দহন পর্ব ১০

#দহন
#পর্ব_১০
#লেখা_মিম

গতকাল রাত থেকে হিসেব কষেই যাচ্ছে মুহিব। ঘুম হারাম হয়ে গিয়েছে তার। সূর্যের হালকা আলো উঁকি দিচ্ছে তার ঘরের ধূসর রঙা পর্দাগুলোতে। শিমুল বলেছিলো রেস্টুরেন্টে ঢুকার আগ পর্যন্ত সব ঠিক ছিলো। রেস্টুরেন্টে ঢুকার পর থেকেই অনিমের আচরন পাল্টে গেছে। তারমানে যেসব কিছু ঘটছে তার সূত্রপাত ঐ রেস্টুরেন্টেই হয়েছে। খুব সম্ভবত অনিম সেখানে কাউকে দেখেছে। কাকে দেখেছে অনিম? শিমুলের ভাষ্যমতে সে ওখানে কারো সাথেই কথা বলেনি। কে ছিলো ঐ রেস্টুরেন্টে? ভাবছে সে কি শিমুলকে ফোন করে জিজ্ঞেস করবে রেস্টুরেন্টে কে বসেছিলো, কতজন ছিলো, দেখতে কেমন ছিলো মানুষটা। শিমুলের কাছ থেকে জানতে পারলে মুহিবের হিসেব কষতে সহজ হবে। কিন্তু এত ভোরে ফোন দেয়াটা কি ঠিক হবে? উহুম…., যত যাই হোক। শিমুল একজন সদ্য বিবাহিত মেয়ে। হতে পারে সে এই মূহূর্তে তার স্বামীর বাহুডোরে আটকে আছে। তাকে এই মূহূর্তে ফোন দেয়াটা খুবই বিশ্রি একটা ব্যাপার হয়ে দাঁড়াবে। যাক না আরও কিছু সময়। এরপর নাহয় তাকে ফোন দেয়া যাবে। কিন্তু সমস্যাটা হচ্ছে মুহিব স্থির হতে পারছে না। অনিম কি ভুল পথে হাঁটছে? অনিমকে কি সে চিনতে ভুল করেছে? হাজার চেষ্টা করেও অনিম সম্পর্কে নেতিবাচক ধারনাগুলো মাথা থেকে ঝাড়তে পারছে না। বাবা তো বেশ confidently কথাগুলো বলে গেলো। শুধু confident বললে ভুল হবে। বাবা over confidentছিলেন অনিমের ব্যাপারে। কি থেকে কি হচ্ছে কিছুই বুঝতে পারছে না অনিম। সবকিছু কেমন মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছে।
সকাল সাতটার দিকে মুহিবের ফোনটা বেজে উঠলো। স্ক্রিনে তাকিয়ে দেখে শিমুলের নাম ভেসে উঠেছে। এত সকালে শিমুলের ফোন পেয়ে সে অবাক হচ্ছে খুব। দেরী না করে ফোনটা রিসিভ করলো সে।
-” কি ব্যাপার শিমুল? এত সকালে ফোন করলে যে?”
-” মুহিব ভাই অনিম কোথায় গেছে জানেন?”
-” কেনো তুমি জানো না? তোমাকে বলে যায় নি?”
-” না বলেনি।”
-” ঘটনা কি হয়েছে সেটা খুলে বলো?”
-” গতকাল ও সাড়ে দশটায় বাসায় এসেছে। গতরাতে ওকে খানিকটা স্বাভাবিক মনে হয়েছে। মনে হচ্ছিলো কতবছর পর ওকে হাসতে দেখছি। রাতে খাওয়া দাওয়া করে ঘুমিয়ে পড়লো। সাড়ে তিনটার দিকে কে যেনো ফোন দিলো ওর মোবাইলে। ওর কথা বার্তায় যা বুঝতে পারছিলাম কেউ একজন হাসপাতালে আছে। ফোনে কথা বলার সময় খেয়াল করলাম ওর চেহারার রঙ উড়ে যাচ্ছে। ফোনটা কেটেই ও কাপড় পাল্টে বেরিয়ে গেলো। কতবার জিজ্ঞেস করলাম কে ফোন করেছিলো, কোথায় যাচ্ছো। কিন্তু কোনো উত্তর না দিয়েই বেরিয়ে গেলো। সেই ভোর সাড়ে চারটা থেকে লাগাতার ওর ফোনে ট্রাই করছি। বারবার ফোন বন্ধ দেখাচ্ছে। কোথায় গেলো ও?”
মুহিব কিছুক্ষন চুপ করে থেকে এরপর বলতে শুরু করলো,
-” হতে পারে ওর ফোনের চার্জ শেষ এজন্য ফোনটা বন্ধ।”
-” না তো…. ওর ফোনে যথেষ্টচার্জ ছিলো। রাতে শোবার আগে আমি নিজে ওর ফোনটা চার্জার থেকে খুলেছি। তখন দেখেছি ওর মোবাইলে যথেষ্ট চার্জ আছে।”
-” আচ্ছা শিমুল, ও ছেলে মানুষ। তারউপর করে রাজনীতি। এমন মাঝরাতে ফোন আসাটা অস্বাভাবিক কোনো বিষয় না। হতে পারে দলের কোনো কর্মী অসুস্থ হয়ে গিয়েছিলো তাকেই দেখতে গেছে। ওখানে হতে পারে দৌড়াদৌড়ি করছে তাই ফোনটা যে বন্ধ হয়ে আছে সেদিকে খেয়াল নেই। ”
-” এজন্যই তো আপনাকে ফোন করলাম আপনি এ বিষয়ে কিছু জানেন কিনা।”
-” না আমি জানিনা। জানলে তোমাকে জানাবো।”
মুহিবের মাথা এবার আরো বেশি খারাপ হয়ে যাচ্ছে। সে ফোন দিয়ে খবর নিলো দলের কেউ অসুস্থ আছে কিনা। কিন্তু তেমন কিছুই কারো হয়নি। অনিমের তো তেমন কেউ নেইও যে এমনভাবে হসপিটাল ছুটে যাবে অসুস্থতার খবর পেয়ে। তাহলে কার কাছে গেলো? এবার মুহিবও অনিমের ফোনে ট্রাই করতে শুরু করলো। ওপাশ থেকে একজন মহিলা খুবই শুদ্ধ ভাষায় জানিয়ে দিচ্ছে নম্বরটা আপাতত বন্ধ আছে।
দুপুর তিনটার দিকে চোখে মুখে একরাশ ক্লান্তি নিয়ে বাসায় ফিরলো অনিম। শিমুল দরজা খুলতেই ঘরে ঢুকতে ঢুকতে অনিম বললো,
-” এক গ্লাস ঠান্ডা পানি দাও তো শিমুল?”
শিমুল দেরী না করে খুব দ্রুত অনিমের সামনে পানির গ্লাস এনে হাজির করলো। অনিমের চোখ মুখ দেখে শিমুলের বেশ মায়া হচ্ছে। একরাতেই কি হাল হয়েছে মানুষটার। এই মূহূর্তে গতকাল রাতে কোথায় গিয়েছিলে কেনো গিয়েছিলে এই ধরনের প্রশ্ন না জিজ্ঞেস করাটাই শ্রেয় মনে করলো শিমুল। কিছুক্ষন রেস্ট নেক। এরপর না হয় ওকে ঠান্ডা মাথায় জিজ্ঞেস করা যাবে। মোবাইলটা খাটের উপর রেখে বাথরুমে চলে গেলো অনিম গোসল সারতে। ফোন অন করার সাথে সাথেই মুহিবের ফোন এলো অনিমের নম্বরে। ফোনটা রিসিভ করে শিমুল জানিয়ে দিলো মিনিট পনেরো আগে অনিম ঘরে ঢুকেছে। খাওয়া-দাওয়া শেষে কিছুক্ষন রেস্ট নিয়ে সন্ধ্যার দিকে অনিম আবার বাহিরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। শিমুল অনিমকে জিজ্ঞেস করলো,
-” গতকাল কোথায় গিয়েছিলে অনিম? হসপিটালে কে এডমিট আছে?”
কিছুক্ষন চুপ করে থেকে এরপর অনিম উত্তর দিলো।
-” এক ফ্রেন্ডের ছোটবোনহুট করেই খুব অসুস্থ হয়ে পড়েছে। রক্তের প্রয়োজন ছিলো। তাই গিয়েছিলাম।”
-” ওহ্…. বলে গেলেই পারতে।”
-” কথা বলার মতো সময় তখন ছিলো না তাই বলিনি।”
-” তোমার ফোন বন্ধ পেয়ে খুব চিন্তা হচ্ছিলো। ”
-” হ্যা কখন যে ফোনটা বন্ধ হয়ে গেছে টেরই পায়নি। ”
-” তোমার জন্য চিন্তা হয় অনিম।”
অনিম শিমুলের এই কথার প্রত্যুত্তরে কিছুই বললো না। আবারো কিছু না বলে ঘর থেকে বেরিয়ে গেলো। শিমুল অপলক দৃষ্টিতে অনিমের বের হয়ে যাওয়া দেখছে।
২ সপ্তাহ পর…….
অনিমের ব্যবহারে বেশ পরিবর্তন এসেেছে। তবে সেটা ভালোর দিকে গড়ায়নি। খারাপের দিকেই পা বাড়িয়েছে। মুহিবের কথা মতো শিমুল আপ্রান চেষ্টা করেছে অনিমকে স্বাভাবিক করার। এখনও চেষ্টা করেই যাচ্ছে। কোনো লাভ হচ্ছে না। মুহিবও বেশ চিন্তিত অনিমকে নিয়ে। এখন পর্যন্ত সে কোনো কূল-কিনারা করতে পারেনি। অনিমকে এই দুই সপ্তাহে বাসায় তিনবার ডেকে আনিয়েছে। কখনো কৌশলে কখনো বা সরাসরি তাকে জিজ্ঞেস করেছে তার এই পরিবর্তনের ব্যাপারে। কিন্তু অনিম প্রতিবারই কিছু একটা বলে পাশ কাটিয়ে গেছে। আজকাল শিমুল প্রায়ই লক্ষ্য করছে অনিমের মোবাইলে বারবার ফোন আসছে। যতক্ষন বাসায় থাকে প্রায় কিছুক্ষন পরপরই মোবাইলে মেসেজের টুংটাং শব্দ বেজে উঠে। শিমুলের জায়গায় অন্য কেউ হলে হয়তো এতক্ষনে অনিমের মোবাইলের পোস্টমোর্টেম সেড়ে ফেলতো। কিন্তু শিমুল তেমন কিছুই করেনি। এমনকি ফোনটা হাতে পর্যন্ত নিয়ে দেখেনি। স্বামীর ফোন ঘাটাঘাটি করাটা তার কাছে খুবই অসহ্য লাগে। চাইলে অনিমকে সে জিজ্ঞেস করতে পারতো এই ব্যাপারে। কিন্তু জিজ্ঞেস করেনি। যদি অনিম ভাবে শিমুল তাকে সন্দেহ করছে এই ভয়ে।
আজ রাতে মুহিবের বাবা আবার মুহিবের ঘরে এসেছেন। আজ তিনি ঘরে ঢুকে আজ আর কোনো কথা বলেন নি। ছেলের হাতে তার মোবাইলটা এগিয়ে দিলেন। মোবাইলের ছবিটা দেখে ভ্রু কুঁচকে গেছে তার। গলার মাঝে কথা আটকে গেছে। কি দেখছে সে এটা? ঠিক দেখছে তো? এটা কি অনিমের এখনকার ছবি নাকি চার পাঁচ বছর আগের ছবি?

মুহিব তার বাবাকে জিজ্ঞেস করলো,
-” এই ছবি কোথায় পাইছেন আপনি?”
-” আজকে বেইলি রোড হয়ে বাসায় ফিরছিলাম। তখন দেখলাম অনিম মেয়েটার হাত ধরে রেস্টুরেন্ট থেকে বেরোচ্ছে। সাথেসাথে গাড়ি থামিয়ে ছবিটা তুলে নিয়ে আসলাম তোর জন্য। তুই তো সেদিন বিশ্বাস করিসনি। এই কয়দিন মনে প্রানে দোয়া করছিলাম যাতে অনিমকে ঐ মেয়ের সাথে ফের দেখতে পাই। অবশেষে দেখা পেয়ে গেছি। এখন বিশ্বাস হচ্ছে তো?”
-” আপনি কি সত্যিই আজকে তুলেছেন ছবিটা? আগের ছবি কালেক্ট করে নিয়ে আসেননি তো?”
-” দেখ মুহিব মেজাজ খারাপ করবি না আমার। আগের ছবি হতে যাবে কেনো? দেখতে পাচ্ছিস না আজকের তারিখ স্ক্রিনে শো করছে?”
-” কিন্তু আব্বা এই মেয়ের সাথে অনিম? কিভাবে সম্ভব?”
-” মেয়েটাকে চিনিস নাকি?”
-” অবশ্যই চিনি। খুব ভালো করে চিনি।”
-” কে এটা?”
-” এটা তো নীলা। অনিমের সাথে সাড়ে চার বছর আগে যে মেয়েটার ব্রেকআপ হয়ে গিয়েছিলো এটাই তো সেই মেয়ে।”
মুহিব কথাটা বলেই খাটের উপর বসে পড়লো। মাথার চুলগুলো মুঠ করে টানছে। সে কি রাগে এমনটা করছে নাকি টেনশনে এমনটা করছে এটা সে নিজেও বুঝতে পারছে না। মুহিবের বাবাও কিছুটা হতবাক হয়ে গেলেন। কিছুক্ষন পর ছেলের পাশে বসে তাকে জিজ্ঞেস করলেন
-” অনিমের সাথে মেয়েটার ব্রেকআপ হয়ে থাকলে সেটা আবার জোড়া লাগলো কিভাবে?”
-” আমি কিভাবে জানবো জোড়া লাগলো কিভাবে?”
-” সবকিছু কেমন এলোমেলো লাগছে রে মুহিব। এটা সত্যিই নীলা তো? আরেকবার ভালো করে দেখ।”
-” আব্বা এটাই নীলা। তিন বছর প্রেম করেছে ওরা দুজন। এই মেয়ের সাথে দেখা করতে অনিম কতবার আমাকে সাথে করে নিয়ে গেছে তার কোনো হিসাব নেই।”
-” যদি ওর পুরানো প্রেমিকার সাথে সবকিছু আগের মতো ঠিক হয়ে থাকে তাহলে ও শিমুলকে কেনো বিয়ে করলো? তারউপর বিয়ে করার পর বউকে ফাঁকি দিয়ে ঐ মেয়ের সাথে ঘুরছে কেনো?”
-” জানি না আমি। কি থেকে কি হচ্ছে কিছুই বুঝতে পারছি না।”
-” খুব অবাক লাগছে জানিস। অনিমের মুখে সারাক্ষনই শিমুলের নাম লেগেই থাকতো। ওকে তো বিয়ের আগেরদিন খুশিতে কাঁদতেও দেখেছি। তাহলে এখন কোনটা বিশ্বাস করবো? ওর চোখের পানি নাকি ঐ মেয়ের সাথে ওর ঘনিষ্ঠতা?”
-“…………………..”
-” শিমুলকে জানাবি এসব?”
-” মাথা খারাপ নাকি আপনার? এসব শুনলে ও মরে যাবে।”
-” লুকিয়েই বা রাখবি কতদিন? দিন যাবে ওদের মধ্যে complications বাড়তে থাকবে। একদিন না একদিন ও নিজেই সব জেনে যাবে। তখন কি ওর কষ্ট হবে না?”
-” তখন কি হবে না হবে আমার জানার দরকার নেই। এই কথা এখন ওকে শোনানো যাবে নাব্যস। যতদিন এই ঘটনা থেকে ওকে দূরে সরিয়ে রাখা যায় ততই ভালো। শিমুল আমার চোখের সামনে মরে যাবে এটা আমি কখনোই সহ্য করতে পারবো না।”
-” তাহলে এখন কি করবি?”
-” যা করার ঠান্ডা মাথায় করতে হবে। তাছাড়া এখনও আমার বিশ্বাস করতে ইচ্ছে হচ্ছেনা অনিম নীলার সাথে আবার সম্পর্ক জুড়েছে। কারন ওদের ব্রেকআপটা খুবই বাজে ভাবে হয়েছিলো। নীলার সাথে অন্য একটা ছেলের সম্পর্ক তৈরী হয়েছিলো অনিমের সাথে সম্পর্ক চলাকালীন অবস্থাতেই। ঐ ছেলে সব দিক দিয়েই অনিমের চেয়ে কম যোগ্যতাসম্পন্ন ছিলো। তবুও নীলা ঐ ছেলের সাথে কেনো জড়িয়েছিলো সেটা ওই ভালো জানে। অনিম অনেক ঝামেলা করেছিলো ঐ ছেলের কাছ থেকে নীলাকে ফিরিয়ে আনার জন্য। কোনোভাবেই পারেনি। এমনকি অনিম নীলা দুজনই দুজনকে মাঝরাস্তায় গালিগালাজও করেছে, থাপ্পড়ও মেরেছে। সবমিলিয়ে তখন খুব বিশ্রি একটা অবস্থা তৈরী হয়েছিলো। নীলার সেই প্রেমিককে অনিম ইচ্ছামতো মেরেছিলো। খুব খারাপ অবস্থা হয়ে গিয়েছিলো ছেলেটার। এরপর ওর নামে ঐ ছেলের বাবা মামলা করে দেয়। পরে ঐ মামলা থেকে ছাড়িয়ে আনতে অনেক টাকা ঢালতে হয়েছে। এরপর অনিম মদ খাওয়া শুরু করলো। এখানে সেখানে টাল হয়ে পড়ে থাকতো। বহু কষ্টে ওকে মদের নেশা ছাড়িয়েছি। তবুও মাঝেমাঝে খেতো। তখনই ও শিমুলের দেখা পেলো। শিমুলের সাথে সম্পর্ক হওয়ার পর মদ খাওয়া পুরোপুরি ছেড়ে দিলো। এখন কথা হচ্ছে যেই মেয়ের সাথে ওর এত ঝামেলা হয়েছে সেই মেয়ের কাছে তো ওর ফিরে যাওয়ার কোনো প্রশ্নই আসে না। আগে আমাকে জানতে হবে ও ঐ মেয়েরসাথে আবার সম্পর্কটা জুড়লো কেনো আর কবে থেকে এই সম্পর্কটা আবার তাজা হয়েছে।”
-” তাহলে অনিমকে জিজ্ঞেস কর।”
-” আপনার কি ধারনা ও সব সত্যি কথা বলে দিবে আমাকে? কখনোই না। আগে লোক লাগিয়ে ওর খবর নিবো। এরপর সুযোগ বুঝে ওকে আটকাবো।”
-” দেখ খবর নিয়ে কি হয়। তবে মেয়েটার জন্য খুব খারাপ লাগছে রে। কত বিশ্বাস করে শিমুল অনিমকে। আর ও কি না এসব করে বেড়াচ্ছে।”
-” ও যা খুশি করে বেড়াক। শিমুলের সাথে ও কোনোভাবেই সম্পর্ক ভাঙতে পারবে না। আমি হতে দিবো না। শিমুল অনিমের ওয়াইফ। ও অনিমকে পাগলের মতো ভালোবাসে। শিমুলের ভালোবাসা শিমুলের কাছেই থাকবে। শিমুল পর্যন্ত এই ঘটনা পৌঁছানোর আগেই এই ঘটনার অন্ত ঘটাতে হবে। আমার শিমুল শেষ হয়ে যাবে এসব শুনলে।”
-” এতই যেহেতু ভালোবাসিস তাহলে এমন একটা ছেলের হাতে শিমুলকে কিভাবে তুলে দিলি মুহিব?”
(চলবে)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here