দ্বিতীয় বাসর(গল্প),পর্ব-৪৭
হাসিনা সাঈদ মুক্তা
“কে এই পাপিয়া?দেখে তো মনে হচ্ছে আলট্রা মর্ডান! আর আমার বাবুকে কেন ও বল্ল,সে ওর জান?’
মিতুর সারা শরীরটা থরথর করে কেঁপে উঠছে,গলাও শুকিয়ে আসছে।
“আমার বাবুকে বলে কিনা আই লাভ ইউ?কত বড় সাহস?’
রেগে যায় মিতু।নিজেকে যেন কোনভাবেই সামাল দিতে পারে না।
ছবিটা নিয়ে নিজের কাছে রাখবে কি রাখবে না ভাবে।ফের অ্যালবামে ঢুকিয়ে রাখে।
ভেবেছিল ফেলে দিবে।
“এই অপয়া জিনিস কোনভাবেই ঘরে রাখবো না।’
ফের কি মনে করে যেখানে ছিল সেখানেই রাখে মিতু।
খুব অস্থির লাগে তার।হঠাৎ বাবাই এর গলা শুনতে পায়।
বাবাইকে দেখেই বুকে জড়িয়ে নেয় মিতু।ছলছল হতে তাকে ক্রমশ ওর চোখ।
“আন্টি কি করছিলে?’
“কিছু না বাবা,ঘর গুছাচ্ছিলাম।তুমি কখন এলে?কে দিয়ে গেল?’
“এই তো মাত্র এলাম।চাচ্চু তো চলে যাচ্ছে।’
“কবে?নীবিড় চলে যাচ্ছে?’
“হ্যা।চাচ্চুর নাকি এম বি এ ক্লাস শুরু হয়ে যাবে,কাল বোধহয় ফ্লাইট।’
“ও আচ্ছা তাই?’
“আন্টি খুশীর সংবাদ পেলাম।’
“কি বাবাই?’
“আমার তো ভাইয়া আসছে?’
বাবাই চিবুকে হাত দিয়ে মিতালী বলে,
“তুমি কি করে জানো?যদি আপু আসে?’
কিছুক্ষণ ভেবে বিজ্ঞদের মতো বলে বাবাই,
“আপু আসলেও সমস্যা নেই।আসলে আমার তো সব খেলনা ছেলেদের, আপু আসলে ওর তো মন খারাপ হয়ে যাবে তাই না?’
“আহা চিন্তার কথা।’মিতু হেসে ফের বলে,
“চিন্তা কি ওর দাদা আছে না, দাদাভাইয়া ওকে নিয়ে গিয়ে পুতুল,খেলনা কিনে আনবে।’সুধায় মিতালী।
“তা আনবো, কিন্তু আর কত দেরী হবে বলোতো আন্টি?আর ভালো লাগছে না।’উদগ্রীব বাবাই।
মিতু ফের বাবাই এর ছোট্ট গালটা স্পর্শ করে বলে,
“এই তো বাবা আর একটু ধৈর্য্য ধর।আচ্ছা তুমি জানলে কি করে?’
“ওমা আমি জানবো না?শত হলেও আমি ওর দাদা,আমার তো আরো কত আগেই ইচ্ছে ছিল কিন্তু আম্মু তো কবেই চলে গেল … আব্বু ফোনে বলেছে আমার ইচ্ছেটা পূরণ হতে চলেছে।’
“এতটুকু ছেলে অথচ ওর কথা শুনে মনে হয়,না জানি কত বুঝে গেছে।’শুনে মায়া হয় মিতালীর।
ছেলেটার কথা শুনে কিছু সময়ের জন্যে হলেও ভুলে থাকতে চায় মিতালী, পাপিয়ার কথা।
কিন্তু চাইলেই ঐ মহিলাকে ভুলে থাকা যাবে কি করে।
বন্ধন বাসায় না ফেরা পর্যন্ত শান্তি পাচ্ছে না মিতালী।
রানুকেও বিদেয় করতে হবে।
ফের মাথায় উদ্ভট সব চিন্তা ওকে পেয়ে বসে।
“আচ্ছা বাবু ঐ পাপিয়াকে ভালোবাসে নাতো?কেয়া মারা যাবার পর কয়েক বছর বাবু একা ছিল,এর ভিতরে বাবুর সাথে কোনরকম সম্পর্ক হয় নি তো?যদি হয়ে থাকে?’
গা গুলিয়ে আসে মিতুর।রাতে ঘুমাতে যাবার সময় ফের বমী করে।আজ আবার অনেকদিন পর বমী হলো মিতুর।
বুয়া জলদি এসে ধরে।মিতু ফের ঘরে গিয়ে বন্ধনকে ফোন করে।ফোন অফ দেখে দম বন্ধ হয়ে আসে মিতুর।
বন্ধন টেক্সট পাঠিয়েছিল মিতুকে,
“জান ভালো করে খেয়ে নিও,ওষুধটা ঠিক মতো খাবে আর কাল নীবিড় চলে যাচ্ছে,ওর কিছু লাগলে কিনে দিও।যদি পারো সি অফ করে এসো।’
কিন্তু বন্ধন আসবে কি আসবে না সেরকম কিছু জানায় নি।
বন্ধনের কন্ঠ শোনার জন্যে উতলা হয় মিতু ফের।
মনে মনে আবারও সেই অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবনা,
“আচ্ছা বিয়ের আগে বন্ধন বলেছিল,সে কেয়াকেই ভালোবাসে,আমাকে ভালোবাসতে পারবে না।কেয়া নাকি পাপিয়ার কথা বলেছিল?কেয়া তো কবেই মারা গেছে….তবে কি পাপিয়ার সাথে বাবুর অন্যকোন সম্পর্ক
?’
সারারাত ঘুমাতে পারে না মিতু।প্রচণ্ডরকম রকম অস্থিরতায় এপাশ ওপাশ করে সে।
মনে পড়ে যায় অনেকবছর আগে হীমেল আর রূপার কথা।এই একই ঘটনা কি আবার পুনরাবির্ভাব হতে চলেছে?বন্ধনের সেই পুরনো ছবিটার দিকে জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকায় সে।
সকাল সকালই লাগেজ গুছিয়ে ফেলে নীবিড়।নানুও চলে এসেছে রানুকে নিয়ে।রানুকে দেখে মনে হচ্ছে তারই আপন কেউ চলে যাচ্ছে তাকে ছেড়ে। চেহারার ভাবে এখনই কেঁদে ফেলবে যেন। ফ্যালফ্যাল নয়নে নীবিড়ের দিকে তাকিয়ে আছে।লাগেজ গুছাতে সেও ব্যস্ত।
মিতু শুধু বল্ল,”কিছু লাগবে তোমার নীবিড়?’
ভাবীর কথা শুনে চমকে উঠল নীবিড়।
“না ভাবী।’
মিতুরও একটু হালকা লাগলো অনেকদিন পর ভাবী ডাকটা শুনে।
“এভাবে হুট করে চলে যাচ্ছো যে?বলা নেই,কয়া নেই?’
“আমার তো এমবিয়ে ক্লাস শুরু হয়ে যাবে, তাছাড়া অনেকদিনই তো থাকলাম তোমাদের জ্বালাতন করলাম,আর আজ হোক, কাল হোক যেতে তো হবেই..আর এখানে বসে বিজনেসেও মন বসাতে পারছিনা….।’
“ফ্লাইট কয়টায়?’
“সাড়ে নয়টায়।’
ঘড়ীর দিকে তাকায় মিতু দুপুর বারোটা বেজে গেছে।
“আমি কি যাবো, তোমাকে সি অফ করতে?’
“সে তোমার ইচ্ছে।’
“পারুল কি জানে?’মনে মনে আওরায় মিতু।
রাত্রিরে সাড়ে নয়টা বাজার প্রায় দুই ঘন্টা আগে তারা বিমান বন্দরে পৌঁছায়।শুরু হয় চেক ইন নানা আনুষ্ঠানিকতা।
নীবিড়ের লাগেজ তেমন নেই।বড় একটা ট্রলি,আর কাঁধে একটা ব্যাগ।
ব্যাগ তল্লাশির জন্য স্কেনার মেশিনে স্কেনিং, তারপর ট্যাগ লাগানো সব ধীরে ধীরে সম্পন্ন হয়।
ভাই এর সাথে ফোনে কথা বলে নেয় নীবিড় বিদায়বেলায়।
এরপর প্লেনে উঠার সময়ও চলে আসে নীবিড়ের। শেষবারের মতো বাবাই আর ভাবীকে হাত ইশারা করে বিদায় দেয় নীবিড়।
মিতু ও বাবাই জিপ গাড়ীতে উঠে বসে।বাবাই হঠাৎ মিতুর দিকে হাত বাড়িয়ে একটা নীলরঙা খাম দেয়।
“কী এটা বাবাই?’
“চাচু দিয়েছে তোমাকে বলেছে, সে প্লেনে উঠার পর তোমাকে দিতে।’
“তাই নাকি।’
মিতু খামটা হাতে নেয়।ভেতরটা মনে হচ্ছিল পাতলা অথচ সামান্য ভারী কোন বস্তু লেগে আছে খামটা জড়িয়ে।
খামটা খুলতেই হা হয়ে যায় মিতালী।
এটা আর কিছু নয় তার প্রিয় সেই সোনার নূপুর!
নূপুরটা একটা টিস্যু পেপারে জড়ানো ছিল।
খামের উপরের মুখে চিরকুটের মতো একটা কাগজ।
সেটা পড়ে আরও বেশী হতবাক মিতু,নীবিড়ের কান্ডকারখানা দেখে…(চলবে)দ্বিতীয় বাসর(গল্প),পর্ব-৪৮
হাসিনা সাঈদ মুক্তা
চিরকুটটা বের করে নীল রঙা খাম থেকে।বের করেই মিতুর চোখ প্রায় কপালে উঠে যায়।
“প্রিয় ভাবী’
এটাকে প্রেমপত্র ভাবার আগে বেন জনসন এর একটা কবিতার লাইন দিয়ে শুরু করি
I now think, Love is rather deafe,than blind
For else it could not be,
That she
Whom I adore so much,should so slight me,
And cast my love behind
আমার এখন মনে হয়,ভালোবাসা অন্ধ যতোটা
তার চেয়ে বেশি সে বধির
নইলে এমন কীভাবে হয়,অতল গভীর
ভালোবাসি যাকে
সে আমাকে
পরম তাচ্ছিল্য ভরে
ছুঁড়ে দেয় দূরে।
এ কবিতাটা দিয়ে বোঝানো যায় অনেক কিছু।একটা উদাহরন দেই,প্রথম যখন তুমি ভাইয়ার বধু হয়ে এ বাসায় আসলে, আমি দূর থেকে তোমাকে লক্ষ্য করতাম।কেমন চুপচাপ,একা, মনমরা হয়ে থাকতে তুমি।বাবাই,নানুকে দেখাশোনা করতে,ঘরের কাজ করতে আর আনমনে ফুল গাছ গুলোর যত্ন করতে।সেইসাথে ভাইয়া আর হতভাগা আমার দিকে খেয়াল রাখার কথা ভুলতেনা তুমি। মনে পড়ে সেই দিন গুলো?আমার খুব মায়া হতো,এত সুন্দর,একটা মিষ্টি বউ তুমি,আর ভাই তোমার দিকে কিভাবে না তাকিয়ে পারতো?কিভাবে পারতো তোমাকে না ছুঁয়ে থাকতে?তোমার মন ভালো করার জন্য তোমার সাথে গল্প,হাসিঠাট্টা করতাম,তারপর খেয়াল করলাম,তোমার হাসিটা অদ্ভুত সুন্দর।যে কয়দিন এখানে ছিলাম, তোমার পায়ের নুপূরের আওয়াজ আর তোমার গুনগুন গানের শব্দে আমার ঘুম ভাঙতো।তারপর কি হয়ে গেল বুঝলাম না,একদিন শপিং করতে গিয়ে,গাড়ীর লুকিং গ্লাসে ব্যথা পেলে তুমি,তারপর দেখলাম ভাইয়া ব্যস্ত হয়ে গেল তোমাকে নিয়ে।এতদিন পর তার এই ব্যস্ততা কোথায় ছিল?তোমার কি কখনো জানতে ইচ্ছে করেনি ভাবী?তুমি অনেক সরল, তাই বোধহয় জানতে চাওনি,কিন্তু জানাটা দরকার যে,ভাই কেন এতদিন তোমাকে ভালোবাসেনি।ধীরে ধীরে বুঝলাম তুমি বন্ধন ভাই কে অনেক বেশী ভালোবেসে ফেলেছো।কিন্তু আমি তো তোমার ভালো বন্ধু,শুভাকাঙ্ক্ষী ছিলাম,সেটা কি অস্বীকার করতে পারো?
যাই হোক,সেদিন ভাইয়ার রুমে গিয়েছিলাম,ভাই ডেকেছিল একটা কাজে,আমি শুনেছিলাম তুমি নাকি নানুর রুমে ঘুমিয়েছিলে।তাহলে তোমার সোনার নুপূর ভাইয়ার বিছানায় কি করছে?তুমি মুখ ফুটে আমাকে কিছু না বল্লেও আমি বুঝে যেতাম,তোমার সারা মুখে,ফরসা শরীরে ভাইয়ার সোহাগের চিহ্ন দেখে।জানি না সেদিন থেকে আমার কি হলো।তোমাদের বিয়েতে পারুলের সাথে মজা করেছিলাম, তারপর যতক্ষন ওর সাথে কথা বলতাম ও শুধু তোমার কথাই বলতো,এখানেও তুমি।তাই হয়তো ওকে ও ভালো লাগার ইচ্ছে পোষন করেছিলাম,সে এক অজানা কারন।আর রানুর সাথে যা দেখেছো,সেটা নিছক চোখের ভ্রম।আর কিছু বলতে চাই না…
জানি না একে ভালোবাসা বলা যায় কিনা,মানুষ তো, মানুুষই তো মানুষকে ভালোবাসে,তবে সব ভালোবাসা এক সুতোয় বাঁধা যায় না।ছয়টা মাস আমি তোমাদের কাছাকাছি ছিলাম,তোমার অন্যরকম মায়ায় আমি পড়ে গিয়েছিলাম,ব্যাস এর চেয়ে বেশী কিছু আর জানি না।
একটা কথা না বলে পারলাম না,তোমার নুপূর আর মন ভোলানো হাসির রিনিঝিনি শব্দ ভাই ছাড়া আর কোন বেগানা পুরুষের সামনে করোনা,
এটা যে অন্তরে দোলা দেয়,তা বোঝো? হয়তো আর কোন নারীর মাঝেও খুঁজে পাওয়া নাও যেতে পারে….
নুপূরটা তোমার মায়ের আর তোমার খুব প্রিয়,ভেবো কিছুদিন না হয় আমার কাছে মধুর স্মৃতি হিসেবে ছিল সযতনে।
চিঠিটা অধমের প্রলাপ ভেবে ছিঁড়ে ফেলতে পারো,অথবা ভাইকেও দেখাতে পারো,সেও তোমার ইচ্ছে।
নিজেকে সত্যি ভাগ্যবান মনে হচ্ছে, যে বিদায়বেলায় তুমি সংগে ছিলে।ধন্যবাদ তাই তোমাকে।
ভালো থেকো অনেক অনেক ভালো।
নীবিড়’
চিঠিটা বড় না হলেও খুব ছোটও নয়।মিতু চিঠিটা পড়ে, হতভম্ব হয়ে রইল বেশ কিছুক্ষণ।
“নীবিড় এসব ছাইপাশ কি লিখেছে।ও আমার শরীর দেখলো কখন?ওর কি মাথাটা গেছে?কি ভাবে ও?বিয়ের পর বন্ধন আমাকে সময় দেই নি তারমানে এই নয়,বাবু আমাকে ভালোবাসে না।বাবুও তো বলেছে পরে আমাকে জানিয়েছে অনেক কিছু,নীবিড় তাহলে আমাকে কি বলতে চায়,আমি বন্ধনের কাছ থেকে কেন জানার চেষ্টা করিনি,সে কৈফিয়ত কি ওকে দিতে হবে?আর আমার নুপূর নীবিড় নিজের কাছে রেখে দিয়েছিল কোন সাহসে?দেবররা কি ভাবীদের সাথে কথা বলে না,কথা বল্লেই কি প্রেম হয়ে যায়?নিজের ভাইকে দোষারোপ করে নিজে সাধু সাজছে,তাহলে পারুল আর রানুর সাথে কি ছিল এতদিন?চিঠিটা যদি উনাকে সত্যি দেখাই….নীবিড় কি ভেবেছে বন্ধন ওকে ছেড়ে দেবে?নিজেকে কি ভাবে নীবিড় আমি ওর এ সমস্ত ছাইপাঁশ পড়ে ওর প্রেমের ফাঁদে পড়ে যাব?বলদ একটা…’
মিতুর প্রচণ্ড রাগ হতে লাগলো।আজকাল জেনারেশনের যে কি অবস্থা?সম্পর্ক বোঝে না,সম্পর্কের মানে বোঝে না।ওর কিছুই ভালো লাগছে না।একে তো রানুকে বিদায় করার ভাবনা,অন্যদিকে পাপিয়া কে এখনও জানা হলো না।
বাসায় ফিরে ক্লান্ত মিতু।ওয়াশরুমে গিয়ে মুখে পানির ঝাপটা দিতে থাকে।এরপর নুপূরটা আলমারীতে তুলে রাখে,এটাকে একটু ব্রাশ দিতে ধুতে হবে।
বন্ধনকে ফোন করে ফের।ওপাশ থেকে ফোনটা ধরে কেউ একজন বলে ওঠে,
“আসসালামু আলাইকুম,ম্যাডাম স্যার তো এয়ারক্রাফটের ইঞ্জিন রিপায়ারিং এ ব্যস্ত।’
“ওয়ালাইকুম আসসালাম,হুম।কিন্তু ফোন আপনার কাছে কেন?আর এত রাতে রিপায়ারিং করছেন?উনি খেয়েছেন কিছু?’
ভদ্রলোক হেসে ফেললেন কথাটা শুনে।
“ম্যাডাম স্যারের তো সবসময় এসব নিয়েই কাজ, আর ফোনটা আমার হাতে রাখতে বলেছিলেন।রাতে এখনো খাননি।কখন খাবেন তো বলতে পারছি না।’
“কেন?’
“স্যারের তো কাজ শেষ না হওয়া অব্দি খেতে চান না।’
“কোথায় উনি?আমাকে একটু দেন তো?’
“ম্যাডাম, স্যার তো নামাজ পড়ছেন।’
“ঠিক আছে,আমাকে ফোন দিতে বলবেন।’
ফোনটা ছাড়তেই মিতুও এশার নামাজ আদায়ের জন্যে ওযু করার প্রস্তুতি নেয়।খুব ক্ষুধাও লেগেছে তার।বুয়াকে বলে টেবিলে ভাত দিতে।
রাত প্রায় এগারোটার মতো বেজে গেছে।বাবু পেটে না থাকলে শাওয়ার নিতো এতক্ষণে।
হঠাৎ ল্যান্ড ফোনটা বেজে ওঠে।
মিতু প্রায় দৌড়ে যায়।স্বামীর কন্ঠ শোনার জন্যে উদগ্রীব সে।কিন্তু হলো অন্য কিছু।
“হ্যালো বাবু…’
“না আমি বাবু নই।’
“কে আপনি?কাকে চান?’
কিছুক্ষণ চুপ থাকার পর ভারী কন্ঠে অজানা কেউ বলে ওঠে,
“বাবুকে…..'(চলবে)