জ্বীন লাভার পর্ব-০৫

জ্বীন_লাভার
Writer:Shabnaj_Hossain_Moon
Part_05
.
লুক মিঃ তাশলে আলি বালিবে….আমার আরো সময় লাগবে…আমি এসবের জন্য প্রস্তত নই…
আপনিই তো বলেছিলেন আগে বন্ধ হবেন পরে প্রেমিক তারপর স্বামী…
আপনার সৃত্মি শক্তি লোপ পেয়েছে বাট আমার সৃত্মশক্তি প্রখর…
আমার সব মনে আছে…
আমাকে টাচ করতে আসলেই আমি এই ছূরি আপনার পেটের মধ্যে ঢুকিয়ে দেবো…আর আপনার নামে নারী নির্যাতনের মামলা করবো…
মেহেরিমা এক ধমে কথা গুলো বললো হাতে ছূরি নিয়ে…
.
.
.
বালিবে চুপচাপ পকেটে হাত দিয়ে মেহেরিমার দিকে তাকিয়ে কথা গুলো বললো…
বালিবে রুমে থাকা সোফায় গিয়ে বসে সামনে থাকা টি টেবিলে দুই পা তোলে দিলো…
মেহেরিমা কিছুটা অবাক হলো বালিবের ব্যাবহারে…
সে এতো কিছু বললো…আর বালিবে একেবারে চুপচাপ শুনলো…
কিছুই বললোনা…
.
.
.
.
মেহেরিমা বালিবের দিকে তাকিয়ে থাকলো…
বালিবে নিজ মনে জুতোর ফিতে খুললো…
তারপর গায়ের জ্যাকেট টা খুললো…
মেহেরিমার মন ধক করে উঠলো…
মেহেরিমা ভাবছে এই লোক কথা না কাজে করিয়ে উওর দেবে…
.
.
.
বালিবে সামনে এগুচ্ছে…
মেহেরিমা পিছুচ্ছে…
বালিবের চোখ গুলো কেমন যেনো দেখাচ্ছে…
বালিবের মুখে একটা ট্যাডি হাসি ছিলো…
.
.
.
বালিবে মেহেরিমার খুব কাছে এসে পড়লো তখনই মেহেরিমা বেডে বসে পড়লো…
মেহেরিমা দু চোখ বন্ধ করে নিলো…
মেহেরিমার খুব কাছে বালিবে…
মেহেরিমা বালিবের নিঃশ্বাস শুনতে পাচ্ছে…
মেহেরিমা তাকাতেই দেখলো বালিবের হাতে একটা বালিশ…
আর বালিবে মুচকি মুচকি হাসছে…
মেহেরিমার বুঝতে বাকি রইলো না বালিবে তাকে গোল খাইয়েছে…
.
.
.
বালিবে বালিশ নিয়ে মেহেরিমার অপর পাশে শুয়ে পড়লো…
বেডে একদম বেশি অর্ধেকটা জায়গায় হাত পা ছড়িয়ে বেশ সম্রাটের মতো শুয়ে পড়লো…
.
.
.
মেহেরিমা দাড়িয়ে দাড়িয়ে ভাবছে এর প্রতিশোধ সে নেবেই…
.
.
.
.
হঠাৎ বালিবে চোখ বন্ধ থাকা অবস্থায় বললো…
_বই গো ঘুমিয়ে পড়ো..
আমাকে গোল দেওয়ার ভাবার সময় আরো পাবে..এখন না ঘুমালে ফজরের নামাজ পড়তে পারবেনা…
এমনিতেই তোমার নামাজ কাযা হয়েছে কয়েক ওয়াক্তের…
.
.
.
মেহেরিমা রেগে গিয়ে পাশে থাকা বালিশা বালিবের মুখের উপর ছূরে মারলো…
বালিবে হেসে বললো…
_ধন্যবাদ বউ বালিশ টা দেওয়ার জন্য…
মেহেরিমা নিজের চুলে জোরে টান দিয়ে বেডে শুয়ে পড়লো…
.
.
.
মেহেরিমার ঘুম আসছেনা…
বালিবে ঘুমের মধ্যে হাত পা তোলে দিচ্ছে…
মেহেরিমা কে বালিবে ঘুমের মধ্যে জরিয়ে ধরেছে…
মেহেরিমার ধম বন্ধ হয়ে আসছে…
মেহেরিমা একটু একটু করে দূরে সরে যেতে যেতে এক পর্যায়ে ফ্লোরে পড়ে গেলো….
মেহেরিমার কোমরে খুব লেগেছে…
সে দেখলো বালিবে সুযোগ পেয়ে পুরো বিছানা দখল করেছে..
.
.
.
মেহেরিমা রেগে নিচেই শুয়ে আছে…সে অভিমান করেছে বালিবের উপর…
সে কিছুতেই উপরে উঠবেনা…
মেহেরিমার চোখ থেকে পানি পড়ছে…
তার খুব কষ্ট লেগেছে…
হঠাৎ মেহেরিমা কারো নরম গরম স্পর্ষ পেলো…
বালিবে তাকে কোলে করে নিয়ে আবার বেডে শুইয়ে দিলো…
আবারও বালিবে মেহেরিমার উপর এক হাত আর পা তোলে দিয়ে চোখ বন্ধ করে ফেললো…
.
.
.
মেহেরিমা কি হলো বুঝতে পাচ্ছেনা…
মনে হলো সে সপ্ন দেখছে…
মেহেরিমার একা ঘুমিয়ে অভ্যাস…
এখন বালিবের পাশে এভাবে সে ঘুমুতে পাচ্ছেনা…তার উপর বালিবে এমন কান্ড করছে…
ভাবতে ভাবতে মেহেরিমা ঘুমিয়ে পড়লো…
.
.
.
মেহেরিমা সেই ঝিল টাত ধারে বসেছে…
ঝিলের মাঝখানে পদ্মফুল আর রাজ হাসঁ খেলা করছে…পাখির কিচির মিচির শব্দ হচ্ছে ঝিলের পাশে থাকা গাছ থেকে…
চারদিকে কি সুন্দর মিষ্টি সুগন্ধি ভাসছে…
মেহেরিমার মনে হচ্ছে কোনো সপ্ন পুরিতে এসেছে…
মেহেরিমা ঝিলের নীল পানিতে পা ডুবাতেই রাজ হাস বলে উঠলো…
_সুন্দরি শাহাজাদি মেহেরিমা ….এসো আমার কাছে এসো…
আমার কাছে একবার তোমাকে আনতে পারলেই আর কেউ তোমাকে আমার কাছ থেকে নিয়ে যেতে পারবেনা…
তুমি আমার হয়ে যাবে…
.
.
.
মেহেরিমা হাসের কথা শুনে অবাক হয়ে গেলো…
হাস কথা বলছে সত্যি সত্যি…
মেহেরিমা পানি তে এক পা দিয়েছে…সে যেনো কোনো হ্যামিয়লনার বাশির আওয়াজ পেয়েছে যার দ্বারা সে সম্মোহিত হয়ে সামনে ঝিলে নামছে…
হঠাৎ করে জোরে বাতাস বইতে লাগলো …পাখি গুলো জোরে জোরে ডাকতে শুরু করলো…
পদ্মফুল গুলো নইয়ে পড়লো…
ঝিলের পানি কেমন কালো হয়ে গেলো…
চারদিকে কেমন বিস্রি গন্ধ বের হচ্ছে…
মেহেরিমা নিজের সর্বনাশ করতে চলেছে ঝিলে নেমে…
রাজ হাসটা বিরাট একটা আকৃতি নিচ্ছে…
অনেকটা মানুষের…
মেহেরিমা অন্য পা পানিতে দিতেই কেউ ওর হাত ধরে ফেললো…
পেছনে তাকিয়ে আলোর মতো উজ্জল চেহেরার বালিবে কে দেখতে পেলো…
বালিবে বললো…
_তোমার জায়গা ওটা না…
তোমার জায়গা এখানে আমার কাছে…
উঠে এসো ঝিল থেকে…
মেহেরিমার নিঃস্বাশ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে…
মেহেরিমা চোখ খুলতেই নিজেকে বেডে আবিষ্কার করলো…
.
.
.
পাশে তাকিয়ে বালিবে কে দেখতে পেলো…
বালিবে ঘুমাচ্ছে…
মেহেরিমা তাহলে সপ্ন দেখেছে সে ভাবলো …
বাট সপ্নটা বেশ ভয়ানক..
গায়ে কাটা দিয়ে উঠেছে…
মেহেরিমা খেয়াল করলো
সপ্নে বালিবে যে হাত ধরেছিলো এখনো সেই হাত ধরে আছে…
মেহেরিমা বেশ অবাক হলো…
তার গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে যাচ্ছে…
মেহেরিমা আজানের শব্দ পেলো…
অনেক দূরে মসজিদ থেকে আওয়াজ আসছে হালকা…
মেহেরিমা বেড থেকে উঠে সোজা বারান্দায় গিয়ে ঝিল টা কে দেখলো…
এখনো ঝিলে সেই হাস গুলো খেলছে…
মেহেরিমা পেছনে তাকাতেই বালিবে কে দেখলো…
_বউ অযু করি চলো..
তারপর নামাজ পড়বো এক সাথে…
মেহেরিমা আর বালিবে এক সাথে নামাজ পড়লো…
নামাজ শেষ হতেই বালিবে বললো…
_এখনকার জন্য থ্রিপিজ পড়ায় তোমায় কিছু বললাম না বাট এর পর থেকে শাড়ি পড়বে…
বিবাহিতা মেয়েদের শাড়ি পড়তে হয়…
.
.
.
বালিবে মেহেরিমাকে নিজ হাতে কফি বানিয়ে দিলো…
মেহেরিমার ফেবারিট ক্রিম কফি…
মেহেরিমা কফি নিতেই বালিবে বললো…
_কি বলেছি মনে আছে তো বউ..???
আমার কথার যেনল নড় চর নস হয়…
আমার কথার অমান্য করলে রাগ মাথায় উঠে পড়ে…
.
.
.
মেহেরিমা বালিবে কে উপেক্ষা করে বারান্দায় চলে গেলো…
বালিবে কে সে ভয় পায় নাকি…
মোটেওনা…
স্বামী বলে সব কথা মানবো নাকি…
মেহেরিমাকে যেটা করতে বলা হয় সেটা সে কখনোই করেনা…
যেটা করতে নিষেধ দেওয়া হয় সেটাই করে…
সে কিছুতেই বালিবের কথায় শাড়ি পড়বেনা ….তাছাড়া সে শাড়ি পড়তেও জানেনা…
মেহেরিমা আপন মনে হেসে উঠলো খিল খিল করে…
.
.
.
মেহেরিমার বাড়ির জন্য মন কেমন করছে যদিও একটু আগে বালিবে নিজে দাড়িয়ে থেকে বাড়িতে কথা বলিয়েছে…
.
.
.
বালিবে কে কোথাও দেখা যাচ্ছেনা…
মেহেরিমা নিচে গেলো…
রাতে বাড়িটাকে যত বড় মনে হয়েছিলো দিনে এর চেয়ে বেশি সুন্দর দেখতে…
মেয়ে গুলো কি সুন্দর নিজের মতো কাজ করছে…কেউ কোনো কথা বলছে না…
কি আজব…
এই মেয়ে গুলো ছাড়া কি আর কেউ নেই এখানে…
পুরো বাড়িটা কেমন খালি খালি…
কেমন যেনল রহস্য লুকিয়ে আছে এই বাড়িতে …প্রতিটা জিনিস পত্রেও কেমন একটা একটা রহস্য লুকিয়ে আছে…
সবাই যেনো মেহেরিমাকে কিছু বলতে চায়…
.
.
.
মেহেরিমা নিচে নেমে সবার আড়ালে সদর দরজার বাহিরে চলে গেলো…
মেহেরিমা সামনে একটা গাড়ি দেখতে পেলো..
মেহেরিমা গাড়ির দিকে তাকাতেই রক্ত দেখতে পেলো…
কালকের ঘটনা তার মনে হলো…
গাড়ির সাথে কি যেনো একটা বারি খেয়ে পড়েছিলো…
গাড়িতে কি যেনো আওয়াজ করছে…
মেহেরিমা গাড়ির দরজা খুলতেই কেমন একটা ভয়ংকর লোককে দেখতে পেলো…
লোকটা বিশাল লম্বা আর মোটা…গায়ের রং সাদা ধবধবে আর মাথার চুল দাড়িও সাদা ধবধবে…গায়ে জোব্বা পরা…
লোকটা খিল খিল করে হেসে দিলো…
মেহেরিমা ভয়ে পেছন দিকে তাকিয়েই কাউকে জরিয়ে ধরলো…
.
.
.
মেহেরিমার পিঠে কেউ হাত বুলালো…
_বউ এতো সকালে এখানে কি করো…
???
মেহেরিমা বালিবেকে জরিয়ে ধরেছে সেটা বুঝতে পেরে লজ্জায় তাকে ছেড়ে দিলো…
মেহেরিমা নিজেকে সামলিয়ে বললো…
_এই দেখুন গ্লাসে কিসের যেনো রক্ত…
আপনাকে কাল বলেছিলাম …
বালিবে মেহেরিমার হাত ধরে এক প্রকার টেনে ভেতরে নিয়ে গেলো…
বালিবে কে দেখে মনে হচ্ছে সে রেগে আছে প্রচন্ড…
মেহেরিমা কি এমন বললল যার কারণে এতো রেগে গেলো সে…
.
.
.
বালিবে বললো…
_দেখো বউ …এখন থেকে আমার কথা ছাড়া বাহিরে পা রাখবেনা…
আর কোনো কিছুতে মন দেবে না…
তোমার কাজ হলো আমি মানে তোমার স্বামীর খেয়াল রাখা…
.
.
.
মেহেরিমা নিচে তাকিয়ে মাথা নাড়ালো…
বালিবে কে অনেক সুন্দর দেখাচ্ছে…সে সবুজ শার্ট আর কালো জ্যাকেট পড়েছে লম্বা…
বালিবে মেহেরিমাকে বসিয়ে নিজে হাতে খাওয়াচ্ছে…..
সামনে প্রায় 30-40 টি ব্রেকফাস্টের ডিস…
সাথে নানা ধরনের মিষ্টি…
মিষ্টি গুলো ভিবিন্ন রংয়ের…
মেহেরিমা এর আগে এতো মিষ্টি দেখেনি এরকম রং বে রংয়ের…
.
.
.
মেহেরিমা খাওয়ার সময় বেশ জোরে কামর দিলো বালিবের হাতে…আশ্চর্য বালিবে কিছুই বললো না..
যেনো কিছুই হয়নি…
.
.
.
মেহেরিমাকে বালিবে রুমে নিয়ে এসে বললো…রেস্ট নিতে…বাহিরে যেনল সে না যায়…
মেহেরিমা ভেবে রেখেছে বালিবের আড়ালে সে বাহিরে যাবেই…
গাড়ির উপর রক্তর রহস্য সে জানবেই…
বালিবে যাওয়ার আগে মেহেরিমাকে আচমকা জরিয়ে ধরলো…
মেহেরিমার হঠাৎ রুস্তম স্যার এর কথা মনে পড়লো…
একদিন ক্লাসে একা পেয়ে রুস্তম স্যার যা করেছিলো মেহেরিমার সাথে…
.
.
.
সেদিন মেহেরিমাকে রুস্তম ক্লাসে একা থাকতে বলেছিলো…
কি যেনো নোট দেবে…
.
.
.
হঠাৎ ক্লাসে একটা বিশ্রি গন্ধ পেলো মেহেরিমা …
.
.
.
চলবে……

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here