পবিত্রতার_ছোঁয়া পর্ব ৮

#গল্পের নাম :#পবিএতার_ছোঁয়া (সিজন২)
#পর্ব :৮
#লেখিকা :#জাবিন_মাছুরা [ছদ্মনাম]

লোকটা সত্যি মানুষ নাকি অন্যকিছু।মানুষটার কি একটুও ব্যাথা লাগে না।সমস্ত পিট জুড়ে কালো দাগ হয়ে রয়েছে।আমার হাতে থাকা জলন্ত সিগারেটা ছুড়ে ফেলে দিয়ে স্যারের মুখোমুখি দাঁড়ালাম।

তাহসিন: সিগারেটা ফেলে দিল কেন?আমাকে শাস্তি দেবে না?

জীবনে প্রথম তার চোখে চোখ রেখে তাকালাম। লোকটা কি পেয়েছে?যা ইচ্ছা তাই করবে।আমার কথা একবার চিন্তাও করল না,,

আমি: এমন করলেন কেন?নিজেকে ব্যাথা দিলেন কেন?

তাহসিন :তোমাকে যে কষ্ট দিয়েছি।

আমি : আপনি অনেক খারাপ।

তাহসিন : জানি। তাই তো আমাকে শাস্তি পেতে হবে।

আমি : আপনাকে যে আমি এ অবস্থায় দেখতে পারছি না।

তাহসিন : কেন লজ্জা পাও?

লোকটার কি মাথা ঠিক আছে। আমাকে কি কখনো বুঝবে না,,

আমি:না।আমি আপনাকে ভালবাসি, তাই আপনার ব্যাথা আমার সহ্য হচ্ছে না।

তাহসিন স্যার আমার কথা শুনে মুচকি হেসে দিলেন। আমি কি ভুল কিছু বলে ফেললাম। কথাগুলো ভালো করে মনে করেই অনেক লজ্জা পেলাম। এত সহজে ভালোবাসি কিভাবে বলে ফেললাম।লজ্জায় আমার কান গরম হয়ে উঠতে লাগল। তার থেকে চোখ নামিয়ে মাটির দিকে তাকিয়ে রইলাম।

তাহসিন:কি বললে?

আমি :নিশ্চুপ,,

তাহসিন: আমার দিকে তাকাও বউ।

আচ্ছা লোকটা এমন কেন? এখন বউ না বললে হতো না।হাঁত পা জ্বরের রোগীর মতো কাঁপতে লাগল। মনে হচ্ছে আমি কোন রোগে আক্রান্ত হয়েছি।

তাহসিন : এই পিচ্চি তাকাও।

পিচ্চি শব্দটা কানে যেতেই শরীরে বিন্দু পরিমাণ রাগ হলো। এক মূহুর্তেই লজ্জা জানালা দিয়ে পালিয়ে গেল। আমি নিচের থেকে চোখ তুলে স্যারের দিকে তাকালাম।

তাহসিন: তুমি আমাকে ভালবাসো?

আমি আবার নুয়ে পড়লাম। তাহসিন স্যার আমার একদম কাছে চলে এলো।সে যত কাছে আসছে ততই নিশ্বাস নামক হাওয়া বন্ধ হয়ে আসতে লাগল।দুরত্ব টা যেন একেবারে কমে এলো।তার হাতের স্পর্শ আমার মুখে পেতেই, চোখ বন্ধ করে ফেললাম।

তাহসিন : মিহু,,

আমি : নিশ্চুপ,,

তাহসিন : বড়ো হবে কবে?

স্যারের প্রশ্ন শুনে নিজেকে দুনিয়ার সবচেয়ে ছোট প্রানী মনে হচ্ছে। তাও কিছু বলার সাহস পেলাম না।ঠিক মতো নিশ্বাসই নিতে পারছি না তাহলে কথা বলল কীভাবে,,,

তাহসিন : জান মিহু, তুমি এখন অনেক ছোট।তুমি যে শব্দটি ব্যবহার করলে সেটি হচ্ছে তোমার আবেগ। যা তোমাকে সবকিছু থেকে পিছে ফেলে রাখবে। এই আবেগকে প্রাধান্য দিও প্লিজ। আমি চাই তুমি অনেক বড়ো হও।

আমি আগের ন্যায় দাঁড়িয়ে রইলাম। তার কথাগুলো মনোযোগ সহকারে শুনতে লাগলাম।

তাহসিন : তোমাকে ডক্টর হতে হবে।পড়াশোনা করতে হবে।অনেক কষ্টে তোমাকে পেয়েছি। যদি তুমি পড়াশোনা ঠিক মতো না করো তাহলে আঙ্কেল বলেছে তোমাকে নিয়ে যাবে। প্লিজ পড়াশোনায় মনোযোগ দেও।

কথাগুলো শুনে অনেক খারাপ লাগল। তারপরেও নিজেকে শক্ত রাখল। কিছুটা সময় পর তাকে আর অনুভব করতে পারলাম না। তাই পিটপিট করে চোখ খুললাম।
দেখলাম স্যার সাদা টিশার্ট পড়ে দরজার সাথে হেলাল দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। পলকহীন দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। তার দিকে তাকানোর সাথে সাথে সে বললেন,

তাহসিন:আশা করি তুমি আমাকে বুঝবে।তোমাকে যতটা কষ্ট দিয়েছি সময় হলে ভালোবেসে সব ঘুচিয়ে দিব।বড়ো তো একদিন হবেই,,

(#চলবে)

[আসলে পড়াশোনা চাপে অনেক অনেক ব্যাস্ত আছি। একটু বোঝার চেষ্টা করেন।রিচেক দেইনি। কালকে থেকে প্রতিদিন দিন দেওয়া চেষ্টা করব।]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here