জ্বীন লাভার পর্ব-১০ ও শেষ পর্ব

জ্বীন_লাভার
Writer_Shabnaj Hossain Moon
#Last_Part_10
(গল্পটা ভালো হয়নি জানি তবুও কেমন হয়েছে জানাবেন❤)
.
.
বালিবে মেহেরিমার গলায় মুখ গুজে ঘুমিয়ে পড়লো…
মেহেরিমার ঘুম ভাঙলো মাঝ রাতে..
পাশে তাকিয়ে সে দেখতে বালিবে কে দেখতে পেলো..কি সুন্দর চেহেরা বালিবের..সাত রাজার মানিকের মতো মুখ খানি জ্বল জ্বল করছে বালিবের.
পরক্ষনেই বালিবের করা কাজের কথা মনে পড়লো মেহেরিমার ।
.
.
.
মেহেরিমা বালিবের কাজ থেকে সরে গিয়ে বারান্দায় যায়…
বারান্দা থেকে সে সে ঐ লোকটাকে দেখতে পেলো …বৃদ্ধা লোকটা তাকে ইশারায় ডাকছে…
মেহেরিমা বুঝতে পাচ্ছে এই একমাত্র লোক যে কিনা বালিবে আর রুস্তম এর হাত থেকে তাকে বাচাতে পারবে….
.
.

মেহেরিমা খুব সাবধানে একটা শাড়ি দিয়ে বারান্দায় বেধধ সুড় সুড় করে নিচে নেমে গেলো…যাওয়ার আগে মনে হলো বালিবে তাকে ডাকছে আর হাবেলি তাকে যেতে নিষেধ করেছে…
মেহেরিমার মনে হচ্ছে কি যেনো হাড়িয়ে যাচ্ছে তার জীবন থেকে..

.
.
.
মেহেরিমা নিচে যেতেই বৃদ্ধা লোক তার হাতে একটা তাবিজ বেধে দিলো…
এই তাবিজ টা বালিবে কে মেহেরিমার কাছে আসতে দেবেনা..
লোকটা মেহেরিমা কে একটা গোপন জায়গায় কথা বলে সেই ঝিলের মধ্যে নিয়ে গেলো…
মেহেরিমার আর বৃদ্ধার মধ্যে কথা ছিলো মেহেরিমাকে তার বাড়ি পৌছে দেবে…

.
.

মেহেরিমা কিছু বোঝে উঠার আগেই রুস্তম তার রুপ দেখিয়ে দিলো..
বৃ্দ্ধার বেশে সে ছিলো ।
মেহেরিমা চিৎকার করার আগেই রুস্তম তাকে নিয়ে ঝিলের মহলে চলে গেলো..

_শয়তান ছেড়ে দে আমাকে তোরা আমাকে কি পেয়েছিস। আর কত দুঃখ দিবি তোরা আমাকে…
_আজ তোমার সাথে আমার মহা মিলন…
তারপর থেকে তুমি আমার…তোমাকে কখনো কষ্ট…
.
.
.
মেহেরিমা চিৎকার করছে তাকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য…
.
.
.
বালিবে এদিকে মেহেরিমাকে না দেখে পাগল হয়ে গেলো.. সে তার প্রহরি জ্বীন দের মৃত অবস্থায় দেখলো….
তার মধ্যে একটা আঘাত প্রাপ্ত জ্বূীন বালিবে কে সকল ঘটনা খুলে বললো…রুস্তম এসব কিছু করেছে..
আর মেহেরিমা কে নিয়ে গেছে ভুলিয়ে‌…
বালিবের চোখে আগুন জ্বলছে…
.
.
.
রুস্তম মেহেরিমা কে নিচে ফেলে দিলো..
তারপর ঝাপিয়ে পড়লো তার উপর…
মেহেরিমা চোখ বন্ধ করে আল্লাহর নাম নিচ্ছে…
একটা মেয়ের কাছে তার সম্মাম সবচেয়র বড় সম্পদ.
.

.
.
মেহেরিমার আচল ধরতেই বালিবে এসে রুস্তমের হাত ধরে দূরে ছিটকে ফেলে দিলো…
.
.
.
মেহেরিমা কে বালিবে ধরতেই সেও দূরে ছিটকে পরে গেলো…
মেহেরিমা নিচে পড়ে আছে সে চোখ মেলে বালিবে কে দেখতে পেলো.‌..
মেহেরিমার দিকে রুস্তম তাকিয়ে বললো…আমি মেহেরিমার গায়ে কবজ দিয়েছি যা বালিবে কে আমার মেহেরিমার কাছে আসতে বাধা দেবে…
মেহেরিমা কে আমার হরে কেউ আটকাতে পারবেনা…
.
.
.
বালিবে চিৎকার করে বললো…মেহেরিমা আল্লাহত দোহায় তুমি কবজ খুলে ফেলো…
বালিবে কে কিছু বাজে জ্বীন ঘিরে ধরেছে..
সে কিছুই করতে পাচ্ছেনা মেহেরিমার জন্য..
কারণ রুস্তম একটা আগুনের কুন্ডলি বানিয়ে রেখেছে…বালিবে কিছু করলেই রুস্তম মেহেরিমা কে নিয়ে আগুনের কুন্ডলিতে ঝাপ দেবে…
.

.
.
বালিবে মেহেরিমার কাছেও যেতে পাচ্ছেনা…
মেহেরিমা কবজ খুলে ফেলে দিলে বালিবে নিজেে একটা কবজ মেহেরিমার গায়ে পরিয়ে তাকে সুরক্ষিত রেখে রুস্তম কে উচিৎ শিক্ষা দিতে পারতো.‌..
মেহেরিমা কে বিয়ে করার জন্য সব আয়োজন করলো রুস্তম…
‌..
.
.
বালিবে অসহায় ভাবে তাকিয়ে থাকলো মেহেরিমার দিকে.‌..
রুস্তম ভাবছে সে জিতে গেছে তাই নিজের কু কর্ম বলতে লাগলো…সে মেহেরিমার ভাইকে নিজের নিয়ন্ত্রনে নিয়ে মেহেরিমার পরিবারকে মেরে মেহেরিমাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্ল্যান করেছিলো…
.
.
.
কিন্তু বালিবে মেহেরিমার ভাইকে মেরে ফেলে সব পরিকল্পনা নষ্ট করে দেয়..
মেহেরিমা রুস্তমের দিকে তাকিয়ে রইলো..
রুস্তম বললো..দুঃখিত প্রিয়তম …তোমাকে পাওয়ার জন্য এতো কিছু করতেই হলো..

মেহেরিমা বিয়ের মন্ডপ থেকে উঠে দাড়িয়ে কবজ ছূরে ফেলে দিলো.
তখনি বালিবে এসে মেহেরিমার হাত ধরলো..
মেহেরিমা কে দূরে সরিয়ে বালিবে রুস্তমের সাথে যুদ্ধ শুরু করলো…
.
.
.
রুস্তম যুদ্ধে হেরে গিয়ে মেহেরিমার হাত ধরে আগুনে ঝাপ দিলো..
বালিবে মেহেরিমা বলে চিৎকার করলো…
মেহেরিমা আগুনের কাছে গিয়েই জ্ঞান হাড়ালো…
মেহেরিমার জ্ঞান ফিরলে সে বেডে আবিষ্কার করলো নিজেকে…
মেহেরিমা বালিবে কে কান্না করতে করতে জরিয়ে ধরলো..বালিবে মেহেরিমার মাথায় হাত বুলিয়ে বললো…রুস্তম ভাই যখন তোমাকে নিয়ে আগুনে ঝাপ দিলো তখনই পাশে থাকা একটা তোলোয়ার দিয়ে রুস্তমের হাতের দিকে ছূরে মেরে ছিলাম…
.
.
.
রুস্তম একা আগুনে ঝাপ দিয়েছে…
.
.
.
মেহেরিমা কান্না করতে করতে বললো..আমাকে মাফ করে দিন প্লিজজজ .আমি আপনাকে ভুল বুঝেছি…
বালিবে মেহেরিমার মুখে আঙুল দিয়ে বললো…চুপ একদম চুপ …
মেহেরিমা কে কোলে নিয়ে বারান্দায় চলে গেলো..

_বউ এই দেখো এই চাদঁ টা তোমার থেকে কত কুৎসিত..তুমি আমার কাছে সবচেয়ে সুন্দর…আমি তোমাকে খুব ভালোবাসি…তাই আমি তোমার সব ভুল ক্ষমা করে দেবো…
আমি তোমাকে জিবনের থেকেও ভালোবাসি বউ..
মেহেরিমা কেদে কেদে বললো…আমার সৌভাগ্য আপনাকে স্বামী হিসেবে পেয়ে…আমিও আপনাকে ভালোবাসি…
বালিবে মেহেরিমার ঠোটে ঠোট মিশিয়ে দিলো…
তারপর মেহেরিমা কে নিয়ে বিছানায় গেলো..
বালিবে তুরি মেরে রুমে প্রচুর ফুল ছড়িয়ে দিলো…
চারদিকে সুভাস বের হচ্ছে।
শুরু হলো জ্বীন সন্তান আর মানব সন্তানের প্রেমের কাহিনী…যুগ যুগ ধরে চলবে এই প্রেমের কাহিনী।
(ভালো হয়নি একটুও …..প্রথম অলৌকিক গল্প লিখলাম.‌..কেমন হয়েছে জানাবেন …#নেকস্ট_ধর্মপ্রেম)
সমাপ্ত ❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here