বান্ধবীর বিয়েতে এসে নিজেরই বিয়ে হয়ে যাবে কখনো ভাবিনি। সবাই বান্ধবীর বিয়েতে কতো মজা করে আনন্দ করে আর আমি বান্ধবীর বিয়েতে নিজেই বউ সেজে ঘোমটা টেনে বসে আছি।আমি আসপিয়া অনার্স সেকেন্ড ইয়ারে পড়ি। বাবা-মার একমাত্র মেয়ে। আজ আমার বান্ধবী দিয়ার বিয়ে ছিলো ও এই বিয়েতে রাজি ছিলো না। কারণ দিয়া একজনকে ভালোবাসাতো। দিয়া ওর বাবাকেও বলেছে ও একজনকে ভালোবাসে এ বিয়েতে ও রাজি না।কিন্তু ওর বাবা এক কথার মানুষ যখন একবার বলেছেন এ বিয়ে দিবেন তো দিবেনই।তারপর ও ওর হবু বরকেও বলেছে এ বিয়ে ওর পক্ষে করা সম্ভব না ও একজনকে ভালোবাসে।কিন্তু কে শুনে কার কথা সেই ছেলে ওকে বলে দিয়েছে, এ বিয়ে যখন একবার বলেছে করবে তো করবেই।
সোজা কথায় যখন বিয়ে ভাঙলো না তাই দিয়া ঠিক করলো ও পালাবে।ওর প্লানের সঙ্গে আমিও ছিলাম।তাই আজ সকাল সকাল ওর বাড়ি চলে এসেছি। সকাল থেকে সুযোগ খুঁজছি ওকে নিয়ে পালানোর কিন্তু সুযোগই পাচ্ছি না।সেই সকাল পার্লারের মেয়েরা দিয়াকে সজাচ্ছে তো সাজাচ্ছেই।তিন ঘন্টা যাবত এই সাজানোর কাজই চলছে আর আমি ঘরের এক কোনা থেকে আরেক কোনায় পায়চারি করে চলেছি।অবশেষে সাজানোর কাজ শেষ হয়েছে।পার্লারের মেয়েরা দিয়াকে সাজানো কমপ্লিট করে বাইরে মাত্র বেরিয়েছে।এতোক্ষণে আমি আর দিয়া হাফ ছেড়ে বাঁচলাম। দিয়ার রুমটা ছিলো দোতালায় রুমে একটা বেলকনিও ছিলো। তাই আমাদের প্লান মাফিক একটা শাড়ি বেলকনিতে বেধে নিচে ফেলে দিলাম।দিয়া প্রথমে শাড়ি বেয়ে গেছে। ওকে আগেই বলে রেখেছি নিচে নামার পর কোনো দিকে না তাকিয়ে যেন সোজা পালিয়ে যায়। তাই ও নামার সাথে সাথে পালিয়ে গেছে। এবার আমার পালানোর পালা।যেই আমি শাড়ি বেয়ে নিচে নামবো ঠিক তখনি কেউ একজন আমার হাত ধরে ফেলে।আমি পিছন থেকে ঘুরে সামনে তাকিয়ে দেখি দিয়ার যার সাথে বিয়ে হবার কথা ছিলো সে মানে রোদ্দুর ভাইয়া দাঁড়িয়ে আছে। আমি রোদ্দুর ভাইয়াকে দেখে তো ভুত দেখার মতো চমকে যাই।নিজেকে সামলিয়ে ঠোটে জোরপূর্বক হাসি রোদ্দুর ভাইয়াকে বলি,
— এমা দুলাভাই দেখি বিয়ের আগে বউ দেখার জন্য চলে এসেছে।
রোদ্দুর ভাইয়া মুখে একটু চিন্তার ভাব এনে বললো,
— তা আর হতে দিলে কি করে বিয়ের আগেই তো বউকে ভাগিয়ে দিয়েছো!
তারমানে উনি সবই জানেন। এবার আমার কপালে শনি নাচছে। শুনেছি ওনি নাকি খুব জেদি যেটা বলেন সেটাই করে ছাড়েন। তাই বনিতা না করে সোজাসুজি বললাম,
— এমনটা তো হওয়ারই কথা। আপনাকে তো দিয়া আগেই বলেছিলো ও একজনকে ভালোবাসে ও এ বিয়ে করতে চায় না।আপনিই তো ওকে জোর করে বিয়েটা করার জন্য। এখন ওর পালানোটা কি স্বাভাবিক না!
রোদ্দুর ভাইয়া ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে বললো,
— এই রোদ্দুর খান যখন একবার বলেছে আজ এই বিয়ে করবে তো করবেই।
আমি তো পুরো অবাক এ ছেলে বলেকি।বউ পালিয়ে যাওয়ার পর বলে বিয়ে হবেই হবে।আমি অবাক হয়ে বললাম,
— মানে???
রোদ্দুর ভাইয়া একটা বাঁকা হাসি দিয়ে বললো,
— আমি বলেছি আমি এ বিয়ে করবোই করবো।কিন্তু আমি একবারও বলিনি দিয়াকেই বিয়েটা করবো।দিয়া পালিয়েছে তো কি হয়েছে দিয়ার বান্ধবী আছে না তাতেই চলবে।আমার শুধু বিয়েটা হলেই চলবে।
কথাটা বলে রোদ্দুর ভাইয়া একটা চোখটিপ দিয়ে বাইরে চলে যায়। যাওয়ার আগে রুমের দরজাটাও লক করে যায়।ঘটনাটা এতো দ্রুত যে আমি কিছু বলার সুযোগই পেলাম না। বোকার মতো শুধু তাকিয়ে ছিলাম।যতোক্ষনে ব্যাপারটা বুঝতে পারলাম ততক্ষণে রোদ্দুর ভাইয়া দরজা লক কর চলে গেছেন। আমি তারাতাড়ি দরজার কাছে গিয়ে দরজা অনেক বার ধাক্কালাম রোদ্দুর ভাইয়ার নাম ধরেও ডাকলাম কিন্তু কেউ কোনো সারা দিলো না।আমার এবার খুব ভয় করতেছে। সত্যি সত্যি যদি এইলোকটার সাথে আমার বিয়ে হয়ে যায়। না না আমি এসব কি ভাবছি।আমাকে এখন যে করেই হোক এখান থেকে পালাতে হবে।
আরে আমিতো ভুলেই গেছি বেলকনির কথা।যতো তারাতাড়ি হোক এখান থেকে পালাতে হবে।এখানে থাকলেই বিপদ। তাই তারাতাড়ি বেলকনির কাছে আসি।বেলকনির কাছে এসে দেখি নিচে বেলকনি বরাবর পাঁচ ছয় জন গার্ড পাহারা দিচ্ছে। আমি নিশ্চিত এটা রোদ্দুর ভাইয়ার কাজ।যাতে আমি না পালাতে পারি।আমার পালানোর সব রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে।
আমি এখন কি করবো?আর যাই করি না কেন আমি ওই রোদ্দুর নামক মানুষটাকে কিছুতেই বিয়ে করবো না।আমার ভাবনার মাঝে রোদ্দুর ভাইয়া রুমে ঢুকলো সঙ্গে কয়েকজন মেয়েকেও নিয়ে এসেছে। তাদের হাতে শাড়ি গয়না আর মেকাপের সরঞ্জাম। দেখেই বোঝা যাচ্ছে আমাকে সাজানোর জন্য এসেছে। রোদ্দুর ভাইয়া আমার দিকে এগিয়ে আসতে আসতে বললো,
— লাভ নেই এখান থেকে কোথাও পালাতে পরবে না। এ বাড়ি থেকে বের হতে হলে আমার বউ হয়েই বের হতে হবে।
— কি ভেবেছেন আমি পালাতে না পারলে আপনাকে বিয়ে করে নিবো!কখনোই না আমি কিছুতেই আপনাকে বিয়ে করবো না।
কথা গুলো একটু জোরেই বললাম।আমার কথার জবাব না দিয়ে মেয়ে গুলোকে ইশারা দিয়ে বাইরে পাঠিয়ে আমার কাছে এসে রোদ্দুর ভাইয়া বললো,
— তুমি চাও না দিয়া ওর ভালোবাসার মানুষটা কে বিয়ে করুক?
— অবশ্যই চাই! তাই তো ওকে এতো কষ্ট করে পালাতে সাহায্য করলাম।কিন্তু এটা কেনো জিজ্ঞেস করছেন।
ভ্রু কুঁচকে কথাটা বললাম। তারপর রোদ্দুর ভাইয়া মখে চিন্তার ভাব এনে বললো,
— আমার মনে হয় তুমি চাওই না ওদের বিয়েটা হোক।
— কি বলছেন এসব আমি কেনো চাইবো না ওদের বিয়েটা হোক।
— তাহলে তুমি আমাকে বিয়ে করতে রাজি হচ্ছো না কেনো?
— ওদের বিয়ের সঙ্গে আমার আপনাকে বিয়ে না কারার সম্পর্ক কি?
— সম্পর্ক তো অবশ্যই আছে।কারন ওরা দুজন এখন আমার লোকেদের কাছে বন্ধী।তুমি যদি আমাকে এখন না বিয়ে করো তাহলে ওদের দুজন বিয়ে তো হবেই না বরং ওদের আমি এমন ব্যবস্থা করবো যা ওদের জন্য কিন্তু ভালো হবে না।তাই চুপচাপ বিয়ের জন্য তৈরি হয়েও।
ওনার কথা শুনে আমার মাথায় আকাশ ভেঙে পরলো। আমি এখন কি করবো? শেষেে এই লোকটাকে আমায় বিয়ে করতে হবে।আমি একটু সন্দেহের শুরে বললাম,
— আমি কিভাবে বিশ্বাস করবো সত্যি সত্যি ওরা আপনার কাছে আছে?
— একমিনিট দাঁড়াও….
কথাটা বলে পকেট থেকে ফোন বের করে একটা ভিডিও ওন করলো।ভিডিও ওন হতেই দেখি দিয়া আর রাজিবকে মানে দিয়া যার সাথে পালিয়ে গিয়ে ছিলো তাকে দেখা যাচ্ছে একটা রুমে চেয়ারে হাত পা বেঁধে রাখা হয়ে।এটুকু দেখিয়েই রোদ্দুর ভাইয়া ফোনটা অফ করে পকেটে ঢুকিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে বললেন,
— এবার নিশ্চয় তোমার এ বিয়ে করতে কোনো সমস্যা নেই।
কথাটা বলেই রুম থেকে বেরিয়ে গেলেন। তারপর ওই মেয়ে গুলো এসে আমাকে বউ সাজিয়ে চলে গেলো। আমি এখন ঘোমটা টেনে বউ সেজে বসে আছি। আর আমার সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনা গুলো ভাবছি।দরজা খোলার শব্দে আমি ভাবনা থেকে বেরিয়ে এলাম।দরজা খুলে দিয়ার মা ভেতরে এসে আমার পাশে বসে আমার মাথায় হাত বুলিয়ে বললো,
— মন খারাপ করো না আল্লাহ যা করেন ভালোর জন্যই করেন।
কথাটা বলে আমাকে বিয়ের আসোরে নিয়ে যায়।বিয়ের আসরে আমার সাথে রোদ্দুর ভাইয়ার বিয়ের সব নিয়ম শেষে আমাকে যখন কাজী সাহেব কবুল বলতে বললেন তখন আমি কাঁপা কাঁপা গলায় তিনবার কবুল বলি।আমার কবুল বলার পর সবাই একসাথে আলহামদুলিল্লাহ বলে ওঠে।
আমি চোখের পানি ফেলেই যাচ্ছি। আমি বাপিকে কি জবাব দিবো।বাপিতো এসবের কিছুই জানে না।বাপি কি আমায় ভুল বুঝবে?
#তুমি_আমারই
#পর্ব_২
#Sumaia_Jahan
না আমাকে এখন শক্ত হতে হবে। বাপি আমাকে অনেক বিশ্বাস করে। সবকিছু শুনলে বাপি ঠিক বুঝতে পারবে আমি কেন এমন একটা সিদ্ধান্ত নিলাম।আমি যে দিয়াকে নিজের বোনের থেকেও বেশি ভালোবাসি। দিয়ার কোনো ক্ষতি হোক তা আমি কল্পনাও করতে পারিনা। আমার একটা সিদ্ধান্ত যদি ওদের এতো বড়ো ক্ষতির হাত থেকে বাঁচায় তাহলে আমার কি এটা করা ঠিক নয়?আমার জায়গায় অন্য কেউ থাকলে কি এটা করতো না?
আমি বসে বসে চোখের পানি ফেলছি আর এগুলো ভাবছি। হঠাৎ রোদ্দুর ভাইয়া এসে আমাকে বললো,
— আশপিয়া তুমি রেডি তো?আমাদের কে বেরোতে হবে এক্ষুনি।
আমি শুধু প্রশ্নবোদক দৃষ্টিতে রোদ্দুর ভাইয়ার দিকে তাকিয়ে থাকলাম যার অর্থ হলো আমারা কোথায় যাবো?
রোদ্দুর ভাইয়া আমাকে কোনো উত্তর না দিয়ে আমার হাত ধরে দিয়ার রুম থেকে ডুয়িং রুমে নিয়ে এসে সবার মাঝে এনে সবার উদ্দেশ্যে বললো,
— এখন বিদায়ের পর্ব চলবে সবাই একসাথে কান্না করো।
রোদ্দুর ভাইয়ার কথা শুনে সবাই সত্যি সত্যি কান্না শুরু করে দিয়েছে। সেকি কান্না একজনের গায়ের উপর পরে আরেকজন কান্না করতেছে। মনে হচ্ছে যেন কোনো সিনেমায় শুটিং চলছে। সেই সিনেমার পরিচালোক রোদ্দুর ভাইয়া। এদের কান্ড দেখে আমি হাসবো না কাঁদবো বুঝতে পারছি না।আমি শুধু ভ্যাবলার মতো তাকিয়ে আছি এদের দিকে।
কিছুক্ষন পরে রোদ্দুর ভাইয়া আবার সবার উদ্দেশ্যে বললো,
— সবাই এবার চুপ করো বিদায়ের পর্ব শেষ আমরা এখন বেরোবো।
রোদ্দুর ভাইয়া কথার সাথে সাথে সবাই চুপ হয়ে গেছে। এবার এদের কান্ড দেখে আমার সত্যি হাসি পাচ্ছে। এখন সবার সামনে হাসা যাবে না তাই খুব কষ্টে ঠোঁট কামরে হাসি আটকালাম।
আমরা বেরিয়ে আসার সময় দিয়ার মা আমার কাছে এসে আমাকে বললো,
— আশপিয়া মা এই বিয়েটা হয়তো তোমার ভাগ্যে ছিলো তাই হয়েছে।বিয়টা যেভাবেই হোক না কেন রোদ্দুর কিন্তু এখন তোমার স্বামী। রোদ্দুর খুব ভালো একটা ছেলে। ওকে কখনো ভুল বুঝো না।
আমি ওনার কথা পরিবর্তে একটা ছোট্ট হাসি দিয়ে সম্মতি জানালাম। তবে মুখে সম্মতি জানালেও মনে মনে একটুও সম্মতি জানায়নি।এ নাকি ভালো ছেলে।এ যে কি বজ্জাত ছেলে তা আমি হারে হারেই টের পেয়েছি।
তারপর আমি আর রোদ্দুর ভাইয়া গাড়িতে ওটে পরি।গাড়িটা খুব সুন্দর করে ফুল দিয়ে ডেকোরেটেট করা ছিলো।গাড়িতে শুধু আমি আর রোদ্দুর ভাইয়াই ছিলাম।ওনি ড্রাইভিং শিটে বসে ড্রাইব করছিলেন আর আমি তার পাশে বসে জানলার দিকে তাকিয়ে ছিলাম।আমার মাথায় কিছুতেই ঢুকছে না দিয়া দের বাড়ি আজ এতো বড়ো একটা ঘটনা ঘটলো অথচ ওদের বাড়ির সবাই স্বাভাবিক ছিলো। যেন সব কিছু ঠিকই আছে। শুধু দিয়ার মা আমাকে কয়েকবার শান্তনা দিচ্ছিলো।একটুই শুধু আলাদা ছিলো এছাড়া বাকি সবই স্বাভাবিক ছিলো।
আমি ভাবনা থেকে বেরিয়ে এসে রাস্তার দিকে তাকিয়ে দেখি এটাতো আমার রাস্তা। এদিকে কেন যাচ্ছে। নিয়ম অনুযায়ী তো এখন আমাদের রোদ্দুর ভাইয়ার বাড়িতে যাওয়ার কথা। কিন্তু আমার বাড়ির দিকে কেন যাচ্ছে। তবে কি ওনার বাড়ি এ রাস্তা দিয়ে যেতে হয়?কিন্তু দিয়া আমায় বলেছিলো আমার বাড়ির ওলটো পথে অনার বাড়ি।তাই আমি ওনাকে প্রশ্ন করেই ফেললাম,
— এ দিকে কোথায় যাচ্ছেন এদিকে তো আপনার বাড়ির রাস্তা না এদিকে তো আমার বাড়ির রাস্তা?
ওনি আমার কথার কোনো উত্তর না দিয়ে মনোযোগ দিয়ে গাড়ি চালাচ্ছেন। আমার তো ভিষণ রাগ হচ্ছে। এবার আমি একটু জোরে বললাম,
— কি হলো উত্তর দিচ্ছেন না কেন? এখন আমরা আপনার বাড়ি যাবো না?এখন কোথায় যাচ্ছি আমরা?
গাড়ি চালাতে চালাতে আমাকে উত্তর দিলেন,
— তোমার দেখি শ্বশুর বাড়ি যাওয়ার খুব তাড়া!
এবার আমার মেজাজ টা হাই লেবেলে পৌঁছে গেছে।আমি প্রস্তুত হলাম একটা ঝাঁঝালো উত্তর দেওয়ার।যেই আমি কিছু বলতে যাবো ঠিক তক্ষুনি ওনি গাড়িতে ব্রেক মারলেন। তাকিয়ে দেখি আমার বাড়ির গেইটের সামনে এসে দাড়িয়েছে গাড়িটা।তাই আমি আর কিছু বললাম না পরে সুযোগ পেলে ঠিক শুধে আসলে তুলে নিবো।
এখন আমার খুব ভয় করছে।বাপি আমাকে দেখে যদি রেগে যায়।
আমি খুব ভয়ে ভয়ে গেইট খুলে দরজার কাছে এসে দাড়ালাম।দরজার বেল দিকে হাত বারিয়েও হাত ঘুটিয়ে নিচ্ছি। খুব ভয় করছে ভয়ে গলা শুকিয়ে আসছে।
আমার এমন অবস্থা দেখে রোদ্দুর ভাইয়া নিজেই বেল বাজালেন। দুইবার বাজাতেই মা এসে দরজা খুলে দিলো।মা আমাকে দেখে একটা হাসি দিলেন তারপর আমার দিকে ভালোভাবে তাকিয়ে তারপর আমার পাশে থাকা রোদ্দুর ভাইয়ার দিকে তাকিয়ে কপাল কুচকে আমার দিকে তাকালো।আমি একটা জোরপুর্বক একটা হাসি দেওয়ার চেষ্টা করলাম।
এতোক্ষণে বাপিও চলে আসে রুম থেকে এসেই আমার দিকে তাকিয়ে কপাল কুঁচকে ফেলে। তারপর আমার কাছে এসে আমাকে জিজ্ঞেস করে,
— আশপিয়া তোমার সাথে ছেলেটা কে?
আমি কিছু বলার আগেই রোদ্দুর ভাইয়া বলে ওঠলেন,
— আরে শ্বশুর মশাই আমাকে চিনতে পারছেন না আমি আপনার একমাত্র জামাই।
বাপি রেগে বলে,
— জামাই মানে? আশপিয়া এই ছেলেটা এসব কি বলছে? তুমি তোমার বান্ধবীর বিয়েতে গেছিলে না তাহলে এসব কি?
আমি বাপিকে বললাম,
— বাপি তুমি একটু শান্ত হও আমি তোমায় সব বলছি।
তারপর আমি বাপিকে সব কিছু ভালো ভাবে বুঝিয়ে বলি।বাপি সব শুনে রোদ্দুর ভাইয়া দিকে তাকিয়ে রেগে বলে,
— তোমার সাহস তো কম না আামার মেয়েকে ব্লাকমেইল করে বিয়ে করেছো?
রোদ্দুর ভাইয়া শান্ত ভাবে বললো,
— শ্বশুর মশাই আপনি নতুন জামাই এর সাথে এভাবে কথা বলতে পারেন না।কোথায় আমাকে জামাই আদর করবেন তা না আপনি আমার সাথে কেমন রেগে রেগে কথা বলছেন।
রোদ্দুর ভাইয়ার এমন কথা শুনে বাপিতো আরো রেগে যায়।রোদ্দুর ভাইয়া আমাকে উদ্দেশ্য করে বললেন,
— বউ বাপের বাড়ির সাথে তো দেখা করা হয়ে গেছে এবার চলো শ্বশুর বাড়ি। নতুন বউ শ্বশুর বাড়ি ছেড়ে এতক্ষণ বাইরে থাকতে নেই। লোকে তো মন্দ বলবে।
কথাটা বলেই
চলবে,,,,,,
[,২