#পরানের দুলাভাই,,
#সেলিনা আক্তার শাহারা,
#পর্ব-১১—-
———-
মিতু পিছন থেকে এসে বলে উঠলো তুমি এখানে?
ওমা তুমিও দেখছি,!! তুমরা দুজনেই?
নিতুর বাবা ও মা এসেছে, তাদের চোখে রাগ তা স্পস্ট ফুটে উঠেছে, অনিকা আর কনিকা মিতু কে সরিয়ে দিয়ে তাদের ভিতর এ নিয়ে আসেন,
মিতু এবার বুঝতে পারেছে হয়তো তারাই মা বাবা কে খবর দিয়েছেন।( ভেবেই মিতু রাগে গজ গজ করছে)
নিতুর মা এবার এসে মিতু কষিয়ে চর মারে চর টা এত জোরে ছিলো কানে সবার এখনও গুজছে,
মিতুর মা মিতুর হাত চেপে ধরে বলছে তর লজ্জা করেনা নিজের বোন এর ঘর ভাংতে,
আমি নিতু ঘর ভেংগেছি নাকি নিতু আমার ঘর ভেংগেছে,( মিতু)
তোর ঘর না তর ঘর তুই সেই ঘরেইতো এলিনা পালিয়েছিলি তুই সবার মুখে চুন কালি মেখে, তোকে পেটে নিয়েছি বলে দায় নয়তো তোকে মেরে ফেলতাম আমি, পালানোর সময় একবার ও কারো কথা ভাবলিনা শুধু নিজের কথাটা ভেবেই চলে গেলি বল কেন বল,( নিতুর মা)
মুগ্ধ এবার বললো মা থামুন আগে নিতুকে খুজতে হবে।
খুজতে হবে মানে( নিতুর বাবা চশমা টা চোখ থেকে খুলে)
হ্যা বাবা আমি আপনাদের মেয়েকে আগলে রাখতে পারিনি ও চলে গেছে আমায় ছেরে বলেই মুগ্ধের চোখ থেকে পানি ঝরতে থাকে,
নিতুর বাবা ও এবার রেগে গেছে, মিতুর দিকে তেরে এসে বললো তুই এখন ও এখানে নির্লজ্জের মত আছিস তোর বোনকে পাওয়া জাচ্ছে না তাও তুই!!!
বাবা আমিতো ওকে চলে জেতে বলিনি, ও বাড়ি গেছে হয়তো, মুগ্ধ নিতুকে ভালোবাসেনা ও আমায় ভালোবাসে হয়তো নিতুও বুঝতে পেরেছে তাই,
কথা শেষ হওয়ার আগেই মুগ্ধ মিতুর হাত চেপে ধরে বলে চুপ আর একটা কথা বললে তোকে আমি এখানেই পুতে দেবো,
চরিএ হীন মেয়ে লজ্জা করেনা,
মুগ্ধ এবার মিতুর বাবা মা কে বললো শুনুন আপনাদের মেয়ে কোন সপ্ন পূরন করতে জায়নি, সে তার আসল প্রেমিক এর কাছে গিয়েছিলো, আমাদের বাড়ি থেকে দেওয়া সব গয়না নিয়ে তা ঐ সময় টেনশন এ কারো খেয়াল ছিলোনা তবে মিতু যাকে নিয়ে পালিয়েছে সে আমারই এক চেনা লোক , সে সব আমায় জানিয়েছে,মিতু এমন আমি আগেই জানতাম তার পরও তাকে মেনে নিয়েছিলাম, ভেবেছিলাম হয়তো শুদরে জাবে।
হয়তো এখন সব টাকা শেষ তাই আবার ফিরে এসেছে, মুগ্ধ এবার বললো আগে নিতুকে খুজি চলুন তার পর মিতুর সব মুখোসই খুলে দিবো,নিতুর সামনেই।
বলেই মুগ্ধ রুম থেকে তার ফোনটা আনতে গেলো,
গিয়েই নিচে নিতুর কালকের পরনের কাপর ঠেকলো পায়ে,
এই কাপরইতো পরম আবেশে কাল রাতে শরিল থেকে ফেলে নিতুকে আকরে ধরেছিলাম, বলেই কাপর গুলো হাতে নিয়ে পানি ঝরে পরলো।
কাপর গুলো বুকে জরিয়ে চুমুদিলো অনেক গুলো, তার পর ফোনটা হাতে নিয়েই বেরিয়ে পরলো।
নিতুর বাবা ও নিতুর মা মুগ্ধ মিলে বের হল,
অনিকা আর কনিকার স্বামি ফোন করে বললো তারা শত জায়গায় লোক পাঠিয়েছে বাসটেন্ড ট্রেন সব জায়গায়, শহর থেকে বাহিরে বের হতে পারবেনা ১০০% আর শহরের আনাচে কানাচে লোক আছে নিতুকেই খুজছে বলেই কল কেটে দিলো,
মিতুও একটু পর জেনো কোথায় বেরিয়ে গেলো,
মুগ্ধর মা অনিকাও কনিকা খুব চিন্তায় আছে,
সারা দিন নিতুকে খুজলো কোন খুজই পাওয়া গেলো না,
সবাই ক্লান্ত হয়ে উঠেছে, সারা দিন তার কোন খাওয়া নেই গতকাল দুপুরএ শেষ খেয়েছিলো তার পর রাত ও সকালে খাওয়া হয় নি,
আর এখন রাত ১১ টা ছুই ছুই,
নিতুর মা শুধু মুখে কাপর দিয়ে কান্নাই করছে,
মুগ্ধ নিতুর বাবা আর মা কে তাদের বাড়িতে পৌছে দিতে গেলো, তারা মুরুব্বি মানুষ এত ধকল সামলাতে পারবেনা,
তাদের বাড়ি দিয়ে মুগ্ধ আবার নিতুর সন্ধান এ বের হবে,
একটু পর নিতুদের বাড়ি চলে এলো, গাড়ি থেকে নেমে দেখে মিতু বসে রয়েছে ঘড় এএ তালা মারা তাই ভিতর এ ঢুকতে পারেনি, মুগ্ধ সে দিকে খেয়াল না দিয়ে তাদের নামিয়ে বিদায় নিয়ে চলে এলো,
নিতুর বাবা গেট খুলে ভিতরে জেতেই মনে হল ছাদে, ছাদে কাওকে দেখেছে, নিচ থেকে বুঝতে পারছিলো,
তাই কাওকে কিছু না বলেই ছাদে চলে গেলো, নিতুর মা রান্না ঘর গেলো কিছু আনতে, মিতুও তার রুমে ঢুকে গেলো,
নিতুর বাবা ছাদে গিয়ে অবাক,
তুই এখানে আর– কিছু বলতে জাবে তার আগেই জরিয়ে ধরে কান্না করতে থাকে,- নিতু//
বাবা তুমরা কোথায় ছিলো?( নিতু)
নিতুর বাবা এবার নিতুকে টেনে সামনে এনে বললো মা রে তুই এমনটা কেন করলি বল কেন,
সবাই তোকে পাগল এর মত খুজছে, বাবাজিও খুজছে, আর তুই ছাদে কি করে এলি??
নিতু এবার ছাদের পাশে হেলান দেওয়া গাছটা দেখিয়ে দিলো, নিতু ছোট থেকেই গাছ বেয়ে ছাদে উঠতে জানে, এভাবে ছাদে উঠা তার রোজকার অভ্যাস এর মধ্যে একটা ছিলো,
নিতুর বাবা এবার হাসি দিয়ে নিতুকে ঘরে নিয়ে এলো, নিতুর মা নিতুকে জরিয়ে রেখে কি কান্না,
মিতুও তার রুম থেকে বের হয়েছে তবে মুখে বিরক্তির ছাপ, হয়তো নিতুর ফিরে আসাটা মানতে পারেনি,
নিতু এবার তার মার কাছ থেকে সরে এসে মিতুকে বললো আপু…
হুম!
তুই চিন্তা করিস না মুগ্ধ তোরই আছে তোকে দুলাভাই ঠিক মেনে নিবে দেখিস, আমি তদের কাটা হব না আপু–
জানি তুই তোর কথা রাখবি( মিতু)
নিতু এবার নিজ এর রুম এ চলে গেলো,
মুগ্ধ খুশি মনে গাড়ি চালাচ্ছে, একটু আগেই নিতুর বাবা ফোন করেছিলো,
আর তার বাড়িতেও কল করে বলেছিলো নিতু তাদের বাসায়,
নিতু এক মনে ঘরে দরজা লাগিয়ে কান্না করছে, সে কি করে তার মুগ্ধকে অন্যের হাতে তুলে দিবে,
কি করে তাকে ছারা বাচবে,
একটু পর ই নিতুর বাবা গাড়ির আসার শব্দ পেয়ে গেট খুলে / মুগ্ধ এসেছে।
মুগ্ধ বিলম্ব না করে নিতুর রুম এ ছুটে জায়,
নিতু দরজা খুলো নিতু প্লিজ দরজা খুলো, ( মুগ্ধ)
মিতুও ঘর থেকে বের হয়ে মুগ্ধকে বলছে তুমি ভুল দরজায় করা নারছো,
মানে?( মুগ্ধ)
মানে না বুঝার কিছুই না, সে তোমায় চায় না আর তুমিও তাকে চাও না, আমি ও জানি আর নিতুও জে তুমি আমায় ভালো বাসো, ( মিতু)
জাস্ট সেট আপ,আর একটা কথা বললে ভুলে জাবো তুমি আমার বৌ এর বড় বোন।( মুগ্ধ রেগে কট মট হয়ে)
মুগ্ধ আবার নিতুকে ডাকতে থাকে নিতু কোন কথাই বলছে না,
মুগ্ধ দরজার পাশে বসে পরলো,নিতুও দরজারই ঐ পাশে,
নিতুর বাবা নিতুর মা কে নিয়ে ঘরে চলে গেলো,তাদের স্বামী স্ত্রীর ব্যাপার তারাই মিটাক।
মিতুও চলে গেলো, ভয় পেয়েছে সে,
অনেক ডাকার পর দরজা খুললো না,
মুগ্ধ খুব ক্লান্ত হয়ে দরজায় হেলান দিয়েই শুয়ে পরলো,
নিতুও কান্না করতে করতে দরজার কাছেই শুয়ে পরলো,
প্রায় ৩ টার দিকে নিতু আস্তে করে দরজা মেলে,
দরজা মেলতেই মুগ্ধ তার পায়ের কাছে ঢলে পরে,
নিতুর ভিতরটা মুচর দিয়ে উঠলো,একি উনার এ অবস্থা কেন?
মুখটা এত শুকনো কেন, নাকি সারা দিন কিছু মুখে তুলেনি??
নিতু আর নিজেকে আটকাতে পারলো না কেদেঁ দিলো, আর পরম আবেশে মুগ্ধর মাথায় হাত রাখলো,
মুগ্ধ কারো নরম হাতের ছুয়া পেয়ে জেগে উঠলো।
নিতু নিতু আমার লক্ষী বৌ কোথায় ছিলো তু-
কিছু বলার আগেই নিতু মুগ্ধের ঠোট এ আগুল দিয়ে আটকে বললে হুসসসসস, কথা নয়, বলেই মুগ্ধকে ঘরে নিয়ে এলো,
মুগ্ধকে ঘরে বসিয়ে নিতু আবার বাহির এএ চলে এলো, একটু পর হাতে খাবার নিয়ে রুম এ ঢুকলো।
মুগ্ধও নিতুকে ভালো করে দেখছে পরনের শাড়িটা ঠিক ঠাক পরা নেই মাথার চুল গুলো এলোমেলো, চোখের কাজল লেপ্টে আছে, হয়তো অনেক কান্না করেছে তাই, মুখটাও শুকিয়ে গেছে পিচ্ছিটার।
মুগ্ধর সামনে খাবার রেখতেই মুগ্ধ নিতুকে জরিয়ে ধরে—-
চলবে—