চিত্তদাহ লেখনীতে : শুভ্রতা আনজুম শিখা পর্ব ৬২

#চিত্তদাহ
লেখনীতে : শুভ্রতা আনজুম শিখা
পর্ব ৬২

🍂🍂🍂

🍂বর্তমান🍂

পাতা উল্টালো নুর। এর পর অনেকগুলো পাতা উল্টালো। সব খালি। নুর ভ্রু কুঁচকালো। জানার আগ্রহ সময়ের সাথে সাথে তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। এর পর? কি হয়েছে এর পর? চন্দ্র আর শুভ্রতার দিন কেমন যাচ্ছিলো? চন্দ্রের চিন্তা কি কমেছিল? নাকি সময়ের সাথে সাথে দূরত্ব বাড়ছিল? অবশেষে ডায়েরির শেষের দিকে কিছু পৃষ্ঠায় আবার লেখা খুঁজে পেলো নুর। তারিখটা শুভ্রতার মৃত্যুর এক সপ্তাহ আগের….

🍂অতীত🍂
একটা বাড়ির সামনে গাড়ি থামতেই গাড়ি থেকে নেমে দাঁড়ালো শুভ্রতা। তার পর পরই নামলো তিলোত্তমা আর রেনু। শুভ্রতা বাড়ির সদর দরজার সামনে দাঁড়িয়ে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে চারদিক পর্যবেক্ষণ করলো।

~দাড়িয়ে আছিস কেনো? দরজা খোল!

তিলোত্তমা তাড়া দিয়ে বললো। শুভ্রতা হাতে থাকা চাবির গুচ্ছ হতে একটা চাবি খুঁজে বের করলো। দরজায় ঝুলে থাকা তালায় এক মোচড় দিতেই তা ফট করে খুলে গেলো। শুভ্রতা দরজা ঠেলে বাড়ির ভেতর প্রবেশ করলো। তার তীক্ষ্ণ দৃষ্টি জোড়া সারা বাড়িতে একবার ঘুরালো। দীর্ঘ এক মাস পর সে তার নিজ বাড়িতে এসেছে। চারদিকে একটু ধুলা নেই। সে আসার আগেই বাড়ি পরিষ্কার করিয়েছে চন্দ্র। তার পিছু পিছু বাড়িতে প্রবেশ করলো তিলোত্তমা আর রেনু। শুভ্রতা সিড়ি বেয়ে উপরে চলে গেলো। নিজ ঘরের দরজা খুলতেই নজরে তার ঘর। সেই ঘর যাতে সে বছরের পর বছর কাটিয়েছে, যাতে জমে আছে হাজারো স্মৃতি। শুভ্রতা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বারান্দার দিকে পা বাড়ালো। কিছু শুকনো পাতা তার বারান্দায় এসে জমা হয়েছে। বারান্দা পরিষ্কার করতে শুভ্রতা মানা করেছে। তার বারান্দায় কোনো গাছ নেই। তবে বারান্দার নিচে বকুল, বেলী, কসমস ফুলের গাছ। চন্দ্রদের বাড়ির মালি কাকা রোজ বেলা করে এসে এই বাগানের গাছে পানি দিয়ে যান। এই গাছগুলোর পরিচর্যা আগে উমা করতেন। শুভ্রতা লম্বা শ্বাস নিলো। গাছে নতুন ফুল ধরতে শুরু করেছে। খুব শীঘ্রই দেখা মিলবে ফুলের। শুভ্রতা বকুল গাছের দিকে চেয়ে প্রশ্ন করলো,
~যাওয়ার আগে কি ফুলগুলো দেখে যেতে পারব?

শুভ্রতা গাছের জবাবের আশায় দাড়িয়ে রইলো। তবে গাছের পক্ষ থেকে কোনো জবাব এলো না।

~ইদানিং আমি পাগল হয়ে যাচ্ছি।

আনমনেই হেসে উঠলো শুভ্রতা। তখনই কিছু গাড়ি এসে থামলো শুভ্রতার বাড়ির সামনে। বাকিরা চলে এসেছে। শুভ্রতা নিচে চলে এলো। চন্দ্র রাগী গলায় করিমকে বকছে। করিম মুখ মলিন করে দাড়িয়ে আছে। তাকে বারে বারে শান্ত হতে বলছে অর্ণব। তবে তার কথা কানে তোলার মন মানসিকতা নেই চন্দ্রের। শুভ্রতার দিকে চোখ পড়তেই অগ্নিশর্মা হয়ে তাকালো চন্দ্র। শুভ্রতার দু বাহু চেপে ধরে গর্জে উঠে বললো,
~কতবার বলেছি অপেক্ষা করতে? কতবার বলেছি সবাই এক সাথে বের হবো? কথা কানে যায় না?

শুভ্রতা চন্দ্রের বুকের বা পাশে হাত রাখলো। অনুভব করলো তার হার্টবিট। আরেকটু হলে নির্ঘাত হার্ট অ্যাটাক করেই বসতো।

~বসুন, পানি খান। এত চিন্তার কি হলো? মায়ের বাসায়ই তো এসেছি। পালিয়ে যাইনি।

চন্দ্র রেগে আর কথা বাড়ালো না। সে ঘুরে করিমের দিকে তাকালো। লোকটা ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে দাড়িয়ে আছে। যখন তখন কেঁদে দিবে। স্বামী স্ত্রীর ঝামেলার মধ্যে এই এক লোক ফেঁসে গেছে। বউ বলে গাড়ি চালান, বর বলে এই দাড়ান!

~সরি করিম ভাই। এই পাগল মেয়ের জন্য আপনার বকা খাওয়া লাগলো।

করিম হাসলো। চন্দ্র রাগী তবে শুধুমাত্র শুভ্রতার বিষয় নিয়ে। শুভ্রতার মতো সেও দোষী। তার উচিত ছিল বাকিদের আসার অপেক্ষা করা। শুভ্রতা এমনিও তাকে জ্বালাতে পছন্দ করে। তার উচিত ছিল একটু সহ্য করে চুপ করে বসে থাকা। করিমের ভালো লাগলো। মালিক কর্মচারীর কাছে ক্ষমা চাইছে এমন তো সচরাচর কোথাও হয় না। তবে চন্দ্র কখনো ভুল করলে সাথে সাথে মাফ চেয়ে নেয়। করিম সঙ্গে সঙ্গেই সরল মনে ক্ষমা করলো তাকে। করিম বেরিয়ে যেতে নিতেই পিছন ডাকলো শুভ্রতা।

~কোথায় যান?
~জ্বি, ম্যাডাম বাসায়।
~রান্না বসানো হয়েছে। আমাদের সাথেই খেয়ে যান।

করিম অবিশ্বাস্য চোখে চেয়ে রইলো। তাদের সাথে খাবে মানে? সামান্য ড্রাইভার সে ওদের মতো বড় বাড়ির মানুষের সাথে খাবে? তবে এসব জাত ভেদ নিয়ে শুভ্রতার মধ্যে কোনোরূপ মাথা ব্যাথা দেখা দিলো না। শুভ্রতা বুকে দু হাত গুজে দাড়িয়ে রইলো।

~এভাবে দাড়িয়ে আছেন কেনো? ভূত দেখেছেন?

শুভ্রতার কথার পর পরই চন্দ্র বললো,
~পাগল বলেছে যখন খেয়ে যাও করিম। নয়তো দেখা যাবে রাগ করে সবার খাওয়া বন্ধ রেখেছে আজ।

শুভ্রতা চন্দ্রের কথায় ঠোঁট বাকালো। শুভ্রতা ফিসফিসানোর মত করে বললো,
~এখন বাড়ি যেও না করিম ভাই। আমার প্রিয়, তোমার প্রিয়, সবার প্রিয় বিরিয়ানী রান্না হচ্ছে কিন্তু! বি রি ইয়া নী!!!!

শুভ্রতার কথায় করিম অশ্রুসিক্ত চোখে হেসে ফেলল। মনে মনে আফসোস হলো এমন মানুষের এমন মরণব্যাধি রোগের কথা স্মরণ হতেই।
______________________________

~এই যে শুনুন!

প্রেয়সীর গলায় এতো শান্ত ডাক শুনে বই থেকে মুখ তুলে তাকালো চন্দ্র। শুভ্রতা কোমরে হাত রেখে দুলছে। ঠোঁটে তার শয়তানি হাসি। চন্দ্র ভ্রু নাচালো।

~কি হয়েছে?
~নিচে চলুন।
~কেনো?
~আম খেতে।
~আম?
.

চন্দ্র শুভ্রতার কথা মতো নিচে এলো। তবে সে ড্রয়িং রুম পার করে তাকে নিয়ে বাড়ির বাইরের দিকে হাঁটা ধরলো।

~কোথায় যাচ্ছো?
~আহহা! চলুন তো আপনি!

শুভ্রতা তাকে নিয়ে সোজা বাগানে এসে থামলো। সেখানে আগের থেকেই অরণ্য, অর্ণব, তরী, তিলোত্তমা আর মাহতাব উপস্থিত। তাদের আসার পর পরই ঝুড়ি হাতে সেখানে হাজির হলো রেনু।

~আম কোথায়?

ভ্রু দ্বয় কুঁচকে প্রশ্ন করলো চন্দ্র। শুভ্রতা চোখের ইশারায় গাছের দিকে ইশারা করে কাঁধ উঁচিয়ে বললো,
~গাছে।

চন্দ্র অবুঝ চোখে তাকালো।

~গাছ থেকে আম পেড়ে দিন। আম খাবো।
~কে? আমি পাড়বো?
~হ্যা, আর নয়তো কে?
~তোমার কি মনে হয় আমার পূর্ব পুরুষ টারজানের খান্দানের ছিল?
~তাহলে আর আম খাওয়া হচ্ছে না?

কিঞ্চিৎ মন খারাপ করলো শুভ্রতা। চন্দ্র বললো,
~খাওয়া হবে না কেনো? এই মাহতাব! যা গাছে ওঠ।
~ভুলে গেলে মনে করিয়ে দিচ্ছি ভাইয়া, আমিও তোমারই খান্দানের ছেলে। আমার বাপ দাদাও টারজান না।

দু ভাই এবার অরণ্য আর অর্ণবের দিকে তাকালো। যারা এতক্ষণ ওদের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনছিল। চন্দ্ররা তাকাতেই ওরা মুখ ফিরিয়ে নিলো। যার অর্থ “আমাদের বাপ দাদাও টারজান না”।

~আপনেরা কিছু মনে না করলে আমি গাছে উঠি?

রেনুর কথায় হা করে তাকিয়ে রইলো সবাই।

~তুমি পারবে?

চন্দ্রের প্রশ্নে চরম অবিশ্বাস মিশ্রিত। শুভ্রতা ভাব নিয়ে রেনুর কাঁধে হাত ঠেকিয়ে দাঁড়ালো।

~পারবে না কেনো? আপনাদের মত অকর্মার ঢেঁকি নাকি? এত বছর ধরে তো রেনু আপা ই আমাকে আম পেড়ে দিয়েছে।
~তো আমাদের খোচালে কেনো এতক্ষণ?
~ইচ্ছে হচ্ছিলো তাই।

বলেই চন্দ্রকে জিভ দেখিয়ে ভেংচালো শুভ্রতা। রেনু চোখের পলকেই কেমন কৌশল করে গাছে উঠে গেলো। শুভ্রতা বাদে সকলেই হা করে তার দিকে চেয়ে রইলো। তার দিকে দৃষ্টি স্থির রেখে মাহতাব বিস্মিত হয়ে বলেই ফেললো,

~এ মানুষ নাকি বাঁদর?

তার কথা কর্ণপাত হতেই হালকা হাতে তার বাহুতে চাপড় বসালো তিলোত্তমা। মাহতাব মৃদু আর্তনাদ করে বললো,
~খারাপ কি বললাম? বাঁদরের মত কেমন গাছে উঠলো দেখলে না!
____________________________

🍂শুভ্রতার মৃত্যুর দিন🍂

সকাল হতেই বেশ অস্থির লাগছে শুভ্রতার। গত দুদিনে তার শরীর বেশ খারাপের দিকে যাচ্ছে। গত দুদিন ধরেই বিছানায় পড়ে আছে শুভ্রতা। চন্দ্র হাজার চেয়েও তাকে হাসপাতালে নিতে পারেনি। আজ সকাল থেকে নুরের কথা মনে পড়েছে অসংখ্যবার। শুভ্রতা কল দিয়েছিল তাকে তবে সে ধরেনি। সে হতাশ হয়ে ফোনের দিকে চেয়ে রইলো। কিছু একটা মনে পড়তেই সে ইনবক্সে গেলো। এত পর্যন্ত হওয়া সব ঝামেলার জন্য সে মাফ চাইলো। সে ভুল ভাঙ্গানোর জন্য যা যা বলার প্রয়োজন সব বললো। এই পর্যন্ত অসংখ্যবার এমন মেসেজ দিয়েছে সে। হাজারবার জানিয়েছে সব সত্য। তবে নুর তার একটা মেসেজও চেক করেনি। সে জানে এতো এতো মেসেজের মধ্যে এই মেসেজটাও অবহেলায় পড়ে থাকবে। আকাশ ঘনকালো মেঘে আচ্ছন্ন। লম্বা শ্বাস নিতেই বাইরে থেকে বকুল ফুলের তীব্র ঘ্রাণ তার নাকে এসে লাগলো। তার ঠোঁটে ফুটে উঠলো মুচকি হাসি। তার মনে আচমকা কিছু ইচ্ছা উদয় হলো। সে ব্যস্ত হাতে সেসব ইচ্ছা ফোনে টাইপ করলো,
“আমার বিদায় বেলায় আকাশটা হোক মেঘাচ্ছন্ন। চারদিকে গুমোট পরিবেশ, থেমে থেমেই বৃষ্টি পড়ুক ঝমঝমিয়ে। প্রিয় মানুষগুলো ছুটে আসুক আমার বাড়িতে। বৃষ্টির ফোঁটা আমার কাফনে পড়তেই বিচলিত হয়ে আমাকে ঢাকার চেষ্টা করুক স্বজনেরা। কেউ কেউ ছুটে আসবে দীর্ঘ সময়ের মনোমালিন্য ভুলে। তীব্র আফসোসে তখন বুক ভার হয়ে আসবে, মনের মাঝে দলা পাকাবে হাজারো না বলা কথা। পাশাপাশি বসে আর কখনো আলাপ করা হবে না নিজ নিজ মনে জমিয়ে রাখা সকল অভিযোগ নিয়ে। তীব্র আফসোসে তার মনটাও কেঁদে উঠুক। আমার উঠানে লাগানো ফুল গাছটাও ঝড়ো বাতাসে ফুল ঝরিয়ে আমাকে বিদায় জানাক। আগরবাতি আর ফুলের ঘ্রাণে তৈরি হোক অতি বিষন্ন এক পরিবেশ। প্রিয় বান্ধবীটার গাল গড়িয়ে পড়া অশ্রুকণাগুলো বৃষ্টির আড়ালে লুকিয়ে যাক অতি সন্তপর্নে। প্রতিবারের মতো হাত বাড়িয়ে চোখের পানি মুছে না দেওয়ায় কাছের মানুষটাও একটু অভিমান করুক। সারাজীবন সাথে না থাকতে পারার আক্ষেপ নিয়ে আমিও বলে উঠি “ভালো থেকো প্রিয়, নিজের যত্ন নিও”।
~শুভ্রতা”

ফেসবুকে পোস্ট করে ফোনটা এক পাশে রেখে জানালার বাইরে আকাশের দিকে চেয়ে রইলো শুভ্রতা। তার মনে হচ্ছে আজকেই শেষবারের মতো সে এই আকাশটা দেখছে। শুভ্রতার চোখে অশ্রু জমা হতেই সে তা খুব দ্রুত মুছে ফেলল। ঘরের দরজার কাছ থেকে চন্দ্র আওয়াজ দিলো,

~শুভ্রতা?

একটা বাটি হাতে চন্দ্র দাড়িয়ে আছে। তাকে দেখতেই চন্দ্র অমায়িক হেসে বলল,
~নিজের হাতে স্যুপ রান্না করেছি। জীবনের প্রথমবার। খেয়ে বলো তো কেমন হয়েছে।

শুভ্রতা বিছানায় আসন করে বসলো। শুভ্রতা বাটি নেওয়ার জন্য হাত এগিয়ে দিতেই চন্দ্র বললো,
~আমি খাইয়ে দেই?

শুভ্রতা হেসে সায় দিলো। চন্দ্র হাতে যেনো আকাশের চাঁদ পেয়েছে।

~একটা প্রশ্ন করি?

চন্দ্রের প্রশ্নে তার হাতের থেকে চোখ সরিয়ে চেহারার দিকে তাকালো শুভ্রতা। শুভ্রতা ভ্রু নাচালো।

~মানুষ নামাজে যা চায় আল্লাহ নাকি তাই দেয়। নামাজ তো বেহেশ্তের চাবি, তাই না?

শুভ্রতা মাথা দোলালো।

~হ্যাঁ, তো?
~আমি যদি বেশি বেশি নামাজ পড়ি, দোয়া করি। এই পার ঔপার দুইপারের জন্যেই তোমাকে চাই তবে কি আল্লাহ আমাকে মানা করবেন?

চন্দ্র বিচলিত গলায় আবারো বললো,
~ধরো আমি আল্লাহকে খুশি করতে পারলাম। ইন শাহ আল্লাহ সে আমাকে জান্নাত দিলো। আমি যদি বলি আমার জান্নাতী হুর লাগবে না, শুধু আমার বউ লাগবে। তখন কি উনি দিবেন না?

চন্দ্রের সরল প্রশ্নে ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেলো শুভ্রতা। সে আলতো হেসে চন্দ্রের মাথায় হাত বুলিয়ে তার সুন্দর চুল গুলো এলোমেলো করে দিলো। চন্দ্র হাসলো না। তাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বলল,

~আমি শুধু তোমাকে চাই শুভ্রতা। আমার দুনিয়ার কিচ্ছু চাই না। শুধু তুমি হলেই চলবে। প্লীজ আমাকে ছেড়ে যেও না।

শুভ্রতা আলতো হাতে জড়িয়ে ধরলো তার স্বামীকে। বলতে মন চাইলেও বললো না,
~আমি থাকতে চাই চন্দ্র, তবে আমার ভাগ্য আমার সঙ্গ দিচ্ছে না।
~~~
চলবে~

(কাল পরশুর মধ্যেই গল্প এটা শেষ করে দিবো। বেশি হলে ২ পর্ব। নয়তো কালকের পর্বেই শেষ করে দিবো। কমেন্ট করতে না বললে আপনারা কেউই কমেন্ট করে জানান না গল্প কেমন লাগছে। এ কেমন কথা? রেসপন্স না পেলে লেখার আগ্রহ থাকে না। গল্প লেট করে দিলে আবার আপনারাই অভিযোগ করেন🙂 হ্যাপি রিডিং~)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here