“ক্রাসের_সাথে_ডাইরেক্ট_বিয়ে পার্ট-৭

#ক্রাসের_সাথে_ডাইরেক্ট_বিয়ে
#লেখক_নীলার_আব্বু

পার্ট-৭

-আমাকে বোঝানোর সুযোগ দেও?
ঠাস……
-আর দরকার নেই।আমি সব বুঝে গেছি।
এই বলে রুম থেকে বেড়িয়ে গেলাম।.
নীলিমা সেখানি দাড়িয়েই কাদতে থাকে।হোটেল থেকে বেড়িয়ে বাইরে হাটতে থাকি।খুব খারাপ লাগছিল,নিলিমা এটা কি করে করল।আর আমিই বা কিভাবে এই হাত দিয়ে তাকে মারলাম।সব কিছু যেনো উলট পালট হয়ে যাচ্ছে।অনেক্ষণ ধরে সাগর পারে হাটতে থাকি।কিছুক্ষন পর আবির ফোন করল,
-হ্যালো,তুই কই?
-এই হোটেল এর সামনেই।
-ও,আর নীলিমা কি তোর সাথেই না।
-না, ও হোটেলে রুমে।
-কি বলছিস?হোটেলের রুমে তো নীলিমা নেই।তোর সাথে না।
-না।তাহলে কোথায়?
-সেটা জানলে কি কল করতাম?
-আচ্ছা আমি আসছি।

ব্যাপারটা হল কি।কোথায় যেতে পারে।
দৌড়ে হোটেলে গেলাম।উঠে নিজের রুমে গেলাম।দেখলাম সামনে আবির দাঁড়িয়ে।
-তুই এসেছিস?
-হু।নীলিমা?তাকে কল করছো?
-কোনো লাভ নেই।
-কেনো?

আবির নীলিমার ফোন আমার সামনে তুলে ধরল।
-ফোন?এটা তো নীলিমার ফোন।
-হ্যা,রুমে ছিল।
-তার মানে ফোন নেই নি।
-না।
-তাহলে কোথায় যেতে পারে?
-কোথায় যায়নি?
-মানে?
-নিয়ে যাওয়া হয়েছে?
-বুঝলাম না।
-জাস্ট একটু কমনসেন্স ইউস কর।আমরা বের হলে জুতা পরে বের হই।আর দরজাটা লাগিয়ে যাই।কিন্তু জুতা এখানেই পড়ে রয়েছে আর দরজা খুলা ছিল।
-তারমানে কি বলতে চাইছিস?
-নীলিমাকে কিডন্যাপ করা হয়েছে।তাকে অজ্ঞান করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে কারণ জ্ঞানে থাকলে চেঁচামেচি করত।
-ঠিক বলছিস।আমার মনে হচ্ছে এই কাজ কে করেছে বুঝতে পারছি।আচ্ছা,ফোন নাম্বার ট্রাক করব,কিভাবে করা যায়?
-ট্রাক….হুম…পেয়েছি।রিফাত পারে,তাকে কল করি?
-ঠিক।দাড়া নাম্বারটা দিচ্ছি?
আসলে রিফাত আমার ফ্রেন্ড আর সে এসবে এক্সপার্ট।
তাকে রক্তিমের নাম্বারটা দিলাম যেটা দিয়ে আমাকে কল করেছিল।

রিফাত কে কল করে নাম্বারটা ট্রাক করে লোকেশনটা নিয়ে নিলাম।
মেঘাকে হোটেলে রেখে আমি আর আবির বেড়িয়ে পড়লাম।লোকেশনটা অনেকটা পাহাড়ী অঞ্চলের কাছাকাছি।
গাড়ি চলছে।মাথায় অনেক চিন্তা।শুধু দোয়া করছি যাতে নীলিমার কোনো ক্ষতি না হয়।
১ ঘন্টা পর,সূর্য প্রায় ডুবে ডুবে।
লোকেশনটা ছিল পাহাড়ের ঘা ঘেসে একটা বাড়ী।আমি গাড়ি থেকে নামলাম।হাটতে হাটতে বাড়ীর সামনে আসলাম।
-শোন দরজা দিয়ে ঢুকলে মনে হয় না সুবিধা হবে। (আবির)
-তো,কিভাবে যাব?
-দেখ কোনো জানালা খোলা পাস নাকি?
আমি বাড়িটা ঘুড়ে জানালা আছে দেখতে থাকলাম।পাকা একতলা বাড়ি।অনেক আগের মনে হচ্ছে।
-আবির
ডাকতেই আবির দৌড়ে ছুটে আসল।
-কি পেয়েছিস?
-দেখ সামনে?
আবির সামনে তাকায়। বারান্দার দরজাটা খোলা।আমি আর আবির তাতে ডুকে পড়লাম।বাড়িটা বেশ বড়ই।অনেকগুলো রুম।আমি নীলিমাকে খোজতে থাকলাম।হঠাৎ একটা চিৎকার শুনলাম।
“প্লিজ,এমন করো না।প্লিজ রক্তিম,আমাকে ছেড়ে দেও।
-তোমাকে আর ছাড়ব না।অনেকভাবে বোঝানোর চেষ্টা করেছি,বোঝোনি।তুমি বোঝতে পারলে না আমার ভালোবাসা।তুমি শুধু আমার। আর আমার না হলে কারো হতে দেব না।
রক্তিম একপা একপা করে এগুতে থাকে।আর নীলিমা পেছাতে থাকে।
-না, না রক্তিম
রক্তিম প্রায় ঝাপিয় পড়তে যাবে।নীলিমা চোখ বন্ধ করে চিৎকার দেয়।হঠাৎ একটা আওয়াজ পায়।তার পর সব নীরব।নীলিমা ভয়ে চোখ খুলছে না।তারপর খুলে দেখে রক্তিম নিচে পড়ে আছে।উপরে তাকিয়ে দেখে আমি লাঠি হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে।নীলিমা যেনো সস্তির নিঃশ্বাস ফেললো।চোখদুটো বন্ধ করে সেখানে নিজের দেহ দেয়ালের সাথে হেলিয়ে দেয়।।।।

————
নীলিমা আমার পাশের সিটে।সামনে আবির ড্রাইব করছে আর তার পাশে অজ্ঞান রক্তিম বাধা অবস্থা।
তাকে থানায় প্রমাণ দিয়ে আসা হয়।সবচেয়ে বড় প্রমান ছিল হোটেলে সিসি টিভি ক্যামেরায় রক্তিমকে যেতে দেখা যায়।হোটেলের দিকে রওনা দেই থানা থেকে।নীলিমা আমার বিপরীত দিকে জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে।সমুদ্র দেখা যাচ্ছে।অনেক বাতাস,সমুদ্রের পাশ দিয়ে রাস্তা।একটা কথাও বলি নি আমি নীলিমার সাথে,না বলেছে সে।হোটেলে এসে নীলিমা নিজের রুমে চলে যায়।আমি আর যাই নি।বাইরে থাকি।আধা ঘন্টা পর আবির কল করে।
-তুই কই?
-কফি হাউজে।
-তুই সেখানেই থাক।আমি আসছি।
-আচ্ছা।

১৫ মিনিট পর,
আবির আসলো।
-বস।
-হুম
আবির বসলো।
-বল কি বলবি?
-স্যার আপনার ওর্ডার?(ওয়েটার)
-দুকাপ কফি?
-আচ্ছা।
ওয়েটার চলে গেল।
-শোন।
আমি অন্যমনস্ক হয়ে অন্য দিকে তাকিয়ে ছিলাম।তার কথা শুনে হোশ এল।
-হ্যা,হ্যা কি?
-তুই নীলিমাকে ধাপ্পর মেড়েছিস?
-হুম (অন্যদিকে তাকিয়ে উত্তরটা দিলাম)
-তোর কি মনে হয় তুই এটা ঠিক করেছিস?
-আমি জানি না।কিন্তু তখন আমার মাথা অনেক গরম ছিল।
-তাই বলে মেরে দিবি?
-ওগুলা দেখলে কার মাথা ঠিক থাকে?
-একবারো শোনার চেষ্টা করেছিলি সে কি বলতে চেয়েছিল?
-কিন্তু তুই এসব জানলি কি করে?
-নীলিমা বলেছে।সব বলেছে যা তোর জানা উচিত ছিলো?সব না জেনে নীলিমাকে অবিশ্বাস করলি।
-মানে?সত্যিটা কি?
-বলছি।
.
.
.
.
.
.
চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here