পবিত্রতার_ছোঁয়া পর্ব ৫

#গল্পের নাম :#পবিএতার_ছোঁয়া (সিজন২)
#পর্ব:৫
#লেখিকা :#জাবিন_মাছুরা [ছদ্মনাম]

আমি মাথা নিচু করে ঠাই দাঁড়িয়ে রইলাম।হয়তো আমার দাড়িয়ে থাকা তার পছন্দ হলো না। তাই সে ভয়ানক কাজ করে বসলেন। আমার গলায় জলন্ত সিগারেট চেপে ধরলেন। ব্যাথায় আমার চোখ মুখ কুঁচকে উঠল। সহ্য করতে না পেরে চোখ দিতে জল পড়েতে লাগল। দাঁতে দাঁত চেপে কান্না করতে লাগলাম। আমার চোখের জল সামনে থাকা নিষ্ঠুর মানুটার হৃদয় অবদি পৌঁছেলো না।
||
তাহসিন : তোকে বার বার মানা করার পরেও তুই এখানে এলি কেন?

আমি চোখ বন্ধ করে চুপ করে আছি। আর পারছি না সহ্য করতে।

তাহসিন : কথা বলছিস না কেন?

আমি:নিশ্চুপ,,

তাহসিন : আর যদি কোনদিন আমার সাথে ঢং করতে দেখি তাহলে তোর এর থেকে ভয়ানক শাস্তি পেতে হবে।

স্যার সিগারেট ফেলে দিয়ে আমার মুখ চেপে ধরে বলতে লাগলেন,

তাহসিন : বিয়াদপ মেয়ে।আসলে মেয়েরা তোর মতোই হয়। মেয়েদের দিয়ে কোন বিশ্বাস নেই।বাই দা ওয়ে তুই আজকে বারান্দায় থাকবি। এটাই তোর উপযুক্ত শাস্তি।

বারান্দায় থাকার কথা ভেবেই বুক কেঁপে উঠল। অন্ধকার বারান্দায় থাকবি কিভাবে। স্যার আমাকে কিছু বলতে না দিয়ে বারান্দার দরজা বন্ধ করে চলে গেলেন।

অতিরিক্ত হারে আমার গলা জ্বালা করছে। আশেপাশে পানি খুঁজেতে লাগলাম কিন্তু পেলাম না। অনেক তৃষ্ণা পেয়েছে।অন্ধকারে প্রচুর ভয় লাগছে। আর পারছি না। আল্লাহ আমি কি কোন পাপ করেছি? কেন উনি আমাকে এত কষ্ট দিলেন। বাবা কেন তুমি আমাকে এই খারাপ লোকের সাথে বিয়ে দিলে। তার কাছে কি আমার কষ্টের কোন মূল্য নেই।

বাইরে ঝিঝি পোকার ডাকছে। আগে যখন বাড়িতে থাকতাম তখন রাতে প্রায় বারান্দায় এসে ঝিঝি পোকার আওয়াজ শুনতার।চোখ বন্ধ করে অনুভব করতাম। কতোই না মধুর লাগত।কিন্তু এখন সবচেয়ে বিরক্তিকর মনে হচ্ছে। কেন ঝিঝি পোকা শব্দ করে আমার কষ্ট আরও দ্বিগুণ করে দিচ্ছে।এই পৃথিবীতে কেউ আমাকে ভালোবাসে না। সবাই নিষ্ঠুর।
না আমাকে কাঁদলে চলবে না। মিহু তোকে শক্ত হতে হবে। ভয় পেলে চলবে না। ইউ ক্যান ডু এভরিথিংক। চোখের পানি মুছে, আস্তে আস্তে উঠে দাঁড়ালাম। ভাবলাম স্যারকে দরজা খুলতে বলব। কিন্তু যখনি উঠে দাঁড়ালাম তখনি পায়ের মধ্য ব্যাথা অনুভব করলাম। পায়ে দিকে তাকিয়ে দেখলাম কাঁচের টুকরো গেথে গিয়েছে।পা থেকে অঝরে রক্ত পড়তে লাগল। আমি এবার নিচে বসে পড়লাম। টান দিয়ে কাঁচের টুকরো বের করে ফেললাম। মনে হচ্ছে আমাকে নরকযন্তনা সহ্য করতে হচ্ছে।হঠাৎ করে বাইরে চোখ পড়তে মনে হলো কোন কালো ছায়া। আমার মাথা ঘুরতে লাগল। আর কিছু মনে নেই।

||
তাহসিন ঘরে এসেই সব কিছু ভাংচুর করতে লাগল। রাগ যেন সে কন্ট্রোল করতে পারছে না। ফ্লোরে বসে সিগারেটের ধোঁয়া উড়িয়ে যাচ্ছে। বারো প্যাকেট সিগারেট শেষ করল তাও রাগ কমছে না।তাহসিন সারা রাত নির্ঘুমে কাটিয়ে দিল।

||

সকালবেলা সূর্যের আলো মুখে পড়তেই আমার ঘুম ভেঙে গেল। নিজেকে বারান্দায় আবিষ্কার করলাম।রাতের কথা ভেবেই আমার গা শিউরে উঠল। উঠে বসতেই দেখলাম নিষ্ঠুর লোকটা আমার সামনে বসে আছে। তার চোখের দৃষ্টি আমাতেই আবদ্ধ। পলকহীন দৃষ্টিতে আমার দিকে চেয়ে আছে।আমি তার থেকে চোখ ফিরিয়ে নিলাম।

তাহসিন স্যার আমার আরও একটু কাছে এসে বসল। আমার ওড়নায় হাত দিতেই আমি চমকে উঠলাম,,
(#চলবে)
[কালকে নিজের লেখা অন্য কেউ নিজের নামে পোস্ট করছে দেখে অনেক খারাপ লাগল।কপি করা নিষিদ্ধ। দয়া করে কেউ কপি করবেন না]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here