#ক্রাসের_সাথে_ডাইরেক্ট_বিয়ে
#লেখক_নীলার_আব্বু
পার্ট-৮
-নীলিমা বলেছে।সব বলেছে যা তোর জানা উচিত ছিলো?সব না জেনে নীলিমাকে অবিশ্বাস করলি।
-মানে?সত্যিটা কি?
-বলছি।রক্তিম আর নীলিমার মাঝে আগে একটা সম্পর্ক ছিলো।প্রায় একবছরে।সবঠিক ছিলো একদিন হঠাৎ রক্তিম সম্পর্কটা ভেঙ্গে চলে যায়।নীলিমা অনেক বললেও সে ফিরে আসে না।
কারণ একটাই,তার আর নীলিমাকে ভালো লাগে না।
এরপর নীলিমা কাহিনি সম্পর্কে আর কিছু বলতে চাই না।
-কেনো?
-কি আর বলবো?বাকিটা ওইযে ছ্যাকা খাইলে যা হয় তাই হইসে।সারাদিন কাদত আর ঘরে বসে থাকত।
এরপর,তার বিয়ে ঠিক করে ফেলা।সে স্থির করে যে বিয়ে করে তাকে ভুলে যাবে।আর তোর কাহিনি।বাসের কাহিনির পর থেকে একটু একটু করে তোকে ভালোবাসতে শুরু করে।এরপর বিয়ে,শেষ।প্রায় ভুলেই যায় রক্তিমকে।
তবে অইদিন আসার সময় রক্তিম ফোন করে বলে সে নাকি ব্যাক করতে চায়।
সে নিজের ভুল বুঝতে পেরেছে।নীলিমা বোঝায় এটা সম্ভব না।কিন্তু রক্তিমও মানতে রাজি নয়।এই নিয়ে নীলিমা অনেক টেন্স ছিলো।
রক্তিম নানাভাবে বিরক্ত করছিলো।ওইদিন সি বীজে তোর সাথে রক্তিমের দেখা হয় না?
-হয়েছে।
-রক্তিম সব শেষ করবে বলে নীলিমার কাছে কথা বলার সময় চায়।কিন্তু এর নাম করে নানাভাবে ভয় দেখানোর চেষ্টা করে।বলে,না মানলে আগের ছবিগুলো দিয়ে দেবে।
তাও সে মানেনি।কারণ তোকে ভালোবাসে।এরপর তো ছবিগুলো তো দিলোই।
এতেও শান্তি হলো না।শেষে তুলে নিয়ে গেলো।
এতটুকু বলে আবির থেমে যায়।আমার চোখ একটু ভেজা ভেজা লাগছে।বুঝতে পারছি না কি হচ্ছে।
-আশা করি আর কিছু বোঝানোর নেই।(আবির)
এই বলে চলে গেলো।আমি কফি শপেই রয়ে গেলাম।
নাহ!নীলিমার কাছে ক্ষমা চেয়ে নিতে হবে।আমি ভুল করে ফেলেছি।
হোটেলে ব্যাক করলাম।নিজের রুমের সামনে গিয়ে নক করলাম।২ মিনিট ধরে দাঁড়িয়ে রয়েছি।গ্যাট খুলার কোনো নাম নেই।আবার নক করতে যাবো,ওমনি গ্যাট খুলে দিলো।গেট খুলে কোনো কথা না বলে চলে গেল।😲😲
আমি শুধু তাকিয়েই থাকলাম।দরজাটা লাগিয়ে রুমে ঢুকলাম।নীলিমা বারান্ধায় গিয়েছে।আমি বারান্ধায় গিয়ে দাড়ালাম।আমি তার কাধে হাত রেখে বললাম,নীলিমা।
এক ঝটকায় আমার হাতটা সড়িয়ে দিয়ে চলে যায়।
আমি অবাক হয়ে গেলাম।এত রাগ!😲😱
ব্যাপারটা কি।
না না আমাকে কিছু করতে হবে।
রুমে গিয়ে দেখি নীলিমা বিছানায় উলটো দিক হয় শুয়ে আছে।
চারপাশ তাকালাম।কিছু না বুঝে
আমি চুপচাপ তার পাশে শুয়ে পড়লাম।আমি গিয়ে তাকে জড়িয়ে ধরে ধরলাম।ধাক্কা দিয়ে সড়িয়ে ফেললো।
খবরদার,আমাকে একদম টাচ করবে না।আর এই বিছানাতে তো ভুলেও শোবে না।😡😡
আমি নিচে পড়ে রইলাম।হায় হায় বলে কি?আমার কি হয়ে হবে?
-😭😭আমার হানিমুনের কি হবে?😭😭
-চুপ একদম।কোনো হানিমুনের নাম নিবি না।
-😢😰😰
-তাহ…
-চুপ
-একটা ক…
-সাট আপ,মুখ বন্ধ করবি নাকি।
উঠে দাড়ালাম।গিয়ে একটা বালিশ নিলাম।নীলিমার সামনে দাঁড়িয়ে রইলাম।
নীলিমা তাকিয়ে দেখে আমি দাঁড়িয়ে।
-কি হল দাঁড়িয়ে আছিস কেন?😠
-বালিস””মানে”মানে কোলবালিশটা লাগবে, যদি একটু দিতেন।
-কোলবালিশ?
-হুম।
আমার কোলবালিশটা ধরিয়ে দিল।
-এই নে।আর একদম আর জ্বালাবী না।
আমি কোলবালিশ নিয়ে সোফায় শুয়ে পড়লাম।
-কোলবালিশ, আজ তুই আমার বউ।কিছু করার নাই,তোর সাথেই আমার হানিমুন করতে হবে।আমার বউ তো আমাকে টাচই করতে দেয় না।বুঝলি
-সাট আপ,আর কোনো কথা বললে আগে তোর কোলবালিশ রে জানালা দিয়ে ফালাবো এরপর তোকে।
-😷😯
আমি একদম মুখ বন্ধ করে ফেললাম।এতো ডাইরেক্ট অবিচার,মন খোলে কোলবালিশের সাথে কি কথাও বলতে দেবে না নাকি।
😢😩আর কি,ঘুমিয়ে পড়লাম।এমনি তো টায়ারড।😴😴😪
আধা-ঘন্টা পর,
নীলিমা উঠে গিয়ে আমার সামনে হাটুগেড়ে বসল।আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে মাথায় একটা কিস করল।😙😗
-ফাজিল ছেলে,আমার কথা না শুনেই থাপ্পর মেরেছো।এরজন্য তো শাস্তি তো পেতেই হবে😤।যাক যথেষ্ট পেয়েছো।
কালকে সকালে তোমাকে মাফ করে দেবো।কিন্তু তার আগে একটু জ্বালিয়ে নেবো😛।
শয়তান ছেলে,তোকে ছাড়া আমার ঘুম আসে নাকি।ফাজিল কোথাকার
এই বলে আমার সাথেই সোফায় উপরই শুয়ে পড়ল আর বুকে মাথা রাখল।
আমি অবশ্য ঘুমে।ঘুমের মাঝেই তাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলাম।আহ কি শান্তি!অবশ্য কি জন্য এত শান্তি লাগছে সেটা বুঝতে পারছি না।
নীলিমা গায়ে একটা কাথা দিয়ে দিলো।
.
.
.
.
.
.
.
চলবে