“ক্রাসের_সাথে_ডাইরেক্ট_বিয়ে পার্ট-৬

#ক্রাসের_সাথে_ডাইরেক্ট_বিয়ে
#লেখক_নীলার_আব্বু

পার্ট-৬

আমি বারান্ধায় চলে গেলাম।কেনো জানি খারাপ লাগছে।হঠাৎ দরজায় নক।আমি গিয়ে দরজা খুললাম।
-কিরে চল,নিচে নাস্তা করে সমুদ্র সৈকতে যাব।তাড়াতাড়ি আয়।
-হুম। আসছি।
আমি গিয়ে নীলিমাকে ডাক দিলাম।রেডি হয়ে নিচে গেলাম রেস্টুরেন্ট এ।

-শোন এখন খেয়ে কিন্তু যাচ্ছি (আবির বলল খেতে খেতে)
-হুম।
-কিরে তোর মনটা কেমন মরা মরা লাগছে।কিছু হয়েছে?
-আরে তেমন কিছুই না।
-কিছু না হলেই ভালো।
-হুম।

খাওয়া দাওয়া করে রেডি হয়ে বেড়িয়ে পড়ি।

————-
সমুদ্র সৈকতের সামনে আমরা সবাই দাঁড়িয়ে আছি।
-আচ্ছা,আমরা ওইদিক যাচ্ছি।
-আচ্ছা।
-আর তোরা?
-তুই যা।চিন্তা করিস না এনজয় কর।

তারা চলে গেলো।
-তো এখন কি করবা এখন?
-চল আমরাও যাই।
-আচ্ছা চলো।

নীলিমাকে নিয়ে পানির কাছাকাছি দিয়ে হাটছিলাম।যাক এখন নীলিমাকে অনেকটা খুশি দেখাচ্ছে।খুব ভালোই লাগছিল।
-এই দিকে চলো।
-কেনো?
-ওইযে ওইখানে আইসক্রীম।
-ও,আচ্ছা চল।
-হুম।
নীলিমাকে নিয়ে গেলাম।
-আচ্ছা, ভাই দুইটা আইসক্রীম।
আইসক্রিম নিয়ে আসছিলাম।দেখি নীলিমার সামনে একজন দাঁড়িয়ে।সম্ভবত,তার সাথে কথা বলছে।
আমি কাছে গেলাম।দুজন আমার দিকে তাকাল
লো।
-ও তাহলে এ তোমার হাসবেন্ড।
নীলিমার দিকে তাকিয়ে কথাটা বলল।
-নাইস টু মিট ইয়ু।আমি রক্তিম।
আমার দিকে হাত বাড়িয়ে দিল।তারসাথে হ্যান্ডশ্যাক করলাম।
-নীলিমা তুমি কি আমার পরিচয় দেবে না?
নীলিমা মাথা নিচু হয়ে রয়েছে।কিছু বলছে না।এক হাত দিয়ে তার আরেক হাত ধরে আছে।
-আচ্ছা। আমিই বলছি।আমি তার কলেজ ফ্রেন্ড।বলতে পারেন ফ্রেন্ড এর চেয়েও বেশি।
-আচ্ছা।
আমার মনে হচ্ছে নীলিমাকে যে কল করে,সে আর কেউ না এই রক্তিম ই।আর এখন চিনতে পারলাম ওইদিন বাসে নীলিমার ফোনে যার ছবি দেখেছিলাম সে এই।
-তো একটু দয়া করে একটু আমাদের একলা রাখবেন।আমাদের একটু পার্সোনাল কথা আছে।

মাথা চরম গরম হয়ে গেলো।আমার বউ এর সাথে কিসের পার্সোনাল কথা।কিছু বলতে যাবো তার আগেই আমাকে আবির ডাকাডাকি শুরু করল।
-ওই আস না কেনো?
-নীলিমা চল
-আরে সে আসবেনে আপনি যান। (রক্তিম)
-কিন্তু?
-আরে কি হল আয়।খুব ইমার্জেন্সি।(আবির দূর থেকে ডাকছে)

না পেরে আবিরের কাছে গেলাম।
-বল।কি হয়েছে?
-আরে আমি আমার বউ হারায় ফেলসি।
-কি বলস উলটা পালটা।
-আরে মেঘাকে খুজে পাচ্ছি না।
-কিন্তু কিভাবে কি?
-সেসব পরে।আগে খুজে দেখি।

পরে মেঘাকে খুজতে শুরু করি।অনেক পরে মেঘা কে পাই।আমাদের থেকে অনেকটা দূরে চলে গিয়েছিল।
-ভাইরে হানিমুনে আসছিস না এভাবে খাটাতে আসছিস।
-সরিরে।
-আচ্ছা।নীলিমা।আরে নীলিমা কোথায়?
-ঠিকই ত নীলিমা কোথায়?

নীলিমাকে খুজতে থাকি।সারা বিচ খুজে নীলিমাকে পেলাম না।
-কাজ কর নীলিমাকে কল দে।
-ফোন দে
-ফোন হোটেলে।
-আমার মনে হয় হোটেলে গিয়েছে

হোটেলে ব্যাক করলাম।আমার রুমে গেলাম।
রুমে গিয়ে দেখলাম।কিন্তু নেই।বারান্ধায় গেলাম,হ্যা।নীলিমা সেখানে দাঁড়িয়ে।
-তুমি চলে এলে কেনো?
-আমার ভালো লাগছিলো না।
-তাই বলে।এভাবে চলে আসবে।
-বলার জন্য তোমাদের কাউকেই পাইনি।
নীলিমা বারান্ধা থেকে চলে গেলো।হঠাৎ কল আসলো।
-হ্যালো,মিস্টার
-ভুলে গেলেন।ওই যে রক্তিম।
-তো কি জন্য কল।
-বলছিলাম,আপনি আমার আর নীলিমার জীবন থেকে সড়ে যান।
-কি পাগলের মত কথা বলছেন।
-ঠিকই বলছি।বলেছিলাম না ফ্রেন্ডের চেয়েও বেশি।সে আমাকে ভালোবাসে।
-মিথ্যা।সব মিথ্যা।
-ওকে তোমাকে কিছু ফটো দিচ্ছি।
টুট…..টুট

একটু পর ফোনে শব্দ হল।ফোনের ম্যাসেজ আসছে।চেক করে দেখলাম কিছু ফটো।মাথা প্রচন্ড গরম হয়ে গেলো ফটো দেখে।নীলিমা আর তার কিছু ছবি।হয় কপিসপ,সপিংমল এবং পার্কে নীলিমার সাথে তোলা সেল্ফি।

নীলিমাকে ডাকলাম।
-হ্যা বল কি?
নীলিমাকে ছবিগুলো দেখালাম।নিলিমা অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে।
-এইগুলো কি?কে সে?এখন বুঝতে পারছি।
-আমাকে বোঝানোর সুযোগ দেও?
ঠাস……
-আর দরকার নেই।আমি সব বুঝে গেছি।
এই বলে রুম থেকে বেড়িয়ে গেলাম।.
.
.
..
.
.
.
চলবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here