তোমায় পাবো বলে পর্ব -২২

#তোমায়_পাবো_বলে
#পর্ব_২২
#নিশাত_জাহান_নিশি

কিচ্ছু হবে না। এখন আমরা বিবাহিত। দুই পরিবারের লোকজন হাজার চেষ্টা করে ও আমাদের আলাদা করতে পারবেন না। যদি আলাদা করতেই হয় তবে আমাদের লাশ দুটোকে আলাদা করতে হবে!”

কিঞ্চিৎ মুহূর্ত মৌন থেকে আমি অভিমানী স্বরে লোকটাকে শুধিয়ে বললাম,,

“ভালোবাসায় কি এমন পাপ আছে? যে পাপের ফল স্বরূপ দুটো প্রেমপিপাসু পূর্নাঙ্গ মানুষকে আত্নহননের পথ বেছে নিতে হবে? সবার উর্ধ্বে তো প্রেম সত্য। তবে সেই মহৎ প্রেমকে কেনো মৃত্যুর মাধ্যমেই প্রকাশ করতে হবে?”

“আসলে আমরা প্রেমে ভুল করে বসেছি! আর সেই ভুলটাকেই সমাজ, পরিবার, আত্নীয়-স্বজন খুব ধৃষ্টতার সহিত দেখছেন। তারা মানতে রাজি নন, প্রেমে একটু আধটু ভুল হওয়াটা স্বাভাবিক। প্রেমিকাকে দৃষ্টির সীমানায় দেখা মাএই প্রেমিক কতটা উতলা, উদগ্রীব হয়ে উঠে, তাকে ছোঁয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টায় অটল থাকে, প্রেম পূর্ণ কয়েক গুচ্ছ অতি রঞ্জিত মুহূর্তের দোটানায় ভুগে। আসলে প্রেমের এই গাঢ় অনুভূতি গুলো তারা বুঝতে নারাজ। তারা ভাবে প্রেমে “ছোঁয়া বারন।” বিয়ের পর প্রেম হলে সেই ছোঁয়ায় ভালোবাসা থাকে, পবিএতা থাকে। অন্তত আমি মনে করি, তোমার প্রতি যদি আমার প্রেম না আসে, আমার শরীর আকৃষ্ট না হয়, যদি তোমাকে জীবনে রেখে প্রেমিক হওয়ার অনুভূতি অনুভব ই না করি। তাহলে আমি তোমাকে ঠকাতে পারব না, শুধুমাএ একটা সিকিয়োর্ড লাইফ স্টাইলের জন্য, সামাজিক কিছু এক রোঁখা নিয়মের জন্য। ভালোবাসা তো ভেতর থেকে আসে। ভালোবাসা মনের সেই গভীর থেকে উৎপন্ন হয় যেখানে কোনো ঘুষ বা ম্যানিপুলেশন চলে না। সমাজ সেই প্রেমকে গর্হিত রূপে ও দেখে না। প্রেমিকের ছোঁয়ায় তারা বিন্দু পরিমান ভুল ও খুঁজতে যায় না!”

“আমার কি মনে হয় জানেন? প্রেম হলো এক আদিম অসুখ। যে অসুখের কোনো ঔষধই এখন ও তৈরী হয় নি!”

দম নির্গত করার সময়টা ও পেলাম না পর্যন্ত। পরশ হঠাৎ আমায় হেচকা টানে বিছানায় শুইয়ে দিয়ে আমার শরীরের উপর বিশাল শরীরটা নিয়ে শায়িত হয়ে পড়লেন। ফ্যাল ফ্যাল দৃষ্টিতে আমি লোকটার আঁখি জোড়ায় দৃষ্টি নিবদ্ধ করতেই লোকটা বাঁকা হেসে মুখমন্ডলে দুষ্টু ভাব ফুটিয়ে বললেন,,

“ব্যাস! অনেক তো হলো প্রেম নিয়ে চর্চা। এবার একটু আদর, ভালোবাসা নিয়ে চর্চা হোক?”

হিমেল হাওয়ার তান্ডবে বিছানার পাশ ঘেঁষে অবস্থান করা জানালার লালচে, নীলচে পর্দা জোড়া টাল মাটাল ভাবে উড়ছে। বাতাসের সান্নিধ্যে এসে ক্যান্ডেলের আলোক রশ্মি এই পর্যায়ে এসে নিভতে শুরু করেছে। তারা ও বুঝি আজ অপয়া বাতাসের কাছে হার মেনে যাবে। গোলাপের ঘ্রান মন্ত্রমুগ্ধের মতো ছড়িয়ে পড়ছে রুমের প্রতিটা আনাচে-কানাচে। বাষ্পায়িত সেই মিষ্টি ঘ্রান আমার নাকে ভেসে আসছে অতি গাঢ় ভাবে। প্রতিটা ঘন ঘন শ্বাসে-নিশ্বাসে ফুলেল সৌরভ ছড়িয়ে পড়ছে অকাতরে। আমার উপর শায়িত লোকটাকে ও আজ ফুলের মতো অত্যধিক মিষ্টি মনে হচ্ছে। সেই ফুলের মিষ্টি ঘ্রানে আমি হারিয়ে যাচ্ছি কোনো অজানা শহরে। দু চোখের মনিতে আমার “পরশ” নামক লোকটা জ্বলজ্বল করে জ্বলছে। লাল পাঞ্জাবিতে অদ্ভুত সুন্দর লাগছে লোকটাকে। খোঁচা খোঁচা দাঁড়ির ভাজে বুঝি লুকিয়ে আছে শত সহস্র ভালোবাসার মৃদ্যু উষ্ণতা! আজ বোধ হয় এই লোকটার নিষ্ঠুর ভালোবাসা থেকে নিজেকে খুব বেশি একটা আটকে রাখতে পারব না আমি। চিরতরে বুঝি লোকটা আমায় মেরেই দিবে! লোকটার সম্মোহনী আঁখিদ্বয় এবং নিশ্বাসের উত্তেজনায় আমি আমার মরণ দেখতে পারছি!

অতি লজ্জায় দেহের লোমকূপে সংঘর্ষ শুরু হতেই আমি মুখমন্ডলে হাত দুখানা চেঁপে ধরলাম। নিশ্বাস বেগতিক ভারী হয়ে আসছে আমার। মাতাল করা এক অনুভূতি চেঁপে বসেছে শরীরের সর্বাঙ্গে। সঙ্গে সঙ্গেই পরশ এলোপাথারী আমার হাতের উল্টো পিঠে অজস্র চুমো খেয়ে মন্থর গলায় বললেন,,

“নো! আজ কোনো লজ্জা বোধকেই প্রশ্রয় দেওয়া যাবে না। অতি শীঘ্রই আমি বাচ্চার বাবা হতে চাই। যেনো দু পরিবারই খুব সহজে আমাদের মেনে নেন।”

ফটাফট মুখমন্ডল থেকে হাত জোড়া সরিয়ে আমি নির্লজ্জ, বেহায়া লোকটাকে শুধিয়ে বললাম,,

“মানে কি? প্রথম রাতেই আপনি বাচ্চার বাবা হওয়ার বাসনা রাখেন?”

তৎক্ষনাৎ পরশ আমার ঘাঁড়ে মুখ ডুবিয়ে ঘোর লাগা স্বরে বললেন,,

“অবশ্যই রাখি। যেনো তেনো প্রকারেই হোক প্রথম রাতেই আমি বাবা হতে চাই! তবেই যদি দু পরিবারের রাগ, অভিমান একটু হলে ও কমে!”

লোকটার ভালোবাসার অতি উষ্ণ ছোঁয়ায় মুখে খুলে রা কাটার জোঁ ও পাচ্ছি না। পরম আবেশে চোখ জোড়া বুঝতে আমি বাধ্য হচ্ছি। ঘাঁড় থেকে মুখ উঠিয়ে লোকটা চোখ বদ্ধ অবস্থাতেই আমার ঠোঁটে ঠোঁট মিলালেন। দু মিনিটের ব্যবধানে লোকটা আচমকাই আমার গাঁয়ের উপর থেকে উঠে ফটাফট পাঞ্জাবিটা খুলে ক্ষনিকের মধ্যে আমার শাড়ির আঁচলটা গাঁ থেকে সরিয়ে উন্মাদের মতো পুনরায় আমার শরীরে শায়িত হলেন। লোকটা বোধ হয় আজ পাগল হয়ে গেছে। মানে আজ রাতে যেনো তেনো প্রকারেই হোক লোকটার বাবা হতে হবেই। পৃথিবীর কোনো শক্তিই যেনো লোকটাকে আজ আটকে রাখতে পারবে না। বাচ্চার মায়ের বারণ ও লোকটা আজ শুনবেন না। লোকটার পাগলী পূর্ণ ভালোবাসায় যে আমার জান বেরিয়ে আসছে সেদিকে লোকটার বিন্দুমাএ খেয়াল নেই! চূড়ান্ত বর্বর প্রকৃতির এই লোক!

,
,

কানের লতিতে হঠাৎ কারো উষ্ণ আঁচ পেতেই আমার আঁখিদ্বয় থেকে হুড়মুড়িয়ে ঘুম প্রস্থান নিলো। কি আশ্চর্য! কে আমার কানের লতিতে এসে তপ্ত শ্বাস নির্গত করছে? এইতো কিছুক্ষন পূর্বে মাএ চোখ জোড়া লাগিয়েছিলাম। এক্ষনি আবার ঘুম ভেঙ্গে উঠতে হলো আমার? ধ্যাত ভাল্লাগে না! কে বলেছিলো আমায় বিয়ে করতে? রাতের ঘুম জলাঞ্জলি দিয়ে কে বলেছিলো আমায় বিয়ে করতে? পুরুষ মানুষ এতো নির্মম এবং বর্বর প্রকৃতির হয় তা গত রাতেই টের পেয়েছিলাম। স্বামী নয় যেনো স্কুল, কলেজের হেডমাস্টার। যা আদেশ করবে ঠিক তাই করতে হবে। নতুবা ঝাঁড় খেয়ে জোরপূর্বক সেই কাজ করতে হবেই হবে। ক্লান্ত আঁখি যুগল অস্ফুটভাবে খুলে আমি কপাল কুঁচকে নিতেই প্রভাতের সোনালী রোদ সমস্ত মুখে কিরণ ছড়ালো। খুব মিষ্টি লাগছে রোদটা। বিরক্তির কারন হয়ে উঠছে না মোটে ও। তাই আমি অনতিবিলম্বেই কুঁচকে রাখা কপালটা সমান্তরাল করে নিলাম। এক চোখে পাশ ফিরে তাকাতেই দৃষ্টিতে পড়ল আমার বর্বর হাজবেন্ডের স্নিগ্ধতায় ঘেরা উজ্জ্বল মুখমন্ডল। দেখো দেখো, কিভাবে গ্লো করছে লোকটা! সারা রাত আমায় জ্বালিয়ে মেরে আনন্দের রেশ একদম মুখে ঝুলিয়ে রেখেছে৷ লোকটার ঠোঁটের অবস্থান ঠিক আমার কানের লতিতে। বাঁকা হয়ে শুয়ে আছে লোকটা। পুরো দমে আমায় আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে ধরে। মুখমন্ডলে অদ্ভুত বিরক্তি ভাব ফুটিয়ে আমি লোকটাকে ডান পাশে ঠেলে দিতেই শরীর জুড়ে তীব্র ব্যাথার অনুভূতি পেলাম। এক রাতেই অসভ্য লোকটা আমার বারোটা বাজিয়ে দিয়েছে। শরীরের সমস্ত শক্তি বোধ হয় আমি খুঁইয়ে বসেছি। ইতোমধ্যেই শরীরে খানিক আঘাত প্রাপ্ত হয়ে লোকটা ঘুম জড়ানো গলায় আমায় শুধিয়ে বললেন,

“ওহো! এতো নড়াচড়া করছ কেনো?”

অবিশ্বাস্য গলায় আমি বললাম,,

“এমা! আপনি সজাগ?”

“তোমার জন্যই তো ঘুমুতে পারছিলাম না!”

“এক্সকিউজ মি! কি বললেন আপনি? আমার জন্য আপনি ঘুমুতে পারছিলেন না?”

“হুম। অবশ্যই তাই। তুমিই তো সারাটা রাত জুড়ে আমার অনুভূতিকে ডিস্টার্ব করেছিলে। নেশার মতো টানছিলে আমায়। নিজের পুরুষত্ব মনোভাবটা তাই বেশিক্ষণ আটকে রাখতে পারি নি। সো এক্ষেএে সম্পূর্ণ দোষটা তোমারই!”

“কোথায় আমি আপনাকে আকর্ষিত করছিলাম? আপনিই তো যা তা করছিলেন আমার সাথে! বাবা হতে চাই, বাবা হতে চাই বলে মাথা খেয়ে নিচ্ছিলেন। অসভ্য লোক একটা।”

“ক্ষ্যাপি ও না আমায়! রাতের মতো আবার ও অসভ্য হতে বাধ্য হব!”

চুপসে গেলাম আমি। তবে চোখের মাএাতিরিক্ত রাগী ভাব যেনো কিছুতেই আয়ত্তে আনতে পারছিলাম না! পরশ এখন ও একই ভাবে আঁখি যুগল বুজে মিটিমিটি হাসতে ব্যস্ত৷ আমার মৌনতা আঁচ পাওয়া মাএই লোকটা আমায় খুব শক্ত হাতে ঝাপটে ধরে বললেন,,

“শাওয়ার সেরে মামানীর কাছে যাও। তাদের সাথে একটু ভাব জমানোর চেষ্টা করো। মামুর পরিবার খুব মিশুক টাইপের জানো তো? তুমি একটু খানি মিশলেই তারা তোমাকে এর’চে বেশি আপন করে নিবেন!”

“এখনি শাওয়ার নিতে হবে? আর একটু ঘুমুলে চলবে না? বিলিভ মি। আমি চোখ টেনে মেলতে পারছি না।”

আচম্বিতে পরশ আমার গাঁ থেকে কাঁথাটা টেনে নিয়ে আমার বস্ত্রহীন গাঁয়ে শায়িত হয়ে ঘুম জড়ানো দৃষ্টিতে মন্থর গলায় বললেন,,

“উঁহু! ঘুমুনোর চেয়ে ভালো, আমার লাভ টর্চার সহ্য করা!”

লোকটা শুনলেন না আমার বারণ। গত রাতের মতো পিশাচ রূপ ধারন করলেন মুহূর্তেই। পুনরায় আমায় নিজের করে নিতে তৎপর হয়ে উঠলেন। ঘন্টা খানিক পর বিরক্ত হয়ে আমি লোকটাকে গাঁ থেকে সরিয়ে কাঁথা টেনে বিছানা ছেড়ে উঠে দাঁড়ালাম। লোকটা বেকুব ভঙ্গিতে আমার দিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ করতেই আমি রাগী দৃষ্টিতে লোকটাকে শাসিয়ে বললাম,,

“মানুষ হবেন না আপনি? বরাবরই বর্বর, পিশাচ, অসভ্য রয়ে যাবেন?”

বেকুব ভাব ভঙ্গি পাল্টে পরশ ভেজাক্ত ওষ্ঠদ্বয় মুছে অট্ট হেসে বললেন,,

“এটুকুতেই এতো অভিযোগ? আর ওদিকে যে নিয়ম করে রোজ আমার ভালোবাসা বাড়বে তখন কি করবে শুনি?”

“তখন আপনাকে রেখে বাপের বাড়ি চলে যাব!”

কথাটা বলেই আমি স্তব্ধ হয়ে গেলাম। আদৌ কি আমার এখন বাপের বাড়ি আছে? বাপের বাড়ির পার্ট তো চুকিয়ে এসেছি সেই দুদিন পূর্বেই! তারা তো আর কখন ও আমায় ঠাঁয় দিবেন না! না কখন ও আমায় মেনে নিবেন। আঁখি জোড়ায় এক আকাশ শ্রাবণ সমেত আমি ওয়াশরুমের দিকে পা বাড়াতেই পরশ দৌঁড়ে বিছানা ছেড়ে উঠে পেছন থেকে আমায় ঝাপটে ধরে শান্ত গলায় বললেন,,

“কি হলো? মনে মেঘ জমল কেনো?”

অশ্রুসিক্ত গলায় আমি বললাম,

“কেনো? আপনি জানেন না?”

“সব ঠিক হয়ে যাবে বউ। আমি সব ঠিক করে দিব। শুধু সঠিক সময়ের অপেক্ষা। এতো জলদি ভেঙ্গে পড়লে চলবে বলো? তোমার হাজবেন্ডের প্রতি আস্থা নেই তোমার?”

ঢুকড়ে কেঁদে আমি অস্পষ্ট গলায় বললাম,,

“কখন ও ভাবি নি পরশ। এভাবে বাড়ি থেকে পালিয়ে আমায় বিয়ে করতে হবে। পরিবারকে ছাড়া, পরিবারের বিরুদ্ধে গিয়ে, পরিবারকে কষ্ট দিয়ে!”

“উপর ওয়ালা আমাদের মিলনটা হয়তো এভাবেই রেখেছিলেন টয়া। তাই এভাবেই অপ্রত্যাশিত ভাবে এবং অপরিকল্পিত ভাবেই আমাদের বিয়েটা করতে হলো। প্লিজ ডোন্ট বি স্যাড টয়া। সব ঠিক হয়ে যাবে। বিশ্বাস রাখো এবং ধৈর্য্য ধরো।”

“ঠিক আছে ছাড়ুন। শাওয়ার নিব।”

সঙ্গে সঙ্গেই পরশ হাতের বাঁধনটা ঢিলে করে দিলেন। চোখের জলরাশি অতি যত্নের সাথে মুছে দিয়ে পরশ কাবার্ডে রেখে যাওয়া মামানীর মেরুন রঙ্গের শাড়িটা আমার হাতে তুলে দিয়ে বললেন,,

“তাড়াতাড়ি শাওয়ার নিয়ে এসো। তোমার পর আমি!”

শাড়িটা হাতে নিয়ে আমি ওয়াশরুমে প্রবেশ করলাম। আমার শাওয়ার শেষে পরশ ও শাওয়ার নিতে ওয়াশরুমে প্রবেশ করলেন। টাওয়ালটা মাথায় পেঁচিয়ে আমি বিছানাটা গুছাতেই নিচ থেকে শোর গোলের আওয়াজ শুনতে পেলাম। মনে হচ্ছে যেনো বাড়ির লোকরা এক জোট কারো সাথে খুব দ্বন্ধে লিপ্ত আছেন। কথা কাটাকাটি হচ্ছে তুমুলে। কলিজাটা অনাকাঙ্ক্ষিত ভয়ে মোচড় দিয়ে উঠতেই আমি শুকনো ঢোক গিলে দৌঁড়ে দরজার খিলটা খুলে ড্রইং রুমের দিকে উৎসুক দৃষ্টি নিক্ষেপ করলাম। সঙ্গে সঙ্গেই ভয়ে আঁতকে উঠে আমি মুখটা চেঁপে ধরতেই আব্বুর রাগী দৃষ্টি আমার রুমের দরজার দিকে পড়ল। ক্ষিপ্র গলায় আব্বু আমায় উদ্দেশ্য করে চেঁচিয়ে বললেন,,

“সংসার করা হচ্ছে এই বাড়িতে না? আমাদের মান-সম্মান নিলামে তুলে এই বাড়িতে তোর সংসার করা হচ্ছে?”

আব্বু এবং আমার চাচারা ক্ষিপ্ত হয়ে আমার রুমের দিকে অগ্রসর হতেই আমি ঠাস করে রুমের দরজাটা বন্ধ করে দৌঁড়ে ওয়াশরুমের দরজা ধাক্কিয়ে চিৎকার করে কেঁদে পরশকে ডেকে বললাম,,

“পরশ প্লিজ তাড়াতাড়ি বের হয়ে আসুন। আব্বু আমাদের সন্ধানে চলে এসেছেন!”

#চলবে…?

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here