“ক্রাসের_সাথে_ডাইরেক্ট_বিয়ে পার্ট-৫

#ক্রাসের_সাথে_ডাইরেক্ট_বিয়ে
#লেখক_নীলার_আব্বু

পার্ট-৫

-হুম।চল।
একে একে সবাই গাড়িতে উঠে পড়লাম।গাড়ি স্টার্ট করে দেয়।অনেক আনন্দের সাথেই যাত্রা শুরু করলাম।

আবির গাড়ি ড্রাইব করছিল।সামনের সিটে মেঘা।পেছনের সিটে মেঘা।জানালা দিয়ে বাতাস আসছিলো।সেই বাতাসে নীলিমার চুলগুলো এসে আমার মুখে পড়ছিলো।বিরক্তিকর লাগলেও বেশ ভালোই লাগছিলো।নীলিমা চুলগুলো কানে গুজে দেয়।যাইহোক আমি নীলিমার আরো কাছে এসে তার কাধে মাথা রেখে চোখ বন্ধ করে ফেলি।আর মুখের মাঝে তলিয়ে যাই।

———————–
“না,আমি কিছু শুনতে চাই না।কেনো আবার কল করলে।চলে গেলে সো যাও আবার কেনো”
এরকম কিছু শব্দ কানে আসছিলো?চোখে খুলে মাথা উঠিয়ে দেখি নীলিমা জানি কার সাথে কথা বলছে। ফোনটা কেটে দেয়।
“ব্যাপারটা কি হল”।
-কে কল করেছিল?
-হুম।কি?
-বলছিলাম কে কল করেছিল?
-না কেউ না।মানে তেমন কেউ না।
বলেই মুখটা জানালার দিকে ফিরিয়ে নিল।
গাড়ি চলছিল।সামনের সিটে আবির আর মেঘা কথা বলেই যাচ্ছিলো।আমি নীলিমার পাশ থেকে একটু সরে জানালার দিকে গিয়ে বাইরে তাকিয়ে থাকতে থাকলাম।
-আচ্ছা,আবির কক্সবাজার এ তো রাতে রওনা দেয়।কিন্তু আমরা সকালে যাচ্ছি কেনো?
-আরে বুঝিস না।আমাদের পৌছাতে পৌছাতে রাত হয়ে যাবে।আর রাতে গেলে তো আমি আমার বউ আর তুই ভাবিকে আলাদা সময় দিতে পারবি।
-হুম।
নীলিমার দিকে তাকালাম।দেখে বুঝা যাচ্ছে তার মনটা উদাসীন।
ভাবলাম তাকে জিজ্ঞেস করব।কিন্তু কেনো গিয়ে করতে পারলাম না।

—————————

গাড়িতে থেকে নামতে শুরু করি।কক্সবাজার এ পৌছে গেলাম।একটা হোটেলে উঠে পড়লাম।
-এই নে চাবি। (আবির)
-হু।
-৩৬ নাম্বার টা তোর রুম।আর ৩৫ নাম্বারটা আমার রুম। তোর সাথেরই রুম।
-আচ্ছা।

নীলিমার কাছে গিয়ে নীলিমাকে ডাক দিলাম,নীলিমা।
কোনো উত্তর নেই।
-নীলিমা।
-********
-এই যে ম্যাডাম।
তার গায়ে ধাক্কা দিয়ে,
-হ্যা হ্যা কি?
-কোথায় হারিয়ে গিয়েছিলেন?
-না,কোথাও না।
-আচ্ছা,চলুন।
-কোথায়?
-কোথায় আবার, রুমে।
-আচ্ছা।

তারপর নীলিমাকে নিয়ে রুমে চলে গেলাম।রুমে গিয়ে ব্যাগ রাখলাম।এরপর নিজের কাপড় নিয়ে চলে যাই ওয়াসরুমে।
গোসল করে বেড়িয়ে দেখি নীলিমা রুমে নেই।চারপাশ দেখলাম।না নেই।কিন্তু কিছু কথার আওয়াজ পাচ্ছিলাম।আওয়াজ বারান্দা থেকে আসছিলো।আমি বারান্ধার কাছে গিয়ে দাড়ালাম।
-না,এটা আর সম্ভব না।তুমি চলে যাও।আমার আর দরকার নেই।সো প্লিজ যাও। (নীলিমা)
আমি বারান্ধায় গিয়ে বললাম,নীলিমা
নীলিমা চমকে যায়।দ্রুত ফোন কেটে দেয়।
-তুমি?
-নীলিমা,তুমি সত্যি বলবে কি হয়েছে?প্লিজ।
নীলিমা মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছে।কিছু বলছে না।
-কি হল কিছু বলবে না?
আমি আমার হাত নীলিমার কাধে রাখলাম।
-দেখো,আমার এখন একটুও ভালো লাগছে না।আমি তোমাকে সব পড়ে বলব।এখন আমাকে প্লিজ একটু একা ছেড়ে দেও।
নীলিমা আমার হাত তার কাধ থেকে সড়িয়ে বারান্ধা থেকে চলে গেল।আমি শুধু সেখানে দাড়িয়েই রইলাম।রুমে গিয়ে দেখলাম সে ওয়াসরুমে গিয়েছে।আমি সোফায় গিয়ে বসলাম।সোফায় হেলান দিয়ে ভাবছি নীলিমার কি হল,সে এমন কেনো করছে।কেই বা তাকে কল করছে?

————–
নীলিমা ওয়াসরুম থেকে এসে দেখে আমি সোফায়ই ঘুমিয়ে পড়েছি।নীলিমা কিছুক্ষণ আমার দিকে তাকিয়ে থাকল।পরে বিছানা থেকে একটা কম্বল নিয়ে আমার গায়ে দিয়ে দিল।আর আমার মাথায় একটা ভালোবাসার পরশ একে চলে গেল।
—————

সকালের আলো আমার মুখের উপর পড়ল।চোখ খুলে নিজেকে সোফায় পেলাম।আমার উপর একটা কম্বল দেয়া ছিলো।কিন্তু আমি যতোটুকু জানি আমি এভাবেই শুয়ে পড়েছিলাম।তার মানে! উঠে দেখি নীলিমা বিছানায় ঘুমাচ্ছে।তার ঘুমন্ত মায়াবী চেহারা আমাকে তার দিকে আকর্ষণ করছিল।আমি বারান্ধায় চলে গেলাম।কেনো জানি এক খারাপ লাগছে
.
.
.
.
.
চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here