“বেস্টফ্রেন্ড যখন বউ Part:8+9

Part:8+9
গল্প : বেস্টফ্রেন্ড যখন
বউ
লেখক :
Md. Anwar
Hussain
পর্ব : ৮
জান্নাত আমার পাশে
বসে কপালে চুমু
দিচ্ছে!!
নিজের চোখকে যেনো
বিশ্বাস করতে পারছি
নাহ্!!
তাই হালকা করে আমার
শরিরে চিমটি
কাটলাম,,
এটা ভেবে যে,,আমি
সপ্ন দেখছি না
তো!!!!??
ঘুম থেকে উঠেই চমকে
গেলাম!! জান্নাত কে
আমার পাশে দেখে
সত্যি নিজের চোখ কে
বিশ্বাস করতে পারছি
নাহ্!!
আমি জান্নাত কে
বললাম : তুই!! তুই এখানে
কি করিছ তোর তো শশুড়
বাড়ি থাকার কথা!!
জান্নাত বলল : রাখ
তোর শশুড় বাড়ি,
সারারাত এভাবে তোর
পাশে বসে বসে তোকে
ডাকাডাকি করতেছি
তাও তোর ঘুম ভাঙাতে
পারলাম না!!
আমি : পারবি কেমন
করে! অনেক গুলা ঘুমের
ঔষুধ খেয়ে ঘুম
দিয়েছি!!
এই কথা বলা মাত্রই
জান্নাত আমার বুকের
উপর উঠে বসে আমার
গালে মিষ্টি মিষ্টি
থাপ্পড় মেরে বলতে
থাকে:- শয়তান তুই
ওগুলা খাইছিস কেন??
আমি : তোর কাছ
থেকেই তো শেখা এগুলি
খাওয়া!!
জান্নাত : হুম আমি
আগে অবশ্য খেয়েছি
যার ফলে আমার শরীর
স্বাস্থ্য মাঝখানে নষ্ট
হয়ে গিয়েছিলো! এখন
আর খাই না তাই আবার
ঠিক হয়ে গিয়েছে!!
আমি : সেটা তো
দেখতেই পারছি! তবে
তুই এখানে কেনো??
জান্নাত : তাহলে
কোথায় থাকবো শশুড়
বাড়ি??
আমি : হুম!
জান্নাত : আমার
ভালোবাসা এত সস্থা
মনে করিছ??
আমি : সস্থা না হলে,
বিয়ে করতে রাজি
হয়েছিলি কেনো??
জান্নাত : আব্বুর
ফ্রেন্ডের ছেলের
সাথে আমাকে জুর করে
বিয়ে দিতে
চেয়েছিলো! আমি
রাজি হয়েছি বলে আজ
এখানে আসতে
পেরেছি!! না হলে!!
আমি : না হলে কী??
জান্নাত : না হলে
আমাকে আটকে রেখে
জুর করে বিয়ে দিয়ে
দিতো!!
আমি : হুম বুঝেছি । তবে
আমাকে তো বলতে
পারতি এসব কথা!!
জান্নাত : বলবো কেনো
তুই যে আমাকে প্রথমে
অবহেলা করেছিস সেটা
ভুলে গিয়েছি ভাবছিস!!
কিচ্ছু ভুলিনি তাই
তোকে একটু শিক্ষা
দিলাম!!
আমি : এটা একটু শিক্ষা
আর একটু হলে তো মরেই
যেতাম!!
জান্নাত : হুম ভালো!
আমি : হুম ভালো! তবে
তুই এখন আমার বুকের
উপরে থেকে নেমে অন্য
জায়গাতে বস গিয়ে!!
জান্নাত : জ্বী না,
আমি তোর বুকের উপরেই
বসে থাকবো কি করবি
তুই??
আমি : সত্যি ব্যাথা
লাগতেছে রাতে কিছু
খাইনি!!
এমন সময় আখি রুমে
আসলো!!
এসে বললো ; আমাকে
আর জান্নাত কে আম্মু
নিচে ডাকছে!!
জান্নাত আমার উপর
থেকে উঠে বসে
আখিকে কে বলল ;
তুমিই তাহলে আখি!!
আখি : হুমম
জান্নাত : হুম হুসাইনের
মুখে তোমার কথা অনেক
শুনেছি! যা শুনেছি তার
থেকে কোন অংশে কম
নয়, অনেক সুন্দরী
তুমি !!
আখি : কি, যে বলেন
আপু আপনার সুন্দর্য্যের
মাঝে সকল সুন্দর্য্য
হারমেনে যাবে!!
জান্নাত : আমি এতটাও
সুন্দর না ওকে!আমি
হুসাইনের কাছ থেকে
শুনেছি তুমি নাকি ওকে
লাইক করো!!
আখি চুপ করে রইলে
জান্নাত বলল :
তোমাকে হুসাইনের
থেকে ভালো একটা
ছেলে এনে দিবো! আর
হুসাইন কিন্ত বেশি
একটা ভালো না ওকে
আমি খুব ভালো ভাবেই
চিনি!
তবে মন থেকে
ভালোবেসে ফেলেছি
কি আর করার তাই ছুটে
চলে আসলাম!!
আখি : ভালোই হয়েছে
আপনাকে ছাড়া ওনি
অনেক কষ্টে ছিলো!
আপনি আসাতে ওনার
মুখে হাসি ফুটেছে
দেখছি!! আচ্ছা আমি
নিচে গেলাম আপনারা
তারাতারি করে নিচে
আইসেন!!
জান্নাত : ওকে যাও
আসছি।
আমি আর জান্নাত
নিচে গেলাম ,
জান্নাত আম্মুর পায়ে
সালাম করলো!
আম্মু জান্নাত কে বলল
: তুমি এখানে এসেছো
এটা তোমার বাসায় কি
যানে??
জান্নাত : না কেও
যানে না!!
আম্মু : তাহলে তো
তাদের ফোন দিয়ে
যানাতে হবে তা না
হলে তারা তো চিন্তায়
থাকবে!!
জান্নাত : না! ফোন
দিয়েন না!! ফোন দিলে
এসে আমাকে নিয়ে
যাবে!!
আম্মু : সমস্যা নেই
এসেছো যখন,,নিয়ে
যেতে পারবে না!!
আমি জান্নাত কে
বললাম : চিন্তা করো
কেনো আমি তো আছি
দেখি কেমন করে নিয়ে
যায়!!
জান্নাত বলল : খুব ভয়
করছে আব্বু যে রাগি!!
আম্মু : সমস্যা নেই আমি
ফোন দিচ্ছি!!
আম্মু জান্নাতদের
বাসায় ফোন দিয়ে
যানায় জান্নাত
আমাদের বাসায় তা
জানালো !!
এরপর আম্মু আমাকে
বলল: আচ্ছা তোরা
তাহলে গল্প কর আমি
আসছি!!
আমি জান্নাতকে নিয়ে
উপরে চলে গেলাম!!
উপরে এসে জান্নাত
আমাকে বললো : তুই
রাতে কিছুই খাছ নি??
আমি : খেয়েছি তো!!
জান্নাত : কী
খায়ছিস??
আমি : এইধর সিগারেট
আরো নেশা জাতীয়
অনেক কিছু!!
জান্নাত বলল : এ সব
খেয়ে কি লাভ বল তো
আমাকে!!
আমি : যানি না!!
জান্নাত : হুম ভালো! তুই
থাক আমি নিচ থেকে
আসছি!!
আমি : কই যাছ!!
জান্নাত : নিচে!
আমি : আবার পালিয়ে
যাবি না তো!!
তখন জান্নাত আমার
দিকে ভ্রকুচে কিছুখন
তাকিয়ে থেকে
আমাকে ভয় দেখিয়ে
নিচে চলে গেলো!!
কিছুখন পর, আমার জন্য
জান্নাত নুডুস করে
নিয়ে এসে আমাকে
খাইয়ে দিতে শুরু
করলো!!
আমিও মনের সুখে
খাওয়া শুরু করলাম!
সব নুডুস কখন যে শেষ
করে ফেলেছি নিজেও
যানি না !!
আমি : আচ্ছা নুডুস কে
রান্না করেছে?
জান্নাত : কে আবার
আমি
আমি : ওহ্, খুব ভালো
হয়েছে প্লিজ আবার
করে নিয়ে আসবি??
জান্নাত : ওকে
যাচ্ছি!!
জান্নাত আবারো নুডুস
করে নিয়ে আসলো!!
আমি জান্নাত কে
বললাম : তুমি রাতে
কিছু খেয়েছো!!
জান্নাত : চিন্তায়
ভালো লাগে না আবার
খাওয়া!!
আমি : তার মানে রাতে
কিছু খাওনি??
জান্নাত : না,
আমি : এর জন্যই
তোমাকে আবার নুডুস
করে আনতে বলেছি!!
জান্নাত : কেনো তুমি
খাবে না??
আমি : আর কতো খাবো
অনেক খেয়েছি, এখন
তুমি হা করো আমি
খাইয়ে দিচ্ছি!!
খাওয়া শেষ করতেই
জান্নাত আমার বুকের
মধ্যেই ট্রি-শার্ট এ মুখ
মুছে, বুকেই মাথা রেখে
চুপচাপ বসে রইলো!!
আমিও কিছু না বলে
পাগলিটা কে বুকে
জড়িয়ে নিলাম!!
কিছুক্ষন পর লক্ষ্য
করলাম আমার ট্রি-শার্ট
কেমন যেনো ভেজা
ভেজা লাগছে!!
জান্নাতের মাথা আমার
বুকের উপর থেকে
উঠাতে চাইলে জান্নাত
আরো শক্ত করে
আমাকে জড়িয়ে
ধরলো!!
আমি কোন ভাবে
জান্নাতের মাথা উঁচু
করতেই দেখতে পেলাম
জান্নাত কান্না করছে!!
আমি বললাম : কান্না
করছো কেনো!!
জান্নাত : খুব ভয়
করছে!!
আমি : কেনো??
জান্নাত : কিছুক্ষন পর
যদি আব্বু এসে আমাকে
নিয়ে যায়! যদি তুমাকে
হারিয়ে ফেলি!! তাহলে
সত্যি সত্যি আমি কিন্ত
সুইসাইড করবো এটা
যেনে রাখো!!
আমি : কি সব বলছো
এগুলা!! পাগল হয়ে
গেছো নাকি!! আর
ভাবলে কেমন করে
আমার কাছ থেকে
তোমাকে কেও আলাদা
করতে পারবে!!আসতে
দাও তোমার ঐ টাকলা
বাপটা কে!!
তখনি নিচ থেকে আম্মু
বলল : জান্নাত কে
নিয়ে আয়! জান্নাতের
বাবা এসেছে!!
জান্নাত আমাকে
জড়িয়ে ধরে বলল :
আমি যাবো না তুমি
যাও!!
আমি : যাবে না মানে
এখন কিন্ত কোলে
উঠিয়ে নিয়ে যাবো!!
জান্নাত : ওকে চলো
আমার বিশ্বাস আছে
তোমার উপর!!
নিচে আসলাম জান্নাত
কে নিয়ে,তবে জান্নাত
আমার পিছনে মুখ
লুকিয়ে লুকিয়ে আসতে
থাকলো!!
নিচে যেতেই দেখি!
জান্নাতের বাবা সহ
আরো অনেকেই
এসেছে!! সাথে কাল
যার সাথে জান্নাতের
বিয়ে হওয়ার কথা
ছিলো সেও এসেছে!!
তাও আবার বিয়ের
সাজে! ছেলেটার নাকি
জান্নাত কে খুব পছন্দ
হয়েছে!!
তাই কাল থেকেই
জামাই সেজে ঘুড়ছে!
জান্নাত কে পেলেই
নাকি বিয়ে করে
ফেলবে! যেখানে পাবে
সেখানেই!!
কি আজব
ক্যারেক্টার!!!
যাইহোক জান্নাতের
বাবা তো রাগে আগুন!!
কারো কথায় তিনি
শুনছেন না!!ওনার এক
কথা, জান্নাতকে না
নিয়ে এখান থেকে
যাবেই না!!
……….. চলবে
#পর্ব : ৯
তাই কাল থেকেই
জামাই সেজে ঘুড়ছে!
জান্নাত কে পেলেই
নাকি বিয়ে করে
ফেলবে! যেখানে পাবে
সেখানেই!!
কি আজব
ক্যারেক্টার!!!
যাইহোক জান্নাতের
বাবা তো রাগে আগুন!!
কারো কথায় তিনি
শুনছেন না!!ওনার এক
কথা, জান্নাতকে না
নিয়ে এখান থেকে
যাবেই না!!
জান্নাতের বাবা
জান্নাতকে বলছে :-
তুমি যদি আজ আমার
সাথে না আসো,,
তাহলে আর কখনো
আমার বাসায় তোমার
কোন জায়গা হবে না!!
এতবড় কথা শুনেও
জান্নাতের শরীরের
একটা লোম ও নড়লো
না! মানে কোন
রিয়েক্ট ই করলো না এ
কথা শুনে!!
এটার মানে একটাই,
জান্নাত আমাকে প্রচুর
বিশ্বাস করে ফেলছে!
তার সাথে আমার উপর
অনেক আস্থা
রেখেছে !!
যানি না এই বিশ্বাস এর
ঠিকঠাক মূল্য দিতে
পারবো কি না!! তবে
আমি পুরো চ্রেষ্টা
করবো যাতে
জান্নাতের কখনো এটা
মনে না হয় যে,, সে ভুল
মানুষকে ভালোবাসে!
জান্নাতের বাবা আরো
নানা রকম ইমোশনাল
কথা বলতে থাকে! এক
সময় বিরক্ত হয়ে
গেলাম!!
তাই আমি জান্নাতের
বাবা কে বললাম :
জান্নাতের গর্ভে
আমার সন্তান আছে!!
সত্যি টা যানাতে দেরি
করে ফেলেছি, তবে
আজ বলতেই হচ্ছে!! এখন
আপনি নিয়ে যেতে
পারেন!!
জান্নাতের বাবা তবুও
জান্নাতকে নিয়ে
যেতে চাইলে!
জান্নাতের সাথে বিয়ে
হওয়ার কথা সেই
ছেলেটা বলল :
জান্নাতকে পছন্দ
করেছি ঠিক আছে! তবে
অন্যের সন্তান এর বাবা
হতে যাবো কেনো!!?
এই বলে ছেলেটা চলে
গেলো ” তবে যাওয়ার
আগে আমাকে বুকে
জড়িয়ে নিয়ে বলল :
ভাই অনেক বড় ধোকা
থেকে বাচিয়ে দিলে
অনেক অনেক ধন্যবাদ!!
ছেলেটা চলে গেলে
জান্নাতের বাবা
জান্নাতকে বলল :
হুসাইনের কথা কী
সত্যি???
জান্নাত : হুম!!
এরপর জান্নাতের বাবা
আর কোন কথা না বলে
আমাদের বাসা থেকে
চলে যায়!!
বাবা চলে যাওয়ার
সাথে সাথে, জান্নাত
আমাকে শক্ত করে
জরিয়ে ধরলো!! বুঝতে
পেরেছি জান্নাত এতখন
অনেক ভয়ে ভয়ে
ছিলো!!
আম্মু, আব্বু আমাদের
বিয়ে আজকেই করিয়ে
দিবে!
হালকা অনুষ্ঠান করে!!
বড় করে অনুষ্ঠান করবে
কিছু দিন পর
জান্নাতের বাবার
রাগটা মিটে গেলে!!
এখন শুধু জান্নাতের পক্ষ
থেকে জান্নাতের
আম্মু’ই আসবে আর কেও
না!!
বিয়েটা অবশেষে করেই
ফেললাম!! আমার সাথে
চোখ রাঙিয়ে কথা বলা
সেই জান্নাত বিয়ের পর
এখন আমার দিকে
তাকাতেই লজ্জায় লাল
হয়ে যাচ্ছে!
সারাটা দিন অনেক
ধকল গিয়েছে,
সিগারেট খাওয়ার টাইম
পাই নি!!
বিয়ের কাজ শেষ হবার
পর আমি একটু ফ্রী হতে
পেরেছি!!
তাই সুযোগ টা মিস
করলাম না!!
সিগারেট এর প্যাক
নিয়ে দৌড়ে ছাদে চলে
গেলাম!
পকেট থেকে সিগারেট
বের করতে যাবো এমন
সময় দেখি!! ছাদে
আমার কিছু আত্বীয়,
স্বজন সন্ধার হাওয়া
খাচ্ছে!!
তারা আমাকে দেখলেই
ডাক দিয়ে নানা রকম
পশ্ন করবে, কারন
সারাদিন আমাকে খুজে
পায়নি!!
তাই শব্দ ছাড়া আবার
নিচে চলে আসলাম,
এখন সিগারেট খাবো
কোথায় এ নিয়ে পড়ে
গেলাম মহা চিন্তায়
নিচেও অনেক লোক!!
তাই ভাবলাম,
বাসার বাহিয়ে গিয়ে
সিগারেট খেয়ে
আসবো!!
তাই নিচে এসে সবার
চোখের আড়ালে
আড়ালে গেইটের
সামনে আসলাম, চোখ
বুজে বাহিরের দিকে
দৌড় লাগাবো এমন সময়
পিছন থেকে কে যেনো
আমার হাত টেনে
ধরেছে!!
পিছন ফিরে দেখি
পাশের বাসার বুড়া
দাদা!!
আমি বললাম : কি
হয়েছে দাদা,, কিছু
বলবেন!!
( দাদা বুড়া মানুষ তাই
একটা কথা বলতে সময়
নেয় ৩,৪ মিনিট!!
এমনিতে সিগারেট এর
প্যারা আবার কি এক
জ্বালাতোন রে বাবা)
আমি আবারো বললাম :
কি কিছু বলবেন!!!
দাদা : মেয়ে পছন্দ
হয়েছে?? (২ মিনিট পর)
আমি : হুম প্রেম করে
বিয়ে করেছি যানো
না??
দাদা : ওওও প্রেরাম
করে বিয়া করছো ( এটা
দাদার ভাষা!! )
আমি : হুম, আচ্ছা এখন
আমি আসি!!
আমি চলে যেতে চাইলে
ওনি আমার হাত আরো
শক্ত করে চেপে ধরলো,
কি যেনো বলবে মনে
হচ্ছে!! কিন্ত ওনার
একটা কথা বলতেই ২
মিনিট লাগে!!
২ মিনিট পর দাদা
আবার বলল : কোথায়
যাও??
আমি : একটু বাহিরে
যাচ্ছি!!
দাদা আমার হাত
ছাড়ছেই না তবে এখন
আমি সিগারেট না
খেয়ে থাকতেই পারছি
নাহ্!!
তাই আমার আশেপাশে
ঘুরতে থাকা কিছু
আত্বীয়, স্বজন কে ডাক
দিলাম!!
তারা বলল : কি হয়েছে
হুসাইন ??
আমি : দাদা বলছে যে
ওনাকে নাকি ঠিক মত
কেও আদর যত্ন করেনি!!
আমার একটু বাহিরে
কাজ আছে আপনারা
দাদাকে ঠিকঠাক
যত্নঅাত্তি করে নিয়ে
আসেন!!
ওনারা দাদাকে বলল :
কী দাদা লজ্জা
পাওয়ার কি আছে!!
আসেন আমাদের সাথে!!
এই বলে দাদাকে
ওনারা নিয়ে গেলো!
যাক বাবা বাচাঁ
গেলো, এই ভেবে
গেইটের বাহিরে পা
দিবো এমন সময় পিছন
থেকে আপু বলল : কই
যাছ হুসাইন !!
আমি : এইতো একটু
বাহির থেকে ঘুড়ে
আসি!!
আপু : কোথাও যেতে
হবে না!! জান্নাত রুমে
একা বসে আছে!! রুমে
আয়!!
কি আর করার সিগারেট
এর অসমাপ্ত প্যারা
নিয়ে রুমে প্রবেশ
করলাম!!
রুমে গিয়ে দেখতে
পেলাম জান্নাত
বিছনাতে বসে আছে!!
আমাকে দেখেই বলে
উঠলো কই গিয়েছিলে??
আমি বললাম : এইতো
একটু বাহিরেই!!
জান্নাত : কেনো??
আমি : এমনি??
জান্নাত : এমনি না,
নিশ্চয় সিগারেট খেতে
গিয়েছো!!
আমি : ওহ্ বুঝে
ফেলেছো তাহলে!!
জান্নাত : হুমম!!
আমি তখন চুপ করে
বিছানায় বসলাম!!
জান্নাতের কানের
কাছে মুখ নিয়ে বললাম,
আচ্ছা সোনা একটা
সিগারেট খেতে
পারি??
জান্নাত : এত সুন্দর
করে যখন ডাক
দিয়েছো,
তাহলে এক কাজ করো
আমি : কি কাজ!!
জান্নাত : জাস্ট একটা
সিগারেট খাবে তারপর
গোসল করে আমার
কাছে আসবে!!
আমি : কেনো সিগারেট
খেলে গোসল করতে হয়
নাকি??
জান্নাত : হুম হবে
কারন, সিগারেট এর
ঘ্রান আমার একদম সহ্য
হয় না!!
কি আর করার সিগারেট
খেয়ে গোসল করেই
আসলাম!!
জান্নাত আমাকে চমকে
দিয়ে বলে উঠল : হুসাইন
আমার বাবু লাগবে!!
আমি : মানে??
জান্নাত : মানে আমরা
বাবু নেবো!!
আমি : বাসর রাত শুরুই
করলাম না, বাচ্ছার
কথা বলছো কেনো!!
জান্নাত : তাহলে তুমি
বাবা কে যে বললে
আমার গর্ভে নাকি
তুমার বাচ্ছা!!
আমি : হুম বলেছি
বিপদে পরে!!
জান্নাত : তাহলে এখন
আমি নিবো, কারন মা
হওয়ার ইচ্ছে জেগেছে
মনে!!
আমি : তুমি নিজেই তো
বাচ্ছা!!
জান্নাত : এত কিছু
যানি না আমার লাগবে
তো লাগবেই!!
বাসর রাতে পাগলিটার
কথা শুনে খুব হাসি
পাচ্ছিলো!!
যাইহোক বিয়ে যখন
করেছি বাসর রাত তো
করতেই হবে!!
আমি লাইট ওফ করে
জান্নাতের কাছে
যেতেই,
জান্নাত আমাকে
জরিয়ে ধরলো!!
আমি জান্নাতের
কপালে, গালে, ঠোটে
কিস করতে থাকি!!
সেদিন জান্নাতের ঠোটঁ
নরম চকলেট ভেবে,
কামুড় দিয়ে একটু ছিড়েই
ফেলেছি!জান্নাত
ব্যাথায় চিৎকার
করাতে বুঝতে পারলাম
এটা কোন চকলেট না
এটা জান্নাতের ঠোটঁ!
আরো অনেক কিছুই হলো
Hasbend, Wife এর
মাঝে যা হয় আরকি!!
অনেক রাত পর্যন্ত গল্প
করে,শেষ রাতের দিকে
ঘুমিয়ে পড়ি!!সকালে ঘুম
থেকে উঠে দেখি
জান্নাত পাশে নেই!!এত
সকাল সকাল কই যাবে!!
ঠিক তখনি আমার
ফোনে একটা ফোন
আসলো!!
রিসিভ করতেই ওপাশ
থেকে
বলে উঠলো : কী মিঃ
হুসাইন ঘুম কেমন হলো!!
জান্নাতকে খুজে
পাচ্ছো না তো,, তাই
না,,
জান্নাত কে আর
পাবেও না “!!
বড় ঝড় আসার আগ
মূহুর্তে কিন্ত সব কিছু
ঠান্ডা হয়ে যায়!!
কাল তোমাদের বাসা
থেকে ঠান্ডা ভাবে
চলে এসেছি আজকের
এই দিনটার জন্য,,
হাহাহা তুমি আমাকে
চিনো না হুসাইন !! যাই
হোক পারলে জান্নাত
কে খুজে নিও!! গুড বায়
সি,,ইউ!!!
এই বলে ফোন রেখে
দিলো, আমাকে কথা
বলার কোন সুযোগ ই
দিলো না!!
…………..চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here