ডেন্জারাস_ভিলেন_হাজবেন্ড পর্ব ১৫

#ডেন্জারাস_ভিলেন_হাজবেন্ড

#লেখিকা_তামান্না

#পর্ব_১৫

অারমান সাদি আবরারের কথা শুনে থ হয়ে যায়।

—“কি বলিস বাবা? তুই তো দেখি নিজের বাপকেও ছ্যাকা মেরে দিলি!

আবরার অফিস ক্যাফে একটা ওয়াইন এর বোতলের ক্যান খুলে তিনটা গ্লাসে ওয়াইন ঢালতে ঢালতে বলে।

—“কেনো ছ্যাকা তো এখনো দেওয়া বাকি ড্যাড? ডেভিল স্মাইল দিয়ে। মাএই তো গেইম শুরু করব এখন সে হয়তো আমার ছোট ছোট খেলার গুটিকে ফায়যান খেয়ে ফেলছে কিন্তু এবার গুটিটার ওজন কম তবে বুদ্ধির পরিমাণ খুবই ভারি। ওয়াইন তিনটার মধ্যে একটা গ্লাস জ্যাক আরেকটা গ্লাস আরমানকে দিয়ে বলে।

—“ফায়যান হয়তো মনে করবে আপনি আবারো হেরে দেবদাস হয়ে গেলেন কিন্তু আপনার আসল চিরাক তো আমিই। সে তো আমার ব্যাপারে জানে না। ফায়যান আর আবরার এর মধ্যে যে ঠক্কর লাগবে সেটা কিয়ামত সৃষ্টি করবে সম্পর্কের ঘাড়ে ঘাড়ে। শয়তানি হেসে ওয়াইন ড্রিংক করতে থাকে।

আরমান এক চুমুক ওয়াইনে দিয়ে বলে।

—“এটা ঠিক বলছিস ফায়যান জানে না আমার একটা ছেলে আছে। আর সেটা তুই। আমার লোকদের দ্বারা সবসময় তার বাংলোতে চেকিং দেই যদি কেউ তোর ব্যাপারে ওরে জানায় সেই সম্পর্কে জানার জন্যে। বাট ডোন্ট ওয়ারি মাই সান তুই তোর মত দাবা খেল বাকিটা হেল্পের জন্যে আমরা আছি। জ্যাকের দিকে তাকিয়ে চিয়াস করল তিনজন মিলে।

আরমান ড্রিংক শেষে তার একটা কথা মনে পড়ে যায়। যখন তাকে ভার্সিটির কর্মচারী ক্লাসরুমে ডাকতে এসেছিল তখন একটা মেয়ে কে সে পিছ থেকে ঘোরভাবে দেখতে চেয়েছিল।

—“ড্যাড আর্কষণটা কখন হয়?
—“কিসের প্রতি?
—“যেকোনো কিছু পাবার নেশা?
—“পাবার নেশাটা হলে অবশ্যই সেই জিনিসটা তোকে স্পর্শ করার চেষ্টা করবে তোর দৃষ্টি যেনো সেই জিনিসের উপরই পড়ে সেরকম ফিলিং আসবে।

আবরার শুনে মাথা ঝাকুনি দিয়ে বলে।

—“জানো ড্যাড আজ এক মেয়ের প্রতি আমার আকর্ষণ হয়েছিল। কিছুক্ষণের জন্যে আমার লেগেছিল মেয়েটা অন্য কেউ না সেই হলো আমার স্বাদের মায়াবী রাণী ফারিজা।

ফারিজার কথা শুনে আরমান ভ্রু কুঁচকে বলে।

—“কি বলছিস? ফারিজা!! তোর মাথা ঠিক আছে?যে মেয়ে এতো পাহাড়ের উচ্চ চূওড়া দিয়ে নিচে নদীতে পড়ে গিয়েছিল সে বাঁচবে বলে তোর লাগে ! আরে ভুলে যাহ ঐ মেয়েকে আছেই বা কি সেই মেয়ের মধ্যে একবছর তার পিছেই তো ঘুরেছিস কিন্তু পাওা দিলো সে? দে নি শুধু করছে অবহেলা তোর এতো এতো প্রপোজাল তাকে খুশি রাখার জন্যে ধন-সম্পদ তার নামে করে দেওয়ার কথাও বলেছিস কিন্তু তার মত চিপ মেয়ে তোর মতো রির্স বয় কে হাতেনাতে রিজেক্ট করে দিল।

আরমানের প্রতিটা কথা শুনে আবরার এর আগের সব কথা মনে পড়ে পুনরায় তাজা হতে থাকে। সে কড়া গলায় বলে।

—“সব সুদ নেওয়া বাকি আছে ড্যাড খুব বাকি আছে। একবার তার মুখখানি আমার সামনে চলে আসুক তারপর তাকে আমার হিংস্র স্বাদ নেওয়া থেকে কে বাঁচাবে দেখব। হারানোর আগে সন্ধ্যার দিকে সে তো আমার সাথেই ছিল কিন্তু আমার আসল কারণটা কি সেটা বুঝে গেছিল তাই আমার মাথায় ফুলদানি মেরে পালিয়ে যাচ্ছিল কিন্তু আমার নিকর্মক গার্ডস কে তার পিছে পাঠালে সব গুলা সেই রাতে হারানো মুখ নিয়ে আছে। শালার কুওার বাচ্চা কতগুলা আমার সামনে…….আবরার সাদির সামনে উদাস অসহায় হারের মুখ নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল। সবগুলোকে একদম সারাজীবনের জন্যে ঘুমের দেশে পাঠায় দিলাম।
বলে জোরে শক্ত করে চেপে ধরে ফারিজার ছবিটা।

—“হুম সব জানি বাবা। এখন বল ভার্সিটির মধ্যে কি তাকে দেখেছিস?
—“নাহ জ্যাকের ইনফোরমেশন মতো আমি সেখানে গিয়েছিলাম ঠিকিই কিন্তু ফারিজাকে এখনো দেখেনি।
জ্যাক তুই কি সিউর ফারিজা সেই ভার্সিটির মধ্যেই আছে? জ্যাক এর দিকে মুখ ফিরে তাকিয়ে জিগ্গেস করে।

—“হ্যা স্যার ফারিজা ম্যাম নদীতে পড়ার পর উনাকে পাওয়া যায় গ্রামাঞ্চল এর নদীর ধারে। সেখানকার লোকেরা তাকে চিকিৎসার জন্যে শহরে পাঠায়। কিন্তু তার কাছে আইডিকার্ড বা আইডেন্টি ফাই করার মতো কিছুই ছিল না যার কারণে আমাকে হসপিটালের ডক্টররা বলে এমন পেসেন্ট অনেক তাদের কাছে আছে। আর যেদিন ফারিজা ম্যাম ভর্তি হয়ে ছিল সেই হসপিটালের সেদিন ফারিজা ম্যামের মতো আরো রোগীকে নদীর ধার থেকে উধার হয়ে নিয়ে আসা হয়েছিল। পরে ফারিজার ব্যাপারে ডাক্তারদের ছবি দেখালে উনারা মেয়েটার নাম ফারিজাই বলে আর সে ডাক্তারদের কোন ভার্সিটিতে ভর্তি হবে সেটাও জানায়। এর বেশি কিছু আর বলে নি। ভার্সিটির নাম যেটা আমায় বলল সেটাই আপনাকে জানায়।

আবরার শুনে ফারিজার ছবির দিকে তাকিয়ে বলে।

—“আর কতোই বা লুকোচুরি খেলবে? একদিন না একদিন আমার সামনে তোমার আসতেই হবে।..আমার থেকে ফারিজার স্বাদটা আকর্ষণ আজ একবছর পর পাইলাম ভার্সিটির সেই মেয়ের থেকে যাকে আমি দেখতে চেয়ে ছিলাম কিন্তু পারলাম না।

আরমান আহ্লাদী কণ্ঠে বলে।

—“তাতে কি আবার ভার্সিটির মধ্যে যাবি তো। তখন খুঁজে দেখিস পাস কিনা? বাই দ্যা ওয়ে তুই ফায়যানের উপর আমলা কবে করছিস?

—“ড্যাড ক্লাস রুম থেকে বের হয়েই আমি ফায়যানের উপর আক্রমণ করতে ভাড়াটে গুন্ডা পাঠায়। কিন্তু ফায়যান এর সামনে এধরনের ভাড়াটে গুন্ডা তো কিছুই না তাই সবগুলাকে সে বন্দী করে রাখছে। টেবিলে হাত মুঠো করে ঘুষি মারে।

—“কিন্তু ফায়যানের কাছে যদি ভাড়াটে গুলা বন্দী থাকে তাহলে তারা তোর নাম ওরে জানায় দিবে না?

—“নো ড্যাড তারা কিছুই বলবে না কারণ আমি তাদেরকে কিছু বলার মত সুযোগই দেই নি। বাঁকা হেসে দিয়ে সরু চোখে আরমানের দিকে তাকিয়ে বলে।

—“মানে কি বলতে চাস?
—“মানেটা সিম্পল ভাড়াটে রা আমার দেওয়া খাবার খেয়েছে। আর আমি মালিক আমার কথামতো তাদেরকে সব খেতে হয়েছে। এখন যদি তারা আল্লাহর প্রিয় হয়ে যায় তাহলে তাতে আমার কিছু করার নেই !
শাহজাহান নিজের প্রিয়সীর নামে মহল নিমার্ণের জন্যে গোলামদের হাত কেটে ফেলেছিল আর আমি আমার নাম ফায়যানের সামনে না বলার জন্যে তাদের খাবারে বিষ মিশিয়ে দিয়েছিলাম। তারা খাবার খেয়েছে ঠিকিই কিন্তু মারা যাবে ঠিক তখন যখন তারা আতঙ্ক ধরনের কোনোকিছু দেখবে। আর আমার জানা মতে ফায়যান আতঙ্ক দেখাতে মাস্ট আছে।

—“বাহ্ মাই সান আই প্রাউড অফ ইউ। তুই খেলার চালে কোনো ধরনের ভুল ছাড়িস না এটাই হলো তোর যোগ্যতা। আরমান আবরারের পিঠে হাত বুলিয়ে শাবাশী দিচ্ছে।

আরমান মুচকি হেসে জ্যাককে বলে।

—“ছিঁড়া ফাইলটার জোড়া লাগানোর কোনো ব্যবস্থা হয়ছে?
—“জ্বী স্যার আইডেন্টি খুঁজে পেয়েছি কিন্তু……..মাথা নিচু করে চুপ হয়ে যায়।
—“কিন্তু কি?
—“ছবি সংগ্রহ করতে পারছি না তবে নামটা জানতে পেরেছি।
—“কি নাম? গম্ভীর কণ্ঠে অন্যদিকে ফিরে বলে।
—“স্যার মেয়েটার নাম হলো জারা।
—“ওকে কাল দেখি এই জারাটা আসলে কে? যার ভার্সিটিতে আসার সময়সীমা ফারিজার সাথে মিলে।

জ্যাক স্বাভাবিকভাবে ড্রিংক করে দাঁড়িয়ে আছে।

(এখন আপনারা ভাবছেন ফারিজা কে? কোথার থেকে আসল তাহলে বলি। ফারিজা অন্য কেউ না সে হলো একবছর আগের সেই হারিয়ে যাওয়া মেয়েটি। যে পাহাড়ের চূওড়া থেকে নদীতে পড়ে গিয়েছিল। তাকে কোথায় থেকে কিভাবে উধার করা হয়েছে জ্যাকের কথায় তো বুঝছেনই আর আবরার ছিল তার প্রেমিক কিন্তু সেটা ভালোবাসার না শুধু ছিল দেহের স্বার্থ মিটানোর। তবে ফারিজা তাকে প্রতিবার রিজেক্ট করে যার প্রতিশোধ কিভাবে আবরার নিতে চেয়েছিল তাও এই পর্ব এর প্রথমে বলা হলো। এখন তো বুঝতে পেরেছেন নিশ্চিত ফারিজা অর্পানেজেই হয়ছিল আর মৃত্যুও হয়েছিল পাহাড় থেকে পড়ে। পরে জানা গেল সে মরে নি বেঁচে আছে আর তাও স্টাডি করছে ভার্সিটির মধ্যে যেখানে জারা আছে। )

_______________

ফায়যান পাঁচজনের মধ্যে একজন তো বেডে শুয়ে আছে। যে বেডে শুয়ে আছে তাকে তো ফায়যান নিজ হাতের কেরাটি মেরে বেহুঁশ করেছিল। এখনো সে জাগে নি। ফায়যান রাহুলের দিকে তাকিয়ে বলে।

—“রাহুল ঘুমন্ত মানুষটাকে আদর সহাগ করে আরশোলার বেডে শুয়ে দে। আর দরজাটা অফ করে দিস।

রাহুল জানে ফায়যান এখন কি কি বেহাল দশা করবে এদের সাথে।

—“ওকে স্যার। রাহুল চারজন ছেলের সামনেই একজনকে আরশোলায় ভরপুর বেডে মটু বুড়াকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিল। দিয়ে সে আর এক গার্ড বের হয়ে দরজা বন্ধ করে দে।

সাথে সাথে চিৎকার আসা শুরু হয় রুম থেকে। রুমটা আয়নায় ঘেরা। কিন্তু লাইট অফ দেখে চারজন ছেলে বুঝছে না ভেতরে কি হচ্ছে। ফায়যান বাঁকা হেসে রাহুলের দিকে তাকায়। সে ইশারা করে রাহুলকে লাইটস অন করতে বলে। রাহুল গিয়ে লাইটস অন করবে তার আগে নিজের পকেট থেক কালো সানগ্লাস বের করে চোখে লাগিয়ে নে।

—“ভাইয়া তো এসব দেখতে পারে কিন্তু আমার মতো নিষ্পাপ মনের বাচ্চা ছট করে দেখে জট করে অজ্ঞান হয়ে যামু। রাহুল এক ঢোক গিলে লাইটস অন করে দে।

চারজনের সামনে লাইটস অন হতেই তাদের এক সঙ্গের ভয়ংকর মৃত্যু ভেসে উঠে। তারা সামনে তাদের সঙ্গের যে অবস্থা দেখল। আরশোলা গুলো তাদের সঙ্গের চামড়া খেয়ে নিচ্ছে,, মাংস বের হচ্ছে মাথার চুলগুলোও আরশোলা টেনে মস্তিষ্কের টুকরা টুকরা করে খেতে লাগছে।

চারজনের মধ্যে একজন এমন অবস্থা দেখে হঠাৎ বমি করে দে। ফায়যান তার দিকে তাকিয়ে বলে।

—“কি রে তোর সঙ্গের অবস্থা দেখে কি তুই গর্ভবান হয়ে গেছিস? বাচ্চা হবে নাকি! রাহুল শুনে হাসি মেরে দে। ফায়যান তার দিকে চোখজোড়া ছোট করে তাকায়। রাহুল তাকে দেখে হাসি থামিয়ে হালকা কাশার ভান করে।

—“কি বলস না কেন বমি আসছে টয়লেটে যাবি না?
ফায়যানের এমন কথায় সবাই অবাক হয়ে থাকায়।

যে বমি করল সে নিজের মাথা নাড়ল। ফায়যান তার গার্ড এর দিকে তাকিয়ে বলে একে টয়লেটে নিয়ে যাহ।

—“ওকে স্যার। তারা ছেলেটাকে নিয়ে যায়। ফায়যান বাঁকা হেসে সিসিটিভি ফুটেজ অন করে। বাকি তিনজন আর রাহুল বুঝতে পারছে ফায়যান এখন অন্য জাল ফেলাবে। ঠিক তাই হলো। যখন গার্ডস ছেলেটাকে টয়লেটে ভেতরে ঢুকায় তখনই টয়লেটের দরজা স্ট্রেটলি অফ হয়ে যায়।

ছেলেটা ফ্রেশ হয়ে বের হতে চাইলে দরজা খুলে না। তখন সে জানালা খুলার চেষ্টা করলে সেটা অফ হয়ে থাকে। হঠাৎ খেয়াল করল সেখানে সিলিন্ডারের অন্ধ ছড়িয়ে যাচ্ছে। হঠাৎ আগুনের স্পর্শে সে সেখানেই মারা যায়। এ দেখে তিনজন ছেলে তড়তড় করে কাঁপছে।

—“এবার তোরা তিনজন বেঁচে আছস বল আমাকে মারার জন্যে কে পাঠিয়ে ছিল। বলললল……..ধমক দিল। কিন্তু তার ধমক তিনজনের ব্রেনে ভয়ংকর আতঙ্ক তৈরি করে ফলে তাদের গাল থেকে ফেনা বের হতে শুরু করে। ফায়যান তাদের গালের অবস্থা দেখে তড়িঘড়ি রাহুলকে বলে জেহানকে কল করতে।

রাহুল জেহানকে কল করতেই সে ফায়যানের গোডাউনে চলে আসে।

—“কি হয়ছে দোস্ত?
—“জেহান পরে বলছি আগে এদের চেক কর।

জেহান গোয়েন্দা কাজ যেমন করে তেমন চিকিৎসার ব্যাপারেও সে প্রশিক্ষণ নিয়েছিল। জেহান তাদের চেক করে উদাস ফেস করে ফায়যানের দিকে তাকিয়ে বলে।

—“এরা মারা গেছে।
—“ওয়াট????? অবাক নজরে জোরে বলে উঠে।
—“ইয়েস এদের ব্রেনে ভয়ংকর আতঙ্ক লেগে যাওয়ায় বিষের প্রকোপ পড়ে শরীর নিতেজ হয়ে মারা গেছে।
—“কিন্তু এটা কিভাবে সম্ভব?
—“হয়তো এদেরকে বিষজাতীয় পাউডার খাওয়ানো হয়ছে। আর বিষ যেটা খাওয়ায়লো সেটা সাধারণ বিষ না আমি যেটা প্রথমে বললাম ব্রেনে আতঙ্ক লাগলেই বিষ তার প্রতিরুপ দেখায় দে কিন্তু এর আগে কিছুই বুঝা যাবে না বা দেখা যাবে না।
—“হুমম। কিছুটা ভাবান্তর হয়ে ফায়যান নিজের মাথা নাড়াল।

জেহান রাহুল ফায়যানকে ভাবান্তর দেখে বলে।

—“কি ভাবতেছিস?
—“ভাবতেছি আরমান এতো চালাকি করল কিভাবে? যাকে বোকা ভাবতেছি সে চালাক হওয়ার কাম কবে থেকে শুরু করল?
—“কেন? সে কি বোকা নাকি ! জেহান ভ্রু কুঁচকে ফায়যানকে জিগ্গেস করে।
—“বেকুবের গোবরখানার মালা ওপস সরি নোবেল গুমার্কা নোবেল দেওয়া যাবে। হাহাহাহা

ফায়যানের কথা শুনে রাহুল জেহানও হাসতে থাকে।

মেডিক্যাল এ জারা গাল ফুলিয়ে বসে আছে। তার সামনে নাস্তা রাখা। ফায়যান বলেছিল সে আসলে একসাথে খাবে কিন্তু ফায়যানের কথামত তার আসার কোনো নামনিশানা জারা পাচ্ছে না।

সে উইলচেয়ারের ট্যায়ারগুলো নেড়ে ওয়ার্ড থেকে বের হয়ে টেলিফোন লাইন কোথায় খুঁজতে লাগে। কারণ তার ফোন বাসায়। সে টেলিফোন লাইন পেয়ে যায়। সেখানে গিয়ে এক মহিলাকে দেখে সে চমকে গেল।

তার চোখজোড়ার পাপড়ি কাঁপতে শুরু করে। তার কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম জমাট বাঁধতে লাগে। মহিলা এক নার্স এর সাথে কথোপকথন এ ব্যস্ত।

জারা মহিলাটাকে দেখে মুখ ফুসকে বলে।

—“মিসেস……..

………..চলবে……..

[বিঃদ্র—“নেন আজকের পার্ট ও একটু বড় করে দিলাম। এখন হয়তো আপনারা একটু হলেও গল্পের রহস্য বুঝতে পারছেন ফারিজা হলো হারানো মেয়েটির নাম। আবরার তার পুরোনো প্রেমিক সে একবছর তন্ন তন্ন করে ফারিজাকে খুঁজছে। এখন জ্যাক তো ফারিজা কে হবে বলে জারার কথা বলল। আপনাদের কি মনে হয় জারাই কি ফারিজা? ওকে গাইস দেখি কাহিনি কেমন হয়। হেপ্পি রিডিং]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here