“বেস্টফ্রেন্ড যখন বউ পর্ব : ১২ ( তথা শেষ পার্ট)

গল্প : বেস্টফ্রেন্ড যখন
বউ
লেখক :
Md. Anwar
Hussain
পর্ব : ১২ ( তথা শেষ
পার্ট)
আমি আর কিছু বললাম
না চুপচাপ গোসলে চলে
গেলাম “” বলতে পারেন
জান্নাতের কথায় কিছু
টা ভয় পেয়েছি!
জান্নাত মেয়ে হলে কি
হবে!!
ওর, কিল,ঘুষি লাথির
যে একটা হিট”” আমি
আগেও ফ্রেন্ড
থাকাকালীন খেয়েছি!!
এখনো মনে পরে সেই
কথা!! তাই আর কথা না
বারিয়ে গোসলে চলে
গেলাম!!
গোসল করে বের হতেই
দেখি, জান্নাত আমার
জন্য তোয়ালে নিয়ে
দাড়িয়ে রয়েছে!!
আমি তোয়ালে দিয়ে
ঘা না মুছে, জান্নাতের
শাড়ীর আচঁল দিয়েই ঘা
মুছা শুরু করে দিলাম!
জান্নাত বলল : এই কি
করছো ভিজে যাচ্ছি
তো!!
আচ্ছা দাড়াও আমি
মুছে দিচ্ছি!!
ফ্রেশ হয়ে একটা
সিগারেট জ্বালিয়ে
খাওয়া শুরু করলাম!
আপনারা ভাবছেন
আমার সাহস বেড়ে
গেছে তাই জান্নাতেরর
সামনেই সিগারেট
খাচ্ছি!!
মোটেও না জান্নাত
আমাকে সারাদিনে
একটা আর রাতে একটা
সিগারেট খাওয়ার
অনুমতি দিয়েছে!!
সে আমি যেখানে
সেখানে খেতে
পারি,তাই আমি
সিগারেট খেয়ে
জান্নাতের মুখের উপর
ধোয়া ছাড়ছি!!
জান্নাতের তো রাগে
নাক ফোলে ফেটে
যাচ্ছে!!
সিগারেট খেয়ে
বিছানায় ধপাস করে
শুয়ে পড়লাম!!
জান্নাতকে বললাম :
তুমি যেনো বলতে
চেয়েছিলে এখন বলো!!
জান্নাত : না থাক
বলবো না!!
আমি : কেনো আবার
কি হলো?
জান্নাত : আমার কোন
কথায় তো তুমি
সিরিয়াস ভাবে নাও
না!!
আমি : এখন সিরিয়াস
ভাবে নিবো বলো তুমি

জান্নাত : আমার বাবু
লাগবে!
আমি : উফফ! আবার শুরু
করে দিছো!!
জান্নাত : কেনো?
আমি : ওকে সব হবে
আগে আমাদের বিয়ের
অনুষ্ঠান টা শেষ হোক!!
আমার এটা ভেবেই খুশি
খুশি লাগতেছে
যে,,জান্নাত কে দুই
বার বিয়ের সাজে
দেখবো!! বাপ,রে বাপ
জান্নাত বউ সাজলে যা
লাগে! কোন প্রকার
নেশা ছাড়ায় মাতাল
মাতাল লাগে!!
জান্নাত বলল : আচ্ছা
তুমি কি কখনো ভাবছো!
আমি তোমার বউ হবো??
আমি : তোর স্বভাব তো
ছেলেদের মত ছিলো
তাই কখনো বউ কি তুই
যে Gf হবি, এটাও
কখনো ভাবিনি!!
জান্নাত : শয়তান,
কোথাকার!! আমার
স্বভাব ছেলেদের মত
কখন ছিলো!!
আমি : ছেলেদের মত
হাতা কুচিয়ে শার্ট
পড়তি!
ট্রি-শার্ট, সাথে
প্যান্ট,ও পড়তি!! আরো
কিছু বলবো??
জান্নাত : না থাক আর
কিছু বলতে হবে না!!
আমি : কেনো হবে না!!
বলি না??
জান্নাত : আচ্ছা এখন
তো তোর বউ, আর অন্য
সব মেয়েদের মত সব
সময় শাড়ী পরি! আর
সংসারী, ও হয়ে গেছি
বুঝিছ না!!
আমি : হুম সব ঠিক
আছে, তবে আবার
সংসারী কবে হলে,
আমি নিজেই তো
সংসার কি জিনিস বুঝি
না!!
জান্নাত : তোর বুঝতেও
হবে না!!
আমি : এখন নিচে যেয়ে
আম্মু র কাজে সাহায্য
করো। নাহয় আমার
সাথে চুপচাপ সুয়ে
থাকো দুষ্টামি করতে
পারবা না!!
জান্নাত : আম্মুর কাজ
শেষ করেই আসছি!
এখন তুমার সাথে
ঘুমাবো!!
জান্নাত আমার পাশে
সুয়ে আমার উপরে ওর
পা তুলে দিলো! আমি
কিছু বললাম না, কারন
রাতে তো ওর উপরেই
আমি সুয়ে থাকি ও তো
জাস্ট পা তুলে দিছে!!
আমি ঘুমিয়ে পড়লাম
তবে কিছুক্ষন পর লক্ষ্য
করলাম!
ওমা জান্নাতের পুরা
বডি আমার উপরে দিয়ে
আমার বুকে মাথা রেখে
মজা করে ঘুমাচ্ছে!!
ভালোই লাগছিলো একটু
চিকনা মেয়ে তো তাই
মনেই হচ্ছিল না কেও
আমার উপরে আছে!!
তো __দেখতে দেখতে
মাঝে কিছু দিন চলে
যায়!
কাল আমাদের বিয়ের
অনুষ্ঠান!!
কিন্ত এখন পর্যন্ত
জান্নাতকে কোন শপিং
করে দিইনি!!
জান্নাতও কখনো
বলেনি!!
আমি জান্নাতকে
বললাম : চলো তোমাকে
শপিং করিয়ে দিয়ে
বাসায় দিয়ে আসি!
কাল আমি যেয়ে
সেখান থেকে তোমাকে
নিয়ে আসবো!!
জান্নাত বলল : শপিং
করা লাগবে না আমার
অনেক কাপড় আছে!!
আমি : তো কি হয়ছে
চলো তো!!
জান্নাতকে নিয়ে
শপিং করতে গেলাম!
তবে জান্নাতের কোন
কাপড় পছন্দ হচ্ছিল না!
আমি জান্নাতের জন্য
কিছু শপিং করেছি
আমার নিজের
পছন্দের!!
কিছু বলতে অনেক গুলা!
কারন যা দেখি সব
ভালো লাগে! সব
কাপড়েই জান্নাতকে
সুন্দর দেখায়!
জান্নাত আমার জন্য
কিছু জিনিস নিয়েছে
তবে ও ওর নিজের জন্য
কিছুই নেয় নি!! ও
আমাকে বলে ওর নাকি
কিছুই পছন্দ হচ্ছে না!!
আমি ওর জন্য যে গুলো
কিনেছি ওগুলা ছাড়া!!
সেদিন এর মত শপিং
শেষ করে জান্নাতকে
তার বাড়িতে রেখে
আসলাম!!
রেখে আসার সময়
জান্নাত অনেক কান্না
করছিলো!!
বলে কি ‘না : আমার
সাথে থাকতে থাকতে
আমার প্রতি আসক্ত হয়ে
গিয়েছে!!
আমাকে ছাড়া এক রাত
থাকা নাকি জান্নাতের
কাছে ১ মাস এ সমতুল্য!!
জান্নাতকে অনেক
বুঝিয়ে রেখে আসলাম!!
তবে ওর শর্ত ছিলো
ছাড়া রাত আমার সাথে
ফোনে কথা বলবে!!
বাসায় এসে ভাবলাম!
জিবনে অনেক বিয়ে
দেখেছি যারা বিয়ের
সময়! বউ কে
প্রাইভেটকারে এমন
ভাবে নিয়ে আসে
যেনো কিডন্যাপ করে
নিয়ে আসছে!!
তবে আমার চিন্তা
ভাবনা অন্য রকম!!বউকে
নিয়ে আসবো বাইকে
করে!.বউয়ের থাকবে
খুলা চুল, যাতে আমি
বাইক চালাতে
সময়! .তার চুল বাসাতে
উড়ে উড়ে আমার মুখে
হালকা করে আছড়ে
পরে!!
হ্যা প্রাইভেটকার
থাকবে ঠিক আছে তবে
আমার বাইকের পিছনে!!
জান্নাতদের বাসায়
আমি বাইক নিয়েই
ঢুকলাম,
আমার ফ্যাশন দেখে
সেখানে থাকা মেয়ে
গুলো হা করে তাকিয়ে
রইলো!!
আমার পিছন পিছন
অনেক গুলা
প্রাইভেটকার ঢুকলো,
সব গুলা সাদা গাড়ি!
আব্বু কে বলে ছিলাম
গাড়ি যেনো সব এক
রংএর হয়!!
এমন সময় দেখতে পেলাম
জান্নাত দৌড়ে আমার
দিকেই আসছে!! এসে
সবাইকে চমকে দিয়ে
আমাকে জরিয়ে
ধরলো!!
আমি বললাম : এই কি
করছো ছাড়ো প্লিজ
সবাই দেখছে তো!!
জান্নাত বলল : দেখোক
হিংসুটেরা তো আমার
কি!! তুমি কাল রাতে
কথা বলতে বলতে
ঘুমিয়ে পড়েছিলে!
তাই সারারাত ঘুমাতে
পারিনি, সারাখন শুধু
তুমার কথায় ভেবেছি!!
আমি : সরি!!
বিয়ের অনুষ্ঠান ভালো
ভাবেই সম্পর্ন হলো!!
সো আমার ছোট বেলা
থেকেই যে ইচ্ছটা
ছিলো!
বউকে বাইকে করে
নিয়ে আসবো আজ সেটা
সফল হলো!!
জান্নাতকে বউ হিসেবে
পেয়ে সত্যি আমি
অনেক খুশি!!
তবে জান্নাত আমার
পেয়ে আমার থেকেও
বেশি খুশি হয়েছে !!
কিছুদিন পর হয়তো
জান্নাতের একমাত্র
আবদার রাখতে,
জান্নাতকে বাবু উপহার
দিতে হবে!!
জান্নাত আমার কাছে
এই আবদার টা ছাড়া
আর কিছুই চাইনি তাই
যত তারাতারি সম্ভব
এটা পূরন করবো!!
জান্নাত আমার
বেস্টফ্রেন্ড থেকে এখন
আমার বউ ”
ইচ্ছে আছে এভাবেই
জান্নাত কে
ভালোবেসে আগলে
রাখবো সারাজিবন __”
#সমাপ্ত
এতদিন যারা কষ্ট করে
গল্পটি পড়েছেন তাদের
সবাই কে হৃদয়ের গভীর
থেকে ধন্যবাদ.. আসা
করি এভাবে সামনের
দিন গুলোতে আপনাদের
সাথে পাবো
বিঃদ্রঃ গল্পটি
কাল্পনিক ছিলো..
সম্পুর্ন গল্প কেমন
হয়েছে অবশ্যই
জানাবেন..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here