চিত্তদাহ লেখনীতে : শুভ্রতা আনজুম শিখা পর্ব ৪২

0
316

#চিত্তদাহ
লেখনীতে : শুভ্রতা আনজুম শিখা
পর্ব ৪২

🍂🍂🍂

আজ অনেকদিন পর ভার্সিটিতে এসেছে শুভ্রতা। এত দিন পর ভার্সিটি এসে মন বেশ উৎফুল্ল তার। মনে হচ্ছে সবকিছু আগের মতোই রয়েছে। এতদিনে কিছুই পরিবর্তন হয়নি।

~এদিক ওদিক কি দেখিস শুভি? কাউকে খুঁজছিস? (রিদিতা)
~ঝাড়বাতিকে দেখছি না। ও কি আসবে না? (শুভ্রতা)

নুরের কথা শুনতেই তিলোত্তমা তেতে উঠল। রিদিতা আর উপমা অভিব্যক্তি পরিবর্তন হলো। হাসি খুশি মুখটা হুট করেই গাম্ভীর্য ধারণ করলো। রুপা এক সাইডে চুপ করে দাঁড়িয়ে। শুভ্রতা বুঝতে পারলো না ওদের এমন করার কারণ।

~নুরের কথা ভুলে যা শুভ্রতা। নিজের দিকে মনোযোগ দে। নিজেকে নিয়ে ইদানিং খুব খামখেয়ালীপনা করিস তুই। (শ্রেয়া)
~নুরের কথা ভুলে যাবো মানে?(শুভ্রতা)
~ভুলে যাবি মানে ভুলে যাবি। ওর সাথে আর কোনো যোগাযোগ রাখার প্রয়োজন নেই।
~কেনো?

শুভ্রতার কণ্ঠে স্পষ্ট রাগ। তিলোত্তমাও দমে যাবার পাত্রী নয়। সেও পাল্টা রাগ দেখালো। পরিবেশ গম্ভীর। ওদের কথার মাঝেই রিদিতা বললো,

~নুর এসেছে।
~তোরা যা ওর কাছে। আমিও আসছি।

উপমা যেতেই তিলোত্তমা বললো,

~তুই যাবি না শুভ্রতা।
~কেনো? কারণ কি?
~কারণ যা ই হোক। তুই যাবি না।
~আমি যাচ্ছি।

মুচকি হেসে নুরের দিকে এগিয়ে যেতে নিতেই তিলোত্তমা হাত ধরে আটকালো। রাগ মিশ্রিত গলায় বললো,
~তুই যাবি না শুভ্রতা। সে তোর সাথে কোনোরূপ সম্পর্ক রাখতে চায় না।

শুভ্রতা ভ্রু কুঁচকে তাকালো। জানতে চাইলো,
~মানে কি? ও শুধু একটু রেগে আছে। একটু কথা বলতে দে তিলো। আমি সব ঠিক করে দিবো।
~আর কিছু ঠিক হবে না শুভ্রতা। তুই ক্লাসে যা।

শুভ্রতা হতাশ হলো। এতক্ষণে বুঝতে পারলো নুরের সাথে কিছু একটা ঝামেলা হয়েছে যা তার অজানা। শুভ্রতা তপ্ত শ্বাস ফেলে নুরের দিকে তাকালো। ক্লাসে এসেও মন টিকছে না শুভ্রতার। একা একা অনেকক্ষণ বসে থেকে একপ্রকার বিরক্ত হয়েই সিড়ির সামনে দাড়িয়ে তিলোত্তমাকে ইশারায় ডাকলো। তারও ইচ্ছে করছে ওদের সাথে গিয়ে কথা বলতে। কিন্তু তিলোত্তমা রাগারাগি করবে। আপাতত সে লড়াই করতে চায় না।
_______________________________________

ক্লাসমেটদের কথা কানে আসলেও তিলোত্তমার কারণে বসতে থাকতে থাকতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে শুভ্রতা। সে পারলে এখনি উঠে দুটো কড়া কথা শুনিয়ে দেয়। তবে তিলোত্তমা শান্ত থাকতে বলছে। কারণ তার এখনও অজানা। রাগে তার শরীর জ্বালা করছে। তিলোত্তমার এমন করার কারণ তার অজানা। বাড়ি গিয়ে সে অবশ্যই এই ব্যাপার নিয়ে তাকে চেপে ধরবে। শুভ্রতা শ্রেয়াকে দাতে দাত চেপে বললো,

~নুর বাদে ক্লাসের প্রত্যেকটাকে আমি ছুটির পর ক্লাসে পাই। নুর বাড়ি যেতেই ওরা যেনো ফের ক্লাসে আসে। না এলে একেকটার খবর করে ছাড়বো বলে দিচ্ছি।

শ্রেয়া যেতেই তিলোত্তমার দিকে রাগী চাহনী নিক্ষেপ করলো শুভ্রতা। তিলোত্তমা এই ব্যাপারে আর কিছু বললো না। যা বলার বলুক, যা করার করুক।
~~~
চলবে~

(সারাদিন ভাবছিলাম আজকে এক পর্ব হলেও দিবো। কিন্তু লিখতে পারিনি। আগের এইটুকু লিখা ছিলো। রাত ১২ টার আগেই পোস্ট করলাম। রিচেক করা হয়নি। ভুল ক্রুটি হলে অবশ্যই জানাবেন, আমি ঠিক করে দিবো। হ্যাপি রিডিং~)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here