তাহারেই পড়ে মনে পর্ব ৫

#তাহারেই_পড়ে_মনে
পর্ব পাঁচ
পুরো ঘটনাটায় মিষ্টির মনোজগতে বিরাট পরিবর্তন ঘটিয়ে ফেললো। খোলসে গুটিয়ে থাকলেও ও যে বয়সটা পার করছে সেই বয়সে মেয়েরা কারণে প্রেমে পড়ে, অকারণ প্রেমে পড়ে। ব্যর্থ কবি কিংবা দারুণ গল্পকার, সিনেমার হিরো বা হিন্দি সিরিয়ালের বুড়ো নায়ক, কলেজের কড়া শিক্ষক বা দোকানের সেলসম্যান, জিমের ইন্সট্রাক্টর বা হোকনা রোগা- ট্যাংরা কোনো কিশোর, কারো প্রেমে মজতে বাঁধা নেই। বিকেলের বাতাসে এদের মন উচাটন হয়, দুপুরের রোদে এরা উদাস তাকায়, নিশুতি রাতে এরা গুমরে কাঁদে আবার মনের খেয়ালে তাল-বেতাল হেসে ওঠে! টেক্সট বই আর মিঠির পাশাপাশি মিষ্টির মনের কোণে আরেকটি প্রিয় নাম যোগ হলো – প্রিন্স! মিষ্টির ভাষায় অতি বদ, অসভ্য, অভদ্র, অশিক্ষিত প্রিন্সের জন্য মিষ্টির মতো বুদ্ধিমতি মেয়ের মনের এই খেয়াল আশ্চর্যজনকই বলবে লোকে জানলে, কিন্তু ওইযে বলে
‘পিরিতে মজিলে মন
কেবা রাজা কেবা হরিজন!’

মিঠিকে ঘুম পাড়িয়ে, রুটিন মেনে পড়াশুনা শেষ করে ও যখন ঘুমাতে যায় ঠোঁটে ঠিক এক চিলতে হাসি নেমে আসে প্রিন্সের নামে। বালিশে মাথা রেখে ক্লান্ত চোখের পাতা বুজে আসার আগে আগে হয়তো মিনিট পাঁচেক সময় পায় ও ওই খেয়ালে ভাসতে। ওই পাঁচটা মিনিটই নানান রঙে সাজায়, নানা কল্পনা আর জল্পনার পানসী ভাসায়। ওই পাঁচমিনিটই ওকে পরের সারাদিনের এনার্জি দিয়ে দেয় যেন! কিন্তু ও কিছুতেই ভেবে পায়না প্রিন্স এমন করে পালালো কেন? পালালোই যদি যোগাযোগের কোনো মাধ্যম কেন বাতলে গেলো না। দেওয়ান মঞ্জিলের ফোন নাম্বার ও তো আছে প্রিন্সের কাছে, ওখানে ফোন করে মিষ্টিকে ডেকে নিলেও তো হয়। কিন্তু এতো বুদ্ধি কি আছে ওই মুর্খ ছেলের মাথায়!

ক্যালেন্ডারের পাতা রীতিমতো উল্টাতে থাকে, সময়ের বদলও হতে থাকে। খুব ভালোভাবে পরীক্ষা শেষ করে মিষ্টি। রেজাল্ট যে দারুণ কিছু হবে সেই ব্যাপারে নিশ্চয়তা ওর বাবা মাই দেয় – এতোটা পরিশ্রম দেখেছে মেয়ের! এডমিশন টেস্টের জন্যও কোমরবেঁধে লাগতে হবে। কয়েকটা দিনের রিফ্রেশমেন্ট দরকারে ও মামাবাড়ি যাওয়ার আব্দার করলো।

এবারে মামাবাড়ি যাওয়ার সময় হাইওয়ে, অদূরে মেঠোপথ, পথের দুপাশে মাঠের ফসল, আমড়াওয়ালা, চায়ের দোকান সবকিছুই মিষ্টির অন্যরকম লাগলো। কেমন একটা প্রতীক্ষার মতন। মামাবাড়ি এসেও মিষ্টির বিষন্নতা কাটলো না। একগাদা কাজিনের হৈহল্লা সারাদিন লেগেই থাকে, তাতে ওর মন লাগে না। ও ওর সবসময়ের বোরিং অবতার, হাতে হ্যান্ডনোট নিয়েই মুখ চিমসে করে ঘুরতে লাগলো। কাউকে যে প্রিন্সের কথা জিজ্ঞেস করবে তাতেও একরাশ সংকোচ এসে আটকালো। ও কেন এখানে এসেছে তাই বুঝতে পারছে না। মিঠিকে রেখে আসাতেও খারাপ লাগছে। ও মুখচোখ শক্ত করে নানির ঘরের বারান্দায় বসে বসে পড়তে শুরু করলো। পড়াশোনা ওর কাছে মেডিসিনের মতো, যেকোনো সমস্যায় ও বইয়ের মধ্যে ঢুকে যায়, সমাধান খুঁজে পায়না কিন্তু সমস্যা থেকে দূরে থাকা যায়। ওর নানি এসে পাশে বসলো, ‘বইন রে, ও বুজান, একটু পান ছেঁচে দিবা?’
‘এখন?’
‘এতো পড়া কীসের বইন? দেখবা মাথা গরম হয়ে গেছে কোনদিন! বেড়াইতে আসছো, হাইসা-খেইলা বেড়াও দুইদিন।’
মিষ্টি তাড়াতাড়ি বই বন্ধ করে। নানির কথাটা মাথায় কিক করেছে। লিপির অবস্থা তো নিজের চোখেই দেখেছে। অবশ্য লিপি সুস্থ এখন। বিয়ে হয়ে গেছে গতমাসেই। পছন্দের সেই ছেলের সাথেই। মিষ্টিদের দাওয়াত ছিলো। সবাই গিয়েছিলো ও বাদে, ওর তো পরীক্ষা চলছিলো। ছাদে লিপি আর ওর বরকে দুবার দেখেছে। ভালো লাগে একসাথে দুজনকে। লিপি আগের মতোই চোখে চোখ পড়লে চোখ সরিয়ে নেয়। সেদিন কী ভয়াবহ কাজ করেছিলো তা কি ওর মনে আছে, ভাবে মাঝে মাঝে মিষ্টি। প্রিন্স ও তো সেইদিনই ওকে কীসব বলে দিলো। ওই কথাগুলো কি মজা করে বলেছিলো নাকি সত্যি, মিষ্টির জানতে ইচ্ছে করে। যদি মজা করে বলে, তবে? মিষ্টি যে এতোদিন কতকিছু ভেবে নিলো। আর যদি সত্যি সত্যিই ওগুলো প্রিন্স মন থেকেই বলে থাকে তবেই বা মিষ্টি কী করবে? ওকে বিভ্রান্ত দেখা গেলো। সবকিছু এতো জটিল কেন? এরচেয়ে আইনস্টাইনের ‘থিওরি অফ রিলেটিভিটি’ তো অনেক সহজ। কয়েকটা সুত্র মাথায় থাকলে আর রুট জানলে ক্যালকুলাসও মিষ্টির কাছে পানিভাত!

নানির কাছ থেকে হামান-দিস্তা নিয়ে মিষ্টি পান ছেঁচতে শুরু করলো। এই কাজটা ওর কাছে খুব মজা লাগে বলে ওর নানিও ও আসলে ওকেই পান ছেঁচে দিতে বলে। কী সুন্দর, সবুজ রঙের তরতাজা পানগুলো একটু একটু করে রঙ পাল্টাতে পাল্টাতে টুকটুকে রঙ নেয়! আর যে শব্দটা হয় টুনটুনটুন, কানের যেন আনন্দ হয় তাতে! সুপারি আর চুনের কম্বিনেশন ভালো হলে খেতেও মজা লাগে, গালও লাল হয়ে যায়! সেই লাল ঠোঁট দেখে নানি ওর থুতনিতে হাত দিয়ে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দেখে আর বলতে থাকে ‘দুলাভাই অনেক আদর করবে আমার বইনরে।’ মিষ্টি লাজুক হাসে এসব কথা শুনে।
অনেকগুলো পান ছেঁচতে দিলে মিষ্টি জানতে চাইলো এতো পান দিয়ে কী হবে?
‘সাবিহার মাইয়ার বিয়ে। ওর তো মা-বাপ বাঁইচা নাই, তাই খালা, মামা, চাচা যারা আছে সবডিরে ডাকছে, পরামর্শ নেওয়ার জন্য। ওইখানে পান, সুপারি কেনে ওরা কিন্তু আমার তো দাঁত নাই। তাই ছেঁইচা পেলাসটিকের বাটিতে করে নিয়া যাবো।’

সাবিহা মানে প্রিন্সের মা। মিষ্টির বুকের ভিতর যেনো লাফালাফি শুরু হয়ে গেলো। ‘ওহ, তাহলে তো তুমি অনেক দেরি করে ফিরবা আজকে তাই না?’

‘ক্যান। তোমার কি মন কান্দে? সবগুলা পোলাপাইন আজকে পড়তে গেছেগা। কয়দিন স্কুল-কলেজ না গেলে কী হইতো? একা একা লাগে তোমার? আহারে, মুখটা ছোট হইয়া গেছে। তুমি যাবা আমার সাথে বইন? বেড়াই আসলা?’

মিষ্টি তক্ষুনি রাজি হয়ে যায়। ওর নানি প্রিন্সের কথা ভুলে গিয়েছিলেন তাই মিষ্টিকে যাওয়ার প্রস্তাব দিয়ে বসেছেন। এখন খেয়াল হলো কিন্তু নাতনির বেজার মুখে হাসি ফুটতে দেখে আর মন ভেঙে দিলেন না। থাকগে, কী আর হবে, মিষ্টিকে একটু চোখে চোখে রাখলেই চলবে। আর এই নাতনিটার বুদ্ধি আর প্রবৃত্তির উপর তার যথেষ্ট ভরসাও আছে।

সাবিহার বাড়ির বিরাট গেটটা ঢং করে খুলতেই মিষ্টির বুকের ভেতর টকাস করে উঠলো। ওর মনে হলো বিরাট ভুল হয়েছে এখানে আসাটা। ওর নিজের গত কয়েক মাসের আচরণ, চিন্তা ভাবনা এমনিতেই ওর নিজের কাছেই অসংলগ্ন লাগছিলো, এখন ওভারশিওর হলো। লিপির মতো পড়তে পড়তে ও নিজেও নিশ্চয়ই পাগল হয়ে গেছে। ও নানির শাড়ির আঁচল চেপে ধরে বললো ‘নানি, আমি যাবো না, চলো চলে যাই।’
‘অস্থির লাগে বইন? সাবিহার বাড়িতে ঢুকলে এমনধারা হাঁসফাঁস সবারই লাগে। আমরা কি বেশিক্ষণ থাকবো নাকি? মাগরিবের আজান দিয়া দিছে। এশার নামাজের ওক্ত হইলেই যামুগা। এরাও আমাদের সমাজ রাখতেই ডাকছে শুধু – নইলে বড়লোকের বেটির বিয়াতে আমাদের বুড়ামানুষের পরামর্শের দাম আছে নাকী? পরে যদি কিছু কই তাই দোষকাটানি দিতেছে। তুমি তো চুপচাপ বইয়া থাকতে পারো, বই হাতে নিয়া। এইয়াই কইরো, আনছো না বই লগে?’
মিষ্টির ব্যাগে দুই একটা নোটশীট সবসময়ই থাকে। ও একটু আশ্বস্ত হলো। কিন্তু সবার মাঝে বই নিয়ে বসে থাকলে তো সবার এটেনশন ওর দিকেই যাবে। লোকে আঁতেল বলবে ওকে। নিজেকে বেকুব মনে হতে লাগলো মিষ্টির। কেন এলো ও? এইবাড়িতে কেন এলো আর মামাবাড়িই বা কেন এলো? মিঠিকে রেখে আসতে পারলো ও? মিঠির কথা মনে উঠে চোখ ছলছল করে উঠলো মিষ্টির!

বাড়িতে ঢোকার আগে গাড়িবারান্দায় বাইক চোখে পড়লো। প্রিন্সের বাইক দুর্বলতার কথা সর্বজনবিদিত! তার মানে ও বাড়িতেই আছে, মিষ্টির নিজেকে অবশ মনে হতে থাকে! নিজের গালে সপাটে দুটো চড় কষাতে ইচ্ছে করে।
এই বাড়িতে ও আগেও এসেছে, হাইওয়ের পাশে কয়েক একর জায়গা জুড়ে বাড়ির সীমানা। কয়েকটা মাছের ঘের, পানের বরজ, কাঁঠাল বাগান আম বাগান, কলার ভুঁই এমন অনেক বাগান। যতটা চোখে পড়ে সব এই খাঁ গোষ্ঠীর! তার মাঝে বিশাল একতলা বাড়ি! আগে বাড়ির বাইরে বার্জার পেইন্টের বিরাট বিজ্ঞাপন পেইন্ট করা ছিলো – এখন একেবারে ধবধবে সাদা!
বাড়ির ভেতরে ঢুকতেই সাবিহা খালাকে দেখতে পেলো। কটকটে নীল রঙের শাড়ি পড়া তাও জর্জেটের। প্লেইন শাড়িতে চুমকি আর ডলারের কাজ। মানুষের টাকার সাথে রুচির সম্পর্ক কি ব্যস্তানুপাতিক? মিষ্টির মুখ তেতো হয়ে যাওয়ার মতো ভাব হলো।

‘এটা জাফরিনের মেয়ে না? এতো কালো কেন? ওর মা তো কালো না, বাপও কালো না, ও এতো কালো কেন? আর এইবয়সেই চশমা- কানা নাকী? তোমার মার তো বুড়োবয়সে আরেকটা বাচ্চা হইছে, না? ভাই নাকি বোন হইছে তোমার?’ মহিলা একনাগাড়ে প্রশ্ন করে গেলেন।
মিষ্টির মনে হলো, এবারে ও সত্যি সত্যি কেঁদে ফেলবে। এতো বিশ্রী করে কেউ কথা বলে? যেমন মা তার তেমন ছেলে। ছেলের ব্যবহারও এতোটাই খারাপ! কোনো কার্টেসির ধার ধারেনা কেউ! ওই সৌজন্যহীন, অভদ্র ছেলেটার কথা মনের ভেতর আসার সুযোগ দিয়েছে বলে নিজের উপরে নিজের রাগ আরও বেড়ে যেতে লাগলো মিষ্টির।

মিষ্টি কোনো উত্তর না দিলেও মহিলা কোনো প্রতিক্রিয়া দেখালো না। প্রশ্ন করাটাই ওনার উদ্দেশ্য ছিলো, উত্তর পাওয়াটা মুখ্য না। কোনো কোনো মানুষ অন্যকে অকারণ অপমান করেই নিজেকে জাহির করতে পছন্দ করে। মিষ্টি চুপচাপ এক কোনের সোফায় বসে পড়লো। চারপাশে তাকিয়ে দেখলো, প্রিন্স নেই। স্বস্তি পেলো মনে মনে। একটু পরে জিনিয়া ডেকে নিলো ওকে। জিনিয়া, সাবিহার মেয়ে। একবছরের বড় মিষ্টির চাইতে। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আগেও দেখা হয়েছে। একটু মুডি মনে হলেও খারাপ লাগেনি ওকে কখনো মিষ্টির। মুডি তো লোকে মিষ্টিকেও বলে! মিষ্টিকে নিয়ে নিজের ঘরে বসে গল্প করতে লাগলো। তবে বেশিক্ষন উৎসাহ থাকলো না। জিনিয়ার সব গল্পই সাজগোজ আর হিন্দি সিরিয়াল নিয়ে। আর নিজের রূপ নিয়ে হামবড়াই! শ্রোতা হিসেবে মিষ্টি ভালোই কিন্তু শুধু একজনেই বকবক করে গেলে আর অন্যজন হ্যাঁ, হু দিয়ে চালিয়ে গেলে খুব বেশিক্ষণ কথা টেনে নেওয়া যায় না। এর ভিতর আবার নাস্তা খাওয়ার ডাক পড়লো। মিষ্টি আর জিনিয়াও এলো বসার ঘরে। চানাচুর, বিস্কিট এইটাইপ নাস্তা দেওয়া হয়েছে। সাবিহা মিষ্টিকে খেতে বলতেই মিষ্টির নানি ফট করে বলে বসলেন ‘ও তো খাবে না কিছু। ওর মা ওদেরকে রাত আটটায় ভাত খাইয়ে দেয়।’ মিষ্টি তাকিয়ে দেখল ঘড়িতে আটটার কাছাকাছি।
সাবিহা ও পাল্টা উত্তর দিলো ‘তা ভাতই খাবে। আমার হাড়িতে কি ভাত নেই নাকী?’
‘ওরা রাতে শুধু দুধভাতই খায়’ অম্লান বদনে মিথ্যে বলে গেলেন মিষ্টির নানি। এই নানিরও সমস্যা আছে, ভাবলো মিষ্টি মনে মনে। কথায় কথায় সবজায়গায় নিজের মেয়েকে যে ভালোঘরে বিয়ে দিয়েছেন, সে শহরে থাকে, কত স্টান্ডার্ড চালচলন, কি সুন্দরভাবে বাচ্চাকাচ্চা মানুষ করে এইসব জাহির করতে খুব ভালোবাসে!

সাবিহা ও তো তারই বোনঝি, বুঝে গেলো তার ইচ্ছে না মিষ্টি এইবাড়ি কিছু খাক। ট্রামের উপর ওভারট্রাম মারলো সে ‘আচ্ছা, দুধ শুধু কি তোমার মেয়েই যোগান রাখে, আমার বাড়ি দুধের হাড়ি চড়ে না?’

একটু বাদেই একপ্লেট উঁচু উঁচু ঠান্ডা কড়কড়ে ভাতের ভিতর একগ্লাস দুধ ঢেলে দিয়ে মিষ্টির সামনে দিলো সাবিহা। মিষ্টি কী বলবে ভেবে পেলো না – নানির মুখফসকা কথার দাম দিতে গিয়ে এখন ওকে এই খেতে হবে? ওর কান্না পেলো। সময়বিশেষে আম, পাকা কলা বা খেঁজুড়ের গুড় দিয়ে ও দুধভাত খায় কিন্তু এতোগুলোতো নাই আরও রাত আটটায় মোটেও না। দু এক লোকমা মুখে দিয়ে ওর ওয়াক আসলে ও আর নানির কথা ভাবলো না, কোনোরকমে দুধটা চুমুক দিয়ে খেয়ে উঠে পড়ে হাত ধুয়ে নিলো। সাবিহা খালার কটমটে চোখও পুরোপুরি উপেক্ষা করলো। আপনি বাঁচলে বাপের নাম!

ও সোফায় বসে একটা ছোট নোটবুক বের করে চোখ বুলাতে লাগলো। এমন সময় ছাদের সিঁড়ির দিক থেকে ধপধপ শব্দ শুনে তাকিয়ে দেখলো প্রিন্স, রাজু আর আরও কয়েকটা ছেলে নামছে। তার মানে ওরা এতক্ষণ ছাদেই ছিলো। মিষ্টি তাড়াতাড়ি চোখ ফিরিয়ে নিলো নোটবইয়ের দিকে কিন্তু ওর হার্টবিট বেদম বেগে দৌঁড়ানি শুরু করলো।

প্রিন্স এসে একেবারে ওর সামনে দাঁড়িয়ে দাঁত বের করে হাসতে হাসতে বললো ‘এই বিদ্যেধরী এসেছে আমাকে কেউ বলেনি তো! দেবি সরস্বতী বাড়ি বয়ে এসেছে জানলে তো আমি কখন নেমে আসতাম!’

চলবে…

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here