ক্রাশ পর্ব -১২

#ক্রাশ
#পর্ব_১২
#মুমতাহিনা_জান্নাত_মৌ
বিকালবেলা মোহনাকে নেওয়ার জন্য তার ভাই আর ভাবী আসলো।
মোহনাকে সেজন্য আর দেখাই যাচ্ছে না।
ভাই আর ভাবীকে সময় দিচ্ছে সে।
সাগর তাদের সাথে কিছুক্ষন কথা বলে তার রুমে চলে এসেছে।
কিন্তু মোহনা সেই থেকে তাদের সাথে গল্প করেই যাচ্ছে।
কি যে গল্প করছে কে জানে?
তার সম্পর্কে যে কি কি বলছে?
সাগর সেজন্য টেনশনের মধ্যে আছে।

কিছুক্ষন পর মোহনা রুমে আসলো।
তাকে আজ অনেক খুশি খুশি লাগছে।
সাগর মোহনাকে আসা দেখে বললো,
কি দরকার ছিলো রুমে আসার?
ওখানে থাকতেই পারতে।
মোহনা সেকথা শুনে সাগরের কাছে এগিয়ে গেলো,
আর বললো ওখানে থাকবো মানে?
আমি রুমে আসবো না?
তাছাড়া ভাই ভাবী এসেছে বুঝতেই তো পারছো কেমন এক্সসাইটেড আমি!!!!!

সাগর সেকথা শুনে বললো মাত্র একদিন না দেখেই এতো এক্সসাইটেড!!!
না জানি এক মাস পর দেখা হলে আর কি কি করতে?
মোহনা সেই কথা শুনে বললো,
এই শোনো?????
উল্টাপাল্টা কথা বলে আমার মুড টা নষ্ট করে দিবেনা।
তুমি এসবের কি বুঝবে???
ফ্যামিলির লোক কে ছেড়ে অন্য এক অচেনা জায়গায় অচেনা মানুষ দের সাথে থাকতে কেমন লাগে????
নিজেকে তো কাউকে ছাড়তে হয় নি?

সাগর সেকথা শুনে মোহনাকে জড়িয়ে ধরে বললো,
সেটাই তো।
মেয়েদের কে এভাবে অনেক কিছু ত্যাগ স্বীকার করতে হয়।

কিন্তু তার আগে বলো অচেনা মানুষ কাকে বললে?
আমি তোমার কোন দিক দিয়ে অচেনা হলাম?
মোহনা বললো,
অচেনা নয় তো কি?
তোমার সাথে কি আমার আগে থেকে কোন সম্পর্ক ছিলো?
তুমি কেমন সেটাও তো জানতাম না।
শুধুমাত্র তোমাকে অনেক আগে থেকে পছন্দ করতাম।
কিন্তু তোমার ব্যবহার কেমন হবে?
তুমি মানুষ টা কেমন?
আমাকে ভালোবাসবে না ঘৃণা করবে কিছুই তো জানতাম না।
সাগর সে কথা শুনে মোহনাকে একেবারে তার কাছে টেনে নিলো।
তার চোখে চোখ রেখে বললো,
এখনো বোঝ নি আমি কেমন ছেলে?
মোহনা তখন সাগর কে দূরে সরে দিলো।
আর বললো তোমার মতলব ভালো মনে হচ্ছে না।
আমি বলতে পারবো না কিছু।
সাগর সে কথা শুনে মোহনাকে আবার কাছে টেনে নিলো।
আর বললো,
অন্তত এটা বলো যে আমি ঠিকভাবে ভালোবাসতে পারছি কিনা?
ঠিকভাবে আদর করতে পারছি কিনা?
মোহনা তখন বললো,
ওসব বাদ দাও তো এখন।
সাগর তখন বললো বাদ দিবো মানে?

মোহনা তখন বললো,
আচ্ছা সত্যি করে একটা কথা বলো তো?
সেদিন যে তোমার আর সামিরার সাথে আমার বাসে দেখা হয়েছিলো সেটা কি কাকতলীয় ভাবে হয়েছে?
আবার তোমরা যে আমাকে বিয়ের জন্য দেখতে গেলে সে সম্পর্কেও তো কিছু বললে না।
সাগর তখন বললো সময়ই তো পাচ্ছি না।
মোহনা মুখ ভেংচিয়ে বললো,
সময় পাবে কি করে?
সারাক্ষণ তো দুষ্টামি করেই পার করে দাও।
কখন শুনাবে তোমার প্রেমের কাহিনী!!!

তুমি কি জানো?
যদি আমাকে সেদিন তোমরা দেখতে না যেতে মনে হয় না কখনো আর দেখা হতো তোমার সাথে?
আমি তো তোমাকে ভুলেই গিয়েছিলাম।
কিন্তু সেদিন হঠাৎ করে বাসের মধ্যে দেখা হওয়াতে পুরাতন প্রেম কিছুটা আলগা হলেও নিজেকে সামলে নিয়েছিলাম।
সাগর কোন কথা বলছে না।
সে চুপ করে আছে।

তখন মোহনা বললো,
কি হলো?
কিছু বলছো না কেনো?
অন্তত এটা বলো কিভাবে আমাদের বিয়ে হলো?

সাগর তখন বললো তার আগে বলো তুমি যে সেই থেকে আমাকে তুমি তুমি করে বলছো সে খেয়াল করেছো?
এভাবে একদিনেই আপনি থেকে তুমি তে আসলে?
মোহনা তখন বললো তো কি হইছে?
আজ থেকে আমি তুমি করেই বলবো।
সাগর তখন বললো না না।
এখনি না।
আর কিছুদিন যাক।
তবে আমি যখন রুমে একাই থাকবো তখন যা মন চায় বলতে পারো।
তুই ও বলতে পারো।
কিন্তু আমার পরিবারের সামনে কিছুতেই তুমি করে ডাকবে না।
আমাকে সম্মান দিয়ে কথা বলবে।
দেখো নি মা এখনো বাবা কে আপনি বলে ডাকে।
আবার দাদীও দাদুকে এখনো আপনি আপনি করে সম্বোধন করে।
মোহনা তখন বললো,
এটা আবার কিসের নিয়ম?
যার যেটা মন চাইবে সেইভাবেই সম্বোধন করবে।
এখানে আবার কিসের বাধাধরা নিয়ম।
সাগর তখন মোহনাকে বললো,
আমাদের পরিবারের বউ রা অনেক নম্র ভদ্র হয়।
তারা উঁচু গলায় কথা বলে না।
আর স্বামীর সাথে তো নয় ই।
এইজন্য আমাদের পরিবারে লাভ ম্যারেজ allow না।
কারন সবার ধারনা love marriage করে বিয়ে হলে সেই বউ আগে থেকেই চালু থাকে।
স্বামীকে তারা ভয় করে না।
স্বামীর কোন কথা শোনে না।
নিজেদের পছন্দ মতো চলাফেরা করে।
মোহনা তখন বললো বুঝলাম।
সবই বুঝলাম।

কিন্তু তুমি আসল কথাটা আবার এড়িয়ে যাচ্ছো।
আমাদের বাড়িতে তোমাদের ফ্যামিলি কি করে প্রস্তাব দিলো?
এই কাহিনী টা প্লিজ বলো।

সাগর তখন বললো এখন কি গল্প করার সময়?
ফ্রী টাইমে বলবো।
এখন একটু আদর করতে ইচ্ছা করতেছে।
এই বলে সাগর মোহনাকে জড়িয়ে ধরলো।
মোহনা তখন বললো এখন যেমন গল্প করার সময় নয়,তেমনি তোমার এসব পাগলামো করার সময় ও নয়।
আমাকে রেডি হতে হবে।
তোমার গল্প আর জীবনেও শুনতে চাইবো না।
ভাই ভাবী অপেক্ষা করছে আমার জন্য।

সাগর তখন বললো শুধু তুমি একাই রেডি হবে?
আমি রেডি হবো না?

মোহনা তখন রাগ করে বললো সেটা তোমার ইচ্ছা।
যদি আমার সাথে আমার বাড়ি যেতে চাও তাহলে রেডি হও।
আর যদি মনে করো যাবে না।
তাহলে রেডি হওয়ার কোন দরকার নাই।

সাগর সেকথা শুনে মোহনার হাত থেকে কাপড় টা কেড়ে নিলো আর বললো,
কি বললে তুমি?
আমাকে রেখে যেতে পারবে তুমি?
আমি না গেলেও চলবে তোমার?
ওকে যাবো না।
দেখি তুমি একা কি করে যাও?
তোমাকে একা কে যেতে দেয়?

মোহনা তখন বললো চ্যালেঞ্জ ধরছো আমার সাথে?
আমি একা যেতে পারবো না?
সাগর সেকথা শুনে বললো আমার মা আর দাদী জীবনেও তোমাকে একা একা পাঠাবেন না।
আমাকে সাথে করেই নিয়ে যেতে হবে।
মোহনা তখন বললো ওকে।
দেখা যাক।
এই বলে মোহনা রেডি হতে লাগলো।
আর সাগর বিছানায় শুয়েই থাকলো।

সাগর বিছানায় শুয়ে থেকেই মোহনার রেডি হওয়া দেখতে লাগলো।
তাই মোহনা কাপড় নিয়ে অন্য রুমে যেতে ধরলো।
সাগর তখন বললো কই যাচ্ছো?
এই রুমেই চেঞ্জ করো।
আরেকবার একটু দেখি।
আজ যেহেতু আমাকে রেখেই চলে যাবে।
কোনদিন দেখা হবে কে জানে???
এই বলে সাগর হাসতে লাগলো।

মোহনা সেই কথা শুনে সাগরের কাছে এগিয়ে এলো।
আর বললো,
তুমি কি ভাবছো আমি একা যেতে পারবো না?
সেই জন্য মজা করে হাসছো?

সাগর তখন মোহনার মাথাটা টেনে এনে মোহনার ঠোঁটে একটা কিস করলো।
আর বললো এটা কখনোই সম্ভব না।
চ্যালেঞ্জ করলাম।
মোহনা সে কথা শুনে রুম থেকে বের হয়ে গেলো।

মোহনা সামিরার রুমে গেলো।
আর সামিরাকে বললো তাকে একটু হেল্প করতে।
সামিরা মোহনা কে রেডি হতে সাহায্য করছে।
হঠাৎ মোহনা বললো,
আচ্ছা সামিরা আজ যদি আমি একাই আমাদের বাড়ি যাই মা আর দাদী কি রাগ করবে?
সামিরা তখন হাসতে হাসতে বললো,
কেনো কি হইছে?
হঠাৎ করে এ প্রশ্ন?
ভাইয়ার সাথে ঝগড়া করছো নাকি?
মোহনা তখন বললো না,না।
কিসের ঝগড়া?
তোমার ভাই নাকি আমার সাথে আমাদের বাড়ি আজ যাবে না।
তাই বললাম।
সামিরা তখন বললো,
তুমি ওকে নিয়ে চিন্তা করো না ভাবী।
ওকে যেতেই হবে।
ও যেতে না চাইলেও মা আর দাদী ওকে জোর করেই পাঠিয়ে দেবে।
যেমন করে জোর করে বিয়ে দিয়ে দিলো।

তখন মোহনা বললো আমি তো নিজেও চাই উনি যাতে আমার সাথে না যায়।
প্লিজ একটা বুদ্ধি বের করো।
সামিরা তখন বললো,
ব্যাপার কি ভাবী?
কেনো ভাইয়াকে সাথে নিয়ে যেতে চাচ্ছো না?
মোহনা তখন বললো কাউকে বলবে না বুঝেছো?
আমি তোমার ভাই এর সাথে চ্যালেঞ্জ করেছি যে আমি আজ একাই বাড়ি চলে যাবো।
কিন্তু উনি আমার কথার কোন গুরুত্বই দিলেন না।
উলটো হাসতে হাসতে শেষ হয়ে যাচ্ছেন।
বলছেন এটা নাকি সম্ভব না।
আমাকে নাকি ওনাকে সাথে করে নিয়ে যেতেই হবে।
সামিরা তখন বললো,
আমি তো কিছুই বুঝতে পারছি না।
তাছাড়া তুমি কেমন বউ?
বর কে রেখেই বাবার বাড়ি যেতে চাচ্ছো?
তোমার খারাপ লাগবে না?
মোহনা তখন বললো দূর মেয়ে??
কই একটু বুদ্ধি দেবে??
তা না করে ইমোশনাল কথাবার্তা বলে দূর্বল করে দিচ্ছো।
সামিরা তখন চিৎকার করে বলে উঠলো তার মানে তুমিও ভাইয়াকে মিস করবে?
তাহলে কেনো এ ধরনের চ্যালেঞ্জ নিয়েছো?
বাদ দাও এসব চ্যালেঞ্জ।
দুইজন একসাথে সারাক্ষণ গল্প করবে।
কত রোমান্টিক কথাবার্তা বলবে!!!
দুইজনের মধ্যে অনেক ভালোবাসার সৃষ্টি হবে।
দুইজন দুইজনার কত কাছে!!

মোহনা সে কথা শুনে বললো থাক সামিরা।
তোমাকে আর এ বিষয় নিয়ে ভাবতে হবে না।
আর অতো গভীরে যাওয়ার কোন দরকার নাই।
এই বলে মোহনা বাহিরে চলে গেলো।

মোহনাকে রেডি হওয়া দেখে তার ভাবী বললো,
এই তো তুই রেডি হয়েছিস?
সাগর কই?
ও রেডি হইছে?
মোহনা তখন বললো ভাবী ও নাকি আজ যেতে পারবে না।
তবে কাল যাবে।
মোহনার ভাবী সে কথা শুনে বললো কেউ তো এ ব্যাপারে কিছু বলে নি আমাদের।
তাহলে আমরা কালকে আসতাম।
মোহনা তখন বললো তো কি হইছে?
আমরা আজ যাই।
ও না হয় কাল যাবে।
ভাবী সেই কথা শুনে বললো,
পাগল হইছিস তুই?
তুই যাবি আর সাগর এখানে থাকবে?
সেটা কি করে হয়?
এই বলে মোহনার ভাবী সাগরের মায়ের কাছে যেতে ধরলো।
মোহনা তখন বললো ভাবী থাক ওনাদের কিছু বলতে হবে না।
মোহনার ভাবী তখন বললো বলতে হবে না মানে?
এই বলে তিনি সাগরের মা কে কথা টা বললেন।

সাগরের মা শোনার সাথে সাথে সাগরের রুমে গেলো।
সাগরের মায়ের পিছু পিছু মোহনা আর তার ভাবীও গেলো।
মোহনার ভীষণ ভয় লাগছে।
সে কেনো যে এসব বলতে গেলো?
সাগর আবার তার দোষ দিবে না তো?
তখন কি হবে তার?

সাগরের মা সাগর কে বললো,
কি হয়েছে সাগর?
তুই নাকি আজ মোহনাদের বাড়ি যাবি না।
সাগর তখন বললো,
মা শরীর টা ভালো লাগছে না তাই যেতে ইচ্ছে করছে না।
তখন সাগরের মা বললো,
তুই কি ওখানে গিয়ে কাজ করবি?
তাই ভয় পাচ্ছিস?
ওখানে গিয়েও তো শুধু ঘরের মধ্যে শুয়ে থাকবি।
সাগর তখন বললো আমাকে যেতেই হবে?
আমি না গেলে হয় না?
তাছাড়া মোহনা তো যাচ্ছেই।
ও গেলেই হবে।
সাগরের মা তখন বললো জীবনেও এটা শুনি নি আর দেখিও নি যে বিয়ের পরের দিন বউ একাই বাবার বাড়ি চলে যায়।

সেই কথা শুনে মোহনার ভাবী বললো আচ্ছা ঠিক আছে সাগর।
তোমার যখন আজ যেতে ইচ্ছে করছে না তাহলে যেও না।
যেদিন ভালো লাগবে সেদিন যেও।

মোহনা সে কথা শুনে হেসে উঠলো।
তার মানে সে একাই যাচ্ছে।

কিন্তু কিছুক্ষন পরে মোহনার ভাবী বললো,
মোহনা তাহলে তুই আর একা গিয়ে কি করবি?
সাগর যেদিন যেতে চাইবে সেদিন দুইজনে একসাথে যাস।
আজ তাহলে আমরা যাই।

সেই কথা শুনে সাগর মিটিমিটি করে হাসতে লাগলো।
কিন্তু মোহনার ভীষণ রাগ হলো।
সে মন খারাপ করে থাকলো।
তখন সাগরের মা বললো,
না এটা খুব খারাপ দেখাবে।
কারন আজকে আপনারা যেহেতু মোহনাকে নিতে এসেছেন তাই মোহনা আজকেই যাবে।
ও যদি আজকে বাড়ি না যায় তাহলে ওর খুব খারাপ লাগবে।
কত আশা করে রেডি হয়েছে।
মোহনা সে কথা শুনে বললো, একদম ঠিক বলেছেন মা।
আমি তাহলে একাই যাই।
ওনার যেহেতু যেতে ইচ্ছে করছে না সেহেতু ওনাকে জোর করে পাঠানোর কি দরকার?
কাল না হয় যাবে।
কোন সমস্যা নাই।
সবাই মোহনার কথা শুনে হা করে তার দিকে তাকিয়ে রইলো।
কথাটা কি সহজেই বলে দিলো মোহনা।

সাগরের মা সে কথা শুনে বললো,
তুমি একা যাবে কেনো?
সাগরও যাবে?
তাই তিনি সাগর কে বললেন তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে নে।
আর যদি না না করছিস তাহলে কিন্তু রেগে যাবো আমি।
আর তোর বাবাকে বলে দিবো।
যা তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে নে।
সাগর তাই আর না করলো না।
তার মাকে বললো ঠিক আছে মা।
আমি রেডি হয়ে নিচ্ছি।
সবাই সে কথা শুনে রুম থেকে চলে গেলো।

হঠাৎ মোহনার ভাবী মোহনাকে ডেকে অন্য জায়গায় নিয়ে গেলো।
আর বললো,
মোহনা সব ঠিক আছে তো?
সাগর এর কথাবার্তা শুনে কেমন যেনো সন্দেহ লাগছে!!!
তোদের মধ্যকার সম্পর্ক কেমন?
যেহেতু মোহনা চ্যালেঞ্জ টাই জিততে পারে নি তাই ওর ভীষণ মন খারাপ।
তবুও সে হাসতে হাসতে বললো তুমি আবার কি ভাবছো?
ভয় পাওয়ার কোন কারন নেই।
উনি যথেষ্ট ভালো ছেলে।

মোহনার ভাবী তখন বললো,
আমি ভাবলাম তোদের সম্পর্ক মনে হয় ঠিক নেই।
তা না হলে বউ কে একা একা বাবার বাড়ি যেতে বলে?
এ কেমন বর?
আমাদের বিয়ের এতো বছর হলো তবুও তোর ভাই এক দিনের জন্য বাবার বাড়ি একা একা থাকতে দেয় না।
আর মাত্র এক দিন বিয়ে হইছে তাতেই সাগর তোকে একা একা বাড়ি যেতে বলছে???

মোহনা সে কথা শুনে বললো আমার ভাই এর মতো সবাই এতো রোমান্টিক নাকি???
আমার ভাই তোমাকে একটু বেশিই ভালোবাসে।
তাই চোখের আড়াল করতে চায় না।
মোহনার ভাবী তখন বললো,
সাগর ছেলে হিসেবে কেমন রে?
একদম মন থেকে বলবি কিন্তু।
একটা কথাও লুকাবি না আমার কাছে।
মোহনা একটা মুচকি হাসি দিয়ে বললো জানি না আমি।
আমি বলতে পারবো না।
এই বলে মোহনা নিচ মুখ হলো।
ভাবীর এমন প্রশ্ন শুনে তার ভীষণ লজ্জা করছে।

তখন মোহনার ভাবী মোহনার মুখ টা উপরে তুললো।
আর বললো মুখের হাসি থেকে মনে হচ্ছে ভালোই আছে।
তবে ১০০ এর মধ্যে কত দিবি তাকে?
মোহনা সেই কথা শুনে বললো দূর ভাবী বাদ দাও তো ওর কথা।
মোহনার ভাবী তখন বললো বাদ দিবো মানে?
তোকে বলতেই হবে আজ।
তা না হলে যাওয়া নেই কোথাও।
মোহনা সে কথা শুনে বললো ১০০.
এটা বলেই সে দৌড়ে তার রুমে চলে গেলো।

মোহনার ভাবী মোহনার কথা বিশ্বাসই করতে পারছে না।
মোহনা এটা কি বলে গেলো?
মাত্র এক দিনের পরিচয়ে ১০০ নাম্বার দিয়ে দিলো!!!
এক দিনেই তার আচার আচরণ ভালো মন্দ সব বুঝে ফেললো!!!

চলবে,,,,,
পরবর্তী পর্ব পড়তে চাইলে অবশ্যয় লাইক কমেন্ট করতে হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here