নিশ্বাস পর্ব ৬

#নিশ্বাস
#পর্ব_৬
#লেখক_Mohammad_Asad

অনেক সকালে ঘুম থেকে উঠে নিশাত। সকালের নাস্তা তৈরি করতে থাকে। সকালের নাস্তা তৈরি হয়ে গেলে রুমে আসে, ছেলেটাকে ঘুম তোলার জন্য।

ছেলেটা ঘুমিয়ে আছে বাচ্চাদের মতো করে। নিশাত নিজের অজান্তেই হেঁসে দেয়।
ছেলেটার পার্শে বসে মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে ডেকে উঠে।
-এই যে শুনছেন, ঘুম থেকে উঠুন, অফিসে যাবেন নাহ্?
“ছাদিক চোখ খুলে দেখে নিশাত পার্শে বসে আছে। মুচকি হেঁসে নিশাতের দিকে তাকিয়ে থাকে ছাদিক। নিশাত বলে,
-এই যে এভাবে কি দেখছেন হুম? ঘুম থেকে তাড়াতাড়ি উঠুন, অফিসে যাবেন নাহ্?
“ছাদিক সুয়ে সুয়ে নিশাতের ঠোঁটে একটা আঙ্গুল দিয়ে বলে।
-হুম, অফিসে যাবো তো।
“নিশাত মুখটা পাকিয়ে বলে”
-তাহলে তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠে নাস্তা করে নিন। অফিসে যেতে হবে তো।
-আচ্ছা লক্ষীটি উঠছি। তুমি রুমে খাবার গুলো নিয়ে আসো।
-আচ্ছা ঠিক আছে নিয়ে আসছি।
-এই শোন,
“নিশাত মুচকি হেঁসে বলে,
-কি হলো আবার?
-আমাকে একটু আদর দেও,
-ইসস এখন না।
-কেন?
-রাতে তো অনেক আদর…..।
“ছাদিক নিশাতের হাত ধরে টান দেয়। নিশাতের ঠোঁটের কাছে নিজের ঠোঁট নিয়ে গিয়ে বলে”
-আমার খুব ইচ্ছে করছে।
-কি ইচ্ছে করছে হুম?
-কি আবার ইচ্ছে করবে, তোমার ঠোঁটে চুমু দিতে অনেক ইচ্ছে করছে।
-তাহলে দিন না।
“নিশাত কথাটা বলে দৌড়ে রুম থেকে বের হয়ে যায়। ছাদিক পাগলীটার দিকে তাকিয়ে মিস্টি হেঁসে দেয়।

নিশাত খাবার টেবিলে থেকে ছেলেটার জন্য খাবার নিয়ে যাবে তখন আম্মু বলে।
-আরে নিশাত কার জন্য পরাটা আলু ভাজি নিয়ে যাচ্ছিস?
“নিশাত মিস্টি মিস্টি হেঁসে বলে,
-ওর জন্য,
-বাবারে বাবা, ভালোই তো। এই কয়দিনে ছেলেটাকে হাতের মুঠোই করে নিচ্ছিস। আগে তো প্রতেকদিন আমাদের সঙ্গেই সকালের নাস্তা করতো। এখন বউ পেয়ে ঘরেই সবকিছু।

নিশাত মাথা নিঁচু করে রুমে আসে খাবারের বাটিগুলো নিয়ে। ছাদিক ওয়াশরুম থেকে ফ্রেস হয়ে আসে। এসে দেখে নিশাত মেঝেতে সাজিয়ে রেখেছে খাবার গুলো।

ছাদিক নিশাতের সামনে দাঁড়িয়ে থাকলে নিশাত বলে।
-এই আপনি দাঁড়িয়ে আছেন কেন?
“ছাদিক মিস্টি হেঁসে বলে”
-তুমি আমার জন্য এতোটা কষ্ট করো কেন নিশাত?
-কই কষ্ট করলাম?
-এই যে সকালের খাবার গুলো রুমে এনেছো।
“নিশাত হিহিহিহি করে হেঁসে দেয়, বলে।”
-আচ্ছা ঠিক আছে, কাল থেকে নিয়ে আসবো না। টেবিলে গিয়ে খেয়ে নিবেন।
“ছাদিক নিশাতের পার্শে বসে বলে”
-আরে তা বলেনি।
-হুম, আপনাকে আর কিছু বলতে হবে না। মা অনেক রাগ করে আপনি মা-বাবার সঙ্গে খাবার না খাওয়া জন্য।
-আম্মু তোমাকে এইসব বলেছে?
-নাহ্ বলেনি,
-তাহলে এমন করে বলছো কেন?
-আমার মনে হলো তাই।
-ওহ আচ্ছা।

নিশাত পরাটা ছিঁড়ে তারকারির সঙ্গে মিশিয়ে ছেলেটাকে খাইয়ে দেয়। খাবার খাওয়া শেষ হলে, ছাদিক অফিসের ড্রেস পড়ে অফিসে যাওয়ার জন্য তৈরি হতে থাকে। ইচ্ছে করে টাইটা ব্যাকা করে পড়ে ছাদিক। নিশাত রুমের বাইরে আছে তাই ডেকে উঠে।
-নিশাত কোথায় তুমি।

“নিশাত দৌড়ে রুমে আসে, এসেই বলে।”
-কি হয়েছে?
-কোথায় গেছিলে তুমি?
-এই তো “বাবা”,ঘুম থেকে উঠেছে তাই চা-দিতে গেছিলাম।
-ওহ আচ্ছা।
-হুঁ
-আমার টইটা ঠিক করে দেও।

নিশাত এবার লজ্জায় ছেলেটার দিকে তাকিয়ে আছে। মনে হচ্ছে কি না কি বলেছে, যে এতোটা লজ্জা পেতে হবে।
-ইসস আমার বউটা দেখছি খুব লজ্জা পেয়েছে। টাইটা ঠিক করে দিতে বলেছি তাই এতোটা লজ্জা।
-আমি তো পারিনা টাই ঠিক করতে।
-আহারে। আমি শিখিয়ে দিচ্ছি দাঁড়াও।

ছাদিক মেয়েটাকে টাই ঠিক করা শিখিয়ে দেয়। নিশাত এবার ছেলেটার দিকে বড় বড় চোখে তাকিয়ে আছে। ছাদিক আমতা আমতা করে বলে।
-আরে নিশাত, এমন করে তাকিয়ে আছো কেন?
“নিশাত রেগে দাঁত কটমট করে বলে।”
-আপনি টাই ঠিক করতে যানেন, তাহলে আমাকে বলছেন কেন টাই ঠিক করে দিতে।
“ছাদিক এবার হেঁসে দেয়। নিশাতের গোমড়া মুখটায় হাত দিয়ে বলে।”
-ইচ্ছে করেই টাইটা ঠিক করে রাখিনি আমি। আজ থেকে তুমি ঠিক করে দিবে কেমন!
-না আমি পারবো নাহ্।
-কেন পারবে না। তুমি না আমার মিস্টি একটা বউ।
“নিশাত এবার লজ্জায় মাথাটা নিঁচু করে নেয়।
-কি হয়েছে এতো লজ্জা কিসের হুম। টাইটা ব্যাকা করে দিয়েছি ঠিক করে দেও।
-হুঁ

নিশাত ছেলেটার আঙ্গুলের উপর পাঁ দিয়ে টাইটা ঠিক করে দিচ্ছে। এদিকে ছাদিক দুষ্টুমি করে মেয়েটার কোমড় জরীয়ে কাছে টেনে নিচ্ছে বেশি করে।
-এই, আবার দুষ্টুমি তাই না।
-হুম,

নিশাত টাইটা ঠিক করে ছাদিকের চোখের দিকে তাকিয়ে আছে। ছাদিক নিশাতের দুইগালে হাত দিয়ে কপালে চুমু এঁকিয়ে দেয়। অফিসের কাগজপত্র নিয়ে বেড়িয়ে যায় ঘর থেকে। ছাদিক বাইক স্টার্ট না করা পযন্তু দাঁড়িয়ে থাকে নিশাত ছেলেটার পার্শে।
.
.
ছাদিক অফিসের উদ্দেশ্যে চলে গেলে নিশাত বাড়ির মধ্যে চলে যায়। তিন্নি ভাবির রুমে গিয়ে দেখে তিন্নি ভাবি কান্না করছে একটা ছবি নিয়ে।

“চলবে”

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here