নেশাক্ত ভালোবাসা পর্ব-০২+৩

#নেশাক্ত_ভালোবাসা
#Season_2
#লেখিকাঃ Tamanna Islam
#পর্বঃ ২ + ৩

বেশ অনেকটা সময় পর আইরাত তার বাড়িতে আসে। আইরাত গাড়ি থেকে নেমে পরলেই ড্রাইভার গাড়ি নিয়ে চলে যায়। সে আস্তে ধীরে বাড়ির ভেতরে যেতে লাগে। আর ভেতরে যেতেই সাবিলা শেখ (আইরাতের ফুপু) এক চিল্লানি দিয়ে ওঠেন…

সাবিলা;; ওইতো, ওইতো এসে গেছে মহারাণী। কিরে সারারাত কোথায় ছিলি? বাড়ি আসিস নি কেনো আর কপাল কাটলো কিভাবে?

সাবিলার কথাতে চমকে গিয়ে অনামিকা খাতুন দ্রুত নিজের পেছনে দরজার দিকে তাকান। দেখে আইরাত দাঁড়িয়ে আছে। আইরাতকে দেখেই অনামিকা এগিয়ে যান।

অনামিকা;; কিরে কোথায় ছিলি তুই? এত্তো বার ফোন করলাম বন্ধ দেখায়। অবনি (আইরাতের ফ্রেন্ড) কে যে ফোন করবো তারও নাম্বার ছিলো না। ছিলি কোথায় সারাটা রাত তুই হ্যাঁ? এভাবে একটা মেয়ে বাড়ির বাইরে থাকে রাতে? আর একি কপালে ক্ষত কেনো, কি হয়েছে?

আইরাত;; আস্তে মা প্লিজ হাইপার হইয়ো না। সব বলছি।

সাবিলা;; আর কি বলবি তুই, তোকে তো দেখেই বোঝা যাচ্ছে যে কোথায় ছিলি রাতে আর কি কি করেছিস!

অনামিকা;; সাবিলা! মুখ সামলে। ভুলে যেও না আমার সামনে তুমি আমাকে মেয়েকে কথা বলছো। যা বলছো একটু খেয়াল করে বলো।

সাবিলা তার মুখটাকে একদম বিষ বানিয়ে দিয়ে অন্য পাশে ঘুড়ে তাকান। আইরাত গিয়ে সোফার ওপর বসে পরে। পা কেটে গেছে যার দরুন বেশি হাটতে বা দাঁড়িয়ে থাকতে কষ্ট হয় তার। আর সেই মহিলাটি হচ্ছেন আইরাতের ফুপু সাবিলা শেখ। আইরাতের বাবার ছোট বোন। স্বভাবতই একটু কুটনি টাইপের মহিলা। আইরাতের মা অনামিকাও আইরাতকে এতোটা শাসন করেন না যতটা সাবিলা করতে চায় তাকে। কিন্তু আইরাতের কাছে এগুলো নিতান্তই বেশ বিরক্তিকর আর আজাইরা লাগে। তাই এড়িয়ে যায়। আর সাবিলা তাকে কিছু বললেও আইরাত যেনো সহ্য করতে পারে না তাই পাল্টা জবাব টা তার ফুপির জন্য সবসময় তৈরিই থাকে। আর সাবিলার একটা গুনধর ছেলে আছে নাম নিলয়। বলা যায় বড়োলোকের বিগড়ে যাওয়া ছেলে। আর সাবিলা তাকেই আইরাতের সাথে বেধে দিতে চায়। মানে আইরাতের সাথে নিলয়ের বিয়ে দিতে চায় কিন্তু আইরাত আর তার মা অনামিকা এতে কখনোই মতো দিবে না। অনেকবার ইশারা ইঙ্গিতে সাবিলা কে এই কথা বুঝাতে চেয়েছে কিন্তু সে তো সেই। যাই হোক আইরাত সোফাতে পা গুলো তুলে বসে। পা গুলো ওপরে তুললে অনামিকা দেখে আইরাতের পায়েও কেটে গেছে। এটা দেখে যেনো আর তিনি ঠিক থাকতে পারলেন না।

অনামিকা;; কিরে এতো জায়গায় ব্যাথা পেয়েছিস কীভাবে? আচ্ছা কি হয়েছে তা কি বলবি তুই?

আইরাত;; আসলে আমি অবনির বাসাতেই ছিলাম। মানে আমার কাজ শেষ করে ফিরতে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছিলো বুঝলে আর আসলে আবনির গতকাল জন্মদিন ছিলো তো তাই আমাকে এক প্রকার টেনেই নিয়ে গিয়েছে। আমাকে ছাড়তেই চাইছিলো না। আর কোন উপায় না পেয়ে থেকে যাই। কাল বাসায় আসলে কারেন্ট ছিলো না তো তাই ফোনের ব্যাটারি অফ ছিলো। আড্ডা দিতে দিতে মাথা থেকে বেরই হয়ে গিয়েছিলো। আর এই ব্যাথা গুলো আর বলো না রাস্তায় আসার সময় পরে গিয়েছিলাম। সমস্যা নেই ঠিক হয়ে যাবে।

আইরাতের কথায় অনামিকা কেমন মিথ্যে মিথ্যে গন্ধ পাচ্ছে। কিন্তু তবুও বাদ দেয় এই প্রসঙ্গ।

আইরাত;; আচ্ছা তো কি করো সবাই আর ফুপি কখন এসেছো তুমি?

সাবিলা;; এসেছি এইতো ঘন্টা খানেক হবে।

আইরাত;; হুমম ভালো।

অনামিকা;; ফ্রেশ হয়ে খেতে আয় জলদি। সাবিলা তুমিও এসো।

সাবিলা;; না না আমি এখন আর খাবো না কিছু। আমি যাই পরে আবার আসবো।

আইরাত;; না আসলেই ভালো (ফিসফিস করে)

অনামিকা আইরাত কে কিছুটা গুতো দিয়ে চুপ করে থাকতে বলে।

সাবিলা চলে যায়। আর আইরাত নিজের ব্যাগ টা হাতে নিয়ে রুমে চলে আসতে যাবে তখনই অনামিকা তার হাত ধরে থামিয়ে দেয়।

আইরাত;; মা

অনামিকা;; সবকিছু সত্যি ছিলো তো?

আইরাত;; হ্য হ হ্যাঁ মা, এখন আমি যাই।

আইরাত নিজের রুমে চলে যায়। আইরাত রুমে গিয়েই তার দরজা লাগিয়ে দম ছাড়ে। ব্যাগ টা বিছানাতে রেখে দেয়। কাল কি হয়েছে তাই ভাবতে লাগে। ভাবা যায়,, আব্রাহাম অর্থাৎ যার নামেই কিনা রিপোর্ট করেছে তার কাছেই সে রাতে ছিলো। তাও আবার ভুয়া রিপোর্ট। ভাগ্যিস কাল রাতে আব্রাহাম ছিলো নয়তো সত্যি সত্যি ওই মেয়ে পাচারকারী লোকদের হাতে তাকে মরতে হতো। কিন্তু আব্রাহাম তো বললো যে সেও নাকি আইরাতকে খুন করার ফন্দি আটছিলো। যাক কিছু তো আর করেনি। আইরাত উঠে গিয়ে ফ্রেশ হতে চলে যায়। কপালে পানির ফোটা গুলো পরতেই যেনো তীব্র জ্বালাপোড়া শুরু হয়ে যায়। তবুও ফ্রেশ হয়ে চুল গুলো মুছতে মুছতে এসে পরে। এসেই দেখে বিছানার ওপর ফোন বাজছে। হাতে নিয়ে দেখে অবনির কল।

আইরাত;; হ্যালো…

অবনি;; কিরে কোথায় তুই?

আইরাত;; মাত্র বাসায় আসলাম।

অবনি;; কি?

আইরাত;; আব…না মানে কিছুনা আমি বাসায়।

অবনি;; অফিসে আসলি না কেনো? জানিস কতোগুলো মাসালা দার খবর পেয়েছি।

আইরাত;; যেমন?

অবনি;; কোন যেনো এক গ্রামে একটা একশ বছরের বুড়ো বাবা হয়েছেন।

আইরাত;; হুয়াট?

অবনি;; আরে হ…

আইরাত অবনির কথা শুনে হাসতে হাসতে প্রায় পরেই যায়। সিরিয়াসলি! বড়ো নানা-দাদা হবার বয়সে বাবা হচ্ছে মানুষ।

অবনি;; আচ্ছা তুই কি অফিসে আসবি?

আইরাত;; না এখন আর অফিসে যাবো না। শোন এককাজ কর বাইরে আয় দেখা করি।

অবনি;; আচ্ছা।

আইরাত;; আর পারলে ওই হাদারাম তৌফিক কেও নিয়ে আসিস।

অবনি;; আচ্ছা। তাহলে আমরা কিছুক্ষণ পর বের হচ্ছি।
আইরাত;; ওকে

এই বলেই আইরাত ফোন কেটে দেয়। নিচে নেমেই দেখে অনামিকা টেবিলে খাবার বাড়ছে।

অনামিকা;; আয় দেখি খাইয়ে দিচ্ছি।

আইরাত;; হুমম।

অনামিকা একদম ঠেসে ঠেসে আইরাত কে খাইয়ে দিতে লাগে।

আইরাত;; আরে আস্তে তো।

অনামিকা;; আমার কাছে ঠেসে ঠুসে খাওয়াতে মানে একদম পেট ভরিয়ে খাওয়াতে অনেক ভালো লাগে।

আইরাত;; হ্যাঁ তোমার তো লাগবেই। আচ্ছা আমি আর খাবো না।

অনামিকা;; আরে মাত্র কয়েক লোকমা খেলি আরো খা!

আইরাত;; পেটে জায়গা নেই মোটেও।

অনামিকা;; কি, তুই কি ডায়েট করছিস নাকি?

আইরাত;; এই জিনিস টা আমার দ্বারা সম্ভব না। আর আমি একটু বাইরে যাচ্ছি।

অনামিকা;; ব্যাথা না পেয়েছিস আবার বাইরে যাবি!

আইরাত;; আরে এইটুকু ব্যাপার না ভালো হয়ে যাবে। আর কিছু কাজ আছে তাই যাচ্ছি।

অনামিকা;; আচ্ছা সাবধানে যাস আর জলদি ফিরে আসিস।

আইরাত;; আচ্ছা।

আইরাত ওপরে গিয়ে রেডি হয়ে নেয় তারপর চলে যায়। একটা ফাস্ট ফুডের শপ আছে সেখানেই অবনি আর তৌফিক বসে ছিলো, আইরাতেরও সেখানেই আসার কথা। আইরাতের যেতেই অবনি তাকে দেখে হাসে তবে তার কপাল আর হাতের দিক টা নজরে পরতেই অবনির হাসি উধাও। আইরাত এসে টেবিলে বসে পরে তাদের সামনে।

আইরাত;; What’s up guy”s…

অবনি;; ব্যাথা পেলি কি করে রে?

আইরাত;; কাহীনি আছে।

তৌফিক;; তোর তো রোজ রোজ কিছু না কিছু কাহীনি থাকেই।

আইরাত;; এই বারের টা আলাদা।

অবনি;; আচ্ছা কি হয়েছে এখন কি খুলে বলবি!

আইরাত;; যার খোঁজে ছিলাম মানে যাকে নিয়ে আমি এতো বড়ো একটা কথা ইতোমধ্যে রটিয়ে দিয়েছি তার কাছেই ধরা খেয়েছি। অল্পের জন্য মরতে মরতে বেঁচেছি।

তৌফিক;; মানে?

আইরাত;; Guess what?

অবনি;; হুয়াট?

আইরাত;; আব্রাহাম আহমেদ চৌধুরীর বাসায় ছিলাম আমি কালরাত। যদিও তা একটা কাকতালীয় ব্যাপার।

তৌফিক;; কিইইইইইইই? এই কি কস? তুই কালকে মানে আব্রাহাম স্যারের বাসায় ছিলি। সত্যি??

আইরাত;; জ্বি।

অবনি;; মানে যার নামে….

আইরাত;; আজ্ঞে হ্যাঁ যার নামে আমি মেয়ে পাচারের অভিযোগ লাগিয়েছি সেই।

তৌফিক;; ওহ গড। তুই এখনো বেঁচে আছিস আমার বিশ্বাস হয় না।

অবনি তার সামনে থাকা পানির বোতল নিয়ে ঢকঢক করে পানি খেয়ে নেয়। তারা আইরাতের কথা বিশ্বাস করেছে কেননা মিথ্যা কথা বলার মতো মেয়ে আইরাত না।

আইরাত;; আসলে কাল অল্পের জন্য এইসব লোক মানে যারা ট্রাফিকিং এর সাথে জড়িত তাদের হাতের নাগাল থেকে বেঁচেছি। তারা আমাকে দেখে ফেলেছিলো। আমি তো দৌড়, রাস্তায় পরে গিয়েছিলাম হোচট খেয়ে তাই এভাবে ব্যাথা পেয়েছি। সত্যি ভয় পেয়েছিলাম কাল রাতে তাই সামনে কে আছে তা না দেখেই হেল্প চাই। পরে আর কিছু মনে নেই আমার। যখন জ্ঞান ফিরে তখন নিজেকে একটা আলিশান ঘরে আবিষ্কার করি আর তার কিছুক্ষন পরেই নিজের সামনে আব্রাহাম আহমেদ চৌধুরী কে৷ বিশ্বাস কর এক মূহুর্তের জন্য তো তাকে দেখে আমার পরাণ পাখি উড়ালই দিয়েছিলো। আর জানিস আমি বুঝতে পেরেছি যে এই সব কাজে অর্থাৎ স্পেশালি মেয়ে পাচারকারী দের সাথে তো আব্রাহাম চৌধুরীর কোন যোগাযোগই নেই। সে এগুলোর ধারে কাছেও নেই। আমি অযথা একটা মানুষের নামে মিথ্যে অপবাদ দিলাম সব না জেনে বুঝেই ধ্যাত।

আইরাতের সব কথা শুনে তৌফিক আর অবনি দুজনেরই সোজা মাথায় হাত।

আইরাত;; আমি তো ভেবেছিলাম আব্রাহাম চৌধুরী রাগে আমাকে মেরেই ফেলবে কারণ কাজই করেছি আমি এমন কিন্তু না বাইচ্চা আছি বইন আমি।

অবনি;; আন্টি জানে এগুলো?

আইরাত;; আরে না না কি বলিস। আম্মু জানবে তাও এগুলো প্রশ্নই আসে না। আম্মু কে বললে সে আমাকে বাসা থেকেই আর বের হতে দিবে না। আর আমার এতো স্বাধের চাকরি টাও যাবে৷ আমি মা কে এটা ওটা বলে বুঝ দিয়েছি আর বলেছি যে আমি গতকাল তোর বাসাতে ছিলাম ব্যাস।

অবনি;; কি? শেষে কিনা আমার কথা বললি?

আইরাত;; হুমমম।

অবনি;; যাক বলেছিস ভালো করেছিস। আচ্ছা শোন না আইরু!

আইরাত;; কি?

অবনি;; আহাম…আহাম মানে বলছিলাম কি যে আব্রাহাম চৌধুরী তো অনেক বেশি হ্যান্ডসাম হবে তাই না বল। আমি তো টিভির সামনে গিয়ে বসে থাকি যে কখন তাকে দেখাবে। হায় তার হাটা, কথা বলার স্টাইল, উনার ওই পারসোনালিটি দেখেই আমি তো ক্রাসের সাগরে ডুবে যাই। বল না বল না অনেক চার্মিং হবেন উনি তাই না!

আইরাত তার চোখ গুলো ছোট ছোট করে তাকিয়ে থাকে অবনির দিকে। যেখানে কাল রাতে আইরাতের জীবন নিয়ে টানাটানি লেগে গিয়েছিলো সেখানে এই মেয়ে কিনা আব্রাহামের চার্মিং ন্যাস নিয়ে পরে আছে। তার এত্তো রাগ হলো সে সোজা অবনির চুল ধরে দেয় এক টান। অবনি ব্যাথা পেয়ে মাথায় এক পাশে হাত দিয়ে ডলতে লাগে।

তৌফিক;; আচ্ছা শোন সবাই আগামীকাল একটা কনফারেন্স মিটিং আছে ওকে। সেখানে সব ভিপি রা আসবে। সো মেয়েরা হাতে পেন & নোট নিয়ে বসে পরো। তোমাদের কেই সব সামলাতে হবে।

আইরাত;; আর তুই কি মুড়ি ভাইজ্জা বালু খাবি?

তৌফিক;; আরে না রে আমিও থাকবো সেখানে।

আইরাত;; হুম বুঝলাম।

আরো বেশ সময় সবাই একসাথে থেকে আড্ডা দিয়ে এসে পরে। তিনজন তিন দিকে চলে যায়। তবে আইরাত যখন ফুড শপের বাইরে আসে তখন সে হাটছিলো। আকাশে মেঘ করেছে। ইতোমধ্যে ছিটেফোঁটা বৃষ্টিও নেমে পরেছে। আইরাত যতই হাঁটছে ততই তার কেমন যেনো মনে হচ্ছে। মনে হচ্ছে কেউ একজন তাকে ফলো করছে। আইরাত হাঁটলে সেও হাঁটছে আর আইরাত থামলে সেও থামছে। ক্ষণে ক্ষণে যেনো আইরাতের সন্দেহ টা আরো গাঢ় হতে লাগে। তাই আইরাত দ্রুত পা চালিয়ে এসে পরে। রিকশা করে ওঠে বাসায় চলে আসে। রাতে দরকার পরলে তাকে আবার অফিসে যেতে হবে।


আরেকদিকে চলছে তুমুল গোন্ডগোল। কেননা আইরাত আব্রাহাম কে নিয়ে ভুল বুঝে নিউজ টা করলেও এবার যেনো তার সাথে সাথে তাল তাল মিলিয়ে আরো বেশ কয়েক জন এই একই কাজ করে। একটা পর্যায়ে এসে আব্রাহাম বুঝলো যে এগুলো ষড়যন্ত্র ছাড়া বা আব্রাহামের ইমেইজ কে নষ্ট করা ছাড়া আর কিচ্ছুই না। তবে কথায় আছে না যে “বাপেরও বাপ থাকে”।

রাশেদ;; স্যার পুরো এক ট্রাক মেয়েকে নেওয়া হয়েছে এদের হয়তো দুবাই-এ পাচার করে দেওয়া হবে।

আব্রাহাম;; এতোই সোজা নাকি!

রাশেদ;; স্যার যা করার খুব জলদি করতে হবে।

আব্রাহাম;; ট্রাকটা কি এই শহরেই?

রাশেদ;; জ্বি স্যার তাদের ট্র‍্যাকও করতে পেরেছি।

আব্রাহাম;; ফলো করো,যতদূর যায় তাদের ফলো করো। আর আমাদের এখান থেকে জলদি যাওয়ার ব্যাবস্থা করো।

রাশেদ;; কিন্তু স্যার ট্রাকটা যেখানে গিয়েছে সেটা সম্পূর্ণই “রেড লাইট এড়িয়া”।

আব্রাহাম;; রাশেদ করার এখন কিছুই নেই মেয়ে গুলোকে সেখান থেকে আনতেই হবে। আর বিশেষ করে আমার নামে যেই সব আজগুবি কথা ছড়িয়েছে তা শেষ করতে হবে। সো ফলো করো ট্রাক টাকে। গার্ড দের বলো, আর গাড়ি বের করো ফাস্ট।

রাশেদ;; জ্বি স্যার।

এই বলেই রাশেদ দ্রুত পায়ে বেরিয়ে গেলো। আব্রাহাম উঠে একটা ডার্ক ব্লেক কালারের রিভলবার হাতে নেয়, বুলেট” স লোড করে নেয়। তারপর বেড়িয়ে পরে। জেকেট টা নিজের সাথে জড়াতে জড়াতে দ্রুত সিড়ি বেয়ে বাইরে বের হয়ে সোজা গাড়িতে ওঠে বসে। আব্রাহামের গাড়ি সবার আগে আর তার পেছনে কমপক্ষে তিনটা গাড়ি। ওই মেয়েযুক্ত যে ট্রাকটা ছিলো তা ট্র‍্যাক করা হয়েছে আর তার ট্র‍্যাক কানেকশন আব্রাহামের হাতে থাকা ট্যাবে দেখাচ্ছে। আব্রাহাম সেটাই দেখছে আর ড্রাইভ করে যাচ্ছে। একটা সময় একেবারেই জন-মানবহীন এক জায়গায় আব্রাহাম গাড়ি নিয়ে ঢোকে। সে বুঝলো যে এই জায়গা থেকে শুরু করেই বাকি জায়গা টুকুকে রেড লাইট এড়িয়া হিসেবে ধরা হয়। আব্রাহাম নিজের ওপর কালো হুডি জড়িয়ে নেয়। মুখে কালো মাস্ক পরে নেয়। কোন ক্রমেই তাদের অর্থাৎ ট্রাফিকিং এর লোকদের বুঝতে দেওয়া যাবে না যে কেউ তাদের আস্থানা খুঁজে পেয়েছে। আর ভেতরে একসাথে এতোগুলো মানুষ কে তো যাওয়াই যাবে না। কেননা যদি তারা একবার বুঝে যে তাদের আটক হতে আর বেশি সময় বাকি নেই তাহলে এমনও হতে পারে যে তারা মেয়ে গুলোকে মেরে ফেলেছে। জানের বাজি আছে। আর এই মূহুর্তে কারো ওপরেই বিশ্বাস নেই, যে কোন সময় যে কিছুই হতে পারে। আব্রাহাম তার গার্ড”স দের বাইরে এমন ভাবে পাহাড়ায় রেখে গেলো যেনো ভেতর থেকে একটা কাক-পক্ষিও বেরুতে না পারে এমন। আর ভেতর থেকে কোন প্রকার আওয়াজ বা বিপদের কোন গন্ধ পেলে সাথে সাথে তাদের যেতে। আব্রাহাম খুব সাবধানে ভেতরে চলে যায়। আর যেতেই দেখে কমপক্ষে প্রায় ২৫-৩০ জন মেয়ে। এদের সবাই কেই ট্রাক থেকে নামানো হয়েছে। সবগুলো মেয়েই ভয়ে জড়োসড়ো হয়ে আছে, সবার চোখে-মুখে ভয়ে আর আতংকের ছাপ স্পষ্ট। তাদের থেকে কিছুটা দূরেই একজন টাক মাথা ওয়ালা লোক দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ফোনে কথা বলছে আর অট্টহাসি তে ফেটে পরছে। আব্রাহাম খেয়াল করে দেখলো যে মেয়েগুলো যে জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে তার থেকে কয়েক হাত দূরেই একটা বিশাল আকাড়ের দরজা। সেটা খুলে দিলেই হয়তো একদম বাইরে বের হয়ে যেতে পারবে তারা। তবেই সেই দরজা খোলার সাহস তাদের নেই। দেখেই বুঝা যাচ্ছে তাদের খুব টর্চার করা হয়েছে। আব্রাহাম এটাও খেয়াল করলো যে ওই টাক মাথা ওয়ালা লোকটার একদম পেছন সই ওপরে একটা বড়ো ঝাড় বাতি ঝুলছে, তা দড়ি দিয়েই ওপরে বাধা। আব্রাহাম এতোক্ষন লুকিয়ে লুকিয়ে এগুলো দেখছিলো। আর যে গোড়াউনের মতো একটা ঘরে মেয়েদের আটকিয়ে রেখেছে আব্রাহাম এবার সেই ঘরের একদম পেছনের দিক টায় চলে যায়। এখান থেকেও ভেতরে সবই দেখা যাচ্ছে। আব্রাহাম খূবই সুক্ষ ভাবে রিভলবার তাক করে একদম সেই ঝাড়বাতির রশি বরাবর শুট করে দেয়। একবার শুটই যথেষ্ট ছিলো। সাথে সাথে ঝারবাতি টা ওপর থেকে ছিড়ে গিয়ে নিচে পরে খানখান হয়ে যায় ভেঙে৷ এতে সেই টাক মাথা লোকটা চমকে গিয়ে নিজের পেছনে ঘোরে। আর সেই সুযোগে তৎক্ষনাৎ আব্রাহাম ছুটে গিয়ে নিজের এক বাহু দিয়ে ওই লোকের গলা পেচিয়ে ধরে আরেক হাতে যে রিভলবার ছিলো তা লোকটার মাথার পাশে চেপে ধরে৷ লোকটা বেশ ছটফট করতে লাগে।

আব্রাহাম;; আর একবার নড়াচড়া করবি তো এই রিভলবারে এখন যে ক”টা বুলেট আছে সব তোর এই গবর ভরা মাথার ভেতরে যাবে বুঝলি।

লোকটা বেশ ভয় পেয়ে গেলো আর সাথে অবাকও। এটা, এটা আব্রাহামের কন্ঠস্বর। তবে ওই লোকটার যে চেলাপেলা ছিলো তারা ছুটে আসে আর তাদের আসতে না আসতেই আব্রাহামের গার্ড রা চারিপাশ থেকে এসে সবকিছুকে একদম ঘিড়ে নেয়। হাতে তাদের বড়ো বড়ো অস্ত্রসস্ত্র। ওই টাক মাথা ওয়ালা লোক টা দ্রুত তার চেলাপেলা দের সেখান সরে যেতে বললে তারা তাই করে।

আব্রাহাম;; রাশেদ,

রাশেদ;; জ্বি স্যার

আব্রাহাম;; প্রত্যেকটা মেয়ে, প্রত্যেকটা মেয়েকে একদম সহি-সালামাত তাদের বাড়ি ফিরিয়ে দিবে।

রাশেদ;; জ্বি স্যার।

মেয়ে গুলোকে ভরসা দেওয়া হয় যে তারা এখন একদম সেইফ। তারপর তাদের নিয়ে যাওয়া হয়। এখন তাদের বাড়ি তাদের বাবা-মায়ের কাছে পৌঁছে দিতে পারলেই সব ঠিক। মেয়ে গুলোর চলে যেতেই আব্রাহাম ওই টাক ওয়ালা লোকটাকে ছেড়ে দেয়। এই লোকের সাথে সাথে আরো অনেক গুলো লোকের এখানে আসার কথা ছিলো। তারা জেনে গিয়েছে যে এখানের সবকিছু ভেস্তে গিয়েছে, তাই পালিয়েছে। তবে পারে নি, আব্রাহামের গার্ড দের কাছে ধরা খেয়েছে। আব্রাহাম তার রিভলবার টা ওই লোকের মাথা থেকে সরিয়ে দেয়, হাত টাও আলগা করে দেয়। আর ছাড়া পেতেই লোকটা ছুটে সামনে চলে যায়। সে ভেবেছে যে হয়তো সে বেঁচে গেছে। তবে নাহ, লোকটি দৌড়িয়ে বেশি একটা দূর যেতে পাতে নি তার আগেই তার বাম পা বরাবর একটা গুলি লাগে৷ যা আব্রাহাম করেছে। লোকটি ব্যাথায় নিচে পরে যায়। আর তার পরপরই আব্রাহাম লোকটার পেছনের দিক থেকে অর্থাৎ মাথার পেছনে যে ব্রেইনের সাইড টা রয়েছে তা বরাবর ধাই ধাই করে গুলি করে দেয়। মূহুর্তেই গলগল করে রক্ত বের হতে লাগে। ইতোমধ্যে মাটিতে লুটিয়ে পরেছে লোকটা। আব্রাহাম রিভলবার টা তার হুডির মাঝে রেখে ওই লোকটার লাশের দিকে এগিয়ে যায় কয়েক কদম। সরু দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে। তখনই আবার রাশেদ আসে এসে দেখে যেই লোকটাকে কয়েক মূহুর্ত আগেও ভালো দেখে গেলো সে এখন লাশ।

রাসেদ;; স্যার একে যদি মারারই ছিলো তাহলে প্রথমে ছেড়ে দিলেন কেনো? মানে এখানেই এসেই তো আগে একে মারতে পারতেন, প্রথমে কেনো মারলেন না?

আব্রাহাম;; বাঁচবার আশা দেখিয়ে তারপর নির্মমভাবে মেরে ফেলার মজাই আলাদা, রাশেদ।

রাশেদ;; _________________________

আব্রাহাম;; দূরে কোথাও ফেলে দিয়ে আসো নরকের এই কীটকে।

আব্রাহাম তার ভারি ভারি কদম ফেলে বের হয়ে গেলো। আর এখন এই লাশকে ঠিকানা লাগানোর কাজ রাশেদের। অবশেষে সব ঝামেলা শেষ করে আব্রাহাম তার গাড়িতে উঠে বসে নিজের বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশ্যে। রাত বেশ ভারি এখন। আব্রাহাম এক হাতে ড্রাইভ করছে আরেক হাত নিজের মুখে ঠেকিয়ে রেখেছে। তবে যেতে যেতেই একটা মোড় ঘোরে, এখানে আসলে তেমন একটা লাইট নেই। যার ফলে আব্রাহামের তার গাড়ির ফ্রোন্ট লাইট অন করতে হয়েছে। আরো কিছুটা সামনে এগোতেই আব্রাহাম খেয়াল করে রাস্তার সাইডে কেউ একজন দাঁড়িয়ে আছে। দেখে বুঝা গেলো কোন মেয়ে হবে। সে সেদিকে এক নজর তাকিয়েই এসে পরতে নিবে তখনই মেয়েটা তার মাথা ঘুড়িয়ে এদিকে তাকায়। আর আব্রাহাম তার চেহারাটা এবার স্পষ্ট দেখতে পায়। সে আইরাত। আব্রাহাম আইরাতকে কাটিয়ে এসে পরলে আবার দ্রুত গাড়ির ব্রেক কষে। উইন্ড দিয়ে কিছুটা মাথা বের করে পেছনে তাকায় কিন্তু ততক্ষণে আইরাত একটা টেক্সি নিয়ে চলে যায়। আব্রাহামও চলে আসে। বাসায় আসতেই দেখে হলরুমে তার দাদি বসে আছে।

আব্রাহাম;; দাদি এখনো ঘুমাও নি?

ইলা;; তুই বাইরে, কীভাবে ঘুমাই!

আব্রাহাম;; ধুর তুমিও না, আর মেডিসিন নিয়েছো?

ইলা;; হ্যাঁ

আব্রাহাম;; এখন যাও তাহলে রুমে গিয়ে ঘুমাও যাও।

ইলা;; তুই কিছু খাবি না?

আব্রাহাম;; না খুদা নেই। তুমি এখন রুমে যাও ঘুমাও।

ইলা;; আচ্ছা।

আব্রাহাম নিজের রুমে এসে পরে। তার বেডের দিকে নজর যায়। কালকের কথা মনে পরে যায়। কাল রাতে আইরাত এখানেই ছিলো। আব্রাহাম মুচকি হাসে। ফ্রেশ হয়ে এসে স্টাফ কে দিয়ে কড়া এক কাপ কফি বানিয়ে আনে, চোখে মোটা ফ্রেমের চশমা পরে ল্যাপটপ সামনে নিয়ে বসে। এভাবেই রাত টুকু চলে যায়।


পরেরদিন~

অবনি;; কিরে আইরু কোথায় তুই?

আইরাত;; আরে এইতো এইতো আসছি।

অবনি;; বইন জলদি আয়, কনফারেন্স শুরু হলো বলে। সবাই এখানে এসে পরেছে প্লিজ তুই জলদি আয়৷

আইরাত;; পাঁচটা মিনিট সময় দে আমাকে।

আইরাত নিজের ব্যাগ টা নিয়ে দৌড়। আর অনামিকা তার কান্ড দেখছে। এটা নতুন কোন ব্যাপার না যেদিন কোন ইম্পর্ট্যান্ট কাজ থাকবে সেইদিনই আইরাতের লেইট হবেই হবে। যত দ্রুত সম্ভব তত দ্রুত আইরাত চলে যায়। আইরাতের যেতেই অবনি তার কাছে যায়। তারপর কনফারেন্স রুমে নিয়ে এসে পরে। এখানে সবাই অর্থাৎ যারা যারা রিপোর্টার আছে সবাই একসাথে বসে আছে। সামনেই স্টেজ, সেখানেই যত ভিপি রা আসবেন। অনেক মিডিয়ার লোকজন আছে। আইরাত আর অবনি গিয়ে একসাথে বসে পরে, তৌফিক তাদের পেছনে।

তৌফিক;; আইরু এতো জলদি কেউ আসে, আরো একটু দেরিতে আসতি বইন!

আইরাত;; হারামি আমার লেগ পুল করা বন্ধ কর।

আইরাত আর অবনি টুকটাক কথা বলছিলো তার মাঝেই অনেকে আসে, পুলিশ অফিসার, এসইপি আরো অনেকেই আসেন। তাদের নানা ধরনের প্রশ্ন জিজ্ঞেস করছে আর তারা খুবই সাবলীল ভাবে তার উত্তর দিচ্ছে। তবে তার কিছুক্ষণ বাদেই এনাউন্সমেন্ট হয়…

“” Here is coming Abraham Ahmed Chowdhury””…

এনাউন্সমেন্ট হওয়ার সাথেসাথেই সবাই ফট করে মাথা ঘুড়িয়ে সেদিকে তাকায়। আর সকল ক্যামেরার ফোকাস যেনো তার দিকেই গেলো। তবে আইরাত কি যেনো লিখছিলো তাই সেদিকে তাকায় নি। চারিদিকে গার্ড রা সাইড দিচ্ছে আর তার মাঝখান দিয়ে আব্রাহাম আসছে। ভেতরে সাদা শার্ট ওপরে এশ কালারের কোর্ট, চোখে চশমা। সব হাইলাইট” স গুলো সাইড করে আব্রাহাম এগিয়ে এসে সবার সাথে বসে পরে। আব্রাহামের বসেতে দেরি কিন্তু তার দিকে একটা একটা করে সব রিপোর্টার আর জার্নালিস্ট দের প্রশ্ন ছুড়ে দিতে না। আব্রাহামও খুব স্মার্টন্যাসের সাথে সব উত্তর দিচ্ছে। আর এদিকে অবনি আইরাত কে খুচাচ্ছে।

অবনি;; এই দেখ না আইরু, একবার তাকা।

আইরাত;; কেনো কি হয়েছে?

অবনি;; আরে আগে সামনে তাকিয়ে দেখ তো।

আইরাত মাথা তুলে সামনে তাকায়। আর তার মুখের নকশা পালটে যায়।

আইরাত;; আরে এই এখানে কেনো?

অবনি;; না তুমি উনাকে নিয়ে এতো বড়ো একটা নিউজ করে বসে আছো আর আজ যখন এগুলোর সব জট খুললো তাহলে তো তাকে এখানে আসতেই হবে তাই না।

আইরাত;; আমাকে যেনো না দেখে আল্লাহ প্লিজ।

অবনি;; আরে ভয় পাচ্ছিস কেনো?

আইরাত;; নিজেও জানি না, বাট আমি উনার সামনে পরতে চাই না ব্যাস।

অবনি;; আরে কিছুই হবে না চুপ করে বসে থাক।

আইরাত ব্যাগ দিয়ে নিজের মুখ টা ঢেকে ফেলে,, কিছুটা আড়াল করে রাখে। এটা দেখে আব্রাহাম তার মুখের সাইডে হাত দিয়ে সামান্য গলা খাকাড়ি দেয়। সাথে হেসেও দেয়। কেননা সে যখন এখানে আসছিলো তখনই আইরাতকে দেখেছে। দেখতে দেখতেই এক সময় মিটিং শেষ হয়। সবাই চলে গিয়েছে। আব্রাহাম বাইরে এসে পরতে ধরলে এসইপি তাকে থামিয়ে দেয়….

এসইপি;; আব্রাহাম স্যার..

আব্রাহাম;; জ্বি অফিসার বলুন।

এসইপি;; শুনেছি কাল রাতে আপনি একজনের মার্ডার করেছেন আর…….

আব্রাহাম;; আর কিছুই করি নি। জানেন তো মানুষের হাজার ভালো করলেও তারা তাকে মনে রাখে না। খুতিয়ে খুতিয়ে ওই মন্দ কাজই বের করে। যেই কাজ টা আপনাদের করার কথা ছিলো তা আমি করেছি। একবার ভেবে দেখুন ওই ২৫-৩০ জন মেয়ের যদি কোন ক্ষতি হয়ে যেতো বা তারা সবাই যদি মারা যেতো তাহলে আপনাদের কিসের সম্মুখীন হতে হতো তাহলে! ভেবেছন তো! আর আমি কার মার্ডার করেছি, কাকে মেরেছি তা নিয়ে পরে আছেন। আমার জানা মতে আমি ওই লোকটাকে মেরে খারাপ কোন কাজই করি নি।

এসইপি;; জ্বি স্যার কিন্তু…..

আব্রাহাম;; বেশি বকর বকর করলে এখন এখানে আপনাকেও বিনাবাক্যে শুট করে দেই?

এসইপি;; আব… আসলে স স সরি স্যার।

এসইপি চলে যায়। আব্রাহাম চোখে সানগ্লাস টা পরে নিজের গাড়ির দরজা খুলে কিন্তু তখনই কিছুদূর সে আইরাতকে দেখতে পায় দাঁড়িয়ে থাকতে। আব্রাহাম তার গাড়ির দরজা টা লাগিয়ে দেয়। আইরাতের দিকে এগিয়ে যায়। অবনি আর তৌফিক চলে গিয়েছে আইরাত নিজেও চলে যেতো কিন্তু পেছন থেকে কারো আওয়াজ পেয়ে হকচকিয়ে যায়। কেননা আওয়াজ টা তার চেনা।

আব্রাহাম;; মিস. আইরাত!

আইরাত পেছনে তাকায়। দেখে আব্রাহাম দাঁড়িয়ে আছে। আইরাত কিছু শুকনো ঢোক গিলে তাকে দেখে। যার কাছ থেকে দূরে থাকতে চাইছিলো সেই এখন সামনে হাজির। আইরাত এগুলোই ভাবছিলো আর আব্রাহামের দিকে তাকিয়ে ছিলো। আব্রাহাম তুরি বাজায় তার সামনে ফলে আইরাতের ঘোর কাটে।





চলবে~~

1 COMMENT

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here