না চাইলেও তুই আমার পর্ব ৪

#না চাইলেও তুই আমার ( Villan Love’s)
#বৃষ্টি আক্তার(Dr’s Queen)
#পার্ট:৪

হৃদয়: আজকে তো লাস্ট ক্লাসটা নাকি হবে না তাইনা।
নিধি: হুম।
হৃদয়: তোমার তো ফুসকা অনেক পছন্দ তাইনা।
নিধি: হুম।
হৃদয়: আজকে আমি তোমাকে ফুসকা খাওয়াবো চলো।
নিধি: কিন্তু হৃদয়!
হৃদয়: কোনো কিন্তু টিন্তু না।আর তাছাড়া কলেজ ছুটি হতে তো আরো এক ঘন্টা বাকি।এই এক ঘণ্টার মধ্যে আমরা ফুসকা খেয়ে চলে আসতে পারবো।তোমার কোনো প্রবলেম হবে না।”মে হু না”😉

আমি ওর লাস্ট কথা টা শুনে হেসে দিলাম।সত্যি ছেলেটা পারেও বটে ।
এক ঘন্টা পরে কলেজ ছুটি হবে তাই ভাবলাম ওর সাথে গেলে কোনো সমস্যা হবে না।আর ওই খাটাস টাও বুঝতে পারবে না আমি যে বাহিরে ফুসকা খেতে বের হয়েছি।এসব ভেবেই রাজি হয়ে গেলাম।
আমরা ফুসকা খেতে চলে গেলাম। খাওয়া শেষ করে দ্রুত কলেজে চলে আসলাম । আসার পর যা দেখলাম তাতে আমার ভয়ে কলিজার পানি শুকিয়ে খান খান হয়ে যাচ্ছে।

– কলেজ থেকে কোথায় গিয়েছিলে( শান্ত গলায়)
– ,,,,,,,,,,
– কি হলো বলো
– ফু ফু ফুসকা খেতে
– ওহ্ আচ্ছা। তো ছেলেটা কে ছিলো?
– ক ক কোন ছেলেটা?
-যার সাথে ফুসকা খেতে গিয়েছো সেই ছেলেটা

নিধি তুই তো আজকে শেষ রে।রাক্ষস টা তোকে হৃদয়ের সাথে দেখে ফেলেছে রে। এখন তোকে এই রাক্ষসের হাত থেকে কেউ বাঁচাতে পারবে না 😭

– কি হলো চুপ করে আছো কেনো ( ধমকের সুরে)
– না না মা মা মানে আসলে
– আসলে কি!
– ও আ আমার ফ্রেন্ড হয় ( ভয়ে ভয়ে বললাম)
– ওহ্। ফ্রেন্ড হয় বুঝলাম কিন্তু আমার পারমিশন ছাড়া ওর সাথে ফুসকা খেতে যাওয়ার সাহস হলো কি করে ( রেগে গিয়ে)
– আ আসলে ও যেতে বলেছিলো আর আমার ফুসকা খেতে ভালো লাগে তাই গিয়েছিলাম।
– ওকে চলো
– কোথায় যাবো?
– গেলেই দেখতে পারবে।

উনি আমাকে টেনে নিয়ে গাড়িতে বসালেন।তারপর উনি গাড়ি ড্রাইভ করতে লাগলেন।এর মধ্যে তিনি একবারও আমার দিকে তাকান নি।ওনার এই শান্ত হয়ে থাকাটা কেমন যেন মনে হচ্ছে ঝড়ের পূর্বাভাস।কথা গুলো ভাবতে ভাবতে উনি খুব জোরে গাড়ির ব্রেক করলেন। টাল সামলাতে না পেরে আমি সামনের দিকে ঝুঁকে পরি কিছুটা কিন্তু সিট বেল্ট লাগানো থাকায় কিছু হয়নি।
উনি গাড়ি থেকে নেমে আমাকে টানতে টানতে একটা ফুসকা পার্লারের ভিতরে নিয়ে গেলেন। সেখানে উনি আমাকে বসিয়ে একটা ওয়েটারকে ডাক দিয়ে বললেন খুব ঝাল দিয়ে একশো টা ফুসকা রেডি করে আনো।ওনার কথা শুনে চোখ বড় বড় করে ওনার দিকে তাকালাম।কিন্তু উনি আমার দিকে একটুও তাকান নি।কিছুক্ষণ পরে ওয়েটার টা এসে ফুসকা দিয়ে গেলেন।ফুসকার দিকে তাকিয়ে মনে হচ্ছিলো এখানে ফুসকা নামক কোনো কিছুই নেই সব মরিচ।এবার উনি আমার দিকে তাকালেন আর বললেন –

– খাওয়া শুরু করো।
আমি শুকনো ঢোক গিলে বললাম
– এগুলা আমি খাবো!
– হুম তুমি খাবে।তোমার জন্যই অর্ডার করেছি। Start now
– আমি অসহায় চোখে তার দিকে তাকিয়ে বললাম,এগুলা খুব ঝাল।আমি তো ঝাল খেতে পারি না।
– এতো কথা আমি শুনতে চাইনি।খেতে বলছি খাও ( ধমক দিয়ে)

ওনার ধমক শুনে কেন জানিনা খুব রাগ হলো আমার। রাগ করে ফুসকা খেতে শুরু করলাম।একটা মুখে দেওয়ার পর আমার অবস্থা খারাপ হয়ে যাচ্ছে ঝালে।পানি খেতে যাবো ঠিক তখন উনি আমার হাত থেকে পানির গ্লাস টা নিয়ে নিলেন।আমাকে পানি খেতে দিলেন না।

– ফুসকা সব গুলা শেষ না করা পর্যন্ত পানি খেতে পারবা না। ফুসকা গুলো শেষ করো।
ওনার কথায় রাগে দুঃখে ফুসকা খাওয়া শুরু করলাম। একে একে পাঁচটা ফুসকা খেলাম।আরো পঁচানব্বই টা ফুসকা আমার দিকে তাকিয়ে আছে।কি করবো বুঝতে পারছি না।ঝালে নাক মুখ লাল হয়ে গেছে আমার আর সাথে চোখের পানিও বিসর্জন দিতে হচ্ছে।তারপর বাকি ফুসকা গুলো খেতে চেষ্টা করলাম কিন্তু পারলাম না। তার কাছে পানি চাইলাম কিন্তু পাষাণ মানুষটা আমাকে পানি দিলো না ,,,,আমাকে বললো ফুসকা শেষ করতে।আমি ঝালের জন্য কথা বলতে পারছিনা কিন্তু ওনার কথা শুনে এবার কান্না করে দিলাম আর বললাম

– আপনি এতো নিষ্ঠুর কেনো! আমি ঝালে মরে যাচ্ছি আর আপনি আমাকে পানি না দিয়ে ফুসকা শেষ করতে বলছেন!
– হুম বলছি তো!!!! তোমার ফুসকা খেতে ভালো লাগে তাই তো বলছি খেতে।
– আমি ঝাল খেতে পারি না।আর আপনি এত্তগুলা মরিচ মিশানো ফুসকা আমাকে খেতে বলছেন!!আপনি কি মানুষ!

চলবে,,,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here