পবিত্রতার_ছোঁয়া পর্ব ৯

#গল্পেরনাম :#পবিএতার_ছোঁয়া (সিজন২)
#পর্ব :৯
#লেখিকা :#জাবিন_মাছুরা [ছদ্মনাম]

তাহসিন:আশা করি তুমি আমাকে বুঝবে।তোমাকে
যতটা কষ্ট দিয়েছি সময় হলে ভালোবেসে সব ঘুচিয়ে দিব।বড়ো তো একদিন হবেই,,

আমি আমার কানকে বিশ্বাস করাতে পারছি না। যে লোকটা বিয়ের পর থেকে ডিভোর্স দিয়ে দিবে বলে আসছে, সেই লোকের এত পরিবর্তন।আমি স্যারের দিকে না তাকিয়ে নিচের দিকে তাকিয়ে রয়েছি।

তাহসিন : মিহু রেডি হও। তোমাকে আজকে বাড়িতে নিয়ে যাব। বিয়ের পরে তো আর ও বাড়িতে আমাদের যাওয়া হয়নি।তাড়াতাড়ি কর।

বাড়ির যাওয়ার কথা শুনে মনটা আরো বেশি ভালো হয়ে গেল। আমি খুশিতে রেডি হতে লাগলাম। স্যার আমাকে রেডি হতে বলে ঘরে বাইরে চলে গেলেন।আমি ড্রেস নিয়ে বাথরুমে চলে গেলাম।অনেক খুশি লাগছে। কত দিন পরে বাবা-মাকে দেখব। বাবা মাকে ছেড়ে থাকা যে কি কষ্ট, বিয়ে না হলে বুঝতে পারতাম না।

||

রিমি: ফুপি তাহসিকে আমার চাই।[কান্না করে]

রিনা: তুই কাঁদছিস কেন?

রিমি:কান্না করব না তো কি করব? তুমি দেখলে না,তাহসিন ওই পিচ্চি মেয়েটের জন্য আমাকে মারল ‘আমাকে মারল’? আমি ওকে ছাড়া বাঁচতে পারব না। ওকে যদি না পায় তাহলে আমি মরে যাব।

রিনা: চুপ, আর কোনদিন মৃত্যুর কথা বলবি না।আমি যে করে হোক মিহুকে এ বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিব। তারপর তাহসিনের সাথে তোর ধুমধাম করে বিয়ে দিব।

রিমি: সত্যি ফুপি?

রিনা: হ্যাঁ রে মা। তুই আগে তোর মাথাটা ঠান্ডা কর। নিজের রাগটা কন্ট্রোল করতে শিখ। আজকে মিহুকে ওভাবে মারা তোর একদম ঠিক হয়নি।

রিমি: কি করতাম ফুপি? আমার ওই মেয়েকে সহ্য হচ্ছিল না।

রিনা:তোকে ওই মেয়েকে সহ্য করতে হবে না। তুই আমাকে একটু সময় দে।দেখছি কি প্ল্যান করা যায়।

রিমি: আমি কিছু জানি না। আমার শুধু তাহসিকে লাগবে।

||

সাদা রংয়ের থ্রি পিস পড়ে বের হলাম।আয়নায় সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে খুঁটিয়ে দেখতে লাগলাম। কত পরিবর্তন এসেছে আমার মধ্যে।গলার দিকে তাকাতে স্যারের সেই কথাগুলো মনে পড়ে গেল।ভাবতেই পারছি না স্যার এত রোমান্টিক। চোখ বন্ধ করতেই কথাগুলো কানে বাজে উঠতে লাগল। গায়ের লোমগুলি খাড়া হয়ে উঠল।দরজায় ধাক্কার আওয়াজ পেতে কল্পনা থেকে বেরিয়ে পড়লাম। বুঝতে পারলাম স্যার এসেছে। নিজেকে ঠিক করে স্যার দিকে তাকালাম।

তাহসিন মিহুর দিকে কিছুক্ষণ এক ধ্যানে তাকিয়ে থেকে বলতে লাগল,

তাহসিন:হয়েছে তোমার? এত সাজর কোন দরকার আছে। আর সাজবে না। ঠিক আছে?

আমি:হুম।

আজব তো আমি কোথায় সাজলাম। একটু মেকপ ও করলাম না। লোকটা বলছে আমি নাকি সেজেছি।

তাহসিন:জামাকাপড় নিয়েছ?

আমি: নিতে হবে না। বাড়িতে অনেক কাপড় আছে।

তাহসিন : আচ্ছা চলো।

বাবাকে বলে আমারা গাড়িতে গিয়ে উঠলাম। স্যারের মায়ের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছি কিন্তু সে আমার সাথে কথা বলেলন না।

||
প্রায় আধ ঘণ্টা পরে বাড়িতে পৌঁছে গেলাম। স্যার গাড়িতে একটা কথাও বলে নি। আমিও লজ্জায় কথা বলি নি।
অনেকদিন পড়ে নিজের বাড়ি দেখে খুশিতে স্যারকে রেখে ভিতরে ঢুকে পড়েলাম।
(#চলবে)

[কালকে অনেক অনেক বড়ো করে লেখব। পারলে বোনাস পার্ট দিব।]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here