার লজ্জা শরম না থাকতে পারে আমার কিন্তু আছে।
সাগর তখন বললো ওকে।
আর ভুল হবে না।

এদিকে বাড়ির সবাই সামিরা কে খুঁজছে।
মেয়েটা সকাল থেকে কই যে উধাও হলো?
সাগরের মা সামিরার রুমে গিয়ে দেখে সে শুয়ে আছে।
তা দেখে তার মা বললো,
অসময়ে শুয়ে আছিস যে?
সামিরা তখন বললো এমনি শুয়ে আছি।
হঠাৎ সামিরা তার মাকে জিজ্ঞেস করলো মা ভাবী কই?
তার মা বললো কেনো?
কি হইছে?
সামিরা বললো কিছু না এমনি জিজ্ঞেস করছি।
সাগরের মা তখন বললো হয় তো রুমেই আছে।
সাগর কেও কেনো জানি দেখছি না।
একটু ডেকে আন তো মোহনাকে।
সামিরা সে কথা শুনে বললো আমি যেতে পারবো না।
তুমি যাও।

হঠাৎ রুমে মোহনা আসলো।
সে এসেই বললো কি ব্যাপার সামিরা?
তোমাকে সেই সকাল থেকে দেখছি না।
ঘরের মধ্যে একা একা বসে কি করো?
সাগরের মা মোহনাকে দেখে বললো,
তুমি এসেছো?
আমি আরো সামিরাকে তোমাকে ডাকার জন্য পাঠাচ্ছিলাম।
মোহনা বললো কেনো মা?
কি হয়েছে?
মোহনার শাশুড়ী বললো তোমাদের বাড়ি থেকে কে কে আসবে শুনেছো তুমি?
মোহনা বললো না মা শুনি নি।
দাঁড়ান ফোন করে জেনে নিচ্ছি।
এই বলে মোহনা রুমে চলে গেলো।

সাগর কার সাথে যেনো ফোনে কথা বলছে।
মোহনা তখন সাগর কে বললো আপনার কথা বলে শেষ হলে আমাকে ফোন টা দিবেন।

সাগর সেই কথা শুনে মোহনার হাত ধরে টেনে তার বুকের উপর আনলো।
আর বললো আমি তো তোমার সামনেই আছি।
তাহলে আর কার সাথে কথা বলবে?
মোহনা সেই কথা শুনে বললো আপনি এতো দুষ্টু আমি ভাবতেও পারছি না।
আপনি ছাড়া কি আমার আর কেউ থাকতে পারে না?
বাবার সাথে কথা বলবো।
সাগর সেই কথা শুনে ফোনটা কেটে দিয়ে মোহনার হাতে দিলো।
মোহনা ফোন নিয়ে কথা বলতে লাগলো।
আর রুমের মধ্যে হাঁটতে লাগলো।

হঠাৎ মোহনা চমকে উঠলো।
কারন সাগর তাকে হঠাৎ করে পিছন দিক দিয়ে জড়িয়ে ধরেছে।
মোহনা সাগর কে কিছু বলতেও পারছে না।
এদিকে সাগর তাকে অনবরত কিস করতেই আছে।
মোহনা তার বাবার সাথে দুই একটা কথা বলে ফোন রেখে দিলো।
আর ফোন রেখে দিয়েই সাগর কে জোরে করে এক ধমক দিলো।
কি করতেছেন আপনি?
দেখতে পাচ্ছেন না ফোনে কথা বলছি?
আপনার জন্য কি শান্তিতে ফোনেও কথা বলতে পারবো না?
সাগর তখন বললো এভাবে বকছো কেনো?
বউ কে আবার আদর করতে ইচ্ছে করছিলো সেজন্য,,,,,,,,
মোহনা সেই কথা শুনে সাগর এর থেকে দূরে সরে গেলো।
আর বললো আমার কাছে আর আসবেন না।
সবসময় পাগলামি তাই না?
আপনার মা আমাকে ডাকছে।
আর আপনি কি বলছেন এসব?
এই বলে মোহনা চলে যেতে ধরলো।
সাগর তখন বললো এই কই যাচ্ছো?
শুনে যাও?
পালাচ্ছো কেনো?

মোহনা হাসতে হাসতে রুম থেকে বের হয়ে গেলো।
আর মনে মনে ভাবতে লাগলো এই ছেলেটা আসলেই পাগল।
সারাক্ষন এতো দুষ্টামি করে?????
মোহনাকে হাসতে দেখে সামিরা বললো,
ভাবি ব্যাপার কি?
একা একা হাসছো যে?
–কিছু না।
সামিরা তখন বললো আমার সত্যি বিশ্বাস হচ্ছে না তোমার আর ভাইয়ার মধ্যে সব কিছু ঠিকঠাক ভাবেই চলছে।
মোহনা তখন বললো কি ঠিকঠাক ভাবে চলছে?
বুঝি নি?
সামিরা তখন বললো তোমাকে বুঝতে হবে না।
আমি বুঝলেই হবে।
শুধু একটা কথা বলো ভাইয়া কি করে এতো পরিবর্তন হলো?
কেমনে সম্ভব হলো এটা?
মোহনা তখন সামিরার গলা ধরে বললো আমার আদরের ননদিনী কে এবার সুন্দর একটা ছেলের গলায় ঝুলিয়ে দেওয়ার সময় এসে গেছে?
তাহলেই সব বুঝতে পারবে।
সামিরা বললো কি বলছো এসব?
আমি কখন বিয়ে করতে চাইলাম?
করবো না বিয়ে আমি।
আর আমার কিছু বুঝতেও হবে না।
এই বলে সামিরা সেখান থেকে চলে গেলো।

চলবে,,,,,
পরবর্তী পর্ব পড়তে চাইলে অবশ্যয় লাইক কমেন্ট করতে হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here