পুরোনো ডাকবাক্স পর্ব -০৭

#পুরোনো_ডাকবাক্স
#তানিয়া_মাহি(নীরু)
#পর্ব_০৭

বাসায় এসে কলিংবেল চাপলে নওরীন এসে দরজা খুলে দিয়ে নিজের রুমে চলে যায়। যাওয়ার সময় বলে যায়,” ভাবি বাসায় নেই, বাপের বাড়ি গিয়েছে নিশ্চয়ই তাকে তোমার কোন প্রয়োজন হবে না তবুও বললাম।”
আরসাল কিছু না বলে নিজের রুমে চলে গেল। নওরীন রাত থেকে তার ওপর রেগে আছে সকালেও কথা বলে নি। আরসাল গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নেয় তারপর খাবার টেবিলে গিয়ে খাবার খেয়ে নেয়।

দুপুর গড়িয়ে বিকেল আবার বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা হতে চলল আলিজার কোন খোঁজ খবরই নেই। একটাবার তাকে কল ও করছে না। বিয়ের পর প্রতিদিন একসাথে থাকা হয়েছে, বাড়িতে যতক্ষণ সময় কেটেছে ততক্ষণ আলিজা সাথে ছিল। আজ রুমটা কেমন ফাঁকা ফাঁকা লাগছে। কল করবে কি না ভাবছে, কল রিসিভ করলে কি বলবে! কেন ওখানে এভাবে না জানিয়ে যেতে হয়েছে এটা জানতেও তো কল দিতে পারে সে। সাত পাঁচ আর না ভেবে কল করতে যাবে এমন সময় তার ফোনটাই বেজে ওঠে তাকিয়ে দেখে আলিজা কল দিয়েছে। কলটা রিসিভ করে নেয় সে।

” কখন এসেছেন বাসায়?(আলিজা)

” অনেকক্ষণ হলো কিন্তু আপনি হঠাৎ ওখানে কেন গেলেন? আপনি তো বের হতে চেয়েছিলেন আজ তাই না?

” মা বা নওরীন আপনাকে কিছু বলে নি?

” না তো!

” আমার ছোট ভাই আরিশ কিড*’ন্যাপ হয়েছে। ওকে কেউ তুলে নিয়ে গিয়েছে। আমি আর আপনার বাবা এখানে আছি।

” কি বলছেন কি? এটা কিভাবে হলো!

” ছোটমা বাসার সামনের দোকানটায় গিয়েছিল ওখান থেকেই এটা হয়েছে। যে বা যারা এটা করেছে তাদের সাহস আছে বলতে হয়।

” আপনি এখন কোথায়?

” থানায় আছি, বাসায় ফিরবো।

” কি অবস্থা ওখানকার?

” বাসার সামনের সিসিটিভি চেক করে আশেপাশের সিসিটিভি চেক করে খোঁজাখুঁজি করা হচ্ছে পাওয়া যাবে হয়তো আজকেই। আমার মনে হচ্ছে এরা আমার বাবাকেও খুন করেছে, আমি তো এর শেষ পর্যন্ত দেখে নেব।

” আপনার শরীর এখন কেমন?

” ভালো।

” আমি কোথায় আসব থানায় নাকি আপনাদের বাসায়?

” আপনি আসবেন?

” এই অবস্থায় এখানে বসে থাকা যায়?

” ছোটমা বাসায় খুব কান্নাকাটি করছে, তাড়াতাড়ি বাসায় যাব আপনিও ওখানেই আসুন। আঙ্কেলের শরীর ভালো না আমি উনাকে বাসায় পাঠিয়ে দিচ্ছি।

” আচ্ছা ঠিক আছে আমিও আসছি তাহলে।

” জি।

আরসাল রেডি হয়ে বের হয়েছে আলিজার বাসায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে। এমন সময় তিথির অফিসের সামনে তিথিকে কারও সাথে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে। কারও সাথে কথা বলছিল, দেখে মনে হচ্ছিলো ঝগড়া করছে। একবার ভাবলো বাইক থামিয়ে এগিয়ে যাবে। ঠিক তখনই তিথি অফিসের ভেতরে চলে গেল। তাই ভাবলো ওর অফিসের ব্যাপার হয়তো ওখানে যাওয়া উচিৎ না। তাই আর সেখানে না দেখে নিজের গন্তব্যে রওয়ানা দিলো।
____

আলিজা বাসায় ফিরছিল এমন সময় অচেনা নম্বর থেকে মেসেজ আসে। হয়তো পুলিশফোর্সের হতে পারে ভেবে মেসেজটা দেখে।

” আপনার একটা সাহায্যের প্রয়োজন আছে। **** জায়গায় আমাদের পুলিশফোর্স পৌঁছে গিয়েছে আপনিও সেখানে চলে যান। আশা করা যাচ্ছে আপনার ছোট ভাইকে ওখানেই পাওয়া যাবে। আপনি ওখানে গিয়ে দাঁড়াবেন আটটার দিকে দুজন এসে আপনাকে নিয়ে যাবে। ওখানে একটা পুরোনো বাড়িতে আমাদের লোকেদের আলোচনা সভা বসানো হয়েছে। আমরা ধারণা করছি যারা আপনার ভাইকে নিয়ে গিয়েছে তারাই আপনার বাবাকে খু*’ন করেছে। আপনি তাড়াতাড়ি যে জায়গার নাম বললাম সেখানে পৌঁছে যান। আমাদের কন্ট্রোল রুম বা কোন অফিসারকে কল দিয়ে জানানোর প্রয়োজন নেই উনারাই আপনাকে জানিয়ে দিতে বলেছেন উনারা ব্যস্ত আছেন। আপনি তাড়াতাড়ি চলে আসুন।”

আলিজা তাড়াতাড়ি গাড়ি ঘুরাতে বলে, ড্রাইভারকে সেই জায়গায় যেতে বলে যেখানে মেসেজে যেতে বলা হয়েছে।

” ম্যাডাম ওইডা তো গেরাম এলাকা, যে সে গেরাম না ভয়ংকর গেরাম দিনে দুপুরে মানুষ খু*’ন হয়।

” আপনার এত ভাবতে হবে না চাচা আপনি চলুন আরিশ বিপদে আছে। তাকে উদ্ধার করা প্রয়োজন। আপনি আমাকে ওখানে রেখে জনপদে এসে অপেক্ষা করবেন আমাকে তদন্তের ওখান থেকে এসে নিয়ে যাবে চিন্তা নেই।

” তবুও ম্যাডাম…..

” তাড়াতাড়ি চলুন চাচা হাতে সময় নেই।

ড্রাইভার আর কথা না বাড়িয়ে গাড়ি ঘুরিয়ে রওয়ানা দেয় সেই গ্রামের উদ্দেশ্যে।

প্রায় আধাঘন্টা পর নির্দিষ্ট জায়গায় এসে পৌঁছায় আলিজা। গাড়ি থেকে নেমে দাঁড়ায় আর গাড়ি নিয়ে সামনে গিয়ে দাঁড়াতে বলে। অনেক দূর দূর আলো দেখা যাচ্ছে আশেপাশে কোথাও মানুষ নেই বললেই চলে। কিছুক্ষণ পর দুজন লোক এসে পিছন থেকে জিজ্ঞেস করল, “আপনি মন্ত্রী সাহেবের মেয়ে?”
প্রশ্ন শুনে পিছনে ঘুরে তাকায় দুজন লম্বা চওড়া লোক বুকে হাত বেধে দাঁড়িয়ে আছে। আলিজা মাথা নেড়ে হ্যাঁ বলে। তখন দুজন তাকে তাদের সাথে যেতে বলে। আলিজা জিজ্ঞেস করে আপনারা কোন থানার, কিন্তু কেউ কোন জবাব দেয় না। তাদের মধ্যে একজন বলে ওঠে আপনার ফোন বন্ধ রাখুন কোন কল যেন না আসে, বা আপনিও কাউকে কল দিবেন না আর এমনিতেও এখানে নেটওয়ার্ক থাকে না।

” ফোন কেন বন্ধ করতে হবে স্যার? আমার ফোন সাইলেন্ট করা আছে সমস্যা নেই।

” বন্ধ রাখুন আপনার জন্যই ভালো হবে।

আলিজা আর কথা বাড়ায় না। ফোনটা বন্ধ রেখে তাদের সাথে যেতে থাকে। পাঁচ মিনিট হাটার পর আলিজা জানতে চায় আর কতদূর যেতে হবে তখন তাদের দুজনের একজন বলে ওইতো আলো জ্বলছে ওই বাড়িটায়।

” আমার ভাইকে কি পাওয়া গিয়েছে?

” খোঁজ চলছে।

” আচ্ছা এখানে আপনাদের হেড কে আছেন?

” গেলেই দেখতে পাবেন, চলুন।

লোকগুলো আলিজাকে নিয়ে সেই বাড়িটার একটা রুমে প্রবেশ করে। যদিও এখানে অনেকের থাকার কথা ছিল কিন্তু এখানে আসলেই কেউই নেই। তার মানে আলিজা যা ভেবেছিল তাই হলো। তাকে ধোঁকা দিয়ে এখানে নিয়ে আসা হয়েছে।
পাশে রাখা টেবিল থেকে রশি নিয়ে একজন হাত আর পা বাধতে শুরু করল আলিজার। আলিজা চিৎকার করছে, নড়াচড়া করছে কিন্তু কিছুতেই কিছু হলো না। অতঃপর দুজন শক্তিশালী পুরুষের কাছে হার মেনে যায় সে। আলিজাকে বেধে মেঝেতেই ফেলে রেখে দুজন বাহিরে চলে যায়।
রুম সম্পূর্ণ অন্ধকার, কোথাও কেউ নেই তবে মাঝে মাঝে পাশের রুম থেকে কেমন গোঙানির আওয়াজ আসছে। স্পষ্ট কিছু শোনা যাচ্ছে না কিছুতেই। এবার একটু ভয় লাগা শুরু হয়েছে আলিজার। তবে কি খারাপ নজর পরেছে তাদের ওপর। কেউ কি বড় শত্রুরূপে সামনে আসছে? প্রথমে তার বাবা আর এখন তার সৎভাই আর সে!
দুই হাটুতে মাথা নিচু করে রেখে বিড়বিড় করে কথা বলে যাচ্ছে সে। হঠাৎ দরজা খোলার শব্দ হতেই মাথা উচু করে তাকায় আলিজা। রুমের লাইটটাও অন হয়ে যায়। রুমে প্রবেশ করা লোকটি একটা কালো হুডি পরে কালো কাপড় দিয়ে মুখ ঢাকা। আলিজার সামনে চেয়ার টেনে বসলো লোকটি।

সামনে বসা লোকটার দিকে এক পলকে তাকিয়ে আছে আলিজা।

“তো মিস্টার আমজাদ শেখ এর কন্যা আমাদের আতিথেয়তা কেমন লাগছে? কোনরকম অসুবিধা হচ্ছে না তো!

“চুপ করে আছেন কেন বলুন কিছু, আশা করছি এখানে আপনার কোন অসুবিধা হচ্ছে না। আপনি যদি চান আপনার ছোট ভাইকে এখানে পাঠিয়ে দিতে পারি। কি ছোট ভাইকে এখানে একসাথে চাচ্ছেন?

” ওহ আচ্ছা আপনার তো মুখটাও আটকে রাখা কিছু বলতে পারবেন না

এই বলে লোকটা এগিয়ে গিয়ে আলিজার মুখের বাঁধন খুলে দিল। আলিজা যেন হাফ ছেড়ে বাঁচলো।

” কে আপনি আর আমাদের দুই ভাই বোনকেই বা কেন এভাবে আটকে রেখেছেন? কি ক্ষতি করেছি আমরা, আমাদের এভাবে শাস্তি কেন দিচ্ছে না আপনি?

” ক্ষতি তো তোরা করিস নি ক্ষতি করেছে তোদের বাবা। তোর বাবাকে যেমন মে*”রেছি সবকয়টাকে শেষ করে ফেলব। তোদের একজনকেও বাঁচিয়ে রাখবো না আমি। তোর বাবা আমার পরিবারকে শেষ করে দিয়েছে।

” আমার বাবা! কি ক্ষ*’তি করেছে আপনার?

” তোর বাবা আমার পুরো ক্যারিয়ার নষ্ট করে দিয়েছে। আর আমার ক্যারিয়ার নষ্ট হয়ে যাওয়ায় আমার পরিবারটা শেষ হয়ে গিয়েছে।

” মা মানে কি বলছেন কি আপনি? আমার বাবা আপনার ক্যারিয়ার কেন নষ্ট করতে যাবে? আমার বাবা খুব ভালো মানুষ ছিলেন আমি আপনার কথা কোনভাবেই বিশ্বাস করিনা। মিথ্যে বলছেন আপনি, আমি আপনার কথা বিশ্বাস করি না।

” মিথ্যে আমি বলছি না, তোর বাবা আমার, আমার পরিবারের জীবন যেভাবে নষ্ট করে দিয়েছে আমি সেরকম তোর বাবাকেও শেষ করে দিয়েছি তোদের সবাইকে শেষ করে দেব।

” আপনি জানেন না আপনি কাকে শেষ করে দিয়েছেন। আর চাইলেই সবকিছু শেষ হয়ে যায় না, খুব বড় ভুল করে ফেলেছেন আপনি মন্ত্রী পরিবারের পিছে লেগে।

” আমার তো যা শেষ হওয়ার হয়ে গিয়েছে শুধু বাকি আমি। আমি আর কি শেষ হব আমার পরিবারকে শেষ করে দিয়েছে তাতেই তো আমি শেষ। আমার হারানোর আর কিছু নেই….

” কি করেছিল আমার বাবা আপনার সাথে যার জন্য তার জীবন নিতে দুইবার ভাবলেন না?

” ভাবি নি কে বলেছে? অনেক ভেবে প্ল্যান করে তোর বাবাকে শেষ করেছি মন্ত্রীর খু*’ন করা সত্ত্বেও পুলিশ আমার কিচ্ছু করতে পারে নি আর পারবেও না।

“কে বলেছে আপনাকে ধরা কষ্টসাধ্য! এই যে আজকে একটা বড় ভুল করে ফেলেছেন। এত বড় ভুলের খেসারত তো আপনাকে দিতেই হবে।

” হাহাহাহাহা কে দিবে আমাকে শাস্তি তুই? যার কিনা হাত-পা সব বাধা আর আমি চাইলে মুখটাও বন্ধ হয়ে যাবে।

” শাস্তি তো আপনাকে আমারই দিতে ইচ্ছে করছে কিন্তু আমি যদি আপনাকে শাস্তি দেই তাহলে আপনার আর আমার মাঝে কোন পার্থক্য থাকবে না। আপনি অমানুষ হতে পারেন, কিন্তু আমি অমানুষ হতে পারি না আপনার মত।

” মুখ সামলে কথা বলবি নয়তো এই যে রিভা*’লবার দেখছিস এখানকার ছয়টা গু*লির মধ্যে একটা গু*’লি তোর মস্তকে ঢুকবে। তারপর সব চুপ কোন কথাবার্তা নেই একদম নিরব পরিবেশ।

” পরিবেশ তো এবার নীরব হবে। পিছনে একবার শুধু তাকিয়ে দেখুন। আমাকে আর আমার ভাইকে খুব আতিথেয়তা করলেন না! এবার তো আপনার আতিথেয়তার দায়িত্ব আমার নেওয়া উচিত। আমার বাবাকে খু*’ন করলেন আমার ছোট ভাইকে তুলে নিয়ে এলেন আমাকেও ইভেন ছাড়লেন না এর জন্য তো একটা দারুন আতিথিয়তা আপনার প্রাপ্য। বড্ড ভুল করে ফেলেছেন তাড়াহুড়ো করে দুজনকে একসাথে শেষ করতে চেয়ে।

লোকটা পিছনে ঘুরে তাকাতেই দেখে পুলিশের পুরো একটা টিম দাঁড়িয়ে। লোকটা এবার একটু থতমত খেয়ে যায়। মনে মনে ভাবতে থাকে তার মানে এই মেয়ে এখানে আসার আগেই সব বুঝে গিয়েছিল! মেয়েটাকে যতটা বোকা ভেবেছিলাম ততটা বোকা নয়।

আলিজা এবার মুখের কাপড় সরিয়ে ফেলে, অনেক আগেই সে হাতের বাঁধন খুলে ফেলেছিল। শুধু শেষ পর্যন্ত কি হয় সেটা দেখার জন্য চুপচাপ ছিল।

” ধরুন অফিসার, এই লোক কোনভাবেই যেন পালাতে না পারে। বড্ড চালাক ভেবে নিয়েছে নিজেকে। আমার বাবাকে কেড়ে নিয়েছে এই লোক, কোনভাবেই যেন ছাড়া না পায়। সর্বোচ্চ শাস্তি যেন পায় এই লোক।

এবার লোকটি আর এক মুহূর্ত দেরি না করে আলিজার মাথায় রিভা*’লবার ঠেকিয়ে পাশে দাঁড়িয়ে হাসতে থাকে।

” আমার জীবনের ভয় নেই স্যার, আমার পুরো জীবনটা তো নষ্ট হয়েই গিয়েছে। আমার জীবন গেলে যাবে আমার জীবনের কোন মায়া নেই। মর*’লেও মন্ত্রীর মেয়েটারে মে*’রেই মর*’ব।

এমন সময় আরসাল রুমে প্রবেশ করে। আলিজার মাথায় রিভাল*’বার ঠেকানো দেখে ভয় পেয়ে যায়। এটাই তো মুখ্য সুযোগ আলিজাকে জীবন থেকে সরিয়ে দেওয়ার তবুও কেন আলিজার খারাপ চাইতে পারছে না সে! কেন মনে হচ্ছে আলিজার কোনভাবেই যেন কিছু না হয়, তবে কি সে দুই নৌকায় পা রেখে চলছে! আলিজার জন্য কেন খারাপ লাগবে সে তো প্রথমরাত থেকেই চেয়েছিল এই মেয়েটা যেন তার কাছে থেকে বিদায় নেয় তবে এখন কেন এমন লাগছে!
আলিজা আরসালের প্রবেশে তার দিকে তাকিয়ে আছে টলমল চোখে। তবে কি তার শেষ এখানেই এভাবে হবে! সে আর কিছু না ভেবে চিৎকার করতে থাকে।

” স্যার প্লিজ ভয় পাবেন না আমাকে নিয়ে আমি আপনাদের অনুমতি দিচ্ছি আমার যা হয় হবে আপনারা প্লিজ এই লোকটাকে ছাড়বেন না। এই লোকটাকে ছাড়লে আমি শান্তি পাব না, এই লোকের জন্য আমি আমার বাবাকে………..

কথা শেষ না করতেই দ্রুম করে শব্দ হয়, রিভা’*লবার সাইলেন্ট করা না থাকায় এরকম শব্দ হয়েছে। শব্দ পাওয়ার সাথে সাথে উপস্থিত সবার চোখ বড় বড় হয়ে যায়। আরসাল জোড়ে ” আলিজা” বলে চিৎকার দিয়ে ওঠে। অতঃপর চারপাশের পরিবেশ কয়েক সেকেন্ডের জন্য নিশ্চুপ…..!!

চলবে….

সবার গল্প বিষয়ক মন্তব্য আশা করছি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here