তোর শহরে রেখেছি পা পর্ব -১১

#তোর_শহরে_রেখেছি_পা
#পর্ব_১১
#লেখিকা_আজরিনা_জ্যামি

আবরারের সাথে কথা বলার সময় A.K খেয়াল করলো। দুজন ব্যক্তি খুব তাড়াতাড়ি নাদিমের কেবিনের দিকে যাচ্ছে।আর হাতে কিছু একটা আছে। আর কেবিনের সামনে থাকা একটা গার্ডকে গুলি করেছে। লোকটার বন্দুক এ সাইলেন্সার লাগানো তাই আওয়াজ হয় নি। যেহেতু মেডিকেল কলেজ সাথে হাসপাতাল তাই অনেক মানুষ রয়েছে। বডিগার্ড এর অবস্থা দেখে ওখানে থাকা অনেকেই ভয় পেয়েছে। তাই A.K রিভলবার বের করে দৌড় দিল।যাতে নাদিমের কিছু না করতে পারে। তারা দুজন এসেছিল বডিগার্ড গুলোকে শ্যুট করেছে। একজন বাইরে দাঁড়িয়ে পাহারা দিচ্ছে আরেকজন ভেতরে ঢুকে পড়েছে কাজটা এতো তাড়াতাড়ি হয়েছে যে কেউ বুঝতে পারেনি এমন টা হবে। A.k দৌড়ে কেবিনের সামনে গেল লোকটা বন্দুক দিয়ে গুলি করবে তার আগেই A.K তার হার্ট বরাবর গুলি করে দিল লোকটা মুখ থুবরে পরে গেল। বাইরে গুলির আওয়াজ শুনে ভেতরের লোকটা ভয় পেল। তারপর A.K কেবিনের ভেতরে ঢুকলো। লোকটা নাদিম কে শ্যুট করতেই যাচ্ছিল।A.K ভেতরে দেখে পালাতে যায় A.k কে ধাক্কা মারে ওর কিছুর সাথে লেগে হাতে ব্যাথা পায়। লোকটা পালাচ্ছে দেখে A.K লোকটার হাতে গুলি করে দেয়। লোকটা নিচে পরে যায়। A.K লোকটাকে মারতে থাকে। আর বলতে থাকে,,,

“তোকে কে পাঠিয়েছে বলে নাহলে জানে মেরে দেব!”

“বলবো না!”

তখনি আরহাম আর আবরার আসে কেবিনে। আরহাম A.K কে শান্ত করায়। আরহাম লোকটিকে নিয়ে চলে যায় কারণ ওকে অফিসে গিয়ে জিজ্ঞাসা বাদ করবে। A.K ও কিছু বলেনি ওরা নাদিম এর থেকে বিদায় নিয়ে বেরিয়ে পরে।

_______________

পরের দিন,,,

রোজকার মতন আবরার আর আরুহি কলেজে চলে আসে। আরুহি কলেজে এসে নাদিম এর সাথে দেখা করে। আবরার ও আসে।। নিতু সিঁড়ির কাছে দাঁড়িয়ে ছিল। আরুহি আর আফরিন একসাথে আসছিল সিড়ির কাছে আসতেই নিতু পা বাড়িয়ে দেয় আরুহি ঠিক মতো খেয়াল করেনি ও পরে সিঁড়ি যেতে নিল তখনি কোথা থেকে আবরার এসে ওর হাত ধরে ফেলে। আরুহি সিড়ির সামনে ঝুলে আছে আর আবরার ওর হাত ধরে আছে। আরুহি পরে নি তবুও “আহ” বলে চিৎকার দেয়। তা দেখে আবরার ব্যস্ত হয়ে পরে। ওকে সোজা করে চিন্তিত মুখে বলে,,

“মিস আরুহি আপনি ঠিক আছেন তো কোথাও লাগে নি তো?”

তখন আরুহি বলল,,

“আমি ঠিক আছি কোথাও লাগে নি।”

তখন আফরিন বলল,,,

“কিন্তু তুই তো এমন ভাবে চিৎকার দিলি যেনো অনেক ব্যাথা পেয়েছিস।”

“আসলে হাতে একটু ব্যথা ছিল মিস্টার নিশান ওখানেই ধরেছিল তাই !”

তখন আবরার ব্যস্ত হয়ে বলল,,,

“কোথায় দেখি?”

“আমি ঠিক আছি মিস্টার নিশান দেখতে হবে না।”

আফরিন এসে আরুরির বোরকার হাতা উঁচু করলো। আবরার আর আফরিন দেখলো অনেক টা ফুলে গেছে। আবরার কে দেখে মনে হচ্ছে ওর কষ্ট হচ্ছে। আবরার চিন্তিত মুখে বলল,,

“আপনি হাতে ব্যাথা পেয়েছেন কিভাবে। অনেক টা ফুলে গিয়েছে।”

“আসলে কাজ করতে যেয়ে দেয়ালের সাথে লেগে গিয়েছিল।”

“ওষুধ খেয়েছেন?”

“হ্যা খেয়েছি আপনি চিন্তা করবেন না।”

“আপনি এই হাত নিয়ে স্কুটি চালিয়ে কলেজে এসেছেন?”

“আরে বেশি ব্যাথা নেই। আমি ঠিক আছি।”

“সরি মিস আপনাকে ব্যথা দিলাম!”

“আপনি না ধরলে যে আরো বেশি ব্যথা পেতাম। তাই গিল্টি ফিল করবেন না। আর আমাকে বাঁচানোর জন্য ধন্যবাদ মিস্টার।”

আরুহি একবার নিতুর দিকে তাকালো। নিতু রেগে ওর দিকে তাকিয়ে আছে। এবারের প্ল্যানটাও ফেল। আরুহি নিতুর কাছে গিয়ে বলল,,,

“মানুষ কে আঘাত করে সাময়িক খুশি হওয়া গেলেও সারাজীবন সেই খুশিটাকে আকরে ধরে রাখা যায় না। আমি যদিও প্রথমে আপনাকে খেয়াল করি নি কিন্তু পরে আপনার চেহারা দেখে ঠিকই বুঝতে পেরেছি কি ঘটেছে। তবে কি বলুন তো যে আঘাত টা আপনি অন্যকে করেছেন বা করতে চাইছেন সেটা জীবনের একটা সময় আপনার ঘাড়েই পরবে। তাই বলছি সময় থাকতেই শুধরে যান নাহলে ভবিষ্যতে একটু বেশি কষ্ট হয়ে যাবে। আল্লাহ তায়ালা আপনাকে সঠিক জ্ঞান দান করুক। আল্লাহ হাফেজ ভালো থাকবেন।”

আরুহি ওখান থেকে চলে গেল। পেছনে আফরিন ও আবরার রাগী চোখে নিতুর দিকে তাকালো। কিন্তু আরুহির কথা শুনে আর কিছু বললো না। আবরার আরুহির পেছনে গিয়ে বলল,,,

“মিস আপনি তো হাতে ব্যাথা পেয়েছেন আর এখন হয়তো আরো বেড়ে গেছে। আমি আপনাকে ড্রপ করে দেই।”

“ধন্যবাদ মিস্টার নিশান তবে আমার লাগবে না। হাতে অতটাও লাগেনি আমি নিজেই ড্রাইভ করে যেতে পারবো। আপনি আজ বরং আফরিন কে নিয়ে বাড়িতে যান।”

“ওকে মিস সাবধানে যাবেন। সাবধানে থাকবেন আর ওষুধ ও খেয়ে নিয়েন।”

আবরারের কেয়ার দেখে আরুহির ভালো লাগলো। আরুহি মুচকি হেসে বলল,,,

“ঠিক আছে আপনার কথা মনে রাখবো। আজ আসি আল্লাহ হাফেজ।”

“আল্লাহ হাফেজ ফি আমানিল্লাহ!”

“ইনশাআল্লাহ!”

বলেই আরুহি চলে গেল। আবরার মুচকি হেসে মনে মনে বলল,,,-

প্রিয়শী,,

“তোমার প্রতি একটা আলাদা টান আছে যেটা সবার প্রতি আসবেনা!”

___________________

কেটে গেছে আরো একদিন,,আজ সেই NS-3 এর অবৈধ জিনিস পত্রের ডিল করার ডেট । ওরা এসেছে একটা জঙ্গলের মধ্যে একটা পুরাতন বাড়িতে। আজ বিদেশ থেকে একজন আসবে ডিল করতে। A.K সব রেডি করে রেখেছে। যখন সবাই পুরাতন বাড়িতে কথা বলতে আসবে তখনি ওরা সেখানে এটাক করবে। ওরা আপাতত জঙ্গলের ভেতরে রয়েছে। ওখান থেকে স্পষ্ট বাড়িটা দেখা যায়। বাড়িটার চারদিকে অনেক গুলো গার্ড রয়েছে। A.K ও বড় একটা ফোর্স তৈরি করেছে। এই জঙ্গলে একটু রিস্ক আছে এমনিতে রাত তার ওপর কতো গুলো বডিগার্ড আছে সেটা জানে না। কয়জন কে ধরতে পারবে সেটাও জানে না। তবে তিনজনের মধ্যে একজন তো এখানে আসবেই। ওরা সবার পজিশন নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে সবার হাতেই বড় বন্দুক। হুট করেই বাড়িটাতে একসাথে কয়েকজন কে ঢুকতে দেখা গেল। A.K বলল পাঁচ মিনিট অপেক্ষা করতে পাঁচ মিনিট পর তারা ওদের ওপর এটাক করবে। পাঁচ মিনিট পর সবাই এগিয়ে গেল বাড়িটার কাছাকাছি যেতেই গার্ডদের ওপর গুলি করা হলো। গুলির শব্দে ভেতরের সবাই ভয় পেয়ে গেল তারাও নিজেদের বন্দুক দিয়ে গুলি করতে লাগলো। ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় অনেকের মৃত্যু হলো। A.K আর আরহাম বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করলো। যাদের সাথে ডিল করার কথা ছিল তারা মারা গেছে । এখন একজন আছে তাও একটু আহত ভাবে। আরহাম গিয়ে তাকে ধরলো আর কতোক্ষণ মারলো তার মুখে মাস্ক ছিল। মাস্ক টা খুলতেই আরহাম মুচকি হেসে বলল,,,

“আরে আংকেল আপনি এখানে আপনি এতো ভালো কাজ করেন আমি তো জানতাম ও না। তবে আপনার সাথে আমার এতো তাড়াতাড়ি দেখা হবে বুঝতে পারি নি।‌ কি সুন্দর করে মানুষের সাথে অভিনয় করেন। নিশ্চয়ই আপনি জানতেন আমি সি আইডি অফিসার। কিন্তু তাও আমার সামনে কি সুন্দর ভালো মানুষের অভিনয় করে গেলেন। আহা কি সুন্দর অনুভূতি হচ্ছে আপনাকে বলে বোঝাতে পারবো না। আপনাকে দেখে মনে কি ভালো লাগছে কি বলতাম আমি খুশিতে মনে হয় পাগল- ই হয়ে যাবো। ”

A.K আরহামের কথা শুনে হাসলো। তারপর বলল,,,

“মিস্টার আরহাম এখনি খুশিতে পাগল হলে চলবে। এখনো তো বিয়ে করেন নি বিয়ে করুন বউয়ের সাথে সময় কাটান আরো দু একটা NS কে ধরুন।তারপর পাগল হলেও চলবে।’

তখন NS-3 বলল,,,

“আরো কয়েকটা NS মানে আমিই একমাত্র NS .আমি এতো দিন কালো কারবার করে আসছি।”

“আরে ভাই তোর কি মনে হয় আমরা কিছু না জেনেই এখানে এসেছি। তুই হচ্ছিস NS-3 সেটা আমরা জানি।মিস্টার নাদিম কে যে তোর বস মেন NS মারতে পাঠিয়েছিল সেটাও আমরা ভালো করেই জানি। তাকে মারতে পাঠিয়েছিল তার কাছ থেকেই সব খবর পেয়েছি। আরো কিছু বলতো কিন্তু তার আগেই বেচারা এই দুনিয়া ছেড়ে চলে গেল কি আফসোস। NS যে ওর শরীরে বিষ ঢুকিয়েছিল জানতাম ই না সেই বিষ দিয়েছিল যেটা মানুষের শরীরে দিলে ২৪ ঘন্টা পর মারা যায়।

A.k এর কথা শুনে NS-3 ভয় পেয়ে গেল। ভয়ে ঢোক গিলতে লাগলো আর বলল,,

“কে বলেছে তোদের আমিই একমাত্র NS ”

“মানলাম তুই ড্রাগ সাপ্লাই করিস । কিন্তু তাই বলে কি তুই গাঁজা খেয়ে বসে আছিস না আমরা গাঁজা খাই তুই যা বলবি তাই বিশ্বাস করবো। তোদের ব্যাপারে সব আমাদের জানা শুধু চেহারা বাদ দিয়ে।”

এবার আর কিছু লুকালো না। সব যখন তখন জানেই তাহলে আর লুকিয়ে লাভ কি NS-3 বলল,,,

“নিজেদের ভালো চাও তো আমাকে ছেড়ে দাও। তাহলে ওরা তোমাদের বাঁচতে দেবে না। মেরে ফেলবে।”

“যেভাবে মাহমুদ খান আর রেহানা খান কে মেরেছিল সেভাবে নাকি যেভাবে আনোয়ার খানের মেয়েকে মেরেছিল সেভাবে।”

একথা শুনে NS-3 হকচকিয়ে উঠলো। ওরা জানলো কিভাবে উনি ব্যস্ত কন্ঠে বলল,,,

“এই A.K কে কে তুমি তুমি এতো কিছু জানো কিভাবে?”

“আমি সব জানি এই যে মিস্টার আরহাম কে দেখছো সেও সব জানে যাই হোক এই জঙ্গলে ভালো লাগছে না। তোর সাথে আবার পরে কথা হবে। কাল তোর ছবি পেপারের ফ্রন্ট পেজে ছাপা হবে। নিউজ চ্যানেল এ ব্রেকিং নিউজ চলবে তোর কান্ড কারখানা। তোর একটা ছবি খুব সুন্দর করে তুলতে বলবো। লোকেও তো জানুক দ্য গ্ৰেট বিজনেস ম্যান নওশাদ শিকদার একজন অবৈধ অস্ত্র, ওষুধ,নারী পাচারকারী। তোর মেয়ে যে কলেজে অহংকার নিয়ে চলাচল করে। অন্যকে আঘাত করে তার কি হবে। আহা বেচারি কাল কিভাবে সবাইকে মুখ দেখাবে। আর উষা শিকদার তার কি হবে আপনাদের তো ভালোবেসে বিয়ে ছিল। ভেবেই কষ্ট হচ্ছে আমার। আহা কি কষ্ট।”

“প্লিজ আমাকে ছেড়ে দাও। এসব কিছু করো না। আমার পরিবার শেষ হয়ে যাবে। আমি নিজেকে শুধরে নেব। আমি ভালো হয়ে যাবো। সব খারাপ কাজ ছেড়ে দেব। তোমরা প্লিজ ছেড়ে দাও আমাকে।”

তখন A.K বলল,,

“কুকুরের লেজ কখনো সোজা হতে দেখেছিস। দেখিস নি তাই না। যেমন কুকুরের লেজ কখনো সোজা হয় নি। ঠিক হাজার চেষ্টা করলেও তুই নিজেকে শোধরাতে পারবি না বুঝলি। তাছাড়া তুই ভালো হতে চাইলেও ওরা তোকে ভালো হতে দেবে না। বরং তোকে মেরে ফেলবে। তার থেকে তুই বরং জেলেই থাক।”

তখন আরহাম হেসে উঠল আর বলল,,,

” A.k একটু আগে কে যেনো বলছিল আমকে ছেড়ে দে। আমাকে না ছাড়লে ওরা নাকি আমাদের মেরে ফেলবে। আর এখন দেখুন মাফ চাইছে। এই দেখে আমার খুব কষ্ট হচ্ছে আহা গো সোনা আমার খুব কষ্ট হচ্ছে তাই না।”

বলেই আরহাম হাসতে লাগলো। তা দেখে A.K মুচকি হাসলো আর বলল,,

“অনেক কথা হয়েছে এখন চলুন ফিরে যাই। জঙ্গল মঙ্গল আমার ভালো লাগে না। আর রাত করে তো নয়-ই।”

“ঠিক আছে চলুন। আবরার আর বাকি অফিসার রা সকলে কে নিয়ে চলে গেল।

____________________

পরেরদিন,,

ব্রেকিং নিউজ,,

বিশিষ্ট বিজনেস ম্যান নওশাদ শিকদার। অবৈধ জিনিসের ডিল করতে গিয়ে ধরা পরেছে। এই কাজ টা করেছে সি আই ডি অফিসার নাদিম আহমেদ, আরহাম মাহমুদ খান আর A.K .জানা যায় কাল রাতে এক বিদেশী স্মাগলার এর সাথে ডিল করতে গিয়েছিলেন তিনি। সেখান থেকেই সি আই ডি তাদের ধরে। আরো জানা যায় অন্ধকার জগতের বস NS এর সকল অবৈধ কর্মকান্ডের সাথে তিনি জরিত ছিল। সরকার সকালে ওনার অফিস বাড়ি সব সিল করে দিয়েছে। সি আই ডি এর বিশ্বাস খুব তাড়াতাড়ি এদেশ থেকে NS এর কারবার মুছে ফেলে তাকে ধরা হবে। কি কি ধারা পরেছে সব আপনাদের স্ক্রিনে দেখানো হলো।

খবরটা দেখেই কেউ একজন হাতের সামনে ফুলদানি দিয়ে টিভি ভেঙে ফেললো। কিছুতেই তার রাগটা কে কন্ট্রোল করতে পারলো না। সে চিৎকার করে বলল,,,

“কাউকে ছাড়বো না আমি তোমরা শুধু নওশাদ কে ধরোনি আমার ভাইকে ধরেছো এর ফল তোমাদের পেতেই হবে। মাহমুদ এর ছেলে আরহাম তোমাকে এর ফল ভোগ করতে হবে। যেভাবে মাহমুদ দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়েছে সেভাবে তোমাকেও নিতে হবে। কিন্তু এই A.K কে ওকে আমার মতো আজ পর্যন্ত কেও দেখেনি। আমি যেমন অন্ধকার জগতের বস তেমন ওর কাজের মাধ্যমে ক্তিমিনাল ধরতে ওস্তাদ। না মাথা ঠান্ডা রেখে এগুতে হবে। তাড়াহুড়ো করা চলবে না। আগে A.K কে খোঁজ লাগাতে হবে। তারপর আরহাম কে আর তাকে একসাথে শেষ করবো। আপাতত সব কাজ বন্ধ রাখতে হবে। যে পর্যন্ত না সব ঠিক হয়ে যায় । এই A.K কে দিয়ে বিশ্বাস নেই আমাকেও ধরে ফেলতে পারে । না না একটু পেছাতে হবে তাড়াহুড়ো করে চলবে না। কুল NS কুল। এভরিথিং ইজ অল রাইট। তুমি এখন নিজের টা ভাবো অন্য কারো টা ভাবতে হবে না। নওশাদ ওর ভুলের জন্য ধরা পরেছে এখানে তোমার দায় নেই ‌। এতো দিন যেমন তোমাকে কেউ দেখতে ছুঁতে পারে নি এখনো পারবে না।”

বলেই NS কাউকে ফোন করলো।

____________________

সকালের নিউজ দেখতেই আরহাম আর আরুহির মুখে হাসি ফুটে উঠল। কিন্তু আবরার দের বাড়ির অবস্থা খুব একটা ভালো না। উষা শিকদার আর নিতু এসে আবরার দের বাড়ি কান্নাকাটি করছে। সবার দেখে খারাপ লাগছে কিন্তু কিছুই করার নেই। তারওপর ওদের টাকা পয়সা অফিস বাড়ি সব সিল করে দেওয়া হয়েছে।ওরা যাবে কোথায় আর লোকজন এর সামনে মুখ দেখাবে কি করে। আবরার এর সবকিছু বিরক্ত লাগছিল তাই ও কলেজে চলে এলো আফরিন ও আবারারের সাথে এলো কিন্তু নাহিয়ান খান বোনের পাশে রইলেন। কলেজে আসতেই আবরারের চোখ পরলো আরুহির দিকে ওর চোখে মুখে হাসি প্রকাশ পাচ্ছে। আবরার আরুহির কাছে গিয়ে বলল,,,

“আসসালামু আলাইকুম মিস !”

“ওয়ালাইকুমুস সালাম মিস্টার!”

“আজ আপনাকে খুব খুশি দেখাচ্ছে কারন কি?”

“ভাইয়া বলেছে আপনি সব জানেন তাই হেঁয়ালি করবেন না। আচ্ছা মিস্টার নিশান আপনার খারাপ লাগছে না?”

‘সত্যি বলতে নওশাদ শিকদার কে দেখে একটু খারাপ লাগছে না। কিন্তু ফুপি আর নিতুর কান্না দেখে একটু খারাপ লাগছে। যারা দেশকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে তাদের সাথে এরকম হওয়ায় উচিত। তাছাড়া আপনার বাবা মায়ের হত্যাকারীর সাথে নওশাদ শিকদার যুক্ত ছিল।”

“আপনার কথা শুনে ভালো লাগলো!”

“আপনার হাতের ব্যাথা পুরোপুরি সেরেছে?”

“হুম সেরেছে দুদিন হয়ে গেছে সেদিনের পর আর ব্যাথা বেশি লাগেনি একটু লেগেছিল।”

“ভালো হলেই ভালো।”

“হুম!”

“এখন এ অবস্থা দেখে কোলাহল থেকে দূরে গিয়ে নিরবতা উপভোগ করার ইচ্ছাটা ক্রমশ বেড়ে যাচ্ছে!”

“তো যান ঘুরে আসুন কোথাও থেকে। এমনিতেও তো শুনেছি আপনি হুটহাট করে ঘুরতে চলে যান।”

“আগের আমি আর এই আমির মাঝে অনেক তফাৎ এখন আর হুটহাট কোথাও যেতে ইচ্ছে করে না। মনে হয় তার কাছেই,,,

আবরার এটুকু বলেই থেমে গেল। আবরার কে থামতে দেখে আরুহি বলল,,,

“কি হলো মিস্টার থেমে গেলেন যে?”

“কিছু কথা অব্যক্ত থাকাই ভালো। যাই হোক আরহাম ভাইয়াকে শুভেচ্ছা জানাবেন আমার পক্ষ থেকে।”

“আচ্ছা ঠিক আছে। ঐ তো আফরিন এসে গেছে । আমি আসি!

বলেই আরুহি ওখান থেকে চলে গেল। আবরার সেদিক পানে তাকিয়ে রইল। আর মনে মনে বলল,,

“এই শহরের ক্ষনিকের জন্য হাত ধরা মানুষের অভাব হয় না! অভাব হয় শুধু হাত ধরে শেষ পর্যন্ত দাঁড়িয়ে থাকা মানুষের! তুমি আমার হাত ধরে শেষ পর্যন্ত থেকো প্রিয়শী ।

______________________

দেখতে দেখতে ছয় মাস কেটে গেছে। এই ছয়মাস এ বদলেছে অনেক কিছু। আবরার আর আরুহির আপনি সম্মধোন টা থাকলেও সম্পর্কে একটু বোঝাপড়া এসেছে। দুজন দুজনের মনের অবস্থা বুঝতে পারে। আরহাম আর আফরিন এর সম্পর্ক টাও অনেক টা এগিয়ে গেছে কিন্তু কেউ কাউকে ভালোবাসার কথা জানায় নি। সবকিছু ভালোই চলছে। আবরার দের বাড়িতে এখন আরুহি আরহাম এর ভালোই যাতায়াত হয়। কিন্তু আবরার এর সাথে আবরার এর বাবা মায়ের সম্পর্কের উন্নতি হয় নি। নিতু আর নিতুর মা বিদেশে চলে গেছে। সব ব্যবস্থা নাহিয়ান খান করেছেন। প্রথমে তাদের দেশ ছাড়ার অনুমতি ছিল না। কিন্তু নাহিয়ান খান সবার থেকে অনুমতি নিয়ে দেয়। নিতু নিজের করা কাজের জন্য অনুতপ্ত। তবে এটা ঠিক সে আবরার কে ভালোবেসেছিল।নিতু শেষ বারের মতো আবরার কে নিজের মনের কথা জানায়। আবরার তখন নিজের রুমে ছিলো।

ফ্ল্যাশব্যাক,,

“আবরার ভাইয়া আসবো?”

তখন আবরার বলল,,

“হুম ভেতরে আয়।”

“তোমার সাথে আমার কিছু কথা ছিল!

“বল কি বলবি?”

“ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে না বলে সরাসরিই বলছি।আসলে ভাইয়া তোমার ওপর আগে থেকেই একটা অন্যরকম অনুভূতি কাজ করতো। ছোট বেলা থেকেই আমি তোমাকে পছন্দ করতাম। তুমি যখন আস্তে আস্তে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হতে লাগলে আমি তখন ও তোমায় দেখতাম। খুব ভালো লাগতো তোমাকে দেখতে যত বড় হতে থাকি তত বুঝতে পারি আমি তোমাকে অন্য চোখে দেখি। একটা সময় পর আমি বুঝতে পারি আমি তোমাকে ভালোবাসি। সেই কথাটা আমি মাকে জানাই মা বলে বড় হয়ে যাই তারপর তোকে তিনি মামার সাথে কথা বলবেন আমিও ভেবে নিয়েছিলাম আমি তোমার হবো। তার জন্য তোমার পাশে কাউকে দেখলে আমার খুব রাগ হতো। যদিও তুমি কোনদিন মেয়েদের সাথে মিশো নি এই ব্যপারটা আমার খুব ভালো লাগতো। কিন্তু আরুহি যেদিন থেকে এসেছে তখন থেকে তুমি ওর সাথে হেসে হেসে কথা বলতে ওটা আমার সহ্য হচ্ছিল না। তাই যখনি সুযোগ পেতাম আরুহিকে অপদস্থ করার চিন্তা করতাম। এর জন্যই তোমার কাছে থাপ্পর ও খেলাম। সত্যি বলতে আমি তোমাকে ভালোবাসি বলেই ওরকম করেছি। প্লিজ আমাকে ফিরিয়ে দিও না। আমি চাই তোমার হাত ধরে বাঁচতে। কথা দিচ্ছি আমি এমন কোন কাজ করবো না যেটা তোমার অপছন্দের।”

আবরার নিতুর কথা মন দিয়ে শুনলো ওর চোখের দিকে তাকালো। এই চোখে ও ভালোবাসা দেখতে পাচ্ছে সাথে অনুতপ্ততাও। তবে ও নিতু কে কখনোই আপন করতে পারবে না। আবরার বলল,,

“আমি তোর অনুভুতি কে বুঝতে পারছি। কিন্তু আমার পক্ষে তোকে জীবনসঙ্গী করা সম্ভব নয়। তোকে আমি ছোটবেলা থেকেই নিজের বোনের চোখে দেখেছি। কিন্তু তোর ওপর রাগ করার কারন হলো তুই অন্যদের সম্মান করিস না আর অহংকার ও করতি। যেটা আমার ভালো লাগতো না। তাছাড়া তোর প্রতি আমার কোন ফিলিংস নেই। যার প্রতি ফিলিংস নেই তার সাথে আর যাই হোক সংসার করা যাবে না।

আবরারের কথা শুনে নিতুর চোখ দিয়ে দু ফোঁটা পানি গড়িয়ে পরল।মানুষ তার ভালোবাসার কাছে অসহায়।।।আর সেই ভালোবাসা‌ নিয়তির কাছে সবসময়ই অসহায়।।এই পৃথিবীতে কোনো কিছুই আমাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী হয় না।।‌কিন্ত তবুও আমরা বোকার মতো স্বপ্ন দেখি।।। নিতু দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল,,,

“আরুহিকে ভালোবাসো?”

একথা শুনে আবরার নিতুর দিকে তাকালো। তখন নিতু মুচকি হেসে বলল,,,

“ভালোবাসার মানুষ টা কোন চোখে কার দিকে তাকায় সেটা সে বুঝতে পারে। আমি দেখেছি তুমি মুগ্ধ চোখে তার দিকে তাকিয়ে থাকো। তার মুখে হাসি দেখলে তোমার মুখে হাসি ফুটে উঠে। তার সাথে কথা বলার সময় তোমার ঠোঁটে তৃপ্তির হাসি দেখা যায়। তার জন্য সবই করতে পারো। তার জন্য আমি তোমার চোখে ভালোবাসা দেখেছি। তার গায়ের রং তোমার কাছে ম্যাটার করে না। তুমি তার ব্যক্তিত্বের প্রেমে পরেছো। সে যখন কোন ভালো কথা বলে তুমি মনোযোগ শ্রোতা হয়ে তার কথা শুনো।”

এ কথা শুনে আবরার মুচকি হাসলো।আর বলল,,

“আমার কাছে ভালবাসা মানে তার প্রতি আমার থাকা একরাশ মুগ্ধতা; ভালবাসা পায় বা না পায় মুগ্ধতায় আকৃষ্ট থাকতে চাই! ‘বিনা শর্তে’ বিনা অর্থে, বিনা কারণে”ভালোবাসি তাঁকে!”

নিতু আবরারের কথা শুনে মুগ্ধ হয়ে গেল। কারন আবরার যে আরুহিকে অনেক ভালোবাসে এতে সন্দেহ নেই। তখন বলল,,

“বুঝতে পেরেছি আমার ভাইয়া একটা মেয়ের প্রমে হাবুডুবু খাচ্ছে। তাই আজ থেকে তোমার বোন হলাম যা হওয়ার হয়েছে। এখন আমি বিদেশে যাবো। তারপর দেখবো কারো প্রতি মুগ্ধতা আসে কিনা এমন কাউকে পেলেই ফটাফট বিয়ে করে নেব ঠিক আছে। তুমি আমার কথা ভেবো না ছিল করো।”

নিতুর চোখে পানি কিন্তু মুখে হাসি ফুটিয়ে আছে। আবরার বুঝতে পারল নিতুর মনের অবস্থা। তাই ও বলল,,,

“সবার জন্যই কেউ না কেউ রাখা আছে। একদিন দেখবি তুই ও তোর মনের মানুষ কে পেয়ে গেছিস। সেও একরাশ মুগ্ধতা নিয়ে তোর দিকে তাকিয়ে থাকবে।”

“ভাইয়া প্লিজ এখন এসব বলো না। আমার লজ্জা করছে কেন যেনো। ”

এ কথা শুনে আবরার হেসে উঠল। আর বলল,

“ভবিষ্যতে কার সাথে কী ঘটবে তা কেউ জানে না। এটি ভাল বা খারাপ, সুখী বা দুঃখের হতে পারে। কেউ ভাল কিছু আশা করলেও কিন্তু খারাপ কিছু ঘটতে পারে। এছাড়াও সবচেয়ে খারাপ থেকে, ভাল কিছু ঘটতে পারে। জীবন অনিশ্চিত, রহস্যময় এবং অপ্রত্যাশিত। জীবন সুন্দর!

আবরার এর কথা শুনে নিতুর ভালো লাগলো। তারপর কিছু একটা ভেবে নিতু বলল,,

“জীবনে সব পেতে হয় না! কিছু কিছু অপূর্ণতা ও সুন্দর! সব পেয়ে গেলে জীবন আর ভালো লাগবে না; সব পানসে মনে হয়। কিছু কিছু সময় খুব করে চাওয়া জিনিস ও পাবো না আবার কিছু কিছু সময় অপ্রত্যাশিত কিছু পেয়ে মন একদম ভালো হয়ে যাবে। সব পেয়ে গেলে এই শান্তিটা থাকবে না। প্রাপ্তি আর অপ্রাপ্তি’র এই ছোট্ট জীবন টাই সুন্দর!

আজ থেকে আর মন খারাপ করবো না। দেখো আজ তুমি আমার সাথে তোমার কথা শেয়ার করলে। আমাদের সম্পর্ক টা কোনদিন ঠিক ছিল না। কিন্তু অপ্রত্যাশিত ভাবে আজ দেখো কতোটা স্বভাবিক লাগছে। ভাই বোনের সম্পর্কটা ভালোই হয়েছে।”

“ঠিক বলেছিস তুই তোকে ভবিষ্যতের জন্য অনেক শুভকামনা। যা হয়েছে সব ভুলে যা । মনে কর জীবন এ তোর সাথে খারাপ কিছুই হয় নি। আমাকে মিস আরুহি একবার বলেছিল,,

জীবনে ভাল সময় আসে খারাপ সময়ও আসে।
চাইলেই কেউ পুরোটা জীবন সুখে থাকতে পারেনা। হয়তো সম্ভব ও না।আমি নিজের খারাপ সময় গুলোকে ভুলে কেবল ভাল সময় নিয়ে বাঁচতেই ভালবাসি।
আমার মনে হয় ভাল থাকার কেবল এই উপয়টাই পৃথিবীতে আছে। যে ভাল সময়গুলো আগলে রেখে খারাপ সময়কে ভুলে যাওয়া।
কাল কি হয়েছিলো, পরশু কি হবে এটাই জীবনে অশান্তির প্রথম ও প্রধান কারন হয়তো!বর্তমান নিয়ে বাঁচুন।

সেই কথাটা আমাকে কতোটা তৃপ্তি দিয়েছিল তোকে বোঝাতে পারবো না। ফুপা যা করেছে এতে তোদের হাত নেই। বিদেশে গিয়ে নতুন ভাবে জীবন শুরু কর দেখবি সব ঠিক হয়ে যাবে।”

“ধন্যবাদ আবরার ভাইয়া। তোমাকে এতো সুন্দর করে আরুহি বলে দেখেই তুমি আগের থেকে অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে গেছো। ওর সাথে কতো খারাপ ব্যবহার করেছি। কাল আমার ফ্লাইট আমি তো ক্ষমা চাইতে পারবো না। তুমি বরং তাকে জানিস আমি তার কাছে ক্ষমা চেয়েছি। ঠিক আছে।”

“ঠিক আছে”
____________________

বর্তমানে,,

আজ আরুহি আর আরহাম একটা রেস্টুরেন্টে গেছে। কাল আরহাম আর আরুহি একটা খেলা খেলছিল যে জিতবে তাকে অপর জন খাওয়াবে। এই খেলায় আরহাম হেরেছে তাই আরুহিকে নিয়ে এসেছে রেস্টুরেন্টে। রেস্টুরেন্টে গিয়ে দেখতে পেল আবরার আফরিন, রিয়াদ, নাদিয়া আর মিস্টি রেস্টুরেন্টে বসে আছে। হুট করে মিস্টির চোখ যায় ওদের দিকে। মিস্টি দৌড়ে আরুহির কাছে যায়। ও দৌড় দিতেই সকলের নজর যায় আরুহিদের দিকে । তাই ওরা আর কিছু বলে না। মিস্টি আরুহির সামনে গিয়ে বলল,,,

“আস সা লামু আলাইকুম আন্টি!”

আরুহি হেসে মিস্টিকে কোলে নিয়ে বলল,,,

“ওয়ালাইকুমুস সালাম সোনা। মাশাআল্লাহ! কেমন আছো তুমি?”

“ভালো আছি তুমি কেমন আছো?”

“আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি।”

“আরহাম আংকেল তুমি কেমন আছো?”

আরহাম মুচকি হেসে বলল,,,

“আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি সোনা।”

মিস্টির কথা এখন অনেক ভালো হয়ে গেছে।ওরা আবরার দের দিকে এগিয়ে গেল। তখন আরহাম বলল,,,

“তোমরা সবাই একসাথে এখানে খেতেই এসেছো নাকি অন্য কাজে?”

তখন আবরার বলল,,,

“হুট করে মিস্টি বায়না ধরলো রেস্টুরেন্টে আসবে। তাই রিয়াদ ভাইয়া কে ফোন করে নিজেই বলেছে রিয়াদ ভাইয়া ও মেয়ের ফোন পেয়ে চলে এসেছে। তাই আমরা সবাই এখানে। তোমরা এখানে কিভাবে?”

“কাল আমি আর আরুহি মিলে একটা গেম খেললাম। সেখানে যে জিতবে তাকে যে হেরেছে তার খাওয়াতে হবে রেস্টুরেন্টে আনফরচুনেটলি আরুহি জিতে গেছে তাই এখানে!”

“ওহ আচ্ছা। তাহলে তোমরা আমাদের টেবিলেই বসো।”

“তোমরা অর্ডার করেছো?”

“না এখনো মেনু কার্ড দেখছি। ”

“ওহ আচ্ছা।”

ওরা একসাথে বসে গল্প করতে লাগলো।আর একসাথে বসে খেতে লাগলো। আবরার খাচ্ছে কম দেখছে বেশি। আরুহি মিস্টিকে খায়িয়ে দিচ্ছে। সবাই ভালো মতোই খাবার খাচ্ছে। আড্ডা দিয়ে সন্ধ্যার দিকে বাড়ি গেল। রাতে নাহিয়ান খান ফোন দিয়ে জানালেন গ্ৰাম থেকে আনোয়ার খান তার পরিবার নিয়ে ওনাদের বাড়ি আসছে। ওরা যেন অবশ্যই সেখানে সকাল সকাল যায়। প্রথমে আরহাম মানা করলো। কিন্তু নাহিয়ান খান একটু জোর করলো তার আরুহি আর ও কথা বলে জানায় তারা যাবে। নাহিয়ান খান খুশি মনে ফোন রাখে। আরহাম আর আরুহি বুঝতে পারছে না আনোয়ার খান রা কেন আবরার দের বাড়িতে আসবে। কোন সারপ্রাইজ অপেক্ষা করছে নাতো ওদের জন্য। পরের দিন সকালে যেতে বললেও বিকেলে আরহাম আর আরুহি আবরার দের বাড়িতে গেল। সেখানে গিয়ে আনোয়ার খানের পরিবারের সঙ্গে দুটো নতুন মুখ দেখতে পায়। সবাইকে চিনলেও সে দুজন কে ওরা চেনে না। দিধাদ্ধন্দের মধ্যেই ওরা বাড়িতে প্রবেশ করে।

~চলবে,,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here