ডেন্জারাস_ভিলেন_হাজবেন্ড পর্ব ১৬

#ডেন্জারাস_ভিলেন_হাজবেন্ড

#লেখিকা_তামান্না

#পর্ব_১৬ (স্পেশাল)

মেডিক্যাল এ আরমানের ওয়াইফ মিসেস ফিহা একজন নার্সের সাথে নিজের রিপোর্ট এর ব্যাপারে কথা বলছে।

—“সো রিপোর্টে সব ঠিক আছে সিস?

—“ইয়েস ম্যাম রিপোর্ট ক্লিয়ার আছে আপনি কয়দিন খাবার খান নাই তাই অসুস্থ হয়ে পড়ে ছিলেন।

মিসেস ফিহা শুনে মুচকি হেসে ওকে বলে। নার্স যেতেই
মিসেস ফিহা পিছে ঘুরে তাকায়। সামনে উইল চেয়ারে বসে থাকা মেয়েটিকে দেখে খানিক চমকে যায়। ভেবে নিল কোনো অসহায় মেয়ে হঠাৎ তার সামনে এসেছে।

—“এক্সকিউজ মি…

—“আল্লাহ ইনি যদি আমাকে দেখে ফেলে তাহলে জানোয়ারের হাতে বন্দী হয়ে যাব। না সেই জীবন আমি চাই না হিংস্র পশু কে আমি কখনো নিজের জীবনের সাথে জোড়াতে দিবো না। ভেবেই জারা উইলচেয়ারের ট্যায়ার নেড়ে সামনে আগাতে থাকে। মিসেস ফিহা অবাক হয়ে যায়। মেডিক্যাল এ এই প্রথম কোনো পেসেন্ট তাকে ইগনোরনেস দেখাল। যা মিসেস ফিহার সহ্য হয় নি। সে ধমকের সুরে মেয়েটিকে দাঁড়াতে বললে। মেয়েটা দাঁড়ায় না।

—“নার্স নার্সস মেয়েটিকে ধরো। জারা মিসেস ফিহার এমন কথা শুনে জলদি নিজের ওয়ার্ডে এসে যায়। মিসেস ফিহা সামনে তাকিয়ে দেখে মেয়েটি নেই।
আরে গেল কই মেয়েটা? এখানেই তো ছিল! নার্স এসে মিসেস ফিহাকে জিগ্গেস করে কাউকে দেখছে কিনা?
নার্সের কথায় মিসেস ফিহা বলে।

—“মেয়েটি যে কেউই হোক তাকে আমার সামনে তোমরা নিয়ে আসবে যতো যাই হবে। আমাকে মিসেস ফিহা সাদি কে ইগনোরনেস দেখানোর ফলাফল বুঝিয়ে দিবো।

—“..ও…..ওকে ম্যাম সে কেমন ছিল বা কিরকম কিছু দেখছেন? নার্স আমতা আমতা করে জিগ্গেস করে।

—“হ্যা মেয়েটি উইলচেয়ারে বসা ছিল। আর তার পায়ে বড় করে ব্যান্ডেজ করা ছিল।

নার্স ভাবান্তর হয়ে বলে।
—“পায়ের ব্যান্ডেজ তো মিস্টার ফায়যানের ফিউন্যান্সের করা হয়েছে। সে ভেবে মিসেস ফিহাকে বলতে যাবে। তার আগেই আরমানের কল চলে আসে ফিহার ফোনে।

ফিহা কল উঠিয়ে বিদায় নে নার্স থেকে আর মেয়েটি কে কোথায় থাকে কি করে সব ডিটেলস বের করে তার কাছে জমা দেওয়ার জন্যে ওয়ারনিং দে।

—“ইয়েস বেবি !
—“ডালিং কই গেছো? তোমায় আমি বাসার মধ্যে কত খুঁজছি!
—“এতো আসছি বাসায় কিছুক্ষণের জন্যে মেডিক্যাল এ এসেছিলাম।
—“ওহহ অসুস্থ তাই তো?
—“হুম একটু।
—“ওকে তাড়াতাড়ি চলে আসো জানো তো তোমার জামাই তোমাকে ছাড়া কিছু খাই না।
—“হ্যা জানু আসছি আমি।

জারা আড়ালে মিসেস ফিহাকে দেখছিল আর সব কথা শুনছিল। যখন ফিহা মেডিক্যাল থেকে চলে যায় জারা হাঁফ ছেড়ে নার্স কে ডাক দে।

নার্সের থেকে ফোন নিয়ে ফায়যানকে কল দিল। কিন্তু ফায়যান কাজ শেষে বন্ধুদের সাথে আড্ডাবাজিতে মেতে ছিল। তাদের কথার মাঝে এতোই মশগুল ছিল যে কলে রিং হচ্ছে তার সাউন্ডও শুনতে পাই নাই। জারা মন খারাপ করে ঘুমিয়ে পড়ে।

—“আচ্ছা দোস্ত এসব ছাড় বল তো ভাবি দেখতে কেমন? আর কবে দেখা করাবি? জেহান দুষ্টুমির বনীতে জিগ্গেস করে।

ফায়যান পানি খাচ্ছিল জেহানের কথায় মুখ ফুসকে সব পানি জেহানের মুখে মেরে দিল। রাহুল অট্টহাসিতে লেগে পড়ে। জেহান গাল ফুলিয়ে বলে।

—“আর কোনো জায়গা পাস নাই? আমার মুখেই বমি করতে পারছস?

—“সো সো সরি দোস্ত মাফ করিস সাথে ধন্যবাদ আমার যেতে হবে। ফায়যানের চট জলদি কথা শুনে রাহুল জেহান একসাথে বলে।

—“কেনোওওওও?
—“আরে তোর ভাবি মেডিক্যাল এ। রাহুল জিহ্বে কামড় দিয়ে সরি বলে আর তাড়াতাড়ি ফায়যানকে যেতে বলে।

ফায়যান বের হতেই জেহান রাহুলকে কাহিনি কি জিগ্গেস করে। রাহুল শুরু থেকে সব কথা জেহানকে বলে।
জেহান শুনে বলে।

—“ও…..মা…..গো…টুরু…..লাভ।

দুইজন মুচকি হেসে খাবার শেষ করতে থাকে। ফায়যান গাড়িতে বসে মুখের থেকে খাবারের লেগে থাকা টুকরা মুছে ফ্রেশ হয়ে নে। সে মেডিক্যাল এ আসতে আসতে রাত হয়ে যায়।

জারার ওয়ার্ডে এসে দেখে সে ঘুম। ফায়যান তার পাশে গিয়ে জারার চুলের মধ্যে হাত বুলিয়ে দে। জারা কারো হাতের স্পর্শ পেয়ে চোখ মেলে তাকায়। ফায়যানকে কাছে দেখে সে মুচকি হেসে বলে।

—“এতো লেইট??? আমি কিন্তু কিছু খাই নি তোমার অপেক্ষা করাতে।

—“আরে তা কেন করেছো? কিছু তো খাবেই না খেয়ে থাকতে কে বলল? ফায়যান পাশে ডিনার রাখা ছিল। সেগুলো প্লেটে বারতে বারতে জারাকে বলে।

—“তুমিই তো বলেছিলে না খেতে। জারা আনমনে টেডি স্মাইল দিয়ে বলে। ফায়যান বেরে কিছুক্ষণের জন্যে থেমে যায়। তার মনে পড়ে যায়। সেই বারণ করেছিল তাকে ছাড়া খাবার না খেতে। সে অপরাধীর মত মুখ করে জারার দিকে তাকায়।

জারা ফায়যানের ফেসের মধ্যে উদাসী ভাব দেখে বলে।
—“আমার গুলুমুলু জামাই উদাস হয়ে গেল কেনো?

—“সরি তোমাকে না খেতে বলে চলে গেছিলাম। তুমি খেয়ে নিতে দেখছিলে তো আমি কত লেইট হয়ে গেলাম কাজ থেকে আসতে আসতে।

—“হুম তা ঠিক এখন শাস্তিও পেতে হবে। বলো রাজি!
—“তোমার বলাতেই রাজি। বলো কি করব?
—“ওকে তাহলে আজিই আমাকে বিয়ে করো।

জারার এমন কথা শুনে ফায়যান চোখজোড়া গোল করে তাকায়। ফায়যান ভাবতেও পারছে না জারা চট করে এরকম কথা বলবে।

ফায়যান খুশির ঠেলায় মুখ ফুসকে বলে।

—“এতো মেঘ না চাইতেও বৃষ্টি পেয়ে যাবো😋।

তার কথাটা শুনে জারা কিছুটা লজ্জামাখা ফেস করে অন্যদিকে তাকায় মুচকি হাসে। ফায়যান জারার গাল ধরে তার দিকে ফিরিয়ে নে। একলুকমা করে করে খাবার খাওয়ায় সে হাত ধুয়ে জারার পাশে এসে বসে।

জারা ভ্রু কুঁচকে বলে।

—“কি শাস্তি পূরণ করবে না?

—“কিসের শাস্তি? না জানার ভান করে বলে।

—“আরে এই কিছুক্ষণ আগে তোমাকে বললাম আমায় বিয়ে করতে ভুলে গেলে? বাচ্চাদের মত ফেস করে কান্নামিশ্রিত কণ্ঠে জারা বলল।

ফায়যান মুচকি হেসে হঠাৎ জারাকে কোলে উঠিয়ে নে।
জারা গাল ফুলিয়ে বলে।

—“এই ছেলে আমাকে নামা বিয়ে করবি না তো হুদায় আমাকে কোলে উঠাস কেন?

জারার মুখে আজ প্রথম তুই-তুকারি শুনে ফায়যান ব্যবলাকান্তের মতো হয়ে জারার মুখের দিকে তাকায়।

—“কি হলো কানে কি কম শুনিস নিচে নামা এখনই। ধমক দিয়ে জারা বলে মুখ ফিরিয়ে নে।

ফায়যান ভ্রু কুঁচকে বলে।

—“বিয়ে না পড়ানো পর্যন্ত কোল থেকে কি চাইলে বাসর থেকে ছাড়বো না।

জারা চোখ পাকিয়ে ফায়যানের দিকে তাকায়। সে খুশিতে তাকে জড়িয়ে ধরে।

ফায়যান গাড়িতে করে তাকে নিজের বাংলোতে নিয়ে আছে। আজ প্রথম জারা ফায়যানের বাসায় এসেছে।
কিন্তু সে অবাক হয়ে গেল এতো বাংলোতে শুধু ফায়যান আর তার দুই সাথী রাহুল আর জেহান থাকে।

রাহুল আর জেহান কাজি সাহেব কে নিয়ে বসে ছিল। ফায়যান জারা সব আদর কায়দার সাথে কাবিন নামায় সই করে। রাহুল আর জেহান তাদেরকে মিষ্টিমুখ করায়।

রাহুল জারাকে দেখে বলে।

—“ভাবি তুমি তো মাশাআল্লাহ খুব কিউট। তোমার কোনো বোন আছে কি? থাকলে আমার সাথে তার সেটিং করায় দাও। ব্লাশিং হয়ে দুষ্টুমির মতো ফেস করে বলে।

ফায়যান ভ্রু নাচিয়ে রাহুল এর দিকে তাকিয়ে বলে।
—“আচ্ছা তাই? তাহলে এই ব্যক্তিটা কে? রাহুল ফায়যানের কথায় সিড়ির দিকে তাকিয়ে দেখে অরিতা হাতে ফুলের তুড়ি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। রাহুলের বলা কথা সে শুনে রাগে বোম হয়ে আছে।

রাহুল এক ঢোক গিলে ফায়যানের কানের কাছে এসে ফিসফিসিয়ে বলে।

—“আগে বলিস নি কেন? অরিতা বাসার মধ্যে আছে।
অরিতার দিকে দাঁত কেলিয়ে হাসার চেষ্টা করে।

সে সবাইকে আমতা আমতা করে বলে।

—“আব জারা ভাবি আমার লাগবে না আমার তো বউ সিলেক্ট করা আছেই। ঐ যে ঐ মেয়েটা আমার হবু বউ। জারা সিড়ির দিকে তাকিয়ে অরিতাকে দেখতে পেল।

অরিতা রাহুলের দিকে কড়া নজরে তাকিয়ে টেডি স্মাইল দিয়ে জারার সাথে কুশলবিনিময় করে। তারা অনেকক্ষণ একে অপরের সাথে থাকার পর অরিতা তো ফায়যানের সামনে জেদ নিয়ে দাঁড়িয়ে গেল।

অরিতা জারাকে বাসর রুমে বসিয়ে ফায়যানের কাছে হাত পাতে। ফায়যান দেখে বলে।

—“বদ মেয়ে নিজের জামাই থাকতে আবার আমার সাথে ডাকাতি?

—“উহ তোমাকে কি এমনেই ভাইয়া বলি? আমার টাকা দাও নইতো আজ বিয়ে করছো ভালো কথা কিন্তু বাসর ছাড়া সারা রাত কাটাতে হবে।

অরিতার কথা শুনে ফায়যান বাচ্চামি ফেস করে বলে।
—“তোরে যে কোন দুঃখে বোন কইছিলাম যে আজ এই দিন থুক্কু রাত দেখা লাগছে।
—“উহ উহ হু এবার টাকা নইতো বাসর ছাড়া🥱!

ফায়যান পাঁচ হাজার টাকা চেক বুকে সই করে অরিতার হাতে ধরিয়ে দিল। অরিতা খুশি হয়ে চলে যেতে লাগে। ফায়যান দরজা খুলে ভেতরে ডুকবে তখন অরিতা যেতে যেতে জোর গলায় বলে।

—“বাসর রাতে বিড়াল মারতে ভুলো না। হিহিহি
—“পাগলনি যাহ ভাগ। অরিতাকে আর পাই কে সে দিল দৌড়।

ফায়যান রুমে ডুকে দেখে জারা বেডের উপর বসা। সে নিচে নামতে যাবে তার আগেই ফায়যান এসে জারার পা ধরে ফেলল। জারা অবাক হয়ে বলে।

—“এই এই আপনি পা কেন ধরলেন? ছাড়েন ছাড়েন।
—“কেন এতে কি হবে?
—“পাপ হবে পাপ। ছাড়েন আমার পা। তার চেয়ে ভালো হাত ধরেন।

ফায়যান মুচকি হেসে জারার পা বেডের মধ্যে রেখে তার পাশে বসে হাতজোড়া এক করে নিল।

—“জানো আমি তোমার কথায় বিয়ে তো করে ফেলছি। কিন্তু তোমাকে আপন এখন করব না তুমি যখন পুরোপুরি সুস্থ হয়ে যাবে তখন তোমাকে নিজে আপন করে ফেলব তার আগে তোমার শুধু টেক কেয়ার করব।

জারা মুচকি হেসে ফায়যানের বুকে মাথা রাখে।
সে নিজেকে শান্ত্বনা দিতে চেষ্টা করছে। কারণ বিয়েটা সেও এতো জলদি করতে চাইনি কিন্তু পরিস্থিতি তাকে খুব জলদি এমন এক বিপদের মুখোমুখি করবে যখন ফায়যান হয়তো তাকে ছাড়তেও দ্বিধাবোধ করবে না।

ফায়যান হাতে নরম তরল কিছু অনুভব করল। সে হাত উঠিয়ে দেখে পানির ফুটো। সে জারার মুখ উপরে করে দেখে তার চোখ ভেজা। ফায়যান ভাবল হয়তো এই খুশির রাতটা এরকম নিশ্চুপ ভাবে যাবে ভেবে জারা কাঁদছে।

ফায়যান কিছু না বলে জারার চোখের পানি ঠোঁট দিয়ে চুষে নে। জারা ফায়যানের স্পর্শ পেয়ে কেঁপে উঠে। ফায়যান জারার গলা থেকে অনামেন্টস খুলে ফেলে। জারাকে বাসায় আনার পর বিয়ে শেষে অরিতা জারাকে বিয়ের সাজ সাজিয়ে ছিল। ফায়যান তার ভারি শাড়িটা দেখে দুষ্টুমির ফেস করে বলে।

—“শাড়িটা চেঞ্জ করে দেই তোমার?

চোখ গোল করে জারা বলে।

—“এ্যাহ না করা লাগবে না।

—“না না তা তো করবই। ফায়যান দুষ্টু হেসে লাইটস অফ করে জারার বুকে উপর মুখ গুজে দে।
জারা পরম আবেশে ফায়যানের ভালোবাসার ছোঁয়া নিচ্ছে।

(আপাত তাদেরকে এখন পার্সোনাল টাইম দেই কেমন!)

______________

আবরার বিরক্তকর ফেস করে ফোনটা বেডে ছুঁড়ে মারে।
তাকে রাগান্তর দেখে জ্যাক বলে।

—“কি হয়ছে আবার মাথা গরম কেন?

—“বলিস না গত কাল থেকে সোনিয়া কল করেই যাচ্ছে আমি যতবার কল কাটি ততবার কল দিচ্ছে। উফফফ মন তো চাচ্ছে মেরেই ফেলি।

জ্যাক অবাক হয়ে বলে।
—“সোনিয়া কে?
—“নাইট ক্লাবের মেয়েটা। সে ভার্সিটির মধ্যেই পড়ে আমি যে ক্লাসে ক্লাস করায় সেখানেই পড়ে। বলতে গেলে আমার স্টুডেন্ট।
—“ওহ তুই দেখ একবার কল ধরে নইত এক কাজ করি আমি ধরি কলটা।
আবরার নিজের মাথা নেড়ে হ্যা জানায়।
জ্যাক কল ধরতেই অপরপাশ থেকে সোনিয়া তড়ফড়িয়ে বলে।

—“স্যার আবরার স্যার আমি সোনিয়া।
—“সরি ম্যাম আবরার স্যার মিটিং এ বিজি কোনো কথা থাকলে আমাকে বলতে পারেন আমি উনার পিএ জ্যাক বলছি।
—“ওহ স্যার আসলে বলছিলাম কি আমি আবরার স্যারের হেল্প করতে পারব।
—“কিসের হেল্প?
—“আবরার স্যার যে মেয়েকে খুঁজছে তার খবর আমি জানি।

আবরার কথাটা শুনে ভ্রু বেঁকে জ্যাকের দিকে তাকিয়ে ইশারা করে বলে।

—“লাউড স্পিকার এ দে।
জ্যাক মাথা নেড়ে হ্যাঁ জানায়। সে লাউড স্পিকার এ দিয়ে বলে।

—“কিন্তু আপনি কিভাবে জানেন স্যার এক মেয়েকে খুঁজছে আর মেয়েটাই বা কে !
—“এসব কথা আপনাকে নয় স্বয়ং আবরার স্যারকেই বলব উনার মিটিং শেষ হলে আমার সাথে কাল দুপুরে ক্যাফের মধ্যে দেখা করতে বলবেন। সাথে উনাকে আসার সময় আমার জন্যে বোনাস চেক আনতে বলবেন। নয়তো আমার মুখ থেকে কিছু বের হবে না। বাঁকা হেসে সোনিয়া বলে কল কেটে দিল।

আবরার মনে মনে ঠিক করে নিল সে কাল কবে কি?

……….চলবে…….

[বিঃদ্র—“আচ্ছা স্পেশাল তো লিখলাম পেয়েছেন কি কোনো স্পেশাল থিংক? আমি নিজেই তো বুঝছি না 😪। আই থিংক আপনাদের গল্পটা তেমন আর ভালো লাগছে না। বাট আমি চেষ্টা করে দেখি আর কতটুকু রহস্যের সমাপ্তি করে ফায়যান জারার ভালোবাসার হেপ্পি এন্ডিং দিতে পারি কিনা। লাগছে যে সেড ইন্ডিং হবে! তবে দেখা যাক। হেপ্পি রিডিং]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here