তোমাতেই আমি মগ্ন পর্ব -১০

#তোমাতেই_আমি_মগ্ন 🌸

#পর্ব_১০

#লেখক_ঈশান_আহমেদ

এভাবে একটা মাস কেটে গেলো।অন্না আবিরের সাথে একপ্রকার যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে।আবির তাদের বাড়িতে আসলে বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে রুমে এসে দরজা বন্ধ করে বসে থাকে।

অন্না ছাদের এক কোণে দাঁড়িয়ে আছে।কুয়াশায় ঢাকা রাত।চারিদকে কুয়াশার কারণে অন্ধকার দেখাচ্ছে।শীত চলে এসেছে।সচারাচর অন্না সন্ধ্যার সময় ছাদে আসে না।তবে আজ কেনো জানি তার মনে হলো ছাদে আসলে হয়তো কিছু না বেটার লাগবে।

অন্না চাদরটা আরো গায়ের সাথে জড়িয়ে নিলো।একটু বেশিই শীত লাগছে।হাঠাৎ করে অনেমা বেগম এসে অন্নার কাঁধে হাত রাখলো।অন্না তাকিয়ে দেখে তার মা দাঁড়িয়ে আছে।

কি হয়েছে আম্মু?(অন্না)

মা আবির নিচে এসে বসে আছে।(অন্নার মা)

আবিরের নামটা শুনতেই অন্নার প্রচুর রাগ হচ্ছে।সে কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে বললো,

উনি কেনো এসেছে আম্মু?(অন্না)

তুই নাকি এই এক মাস ওর সাথে ভালো ভাবে কথাই বলছিস না?(অন্নার মা)

আম্মু উনার সাথে কথা বলার আমার কোনো ইচ্ছা নেই।তুমি উনাকে চলে যেতে বলো।(অন্না)

কি হয়েছে মা?আমাকে তো বল।(অন্নার মা)

কিছু কথা বলা অনেক কষ্টকর।আর সেই সকল কথা ভুলে যাওয়াই উচিত আমার মনে হয়।(অন্না)

অনেমা বেগম অন্নার হাত শক্ত করে ধরলো,

তুই কি এখনো ওই ফাহাদের বিষয়টা নিয়ে আপসেট আছিস?(অন্নার মা)

আম্মু আমি এখন নিজেকে অনেকটা শক্ত করে ফেলেছি।ওইসব বিষয় ভেবে আর কষ্ট পাই না।ওটা আমার কপালে লিখা ছিল।(অন্না)

কিন্তু আবিরের সাথে কি হয়েছে?সিলেট থেকে আসার পর থেকে দেখছি তুই আবিরকে ইগনোর করিস।(অন্নার মা)

আমি তো উনাকে সব সময় ইগনোর করি।জাস্ট মাঝখানে কিছুদিন প্রায়োরিটি দেওয়ার চেষ্টা করেছিলাম তবে সত্যটা জানার পরে আমার উনার প্রতি বিশ্বাসটাই চলে গেছে।(অন্না)

কি এমন সত্য তুই জানতে পেরেছিস?(অন্নার মা)

আম্মু কিছুদিন যাক আমি সবটা তোমাদের নিজেই বলবো।আচ্ছা চলো উনার সাথে গিয়ে দেখা করি নাহলে তো আর তার বাড়িতে যাবে না।(অন্না)

অন্না ছাদ থেকে নেমে সোজা ড্রয়িং রুমে গেলো।গিয়ে দেখে আবির মঈন সাহেবের সাথে কথা বলছে।অন্না সেখানে যেতেই আবির মুচকি হাসি দিয়ে জিগাসা করলো,

কেমন আছো অনুলতা?(আবির)

অন্না নিজেকে স্বাভাবিক করে বললো,

জ্বি ভালো আছি।আপনি কেমন আছেন মি.চৌধুরী?(অন্না)

মি.চৌধুরী ডাকটা শুনে আবিরের মুখ মলিন হয়ে গেলো।অন্না তো তাকে আবির বাবু বলে ডাকতো হঠাৎ কেনো মি.চৌধুরী বলছে?

অনুলতা তুমি আমাকে মি.চৌধুরী বলে ডাকছো কেনো?(আবির)

আমি আপনাকে সম্মানের সাথে আবির বাবু বলে ডাকতাম।তবে একজন মিথ্যাবাদীকে আমার পক্ষে সম্মান দেখানো সম্ভব না।(অন্না কর্কশ গলায় কথাগুলো বললো)

অন্না আবিরের দিকে চোখ গরম দেখিয়ে চলে গেলো।আবিরের এই প্রতিদিনের আসা-যাওয়া অন্নার কাছে বিরক্ত লাগছিল তাই এমন করলো সে।

আবির চুপ করে দাঁড়িয়ে আছে।হঠাৎ তার মাথায় প্রচন্ড ব্যাথা শুরু হলো।সে বাম হাত দিয়ে মাথা চেপে ধরে অন্নাদের বাড়ি থেকে বের হয়ে গেলো।আবির ড্রাইভ করছে।তবে তার অসহ্য মাথা ব্যাথা করছে।তাই সে সোজা ডাক্তারের চেম্বারে গেলো।ডাক্তার একটা ইনজেকশন দিয়ে তার মাথা ব্যাথা কিছুটা কমালো।তার পরে কিছু টেস্ট করালো।আবির ডাক্তারের চেয়ারের সামনে বসে আছে।

মি.চৌধুরী কালকে এসে রিপোর্টগুলো নিয়ে যাবেন।(ডাক্তার)

আবির হ্যাঁ সূচক সম্মতি জানিয়ে চেম্বার থেকে বেরিয়ে আসলো।অন্নার কথার মানে সে ভালো করে বুঝতে পারছে।আবির এটা বুঝে গেছে যে নিশান সবটা জানিয়েছে অন্নাকে।নিশানের উপর রাগে সে ফুসছে।কাছে পেলে হয়তো নিশানকে মেরে মাটিতে শুইয়ে ফেলতো।আফসোস! দশদিন আগেই নিশান কানাডায় চলে গেছে।

কানাডা গিয়েছিস তো কি হয়েছে?কিছুদিন পরে তো একবারে দেশে চলে আসবি।যেদিন দেশে আসবি সেদিনই তোর শেষদিন হবে নিশান।(আবির দাঁতে দাঁত চেপে বললো)




ফাহাদ মিমির একটা ছবি নিয়ে বসে আছে।তার চোখ দিয়ে পানি পড়ছে।ফাহাদ এখন অনেকটা পাল্টে গেলেও পুরোপুরি পাল্টায়নি।তবে সে মিমির জন্য প্রচন্ড পরিমাণে কষ্ট পাচ্ছে।মিমিকে হারানোর যন্ত্রণাটা দিনদিন তীব্র আকার ধারণ করছে।এই একমাসে মিমিকে অনেক খুঁজেছে তবে পায়নি।মিমির এই দুনিয়াতে কেউ নেই।সে একাই থাকতো তার বাড়িতে।কিন্তু সেই বাড়িতে এখন তালা ঝুলছে।

ফাহাদ একটার পর একটা বিয়ারের বোতল শেষ করছে।আর চোখের জল ফেলছে।সে যে এভাবে কখনো একটা মেয়ের জন্য কষ্ট পাবে সেটা তার কল্পনার বাইরে ছিলো।

/🦋/

দীর্ঘ একমাস পরে তোমার প্রিয় ছেলের খোঁজ পেয়েছি আম্মু?(ফারাবী)

ফারাবীর কথা শুনে রুমানা বেগমের হাত থেকে কফির কাপটা পড়ে যায়।ফারাবী তার মাকে সেখান থেকে নিয়ে এসে সোফায় বসায়।তারপরে এক গ্লাস পানি এনে দেয়।রুমানা বেগম পানি খেয়ে নিজেকে কিছুটা স্বাভাবিক করেন।

ও এখন কেমন আছে?আর ও কোথায় থাকে?ও কি এখন ভালো হয়ে গেছে?(ফারাবীর মা)

ফারাবী তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে বললো,

না আম্মু।ও আগে যেমন ছিলো এখনো তেমনই আছে।বলতে পারো আরো বিগড়ে গেছে।ওই যে সবাই ফাহাদ হোসেনের নাম নেয় না!সেটা তোমার ছেলে ফাহাদ খান।ও এখন তোমার টাইটেল লাগিয়ে ফাহাদ হোসেন হয়েছে।এই পর্যন্ত তার নামে দশটা ধর্ষণের অভিযোগ আছে প্লাস সে নাকি মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত।তার কোম্পানির বিভিন্ন খাবারে সাথে নেশার ঔষধ পাওয়া গেছে।কিন্তু টাকার জোরে তাকে কেউ অ্যারেস্ট করতে পারে না।(ফারাবী)

ফারাবীর চোখ-মুখ লাল হয়ে গেছে।নিজের ভাইয়ের নামে এইসব বলতে তার অনেক কষ্ট হচ্ছে কিন্তু কিছু করার নেই সবটাই নিয়তি!

রুমানা বেগম মুখে আঁচল ঢেকে কাঁদছেন।দরজার আড়ালে এতোক্ষণ ধরে ফারাজ খান দাঁড়িয়ে সবটা শুনেছেন।তিনি ভিতরে এসে বললেন,

যেই ছেলের জন্য আমরা এই ঢাকা ছেড়ে চলে গেছিলাম।তার নাম এই বাড়িতে আমি আর শুনতে চাই না।(ফারাজ খান শক্ত কন্ঠে বললেন)

তারপরে তিনি নিজের রুমের দিকে চলে গেলেন।ফারাবী গিয়ে তার মায়ের পাশে বসে উনাকে সান্ত্বনা দিচ্ছেন।

আমার গর্ভে এমন পাপী কিভাবে জন্ম নিলো?দুই ভাই।এক মিনিটের ছোট-বড় হবে।বড় ছেলেটা কোথায় আর ছোট ছেলেটা কোথায়!দুজনের মাঝে এতো পার্থক্য কিভাবে হয়?বড় ছেলে বাবা-মার সম্মান ধুলোয় মিশিয়ে দিয়েছে আর ছোট ছেলে কিনা সারাদিন ব্যস্ত থাকে কিভাবে বাবা-মার নাম উজ্জ্বল করা যায় তা নিয়ে!(ফারাবীর মা)

ফারাবী তার মাকে জড়িয়ে ধরলো,

মা এগুলো এখন বাদ দেও।(ফারাবী)

ফারাবী তার মাকে রুমে দিয়ে এসে নিজের রুমে চলে আসলো।ফ্রেশ হয়ে এসে বেলকনিতে দাঁড়িয়ে আছে।

তোমাকে কি কখনো আর আমি খুঁজে পাবো না অনুমা!এতো ছোট্ট একটা শহরে কি-না তোমাকেই খুঁজে পাওয়া যায় নাহ্।যে আমার সবটা জুড়ে আছে,তাকে না পেলে যে বেঁচে থাকা দায় হয়ে যাবে।(ফারাবী)

/🌻\

অন্না বেলকনিতে বসে কফি খাচ্ছে আর বই পড়ছে।এখন এটাই তার প্রতিদিনের রুটিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।কারণ এখন বেশিরভাগ সময় তার রাতে ঘুম আসে না।তাই সে এভাবেই সময় পাড় করে দেয়।সকালে ফজরের নামাজ পড়ে কিছুক্ষণ ঘুমিয়ে ভার্সিটিতে দৌড় দেয়।এভাবেই চলছে তার জীবন।রাতে ঘুম না হওয়ার কারণে তার চোখের নিচে কালো দাগ পড়ে গেছে।

__✨__

আম্মু আমি আজ একটু আমার ভার্সিটিতে যাবো।যেখানে আমি পড়তাম।ওখানে আমার এক ফ্রেন্ড টিচার হিসেবে জয়েন করেছে।তার সাথেই দেখা করতে যাবো।(ফারাবী)

আচ্ছা ঠিক আছে।আর শোন যাওয়ার সময় একটু স্টাইলিশ পোশাক পড়ে যাস।তুই তো শুধু তোর বাবার মতো কোর্ট-প্যান্ট পড়েই ঘুরে বেড়াস।(ফারাবীর মা)

কই আম্মু আমি তো সবই পড়ি।(ফারাবী)

পড়িস তবে খুব কম।(ফারাবীর মা)

আম্মু সব সময় তো অফিসে যেতে হয়।তাই ওগুলোই বেশি পড়া হয়।ওকে তুমি যখন বলেছো তখন আমি স্টাইলিশ পোশাক পড়েই যাবো মাদার বিডি।(ফারাবী)

ফারাবী তুই আমাকে আবার ওই নামে ডাকছিস?(ফারাবীর মা)

ইউ নো আমার তোমাকে এই নামে ডাকতেই ভালো লাগে।(ফারাবী)

ফারাবী মুচকি হেসে তার রুমের দিকে চলে গেলো।রুমানা বেগম দাঁড়িয়ে হাসছেন।

ফারাবী তার রুমে এসে একটা সাদা হাফহাতা গেঞ্জি,ধূসর রঙের জিন্স আর লাল রঙের একটা জ্যাকেট পড়লো।আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে চুলগুলো স্পাইক করে নিচে নামলো।

ফারাবী তার মায়ের সামনে গিয়ে বললো,

কেমন লাগছে মাদার বিডি?(ফারাবী)

রুমানা বেগম মৃদু হেসে ফারাবীর কপালে একটা চুমু দিয়ে বললো,

মাশাআল্লাহ।(ফারাবীর মা)

ফারাবী তার মায়ের থেকে বিদায় নিয়ে বাড়ি থেকে বের হলো।সে গাড়ি ড্রাইভ করে ভার্সিটির সামনে গেলো।ভার্সিটির গেট দিয়ে ঢুকতে একটা মেয়ের সাথে ধাক্কা খেলো।ধাক্কা খাওয়ার সাথে সাথে ফারাবী চোখ থেকে সানগ্লাসটা খুলে ফেললো।তার মুখে হাসি ফুটেছে।কারণ তার সামনে দাঁড়িয়ে আছে অন্না।

অন্না হা হয়ে তাকিয়ে আছে।সে বুঝার চেষ্টা করছে এটা ফাহাদ না ফারাবী!অন্না ভ্রু কুচকে তাকিয়ে আছে ফারাবীর দিকে।

ফারাবী আস্তে করে বললো,

কি ব্যাপার কেমন আছেন মিস.অনুমা?(ফারাবী)

অন্নার আর বুঝতে বাকি নেই এটা ফারাবী।অন্নার রাগে মুখ লাল হয়ে গেছে।

এই আপনি আমাকে অনুমা বলেন কেনো?(অন্না)

আমার ভালো লাগে।আপনার কোনো সমস্যা আছে?সমস্যা থাকলেও সেটা আমার দেখার বিষয় না।(ফারাবী)

ফারাবী সোজা হেঁটে অফিস রুমের দিকে চলে গেলো।অন্না তার যাওয়ার দিকে তাকিয়ে আছে।ফারাবী অফিস রুমে গিয়ে দেখে তার বন্ধু তাজ বসে আছে।

কি রে তাজু কেমন আছিস?(ফারাবী)

তাজ ফারাবীকে দেখে উঠে দাঁড়ালো।কতদিন পরে দুজনের দেখা হলো।তাজ ফারাবীকে জড়িয়ে ধরলো।

কবে এসেছিস ঢাকায়?(তাজ)

এইতো একমাস হয়েছে।এই একমাসে তোকে খুঁজে বের করেছি।(ফারাবী)

দু’জনে বসে পুরনো দিনের গল্প করতে ব্যস্ত।ফারাবী গল্প শেষ হলে উঠে দাঁড়িয়ে বললো,

তোর সাথে দেখা করতে এসে আমার অনেক প্রিয় একজনকে খুঁজে পেয়েছি।থ্যাঙ্কিউ তাজু।(ফারাবী)

ফারাবী ক্যাম্পাস দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে।হঠাৎ দেখলো অন্না একটা গাছের নিচে বসে কয়েকটা মেয়ের সাথে গল্প করছে।ফারাবী এক দৃষ্টিতে অন্নার দিকে তাকিয়ে আছে।সাদা আর নীল রাঙা থ্রি-পিসে অন্নাকে অনেক সুন্দর লাগছে।জাস্ট চুলগুলো খোলা।মুখে কোনো প্রকার মেকআপ নেই।একদম সিম্পল।তাতেই সে অতুলনীয়।তবে একটা জিনিস দেখে ফারাবীর মুখটা মলিন হয়ে গেলো।কারণ অন্নার চোখের নিচে কালি পড়ে গেছে।

অন্না তাকিয়প দেখে তার থেকে চার কদম দূরে ফারাবী একভাবে তার দিকে তাকিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।অন্নার কিছুটা ইতস্তত বোধ করে।অন্না ফারাবীর সামনে গিয়ে দাঁড়ালো।

আপনি এমন করে তাকিয়ে আছেন কেনো?(অন্না)

রাতে ঘুম হয় না আপনার?(ফারাবী)

ফারাবীর কথায় অন্না কিছুটা অবাক হয়।সে কি জিগাসা করলো আর ফারাবী কি বললো!

আমি আপনাকে কি জিজ্ঞেস করেছি?(অন্না)

আগে আমার প্রশ্নের উত্তর চাই।(ফারাবী)

আপনার এমন আজব প্রশ্নের উত্তর দিতে আমি বাধ্য না।(অন্না)

ফারাবী মুচকি হাসি দিয়ে বললো,

তাহলে আমি-ও আপনার প্রশ্নের উত্তর দিতে বাধ্য না মিস.অনুমা।(ফারাবী)

ফারাবী অন্নার সামনে দিয়ে হেঁটে চলে গেলো।অন্নার প্রচুর রাগ হচ্ছে।এই ছেলেটা তাকে দেখলেই অনুমা বলে।যা অন্নার একদম ভালো লাগে না।

ফারাবী পিছনে ফিরে তাকিয়ে দেখে অন্না বিড়বিড় করছে।ফারাবী মুচকি হাসি দিয়ে বললো,

হয়তো কোনো কারণে তুমি ভালো নেই।যা আমি তোমার মুখ দেখে বুঝতে পারছি।তবে যেদিন তুমি আমার তবে সেদিন থেকে আর কোনো কষ্ট তোমাকে স্পর্শ করতে পারবে না।ইহা ফারাবী খানের প্রমিস!(ফারাবী)

চোখে সানগ্লাস লাগিয়ে ভার্সিটি থেকে বের হয়ে চলে যায় ফারাবী।

#চলবে……………………………..

[ভূল-ভ্রান্তি ক্ষমার চোখে দেখবেন।নেক্সট না লিখে গঠনমূলক মন্তব্য করবেন তাহলে আমাদের লেখার আগ্রহ বেড়ে যায়!]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here