গোধূলি বেলায় পর্ব ৭

#গোধূলি_বেলায়
#পর্ব_7

এরপর কেটে গেছে বেশ কিছুদিন।
আনন্দিকে হসপিটাল থেকেও নিয়ে আসা হয়েছে কয়েকদিন আগে। এতো অবশ্য বাসার কেউ আপত্তি করে নি। বরং খুব ভালোভাবে গ্রহন করেছে সবাই আনন্দিকে। আর মনোয়ারা বেগম তো চব্বিশ ঘন্টা আনন্দির সাথে লেপ্টে থাকেন।
আনন্দির কখন কি লাগবে কখন কোন ঔষধ খেতে হবে সব কিছু উনি দেখেন। আনিসুর হক অবশ্য বলেছিলেন একটা নার্স রাখার কথা কিন্তু তিনি রাজি হন নি। তিনি নিজেই পারবেন তার মেয়ের দেখাশোনা করতে।
বাসার অন্য সবার সাথেও অনেক ভাল সম্পর্ক হয়ে গেছে আনন্দির। আসলে সমাপ্তর বাসার সবাই অনেক ভাল আর মিশুক। আর আনন্দির সম্পর্কে জানার পর সবাই আনন্দির প্রতি আরও বেশী কেয়ারফুল হয়ে গেছে। ফলে আনন্দিকে তারা তাদের বাড়ির একজনই মনে করে।

সমাপ্তর সাথেও আনন্দির বেশ ভাল সম্পর্ক হয়েছে এই কয়েকদিনে। ওদের সম্পর্কটা এখন বন্ধুর মতো। কলেজের পড়াশোনাতেও সমাপ্ত আনন্দিকে সাহায্য করছে কারন আনন্দি কলেজে যেতে পারছে না কিছুদিন।সমাপ্তর সাথে কথা বলে ওর আগের ভুল ধারনাটাও কমেছে অনেকাংশে।
এখন আনন্দির আর নিজেকে এতোটা ছোট লাগে না। জীবনের যেন আলাদা একটা মানে খুজে পেয়েছে এখানে এসে। জীবনটাকে ও নতুন করে চিনতে শিখছে, আবার বাঁচার অনুপ্রেরণা পেয়েছে। আর এসব সমাপ্তর জন্য হয়েছে বলে আনন্দি মনে করে। তাই সমাপ্তর প্রতি আনন্দি কৃতজ্ঞ।

আর হয়তো এই কৃতজ্ঞতার জন্য যদি কোন দিন আনন্দিকে জীবন দিতে হয় তাহলেও ও একবারও ভাববে না। কারন এতোদিন আনন্দি একটা জীবন্ত লাস হয়ে বেঁচে ছিল। জীবনের আসল মানে ও এতোদিন বুঝে নি।
বুঝে নি বাবা মায়ের ভালবাসাটাও। অনেক ছোটতে মা মারা গেছেন আর তারপর থেকে বাবা থেকেও নেই। তাই বাবা মার ভালবাসা আনন্দি প্রায় ভুলতেই বসেছিল।
এখানে এসে ও সব কিছু পেয়েছে, পেয়েছে বাবা মা ভাই বোন আর সমাপ্তর মতো একটা ভাল বন্ধু। এসবই হয়েছে সমাপ্তর জন্য।
আনন্দি মনে হচ্ছে এতোদিনে ধুকে ধুকে মরার থেকে একদিনে ভালভাবে জীবনের স্বাদ নিয়ে মরে যাওয়াতেও সুখ আছে।
এতোদিনের বেঁচে থাকাটাকে আনন্দি বেঁচে থাকা মনে করে না, এখন ও বাঁচতে শিখেছে আর তাই এখন যদি মরেও যায় তাতেও ওর কোন কষ্ট থাকবে না। কারন একজীবনে যা পাওয়ার সবটা পেয়ে গেছে ও।

সমাপ্তর মাকে মা বলেই ডাকে আনন্দি। মনোয়ারা বেগমও আনন্দিকে নিজের মেয়ের মতো ভালবাসে। মনে মনে বলেন, এমন মিষ্টি একটা মেয়ে মনে হয় যেন সারাদিন পুতুলের মতো করে সাজিয়ে রাখি। ইস এই পুতুলটাকে যদি সারাজীবন নিজের কাছে রেখে দিতে পারতেন। কিন্তু এটা কি সম্ভব।

সমাপ্তর বাবা খোজ নিচ্ছে, আনন্দিকে তো আর এভাবে রেখে দেওয়া যায় না। যার মেয়ে তাকে ফেরত দিতে হবে তাই ওর বাবার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছেন উনি।
মনোয়ারা বেগম বেশ কয়েকবার বলেছেন কোন দরকার নেয় এমন বাপের কাছে আনন্দিকে পাঠানোর, মেয়ের কোন খোজ রাখে না। সৎ মা তো এমন হবেই, উনার কি উচিত ছিল না আনন্দির খোজ রাখা। ও কেমন আছে জানা। তিনি যখন এমনটা করেন নি তখন আমাদেরও দায় পরে নি তার মেয়েকে তার কাছে ফিরিয়ে দেবার।
কিন্তু আনিসুর হক তা কানে তোলেন নি। তার মতে অন্যের মেয়েকে এভাবে রাখতে তিনি পারেন না। তার বাবাকে জানানোটা অতি অবশ্যকীয়।

আনিসুর রহমান একদিন এসেছিলেন আনন্দির সাথে কথা বলতে। আসলে ওর বাবার সম্পর্কে জানতে, উনি কোথায় থাকে এসব। যতোই হোক আনন্দিকে তো আর তারা সারাজীবন রেখে দিতে পারবেন না। তাই ওর বাবার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছেন।
কিন্তু আনন্দির বাবা দেশ ছেড়ে যাবার পর আর কারও সাথে কোন যোগাযোগ রাখেন নি। মাঝে মাঝে শুধু বউ বাচ্চাদের সাথে কথা বলা ছাড়া আরও কারও সাথে কোন যোগাযোগ উনি করতেন না।
আনন্দির বাবার বন্ধুমহলের সাথে কথা বলেছেন উনি। কিন্তু কেউ আনন্দির বাবার খোজ দিতে পারে নি। আর আনন্দির সৎ মা তো কিছুতেই ওর বাবার ঠিকানা দিবে না। তাই এখন একমাত্র উনার ফিরে আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করা ছাড়া আর কোন উপায় নেই।

এতে অবশ্য কারও কোন সমস্যা নেয়। বরং সবাই বেশ খুশি হয়েছে আনন্দি আপাতত এ বাড়ি ছেড়ে যাচ্ছে না তাই। সবথেকে বেশী খুশি হয়েছে মনোয়ারা বেগম। তিনি তো শুনে আনন্দে কেঁদে ফেলেছিলেন। আনিসুর হক তার স্ত্রীর দিকে তাকিয়ে একটা রহস্যময় হাসি দিয়েছিলেন। মনোয়ারা বেগমকে এতোটা খুশি হতে উনি শেষ কবে দেখেছিলেন তা মনে করতে পারলেন না।
আনন্দিকে যে তার ভাল লাগে নি তা না। কি সুন্দর পিচ্চি একটা মেয়ে। এই মেয়েকে দেখে মনেই হয় না ও কলেজে পড়ে। মনে হয় যেন সারাদিন ঘাড়ে করে ঘুড়িয়ে নিয়ে বেড়াতে।
আনন্দিকে পেয়ে বাসার সবাই অনেক খুশি হয়েছে। বিশেষ করে সমাপ্ত, ও একটা এতো ভাল বন্ধু পেয়েছে। সারাটা দিন ওর কাটে আনন্দির সাথে খুনসুটি করতে করতে।

কিন্তু আমাদের এই গোড়া সমাজের কাছে হেরে যেতে হল সবাইকে। আমাদের সমাজ কোন কিছুই ভাল চোখে দেখে না। সমাজের তথাকথিত উচ্চ শ্রেনীর মানুষদের কাজ হল অন্যের গায়ে কালি ছিটানো। এক্ষেত্রে কেউ কাউকে ছাড় দেয় না। আনন্দির ক্ষেত্রেও তা হয় নি।
আনন্দির সমাপ্তদের বাসায় আসা নিয়ে ওই এলাকায় নানা কথা ছড়িয়ে পড়েছিল। সবাই বলাবলি শুরু করে দিল যে আনন্দির সাথে সমাপ্তর কোন সম্পর্ক আছে। আর সে জন্যই আনন্দি ঘর ছেড়ে নিজে থেকেই চলে এসেছে।
এছাড়াও আরও নানা ধরনের বাজে কথা শোনা যায় পুরো এলাকা জুরে। মেয়েরাই যে মেয়েদের সম্মান রক্ষা করতে পারে না তারও নানা উদাহরণ দেখা গেল। এই বিষয়টাতে মেয়েরাই সবথেকে বেশী অগ্রগামী ভুমিকা পালন করল ।
আনন্দিকে ওরা পতিতার শ্রেনীতে নামাতে একবারও ভাবল না। এতোটা নীচ যে মানুষ হতে পারে তা ভাবা যায় না।

এসব কথায় কেউ এতোদিন কান না দিলেও বিপত্তি বাধল যখন এলাকার লোকজন বাড়ি এসে নানা বাজে কথা বলা শুরু করল।

সমাপ্ত আনন্দিকে বাসায় এনেছে কিন্তু এখনও কেন বিয়ে করে নি এটাও তাদের একটা টপিক ছিল। কেউ কেউ বলেই ফেলল, গরীব ঘরের মেয়ে নিয়ে এসেছে মজা করতে। মজা শেষ হলেই ছুড়ে ফেলে দিবে।
কথাগুলো আনন্দির বুকে গিয়ে আঘাত করল। গরীব ঘরের মেয়েরা কি এতোটাই ফেলনা যে টাকার জন্য তারা এমন কাজ করবে। আসলে আমাদের সমাজের উচ্চশ্রেণীর কিছু মানুষরা তাদের নিচু শ্রেনীর মানুষদের মানুষ মনে করে না। তারা যেন জড় বস্ত যা টাকা দিলেই হাতের মুঠোই চলে আসবে এমনটা ভাবে।

তারা তথা কথিত নারী বাদি সংস্থার সাহায্য নিল আনন্দিকে তার যোগ্য অধিকার ফিরিয়ে দেবার জন্য। কিন্তু কেউ একবারও আনন্দির কথা শুনতে চাইলো না, জানতে চাইলো না আনন্দি কি চায়। আনন্দি জবানবন্দি যে এ ক্ষেত্রে প্রয়োজন তা কারও মনে হল না। আসলে একে অন্যের সম্মান নিয়ে খেলার সময় আর উচিত অনুচিত নিয়ে ভাবলে চলে না।

তাদের কথায় সবার কান ভারি হয়ে উঠছিল। কি করবে বুঝতে পারছে না কেউ।
যাই হোক আমরা তো সামাজিক জীব আর সমাজ নিয়েই আমাদের থাকতে হয়। তাই সমাজকে আলাদা করে আমাদের বেঁচে থাকা অসম্ভব।
কিন্তু সেই সমাজই যখন কিছু মানুষকে ভালভাবে বাচতে দেয় না তখন আর কারও বলার কিছু থাকে।

এতোসব খারাপ কথা শোনার পর আনন্দি সিধান্ত নিল ও কোন হোস্টেলে গিয়ে থাকবে। এতে হয়তো আর কারও কোন সমস্যা হওয়ার কথা নেই। আসলে কথাই আছে ”
অভাগা যেদিকে যায়
সাগর শুকিয়ে যায়। ”
আনন্দিরও হয়েছে সেই অবস্থা। এতোদিন পর যেই একটু সুখের মুখ দেখলো সেটাও দীর্ঘস্থায়ী হল না। কিন্তু কি আর করার ও তো আর পারে না নিজের সুখের কথা ভেবে এই পুরো পরিবারটাকে সমাজে এমন হেনস্তা করতে।

কিন্তু সমাপ্ত’র মা আনন্দির সেই সিধান্তে মোটেও সাই দিলেন না। বরং তিনি একটা কঠিন সিধান্ত নিলেন। তিনি জানেন না তার এই সিধান্ত পরিবারের বাকিরা কিভাবে নেবে কিন্তু উনার কাছে মনে হল এটাই সবথেকে ভাল উপায় সবার মুখ বন্ধ করার।

মনোয়ারা বেগম সবাইকে হলরুমে ডাকলেন। বললেন, আমি চাই সমাপ্তর সাথে আনন্দির বিয়ে দিতে। তোমাদের সবার কি মত বল।

কথাটা শুনে সমাপ্ত যেন আতকে উঠল। হ্যা ওর আনন্দির জন্য খারাপ লাগছে। ও কিছুতেই চায় না এই ভাল মেয়েটার সাথে এতো খারাপ কিছু হোক। ওরা অনেক ভাল বন্ধু।কিন্তু তাই বলে তাকে বিয়ে করতে পারবে না।
কেবল কলেজে পড়ছে ওরা, এখনও পুরো জীবনটা বাকি। আর আনন্দিকে ও সেই চোখে কখনও দেখে নি।
আর ভালবাসা ছাড়া একটা সম্পর্ক সারাটা জীবন টেনে নিয়ে যাওয়া যায় না। এতে জীবন তো চলে যায় কিন্তু তার গ্লানিটা থেকেই যায়। আর এই গ্লানি নিয়ে আর যেই পারুক সমাপ্ত তার জীবনটা শেষ করতে পারবে না।
আজ হয়তো ও চুপ থাকলে সবাই ওকে অনেক ভালো বলবে কিন্তু তার জন্য জীবনটা বাদ দেওয়া যায় না।

সমাপ্ত সোফা ছেড়ে দাড়িয়ে সবার উদ্দেশ্যে বলে, আমি এখন কিছুতেই বিয়ে করতে পারব না। আর তোমাদের যদি আমাদের দুইজনকে নিয়ে সমস্যা হয় তো আনন্দি বাসায় থাক, আমি বাড়ি ছেড়ে চলে যাব। তাহলে তো আর আমাদের জড়িয়ে কেউ কিছু বলবে না। কিন্তু বিয়ে আমি কিছুতেই করব না।

সমাপ্ত কথাগুলো বেশ শান্তভাবে বললেও তার গলার মধ্যে কঠোরতা ছিল অনেক। সবাই সমাপ্তর এইভাবে কথা বলা শুনে বেশ চমকালো। সবসময় শান্তশিষ্ট থাকা ছেলেটা যে এমন করে কথা বলতে পারে তা সবারই ভাবনার বাইরে ছিল।
কিন্তু মনোয়ারা বেগম যেন কিছু শুনেন নি এমনভাবে দাড়িয়ে রইল। সমাপ্ত তার কথাগুলো বলে হনহন করে নিজের ঘরে চলে গেল।
মনোয়ারা বেগম আবারও সবার দিকে তাকিয়ে বলল, তোমাদের কি আমার কথার বিরুদ্ধে কিছু বলার আছে?

সাহিল বলল, কিন্তু মা সমাপ্ত তো চাইছে না। তাহলে তো একথার কোন মানে হয় না।

– তোমাদের কিছু বলার আছে কি না আমি জানতে চাইছি। সমাপ্তর বিষয়টা আমি দেখব।

আনিসুর হক বলল, আমার আনন্দিকে ছেলের বউ করতে কোন সমস্যা নেই। মেয়েটা অনেক ভাল, আমার বেশ পছন্দ। কিন্তু আমি ভাবছি ওর পরিবারকে না জানিয়ে এতো বড় সিধান্ত নেওয়া ঠিক হবে কি?

– মনোয়ারা বেগম আনিসুর হকের দিকে তাকিয়ে বলল, রাখো তো তোমার এসব কথা। এই যে এতোদিন ধরে ও এখানে আছে কেউ খোঁজ নিতে এসেছে। এখন আসছে ওর পরিবার নিয়ে, আমি ওর পরিবারের কথা ভাবছি না। আর এখন যদি ওর পরিবার আসেও আমি আনন্দিকে কিছুতেই ফিরিয়ে দেব না। ও আমার মেয়ে।

আনিসুর হক মনোয়ারা বেগমের দিকে একবার তাকিয়ে আবার নিজের কাজে মন দিলেন। উনি মনোয়ারা বেগমকে বেশ ভালভাবে চিনেন, উনি যা মনে করেন তা করবেন তাই তিনি এটা নিয়ে বেশী ঘটালেন না। সাহিলও আর কিছু বলল না।
আর আরফা তো খুশিতে লাফাচ্ছে। সমাপ্তর বিয়ে নিয়ে অর্ধেক প্লান করা ওর শেষ। ইভেন কি কি শপিং করবে তার লিস্ট করতেও বসে পড়েছে।

আনন্দি অনেক চেষ্টা করল বিয়েটা আটকানোর। কিন্তু কিছুতেই কোন উপায় হলো না। সমাপ্তর সাথে কথা বলার চেষ্টা করেও কথা বলতে পারল না।
সমাপ্ত এই বিয়েতে রাজি কিনা তাও জানা হলো না আনন্দির।
আর সমাপ্ত তার পর দিন থেকে বাসার কারও সাথে কথা বলে না। কোথায় থাকে কি করে তার কোন খবর রাখে না কেউ। সবাই শুধু মাত্র বিয়ে নিয়েই ব্যস্ত।

অবশেষে সমাপ্তর ইচ্ছা না থাকাও সত্তেও বিয়েটা হয়েই গেল। ঘরোয়া ভাবে বেশ কিছু আত্মীয়- সজনদের উপস্থিতিতে বিয়েটা হয়ে গেল। সমাপ্ত আগের মতো নির্বিকার। বিয়ে নিয়ে ওর মুখে আলাদা কোন এক্সপ্রেশন নেই।
আনন্দি বেশ অনেকটা সময় নিয়ে সমাপ্তর দিকে তাকিয়ে ওর মনটা বোঝার চেষ্টা করল কিন্তু বুঝতে পারল না।
তবে আনন্দি নিজেকে মনে মনে বেশ প্রস্তুত করে নিয়েছে। ও জানে ওর মতো মেয়েকে হয়তো বন্ধু জায়গাটা দেওয়া গেলেও ভালবাসা দেওয়া যায় না। আর এর বেশি যদি ও কিছু পায় তাহলে সেটা ভাগ্য।
অবশ্য আগে আনন্দি ভাগ্যের উপর বিশ্বাস করত না কিন্তু এখন এতো কিছু পাওয়ার পর কিছুটা বিশ্বাস করে। কিন্তু তবুও এতোটা পাওয়া কি সত্যি জুটবে ওর কপালে তা ও জানে না।
জানতেও চায় না। ও তো জানে এতোটা পাওয়ার জন্য যদি সমাপ্ত ওর জীবনটা চায় তাহলে ও সেটাও দিতে রাজী হয়ে যাবে সেখানে এই বিয়েটা কিছুই না।

চলবে,,,,,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here