#নয়নতারা_২৭
#জেরিন_আক্তার_নিপা
রামিশা সাপের মতো ফুসফুস করতে করতে ঘরে গিয়ে সবকিছু ছুড়ে ফেলতে লাগল। নয়নতারার মতো একটা থার্ডক্লাস মেয়ে তাকে অপমান করেছে! নিউইয়র্ক থেকে ফ্যাশন ডিজাইনিং এর উপর ডিগ্রী নিয়ে এসেছে সে। ওই মেয়ের তার ধারের কাছে ঘেঁষার যোগ্যতা আছে নাকি? না আছে ফ্যামিলি স্ট্যাটাস। আর না আছে শিক্ষাদীক্ষা। শুধু রূপ দিয়ে কতদিন নক্ষত্রকে ভুলিয়ে রাখতে পারবে নয়নতারা? নক্ষত্র ওকে নিয়ে বন্ধুমহলে যেতে পারবে?
—-নয়নতারা আমাকে অপমান করে আজ তুই যে ভুল করেছিস, তার জন্য তোকে পস্তাতে হবে। আমি তোকে ছেড়ে দেব না। তোর মতো ক্ষ্যাতকে কীভাবে শায়েস্তা করতে হয় তা আমার ভালো করে জানা আছে।’
ড্রেসিংটেবিলের উপর থেকে সবকিছু ছুড়ে নিচে ফেলে দিল রামিশা।
—-আন্টির সাথে কথা বলতে হবে। ওই মেয়ে বেশি বেড়ে গেছে। নক্ষত্রও বউয়ের আঁচল ধরে ঘুরছে। নক্ষত্রকে বোঝাতে হবে ওই নয়নতারা ওর যোগ্য না। নয়নতারাকে নিয়ে সারাজীবন কাটাতে পারবে না ও। ওর তো আমার মতো একজনকে দরকার।”
সেদিন সন্ধ্যা বেলায় নক্ষত্র কিছু ফ্রেন্ড এসে উঠল। নক্ষত্র জানতো না ওরা আসবে। সবাইকে একসাথে দেখে নক্ষত্র সারপ্রাইজড হয়েছে।
সুনীল, ইভানা, দিশা, রওনক। কলেজ লাইফের বন্ধু ওরা। কলেজ শেষ করার পর একেক জন্য একেক দিকে চলে গেছে। কেউ কেউ দেশের বাইরে পড়তে গেছে। কেউ দেশে থাকলেও যোগাযোগ রাখেনি। নক্ষত্র ওদের দেখে উচ্ছ্বসিত হয়ে বলল,
—-আরে তোরা! তোরা সবাই একসাথে হলি কীভাবে? কেমন আছিস তোরা?”
সুনীল নক্ষত্রর সবচেয়ে ভালো বন্ধু ছিল। সুনীল এগিয়ে এসে নক্ষত্রকে জড়িয়ে ধরে বলল,
—-শালা, শুনেছি বিয়ে করে ফেলেছিস। আমাদের তো জানালিও না। মানলাম আমাদের আর আগের মতন যোগাযোগ নেই। তাই বলে এভাবে আমাদের পর করে দিলি! একবার ডাকতে পারতি। দেখতিস আসি কি-না।”
ওদের ফ্রেন্ডস সার্কেলে ইভানা ছিল একটু ঘরোয়া টাইপের। তার জীবনের একটাই লক্ষ ছিল। বিয়ে করে একজন আদর্শ স্ত্রী। আদর্শ মা ও আদর্শ বউমা হবে। সে বসতে বসতে বলল,
—-আগে তোর বউকে ডাক নক্ষত্র। দাওয়াত কেন দিসনি ওসব কথা পরে হবে। আমার বিয়েতে সবাইকে দাওয়াত দিয়েছিলাম। এক তুই বাদে কেউ যায়নি। ওদের তুই বিয়েতে দাওয়াত দিলে যে কেমন আসতো তা আমার জানা আছে। দাওয়াত না পেয়ে এখন তোর সামনে ভাব দেখাচ্ছে। দেখা যেত দাওয়াত পেয়ে না আসার হাজার বাহানা দাঁড় করাতো।”
দিশা আশেপাশে চোখ ঘুরিয়ে কাউকে খুঁজতে খুঁজতে বলল,
—-শুনেছি রামিশা নাকি তোর এখানে আছে। দেশে ফিরে আমাদের কারো সাথে কন্ট্যাক্ট করেনি, অথচ তোর বাড়িতে এসে খুঁটি গেঁড়েছে!”
রওনক খুশি হয়ে গেল। বলল,
—-সত্যিই রামিশা এখানে আছে নাকি?”
ইভানা খেঁকিয়ে উঠল,
—-বেশি লাফিয়ো না তুমি। রামিশা এখনও তোমাকে পাত্তা দিবে না। আগেও তো দিত না। তুই-ই হ্যাংলার মতো ওর পিছু পিছু ঘুরঘুর করতি।”
ইভানা রামিশাকে তখনও দেখতে পারতো না। আজও পারে না। রামিশার মতো অত মর্ডান মেয়ে তার পছন্দ না। সুনীল হো হো করে হাসতে হাসতে বলল,
—-রামিশা সব সময় নক্ষত্রকে লাইন দিত। আর রওনক দিত রামিশাকে। নক্ষত্র রামিশাকে ইগনোর করত। রামিশা করতো রওনককে।”
দিশা জাতীয় দল। তার কোন নির্দিষ্ট পক্ষ নেই। যখন যে ঠিক দিশা তার দলে। ওদের মাঝে ছোটখাটো একটা ঝগড়া বাঁধার আগে দিশা সবাইকে থামিয়ে দিল।
—-নক্ষত্র তোর বউকে ডাকবি? বন্ধুরা এসেছে। তাড়াতাড়ি এসে পা ধরে সালাম করতে বল। গুরুজন বলে কথা।”
নক্ষত্র হেসে নয়নকে ডাকতে গেল। এর মধ্যে রামিশা ঘর থেকে বেরিয়ে এসেছে। রামিশাকে দেখে রওনক এগিয়ে গেল। গলা জড়িয়ে উচ্ছ্বসিত গলায় বলল,
—-মাই গুডনেস! আমি ভাবতেই পারেনি আজ এখানে এসে তোমাকে দেখতে পাবো। কবে ব্যাক করেছ?”
—-তুমি নাকি পলিটিক্স করছো! বাবাহ! নিউজপেপারে রোজ তোমার ছবি আসছে। সেলিব্রিটি লেভেলে চলে গেছ।”
রওনক মাথা চুলকে হাসল। রামিশার ড্রেস দেখে ইভানা মুখ ফিরিয়ে নিল। এমন কাপড় পরার চেয়ে না পরাই ভালো। সবই তো দেখা যাচ্ছে। কী মেয়েরে বাবা। বিদেশ থেকে এসেছিস তাই বলে এরকম ছোট ছোট কাপড় পরতে হবে! নিজে নাকি ফ্যাশন ডিজাইনার। জামা-কাপড়ের এই ছিরি! ছি। তার উপর রওনকটাও কেমন ওর সাথে ডলাডলি করছে। ছি ছি ছি। লজ্জা।
নক্ষত্র নয়নকে নিয়ে এসে দেখে রামিশা সবার সাথে গল্প করছে। নয়ন সবাইকে সালাম দিল। দিশা তো নয়নকে দেখে বলেই ফেলল।
—-নক্ষত্র তোর বউ তো একদম বাচ্চা রে! এই বাচ্চা মেয়েকে কোথায় পেয়েছিস তুই? আর দুই তিনটা বছর পরই বিয়েটা করতি। ওকে একটু বড় হতে দিতি।”
সুনীল একগাল হেসে লম্বা করে ভাবি ডাকল।
—-হাই ভাবি! আমি আপনার একমাত্র দেবর।”
রওনক প্রতিবাদ করল।
—-তুই একমাত্র দেবর হলে আমি কি ভেসে এসেছি নাকি?”
ইভানা নয়নের পা থেকে মাথা পর্যন্ত দেখল। হালকা মিষ্টি কালারের সালোয়ার-কামিজে মেয়েটাকে সুন্দরই লাগছে। সুতি ওড়নাটা কত সুন্দর করে মাথায় দিয়ে রেখেছে! ইভানা আরেকবার রামিশাকে দেখল। মুখ মুচড়ে চোখ ফিরিয়ে নিয়ে নয়নকে দেখতে লাগল।
মনে মনে বলল,
—-নক্ষত্র বড় বাঁচা বেঁচে গেছে। এই রামিশা ওর বউ হলে জীবন ছারখার করে দিত। নক্ষত্রর জন্য এই মেয়েই ঠিক আছে।”
কাজের লোক নাস্তা নিয়ে এসেছে। নয়ন হাসি মুখে নাস্তা সার্ভ করতে লাগল। দিশারও নয়নকে খারাপ লাগেনি। মেয়েটা মিষ্টি। নক্ষত্রর সাথে মানিয়েছে।
ইভানা উঠে এসে বলল,
—-তুমি এসো ভাই। আমার পাশে একটু বসো। তুমি নাকি আমাদের নক্ষত্রর বউ। আমার তো বিশ্বাসই হচ্ছে না। আমাদের লেডি ক্রাশ নক্ষত্র নাকি বিয়ে করে ফেলেছে। তোমার বর যে কত মেয়েদের মন ভেঙেছে। শালা একটা হারামি। আমাদের ছাড়া কোন মেয়েকেই পাত্তা দিত না। ওর হয়ে মেয়েদের সাথে আমাকে ঝগড়া করতে হয়েছে।”
দিশাও সুর মেলাল।
—-শুধু তুই একা! আমি ঝগড়া করিনি। এই শালার জন্য চুলোচুলিও করেছি।”
নয়ন আড়চোখে একবার নক্ষত্রকে দেখল। নক্ষত্র বন্ধুদের কথা শুনে হাসছে। নয়ন মনে মনে বলল,
—-কত মেয়েদের মন ভেঙেছেন আপনি হ্যাঁ? আর এতো সুন্দর করে হাসেন কেন? আপনার হাসিতেই তো মেয়েরা কুপকাত!”
কথায় কথায় নয়ন কতদূর পড়েছে সেই কথা রওনক জানতে চাইলে রামিশা নয়নকে বলতে না দিয়ে নিজেই বলে উঠল।
—-নয়নতারা, ও তো মাত্র এইচএসসি দিয়েছে। এইচএসসি পাসও বলা যাবে না। এখনও তো রেজাল্ট বের হয়নি।”
—-আমাদের নক্ষত্র বাবাজির বিয়ের এতই তাড়া লেগেছিল!”
শুধু সুনীলই ইলার কথা জানতো। বাকি কেউ ইলার কথা জানে না। নক্ষত্র যে নয়নকে স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে বিয়ে করেনি এটা ওর অজানা না।
—-কী সব লেখাপড়া নিয়ে পড়ে আছিস তোরা। লেখাপড়া করে আমরা জীবনে কোন চুলটা ফেলেছি! নয়নতারা আমাদের ইভানার মতন হবে। দেখ ইভানাকে। কত সুন্দর করে একা হাতে স্বামী, সংসার এমনকি এক ছেলেকেও সামলাচ্ছে। ওর মতো বউ পেলে আর কী লাগে বল? জামাই বউ দুইটাই চাকরি করলে ওদের সংসার কি ইভানার সংসারের মতো সুন্দর হবে?”
ইভানা নিজের প্রশংসা শুনে আহ্লাদে আটখানা হয়ে সুনীলের চুল হালকা করে টেনে নিয়ে বলল,
—-তোর জন্যও তাহলে আমার মতোই একটা মেয়ে খুঁজব। কী বলিস?”
—-তোর বোন টোন থাকলে ভালো হতো রে। আর খুঁজছে হতো না।”
—-হুর হারামি। মর তুই।”
হাসি মজার মাঝে ইভানা নয়নের সাথে কথা বলার জন্য ওকে আড়ালে ডেকে নিয়ে গেল। ওরা সবাই গল্প জুড়ে দিয়েছে। কেউ ওদের খেয়াল করেনি।
—-কী বলবেন আপু?”
—-তোমরা দুইটা কী গো নয়ন? একটা কালনাগিনীকে বাড়িতে জায়গা দিয়েছ!”
—-কালনাগিনী! ”
—-তার থেকেও বেশি বিষধর। নক্ষত্র নাহয় জন্মগতই গাধা ছিল। তুমিও ওর সাথে পড়ে গাধী হয়ে গেলে নাকি?”
—-আমি কিছু বুঝতে পারছি না আপু।”
—-কীভাবে বোঝাবো তোমাকে আমি! ওই রামিশা ডাইনী আমাদের সাথে পড়ত। সেই কলেজ থেকে ও নক্ষত্রকে পছন্দ করে। কিন্তু নক্ষত্র বুঝেও না বোঝার ভান করে থাকত। তুমি কি-না ওই মেয়েকেই বাড়িতে থাকতে দিচ্ছ! ওকে তো আমি চিনি নয়ন। ওর পেটে পেটে শয়তানি। এত বছর বিদেশ থাকার পর হঠাৎ রামিশা তোমাদের কাছে এসেছে কেন? তুমি কি মনে করো ও কোন উদেশ্য ছাড়া এসেছে। আমি হাজার টাকা বাজি ধরে বলতে পারি রামিশা নক্ষত্রর জন্যই এসেছে।”
নয়নের কাছে রামিশাকে ভালো লাগেনি। কিন্তু সে কখনও রামিশাকে এভাবে সন্দেহ করেনি। আর নক্ষত্রর আচরণে নয়ন তো কিছু বুঝতেই পারেনি। বন্ধুই মনে হয়েছে ওদের দু’জনকে। কিন্তু আজ তো নয়ন অন্য কথা শুনছে। তাই তো রামিশা নক্ষত্রর উপর এতো অধিকার ফলাতে চায়।
—-যত জলদি পারো ওই কুটনিটাকে বাড়ি থেকে তাড়াও। নক্ষত্রকে বললে ও পাত্তা দিবে না। যার মন যেমন সে সবাইকে তেমনই ভাবে। আমাদের নক্ষত্রটা সহজসরল ছেলে। তাই বলে বাকি মানুষদের মনে যে প্যাঁচ থাকবে না এমনটা তো হয়না।”
নয়ন ভাবনায় পড়ে গেল। এবার রামিশার উদেশ্য তার কাছে স্পষ্ট। ইভানা আপু আজ না এলে নয়ন তো এসব কোনোদিনও বুঝতে পারত না। নয়নের মাথা চক্কর দিচ্ছে। এই রামিশার মনে মনে এত শয়তানি!
—-কী হয়েছে? ইভানা তোমাকে আড়ালে নিয়ে কী বলল?”
পেছন থেকে নক্ষত্র নয়নের কানের কাছে এসে কথাগুলো বললে নয়ন ভয় পেয়ে লাফিয়ে উঠে। নক্ষত্র কখন সবাইকে ছেড়ে তার কাছে এসেছে খেয়াল করেনি নয়ন।
—-কিছু বলেনি।”
—-কিছু বলেনি তাহলে তোমার মুখের রঙ উড়ে গেছে কেন? আমার বন্ধু গুলো একটু পাগল বুঝলে। ওরা তোমাকে কিছু বললে তুমি প্লিজ মাইন্ড করো না তারা। ইভানাটা বড় পাগল। পাগল দলের সর্দারনী ও। ও তোমাকে কী বলেছে…
নয়ন হেসে ফেলল। নক্ষত্র এত ভয়ে ভয়ে কথা বলছে কেন? ওর বন্ধুরা নয়নকে কিছু বললেও তার জন্য নয়ন নক্ষত্রর উপর রাগ করতো না।
—-ইভানা আপু সবার থেকে ভালো। উনাকে আমার সবথেকে বেশি পছন্দ হয়েছে। উনি একদম ঝিনুক আপুর মতন। ঝিনুক আপুর মতোই আমাকে ছোট বোন ভেবে কিছু কথা বলেছে। কিন্তু ওসব কথা আপনাকে বলা যাবে না।”
—-যা বাবাহ! আমার বন্ধু গুলাও তোমাকে পেয়ে দল পাল্টে ফেলল! আমাকে পর করে আমার জায়গা তোমাকে দিয়ে ফেলেছে।”
রাতে ডিনার করে ওরা সবাই চলে গেল। যাবার আগে ইভানা নয়নকে চোখ টিপে ইশারায় রামিশাকে বাড়ি থেকে তাড়ানোর কথাটা মনে করিয়ে দিয়ে গেল। একটু সময়েই ইভানাকে নয়ন বড় বোনের জায়গা দিয়ে ফেলেছে। নয়ন ইভানার হাত ধরে অনুরোধ করার মতো করে বলল,
—-আবার আসবেন তো আপু?”
—-আসব না মানে? আজ তো থেকেই যেতাম তোমার সাথে। ছেলেটাকে মায়ের কাছে রেখে এসেছি বলে চলে যেতে হচ্ছে। ও অনেক ছোট তো আমাকে ছাড়া থাকতে পারবে না।”
—-ওকে নিয়ে সময় করে আরেকদিন আসবেন আপু। আমি তো ওকে দেখিনি।”
—-আসব গো আসব। আমার ছেলেও তো নক্ষত্র মামার বউকে দেখবে। তার এত কিউট একটা মামী আছে ছেলে তো জানেই না।”
দিশা নক্ষত্রর কানে কানে বলল,
—-তোর বউটা এত কিউট কেন রে নক্ষত্র! কেমন বাচ্চা বাচ্চা চেহারা। দেখলেই গাল টেনে আদর করে দিতে ইচ্ছে করে। আমি মেয়ে হয়েই ওকে কোলে তুলে নিতে ইচ্ছে করছে। তুই শালা ওর বর কোলে নিবি, চুমু খাবি আরও কত কী…
নক্ষত্র দিশার মুখ চেপে ধরল।
—-শালি লুচ্চি, চুপ কর।”
—-কেন রে লজ্জা লাগছে নাকি তোর? কীভাবে ঠিক আছিস রে তুই নক্ষত্র? আল্লাহ জানে!”
সুনীল নক্ষত্রকে শেষবার জড়িয়ে ধরে বিদায় জানানোর সময় বলল,
—-ইলা টিলারে ভুলে যা ভাই। ভাবি আমাদের হাজারে একটা পেয়েছিস। যত তাড়াতাড়ি পারিস একটার বাপ হয়ে যা। প্রতিশোধ ফতিশোধ আজাইরা চিন্তা। ইলা ভেগেছে বলেই নয়নতারাকে পেয়েছিস তুই। না ভাগলে ও তোর শালি হতো। আমাদের কপাল পুড়ালি তুই শালা। তোর অত সুন্দর শালি আছে জানলে আমি তিন বিয়ের পরেও আরেকটা বিয়ে করতাম।”
নক্ষত্র সুনীলের পেটে কনুই দিয়ে গুঁতা মারল। ওরা চলে গেলে নয়ন ঘরে চলে এলো। নক্ষত্রও পেছন পেছন এসেছে। নয়ন ওর বন্ধুদের সাথে এতো ভালো ব্যবহার করেছে যে বন্ধু গুলো ভাবি বলতে পাগল হয়ে গেছে। নক্ষত্র আজ সত্যিই অনুভব করল নয়নই তার জন্য পারফেক্ট। ইলা পালিয়ে না গেলে নয়নকে পেত না সে। প্রতিশোধের কথা ভুলে গিয়ে ইলাকে ধন্যবাদ দিতে ইচ্ছে করছে। নক্ষত্র অনেক সাহস করে একটা কাজ করে ফেলল। নয়নকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরল। নয়ন তাকে থাপ্পড় মারলেও আজ থাপ্পড় খেয়ে নিবে। তবুও আজ ওদের মাঝে আর কোন দূরত্ব রাখবে না।
চলবে___