“নেতার মেয়ের সাথে প্রেম পর্ব__১

#গল্প: নেতার মেয়ের সাথে প্রেম
#পর্ব__১

ভাইয়া,,, কিরে ভাইয়া
কি হলো সকাল সকাল এভাবে চিৎকার করছিস কেন
তুই কি সবকিছু ভুলে গেছিস
সকাল সকাল কি আবোল তাবোল বলছিস কি ভুলে যাবো
আজকে না তোর ভার্সিটির প্রথম দিন তুই কি আজকে ভার্সিটিতে যাবি না,,,

রাত্রির মুখ থেকে এমন কথা শুনে,,, আমি লাফ মেরে বিছানা থেকে উঠে বসে পরলাম আর রাত্রিকে বলতে লাগলাম,,,

√√কি বলছিস তুই এসব কি আমাকে আগে বলবি না কটা বাজে এখন
√√কটা বাজে মানে আজকে না ক্লাস দশটায় নটা বাজে আর একঘন্টা সময় আছে,,,,,

√√তুই আমাকে একটু আগে ডাক দিবি না
√√তোকে ডাক দিলে কি চুল উঠে ইস গাধার মত সারাদিন পড়ে পড়ে ঘুমাস কোন কাজকর্ম করিস না।।

√√তুই থাকতে কি আমার কাজকর্ম করতে হয় নাকি
√√না তা কেন কাজ করতে হবে পেয়েছিস তো আমার মত একটা বোন,,,, বিনা পয়সায় সারাদিন খাটাশ,,,

তারপর রাত্রি মুখটা একটু বাঁকা করে চলে গেল আমি একটু হাসলাম,,,, তারপর বিছানা থেকে উঠে ফ্রেশ হওয়ার জন্য বাথরুমে চলে গেলাম,,,,

ও সব থেকে বড় কথা মনে পরল আপনাদেরকে তো আমার পরিচয় টা দেওয়া হলো না,,,, শেষ হতে হতে আপনাদেরকে আমার পরিচয়টা দিয়ে দিই,,,, আমি হলাম সিয়াম মাহমুদ ,,,এবার অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্র,,, এটা হয়তো আপনারা একটু আগেই বুঝে ফেলেছেন কারণ আজকে আমার ভার্সিটির প্রথম দিন,,,,

আর এতক্ষণ যার সাথে কথা বললাম ওগুলো আমার একমাত্র ছোট বোন রাত্রি,,,, এবারও ইন্টার প্রথম বর্ষ পড়ালেখা করেছে,,, আর বাকি পরিচয় গুলো গল্পের সাথে থাকলেই বুঝতে পেরে যাবেন,,,, এখন আসা যাক মূল গন্তব্যে,,,,,

গোসল করে এসে,,, দেখি রাত্রি বিছানায় বসে আছে,,, তাই আমি তাকে বললাম,,,,

√√কিরে এখানে কবে বসে আছিস কেন
√√বসে কি এমনি এমনি আছি আমার কিছু টাকা লাগবে টাকা দে
√√আমি এখন টাকা পাব কোথায় আমি কি কাজ করি
√√অতি কাজ করিস না বলে তো টাকা পাস না আমি কি কাজ করি আমি টাকা পাবো কোথায়,।।

√√তুই যা তো এখন আমি তোকে কোন টাকা দিতে পারবোনা
√√তুই যে কালকে আমাকে বললে তোর শাড়িগুলো ধুয়ে দিল আমাকে 100 টাকা দিবি কোথায় সে টাকা দে
√√ওইটা বাকি,,,,

√√আমার এখন টাকা লাগবে তুই দিবি কিনা বল
√√আমার কাছে নাই তো কোথা থেকে দিব
√√আমি নিজের চোখে দেখেছি তোর কাছে 600 টাকা আছে ওখান থেকে আমাকে 100 টাকা দে
√√তোকে কোন টাকা দিব না যা বের হয়…

রাত্রি হয়তো আমার কাছ থেকে এমন ব্যবহার আশা করেনি,,, তাই রাত্রি একটু কাঁদো কাঁদো হয়ে আমার রুম থেকে বের হয়ে গেল,,,, আর গিয়ে সোজা খাবার টেবিলে বসে পরলো,,, দেখে তো মনে হচ্ছে খুব রেগে গিয়ে কান্না করছে,,,

আর সবথেকে বড় কথা হচ্ছে আমি নিজেও জানিনা আমার কাছে কত টাকা ছিল তাই,,, আমি দেখতে গেলাম আমার কাছে কত টাকা আছে গিয়ে দেখে সত্যি সত্যি 620 টাকা আছে,,,,, টাকাটা হাতে নিয়ে ভাবতে লাগলাম,,,সব সময় তো আমি ওর কাছ থেকে টাকা নেই,,, আর এখন মেয়েটা 100 টাকা চেয়েছেন তার জন্য এমন করলাম,,,

তাই আমি সোজা রাত্রি ঘরে চলে গেলাম গিয়ে দেখি ঘরে নেই তাই পর ব্যাগ খুঁজতে লাগলাম,,,, ব্যাগের ভেতর হাত দিয়ে দেখি মাত্র 50 টাকা আছে,,, নতুন নতুন কলেজে পরে 50 টাকা দিয়ে কি হয় আর আমার কাছে 100 টাকা চেয়েছি মোটমাট 150 টাকা,,,

তাই আমি এত কিছু না ভেবে আমি 120 টাকা আমার পকেট থেকে 500 টাকা রাত্রে ব্যাগে রেখে চলে আসলাম খাবার টেবিলে,,, টেবিলে এসে দেখি রাত্রি মুখ গোমরা করে বসে আছে,,, আমি আর ওকে কিছু না বলে খাবার খেয়ে,,, ভার্সিটিতে আসার জন্য রেডি হচ্ছিলাম,,,, রেডি হয়ে যখন ভার্সিটিতে যাওয়ার জন্য ঘর থেকে বের হবো তখনই পিছন থেকে রাত্রি আমাকে ডাক দিল,,,,,

√√ভাইয়া থ্যাঙ্ক ইউ.

আমি একটু ভ্রু কুচকে রাত্রের দিকে তাকালাম,,, আর রাত্রি আমার চোখ দেখে বুঝতে পেরে গেল যে থ্যাংক ইউ টা কিসের জন্য,,,,

তারপর রাত্রি আমাকে জড়িয়ে ধরে বলতে লাগলো,,, আমাকে এত ভালোবাসার জন্য ভাইয়া,,,

√√তুই আমার একমাত্র বন্ধু তোকে ভালোবাসবো না তো কাকে ভালোবাসবো
√√আচ্ছা যাই হোক আমার 500 টাকা লাগবে না তুই আমাকে 100 টাকা দে,,, আর তোর কাছে তো এত বেশি টাকা ছিল না তুই আমাকে 500 টাকা কেন দিলি…..

√√জানিস ছোট থেকে আমার দুইটা স্বপ্ন আছে,,,, তার মধ্যে একটা হচ্ছে আমি আমার ছোট বোন কখনো কান্না করতে দেখতে পারিনা,,, তুই যদি 100 টাকার জন্য কান্না করতে পারিস হয়তো 500 টাকা পেলে অনেক খুশি হবি,,,, তাই এটা তুই রেখে দে আমি না হয় আম্মুর কাছ থেকে চেয়ে নেব,,,, আচ্ছা আপনি না কলেজে যাবি যা আমার ভার্সিটি দেরি হয়ে যাচ্ছে,,,,

তারপর একটা রিক্সা নিয়ে সোজা ভার্সিটিতে চলে আসলাম ,,,, ভার্সিটিতে এসে দেখে শাহানুর আমার জন্য ওয়েট করছে,,, ও আপনি তো বলাই হয়নি শাহনূর হচ্ছে আমার ভালো একটা বন্ধু,,, শুধু ভালো বললে ভুল হবে অনেক ভালো সেই ছোটবেলা থেকে…..

শাহানুর ছাড়াও আমার আরো কিছু বন্ধু আছে,,, ভিতরে ক্যাম্পাসে বসে আছে,,, ওইযে কারণ একটাই ওরা নতুন কোন গার্লফ্রেন্ড জড়াবে তাই কাজ করছে,,, আর আমার আজ কোন কোন মেয়েকে পছন্দ হলো না,,

আর সবথেকে বড় কথা হচ্ছে আমি একটু ভীতু টাইপের মেয়েদের সাথে কথা বলতে পারিনা,,, যাইহোক এসব কথা ভাবতে ভাবতে ক্যাম্পাসের বন্ধুদের কাছে চলে আসলাম,,,

ওদের কাছে আসতেই ওরা বলাবলি করছে ওই মেয়েটা ওর পছন্দ ওই মেয়েটা ওর পছন্দ ও ওকে প্রপোজ করবে,,, আর আমি আর শাহানুর এসব নিয়ে অনেক হাসাহাসি করছি,,, কারন আমার বন্ধুদের ভেতর শুধু আমারই কোন গার্লফ্রেন্ড নেই,,, শাহানুর এর ও একটা ভালো গার্লফ্রেন্ড আছে,,,

আর এজন্যই তো আমার জন্য বাইরে ওয়েট করছিল,,, কোন মেয়ের দিকে না তাকিয়ে,,, আর সবথেকে বড় কথা হচ্ছে ওর গার্লফ্রেন্ড ও একই ইউনিভার্সিটিতে,,,

যাই হোক বন্ধুদের সাথে আড্ডা মারতে মারতে,,, ক্লাসের টাইম হয়ে গেছে তাই সবাই মিলে ক্লাসে চলে গেলাম,,,, ক্লাসে যাওয়ার 5 মিনিট পর স্যার আসলো প্রথম দিন তাই স্যার সবার পরিচয় দিয়েছিল

ঠিক এই সময়ে একজন,,,,, ,,
যাই হোক বন্ধুদের সাথে আড্ডা মারতে মারতে,,, ক্লাসের টাইম হয়ে গেছে তাই সবাই মিলে ক্লাসে চলে গেলাম,,,, ক্লাসে যাওয়ার 5 মিনিট পর স্যার আসলো প্রথম দিন তাই স্যার সবার পরিচয় দিয়েছিল

ঠিক এই সময় একজন মিষ্টি কন্ঠে বলে উঠল,,,

√√আসতে পারি স্যার,,,

আর ঠিক এই মুহূর্তে ক্লাসের সবার দৃষ্টি দরজার দিকে,,, কারণ দরজায় দাঁড়িয়ে ছিল একটি মেয়ে,, মেয়ে বললে ভুল হবে আমার প্রথম ক্রাশ৷ এক কথায় বলতে গেলে love at first sight,,,,,

মেয়েটির মাথা থেকে পা পর্যন্ত সবকিছুই কালো,,, শুধু তার ওই কাজল কালো চোখ দুটি ফর্সা |মানে খবর মেয়েটি কালো বোরকা কালো মুজা কাল জুতা সবকিছুই কালো শুধু চোখ টা দেখা যাচ্ছে আমি সেই চোখের উপরে ক্রাশ খেয়েছি,,,,

সময় দেখি স্যারের দিকে মনোযোগ দিচ্ছে আর আমার মনোযোগ ওই মেয়েটির দিকে,,,, আমার ঘোর কাটল শাহানুর এর ডাকে,,,,

√√কিরে এভাবে হা করে এদিকে কি দেখছিস
√√ক কই কিছু নাতো
√√কিছু না বললেই হলো আমি দেখছি কখন থেকে তুই শুধু দিকে তাকিয়ে আছিস ওদিকে কি

আমি শাহানুর এর কথায় কোন উত্তর না দিয়ে আবার তাকিয়ে আছি ওই মেয়েটির দিকে,,, আমার ছোট থেকে অনেক ইচ্ছা ছিল এমন একটা মেয়েকে বিয়ে করব তাকে শুধু আমি নয়ন ভরে দেখবো আর কেউ না,,,

আজ আমার কাছে মনে হচ্ছে আমি মনে হয় সেই মেয়েটিকে পেয়ে গেছি,,,, খারাপ ওকে দেখা মাত্রই আমার বুকের ভেতর কেমন ঘন্টা বাজতে শুরু করলো,, যখন মেয়েটির দিকে তাকিয়ে ছিলাম তখন ইমন দেখতে পেয়ে যায় আর আমাকে বলতে লাগলো,,,,

√√কিরে মামা তুই দেখি মেয়েটার দিকে তাকিয়ে আছিস মেয়েটির কি দেখে ক্রাশ খেলে [ইমন ]

ইমনের কথায় অনেক লজ্জা পেয়ে বললাম,,,

√√ধুর তুই যে কি বলিস না
√√আমি তো সব সত্যি কথা বলি তার জন্য তোদের কেউ ভালো লাগেনা,,, এখন কি তোর বুকের ভিতর কিছু করছে নাকি ওই মেয়েটার জন্য,,,
√√আরে না ওসব কিছু না এমনি,,,

তারপর আমাকে আর কিছু না বলে ওরা স্যারের কথায় মনোযোগ দিলো আমি আমার কাজে মনোযোগ দিলাম,,, এখন ভাবতে লাগলাম কিভাবে মেয়েটিকে বলবো আমার মনের কথা,,,

ঠিক এই মুহূর্তে ঘণ্টা দিয়ে দিলো আর স্যার ক্লাস থেকে চলে গেল তখন দেখলাম মেয়েটা আর একটা বান্ধবী ক্লাস থেকে বের হয়ে যাচ্ছে,,, আমিও কাউকে কিছু না বলে বাসা থেকে বের হয়ে গেলাম আর তখন দেখলাম আমার পিছে পিছে আমার বন্ধুরাও চলে আসছে আর পেছন থেকে বল আমাকে ডাক দিয়েছে শুনতে পায় নি,,, হয়তো এটাই ভালোবাসার পূর্ব লক্ষণ

মেয়েটা আর কোন বান্ধবী ক্যাম্পাসে বসে সবার সাথে গল্প করছে আর আমি দূর থেকে ওদেরকে দেখছিলাম ঠিক এই মুহূর্তে আমার বন্ধুরা এসে আমার পাশে দাঁড়িয়ে বলতে লাগলো,,,

√√দোস্ত দেখ ওই বোরকাওয়ালী মেয়েটা সেই না ওর সাথে কিন্তু আমি লাইন করব [ইমন ]
√√ওর সাথে তুই কি লাইন করবি ওকে তো আমি একদম বিয়ে করে ফেলবো [শাহানুর [
√√তুই বিয়ে কি করবি আমি তো এখন কি আব্বুকে বলবো ওদের বাসায় বিয়ের প্রস্তাব দিতে [রাব্বি ]

ওদের এমন আলোচনা শুনে আমার একটু রাগ উঠলো আর আমি রাগী দৃষ্টিতে ওর দিকে তাকালাম আর ওদেরকে মারতে মারতে বললাম,,,

√√তোদের জন্য কি কোন মেয়ে শান্তি পাবে না,,, সব মেয়েদের দিকে তোদের নজর দিতে হয়,,, তোদের জন্য কি শান্তিতে মেয়ে পছন্দ করতে পারবোনা যেটাই পছন্দ করবে সেটাই তোদের পছন্দ হয়েছে বে তোরা বিয়ে করবি আজকে তোদের মেরে ফেলবো

√√আরে দোস্ত দাঁড়া দাঁড়া বলিস কি তোর পছন্দ হয়েছে [ইমন ]
√√দোস্ত চল এখনি যে মেয়েটা কে বলেছে তুই ওকে পছন্দ করিস আয় আয় দাঁড়িয়ে থাকিস না,,, [রাব্বি ]
√√আরে এত পাগল হলে হবে নাকি যদি মেয়েটার কোন বয়ফ্রেন্ড থাকে তাহলে [শাহানুর ]
√√হ্যাঁ দোস্ত তুই একদম ঠিক কথা বলেছিস তার আগে সব থেকে বড় কথা হচ্ছে না এটি সম্পর্কে খোঁজখবর নিতে হবে কোথায় থাকে ওর কোন বয়ফ্রেন্ড আছে কিনা এইসব তারপর না হয় মেয়েটিকে বলবো
√√বন্ধু প্রেম না করলে কি হবে প্রেমের সম্পর্কে ভালো ধারণা আছে দেখা যায়

তারপর আমি মেয়েটির দিকে তাকিয়ে ছিলাম আর মেয়ের বান্ধবী আমাকে দেখে ফেলে আর মেয়েটিকে বলে আমি ওর দিকে তাকিয়ে আছি ঠিক এই মুহুর্তে মেয়েটা আমার দিকে তাকালো আর ওর চোখে আমার চোখ পড়ে গেল,,,

ঠিক এই মুহূর্তে কোন দিকে তাকিয়ে হাটতে লাগলাম,,, আর তখন আমার বন্ধুরা আমাকে ধরে ফেলল আর বলল,,,

√√দোস্ত ভয় পেতে হবে না প্রেম করলে এরকম একটু হয়,,,

আমি ওদের কথায় কান না দিয়ে আবার মেয়েটার দিকে তাকালাম আর তখন দেখলাম মেয়েটা আমার দিকে আসছে,,,,

আমার কাছে এসে মেয়েটি বলতে লাগলো,,,,,,

চলবে_______________________________________

যদি যদি কোন ভুল ত্রুটি থাকে তাহলে কমেন্টে অবশ্যই জানাবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here