তোলপাড় পর্ব ৪৭+৪৮

#তোলপাড়💓
#পর্বঃ৪৮(Romance special)
#শান্তনা_আক্তার(Writer)

রিমির মুখ থেকে প্রত্যাশিত কথাটি শুনে আহসান ওইভাবেই দাঁড়িয়ে রইলো। তারপর ঘুরে দাঁড়িয়ে বলিউড ফেমাস শাহরুখ খানের মতো দুহাত দুদিকে মেলে দিল। রিমিও মাধুরীর মতো ছুটে গিয়ে আহসানের বুকে গিয়ে পড়ে। আর বলে, কোথায় যাবেন আপনি? একটুও বোঝেন না আমাকে। তাইতো সহজেই বলে দিলেন বউয়ের মন পড়তে পারেন না। বলি চলেই যদি যাবেন, তাহলে এভাবে নতুন করে বিয়ে করার মানে কি? কিছক্ষণ আগে তো মুখে খই ফুটছিল আর এখন,,,,,, রিমি ওর কথাটা শেষ করতে পারলো না। তার আগেই আহসান রিমির চুলের মধ্যে হাত ডুবিয়ে রিমির মাথাটা তুলে একে বারে ওর ঠোঁটে হামলা বসালো। রিমি চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে রইলো। আহসান এমন অদ্ভুত কাজ করবে তা রিমি ভাবতেই পারেনি। বেশ কিছুক্ষণ পর আহসানের থেকে ছাড়া পেয়ে রিমি হাপ ছেড়ে বাঁচলো। রিমি কিছু বলবে কি আবারও একই কাজ করলো আহসান। এবার যেন ছাড়ার নাম গন্ধই নিচ্ছে না। রিমির দম যায় যায় অবস্থা। আহসানের শার্ট খামছে ধরলো এবার। তাই দেখে আহসান রিমিকে ছেড়ে দিয়ে একটা দুষ্টু হাসি দিয়ে বলল, এখন থেকে অভ্যাস করবে বুঝলে? নইলে অন্য কাউকে খুঁজতে হবে। রিমির শরীরের সমস্ত রক্ত এবার মাথায় চড়ে গেল। রিমি আহসানের কলার চেপে ধরে বলল, একদম খুন করে ফেলবো যদি এই কথাটা আর শুনি তাহলে।

আহসান রিমির দিকে ঝুকে বলল, তাহলে আমাকে আদর দিতে হবে যাতে আমি তোমাতেই বিভোর থাকি। অন্য কোনো মেয়ের দিকে তাকানোর সুযোগই দেবে না।

-আপনি আসলেই একটা অসভ্য লোক।

-তাই নাকি! বলে রিমির কোমড় জড়িয়ে নিল।

-ছাড়ুন আমাকে।

-না, কেন ছাড়বো? আমি তো অসভ্য। তাই অসভ্যতামী করছি।

-আপনি,,,রিমির ঠোঁটের কোণে হাসি ফুটে ওঠে। আবারও আহসানের বুকে মাথা ঠেকিয়ে নেয়।

এরই মাঝে একজন ওয়েটার আসে। এসেই বলে,

-স্যার আপনাদের লাঞ্চ রেডি। ওয়েটারকে দেখে রিমি আহসানের থেকে দূরে সরে আসলো।

-আসার সময় পেলেন না আপনি? দেখছেন সদ্য বিয়ে করা হাসবেন্ড ওয়াইফ রোমান্স করছে তাও আবার ফার্স্ট টাইম। সেখানে কিভাবে ঢুকে পড়লেন!

-থাক না আপনি রাগ করবেন না। উনি বুঝতে পারেনি। প্লিজ আমার জন্য রাগটা কন্ট্রোল করুন। রিমির রিকুয়েষ্ট এ আহসান আর রাগ দেখালো না। ওয়েটারকে খাবার সার্ভ করতে বলে রিমিকে নিয়ে চেয়ারে গিয়ে বসলো। আজ দুজন দুজনাকে খুব ভালবাসা দিয়ে খাইয়ে দিল আহসান রিমি। খাওয়া শেষে আহসান ওর হাতের ভাজে রিমির হাত বন্দী করে নিল। আহসানের চোখে মুখে খুশির ঝলক। সাথে রিমিরও। থাকবে নাই বা কেন? কত বাধা বিপত্তি পেড়িয়ে অবশেষে আজ তারা কাছে পেল ভালবাসার মানুষটিকে। রিমি আহসানের কাধে মাথা রেখে বলল, আপনি আমার সাথে আছেন এটা যদি আপনার বাবা জানতে পারে তাহলে কি হবে ভেবেছেন?

-বাপিকে বলেই এসেছি। আমি আর বাড়ি যাব না। বাড়ি ত্যাগ করেই এসেছি। তোমার হাত ধরবো বলে। সেদিনই আমার এই কাজটা করা উচিত ছিল। বিশ্বাস করো আমি তোমাকে একা বাড়ি থেকে বের দেব ভাবিনি। আমিও ওই মুহুর্তে ভেবে নিয়েছিলাম বাপিকে কটা কথা বলে তোমার সাথেই বেরোবো। কিন্তু বাপির সাডেনলি হার্ট অ্যাটাক হয়। ফলে আমি আর যেতে পারি নি।

-হার্ট অ্যাটাক হয়েছে আপনার বাপির? আর আপনি আমাকে জানালেন না?

-সরি আসলে তুমি এমনিতেই আমাকে তোমার কাছে ঘেঁষতে দিচ্ছিলে না আর এটা বললে আরও ইগনোর করতে। ভাবতে তোমার জন্য সব হয়েছে। তাই বলিনি।

-সত্যি তো এটাই। আমার জন্যই এসব হয়েছে। আমি আপনার জীবনে না আসলে আজ আপনাদের বাবা ছেলের সম্পর্কে ফাটল ধরতো না। সব দোষ আমার।

-না রিমি। সব দোষ ভাগ্যের। আজ আমি স্রুতিকে মন থেকে থ্যাংকস জানাচ্ছি। ও যদি না পালাতো তাহলে আমি এতো সুন্দর একটা নারীকে আমার জীবনে পেতাম না।

-আপনি বলুন এখন আপনার বাপি কেমন আছে? আমার খুব খারাপ লাগলো শুনে। সাংঘাতিক একটা ঘটনা ঘটেছে তাহলে। আপনি আপনার বাপির খেয়াল রাখবেন বুঝলেন?

-আলহামদুলিল্লাহ এখন ভালোই আছে। তবে বাপির খেয়াল রাখার দায়িত্ব তার বউ নতুবা ছেলের বউয়ের। আমি তো কাজেই থাকবো।

-আমি! মাথা কি গেছে? উনি আমাকে দেখলে আরও অসুস্থ হয়ে যাবেন।

-আরে না। তুমি এসব নিয়ে ভেবো না। আমি এখন থেকে তোমার সাথেই থাকবো। অনলাইনে চাকরি খোঁজা শুরু করবো আজ। বাড়ি আর যাব না।

-এটা করবেন না। কারণ আপনার বাপি যেকোনো সময় অসুস্থ হয়ে যেতে পারে। আপনি বাসায় না থাকলে যেকোন সময় ভয়ংকর কিছু হয়ে যেতে পারে। উনি আপনার বাবা। বাবার চেয়ে আমি বড় নই। বাবা হারালে কাঁদলেও ফিরে পাবেন না। যাদের বাবা নেই তারাই বোঝে বাবার কদর কতখানি। আপনার বাপি আপনাকে খুব ভালবাসে। প্লিজ এটা করবেন না।

-তুমি ঠিক বলেছো কিন্তু আমাকে বাপি ভালবাসলে আমার ভালবাসাকে কেন মেনে নিতে পারছে না?

-মেনে নেবে। আপনি একটু সবুর করুন।

-তুমি জানো না তাই এমন বলছো। বাপি আমাকে আবার বি,,

-থেমে গেলেন যে? বি মানে?

-বি মানে কিছু না। তুমি আমাকে দুটো দিন তোমার সাথে থাকতে দাও আমি আজকের মধ্যেই জব জোগাড় করে ফেলবো।

-একদম ই না। আপনার বাপি খুব রেগে যাবেন। ফলে আবারও,,, থাক নাই বললাম কথাটা। আপনি কিন্তু এমন কিছুই করবেন না বলে দিলাম। নইলে আর কথা বলবো না আপনার সাথে।

-এটা করো না। আচ্ছা তাই হবে। এবার এই বিষয় টা বাদ দাও রোমান্টিক কিছু বলো। গান বা কবিতা,কাব্য।

-আমি সেসব পারি না আপনার মতো। আমার একটা প্রশ্ন আছে।

-বলে ফেল।

-এই যে ছাতাওয়ালা লাভটা সাতরঙা কেন? লাল কেন নয়?

-আমি এভাবেই বানাতে বলেছি।

-কিন্ত কেন?

-কারণ আমি চেয়েছি আমাদের পথ চলাটা রংধনুর সাতটা রঙ দিয়ে শুরু হোক। যাতে এভাবেই আমাদের সামনের পথ গুলো রঙিন, জমকালো হয়ে থাকে।

-বাহ! ভালো তো। কিন্তু আমরা এক হয়ে থাকতে পারবো তো চিরকাল?

-হুম পারবো। আমরা যতদিন বাঁচবো, একে অপরের জন্য বাঁচবো। বলে রিমির কপালে ঠোঁট ছোঁয়ায়।

-বিকেল হয়ে এসেছে আমাকে বাড়িতে দিয়ে আসুন। নইলে বাবা মা চিন্তা করবে। আর আপনিও বাড়ি যান। নইলে আপনার বাপি কোনো একটা হেস্তনেস্ত করে ছাড়বে।

-এতো কুইক?

-প্লিজ।

-আচ্ছা তবে রাতে কিন্তু আমার শ্বশুরবাড়ি যাব বলে দিলাম।

-আচ্ছা এসেন। তবে আপনার বাপি যেন কিছু বুঝতে না পারে। সাবধানে।

-ওকে, এবার আমাকে হামি দাও তারপর বাসায় দিয়ে আসবো। রিমি আর কোনো উপায় না পেয়ে আহসানের আবদার গুলো পূরণ করলো। কারণ রিমি ভালো করেই জানে আহসান নাছোড়বান্দা। ছাড়ার পাত্র নয়।
#তোলপাড়💓
#পর্বঃ৪৮(Romance special)
#শান্তনা_আক্তার(Writer)

রিমির মুখ থেকে প্রত্যাশিত কথাটি শুনে আহসান ওইভাবেই দাঁড়িয়ে রইলো। তারপর ঘুরে দাঁড়িয়ে বলিউড ফেমাস শাহরুখ খানের মতো দুহাত দুদিকে মেলে দিল। রিমিও মাধুরীর মতো ছুটে গিয়ে আহসানের বুকে গিয়ে পড়ে। আর বলে, কোথায় যাবেন আপনি? একটুও বোঝেন না আমাকে। তাইতো সহজেই বলে দিলেন বউয়ের মন পড়তে পারেন না। বলি চলেই যদি যাবেন, তাহলে এভাবে নতুন করে বিয়ে করার মানে কি? কিছক্ষণ আগে তো মুখে খই ফুটছিল আর এখন,,,,,, রিমি ওর কথাটা শেষ করতে পারলো না। তার আগেই আহসান রিমির চুলের মধ্যে হাত ডুবিয়ে রিমির মাথাটা তুলে একে বারে ওর ঠোঁটে হামলা বসালো। রিমি চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে রইলো। আহসান এমন অদ্ভুত কাজ করবে তা রিমি ভাবতেই পারেনি। বেশ কিছুক্ষণ পর আহসানের থেকে ছাড়া পেয়ে রিমি হাপ ছেড়ে বাঁচলো। রিমি কিছু বলবে কি আবারও একই কাজ করলো আহসান। এবার যেন ছাড়ার নাম গন্ধই নিচ্ছে না। রিমির দম যায় যায় অবস্থা। আহসানের শার্ট খামছে ধরলো এবার। তাই দেখে আহসান রিমিকে ছেড়ে দিয়ে একটা দুষ্টু হাসি দিয়ে বলল, এখন থেকে অভ্যাস করবে বুঝলে? নইলে অন্য কাউকে খুঁজতে হবে। রিমির শরীরের সমস্ত রক্ত এবার মাথায় চড়ে গেল। রিমি আহসানের কলার চেপে ধরে বলল, একদম খুন করে ফেলবো যদি এই কথাটা আর শুনি তাহলে।

আহসান রিমির দিকে ঝুকে বলল, তাহলে আমাকে আদর দিতে হবে যাতে আমি তোমাতেই বিভোর থাকি। অন্য কোনো মেয়ের দিকে তাকানোর সুযোগই দেবে না।

-আপনি আসলেই একটা অসভ্য লোক।

-তাই নাকি! বলে রিমির কোমড় জড়িয়ে নিল।

-ছাড়ুন আমাকে।

-না, কেন ছাড়বো? আমি তো অসভ্য। তাই অসভ্যতামী করছি।

-আপনি,,,রিমির ঠোঁটের কোণে হাসি ফুটে ওঠে। আবারও আহসানের বুকে মাথা ঠেকিয়ে নেয়।

এরই মাঝে একজন ওয়েটার আসে। এসেই বলে,

-স্যার আপনাদের লাঞ্চ রেডি। ওয়েটারকে দেখে রিমি আহসানের থেকে দূরে সরে আসলো।

-আসার সময় পেলেন না আপনি? দেখছেন সদ্য বিয়ে করা হাসবেন্ড ওয়াইফ রোমান্স করছে তাও আবার ফার্স্ট টাইম। সেখানে কিভাবে ঢুকে পড়লেন!

-থাক না আপনি রাগ করবেন না। উনি বুঝতে পারেনি। প্লিজ আমার জন্য রাগটা কন্ট্রোল করুন। রিমির রিকুয়েষ্ট এ আহসান আর রাগ দেখালো না। ওয়েটারকে খাবার সার্ভ করতে বলে রিমিকে নিয়ে চেয়ারে গিয়ে বসলো। আজ দুজন দুজনাকে খুব ভালবাসা দিয়ে খাইয়ে দিল আহসান রিমি। খাওয়া শেষে আহসান ওর হাতের ভাজে রিমির হাত বন্দী করে নিল। আহসানের চোখে মুখে খুশির ঝলক। সাথে রিমিরও। থাকবে নাই বা কেন? কত বাধা বিপত্তি পেড়িয়ে অবশেষে আজ তারা কাছে পেল ভালবাসার মানুষটিকে। রিমি আহসানের কাধে মাথা রেখে বলল, আপনি আমার সাথে আছেন এটা যদি আপনার বাবা জানতে পারে তাহলে কি হবে ভেবেছেন?

-বাপিকে বলেই এসেছি। আমি আর বাড়ি যাব না। বাড়ি ত্যাগ করেই এসেছি। তোমার হাত ধরবো বলে। সেদিনই আমার এই কাজটা করা উচিত ছিল। বিশ্বাস করো আমি তোমাকে একা বাড়ি থেকে বের দেব ভাবিনি। আমিও ওই মুহুর্তে ভেবে নিয়েছিলাম বাপিকে কটা কথা বলে তোমার সাথেই বেরোবো। কিন্তু বাপির সাডেনলি হার্ট অ্যাটাক হয়। ফলে আমি আর যেতে পারি নি।

-হার্ট অ্যাটাক হয়েছে আপনার বাপির? আর আপনি আমাকে জানালেন না?

-সরি আসলে তুমি এমনিতেই আমাকে তোমার কাছে ঘেঁষতে দিচ্ছিলে না আর এটা বললে আরও ইগনোর করতে। ভাবতে তোমার জন্য সব হয়েছে। তাই বলিনি।

-সত্যি তো এটাই। আমার জন্যই এসব হয়েছে। আমি আপনার জীবনে না আসলে আজ আপনাদের বাবা ছেলের সম্পর্কে ফাটল ধরতো না। সব দোষ আমার।

-না রিমি। সব দোষ ভাগ্যের। আজ আমি স্রুতিকে মন থেকে থ্যাংকস জানাচ্ছি। ও যদি না পালাতো তাহলে আমি এতো সুন্দর একটা নারীকে আমার জীবনে পেতাম না।

-আপনি বলুন এখন আপনার বাপি কেমন আছে? আমার খুব খারাপ লাগলো শুনে। সাংঘাতিক একটা ঘটনা ঘটেছে তাহলে। আপনি আপনার বাপির খেয়াল রাখবেন বুঝলেন?

-আলহামদুলিল্লাহ এখন ভালোই আছে। তবে বাপির খেয়াল রাখার দায়িত্ব তার বউ নতুবা ছেলের বউয়ের। আমি তো কাজেই থাকবো।

-আমি! মাথা কি গেছে? উনি আমাকে দেখলে আরও অসুস্থ হয়ে যাবেন।

-আরে না। তুমি এসব নিয়ে ভেবো না। আমি এখন থেকে তোমার সাথেই থাকবো। অনলাইনে চাকরি খোঁজা শুরু করবো আজ। বাড়ি আর যাব না।

-এটা করবেন না। কারণ আপনার বাপি যেকোনো সময় অসুস্থ হয়ে যেতে পারে। আপনি বাসায় না থাকলে যেকোন সময় ভয়ংকর কিছু হয়ে যেতে পারে। উনি আপনার বাবা। বাবার চেয়ে আমি বড় নই। বাবা হারালে কাঁদলেও ফিরে পাবেন না। যাদের বাবা নেই তারাই বোঝে বাবার কদর কতখানি। আপনার বাপি আপনাকে খুব ভালবাসে। প্লিজ এটা করবেন না।

-তুমি ঠিক বলেছো কিন্তু আমাকে বাপি ভালবাসলে আমার ভালবাসাকে কেন মেনে নিতে পারছে না?

-মেনে নেবে। আপনি একটু সবুর করুন।

-তুমি জানো না তাই এমন বলছো। বাপি আমাকে আবার বি,,

-থেমে গেলেন যে? বি মানে?

-বি মানে কিছু না। তুমি আমাকে দুটো দিন তোমার সাথে থাকতে দাও আমি আজকের মধ্যেই জব জোগাড় করে ফেলবো।

-একদম ই না। আপনার বাপি খুব রেগে যাবেন। ফলে আবারও,,, থাক নাই বললাম কথাটা। আপনি কিন্তু এমন কিছুই করবেন না বলে দিলাম। নইলে আর কথা বলবো না আপনার সাথে।

-এটা করো না। আচ্ছা তাই হবে। এবার এই বিষয় টা বাদ দাও রোমান্টিক কিছু বলো। গান বা কবিতা,কাব্য।

-আমি সেসব পারি না আপনার মতো। আমার একটা প্রশ্ন আছে।

-বলে ফেল।

-এই যে ছাতাওয়ালা লাভটা সাতরঙা কেন? লাল কেন নয়?

-আমি এভাবেই বানাতে বলেছি।

-কিন্ত কেন?

-কারণ আমি চেয়েছি আমাদের পথ চলাটা রংধনুর সাতটা রঙ দিয়ে শুরু হোক। যাতে এভাবেই আমাদের সামনের পথ গুলো রঙিন, জমকালো হয়ে থাকে।

-বাহ! ভালো তো। কিন্তু আমরা এক হয়ে থাকতে পারবো তো চিরকাল?

-হুম পারবো। আমরা যতদিন বাঁচবো, একে অপরের জন্য বাঁচবো। বলে রিমির কপালে ঠোঁট ছোঁয়ায়।

-বিকেল হয়ে এসেছে আমাকে বাড়িতে দিয়ে আসুন। নইলে বাবা মা চিন্তা করবে। আর আপনিও বাড়ি যান। নইলে আপনার বাপি কোনো একটা হেস্তনেস্ত করে ছাড়বে।

-এতো কুইক?

-প্লিজ।

-আচ্ছা তবে রাতে কিন্তু আমার শ্বশুরবাড়ি যাব বলে দিলাম।

-আচ্ছা এসেন। তবে আপনার বাপি যেন কিছু বুঝতে না পারে। সাবধানে।

-ওকে, এবার আমাকে হামি দাও তারপর বাসায় দিয়ে আসবো। রিমি আর কোনো উপায় না পেয়ে আহসানের আবদার গুলো পূরণ করলো। কারণ রিমি ভালো করেই জানে আহসান নাছোড়বান্দা। ছাড়ার পাত্র নয়।

#চলবে,,
(ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। আর আপনারা গঠনমূলক মন্তব্য করুন। নেক্সট, নাইচ দেখলে লিখতে গিয়েও লিখতে মন চায়না।)
#চলবে,,
(ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। আর আপনারা গঠনমূলক মন্তব্য করুন। নেক্সট, নাইচ দেখলে লিখতে গিয়েও লিখতে মন চায়না।)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here