তোর_আসক্তি_পাগল_করেছে_আমায় পর্ব ৭+৮

#তোর_আসক্তি_পাগল_করেছে_আমায়
#Sabiya_Sabu_Sultana (Saba)
#পর্ব_৭+৮
…. বেলা আধঘন্টা যাবত ওয়াশরুমে সাওয়ারের তলায় দাঁড়িয়ে আছে। সাওয়ারের পানিতে পুরো ভিজে চুপ চুপে হয়ে গেছে বেলার মুখ টা ও অসহায় করে দাঁড়িয়ে আছে। তার অবস্থা খুবই শোচনীয় হয়ে আছে। দম আটকে দাঁড়িয়ে আছে পুতুলের মতো করে কোনো কিছু বলতেও পারছে না আর নিজেকে ছাড়াতে পারছে। চোখ মুখ পুরো লাল হয়ে গেছে। বেলার ঠিক সামনে হাঁটু মুড়ে তার কোমর জড়িয়ে রেখেছে সাঁঝ। তার ঠোঁটের দ্বারা ক্রমাগত বেলার পেট সংলগ্ন উষ্ণ স্পর্শে ভরিয়ে দিচ্ছে। বেলা না পারছে মেনে নিতে আর না পারছে স্পর্শের থেকে মুক্তি পেতে পেতে। সাঁঝ তাকে আষ্টেপিষ্টে জড়িয়ে রেখেছে। কখন হাত দিয়ে বেলার পেট স্লাইড করছে। তো কখন ঠোঁটের দ্বারা স্পর্শ করছে। সাঁঝ এর চোখ গুলো লাল রক্তের মত হয়ে আছে। মুখে ফুটে আছে হিংস্রতায় ভরা পাগলামি।
.
.
. কয়েক ঘণ্টা আগের মুহূর্ত…
.
. বেলা কে ইউনিভার্সিটি থেকে নিয়ে বেরিয়ে আসার পর চোখ মুখ পুরো হিংস্র হয়ে ছিল। মনে হচ্ছিল এখন কার জন্য নিজের রাগ টা কে কন্ট্রোল করে রাখছে পরে সুদে আসল তোলার জন্য। বাড়িতে আসার পর গাড়ি থেকে নেমে বেলা কে কোলে তুলে নিয়ে একেবারে ওয়াশরুমে ঢুকে সাওয়ারের তলায় দাঁড় করিয়ে দেয়। বেলা চেয়ে ও নিজে কে ছাড়াতে পারেনা নিজেকে সাঁঝ এর হাতের থেকে। সাঁঝ আসতে আসতে বেলার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এদিকে বেলা পিছু হতে হতে দেয়ালের সাথে লেগে যায়। সাঁঝ এগিয়ে এসে বেলার সাথে লেগে দাঁড়িয়ে দু হাত দিয়ে গলায় এর পাশে থেকে চুল গুলো সরিয়ে দেয়। এদিকে সাঁঝ এর এমন ছোঁয়াতে ফ্রিজ হয়ে যায় বেলা। সাঁঝ নিজের মুখ নামিয়ে এনে বেলার গলায় আঙুল দিয়ে স্লাইড করে গলায় মুখ এনে এক কামড় বসায়। বেলা চমকে উঠে সরতে নিলে সাঁঝ আরো শক্ত করে ধরে রাখে।
.
. বেলার গলায় মুখ ডুবিয়ে রেখে হাত নামিয়ে আনে বেলার কোমরের কাছে দু হাত দিয়ে পেটে থেকে কোমর পুরো স্লাইড করতে থাকে সাঁঝ। আর এদিকে বেলার শ্বাস আটকে গেছে সাঁঝ এর এমন করাতে। দম নিতে পারছে না। শক্ত হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। সরতে চেয়ে ও পারছে না। সাঁঝ নিজের মুখ বেলার গলায় থেকে তুলে বেলার কাঁপতে থাকা ঠোঁটে নিজের ঠোঁট চেপে ধরে রুডলি কিস করতে থাকে আর হাত দিয়ে শক্তি দিয়ে বেলার পেটে স্লাইড করতে থাকে। বেলা চোখ মুখ কুঁচকে দাঁড়িয়ে আছে। সাওয়ারের পানিতে দুজন ভিজে যাচ্ছে। বেলা তার দু হাত তুলে সাঁঝ এর মাথায় রেখে নিজের থেকে ছাড়াতে চাচ্ছে কিন্তু এতে হচ্ছে ঠিক উল্টো টাই। সাঁঝ আরো শক্ত করে চেপে বসছে বেলার ঠোঁটে। কিছুক্ষণ পর বেলার ঠোঁটের থেকে ছুটে এসে বেলার বন্ধ চোখের দিকে তাকিয়ে হিসহিসিয়ে বলে ওঠে।
.
–“তুমি এটা ইচ্ছা করে করেছে তাই না। আমি তোমাকে সকালে বলে ছিলাম আর তাই তুমি বাজিয়ে দেখে নিলে আমাকে তাই তো। আর তাই তুমি ওই ব্যাস্টার্ড এর হাত তোমার শরীরে রেখে দিলে। বলতে সাঁঝ এর চোখ মুখ পুরো কঠিন হয়ে উঠছে।
.
–” এমনিতে তোমাকে ধরে ছিল তবু ঠিক ছিল। কিন্তু ও তোমার কোমরে হাত দিয়ে ধরে রেখেছিল। এর জন্য তো ও এই পৃথিবীতে বেঁচে থাকবে কি না আমি জানি না। কিন্তু ঘরওয়ালি তুমি এর জন্য শাস্তি পাবে। আমার সহ্য ক্ষমতা দেখতে গিয়ে আমাকে জ্বালাতে গিয়ে নিজের জন্য বিপদ ডেকে এনেছ সুইটহার্ট। সাঁঝ তার মুখ বেলার কানের কাছে গিয়ে বলে ওঠে।
.
. বেলা সাঁঝ এর এমন কথা শুনে চমকে গিয়ে চোখ খুলে তাকায় সাঁঝ এর দিকে। সাঁঝ বেলার চোখের দিকে তাকিয়ে থেকে কোমরে থাকা হাত দিয়ে বেলার পেটে থেকে কোমর পর্যন্ত বেলার শার্ট এর বোতাম খুলতে থাকে। এদিকে সাঁঝ এর এমন করতে দেখে বেলা চমকে গিয়ে সরতে নিয়ে ও পারে না।
.
–“ক.. কি করছেন আপনি। পাগল হয়ে গেছেন নাকি। বেলা কাঁপা গলায় ছটফট করতে করতে বলে ওঠে।
.
–” এটা তোমার আগে মনে করা উচিত ছিল ঘরওয়ালি। তোমাকে আমি আগেই সাবধান করেছিলাম এই শরীরে যেনো কোনো ছেলের ছোঁয়া না লাগে কিন্তু তুমি। সাঁঝ দাঁতে দাঁত চেপে বলে বেলার উন্মুক্ত কোমরে দু হাত দিয়ে শক্ত করে চেপে ধরে।
.
–” এই শরীরে শুধু আমার স্পর্শ থাকবে আর কারোর কোনো স্পর্শ থাকবে না। শুধু আমি থাকব তোমার মনে প্রাণে শরীরে শুধু আমি বিচরণ করব। সাঁঝ নিজের মুখ বেলার মুখের সাথে লাগিয়ে রেখে বলে ওঠে।
.
. সাঁঝ এর কথা বলার সময়ে তার ঠোঁট বারবার বেলার ঠোঁট ছুয়ে যাচ্ছে আর এতে বেলা কেঁপে কেঁপে উঠছে। তার নিশ্বাস ভারী হয়ে আসছে জোরে জোরে শ্বাস নিচ্ছে। এদিকে সাঁঝ বেলার দিকে চেয়ে আছে আর একটু আগের দৃশ্য গুলো ভাবছে। আর এটা ভাবতে সাঁঝ এর চোখ মুখ হিংস্র থেকে আরো হিংস্র হয়ে উঠছে।
.
. হটাৎ করে বেলার সামনে হাঁটু মুড়ে বসে যায় সাঁঝ। দু হাতে ধরে থাকা বেলার কোমর ধরে নিজের দিকে টেনে নিয়ে আসে। শার্ট দু দিকে সরিয়ে দিয়ে বেলার পেটে নিজের হাত দিয়ে শক্ত করে স্লাইড করতে থাকে। আর বেলা চোখ মুখ শক্ত করে বন্ধ করে রেখেছে। বেলা নিচের ঠোঁট কামড়ে ধরে রেখেছে। জোরে জোরে নিশ্বাস নিচ্ছে।
.
–“এখানে ধরে রেখেছিল না ওই ব্যাস্টার্ড টা। ওর সব ছোঁয়া আমি মুছে দেবো। কারোর ছোঁয়া তোমার শরীরে থাকতে দেবো না। শুধু মাত্র আমি থাকব তোমার মধ্যে। আর কেউ না। কেউ না। সাঁঝ বেলার পেটে স্লাইড করতে করতে বলে ওঠে।
.
. সাঁঝ একবার বেলার বন্ধ চোখ মুখের দিকে তাকিয়ে নিয়ে নিজের মুখ এগিয়ে বেলার পেটে একটা কামড় বসায়। আর এতেই বেলা কেঁপে ওঠে। তার শরীরে মধ্যে যেনো রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। দম আটকে আসছে। আরো দ্রুত গতিতে নিশ্বাস নিচ্ছে আর হার্ট তো এক্সপ্রেস এর গতিতে ছুটে চলেছে। এই কামড় যতো না ব্যাথার ছিল তার থেকে বেশি বেলা কে পুরো ফ্রিজ বানিয়ে দিয়েছে।
.
. এদিকে সাঁঝ তার ঠোঁট দিয়ে আসতে আসতে বেলার পেটে থেকে কোমরে পুরোটা জুড়ে নিজের ঠোঁটের স্পর্শ দিতে আছে। প্রথমে রাগী ভাবে বেলার কোমর স্পর্শ করলে এখন তা আসতে আসতে নেশায় আসক্তি ভোরে গেছে ঘোর লেগে গেছে সাঁঝ এর। কখন বেলার পিঠে তার জিহ্বা দিয়ে লেহন করছে তো কখন ও ছোটো ছোটো চুমু দিয়ে ভরিয়ে তুলছে। আর তার সাথে মাঝে মাঝে ছোটো ছোটো আদুরে কামড় ও আছে।
.
.
. বেলা এই আধঘন্টা ধরে সাওয়ারের তলায় দাঁড়িয়ে সাঁঝ এই লাভ টর্চার সহ্য করে যাচ্ছে। সাওয়ারের পানিতে পুরো ভিজে জুবু থুবু হয়ে গেছে। বেলা এবার আর না পেরে এক হাত দিয়ে খুব শক্ত করে সাঁঝ এর মাথার সিল্কি সিল্কি চুল গুলো খিচে ধরেছে। আর এক হাত সাঁঝ এর মুখে পাশে থেকে এনে ঠিক কানের পাশে একটা রাম চিমটি কেটে ধরে থাকে। সাঁঝ বেলার পেটে থেকে মুখ উঠিয়ে বেলার মুখের দিকে তাকাতে দেখতে পায় চোখ মুখ কুঁচকে বন্ধ করে রেখেছে। ঠোঁট গুলি ক্রমাগত কাঁপছে। চোখে মুখে ফুটে আছে রাগ আর অসহায় এর ছোঁয়া। জোরে জোরে নিশ্বাস নিচ্ছে। সাঁঝ উঠে দাঁড়িয়ে গিয়ে বেলার ঠোঁটে ঠোঁট মিশিয়ে একটা গভীর চুমু খেয়ে বেরিয়ে যায় ওয়াশরুমে থেকে।
.
. এদিকে বেলা জোরে জোরে নিশ্বাস নিচ্ছে। আর সাঁঝ ওয়াশরুমে থেকে বেরিয়ে গেছে বুঝতে পেরে তাড়াতাড়ি করে ডোর লক করে দিতে গেলে। হটাৎ করে আটকে যায়। হালকা মুখ উচু করে দেখে সামনে ভেজা চুপ চুপে সাঁঝ দাঁড়িয়ে আছে। এক হাত বাড়িয়ে তার ড্রেস ধরিয়ে দেয়। বেলা তাড়াতাড়ি করে ড্রেস নিয়ে ডোর লক করে দেয়।
.
. বেলা কিছুক্ষন আগের মুহুর্ত মনে করে বিড়বিড় করে ওঠে।
.
–“দেখে মনে হয় না এত বজ্জাত লোক। দেখে মনে হয় ভাজা মাছ উল্টে খেতে পারে না সাদা সিধে প্রাইমারী স্কুলের নাদান বাচ্চা। কিন্তু ভিতরে ভিতরে একদম অসভ্যের হাড্ডি এক সেকেন্ডের মধ্যে কলেজে এর গণ্ডি পেরিয়ে যায়।। লজ্জা শরম যেনো বেঁচে দিয়েছে সবার সামনে কেমন চুমু খেয়ে নিলো আর এখন পুরো তো সিনেমা বানিয়ে ফেললো। ইমরান হাসমি ও ছাপিয়ে যাবে। সব সময়ে মুখ বানিয়ে রাখে এমন যেনো কেউ করোলার জুস খাইয়ে দিয়েছে। মুখ টা অল টাইম গোমরামুখো ভিলেন অমরেশ পুরী বানিয়ে রাখে। আর রোম্যান্স এর সময়ে পুরো হিরো হয়ে তিনশো ষাট ডিগ্রি ঘুরে ঘুরে ইমরান হাসমি ও শাহ-রুখ-খান মিক্সড হয়ে যায়।

——————

–“স্যার আপনার কথা মত সব তৈরী করে রেখেছি। আকাশ সাঁঝ এর অ্যাসিস্ট্যান্ট বলে ওঠে।
.
–” ওকে নিয়ে এসো সব কিছু। সাঁঝ তার সিক্রেট এর রুমে ঢুকতে ঢুকতে বলে ওঠে।
.
. এখানে পুরো জায়গা গার্ড দিয়ে ভরা চারিদিকে সাঁঝ এর গার্ড ছেয়ে আছে। সাঁঝ এর অনুমতি ছাড়া একটা মাছি ও ভিতরে ঢুকতে পারবে না আর না বেরোতে পারবে।
.
–” স্যার আজ খবর ছিল বেলা ম্যাডাম কে আবারো হ্যারাজ করার জন্য এমন করা হয়েছিলো। আকাশ বলে ওঠে।
.
–” কে আছে এর পিছনে? সেটা খুঁজে বের করার জন্য ও কি তোমাকে নিমন্ত্রণ পত্র পাঠাতে হবে। সাঁঝ দাঁতে দাঁত চেপে বলে ওঠে।
.
–“না স্যার খুঁজে নিয়েছি। এটা আর. এম করিয়েছে। আকাশ বলে ওঠে।
.
–“ওই ব্যাস্টার্ড কে তো জ্বালিয়ে মারব। আগে এটা কে শেষ করে নেই। রাগে চিৎকার করে বলে একটা সেল এর দরজা লাথি মেরে খুলে ভিতরে ঢুকে যায়।
.
. ভিতরে একটা টেবিলে বরফ এর ওপর শুয়ে টেবিলে এর সাথে উল্টো করে বেঁধে রেখেছে ম্যাডি কে। তার দুটো হাত পুরো রক্তে জমে আছে। তার পুরো শরীর ফ্যাকাশে নীল হতে শুরু করে ঠান্ডায়। সাঁঝ রুমের ভিতরে ঢুকে ম্যাডি কে দেখে যেনো এবার ওর রাগ সপ্তম পর্যায় পৌঁছে যায় চোখ মুখ পুরো হিংস্র রূপ ধারণ করে। পাশের থাকা ছোট্ট টেবিল এর ওপর থেকে একটা রুল বাড়ি তুলে নেয় সাঁঝ। আর তারপর পেটাতে থাকে গায়ের জোরে সাঁঝ। এতেও যেনো ওর রাগ কমছে না। চোখের সামনে বারবার ভেসে আসছে বেলার কোমর ধরে থাকার দৃশ্য টা। রুল বাড়ি ফেলে পাশে থাকা চিলি ও সল্ট পাউডার নিয়ে ম্যাডি এর গায়ে ছড়াতে থাকে। তারপর আবার ও পাশের থেকে কাটা কাটা একটা রুল বাড়ি তুলে নেয়।এবং সেটা দিয়ে মারতে থাকে। রুমের মধ্যে ম্যাডির চিৎকারে ভোরে যায়। কাঁটা যুক্ত বাড়ি দিয়ে মারার ফলে গায়ে পড়ার সাথে সাথে রক্ত ছিটকে ছিটকে বেরিয়ে আসছে। সারা গায়ে থেকে মাংস খুবলে খুবলে উঠে যেতে থাকে।
.
–“তুই খুব বড় ভুল করে ফেলেছিস আমার জীবন এর দিকে হাত বাড়িয়ে। এই সাহস দেখানো তোর উচিত হয়নি। ওর দিকে যে চোখ তুলে তাকায় তাকে আমি দ্বিতীয়বার আর চোখে দেখতে পাওয়ার মত অবস্থা রাখি না। আর তুই তো ওর শরীরে হাত দিয়েছিলি। আমার কলিজায় হাত দিয়েছিস তাহলে তুই ভাব তোর সাথে কি হতে চলেছে । তোকে আমি নরকের থেকে ঘুরিয়ে আনবো যে কয়েক মুহূর্ত তুই এই পৃথিবীতে শ্বাস নিবি। আমি তোর জীবন জাহান্নাম বানিয়ে দেবো। সাঁঝ ম্যাডি চুলের মুঠি ধরে দাঁতে দাঁত চেপে বলে ওঠে।
.
–“এ যেনো এক মুহূর্তের জন্য ও শান্তির নিশ্বাস নিতে না পারে এক মুহূর্তে জন্য ও যেনো এর চিৎকার বন্ধ না হয়। এক মুহূর্তের জন্য ও যেনো চোখ ও না বন্ধ হয়। সাঁঝ আকাশ এর দিকে তাকিয়ে হুঙ্কার ভরা আওয়াজ বলে ওঠে।
.
–” ওকে স্যার। আকাশ বলে ওঠে।
.
. সাঁঝ রুম থেকে বেরিয়ে আকাশ এর পুরো কথা শোনার আগে। পিছন পিছন আকাশ ও ম্যাডির পুরো খাতির যত্নের ব্যবস্থা করে বেরিয়ে পড়ে।
.
.
.#তোর_আসক্তি_পাগল_করেছে_আমায়
#Sabiya_Sabu_Sultana (Saba)
#পর্ব_৮
…বেলা সকালে প্রচণ্ড জোরে ঘড়ির কাটার ধুকপুক আওয়াজ ঘুম ভেঙ্গে নিজেকে কারোর মধ্যে প্যাচানো অবস্থা পায়। নাড়াচাড়া করতে ও পারছে না। মাথা হালকা কাত করতে বুঝতে পারে। তাকে দু হাতের মাঝে বন্দি করে ঘুমে আছে সাঁঝ। তার মাথা টা সাঁঝ এর বুকের ওপর আছে। এবার বেলা বুঝতে পারে আসলে ধুকপুক আওয়াজ টা ঘড়ির নয় এই গোমরামুখো সাঁঝ এর। বেলা নিজেকে ছাড়াতে না পেরে মাথা টা হালকা ঘুরিয়ে নিয়ে ঘাড় টা একটু উঁচু করে দেখতে থাকে সাঁঝ এর ঘুমন্ত মুখ।
.
.ঘুমন্ত অবস্থায় ও কেউ কি করে এত সুন্দর দেখাতে পারে হুঁ এমনি করে বেলার সামনে থাকলে না জানি বেলা কখন না আবার ডার্ক চকলেট ভেবে খেয়ে না ফেলে। উফ এই গোমরামুখো টা আর কত রকম জালবা দেখাবে নিজের। সে কি জানে তার এই রকম ভাবে দেখে বেলার অবস্থা একদম পানি পানি হয়ে যাচ্ছে। মনের মধ্যে আবার সেই পুরোনো দিন এর ভালোবাসা পাগলামি গুলো জেগে উঠছে। এক সময়ে যেটা মারাত্মক রকমের নেশা ছিল বেলার কাছে। এখন ও আবার সেই নেশা জেগে উঠছে সাঁঝ কে দেখে।
.
. ট্রিম করা দাড়ি গুলো দুধ সাদা ফর্সা গালে খুব সুন্দর লাগছে। যেনো কালো টিকা। কিন্তু সব মেয়েরা এই ফেস এর প্রেমে পড়ে যায়। আর এই মহারাজ এর তো সেদিকে কোনো হুস থাকে না সে থাকে তার আন্দাজে। সাঁঝ এর সিল্কি চুল গুলো কিছু কপালে এসে পড়েছে। ঘুমের মধ্যে থাকলে ও মুখের ভেসে আছে একটা মিষ্টি হাসি। ঠোঁট গুলো কেমন চোখা করে আছে একের ওপরে হয়ে অনেক টা চুমুকৃতি হয়ে আছে।
.
. বেলার এই মুহূর্তে প্রচুর ইচ্ছা জাগছে এই মুখটা তে একটু হাত বুলিয়ে দিতে আর এই সুন্দর গোলাপি ঠোঁট টা কে চকোলেট এর মত করে কামড়ে খেতে। কিন্তু কি করার সেতো নড়তে পারছে না। হাত গুলো সাঁঝ এর হাতের মাঝে থেকে বের করে আনবে সেটা ও পারছে না এই সিক্স প্যাক বডি বিল্ডার কাছে তার মত নরম সরম তুল তুলে একটা মেয়ে কি পারে। এটা ভেবেই বেলা মুখ ছোটো করে ঘুরে ঘুরে সাঁঝ এর ঘুমন্ত মুখ চোখ দিয়ে গিলে খাচ্ছে। কি আর করবে যেহেতু কামড়ে খেতে পারছে না।
.
. বেলা হঠাৎ বাঁকা হেসে নিজের মুখ ঘুরিয়ে নাক দিয়ে হালকা করে সাঁঝ এর শার্ট এর কলার্ট সরিয়ে দিলো এক রাম কামড় বসিয়ে সাঁঝ এর গলায়। কিন্তু এক মিনিট এর বেশি হয়ে গেলো সে কামড় দিয়ে ধরে আছে। কিন্তু সাঁঝ এর কোনো হেলদোল নেই। হালকা একটু নড়ে আবার ও ঘুমিয়ে পড়ে। এবার হাত কিছুটা শিথিল করে দেয় বেলার থেকে। সাঁঝ এর এমন ব্যবহারে বেলা চুপ করে চেয়ে আছে তাকে এত জোরে কামড় দিলো অথচ দেখো মশা কামড় খাওয়ার মতো করে আবার ঘুমিয়ে গেলো। সাঁঝ এর গলায় বেলার চোখ পড়তে আতকে ফর্সা বিদেশী চেহারার সাঁঝ এর গলায় পুরো দন্ত টিকা হয়ে আছে বেলার কামড় টা। পুরো জায়গা টা ফুলে গেছে। ফর্সা চামড়ায় কামড় এর জায়গা টা একদম রক্তের মত দাগ হয়ে গেছে।
.
. বেলার অজান্তে বেলার চোখের কোণে পানি জমে গেছে সাঁঝ এর এই অবস্থা দেখে। সে সাঁঝ এর শিথিল হয়ে যাওয়া হাত ছাড়িয়ে উঠে বসে। নিজের মুখ নামিয়ে এনে সাঁঝ গলায় একটা গভীর চুমু দেয়। আর তারপর কোনো দিকে না তাকিয়ে ছুটে ওয়াশরুমে ঢুকে যায়।
.
. বেলা যদি একবার ঘাড় ঘুরিয়ে দেখত তাহলে ও দেখতে পেতো সাঁঝ এর হাসি মুখ টা। যে এই মুহূর্তে মুচকি হেসে তার এই ছুটার দৃশ্য দেখছে। বেলার নড়ে উঠতে সাঁঝ এর ঘুম ভেঙ্গে গেছিলো। কিন্তু তবু সে বেলার রিয়্যাকশান দেখার জন্য ঘুমের ভান করে ছিল। বেলার কামড়ে দেয়াতে ব্যাথা পেলে ও খুশি হয়েছিলো আরো বেশি। কামড় এর বাহানায় তবু ও তো সে বেলার ঠোঁটের ছোঁয়া পেলো।
.
–“সুইটহার্ট তুমি আমার থেকে ভাগতে থাকো আর আমি তোমাকে নিজের কাছে নিয়ে আসতে থাকি। একদম কাছে যেখান থেকে পালাতে ও পারবে না। আমি জানি আমার জন্য তোমার ফিলিংস আছে।কিন্তু সেটা তোমার অভিমান এর নীচে জমা পড়ে আছে। তবে তুমি চিন্তা করো না সেটা ও আমি হাসিল করেই ছাড়ব। সাঁঝ মুচকি হেসে নিজের গলায় বেলার কামড় দেয়া জায়গা আঙুল বোলাতে বোলাতে বলে ওঠে।

—————-

–“এবার আমি দেখি আপনার ভালোবাসা কোথায় থাকে। মিস্টার গোমরামুখো হুতুম পেঁচা ইমরান হাসমি সাঁঝ রওশন। বাঁকা হেসে বলে ওঠে বেলা।
.
–” আমার টর্চার মিশন স্টার্ট। এবার দেখব কিভাবে সহ্য করেন আমার টর্চার গুলো। আমি ও তো দেখি মিস্টার গোমরামুখো আপনি আমার অত্যাচার কি ভাবে সহ্য করেন।
.
–” খুব না খালি আমার ওপর অধিকার ফলানো। কথায় কথায় খালি চুমু খেতে দৌড়ান। এবার দেখব আপনার এই সো কল্ড ভালোবাসা কতদিন থাকে অপশ কতক্ষণ থাকে। ভালোবাসা ও না জানালা দিয়ে পালিয়ে যায়।
.
–” আজ থেকে শুরু হবে আপনার ওপর টর্চার। আপনার ধৈর্য ক্ষমতা আর আপনার ভালোবাসার পরীক্ষা শুরু এবার আমিও দেখি আপনি আমাকে কত টা ভালোবাসেন। আর আমার জন্য কি কি সহ্য করতে পারেন। কত ভালোবাসার জোর আপনার বলেই একটা তাচ্ছিল্য পূর্ণ হাসি দেয়।
.
–“আপনাকে টাইট দিতে যদি না পেরেছি তো আমার নাম ও বেলা সাঁঝ রওশন নয়। না বেলা খান। বলেই বেলা নিজের হাতে থাকা খাবার এর ডিশ গুলো নিয়ে টেবিলে রাখতে থাকে।
.
–” গুড মর্নিং মিষ্টি ভাবি। সারা বেলা কে পিছন থেকে জড়িয়ে নিয়ে বলে ওঠে।
.
–“গুড মর্নিং ভাবি। সারিফ পিছন থেকে এসে বলে ওঠে।
.
–“গুড মর্নিং । এবার চটপট খেতে বসে যাও দেখি। খাবার ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে। বেলা ওদের তাড়া দিয়ে বলে ওঠে।
.
–” গুড মর্নিং এভরিওয়ান । পিছন থেকে সাঁঝ নিজের ফোনের দিকে চেয়ে থেকে টেবিল এর দিকে আসতে আসতে বলে ওঠে।
.
–“ওই যে এলেন গোমরামুখো হুতুম পেঁচা। বেলা নিজের মনে বিড়বিড় করে বলে ওঠে।
.
–“ভাই তোমার গলায় কি হয়েছে। সারা বলে ওঠে।
.
–” জংলী বিল্লি কেটেছে। সাঁঝ একবার বেলার অস্বস্তি ভরা মুখের দিকে চেয়ে আবার ফোনের দিকে তাকিয়ে বাঁকা হেসে বলে ওঠে।
.
–” হু! সকাল সকাল জংলী বিল্লি কোথায় পেলে। সারা কিছুটা বিস্ময় নিয়ে বলে ওঠে।
.
–” তোকে না বুঝলে ও হবে। তুই খেতে থাক সারিফ সারার মাথায় মেরে বলে ওঠে।
.
–“তাই না ভাবি। বলে ফিচিল হেসে ওঠে সারিফ।
.
. বেলা কোনো কথা না বলে সবাই কে খাওয়ার সার্ভ করতে থাকে। শেষে সাঁঝ এর জন্য স্পেশাল ভাবে বানানো ডিশ সাঁঝ কে দেয়। বেলা বাঁকা হেসে মনে মনে বলে ওঠে।
.
–” খাও খাও মিস্টার গোমরামুখো হুতুম পেঁচা ইমরান হাসমি সাঁঝ রওশন। এটা মুখে দিলেই আপনার হাওয়া টাইট হয়ে যাবে।
.
. বেলা নিজে ও বসে পড়ে কিন্তু ওর নিজের খাওয়ার দিকে কোনো মন নেই কোনা চোখে শুধু সাঁঝ কে দেখতে ব্যস্ত। সাঁঝ এর খাওয়ার মুখে দেয়ার অপেক্ষায় আছে বেলা।
.
–” উমম মিষ্টি ভাবি খাওয়ার জাস্ট ওয়াও হয়েছে। আমার তো প্রচুর ভাল্লাগছে। প্রচুর ভাল্লাগছে। সারা উম উম করে বলে ওঠে।
.
–” উম পোহা টা সেই হয়েছে। আর এই আপ্পাম(কেরালা রেসিপি) টা ও দারুণ বানিয়েছ। সারিফ ও খেতে খেতে বলে ওঠে।
.
. বেলা কোনো কথা না বলে শুধু একটু মুচকি হেসে পাশে তাকাতে দেখে সাঁঝ ফোন রেখে খাবার মুখে দিচ্ছে। বেলা ও উৎসাহ নিয়ে দেখতে থাকে। কিন্তু বেলার চিন্তা ভাবনার পানি ঢেলে দিয়ে চুপ চাপ খেতে থাকে সাঁঝ। এদিকে বেলা শুধু একবার খাবার এর প্লেট আর একবার সাঁঝ এর মুখ দেখতে থাকে।
.
–“হুম! খাবার টা সত্যি অনেক ডিলিশিয়াস হয়েছে। ঘরওয়ালি। সাঁঝ মুচকি হেসে বলে ওঠে।
.
. কিন্তু এদিকে বেলার সেদিকে হুস নেই সে অসহায় হয়ে তাকিয়ে আছে সাঁঝ এর দিকে তার বানানো ঝাল ভরা খাবার টা কেমন করে বিনা বাঁধাই তৃপ্তি দিয়ে খাচ্ছে সাঁঝ। এটা ভেবে পাচ্ছে না বেলা। সে তো সাঁঝ কে কষ্ট দিতে চেয়েছিলো। তাহলে এখন সে কেনো কষ্ট পাচ্ছে। সাঁঝ এর ওই লাল হয়ে যাওয়া চোখ মুখ আর কান দেখে বেলার যেনো বুকের মধ্যে ক্ষত বিক্ষত হয়ে যাচ্ছে তার চোখের কোণে পানি চলে আসে।
.
. বেলা সাঁঝ এর খাওয়ার এর প্লেট টেনে নিতে গেলে সাঁঝ বাধা দেয়। এদিকে বেলা চোখে পানি নিয়ে তাকিয়ে আছে। সাঁঝ এর এই অবস্থা সহ্য করতে না পেরে উঠে রুমে চলে যায়। আর এক মুহূর্ত যদি সে সাঁঝ এর সামনে থাকে তো সে আবার ও সাঁঝ এর ভালোবাসায় ওই গভীর নীল চোখের মায়ায় পরে যাবে।
.
. বেলা রুমে এসে বিছানায় বসে পড়ে তার চোখ দিয়ে পানি গড়িয়ে পড়ছে। আজ সে সাঁঝ কে কষ্ট দিতে গিয়ে নিজে কষ্ট পাচ্ছে।
.
–“কেনো কেনো ।আমার কেনো কষ্ট হচ্ছে। আমি তো ওকে ঘৃণা করি। তাহলে আমার কেনো এতো কষ্ট হচ্ছে কেনো বুকের মধ্যে রক্তপাত হচ্ছে। না না আমাকে দুর্বল হলে চলবে না। কিছুতেই না। আমি কিছুতে আবার এক ভুল করতে পারি না। কখনও না। আমি তোমাকে ঘৃণা করি শুধুই ঘৃণা। আর কিছুই না। বলে চোখ মুছে উঠে দাঁড়ায় বেলা।
.
. ওয়াশরুমে গিয়ে নিজের চোখে মুখে পানি দিয়ে বেরোতে হঠাৎ টান খেয়ে দেয়ালের সাথে দাঁড়িয়ে যায়। হঠাৎ এমন আচমকা হওয়াতে বেলা একটু চমকে ওঠে। সামনে তাকাতে দেখে সাঁঝ দাঁড়িয়ে আছে। তার চোখ মুখ পুরো লাল হয়ে আছে। বেলা কিছু বলবে তার আগেই তার ঠোঁট জোড়া বন্ধ হয়ে যায়।
.
. সাঁঝ বেলার ঠোঁট নিজের ঠোঁটের মাঝে নিয়ে নেয়। বেলা প্রথমে একটু হকচকিয়ে গেলে ও চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকে। না সাঁঝ কে বাঁধা দিচ্ছে আজ আর না নিজে কোনো রেসপন্স করছে সাঁঝ এর আদরে। বেলা চোখ বন্ধ করে আছে। তার চোখ দিয়ে দু ফোটা পানি গড়িয়ে পড়ে।
.
. এদিকে সাঁঝ তার নিজের কাজে ব্যস্ত। সে এখন বেলার রসালো ঠোঁটের মাঝে মেতে আছে। নিজের ভিতরে সব ঝাল টুকু মিটিয়ে নিচ্ছে বেলার মিষ্টি ঠোঁট দিয়ে। শ্বাস ফুলে আসতে বেলার ঠোঁট থেকে মুখ তুলে বেলার কপালের নিজের কপাল ঠেকিয়ে রাখে সাঁঝ।
.
–“তুমি আমার ভালোবাসার পরীক্ষা নিতে থাকো আর আমি ও তোমার কাছে পরীক্ষা দিতে থাকি। সাঁঝ মুচকি হেসে বলে ওঠে।
.
–” শুধু ঝাল কেনো। তুমি যদি বিষ ও দিতে তাহলে ও আমি সেটা চোখ বন্ধ করে অমৃত মনে করে খেয়ে নেবো। তোমার হাতে মরতে ও কবুল আমি। সাঁঝ মুচকি হেসে বলে ওঠে।
.
–“তোমার নেশার কাছে এগুলো কিছু না। তোমার আসক্তি পাগল হয়েছি আমি। অতিরিক্ত ভাবে ডুবে আছি। এই নেশা আসক্তি ভরা ভালোবাসা থেকে বেরোনো আমার পক্ষে সম্ভব নয়। একমাত্র মৃত্যু পারে তোমার আসক্তি ভরা ভালোবাসা থেকে আমাকে মুক্ত করতে। বলে সাঁঝ আবার ও মুখ নিচু করে বেলার ঠোঁটে আলতো চুমু খায়।
.
–“বেলা! মেরি জান বেলা ।
.
. নিচে থেকে চিৎকার আসতে। বেলা চমকে গিয়ে চোখ তুলে একবার সাঁঝ এর দিকে দেখে নিয়ে পাস কেটে রুম থেকে বেরিয়ে যায়। সাঁঝ ও মুচকি হেসে বেলার পিছন পিছন বেরিয়ে যায়।
.
.
. এদিকে নিচে শুভ দৃষ্টি চলছে যদিও এক তরফ থেকে। বেদ মুগ্ধ দৃষ্টিতে চেয়ে আছে সারার দিকে। যে এই মুহূর্তে তার দিকে বারবার কোনা চোখে তাকিয়ে দেখছে আর মুচকি মুচকি হাসছে। বাকি দাঁড়িয়ে থাকা সবাই ও মিট মিট করে হাসছে ।
আর এদিকে চেয়ারে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সারিফ রুহি কে দেখে যাচ্ছে যে এই মুহূর্তে মুচকি মুচকি হাসছে বেদ এর অবস্থা দেখে।
.
–“বেলা। মেরি জান। বলে গিয়ে জড়িয়ে নেয় রুহি।
.
. বেলা সিঁড়ি থেকে নেমে নিচে আসতে রুহি ঝাঁপিয়ে পড়ে। আর এদিকে এই দুজন শুভ দৃষ্টি মানব এর ও ধ্যান ভাঙে। ওম বেদ নিশান ও গিয়ে একসাথে বেলা কে জড়িয়ে ধরে।
.
–” বেলা। বেলা। বেলা । একটা খুশির খবর আছে বলে ওঠে সবাই একসাথে।
.
–” কি এমনি হয়েছে সেটা না বললে কি করে জানবো। বেলা বিরক্তি হয়ে বলে ওঠে।
.
–“বেলা জে.কে মিউজিক অ্যান্ড ডান্স ইন্ডাস্ট্রি একাডেমী থেকে একটা মেইল এসেছে। তারা আমাদের সাথে একটা শো করতে চায়। বেদ বলে ওঠে।
.
–“ইয়েস ।শুধু তাই নয়। এই পুরো প্রোগ্রাম টা লাইভ হবে। আর এই চান্স পাওয়া সবার স্বপ্ন থাকে। আর দেখ সেটা আমরা পেয়ে গেলাম। রুহি চিৎকার করে বলে ওঠে।
.
–” ওয়াও ।এটা তো খুব ভালো নিউজ। কংগ্রাচুলেশন গাইজ। সাঁঝ পিছন থেকে বলে ওঠে।
.
–“থ্যাঙ্কস জিজ ।
.
–” তো প্র্যাক্টিস শুরু করে দাও। প্রোগ্রাম তো মাথার ওপরে। দেরি করা ঠিক হবে না। সাঁঝ বেলার দিকে একবার দেখে নিয়ে বলে ওঠে।
.
–” রাইট। বেদ বলে ওঠে।
.
–“বলছি ভাই আজকে আমিও থেকে যায়না। আমি ভাবিদের রির্হাসাল দেখব। সারিফ বলে ওঠে।
.
. সাঁঝ সারিফ এর কথায় ভ্রু উচু করে দেখতে থাকে। এদিকে বেলা বুঝতে পেরে তাড়াতাড়ি করে বলে ওঠে।
.
–“হ্যাঁ হ্যাঁ। তুমি থাকলে আমাদের ও একটু হেল্প হয়।
.
–” ওকে । থাক তাহলে তুই। সাঁঝ বলে ওঠে।
.
–“বেলা বাই। সাঁঝ বেলার দিকে তাকিয়ে বলে যেতে লাগে।
.
. এদিকে সবাই বেলার দিকে তাকিয়ে হেসে হেসে মজা নিচ্ছে সাঁঝ মেইন ডোর পর্যন্ত যেতে হটাৎ করে তার বুকে কেউ ঝাঁপিয়ে পড়ে সাঁঝ কে আষ্টেপিষ্টে জড়িয়ে ধরে।
.
–“সাঁঝ । বেবি আই মিস ইউ।
.
. এদিকে সবাই চোখ বড় বড় করে দেখতে থাকে এই ঘটনার জন্য সবাই পুরো শকে চলে গেছে। সবাই একবার সাঁঝ এর দিকে তাকিয়ে নিয়ে বেলার দিকে তাকাতে দেখে বেলার চোখ ছলছল করছে এখুনি হয়তো গড়িয়ে পড়বে।
.
–” দ.. দিশা।
.
.
.
.
. 💝💝💝
.
. চলবে…
.

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here