“বেস্টফ্রেন্ড যখন বউ Part:10+11

Part:10+11
গল্প : বেস্টফ্রেন্ড যখন
বউ
লেখক :
Md. Anwar
Hussain
পর্ব : ১০
কাল তোমাদের বাসা
থেকে ঠান্ডা ভাবে
চলে এসেছি আজকের
এই দিনটার জন্য,,
হাহাহা তুমি আমাকে
চিনো না হুসাইন !! যাই
হোক পারলে জান্নাত
কে খুজে নিও!! গুড বায়
সি,,ইউ!!!
এই বলে ফোন রেখে
দিলো, আমাকে কথা
বলার কোন সুযোগ ই
দিলো না!!
এই বলে ফোন রেখে
দিলো, আমাকে কথা
বলার কোন সুযোগ ই
দিলো না!!
বিয়ের পর দিন বউ
গায়েব! বিষয়টা ভেবেই
কেমন যেনো শরীরের
লোম গুলো দাড়িয়ে
যাচ্ছে!!
আমি দৌড়ে নিচে
গেলাম”
আম্মুকে বললাম
জান্নাত কোথায়..???
আম্মু : জান্নাত তো ওর
বাবার সাথে বাহিরে
গিয়েছে!!
আমি : উফফ! মা যেতে
দিলে কেনো??
আম্মু : জান্নাতের
বাবা তো আজকে
ঠান্ডা ভাবে বলল যে :-
বিয়ে তো হয়েই
গিয়েছে যাইহোক এখন
আমার কোন রাগ নেই!!
তবে জান্নাতের দাদু
জান্নাত কে দেখতে
চাচ্ছে।
তাই জান্নাত কে
কিছুক্ষের জন্য
আমাদের বাসায় নিয়ে
যাবো! সমস্যা নেই
কিছুখন পর’ই আবার
দিয়ে যাবো!!
আমি : আমাকে না বলে
কেনো গেলো??
আম্মু : জান্নাত তোর
সাথে দেখা করার জন্য
বার বার উপরে আসতে
চাইছিলো!!
তবে জান্নাতের বাবা
বললো, হুসাইন তো এখন
ঘুমাচ্ছে! তো হুসাইনের
ঘুম ভাঙার আগেই
জান্নাত কে দিয়ে
যাবো সমস্যা নেই !!
আমি মাথায় হাত দিয়ে
ফ্লোলে বসে পড়লাম!!
এত বড় প্রতারণা আমার
সাথে হবে, সপ্নেও
কখনো ভাবিনি!!
আম্মু বলল : চিন্তা
করিছ কেনো একটু পরেই
দিয়ে যাবে!!
আমি : আর কখনো দিয়ে
যাবে না, একেবারে
নিয়ে গিয়েছে!!
আম্মু : কি বলিছ
এগুলা??
আমি : হুমম!!
আমি আর কিছু ভাবতে
পারছি না, আম্মু,ও চুপ
হয়ে গিয়েছে!!
বাইকটা বের করলাম
সাথে অনেক কিছু নিয়ে
গেলাম, হকস্টিক, সাথে
আরো কিছু জিনিস যে
গুলার নাম বলা যাবে
না!!
বেরিয়ে পড়লাম
জান্নাতদের বাসার
উদ্দেশ্যে নিয়ে!
আজ জান্নাত কে নিয়ে
আসার সময় যে আমাকে
বাধা দিবে, সোজা
কথায় তাকে লাশ করে
ফেলবো! সে
জান্নাতের বাবা,হোক
বা অন্য কেও!! কারন এত
কাহিনী আর ভালো
লাগছে না!!
জান্নাতের বাসায় এসে
দেখি দরজাতে তালা
জুলানো!
আমি জান্নাতের বাবা
কে ফোন দিলাম!
ফোন দিতেই রিসিভ
করে হ্যালো বলল!
আমি বললাম : মাদার**
কই তুই????
তোদের বাসায় তালা
জুলানো কেনো?
কি?? সুন্দরী মেয়ে জন্ম
দিছো বলে এত ভাব!!
এখন শুধু তোর সুন্দরী
মেয়ে না! জান্নাত এখন
আমার সুন্দরী বউ!!
জান্নাতের বাবা:
– ……….. ( নিশ্চুপ )
আবার আমি বললাম:-
আর কত বড় কলিজা
থাকলে আমার কাছ
থেকে বিয়ের পর দিন
জান্নাতকে নিয়ে চলে
গেলি!! সাহস থাকলে
সামনে আয় আমি
তোদের বাসার সামনে!!
জান্নাতথর বাবা বলল :
বাবা আমি এক গ্লাস
পানি খেয়ে এসে কথা
বলি!! আচ্ছা বাবা..
শশুড় এর সাথে কেও এমন
আচরন করে??
আমি : তাহলে কেমন
আচরন করবো সম্মান
দিয়ে কথা বলবো তাই
না??
জান্নাতের বাবা : হুম
তাছাড়া কী!!
আমি : আমি বয়স দেখে
সম্মান দেই না!চরিত্র
দেখে সম্মান দেই!
বিয়ের পর জান্নাতকে
আমার কাছ থেকে
আলাদা করে এখন
সম্মান ভিক্ষা চাওয়া
হচ্ছে??
জান্নাতের বাবা :
জামাই আমার পুরাই
আগুন!!
আমি : ভালো ভাবে
বলছি জান্নাত এখন কই
আছে!
ঠিকানাটা দেন আমি
গিয়ে নিয়ে আসছি!!
জান্নাতের বাবা বলল :
বললো না বলবো না!!
যা করার করো!!
আমি : ওকে ”
এই বলে ফোন রেখে
দিলাম!!
কি করবো বুঝতে না
পেরে রাগের মাথায়
“বাইক থেকে হকস্টিকটা
বের করে!জান্নাতদের
বাসার জানালার গ্লাস
গুলো ভাঙতে শুরু করে
দিলাম!!
সেখান থেকে একটা
কাচের টুকরো আমার
হাতে ডুকে যায়!!
সাথে সাথে অনেক রক্ত
বের হতে শুরু করে দেয়!!
এই অবস্থায় বাইক
চালাতে পারবো না!
তাই এক ফ্রেন্ড কে
ফোন দিলাম!এরপর ও
আমাকে হসপিটাল এ
নিয়ে গিয়ে! হাতের
ভিতর থেকে কাচের
টুকরো বের করে!
আরো ট্রিটমেন্ট করে!!
ফ্রেন্ড বলল : অনেক
হয়ছে এবার চল তোকে
বাসায় নামিয়ে দিয়ে
আসি!!
আমি বললাম :
জান্নাতকে না নিয়ে
আমি বাসায় যেতে
পারবো না!!
ফ্রেন্ড : তাহলে এখন
কি করবি??
আমি : আচ্ছা ঐ
টাকলার বাচ্ছা মানে
জান্নাতের বাবা
কোথায় চাকুরি করে
যানিছ!!
ফ্রেন্ড : হুম চিনি তো!!
আমি : চল তাহলে ওনার
অফিসে গিয়েই খুজ নেই
যদি কোন তথ্য পাওয়া
যায়!
তো যেই কথা সেই কাজ
ও আর আমি মিলে চলে
গেলাম! জান্নাতের
বাবার অফিস থেকে
কোন তথ্য পেলাম না!
তারা যানায় ওনি নাকি
২ দিন হলো অফিসে
আসছেন না!!
কি আর করার এক
আকাশ পরিমান
ডিপ্রেশন মাথায় নিয়ে
বাসায় ফিরলাম!!
বাসায় ডুকতেই আমার
চোখ কপালে উঠে
গেলো!!
কেননা দরজা তে নক
করতেই জান্নাত দরজা
খুলে দিলো!!
আমি তো পুরা অভাক!
এক দৃষ্টিতে জান্নাতের
দিকে তাকিয়ে রইলাম!!
জান্নাত বলল : ভিতরে
আসো!!
আমি ভিতরে যেতেই
দেখি ; ওমা
জান্নাতের,বাবা, মা
সহ জান্নাতের আরো
কিছু কাজিন আমাদের
বাসায় আমারি রুমে
বসে আড্ডা দিচ্ছে ”
অথচ জান্নাতকে আমি
সারা শহর খুজে
বেড়াচ্ছি!!
আমাকে দেখেই আম্মু
বলে উঠলো : বলে
ছিলাম না, জান্নাতকে
একটু পরেই দিয়ে যাবে!!
আমি কিছু বললাম না!!
কারন রাগের মাথায়
জান্নাতের বাবার
সাথে অনেক খারাপ
আচরন করে ফেলেছি!
খারাপ ভাষায়
গালিগালাজ ও
করেছি!!
ভেবেছিলাম
জান্নাতের বাবা হয়তো
শয়তান টাইপের মানুষ!!
তবে এখন বুজতে
পারলাম ওনিয়ো আমার
বাবার মতই সহজ, সরল!!
এখন জান্নাতের বাবার
কাছে ক্ষমা চাইতে
হবে! কিন্ত কি ভাবে
সেটা বুঝতেছি না!!
কেও কিছু বুঝার আগেই
আমি জান্নাতের বাবার
কাছে গিয়ে মাথা
নিচের দিকে ঝুঁকিয়ে
বললাম :
আমার ভুল হয়েছে “!!
আপনি মজা করেছেন
আর আমি এটা সত্যি
ভেবেছি!!
কারন হলো আমাদের
বিয়েটা আপনার ইচ্ছের
বিরুদ্ধে হয়েছে!! তাই
ভেবেছি সত্যি সত্যি
আপনি জান্নাতকে
নিয়ে গিয়েছেন!!
বিয়ের পরদিন এমন কিছু
হবে কল্পনাও করতে
পারিনি তাই রাগের
মাথায় আপনাকে অনেক
কথা শুনিয়েছি!! প্লিজ
আমাকে আপনার ছেলে
ভেবে মাফ করে দেন!!
জান্নাতের বাবা তখন
উঠে দাড়িয়ে ” আমার
কাদেঁ হাত রেখে বললো
: তোমার কোন ভুল হয়নি
ভুল তো আমার হয়েছে!
জান্নাতের কথায় কাজ
করে!!
জান্নাতকে ওর দাদু
দেখতে চেয়েছিলো
বলে বাসায় নিয়ে
আসছি!! তুমি ঘুমাচ্ছিলে
তাই আর বিরক্ত করিনি
ভেবেছি তুমি ঘুম থেকে
উঠার আগেই জান্নাত
কে রেখে যাবো!!
কিন্ত জান্নাত বললো
তোমাকে ফোন দিয়ে
ওসব কথা বলে পরিক্ষা
নিতে চেয়েছিলো !!!
বিশ্বাস করো জান্নাত
লেখে দিয়েছিলো, আর
আমি ওগুলা পড়ে পড়ে
তোমাকে বলেছি!!
( আমি মনে মনে
ভাবলাম জান্নাতের
কাছে শয়তান ও হার
মেনে যাবে!! এটা তো
সামান্য বিষয় )
আমি : ওহ্ আচ্ছা তাহলে
পরিক্ষা নিয়ে কি
বুঝলেন! আমি কি
পরিক্ষায় পাশ করতে
পেরেছি??
জান্নাতের বাবা : হুম
পাশ না!! তুমি ১০০ তে
১০০ পেয়েছো!! যানোই
জান্নাত ছাড়া আমার
আর কোন ছেলে মেয়ে
নেই!! ছোট বেলা
থেকেই জান্নাতের সব
ইচ্ছে পূরন করেছি!! ওর
বিয়েটা আমার ইচ্ছে
তে দেবো বলে!!
কিন্ত শয়তান মেয়েটা
চালাকি করে ঠিক সময়
বাসা থেকে বের হয়ে
তোমার কাছে চলে
এসেছে!!
তবে তোমাকে আমার
খুব পছন্দ হয়েছে!!
শেষ কথা হলো জান্নাত
কিন্ত আমার খুব আদুরী
মেয়ে!! আশা করবো
তুমি আমার থেকেও
বেশি আদর করবে
জান্নাত কে!!
আমি : হুম অবশ্যই।
আচ্ছা আপনারা কথা
বলেন।
আমি জান্নাত কে
নিয়ে পাশের রুমে
গেলাম, কিছু কথা আছে
ওর সাথে!!!!
জান্নাত যেতে চাইলো
না!!!
কারন ও বুঝে
গিয়েছিলো ” আমি
অনেক রেগে আছি!!
আর বার বার আমার
কাটা হাতটার দিকে
তাকাচ্ছিলো!! কি
হয়েছে এটা হয়তো বলার
সাহস পাচ্ছে না!! তো
জান্নাত কে এক প্রকার
জুর করেই পাশের রুমে
নিয়ে গেলাম!!
…………….চলবে
পর্ব : ১১
জান্নাত যেতে চাইলো
না!!!
কারন ও বুঝে
গিয়েছিলো ” আমি
অনেক রেগে আছি!!
আর বার বার আমার
কাটা হাতটার দিকে
তাকাচ্ছিলো!! কি
হয়েছে এটা হয়তো বলার
সাহস পাচ্ছে না!! তো
জান্নাত কে এক প্রকার
জুর করেই পাশের রুমে
নিয়ে গেলাম!!
জান্নাতকে পাশের রুমে
নিয়ে গেলাম!
জান্নাতের দিকে
তাকাতেই চমকে
গেলাম, ঝামেলা
লাগিয়ে দিয়ে, এখন
এমন ভাবে আমার দিকে
তাকিয়ে রয়েছে যেনো
পৃথিবির সব থেকে
নিষ্পাপ মুখ গুলোর মধ্যে
একটা!!
জান্নাত বলল : সরি!!
আমি : এত বড় ঝামেলা
লাগিয়ে মাত্র দু
অক্ষরের সরি!!
জান্নাত : তাহলে কী
করতে হবে বলো!!
আমি : ২ টাকার
মাড়বেলের মত বড় বড়
চোখ করে তাকিয়ে না
থেকে!! কাজের কথায়
আসো!!
জান্নাত : কাজের কথা
মানে??
আমি : মানে, আমি
রাগের মাথায়
তোমাদের বাসার সব
জানালার গ্লাস গুলো
ভেঙে দিয়েছি সো!!!
জান্নাত : সো কি
তারাতারি বলো!!
আমি : সো ঐ গুলার
জরিমানা তুমি দিবে,
যানি আমার বড়লোক
শশুড় কিছু বলবে না!তবে
আমার একটা সম্মান
আছে না ” তাই
আমাকেই ঠিক করে
দিতে হবে!!
জান্নাত : হুম তুমি
ভেঙেছো তুমিই ঠিক
করে দাও!
আমাকে বলছো কেনো??
আমি : ও,,হ্যালো
তোমার জন্য এসব
হয়েছে!!
জান্নাত : আমি কি
তোমাকে আমাদের
বাসার গ্লাস গুলো
ভাঙতে বলেছি নাকি??
আমার ঘুম পাচ্ছে আম্মুর
কোলে সুয়ে থাকবো,,
গেলাম!!
এই বলেই জান্নাত পিছন
ফিরেই চলে যেতে
থাকলো!!
আমি বললাম : এই
জান্নাত শুনো তো!! ঐ
জান্নাতের বাচ্ছা
কানে শুনিছ না নাকি??
ওমা জান্নাতের তো
পিছনে তাকানোর
নাম,ই নেই!!
দূর চলেই গেলো!! ও
হয়তো ভাবছে,, আমাকে
বোকা বানিয়ে বেচে
গিয়েছে!!
আমি আবারো জান্নাত
কে ডাক দিতেই,
জান্নাত চোখ দিয়ে
ইশারা করে আমাকে
ওখানে যেতে বলছে!!
আমি ওখানে না গিয়ে
রুমে এসে” ভাব নিয়ে
ফোন কানে নিয়ে বলতে
থাকলাম : হ্যালো জানু
কি করছো!!
আচ্ছা আজকে কোন
কার্লারের শাড়ি
পড়েছো!!
জান্নাত এটা শুনা
মাত্রই আমার দিকে দ্রুত
ছুটে আশে!
এসে আমার ঠিক পাশে
দাড়িয়ে শুনার চ্রেষ্টা
করে আমি কার সাথে
কথা বলছি!! তখনি আমি
রুমের মধ্যেই পায়চারী
শুরু করে দিই জান্নাত
আমার পিছু পিছু ঘুরঘুর
করতে থাকে!!
হঠাৎ করেই আমার হাত
থেকে ফোন কেড়ে
নিয়ে দেখে কেও ফোন
দেয়নি শুধু শুধু ভাব
নিচ্ছি!!তখন জান্নাত
আমার দিকে ভ্রকুচে
তাকালো!!
আমি জান্নাত কে
জরিয়ে ধরে বিছানায়
শুয়িয়ে দিলাম!!
আমি বললাম : তোমার
নাকি ঘুম পাচ্ছে তো
এবার ঘুমাও!!
জান্নাত বলল : তোমার
কাহীনি দেখে ঘুম চলে
গিয়েছে!!
বলতে ভুলে গিয়েছি
জান্নাতের নাকটা
অনেক সুন্দর লাগে
আমার কাছে! কারন ওর
যখন রাগ উঠে তখন
নাকটা ফুলে যায়!!মনে
হয় এখনি ফেটে যাবে!!
জান্নাতের নাক হাত
দিয়ে চেপে ধরে! ওর
ঠোঁটে কামুড় বসিয়ে
দিলাম!!
একটু পর জান্নাত শ্বাস
নিতে পারছে না বলে!!
আমার পিঠে চড় মারতে
থাকে!!
তখন আমি ছেরে
দিলাম!!
জান্নাত হাপাতে
হাপাতে বলল :
আমার,,আমার,,,শ্বাস
আটকে মেরে ফেলতে
চাও নাকি??
আমি : একদম ই না!!
জান্নাত : তাহলে এমন
করলে কেনো??
আমি : সকালে তুমি
আমাকে ঠিক এমন ভাবে
মেরে ফেলতে
চেয়েছিলে!!
জান্নাত : কী বলো
এসব, আচ্ছা কেমন
করে??
আমি : অক্সিজেন ছাড়া
মানুষ কি বাচাঁতে
পারে??
জান্নাত : না!
আমি : তুমি সকালে
আমার কাছ থেকে দূরে
চলে গিয়ে, তোমার
বাবাকে দিয়ে যখন ঐ
সব কিছু বলিয়েছো!!
বিশ্বাস করো তখন
আমার শ্বাস নিতে খুব
কষ্ট হচ্ছিল!! কারন
তুমিই আমার
অক্সিজেন!!
এই কথা বলার সাথে
সাথে ধপাস করে
জান্নাত আমাকে বুকে
জরিয়ে শক্ত করে চেপে
ধরে বললো : সরি!! আর
কখনো এমন করবো না
প্রমিস!!
আমি : হুম ভালো!!
জান্নাত : আচ্ছা এক
কাজ করো!!
আমি : কি কাজ??
জান্নাত : আবারো
আগের মত আমার ঠোটেঁ
কামুড় দিয়ে শ্বাস
আটকে মেরে ফেলো !!
আমি : আবারো কিস
খাওয়ার ধান্দা খুব
চালাক তাই না!! কিন্ত
আগের বার শুধু উদাহরণ
দিতে কিস করেছি! সো
আর দিতে পারবো না!!
জান্নাত : এখন কিস
দিবি না??
আমি : ঐ তুই করে বলবি
না! ”
জান্নাত : কি করবি তুই
১০১ বলবো,, তুই তুই তুই!!
আমি : মাত্র চার বার
হয়ছে আরো ৯৭ বার বল!!
এমন সময় পাশের রুম
থেকে জান্নাতের
বাবার ডাক শুনতে
পেলাম!!
জান্নাতের বাবা বলল :
আজকে তাহলে আমরা
আসি!
কিছুদিন পর তোমাদের
বিয়ের জন্য বড় করে
অনুষ্ঠান পালন করবো!!
আমি : ওকে!!
তবে অনেক চিন্তা
হচ্ছিল কারন তারা তো
বাসায় যেতেই দেখতে
পারবে! তাদের বাসার
জানালার সব গ্লাস
ভাঙা!
সে যাইহোক পরে দেখা
যাবে!
এর আগে এক ফ্রেন্ড
কিছুক্ষন আগে ফোন
দিয়ে আমাকে বাইক
নিয়ে যেতে বলল!
বিপদে পড়ছে বললো
তাই বাইক নিয়ে
বেড়িয়ে পড়লাম!!
ফ্রেন্ড জিসান এর
কাছে যেতেই জিসান
বলল :
আজকে নাকি ওর Gf এর
বার্থডে তাই আমাকে
সাথে নিয়ে Gf এর
সাথে দেখা করতে
যাবে!!
আমি আর জিসান
গেলাম!যেতেই দেখতে
পেলাম, জিসান এর GF
সহ আরো অনেক মেয়ের
উপস্থিতি!!
আমি জিসান কে
বললাম, তুই দেখা কর
আমি এখানেই বাইকেই
বসে থাকি!!
কিন্ত জিসান আমাকে
নিয়েই গেলো!দেখা
করার এক পর্যায়ে
জিসান এর দরকারি
একটা ফোন আসে তাই
জিসান তাড়াহুড়া করে
সেখান থেকে চলে যায়!
যাওয়ার আগে আমাকে
বললো যে! ওর Gf কে
বাসায় নামিয়ে দিয়ে
আসতে!!
আমি জিসান এর Gf কে
বললাম : আপনি নিশ্চয়
আমার সাথে যাবেন
না!! তাহলে আমি
আসছি, আপনি এখান
থেকে সোজা চলে
যান!!
জিসানের Gf বলল :
জ্বি, না আপনি
আমাকে নামিয়ে দিয়ে
আসবেন!!
তো কি আর করার!!
তবে রাস্তায় ওনি
বললো : ওনার এক
ফ্রেন্ড নাকি আমাকে
পছন্দ করেছে!!
আমি : পছন্দ করতেই
পারে এতে এমন কি
হয়ছে?
ওনি বলল : যদি বলি
ভালোবাসে!!
আমি : বিয়ে করেছি
এটা জিসান আপনাকে
বলে নি??
ওনি বলল : হুম যানি তাই
কি হয়েছে? বউ থাকবে
ঘরে আর Gf থাকবে
বাহিয়ে সিম্পুল!!
আমি এই কথা শুনেই
বাইক থামিয়ে!!
জিসান এর Gf কে
বললাম : বাইক থেকে
নামেন!!
জিসান Gf : কেনো কি
হলো আবার??
আমি : নামকে বলছি
নামেন!!
জিসান এর Gf কে মাঝ
রাস্তায় নামিয়ে দিয়ে
বাসায় চলে আসলাম!!
কারন তার কথা আমার
ভালো লাগেনি এসব
টাইপের
ছেলে,মেয়েদের জন্য
বিবাহিত অনেক
সংসারের শান্তি নষ্ট
হয়ে যায়!!
ভালো লাগতে পারে
অনেক জন কে এটা ঠিক
আছে!!
তবে ভালোবাসতে হয়
একজন কেই!!
বিঃদ্রঃ.. অনেক জন
বলে আমি গল্প কপি
করে ছাড়ি..
যারা মনে করেন গল্প
কপি করে ছাড়ি.. তারা
আমার আইডি অনফ্রেন্ড
করে দিবেন.. আর
আমার আইডি থেকে
1000 মাইল দুরে
থাকবেন .. আপনার মত
পাঠক আমার দরকার
নেই.. একটি গল্প
লেখলে অনেক কষ্ট হয়..
কিন্তু আপনারা লেখেন
না তাই বোঝেন না..
আশা করি প্রত্যেক গল্প
প্রেমিক ভাই ও
বোনেরা বুঝতে
পেরেছেন…… এবার
গল্পের আসা যাক
বাসায় আসতেই প্রথমে
জান্নাতের কাছে
বসলাম!
তবে আমি ওর কাছে
বসাতেই ও আমার থেকে
দূরে চলে যায়!!
আমি বললাম : কি
হয়েছে এমন করলে
কেনো??
জান্নাত : কার সাথে
দেখা করে আসছো
সত্যি কথা বলো??
আমি সব কিছু খুলে
বললাম! কারন জান্নাত
আমার শরিরে অন্য
কারো ঘ্রাণ পেয়েছে
হয়তো!!
কি তিক্ষ্নো ঘ্রাণ
শক্তি!! সত্যি
অসাধারণ!!
জান্নাত বলল : আচ্ছা
যাও গোসল করে আসো
আগে এরপর একটা কথা
বলবো!!
আমি : কি কথা এখনি
বলো !!
জান্নাত : না,, আগে
গোসল করে এসো!
তোমার শরিরের মধ্যে
থেকে অন্য মেয়েদের
পার্ফিউম এর ঘ্রাণ বের
হচ্ছে যেটা আমার সহ্য
হচ্ছে না!!এখন বেশি
বুঝলে লাথি মেরে
বিছানা থেকে ফেলে
দিবো!! একে তো
মেয়ের সাথে দেখা
করে আসছো!! আবার
আমার মুখে মুখে কথা
যাও গোসল করে আসো!!
আমি আর কিছু বললাম
না চুপচাপ গোসলে চলে
গেলাম “” বলতে পারেন
জান্নাতের কথায় কিছু
টা ভয় পেয়েছি!
জান্নাত মেয়ে হলে কি
হবে!!
ওর, কিল,ঘুষি লাথির
যে একটা হিট”” আমি
আগেও ফ্রেন্ড
থাকাকালীন খেয়েছি!!
এখনো মনে পরে সেই
কথা!! তাই আর কথা না
বারিয়ে গোসলে চলে
গেলাম!!
———- চলবে না
——–দৌড়াবে-
———

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here