গোধুলী বেলায় পর্ব ৬

#গোধূলি_বেলায়
#পর্ব_6

প্রথমে সবাই অনেক রাগ করলেও সমাপ্তর মুখে সবটা শুনে কেউ আর কিছু বলল না। শুধু ওর বাবা আনিসুর রহমান বলেন, আর যেন এমনটা না করে, বাসায় এটলিস্ট জানিয়ে দেওয়া উচিত ছিল।সারাটা রাত কেউ দুই চোখের পাতা এক করতে পারে নি। পরে যেন এমন ভুল না হয়।

সমাপ্তর মা মনোয়ারা বেগমের চোখটা যেন জলজল করে ওঠে। উনার একটা মেয়ের খুব শখ ছিল কিন্তু আল্লাহ্ তার কোল আলো করে কোন মেয়েও দেননি। তার পর পর দুটোই ছেলে। তাই মেয়ের উপর উনার আলাদা একটা আকর্ষণ থাকে সবসময়। সবসময় মনে হয় যদি একটা মেয়ে থাকত! তাইতো বড় ছেলের বউ আরফাকে উনি দুচোখে হারান। ছেলেদের থেকে বেশী ভালোবাসেন তিনি আরফাকে। তার মাঝে মাঝেই মনে হয় সমাপ্তটারও বিয়ে দিয়ে দিবেন তাহলে তার দুটো মেয়ে হয়ে যাবে।

আরফাকে এতো ভালবাসার জন্য তার দুটো ছেলেরই সে কি হিংসা! মাঝে মাঝেই বলে মা আমাদের কি তুমি ড্রেনের পাশ থেকে কুড়িয়ে এনেছিলে। আমাদের একটুও ভালবাস না। তোমার জন্য মেয়েই সব। মনোয়ারা বেগম ছেলেদের এমন কথা শুনে মনে মনে হাসেন। এখন ছোটটার বিয়ে দিতে চাইলে হয়তো কাঁচায় খেয়ে ফেলবে তাকে।

সবাই যে যার ঘরে চলে গেলে উনি যান সমাপ্তর ঘরে। তখন সমাপ্ত কেবল ফ্রেস হয়ে ওয়াসরুম থেকে বের হয়েছে। মনোয়ারা বেগম বিছানার উপর বসে বলে, হ্যা রে মেয়েটার কি অনেক বেশী লেগেছে?

– কি করে বলব মা আমি তো আর ডাক্তার না। কিন্তু আই সি ইউ তে আছে। এখনও জ্ঞান ফেরে নি।

– মেয়েটার বাবা মা এসেছে? অনেক কান্নাকাটি করছে বুঝি?

– সেটাই তো সমস্যা মা। ওর ঠিকানা আমরা কেউ জানি না। তাই এখনও বাসায় খবর দিতে পারি নি আর কেউ আসেও নি।

– কেন? তুই না বললি তোর কলেজে পড়ে?

– কলেজেরই তো। কিন্তু আলাদা ডিপাটমেন্ট।কখনও কথা হয় নি, তাই ঠিক ভাবে চিনি না।

– তাহলে এখন উপায়?

– একটাই উপায়, ওর জ্ঞান ফেরা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। ওর জ্ঞান ফিরলে ওর থেকে জানা যাবে ওর ঠিকানা সম্পর্কে।

– জ্ঞান কখন ফিরবে?

– ডাক্তার বলেছে আটচল্লিশ ঘন্টার মধ্যে।

– কোন হসপিটালে ভর্তি আছে?

সমাপ্ত চোখ পিটপিট করে বলল, তুমি কি ওখানে যাওয়ার মতলব করছ নাকি।

– এতো কথা বলিস কেন যেটা জিজ্ঞেস করেছি সেটা বল।

– বলছি কি সাধে, তোমার তো আবার এতটা মেয়ের খুব সাধ ছিল। তাই তো পৃথিবীতে তুমি যতো মেয়ে দেখ সবাইকে নিজের মেয়ে মনে কর। কিন্তু আমার বোনের কোন সাধ নেই মা।

– তোর বোন বানাতে হবে কে বলেছে। আমার মেয়ে হলেই যে তোর বোন হবে সেটা তো না।

– মানে! কি বলছ তুমি বলত?

– কিছু না তুই হসপিটালের ঠিকানাটা দে।

সমাপ্ত ওর মাকে হসপিটালের ঠিকানা দিয়ে কলেজের জন্য বেড়িয়ে যায়।

মনোয়ারা বেগম সংসারের সব কাজ শেষ করে বিকেলের দিকে আরফাকে নিয়ে যায় হসপিটালে। আগে থেকেই সমাপ্তর কাছে উনি সব জেনে নিয়েছিলেন। হসপিটালে গিয়ে আনন্দির নামটা বলতেই একজন নার্স ওদের আনন্দির কাছে নিয়ে যায়। তবে বেশী সময় থাকবে পারবে না এও বলে আসে।

মনোয়ারা বেগম আর আরফা দেখে আনন্দি হসপিটালের বেডটাতে শুয়ে আছে। এখনও ওর জ্ঞান ফেরে নি। মাথা আর হাতে ব্যান্ডেজ করা। হাতটা ভেঙ্গেছে। মুখটা মলিন হয়ে আছে। মুখের দিকে তাকিয়ে মনোয়ারা বেগমের বুকটা কেঁপে উঠলো। না জানি কার নাড়ি ছেড়া সন্তান ও। মুখে দিকে আরও একবার তাকিয়ে এগিয়ে গেলেন আনন্দির দিকে।

কি জানি তার কি হল। হঠাৎ করে ঝাপটে ধরলেন অজ্ঞান আনন্দিকে। এমনভাবে ধরলেন যেন বুকের সাথে পিসে ফেলবেন উনি। আরফা উনার এমন কাজে প্রচন্ড আশ্চর্য। এমন একটা অপরিচিত মেয়েকে এভাবে ঝাপটে ধরার কোন কারন সে খুজে পাচ্ছে না। একটু দুরে থাকা নার্সটা ছুটে আসল। পেসেন্টের গায়ে তখনও হাজারটা মেশিন লাগালো এমন অবস্থায় এভাবে ঝাপটে ধরলে তো কোন মেশিন ডিসকানেক্ট হতে পারে। তখন তো রোগীর মৃত্যু অনিবার্য।

নার্স এসে মনোয়ারা বেগমকে আনন্দির থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে যেতে চাইল। কিন্তু পারল না। নিচের দিকে তাকিয়ে দেখল আনন্দি তার একটা হাত দিয়ে মনোয়ারা বেগমের হাতটি হালকা করে ধরে আছে। আর সেই সাথে পিট পিট করে চোখ দুটো খোলার চেষ্টা করছে। নার্স এটা দেখে মনোয়ারা বেগমের হাতটা ছেড়ে দৌড় লাগাল ডাক্তারের রুমের দিকে।

মনোয়ারা বেগম আনন্দির কাছে গিয়ে ওর সারা মুখে হাজারটা চুমু দিয়ে বলল,, আজ থেকে তুই আমার মেয়ে। আমার মেয়ে।

এরমধ্যে রুমে ঢুকল ডাক্তার। আনন্দির কিছু চেকআপ করে দেখলেন সব নরমাল। এখন ঠিক আছে আনন্দি। আর ভয়ের কোন কারন নেই। একটু পরে নার্সকে বলে আনন্দিকে কেবিনে সিফট করে দিল।

সেই যে কেবিনে দেওয়ার পর থেকে আনন্দির একটা হাত ধরে বসেছেন মনোয়ারা বেগম। এখনও তিনি বসেই আছেন। না উনি হাতটা ছাড়ছেন না নিজে উঠছেন। এর মধ্যে নার্সের সাথে কথা বলে হসপিটালের ক্যান্টিন থেকে আনন্দির জন্য কিছু তরল খাবার এনে খাইয়ে দিয়েছে আরফা।

এখন প্রায় রাত নয়টা মতো বাজে। সমাপ্ত এসেছে ওর মাকে নিতে। আনন্দির জ্ঞান ফেরার পর একবার এসেছিল আনন্দির থেকে ওর বাড়ির ঠিকানা নিয়ে বাড়িতে জানানোর জন্য। কিন্তু জ্ঞান ফিরলেও কথা বলতে পারছে না আনন্দি। আর মনোয়ারা বেগমও বেশী চাপ দিতে দিলেন না। তাই আবারও কালকের জন্য অপেক্ষা।

সমাপ্ত অনেক বুঝানোর পর কালকে সকালে আবার এখানে আনার প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পর মনোয়ারা বেগম এসেছেন বাড়িতে।

রাতে সবাই খাবার টেবিলে একসাথে খেতে বসেছে। কিন্তু মনোয়ারা বেগম তখন থেকে ভাত নেড়ে চলেছে খাচ্ছে না। মনোয়ারা বেগমের এই আবস্থা দেখে আনিসুর রহমান বললেন,, কি হল খাচ্ছ না কেন তুমি?

– মেয়েটা যে এখন কি করছে বড্ড চিন্তা হচ্ছে।

সমাপ্ত বড় ভাই সাহিল বলল, এই মেয়েটা আবার কে?
আরফা হেসে বলে, তোমাদের অারও একটা সতীন। বাবাহ্ মা ওকে পেয়ে আমাকেও ভুলে গেল। বিকেল থেকে আমার দিকে একটুও নজর দেয় নি।

– তোর দিকে নজর দেওয়ার কি আছে? তুই কি ওর মত অসুস্থ না কি?

সাহিল আর সমাপ্ত একসাথে হেসে উঠল। এতোদিন আরফা ওদের উপর ছড়ি ঘুরিয়েছে আর সাপোর্ট দিয়েছে মা। কিন্তু মা আজ অন্য একজনের জন্য আরফাকে এমন ধমক দিতে দেখে বেশ আনন্দ পেয়েছে দুজনেই।

ওদের দুজনকে হাসতে দেখে প্রায় কেঁদে দেয় আরফা। মনোয়ারা বেগম বলে ওঠেন, তোরা আরফাকে নিয়ে একদম হাসবি না। আর হাসলে তোদের কাল সারাদিনের ভাত বন্ধ।

সমাপ্ত বিরবির করে বলে ওঠে, পুরান পাগলে ভাত পায় না নতুন পাগলের আমদানি।

সাহিল সমাপ্তর পাশেই বসা ছিল। তাই সমাপ্তর কথাটা ও শুনে ফেলেছে। ফিসফিস করে বলল, ঠিক বলেছিস ভাই। এতোদিন একটা কি কম ছিল যে আরও একটা জুটে গেল।

মনোয়ারা বেগম দুজনকে ফিসফিস করে কথা বলতে দেখে বলল, এই তোরা ফিসফিস করে কি বলিস? যা আজ তোদের ভাত বন্ধ। যা ওঠ টেবিল থেকে।

আমদের সত্যি বোধ হয় কোন ডাস্টবিনের পাশ থেকে কুড়িয়ে এনেছিলে, তাই আমাদের উপর কোন মায়া মমতা তোমার নেই । চেয়ার ছেড়ে উঠতে উঠতে সমাপ্ত কথাটা বলেই হনহন করে চলে যায়।

মনোয়ারা বেগম চিল্লায়া বলেন আমার তো কাজ নেই তোদের কুড়িয়ে আনতে যাব। সেটা হলে মেয়ে নিয়ে আসতাম রে ছেলে না।

তাহলে আমাদের কারও সাথে বদলিয়ে নিতে পারতে। এবার চেয়ার ছেড়ে দাড়িয়ে সাহিল বলল।

– বদলিয়েই তো নিচ্ছি বিয়ে দিয়ে। তোদের বিয়ে দিয়ে একটা করে মেয়ে ঘরে আনব বলেই তো এতোদিন পেলেপুসে বড় করেছি।

সাহিল একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে সমাপ্তর মতো হনহন করে চলে গেল। আর আরফা হাসতে হাসতে যেন মাটিতে গড়িয়ে পড়ে।

পরের দিন সকাল সকাল হসপিটালে উপস্থিত হন মনোয়ারা বেগম। তখন আনন্দিকে একটা নার্স কেবল সকালের খাবার খাওয়াচ্ছিল। মনোয়ারা বেগম গিয়ে খাবারটা নিজে হাতে নিয়ে বললেন তিনি খাইয়ে দেবেন। নার্স কিছু বলল না। তার আরও অনেক পেসেন্টের এমন খাওয়াতে হবে একটা কমলে ওদেরই ভাল।

মনোয়ারা বেগম আনন্দিকে খাওয়াচ্ছে আর আনন্দি হা করে মনোয়ারা বেগমের দিকে তাকিয়ে আছে। এমন সময় কেবিনে ঢুকে সমাপ্ত আর আর ওর কয়েকটা বন্ধু। সমাপ্তই প্রথম কথা বলে,, এখন কথা বলতে পারবে তো?

আনন্দি মাথাটা দুদিকে দুলিয়ে বোঝায় যে সে পারবে। সমাপ্ত তখন আনন্দিকে ওর বাসার ঠিকানা আর বাবা মার ফোন নাম্বার চায়। এটা শুনে আনন্দির যেন শুকনা মুখটা আরও শুকিয়ে যায়। সবাই লক্ষ করে সেটা কিন্তু খুব একটা পাত্তা দেয় না।

আনন্দি ওর বাসার ঠিকানাটা দেয়। সমাপ্তরা বেড়িয়ে যায় কলেজে। কলেজ শেষে আনন্দির বাসায় যাবে বলে সিধান্ত নেয়।

আনন্দির বাসায় বেশ উৎসাহের সাথে গেলেও নিরাস হয়ে ফিরে আসতে হয় ওদের। হসপিটালের গেট দিয়ে ঢুকতেই সমাপ্ত দেখে ওর মা বসে আছে বাইরে। সমাপ্ত এসে জিজ্ঞেস করল বাইরে কেন বসা?
উনি উত্তরে বললেন, ডাক্তার চেকআপ করছে তাই তিনি বাইরে বসে আছে।

তারপর সমাপ্তর দিকে তাকিয়ে বললেন, তোদের না আজ আনন্দির বাসায় যাওয়ার কথা ছিল? যাস নি?

প্রশ্নটা শুনে সমাপ্তর মুখটা শুকিয়ে গেল। সেখানে গিয়ে যা যা হয়েছে বলল। একজন সৎ মা যে এতোটা খারাপ হতে পারে তার দৃষ্টান্ত আনন্দির মা আলেয়া বেগম।

সমাপ্তরা গেলে তিনি সমাপ্তদের বাসা থেকে বের করে দেন আর বলেন, দুদিন দুই রাত ওই মুখপুড়ি বাড়ি আসে না। পুরো এলাকা রটে গেছে যে আনন্দি ওর প্রমিকের সাথে পালিয়েছে। বাইরে মুখ দেখানো যাচ্ছে না। আমি ওই দুশ্চরিত্রাকে আর কোন মতেই ঘরে তুলতে পারব না। আমার এলাকায় একটা মান সম্মান আছে। ওকে ঘরে তুলে সেটা খুয়াতে পারব না।

সমাপ্তরা যতোই বুঝায় আনন্দির এক্সিডেন্ট হয়েছিল আর এই দুইদিন ও হসপিটালে অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে ছিল। উনি কিছুতেই শুবেন না। উনার এক কথা, এক্সিডেন্ট হয়েছিল নাকি অন্য কিছু হয়েছিল তা তো আমি জানি না বাবা তবে এই নষ্টা মেয়েকে আমি ঘরে তুলতে পারব না। ওর বাপ আসলে তখন নিয়ে এসো। সে যদি মেয়েকে রাখতে পারে তো রাখবে। এর দায়িত্ব আমি নিতে পারব না।

সমাপ্তরা উনাকে অনেকভাবে বোঝাতে চেষ্টা করে কিন্তু ব্যর্থ হয়ে ফিরে আসে। আসলে এসব কিছু না। উনি আনন্দিকে সহ্য করতে পারতেন না। আহসান হোসেন যাওয়ার পর থেকেই যতো ধরনের অত্যাচার করা যায় উনি করতেন আনন্দির উপর যেন আনন্দি বাড়ি ছেড়ে চলে যায় কিন্তু তবুও আনন্দি মাটি কামড়ে পড়ে ছিল। কোথাও যাওয়ার নামটি নিত না। আসলে ওই ছোট্ট বাচ্চাটা এই এতো বড় পৃথিবীতে কোথায় যাবে! কিন্তু একবার যখন সতীনের মেয়েকে ঘাড় থেকে নামানোর সুযোগ পেয়েছেন তখন কিছুতেই হাতছাড়া করবেন না উনি।
পুরো এলাকাতে উনিই রটিয়েছেন যে আনন্দি তার প্রেমিকে হাত ধরে পালিয়েছো।

সবটা শুনে মনোয়ারা বেগম যেন স্তব্ধ হয়ে যায়। একটা মানুষ এতোটা খারাপ কিভাবে হতে পারে। যে মায়া মুখটা দেখে উনি দুদিনেই মেয়েটাকে ভালবেসে ফেলেছেন সেই মায়া মুখটার দিকে তাকিয়ে কি উনার এতোটুকু মায়া লাগত না। একটুও খারাপ লাগত না এতো কষ্ট দিতে। পৃথিবীতে সৎ মা গুলো এমন কেন হয়? তারা ভাল হলে কি পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাবে যে সারাটা জীবন তারা খারাপ হয়ে থেকে যায়।

এমন সময় ডাক্তার বেড়িয়ে আসে কেবিন থেকে। সমাপ্তদের দাড়িয়ে থাকতে দেখে উনি এগিয়ে আসেন ওদের দিকে। তারপর হাসি মুখে বলে, সব ঠিক আছে আপনারা চাইলে কাল পরসুতেই বাসায় নিয়ে যেতে পারবেন। তবে উনাকে প্রোপার রেস্ট আর যত্নে রাখতে হবে।

ডাক্তারের কথা শুনে সবার কপালে যেন ভাজ পড়ে। এখন এই মেয়েকে নিয়ে কি করবে ওরা? কোথায় রাখবে ওকে? ওর বাসাতে তো রাখতে রাজি না তবে এখন উপায়?

হঠাৎ মনোয়ারা বেগম বলে ওঠেন, আমরা কালকেই ওকে নিয়ে যাব। আপনি ব্যবস্থা করুন।

ডাক্তার ওকে বলে চলে গেলে সবাই মনোয়ারা বেগমের দিকে তাকায়। সমাপ্ত কাপা কাপা গলায় বলে, মা বাই এনি চান্স তুমি ওকে আমাদের বাসায় নিয়ে যেতে চাইছো না তো?

– হ্যা ও আমার সাথে আমাদের বাড়িতে যাবে। আমার মেয়ে আমার বাড়ি যাবে না তো কোথাোয যাবে?

সমাপ্ত মনে মনে চিৎকার করে বলতে থাকে একটার জালা কি কম ছিল যে আরও আমদানি হচ্ছে? আল্লাহ্ আমাদের কষ্টটা আপনি কবে বুঝবেন!

চলবে,,,

জাকিয়া সুলতানা

বি দ্রঃ ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here