“ক্রাসের_সাথে_ডাইরেক্ট_বিয়ে পার্ট-৯ ও শেষ পার্ট

#ক্রাসের_সাথে_ডাইরেক্ট_বিয়ে
#লেখক_নীলার_আব্বু

পার্ট-৯ ও শেষ পার্ট

((আমি আজ বাসায় থাকতে পারবো না এর জন্য একটু আগে গল্পটা আপলোড দিয়ে দিলাম))

আমি অবশ্য ঘুমে।ঘুমের মাঝেই তাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলাম।আহ কি শান্তি!অবশ্য কি জন্য এত শান্তি লাগছে সেটা বুঝতে পারছি না।
নীলিমা গায়ে একটা কাথা দিয়ে দিলো।

সকালে,
নীলিমা আমার আগে ঘুম থেকে উঠে পড়ে।উঠে ফ্রেস হতে চলে যায়।আমার ঘুম ভাঙ্গে কিছুক্ষণ পরে।চোখ খুলে দেখি নীলিমা বারান্ধায় দাঁড়ানো।আমি উঠে পড়লাম।চোখদুটো কচলে আস্তে আস্তে হাটতে হাটতে নীলিমার দিকে যেতে থাকলাম।নীলিমার চুলগুলো ভেজা ছিলো।সম্ভবত শাওয়ার নিয়ে এসেছে মাত্র।আমি তার আরো কাছাকাছি যায়।তার ঠিক পিছনেই দাঁড়িয়ে ছিলাম।তার চুল থেকে এক মাতাল করা গন্ধ আসছিলো।আমাকে অনেক টান ছিলো তার প্রতি।আমার নাকটা তার চুলের মাঝে ডুবিয়ে দিলাম।আর পেছনে থেকে জড়িয়ে ধরলাম।নীলিমা বুঝতে পারার সাথে সাথে নিজেকে আমার কাছ হতে ছুটাবার চেষ্টা করতে থাকে।
-এই তুমি ছাড়বে নাকি?
আমি কোনো কথা বলছি না।তার চুলের ঘ্রাণ নতুন নিয়ে যাচ্ছি অবিরাম।নীলিমা অনেক চেষ্টা করে।শেষে আমার দিখে ঘুরে দাঁড়ায়।আমার দিকে তাকায় এক রাগী দৃষ্টিতে।
-তোর কত….উমমমম
নীলিমার ঠোটগুলোর সাথে আমার ঠোটদুটো মিশিয়ে দিলাম।নীলিমা তার চোখগুলো বড় বড় করে আমার দিকে তাকিয়ে আছে।
৫ মিনিট পর,নীলিমা আর কিছু না করে জোরে হাতে চিমড়ি দিলো।আমি হুট কেপে উঠলাম আর নীলিমাকে ছেড়ে দিলাম।আমার মাত্র হুশ আসলো।মাত্র বুঝতে পারলাম আমি সপ্নের জগতে না বাস্তবে ছিলাম।এতক্ষণ স্বপ্ন ভেবে করে যাচ্ছিলাম।
-তুমি….😡😡।এর জন্য তোমার শাস্তি বরাদ্দ করা আছে।
নীলিমা চলে গেলো।আমি ফ্রেস হয়ে নাস্তা করে নিলাম সবার সাথে।ব্রেকফাস্ট শেষে আমি নীলিমাকে মেঘার কাছে রেখে আবিরকে নিয়ে একটু বাইরে আসলাম।
-আরে বল কি হয়েছে?
-আরে নীলিমাতো এখনো রেগে আছে, কি করা যায়?
-আমি কি জানি।
এই বলে চলে যেতে লাগলো।
তার হাত ধরে আটকে আবার নিয়ে আসলাম।
-আরে ভাই,একটু তো হেল্প।
-আব্বে,আমি এখানে আমি হানিমুন করতে আসছি।আমাকে মেঘাকে সময় দিতে হবে।
-আচ্ছা।এই ছিলো বন্ধুত্ব। ঠিক আছে,ঠিক আছে মনে রাখবো।
-ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইল করছিস।
-হুম
-আচ্ছা।ফাইন।আমরা এখন সবাই মিলে হিমছড়ি যাচ্ছি।ওখানে পাহাড়ে যাবো।বাকি টা সেখানে বলব
-আচ্ছা।

আমরা গাড়ি নিয়ে বেড়িয়ে পড়লাম।আমি যথারীতে নীলিমার সাথে পেছনের সিটে। আর তারা সামনে।
আমি শুধু তাকিয়ে তাকিয়ে মাপার চেষ্টা করছি যে আমার থেকে নীলিমার দূরত্ব কতটুকু।মেপে পেলাম কম হলেও ৩ হাত।আস্তে আস্তে করে তার দিকে এক হাত আগালাম।আরেকটু আগাতে যাবো।
-মমম.যতটুকু এগিয়ে তার থেকে বেশি দুরে যাও
হায় হায় বুঝলো কেমনে।আমি আবার আমার আগের জায়গায় বসে পড়লাম।
গাড়ি পৌছে যায়।
আমি মূল গন্তব্যে পৌছে যাই।যেটা হলো একটা পাহাড়ের উপর।নীলিমা দাঁড়িয়ে চারপাশটা দেখছে।
-এই নে,
আবির আমার দিকে একটা গোলাপ বাড়িয়ে দিল।
-এটা দিয়ে কি করব?
-নীলিমাকে প্রপোজ কর।আমার নিশ্চিত ধারনা এমন করলে তার রাগ ৯৯.৯% থাকবে না।
-ও,আচ্ছা।বাট ০.১% কেনো হবে না। ১০০% ও তো বলতে পারতি।
-আসলে ব্যাপার টা কি, মেয়েদের বিশ্বাস নাই।এমন ও হতে পারে তোকে দুই দুইটা ধাপ্পর বসায় দিতে পারে।পারলে এই পাহাড় থেকে ফেলে দিতে পারে।

আমার হাতে ফুল দিয়ে কেটে পড়ল আবির।
আমার প্রপোজ করার চেয়ে আবিরের কথা শুনেই বেশি ভয় করছে।

আমি নীলিমার পেছনে গিয়ে দাড়ালাম।নীলিমাকে ডাকতেই পিছে ফিরে তাকালো।
আমি হাটুগেড়ে তার সামনে বসে ফুল বাড়িয়ে বলতে লাগলাম,নীলিমা আমি.….
কিছু আর বলতে পারলাম না,তার আগেই আমার ফোনটা বেজে উঠল।আমি রেগে ফোনটা রিসিভ করলাম।
-অই ক্যাডারে?😤 (আমি)
-মাইয়ারে মাইরে তুই অপরাধীরে আমার যত্নে গড়া ভালোবাসা দেয় ফিরাইয়া দে
-কি অবস্থা গান বাজে কেন?
-এই গানটি আপনার কলার টোন হিসেবে সেট করতে ১ চাপ….
ফোন কেটে দিলাম।
-তো আমি নীলিমা..
সামনে তাকিয়ে দেখি নীলিমা হাওয়া।নাই।

হঠাৎ মাথার পেছন থেকে কে জানি বারি দিল পেছনে তাকিয়ে দেখি আবির।
-আব্বে তোরে ফোন রিসিভ করতে কে বলসিলো?
-এখন আমার প্রপোজ?
-শেষ।

ঘোড়া শেষে গাড়ি দিয়ে ব্যাক করতে শুরু করলাম।আমি এত ঘোড়াঘুড়ি করে এত টায়ারড এই ছিলাম যে গাড়িতেই ঘুমিয়ে পড়ি।আমার মাথাটা খালি দোলছে।রাত হয়ে গিয়েছে।গাড়ির ভিতরটাও হালকা অন্ধকার । বাইরে থেকে যা আলো আসে আর কি।নীলিমা আমার মাথা ধরে তার কাধে রেখে মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে থাকলো।
———

কে জানি মুখের মাঝে পানি মারলো।ঘুম ভেংগে যায়।
-এই যে রাত কি এখানেই গাড়িতে কাটাবার প্ল্যান
-ও সরি। সবাই কোথায়?
-চলে গেসে।শুধু আপনিই বাকি।
-ও আমি উঠলাম।হোটেলে গিয়ে নিজের রুমের সামনে আসলাম। দরজা লাগানো।নক করলাম।গ্যাট খুলছে।৫ মিনিট ধরে নক করছে কিন্তু গ্যাট খুলার কোনো নাম নাই
-ওহে প্রিয়তমা গ্যাট খুলো না।
-ওহে প্রিয়তমা আজ রাত টা বাইরে ওইযে তোমার গাড়িতে কাটাও
-কি?😣😣

দৌড়ে আবিরের কাছে গেলাম।দরজায় নক।গ্যাট খুলতেই
-দোস্ত,কিছু কর।
-আব্বে,আবার কি হয়েছে?
-নীলিমা গ্যাট খুলে না।
-😤তোরে যে কি করবো।
মাথায় দরজার সাথে দুইটা বাড়ি দিল
-মেঘা আমি আসছি।চল আমার সাথে।

আবির আমার সাথে দরজার সামনে আসলো।আবির চারপাশ থাকালো।আবির টানতে টানতে এক জায়গায় নিয়ে গেলো।দেখলাম বেলকোনির মত জায়গায়।
আবির আমার দিকে হাসতে হাসতে তাকিয়ে বলল,
-চল নেমে পড়।
-নামবো,কোথায়?
-দেখ,এই যে সানসেট দেখছিস।এটা দিয়ে আর পাইপ ধরে গেলে সোজা তোর রুমে বারান্ধায় গিয়ে থামবে।
-ও,তুই গিয়ে কি পড়ে দরজা খুলে দিবি?
-নাহ,তুই।তুই যাবি।
-আরে এখান থেকে নিচে পড়ব আর ডাররেক্ট উপরে
-আরে জীবনে কিছু কিছু রিস্ক নিতে তো হয়ই।দেখ তুই যাবি নাকি গেলাম
-যাচ্ছি যাচ্ছি।

সান্সেট ধরে এগোতে শুরু করলাম।হঠাৎ এক আমার মাথার উপর এসে বসল।
-আবির কিছু কর।কাকটা সড়া।
-দাড়া কয়েকটা ছবি তোলে নেই।তোর ছেলেমেয়েদের দেখাবো নে।
আবির ক্যামেড়া বের করে ছবি তোলা শুরু করে
-আরে ভাই,কিছু কর নইলে তোর এই ছবি ছেলে মেয়ে তো দুরের কথা আমিই দেখতে পারবো না।
কাক চলে যায়।আমি আবার এগোতে শুরু করি।একবার নিচে তাকাই, নিচে রাস্তা।
-দোস্ত,আমি মরে গেলে আমার কক্সবাজারের ছবিগুলা আপলোড করে দিস।
-আচ্ছা,তুই যেতে থাক
-আল্লাহ,আল্লাহ,আল্লাহ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here