ক্রাশ পর্ব -১৩

#ক্রাশ
#পর্ব_১৩
#মুমতাহিনা_জান্নাত_মৌ
কি যাদু করেছো আমার ননদিনী কে???
একদিনেই ক্রাশ খেয়ে গেছে!!!!
একদম পুরো ১০০ তে ১০০.
ব্যাপার কি?
বাহিরের চেহারা দেখে তো এতো কিছু বোঝা যায় না।
নিশ্চয় তোমার এই সহজ সরল চেহারার আড়ালে অন্য আরেকজন লুকিয়ে আছে।
ভাবীর কথা সাগর কিছুই বুঝতে পারলো না।
সে বললো,
কি বলছেন ভাবী?
আপনার কথা কিছুই বুঝলাম না।
ভাবী তখন বললো,
থাক ভাই আর বুঝতে হবে না।
দেরী হয়ে যাচ্ছে গাড়িতে গিয়ে বসো।
এই বলে মোহনার ভাবী চলে গেলো।

সাগর বুঝতে পারলো নিশ্চয় মোহনা উল্টাপাল্টা কিছু বলেছে।
এই মেয়েটার কি একটুও বুদ্ধি নাই!!!
এসব কথা বাহিরের মানুষ কে আবার বলে নাকি?
একবার শুধু রুমে আসুক??
সাগর মোহনার আসার অপেক্ষা করতে লাগলো।
তাই সে গাড়িতে না উঠে ঘরের মধ্যেই বসে থাকলো।

এদিকে সবাই গাড়িতে গিয়ে বসেছে।
মোহনার ভাবী বললো,
সাগর এখনো আসছে না কেনো?
সামিরা কে বললো যাও তো তোমার ভাইয়া কে ডেকে নিয়ে এসো।
তখন মোহনা বললো,
দাঁড়াও সামিরা?
তোমাকে যেতে হবে না।
আমি যাচ্ছি ডাকতে।
এই বলে মোহনা গাড়ি থেকে নেমে সোজা তার রুমে চলে গেলো।

মোহনা রুমে ঢোকার সাথেই সাগর মোহনার হাত ধরে এক ঝটকায় তার কাছে টেনে আনলো।
তারপর এক হাত দিয়ে তার ঠোঁট বোলাতে লাগলো।
অন্য আরেক টা হাত দিয়ে তার শাড়িও খুলে ফেললো।

মোহনা তখন সাগরের হাত ধরে বললো,
কি করছো এসব?
লিপিস্টিক লেপ্টে যাবে তো?
আর শাড়ি খুললে কেনো?
কে পড়ে দেবে এখন?
আমি এখন কিভাবে বাহিরে যাবো?

সাগর তখন মোহনার মুখ টিপে ধরলো,
আর তার একদম কাছে গিয়ে বললো,
তুমি তো এটাই চাও।
সবাই কে দেখাতে তোমার অনেক ভালো লাগে।
তোমার স্বামী তোমাকে কেমন আদর করে সেগুলো বলে বলে বেড়াও।
মোহনা তখন বললো,
হয়েছা টা কি?
কাকে কি বলেছি?
সাগর তখন মোহনার হাত দুটি শক্ত করে ধরে বললো, ভাবীকে আমার ব্যাপারে কি কি বলেছো?
উনি তখন কি সব বলছিলেন আমাকে?
আমি তো লজ্জায় একটা কথাও বলি নি।

মোহনা তখন বললো কই কি বলেছি?
আমি তো তেমন কিছু বলি নি।
শুধু,,,,,,
মোহনা কথা টা বলতে ধরে আটকে গেলো।
তারপর সাগর কে বললো,
ভাবী কি এমন কথা বলেছে?
যে তুমি লজ্জায় লাল হয়ে মেয়েদের মতো ঘরে বসে আছো?

সাগর সে কথা শুনে বললো,
যা বলার বলেছে,
সেটা আবার তোমাকেও শুনতে হবে নাকি?
তবে শোনো?
খবরদার আমার ব্যাপারে বাহিরের কাউকে কিছু বলবে না।
সবসময় নেগেটিভ কথাবার্তা বলবে।
বলবে আমি তোমায় তেমন একটা পছন্দ করি না।
তোমার সাথে ঠিক করে কথাও বলি না।
আমার নামে এতো ভালো ভালো কথা বলতে হবে না।

মোহনা তখন সাগরের কাছে গিয়ে বললো ও,,,,,,,
তাই নাকি?
তুমি সবার সামনে সাধুবাবা হয়ে থাকবে।
আর আমার সামনে ভন্ড বাবার মতো জ্বালাবে সারাক্ষন?
সেটা হবে না।
আমি মানবো না এটা।
তোমাকে সবার সামনে প্রকাশ করতে হবে যে তুমি আমাকে ভালোবাসো।
এভাবে লুকিয়ে লুকিয়ে প্রেম ভালোবাসা চলবে না।
আমি এটা মানবো না আর।

সাগর সে কথা শুনে মোহনাকে এক ঝাটকায় তার কাছে টেনে আনলো।।
আর বললো,
কি বলবো সবাই কে?
যে আমার বউ কে দেখলে আমার মাথা ঠিক থাকে না।
শুধু আদর করতে ইচ্ছে করে।
আমার বউ কে আমি অনেক বেশি ভালোবাসি!!!
এই বলে সাগর মোহনার ঠোঁট দুটি মুখে পুরে নিলো।
আর হাত দিয়ে মোহনার কোমর এ স্পর্শ করলো।
মোহনা তখন সাগর কে ধাক্কা দিয়ে বললো,
–এই এই কি করছো?
ছাড়ো।
গাড়িতে সবাই আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে।
তোমার যখন তখন এসব পাগলামো কিন্তু ভালো লাগে না।
সাগর মোহনার কোন কথাই শুনলো না।
সে আবার মোহনার কাছে এলো।
আর অনবরত কিস করতেই আছে।
মোহনা সাগরের এমন পাগলামোর কাছে হার মেনে নিলো।
সে আর সাড়া না দিয়ে থাকতে পারলো না
তাই কোন বাঁধা না দিয়ে সে ও চুপচাপ তাল মিলিয়ে গেলো।
কারন সে সাগরের প্রেমের ছোঁয়ায় নিজেকে সামলাতে পারছিলো না।
সাগর ও ভুলে গেলো তারা এখন বাহিরে যাচ্ছে।
দুইজন ভালোবাসার অতল গহব্বরে তলিয়ে গেলো।

হঠাৎ সামিরা এলো রুমে।
সে তার ভাই আর ভাবীকে এরকম অবস্থায় দেখে খুবই লজ্জা পেলো।
তার ভীষণ রাগ ও হলো!!
এইভাবে দরজা খোলা রেখে এরা যে এমন করছে কেউ দেখলে কি হবে???
ছিঃ তার ভাই এতো নির্লজ্জ হয়ে গেছে?
তার ভাই এতো খারাপ কি করে হলো?
এর আগেও সে এরকম দৃশ্য দেখেছে।
তাই সে আর চুপ থাকতে পারলো না।
তার ইচ্ছা করছে বাড়ির সবাই কে ডেকে এনে তার ভাই এর ভদ্র চেহারা টা দেখাতে।
পরে আবার ভাবছে নিজের বউ এর সাথেই তো আছে।
কিন্তু তৎক্ষনাৎ তার মনে হলো দুনিয়ায় কি আর কারো বউ নাই?
এই ভাবে খোলামেলা চুমাচুমি।
ছিঃ ছিঃ।
সামিরা তাই রাগ করে জোরে করে দরজা দুইটা লাগিয়ে দিলো।
মোহনা আর সাগর সেই শব্দ শুনে দুইজনই চমকে উঠলো।
সাগর মোহনাকে ছেড়ে দিয়ে বললো কে দরজা লাগালো?
কে ওখানে?
মোহনা তাড়াতাড়ি করে শাড়ি টা ঠিক করে নিলো।
আর তার সাজগোজ একেবারে নষ্ট হয়ে গেছে তাই আবার মুখ ধুয়ে নিলো।
এদিকে সাগর দরজায় ধাক্কাতেই আছে তবুও সামিরা দরজা খুলছে না।

এদিকে মোহনার ভাই আর ভাবী সেই থেকে গাড়িতেই বসে আছে।
শেষমেষ মোহনার ভাবী গাড়ি থেকে নেমে এলো।
তিনি মনে মনে ভাবছেন হলো টা কি?
মোহনা সাগর কে খুঁজতে গিয়ে কই উধাও হয়ে গেলো?
এদিকে আবার সামিরাকে পাঠানো হলো খুঁজতে সেও দেখি নিঁখোজ।

ভাবী সাগরের রুমের সামনে এলো।
এসে দেখে সামিরা দাঁড়িয়ে আছে সেখানে।
ভাবী তখন সামিরা কে বললো তুমি মোহনা আর সাগর কে খুঁজে পাও নি?
সামিরা তখন বললো,
হ্যাঁ পেয়েছি।
কিন্তু ডাকার সাহস পাই নি।
এই বলে সামিরা সেখান থেকে চলে গেলো।
ভাবি কিছুই বুঝলো না সামিরা তাকে কি বলে গেলো?

হঠাৎ ভাবী লক্ষ্য করলো সাগরের ঘরের দরজা বাহির থেকে লক করা আবার কে যেনো দরজায় ধাক্কা দিচ্ছে?
তাই তিনি দরজা টা খুলে দিলেন।
ভাবী তখন বললো,
তোমরা রুমেই আছো?
কিন্তু দরজা বাহির থেকে লাগালো কে?
সাগর তখন বললো,
কি জানি ভাবি?
আমি তো সেই থেকে দরজা ধাক্কা দিচ্ছি কিন্তু কেউ খুলছে না।।
সেই সময় মোহনাও আসলো।
ভাবী তখন বললো তোরা কি যাবি না থাকবি?
একটু ক্লিয়ার করে বল তো?
আবার ড্রেস চেঞ্জ করেছিস কেনো?
শাড়ি বাদ দিয়ে জামা কেনো পড়েছিস?

মোহনা সেই কথা শুনে বললো,
ভাবি, শাড়িতে খুব অস্বস্তি লাগছিলো।
তাই জামা পড়ে নিলাম।
চলো চলো।
এই বলে মোহনা ভাবীর হাত ধরে টেনে নিয়ে গেলো।
আর এক মুহুর্তও দেরী করলো না।

সাগর আর দাঁড়িয়ে থেকে কি করবে?
সে ও পিছু পিছু গেলো।
কিন্তু সাগর মনে মনে ভাবছে তাদের দরজা টা লাগালো কে?
সাগর নিজেই নিজেকে বকতে লাগলো।
এসব হচ্ছে টা কি?
তার মানসম্মান সব শেষ করে ফেলছে সে?

——_———_————

মোহনারা তাদের বাড়ি পৌঁছে গেলো।
বাড়ি পৌঁছাতেই মোহনা সবার আগে তার বাবা মার সাথে দেখা করলো।
কিছুক্ষন কথা বলে সাগর কে নিয়ে তার রুমে চলে গেলো।
আর সাগর কে বললো,
এটা কিন্তু আমার বাড়ি তাই কোন রকম দুষ্টামি করবে না।
ভাবী যদি একবার কিছু দেখে ফেলে সারাক্ষন কিন্তু জ্বালাবে তোমাকে।
তাই সাবধান।
আমার থেকে দশ হাত দূরে থাকবে।
বুঝেছো?

সাগর তখন মোহনাকে জড়িয়ে ধরে বললো,
দশ হাত দূরে থাকলে কি করে হবে?
কোন দুরুত্ব থাকবে না।
শশুড়বাড়ি তে কি সেজন্য এসেছি?
সারাক্ষন বউ কে আদর করবো?

মোহনা তখন সাগর কে সরিয়ে দিয়ে একটা জামা নিয়ে অন্য রুমে চলে যেতে ধরলো।
সাগর তখন মোহনার হাত টেনে ধরলো,
আর বললো,
তুমি আবার ড্রেস নিয়ে কই যাচ্ছো?
এখানেই চেঞ্জ করো।
মোহনা তখন বললো,
দরকার নেই।
আমি অন্য ঘরে গিয়েই চেঞ্জ করে নিবো।
তুমি এই রুমে চেঞ্জ করো।
এই বলে মোহনা চলে গেলো।

সাগর মোহনাকে আর বেশি জোর করলো না।
কারন এটা যেহেতু তার শশুড়বাড়ি তাই একটু ভদ্রভাবেই থাকতে হবে।
এমন কিছু করা যাবে না যাতে সবার সামনে সে লজ্জিত হয়ে পড়ে।
তাই সাগর ড্রেস চেঞ্জ করে ফ্রেশ হয়ে বিছানায় শুয়ে পড়লো।
কিন্তু মোহনা একবারও তার রুমে আসলো না।
সাগর বসে থেকে কি করে?
তাই সে ফোন বের করে কিছুক্ষন দেখতে লাগলো।
কিন্তু সেটাও ভালো লাগছে না।
তাই বই বের করলো।
এদিকে হঠাৎ কে যেনো দরজায় নক করলো,অথচ দরজা খোলাই আছে।
সাগর তখন বললো,
কে?
দরজা খোলায় আছে।
মোহনার ভাবী সাগরের জন্য নাস্তা নিয়ে এসেছে।
কিন্তু মোহনা কই জিজ্ঞেস করতেই সাগর একটা জোরে করে নিঃশ্বাস ফেললো।
আর বললো,
উনি তো সেই এই বাড়িতে আসার পর থেকেই গায়েব হয়ে গেছে।
ওনাকে আমি দেখি নি।
মনে হচ্ছে খুশিতে হারিয়ে গেছে।

ভাবী তখন বললো, কি বলো এসব?
ও আবার কই গেলো?
আমিও তো একবারও দেখলাম না।

হঠাৎ ভাবী বললো,
নিশ্চয় তুমি ডিস্টার্ব করো তাকে।
তাই কোথাও গিয়ে একটু আরাম করছে।
সাগর তখন বললো,
মোটেও না।
আর আমার কি কোন কাজ নেই?
ওকে কেনো ডিস্টার্ব করতে যাবো?
তাছাড়া আমার অন্য কাজ আছে।
দেখতেই তো পারছেন আমি পড়াশোনা করছি।
ভাবী তখন বললো,
সেই জন্যই ও অন্য রুমে গিয়ে বসে আছে।
কই একটু বউ এর সাথে সময় কাটাবে তা না করে বই হাতে নিয়ে বসে আছো?
তুমি এখানেও কেনো বই নিয়ে এসেছো?
আমার ননদিনী কে সময় দাও বেশি করে।
তা না হলে কিন্তু উনি রাগ করে এ ঘরে আসবেই না।

সাগর সে কথা শুনে হেসে উঠলো আর বললো ওকে আবার আলাদা করে কি সময় দিতে হবে?
তাছাড়া আপনি নিশ্চয় শুনেছেন আমি পড়াশোনা করতেই বেশি ভালোবাসি।।
ভাবি তখন বললো,তুমি তো পরীক্ষা দিয়ে বসে আছো।
এখন আবার কিসের পড়া?
সাগর তখন বললো,
পড়ার কি শেষ আছে ভাবি?
তাছাড়া আর একমাস পরেই তো আমাকে আবার ভর্তি হতে হবে।
তারজন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি।
ভাবি সেই কথা শুনে রুম থেকে চলে গেলো।
আর মোহনাকে খুঁজতে লাগলো।
মোহনাকে ভাবি পাশের রুমেই খুঁজে পেলো।
গিয়ে দেখে সে ডায়রি তে কি যেনো লিখছে??
ভাবী তখন বললো ব্যাপার কি?
তুই এখানে বসে লিখছিস?
আর তোর বর বই নিয়ে পড়াশোনা করছে।
তোদের হয়েছা টা কি?

মোহনা সেই কথা শুনে ডায়রি টা লুকিয়ে রাখলো।
কারন এই ডায়রিতে সে শুধুমাত্র সাগর এর কথায় লিখে রাখে।
মোহনা ভাবীর কথা শুনে বললো,
ও তো বই পড়তেই বেশি ভালোবাসে।
তাই বই পড়ছে।।
ভাবী তখন বললো তাহলে তোকে ভালোবাসে কখন?
মোহনা সে কথা শুনে বললো,
ভাবি তুমি এবার ওকে নিয়ে ভাবা বন্ধ করো তো?
ওকে ওর ইচ্ছামত চলতে দাও তো।
আমাকে ক্ষুধা লেগেছে।
কিছু খেতে দাও।
ভাবী তখন বললো,
তোর রুমে দিয়ে এসেছি খাবার।
গিয়ে খেয়ে নে।

মোহনা সেই কথা শুনে তার রুমে চলে গেলো।
গিয়ে দেখে সাগর সত্যি সত্যি বই পড়ছে।
খাবারগুলো ভাবি যেভাবে রেখে গেছে সেইরকম ভাবেই পড়ে আছে।
মোহনা তখন সাগরের হাত থেকে বই টা কেড়ে নিলো।
আর বললো,
আগে খেয়ে নাও,তারপর না হয় পড়াশোনা করিও।

সাগর সে কথা শুনে মোহনার গলা টিপে ধরলো আর বললো আমি কি এখানে পড়াশোনা করার জন্য এসেছি?
তাই খেয়ে দেয়ে আবার পড়াশোনা করবো?
মোহনা তখন বললো লাগছে তো।
ছাড়ো।
সাগর মোহনার গলা ছেড়ে দিলো।
তখন মোহনা বললো তুমি তো নিজেই বই পড়তেছিলি তাই এভাবে বললাম।
সাগর তখন মোহনার দিকে চোখ বড় বড় করে তাকালো আর বললো কই ছিলে এতোক্ষন?
আমাকে বললে ড্রেস চেঞ্জ করতে অন্য রুমে যাবে।
সেই যে গেলে আর আসলে না কেনো?
একবারের জন্যও দেখা করতে এলে না?
আমি একা একা রুমে কি করি?

মোহনা সে কথা শুনে হেসে উঠলো।
আর বললো ও সেজন্য রাগ করেছো আমার উপর?
রাগ করেই তাহলে বই হাতে নিয়ে বসে আছো?

সাগর তখন বললো আমি কি খুব বেশি বিরক্ত করছি তোমাকে?
আমার থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছো কেনো?
যদি মনে করো আমি তোমাকে ডিস্টার্ব করছি তাহলে আর তোমার ধারেকাছেও আসবো না।

মোহনা তখন সাগরের গলা জড়িয়ে ধরে বললো পালাবো কেনো?
কি বলছো এসব?
আমি তো ডায়রি তে একটু লিখছিলাম।
সাথে সাথে না লিখে রাখলে পড়ে আর মনে থাকা না।

সাগর সে কথা শুনে বললো কি লিখলে?
আমাকে দেখাও দেখি?
মোহনা তখন বললো, না না।
তোমাকে দেখানো যাবে না।
তুমি পড়লে আমার ভীষণ লজ্জা লাগবে।
সাগর তখন বললো কি এমন লিখেছো?
মোহনা সেই কথার কোন উত্তর না দিয়ে সাগরের মুখে একটা আপেলের ফালি তুলে দিলো।
সাগর আবার তার মুখ মোহনার দিকে এগিয়ে নিয়ে গেলো।
মোহনা তখন বললো তুমি ওটা খাও।
আমি প্লেট থেকে আরেকটা নিচ্ছি।
সেই কথা শুনে সাগর মোহনার হাত টিপে ধরলো আর চোখ দিয়ে ইশারা করলো তার মুখের টাই যেনো খায়।
মোহনা এদিকে ওদিক তাকিয়ে সাগরের মুখের টাই খেলো।
সাগর তখন বললো এদিক ওদিক কি দেখছো?
আসবে না কেউ।
এই বলে এবার একটা মিষ্টিও এইভাবে মোহনার মুখে তুলে দিলো।
কিন্তু মিষ্টি টা খাওয়াতে গিয়ে রস দিয়ে মোহনার মুখ ভরে গেলো।
সাগর মোহনার মুখে লেগে থাকা রস খেতে লাগলো।
মোহনা তখন বললো,
তুমি এতো দুষ্টু!!!
সবসময় এরকম জ্বালাও কেনো?
এই বলে মোহনা সাগর কে সরিয়ে দিয়ে রুম থেকে বের হয়ে গেলো।

চলবে
পরবর্তী পর্ব পড়তে চাইলে অবশ্যয় লাইক কমেন্ট করতে হবে।
খারাপ লাগলে অবশ্যয় বলবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here