পতিতা স্ত্রী পর্ব শেষ

#পণ্যস্ত্রী #Last_Part
#লিখা- #Yasira_Abisha
রুহি প্রচুর ভয় পেয়ে গেলো ওর মুখে কোনো কথা আসছেনা। এরকম একটা সিচুয়েশনে রুহির কিই বা বলা উচিত আর ইরাদই বা কিভাবে সব জানলো?
রুহির মাথায় কিচ্ছু আসছে না,, রুহির হাত পা ঠান্ডা হয়ে আসছে,,
ইরাদ- জানো রুহি? আমার মায়া খুব অভিমানি একটা মেয়ে ছিলো। ওর মত আহ্লাদি মেয়ে খুব কম হয়,, ওর মনটা একদমই বাচ্চাদের মত নিষ্পাপ ছিলো কক্ষনো কারো খারাপ চিন্তা করতো না,, আল্লাহ আমার মায়াকে হয়তো খুব বেশি ভালোবেসেছেন তাই এভাবে নিয়ে চলে গেসিলেন,,( ইরাদ কান্না করতে করতে)
রুহি- আ..আপনি.. মানে..কিভাবে জানলেন?..(রুহি ভয়ে ভয়ে)
ইরাদ- রুহি যেদিন আমি তোমাকে প্রথম দেখেছিলাম সেদিন আমি নেশায় ধুত ছিলাম তখন আমি তোমাকে আমার মায়া ভেবেছিলাম মনে হয়ে ছিলো তুমি মায়া কিন্তু যখন তোমাকে বাসায় আনলাম,,এর পরে তোমার আচরণ কথা বলা এসব কিছুই আমার লাগতো তুমি আমার মায়া না,, মায়ার স্পর্শ আমি বুঝতাম,, ও পাশে থাকলে আমি না দেখলেও বুঝতাম কিন্তু কেন যেন তোমার কাছে থাকা আমার মনে ধরছিলোনা। সেদিনই আমি এসব ভাবছিলাম কাউকে কিছুই বলিনি জিজ্ঞেস করিনি কারণ আমি সিউর ছিলাম না কোনো ব্যাপারেই,, এর পর সেদিন যখন সম্পা আসলো বাসায় আমি সব শুনে ফেলেছিলাম,, এর পর দেখলাম আমার মায়ার ডেথ সার্টিফিকেট সোফার উপরে রাখা ছিলো সেদিন সারারাত আমি ঘুমাই নি এর পর আমি ডাক্তারের কাছে কাউন্সিলিং শুরু করলাম আস্তে আস্তে আমার সব মনে হল ধীরে সুস্থে আমি সব কিছু মেনে নিলাম যে হ্যাঁ আমার মায়া আর নেই ও চলে গেসে আল্লাহর কাছে,, তাই এখন আর কান্না করিনা,, কষ্ট পাই না,, (কান্না করতে করতেই)
রুহি- তাহলে আপনি এত দিন আমাকে কেন বাসায় রেখেছিলেন?
ইরাদ-আমার মায়া অসহায়ের পাশে দাড়িয়েছে সারা জীবন। মায়া অনেক ভালো একটা মানুষ ছিলো ও আমার হবু বউ ছিলো এই জন্য বলছিনা। তোমার মত মেয়েদের জন্য ও একটা কিছু করতে চেয়েছিলো,, কিন্তু সময় পায় নি,, আমি যদি তোমাকে না রাখতাম তোমার ওই অন্ধকার দুনিয়ায় ফিরে যাওয়া লাগতো আমি চাইনা আমার জন্য কারো আবারও জীবনটা নষ্ট হয়ে যাক। আমি এই কয়দিন তোমাকে কিছুই বলিনি,, জিজ্ঞেস করিনি এর পেছনে সম্পা একটা বিশেষ ভুমিকা রেখেছে, আর সম্পা আমার খুবই কাবিল একটা এমপ্লয় ছিলো বরাবর যার কারনে আমি বুঝতাম ও আমাকে পছন্দ করে এটা জানা সত্যেও ওকে চাকরিতে রেখেছিলাম,, কাল সম্পার বিয়ে হয়ে গিয়েছে এখন আর কোনো ঝামেলা নেই আমার জীবনে। আমি শান্তি মত আমার মায়াকে ভেবে বেচে থাকতে পারবো বাকি জীবন।
(ইরাদের চোখ মুখ লাল হয়ে গেছে)
রুহি- আপনি আমাকে ভুল বুঝেন নি তো? আমি আসলে…
ইরাদ- নাহ তোমাকে ভুল বুঝিনি আর এখানে তোমার কোনো দোষ ও নেই,, আবির ঝুনু খালা আর টুনি আমার সুখের জন্যেই এইসব করেছে সেটা আমি বুঝি তুমি নিজেকে দোষারোপ করোনা।
রুহি মনে মনে ভাবছে উনি মায়াকে বড্ড বেশি ভালোবাসেন। ইরাদের কষ্ট,, মায়াকে ছাড়া ইরাদের বাকি জীবন অতিক্রম করা লাগবে এটা ভেবেই রুহির চোখ দিয়ে পানি পড়ছে।
ইরাদ- রুহি,, তোমার আর মায়া সাজা লাগবে না।
রুহি- হুম।
কিছুক্ষন ২জনই নিরবতা পালন করলো।বৃষ্টি শুরু হয়ে গেলো রুহি আর ইরাদ ২ জনের অশ্রুসিক্ত নয়ন,, কেউ কাউকে দেখছেনা তারা তাকিয়ে আছে আকাশের পানে,, ২জনের মনে ২ধরনের কষ্ট কাজ করছে কিন্তু একে অপরের জন্যে ও ব্যাথিত। ভাগ্য যেন এক নিষ্টুর খেলা খেলছে তাদের সাথে।
রুহির ইচ্ছে করছে ইরাদকে জড়িয়ে ধরতে ইরাদের সব কষ্ট নিজের মধ্যে নিয়ে নিতে,, কিন্তু রুহি পারছেনা,, ওর তো অধিকার নেই,,ইরাদের মতো ছেলের পাশে দাড়ানোর মতো যে যোগ্যতা থাকা লাগে সেটা ও হারিয়ে ফেলেছে,, যেদিন ওই নষ্ট পাড়ায় ওর পা রাখতে হয়ে ছিলো।
নির্বাক হয়ে ইরাদের কষ্ট দেখা ছাড়া আর কোনো উপায় রুহির নেই।
প্রায় ২০মিনিট পর ইরাদ বলল – বাড়ি চল,,
রুহি কিছু বলল না।হ্যাঁ সূচক মাথা নাড়িয়ে সম্মতি দিলো।
এরপর বাড়ি ফিরে গেলো ওরা।
টুনি ইরাদ আর রুহিকে দেখা মাত্রই বলল
টুনি- ভাবি,, আপনি আর ভাইয়া তো ভিজে গেসেন পুরো। আমি টাওয়াল নিয়ে আসি,,, ভাইয়া,,,
ইরাদ- কিছু না বলেই ঘরে চলে গেলো।
টুনি- ভাবি কিছু হইসে? আপনাদের এমন দেখাচ্ছে কেনো? ভাবি?
রুহি- উনি সব জেনে গেসে। আমি মায়া না আমি রুহি এটা উনি জানে সম্পা যেদিন আসছে সেদিনই উনি সব জেনে গেসিল।
এটা বলেই রুহি ওর ঘরের দিকে চলে গেল।
রুহি রুমে ঢুকে দরজা লাগিয়ে দিলো। মাটিতে বসে পরলো রুহি,,আবহাওয়াটা বেশ খারাপ হয়ে যাচ্ছে বাইরে,, সেটা দেখা যাচ্ছে কিন্তু রুহির ভেতরের ঝড় কেউ দেখতে পাচ্ছেনা। শরীরের যেন সব শক্তি হারিয়ে ফেলেছে রুহি। কেমন যেন লাগছে হাত পা ভেঙে আসছে,, শুধু ইরাদের চোখের চাহনি,, মুখে বলা কথা গুলো মনে পরছে,,
কখনও রুহি কারো জন্যই এমন অনুভব করেনি যেমনটা এখন ইরাদের জন্য অনুভব করছে,, কেন এমন অনুভব হচ্ছে এটা রুহির আর বুঝতে বাকি নেই রুহি বুঝে গিয়েছে ইরাদ আহসান কে ও ভালোবেসে ফেলেছে। তাই ইরাদের কষ্টে ওর কলিজা পুড়ে যাচ্ছে। ইরাদের চোখের পানি যেন রুহির অন্তরে যেয়ে লাগছে। বারবার এই জিনিস গুলো মনে পরছিল,, আজকে এই দুনিয়াটা খুবই খারাপ লাগছে। রুহি জানে ইরাদের সাথে রুহির মিল সম্ভব না। আর রুহি মনে মনে ভেবে রেখেছিল ইরাদ সব কিছু জানার পরে এই বাড়ি ছেড়ে ও চলে যাবে। যেই আশ্রমে রুহির বোন থাকতো রুহি ওখানেই চলে যাবে কারণ এখন আর কোনো পিছুটান নেই শুধু আছে কিছু মিষ্টি সুন্দর স্মৃতি যা ইরাদ ওকে দিয়েছে।
রুহি বাথরুমে যেয়ে অনেকক্ষন কান্না করলো। নিজের মনকে শক্ত করলো কারণ এখন যে ওর চলে যেতে হবে,, বেড় হয়ে রুহি হাল্কা নিল একটা শাড়ি পরে নিলো,, চেহারাটা যে কত মলিন লাগছে,, খুবই ক্লান্ত দেখাচ্ছে,,
.
ইরাদ ফ্রেশ হয়ে এসে বসে আছে রোলইং চেয়ারে,, ঝড় ক্রমাগত বাড়ছে এই কারণে বৃষ্টির ঝাপটা জানালা দিয়ে ভিতরে আসছে,, ইরাদ উঠে জানালা লাগিয়ে দিলো, কাচের ভেতর দিয়ে ওপাশের ঝড় দেখছে ইরাদ।
এদিকে টুনি এই ব্যাপারটি ঝুনু খালা আর আবিরকে জানিয়ে দিলো আবির ইরাদের বাসার দিকে রওনা দিলো সবাই যেন চিন্তায় পরে গেলো যে এখন কি হবে..রুহি এই কয়দিনেই নিজের ভালো ব্যাবহার আর গুণের মাধ্যমে সবার মনে নিজের জন্য একটা জায়গা করে নিয়েছে,, ইরাদে আর রুহি যেন এক হয়ে যায় বাসায় সবার এই একটাই চাওয়া।
.
রুহি আস্তে আস্তে করে নিচে নেমে এলো ইরাদের সাথে আর থাকা রুহির জন্যে ঠিক হবেনা,, ইরাদকে ছেড়ে যেতে রুহির খুব কষ্ট লাগছে আর যদি ইরাদকে দেখে তাহলে রুহির যাওয়া হবেনা,, কিন্তু মায়ার মত চেহারা নিয়ে প্রতি মুহুর্তে ইরাদকে মায়ার কথা মনে করিয়ে রুহির থাকাটাও ঠিক হবেনা,, তাই বাইরের এই অবস্থা দেখেও রুহি কাউকে কিছু না বলেই বেড় হয়ে গেলো আশ্রমের উদ্দেশ্যে।
প্রায় ১ ঘন্টা পরে আবির আসলো ইরাদের বাসায়,,
আবির- ঝুনু খালা,, স্যার কোথায়?
ঝুনু- ইরাদ বাবা তার রুমে।
আবির- আর রুহি ভাবি?
ঝুনু- মনে হয় তার ঘরে।
আবির- আচ্ছা, আমি স্যারের ঘরে যাই তার সাথে দেখা করা দরকার।
আবির ওপরে উঠে ইরাদের রুমের দরজার কড়া নাড়লো।
ইরাদ পেছনের দিকে না ঘুরেই বলল
“ভেতরে আসতে পারো।”
আবির- স্যার,, আমি।
ইরাদ- আবির বসো।
আবির- স্যার প্লিজ আপনি আমাদের ভুল বুঝবেন না। আমরা আপনার মেন্টাল স্টেট এমন ছিলো দেখেই এই পদক্ষেপটা নিয়ে ছিলাম। আবার অন্যান্য কোম্পানি গুলো আপনার এই অসুস্থতাকে হাতিয়ার বানিয়ে আমাদের কোম্পানির সব ডিল নিয়ে নিতে পারতো অনকেই এমন চেস্টা করেছিল এইসব কারনেই আমরা অসহায় হয়ে গিয়েছিলাম।
ইরাদ- আমি ডক্টর এর সাথে কথা বলেছি। আর না বললেও আমি তোমাকে বিশ্বাস করি আবির। তোমরা আমার জন্যেই এসব করেছিলে আমি বুঝতে পারছি। যাই হোক এখন আর কোনো সমস্যা নেই সব ভুলে যাও।
আমি রুহির নামে আমার উত্তরার মার্কেটটা করে দিতে চাচ্ছি। ওই মেয়েটা হাসি খুশি থাকলে আমার মনে হয় আমার মায়া ভালো আছে। ওর যেন সামানের দিনে কোনো কষ্ট না হয় সেদিকে খেয়াল রেখো।
আবির- স্যার আপনার কি মনে হয় মেয়েটা এভাবে সুখে থাকবে?
ইরাদ চমকিয়ে উঠে আবিরের কথায়..
ইরাদ- কি বলতে চাচ্ছো তুমি?
আবির- স্যার আপনি কি বুঝেন রুহি আপু আপনাকে অনেক বেশি ভালোবাসে? কিছু দিন আগে যখন আপনার জ্বর ছিলো উনি না খেয়ে সারা দিন রাত আপনার সেবায় ব্যাস্ত ছিলো। এগুলো কি উনি মায়া হিসেবে করেছে? এগুলো কি একটা মানুষ নাটক করে করতে পারে? আর যদি করেও তবে কি এভাবে কেউ এতদিন নাটক করতে পারে?
ইরাদ চুপ করে আছে…
আবির- স্যার আপনি যদি সত্যিই চান যে রুহি আপু খুশি থাকুক তাহলে উনাকে আমাদের ভাবি বানিয়ে ফেলেন। উনি আপনার টাকা বা আপনার রুপকে ভালোবাসেনি উনি ভালোবাসে আপনার মনকে। আর মায়া ভাবিও চাইতেন আপনি ভালো কোনো মেয়েকে বিয়ে করে জীবনে সুখি হবেন। আর একটা কথা কি স্যার ভাবি চারিত্রিক দিক থেকে এখনও পবিত্র আছেন। আমি তার ব্যাপারে সব খোঁজ নিয়েছিলাম আগেই। আমি আপনাকে এভাবে সব বলতাম না কিন্তু আজ না বললে পরে আর বলা হতো না।
এমন সময় টুনি দৌড়ে এসে ইরাদকে বলল- ভাইয়া, ভাইয়া, ভাবি বাসায় নেই এই অবস্থায় উনি কোথায় যেন চলে গিয়েছে,,
ইরাদ- মানে? তুই ভালো মত দেখেছিস?
টুনি- জ্বি, ভাইয়া আপনি প্লিজ ভাবিকে খুজে বেড় করেন তার অবস্থা খুবই বিধ্বস্ত হয়ে গিয়েছিলো।
ইরাদ- আবির চল রুহিকে খুজা লাগবে।
ইরাদ খুবই টেনশনে বেড় হয়ে গেলো অনেক সময় খুজার পরেও যখন রুহিকে পেলো না তখন ও রুহির আশ্রমে চলে গেলো এই আশ্রমের প্রতি রুহির একটা টান আছে এটা ইরাদ জানে।
আশ্রমে যেয়ে ইরাদ দেখলো রুহি ওখানেই আছে,,রুহি একটা ছোট বাচ্চার কান্না থামাচ্ছিল কি অপরুপ লাগছে ওকে দেখতে,, রুহিকে দেখে যেন ইরাদের স্বস্তি ফিরে এলো।
ইরাদ- রুহি,,
রুহির চোখ বড় হয়ে গেলো ইরাদকে দেখে
ইরাদ ভিজে গেসে পুরোপুরি কেমন ক্লান্ত দেখাচ্ছে ওকে। রুহি বাচ্চাকে অন্য একজনের কোলে দিয়ে এসে ইরাদকে বলল
রুহি- আপনি এখানে কি করছেন? এখানে কেন এসেছেন?
ইরাদ- তুমি এখানে কেন এসেছো?
রুহি- আমি আর আপনাকে কষ্ট দিতে চাই না। আপনি প্লিজ চলে যান।
কথা গুলো বলতে রুহির খুব কষ্ট হচ্ছে নিচের দিকে তাকিয়ে কান্না করতে করতে কথা গুলো বলে ফেলে রুহি।
ইরাদ- একবার কষ্ট পেয়েছি আবারও কষ্ট দিবে আমাকে? রুহি আমাকে রেখে চলে যাবে?
রুহি ইরাদের দিকে তাকিয়েই রইল…
মুখে কিছু বলছেনা…
ইরাদ- তুমি আমাকে ভালবাসো রুহি,, আমি জানি,, আমাকে রেখে তাহলে কেন চলে যাচ্ছো?
রুহি- আমি আপ্নার লায়েক না,,
আমার মত মেয়েদের জীবন কারো বউ হবার অধিকার নেই। আমরা শুধুই ভোগ্যপণ্য। কারো স্ত্রী হবার মত সৌভাগ্য আমাদের নেই
আমরা কেবলই পণ্য স্ত্রী।
ইরাদ- রুহি মানুষের মনের চেয়ে বড় শরীর না,,,
আর আমি তোমাকে ওইভাবে কখনও বিচার করিই নি। যখন শুনেছিলাম আমার মায়া এক দুঘটনার কারণে নষ্ট পাড়ায় আটকা পরেছে তখন আমি একটা বার ও চিন্তা করিনি যে আমার মায়া হয়তো নষ্ট হয়ে গেছে,, তাহলে তোমাকে কেন এমন ভাববো?? মনের পবিত্রতা অনেক বড়,, এটা সবার থাকা দরকার,,
আর আমি জানি তুমি কারো সাথে কখনও কিছু করোনি,,, আর যদি করতেও তবুও তুমি আমার কাছে এমনই থাকতে,,
রুহি এবার কান্না যেন আর চেপে রাখতে পারছেনা।
ইরাদ- আমাকে ছেড়ে গেলে কষ্ট তো একা তুমি না আমিও পাবো,,
তুমি আমার অভ্যাসে পরিণত হয়ে গেছো। জানো রুহি আমি কয়েক ঘন্টা আগেও এই জিনিসটা বুঝতে পারছিলাম না,, তুমি যখন চলে গেলা তখন আমি বুঝলাম যে আমার বেচে থাকার জন্যে রুহিকে লাগবে।
আমি অনেক কষ্টে মায়াকে ছাড়া থাকার অভ্যাস করেছি আমি…..
রুহি এবার আর একটা কথাও ইরাদকে বলতে দিলো না সাথে সাথেই ইরাদকে জড়িয়ে ধরলো ইরাদও রুহিকে আকড়ে ধরলো।
২টা পিপাসায় কাতর আত্না যেন নিজের অম্রিত খুজে পেয়েছে। ভালোবাসা আজ সফল হয়েছে
ইরাদ সেই রাতেই রুহিকে বিয়ে করে একবারে বাড়ি ফিরেছে।
রুহি আর ইরাদ ২জন ২জনের মাধ্যমে পুর্ণতা পেয়েছে ভালোবাসা দিয়ে ওদের সব দুঃখ কষ্ট শেষ হয়ে নতুন জীবনের পথে ওরা একে অপরের হাত ধরে চলতে শুরু করলো।
(গল্পটা পুরোপুরি কাল্পনিক।
রুহিদের জীবন সাধারণত সুন্দরভাবে শেষ হয়না তবে আমরা যদি পারি তাহলে তাদের পাশে দাড়ানো উচিত কারণ আমার মনে হয়না কোনো মেয়ে মানুষই স্বইচ্ছায় এসব কাজ করে,,আমাদের উচিত তাদের সাহায্য করা মনুষ্যত্বের জন্যে অন্তত,, প্রতিটা গল্পেই নায়ক নাইয়া থাকে,, তাই রুহির জীবনে ইরাদ এসে ওকে পুর্ণ করে দিয়েছে কিন্তু বাস্তব জীবনে ইরাদ খুবই কম।
মন মত করে লিখতে পারিনি গল্পটা ব্যাস্ততার কারণে,, এর পরে এরকম কাহিনী আর একটা লিখবো ভিন্ন কথা তুলে ধরার চেস্টা করবো।
তবে পুরো গল্পটা কেমন লেগেছে অবশ্যই জানাবেন, ধন্যবাদ

1 COMMENT

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here