তোলপাড় পর্ব ৪০

তোলপাড়
ইসরাত জাহান তানজিলা
পর্ব-৪০
_______________
রাতে হসপিটাল থেকে ফিরে ক্লান্ত শরীর নিয়ে বিছানায় গা এলিয়ে দিলো রুদ্র। মনের ভিতর ছটফট করছে রুদ্রর।অরূণী কি করছে এখন? নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে? রুদ্র একটা দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলে বিছানা ছেড়ে ওঠে বারান্দায় গেল। বারান্দায় রাখা চেয়ার’টা তে বসলো।চঞ্চল এক অরূণী’কে ভালোবেসে ছিলো রুদ্র।যার ঠোঁটের কোণে হাসি লেগে থাকতো। ভালোবাসা নিয়ে যার বাড়াবাড়ি রকমের পাগলামি ছিলো।অরূণীর পাগলামি গুলো রুদ্র’কে প্রতিনিয়ত মুগ্ধ করতো। কিন্তু রুদ্র এই মুগ্ধতা কখনো প্রকাশ করে নি।কি সুন্দর কাটছিলো দিন গুলো! রুদ্র চায় নি অরূণীর হাসিখুশি,চঞ্চল মুখটায় বিষাদের ছায়া নামুক। পরিস্থিতি এখন এমন এক পর্যায়ে নিয়ে এসেছে রুদ্র’কে যেখানে প্রতি মুহূর্তে অরূণী’কে হারানোর ভয়ে আড়ষ্ট হয়ে থাকে রুদ্র।
যে মেয়েটা হুটহাট ফোন দিয়ে বলতো আপনায় দেখতে ইচ্ছে করে,পাঁচ মিনিটে চলে আসেন।সেই মেয়েটা কে আজ বাসা থেকে বের হতে দিচ্ছে না। শুদ্ধ, সহজ ভালোবাসা ছিলো অরূণীর।যে ভালোবাসার গল্প যে কেউ বিমোহিত হবে। রুদ্রর বুকের ভিতর চিনচিনে ব্যথা হচ্ছে।কী করা উচিত?এই সহজ একটা প্রশ্নের উত্তর দীর্ঘ দিন-রাত ভেবেও খুঁজে পায় নি রুদ্র। এরকম অজস্র চিন্তা-ভাবনার মাঝে রাত পোহিয়ে যায়।
_______________
অরূণী অনুভূতি শূন্য মানুষের মত জানালার গ্রিলের ফাঁক দিয়ে তাকিয়ে আছে।মাথায় এলোমেলো চিন্তার বুনন। সাহেদ আহমেদ আর সেলিনা আহমেদ একটু তফাতেই বসে আছে। সাহেদ আহমেদ সোফা ছেড়ে ওঠে অরূণীর কাছে গেল।অরূণীর উদ্দেশ্যে বলল, “প্রেম-ভালোবাসা আমার চোখে দোষের কিছু না। কিন্তু দোষ’টা কোথায় সেটা তুই বুঝতে পারছিস ভালো করেই।আমি বাবা হয়ে চাইবো যে ওরকম থার্ড ক্লাস ফ্যামিলি তে মেয়ে বিয়ে দিতে?তুই মানুষ চিনতে ভুল করছিস অরূণী। ওঁদের ফ্যামিলির প্রতিটা মানুষ’ই সমান।”
অরূণী কোনো উত্তর দিলো না। সাহেদ আহমেদ ফের বলল, “আমাদের তোর প্রেম-ভালোবাসা নিয়ে সমস্যা না। সমস্যা’টা কোথায় তা নিশ্চয়ই নতুন করে বলতে হবে না।আমি বাবা হয়ে কোনো দিন চাইবো না আমার মেয়ের ওরকম একটা পরিবারে বিয়ে হোক।তুই ভুল পথে পা বাড়িয়েছিস তোকে ফিরিয়ে আনার দায়িত্ব তো আমাদের ই।আচ্ছা তুই একটা বিষয় দেখ, সূর্যর প্রেমের ব্যাপারটা জানার পর আমি সাত-পাঁচ না ভেবে এ্যাংগেজমেন্টের আয়োজন করেছি।আর এখন আমি তোর ক্ষেত্রে কেন কঠোর হচ্ছি তা তো বুঝতেই পারছিস।”
সাহেদ আহমেদ ঠাণ্ডা গলায় অরূণী’কে বোঝানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে।অরূণী একদম নিরব হয়ে আছে।হ্যাঁ,হু কিছু বলছে না।অরূণীর এমন অমনোযোগী ভাব দেখে সাহেদ আহমেদের কথা আর দীর্ঘায়িত হলো না।সে দমে গেল।
বিকাল বেলা।অরূণী ছাদে বসে আছে।দমকা হাওয়া বইছে।অরূণীর চুলগুলো বার বার এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে। নিবিষ্ট হয়ে অরূণী ভাবছে বিয়ে কীভাবে ভাঙা যায়?অরূণী বুঝতে পেরেছে রুদ্র কঠিন বিপদে আছে।অরূণী’কে শক্ত হতে হবে।সাহেদ আহমেদ আর সেলিনা আহমেদের জায়গায় তারা ঠিক।কোনো বাবা-মা ই জেনেশুনে মেয়েকে এমন একটা ফ্যামিলিতে বিয়ে দিতে চাইবে না। আবার অরূণীর জায়গায় অরূণী ঠিক। রুদ্র একজন সু-পুরুষ।অরূণী সেটা জানে। সাহেদ আহমেদ,সেলিনা আহমেদ আর সূর্যর ধারণা রুদ্র ওঁর পরিবারের অন্যসব মানুষদের মত।কেবল অরূণী’ই জানে রুদ্র ওঁর পরিবারের মানুষদের থেকে ব্যতিক্রম।কষ্ট আর কান্নায় অরূণী ক্লান্ত হয়ে গেছে।প্রথমত পরিবারের সবাইকে বিশ্বাস করাতে হবে রুদ্রর সাথে ওঁর কোনো সম্পর্ক নেই। তাহলেই বিয়ে আটকানো সম্ভব।
_______________
মুকুল আকনের অবস্থার উন্নতি হয়েছে গত তিন দিনে। রুদ্র একটু স্বস্তি পেলো। রুদ্র নিস্তেজ গলায় কিরণের উদ্দেশ্যে বলল, “আমি কানাডা যাচ্ছি।যাওয়ার আগে অরূণীর সাথে একবার দেখা করা প্রয়োজন। সামনাসামনি বসে কথা বলা প্রয়োজন।”
কিরণ যেন আকাশ থেকে পড়ল।চমকে গিয়ে বলল, “সিরিয়াসলি? হঠাৎ এই সিদ্ধান্ত?”
– “এর থেকে বেস্ট সিদ্ধান্ত আর নেই।”
– “তাহলে অরূণী?অরূণীর কী হবে?”
প্রশ্ন’টা করে রুদ্রর থেকে উত্তরে জন্য কিছুক্ষণ অপেক্ষা করলো কিরণ। রুদ্র’কে নিরুত্তর দেখে কিরণ ফের বলল, “আমি বুঝতে পারছি না,অরূণী তো যথেষ্ট বুদ্ধিমতি।ও পারছে না এই বিয়ে সাদির ব্যাপার’টা হ্যান্ডেল করতে?”
রুদ্র ফিকে হাসলো, “আমাদের প্রত্যেকের’ই একটা দুর্বল জায়গা থাকে।যেখানে গিয়ে বুদ্ধি,জ্ঞান সব লোপ পেয়ে যায়।যেমন অরূণীর দুর্বলতা হলো আমার প্রতি অগাধ ভালোবাসা।অরূণী আমাদের সম্পর্কের ব্যাপারে আবেগি বড্ড।আমাকে হারানোর আশঙ্কায় ওঁর সব ধীশক্তি লোপ পেয়েছে।”
রুদ্রর কথা যুক্তিযথ বটে।কিরণ আবার মরিয়া হয়ে ওঠে জিজ্ঞেস করলো, “সত্যি কানাডা যাচ্ছিস তুই?”
– “মিথ্যে কেন বলবো তোর সাথে? আব্বার অবস্থা তো এখন ভালো।”
– “আর অরূণী?”
– “আমি কানাডা থেকে দেশে ফিরে আসা আগ পর্যন্ত অরূণীর অপেক্ষা করতে হবে।”
– “ওঁর ফ্যামিলি? ওঁর যদি বিয়ে হয়ে যায়?”
– “বিয়ে ওঁর ভাঙতে হবে।”
কিরণ ভ্রু কুঁচকে তাকালো রুদ্রর দিকে। রুদ্র খুব সহজ ভাবে কথা গুলো বলে যাচ্ছে।কাজ গুলো কি এতই সহজ?কিরণ চিন্তায় পড়ে গেল। রুদ্র একটু নড়েচড়ে বসে বলল, “অরূণীর সাথে দেখা করা প্রয়োজন। জানি না সম্ভব হবে কি-না।”
– “আসলে তুই কি করতে চাচ্ছিস আমি বুঝতে পারছি না।”
রুদ্র ব্যস্ত গলায় বলল, “তোর না বুঝলেও চলবে আমি ওঠছি।”
রুদ্র প্যান্টের পকেট থেকে ফোন’টা বের করলো। তারপর ডায়েল করলো শামীমার নম্বরে। শামীমা ফোন তুলতেই রুদ্র বলল, “অরূণীর কাছে দেওয়া যাবে?”
শামীমা বুঝতে পারে রুদ্র ফোন দিয়েছে। হন্তদন্ত হয়ে অরূণীর রুমের দিকে ছুটে গেল। গিয়ে দেখে অরূণীর কাছে সেলিনা আহমেদ বসা। শামীমা পড়লো বিপদে। সেলিনা আহমেদের সামনে তো অরূণীর হাতে ফোন দেওয়া যাবে না।মনে মনে সাহেদ আহমেদ, সেলিনা আহমেদ আর সূর্যর ওপর তীব্র বিরক্ত শামীমা। শামীমা একটু বুদ্ধি খাটিয়ে বলল, “অরূণী একটা জিনিস দেখবা?”
অরূণী একবার সেলিনা আহমেদের দিকে তাকালো। তারপর আবার শামীমার দিকে তাকালো।অরূণীর ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় বলছে রুদ্র ফোন দিয়েছে।অরূণী রুম থেকে বের হয়। শামীমা অরূণী’কে আড়ালে নিয়ে অরূণীর কাছে ফোন’টা দেয়।অরূণী আনন্দে ছলছল চোখে তাকায় শামীমার দিকে। মানুষটার ভিতর এক রাশ মুগ্ধতা।ওপাশ থেকে রুদ্র বলে, “অরূণী আমি দুই দিন বাদে কানাডা চলে যাচ্ছি।তোমার সাথে একবার দেখা করা প্রয়োজন অরূণী। দেখতে ইচ্ছে করছে তোমায় খুব।”
অরূণী স্তম্ভিত হয়ে গেল। শ্বাসরুদ্ধ হয়ে আসছে।কি বলছে রুদ্র এসব?অরূণী দিশেহারা হয়ে শুধু বলল, “কি বলছেন আপনি?”
– “শক্ত হও অরূণী।এমন কিছু করো যাতে তোমার পরিবারের মানুষ বিশ্বাস করে আমাদের মাঝে সম্পর্ক নেই। তারপর ঠিক মত লেখাপড়া করো।পারবে তো তুমি?”
রুদ্রর সাথে প্রায় ঘণ্টা দেড়েক কথা বলল।অরূণী ফোন রেখে কাঁপা কাঁপা পায়ে ফ্লোরে বসে পড়লো।অরূণীর বাঁধ ভাঙ্গা কান্না কিছুতেই থামছে না। রুদ্র কানাডা চলে যাবে?অরূণীর বুকের ভিতর তোলপাড় হয়ে যাচ্ছে। মনে হচ্ছে কেউ ধারালো ছুরি দিয়ে বুকের ভিতর আঘাত করছে।মুখে ওড়না গুঁজে চাপা চিৎকার দিতে লাগলো অরূণী।টানা চার-পাঁচ ঘণ্টা শুধু কেঁদেই চলেছে অরূণী। রুদ্র এতটা স্বার্থপর কেন?এমন কেন রুদ্র? রুদ্র কি কখনো ও’কে ভালোবাসে নি?
সন্ধ্যার দিকে নিজেকে সামলে শামীমার কাছে যায় অরূণী। দুর্বল গলায় বলল, “একটা উপকার করবে আপা?”
শামীমা হেসে বলে, “কী?কী উপকার?”
– “আমি ফ্যানের সাথে ওড়না বেঁধে আত্মহত্যা করা ধরবো আর তুমি চিৎকার করে সবাইকে ডাকবা বাসায়।”
শামীমার অন্তর আত্মা কেঁপে ওঠে।হতবিহ্বল হয়ে বলে, “কি কও এসব তুমি অরূণী?পাগল হইছে?”
– “আহা আপা!আমি সত্যি সত্যি আত্মহত্যা করবো না তো।আমি ঝুলে পড়ার আগে আগেই তো তুমি ব্যাপার’টা সবাইকে জানাবে।আর সবাই আমায় বাঁচাবে। আত্মহত্যা না ঠিক, আত্মহত্যা করার অভিনয় বুঝলে?”
শামীমা চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে আছে অরূণীর দিকে।ভয়ে ঢোক গিলল। শামীমা কে পুরো বিষয়’টা বুঝিয়ে বলতে অনেকক্ষণ লাগলো অরূণীর। শামীমা ভয়ে ভয়ে জিজ্ঞেস করলো, “তো এসব কইরা লাভ কী?”
– “লাভ হলো বাসার সবাইকে বলবো রুদ্র আমার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে তাই আমি আত্মহত্যা করার চেষ্টা করছি। তারপর বাসার সবার কাছে মাফ চেয়ে বলব আমি ভুল করেছি। রুদ্র ওঁর পরিবারের মানুষদের মতই খারাপ। বাসার সবাই আমার কথা বিশ্বাস করবে আর ভাববে রুদ্রর সাথে আমার সম্পর্ক নেই।আমার বিয়েও দিবে না।”
যেই বলা সেই কাজ।অরূণী খাটের ওপর চেয়ার রাখে। চেয়ারের ওপরে ওঠে ফ্যানের সাথে ওড়না বাঁধলো। শামীমা চিৎকার, চেঁচামেচি করে বাসার সবাই কে জড়ো করলো। সূর্য দ্রুত গিয়ে অরূণী’কে ধরলো।আর একটু সময় দেরি করে শামীমা দেখলেই যেন বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটে যেত।সাহেদ আহমেদ আর সেলিনা আহমেদের হাত-পা আতঙ্কে কাঁপছে। কাঁদতে কাঁদতে সেলিনা আহমেদের মূর্ছা যাওয়ার অবস্থা।সাহেদ আহমেদ হায় হায় করতে করতে বলল, “শামীমা যদি না দেখতো কি হয়ে যেত!”
অরূণী’কে বিছানায় শুইয়ে দেওয়া হয়েছে।সূর্যর চোখে-মুখে তীব্র আতঙ্ক। একটু বাদে পরিকল্পনা অনুযায়ী অরূণী ঢুকরে কেঁদে ওঠলো। সাহেদ আহমেদ, সেলিনা আহমেদ আর সূর্যর কাছে মাফ চেয়ে বলল, “আমি ভুল করেছি। তোমাদের মনে কষ্ট দিয়েছি।আমায় তোমরা ক্ষমা করো। তোমাদের কথাই ঠিক। রুদ্র ওঁর পরিবারের অন্য সব মানুষদের মতই খারাপ।”
এতক্ষণ সবাই আতঙ্কিত হয়ে থাকলেও এই মুহূর্তে চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে আছে। তাঁদের ধারণা ছিলো অরূণী তাঁদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে আত্মহত্যা করতে নিয়েছে। সূর্যর চোখ-মুখ ঝলমলে হয়ে ওঠলো। সেলিনা আহমেদ মেয়েকে জড়িয়ে ধরে বলতে লাগলো, “আমরা জানতাম রুদ্র খারাপ। ওঁর পরিবারের মানুষদের মতই খারাপ।তুই তো বুঝতে চাস নি।।তাই বলে তুই আত্মহত্যা করতে যাবি? এতদিন তো আমাদের কথা শুনিস নি।”
বাসার সবাই সান্ত্বনা দিতে লাগলো অরূণী কে।অরূণী সবার সাথে সুর মিলাচ্ছে। কিন্তু অরূণীর মনে চলছে অন্য চিন্তা। রুদ্র কানাডা চলে যাবে?কত বছর পর ফিরবে রুদ্র?কী হবে?অরূণী ভাবতে পারছে না কিছু।
বাসার সবাই একদম আগের মত হয়ে গেল মুহূর্তেই।যেন তারা এমনটাই চেয়েছিলো।অরূণী সাহেদ আহমেদের উদ্দেশ্যে আহত গলায় বলল, “আব্বা আমি লেখাপড়া কমপ্লিট করতে চাই।আমি আর তোমাদের কথার অবাধ্য হবো না।আমি ভুল করেছি।”
সাহেদ আহমেদের মুখাবয়ব দেখে বুঝা গেল সে অরূণীর কথায় সম্মতি দিচ্ছে। শামীমা মনে মনে ভীষণ হাসছে। রাতে সেলিনা আহমেদ অরূণীর সাথে ঘুমালো। সেলিনা আহমেদের ধারণা রুদ্রর শোকে অরূণী যদি আবার আত্মহত্যা করার চেষ্টা করে?
অরূণীর চোখে ঘুম নেই। শরীর জ্বরে পুড়ে যাচ্ছে। তীব্র যন্ত্রনায় অরূণীকে কুড়ে কুড়ে খেতে লাগলো। বাসার সবাই বিশ্বাস করেছে, বিশ্বাস ধরে রাখতে হবে।নয়ত রুদ্রর জন্য অপেক্ষা করবে কীভাবে?চোখ দু’টো কাঁদতে কাঁদতে ক্লান্ত অরূণীর।বুক চিড়ে বার বার দীর্ঘ নিঃশ্বাস বের হয় আসতে লাগলো।অরূণী আস্তে করে সেলিনা আহমেদের উদ্দেশ্যে বলল, “আম্মা আমার মোবাইল টা কই?একটু দিবে?তাইতি,নীড়া ওঁদের সাথে কথা বলবো।”
সেলিনা আহমেদ ঘুম ঘুম চোখে বলল, “সকালে নিস।এখন ঘুমা।”
অরূণীও জোর করলো না। জোর করলে সেলিনা আহমেদের মনে সন্দেহ জাগতে পারে।
(চলবে)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here