পুরোনো ডাকবাক্স পর্ব -১০

#পুরোনো_ডাকবাক্স
#তানিয়া_মাহি(নীরু)
#পর্ব_১০

(লাইট দিয়ে পড়তে না পারলে মেইন ফেসবুক এ্যাপ দিয়ে পড়বেন। পর্ব বড় করে দেওয়া হয়েছে আজ)

কেটে গিয়েছে বেশ কিছুদিন আমজাদ শেখের ঘটনার সুরাহা হওয়ার পর তার ব্যাংক ব্যালেন্স, সম্পত্তি বিষয়ে প্রশ্ন উঠেছে। খুটিয়ে দেখেও আমজাদ শেখের নামে আহামরি কোন কিছু পাওয়া যায় নি। স্ত্রীকেও তেমন কিছু দেন নি তিনি তবে কি তিনি সবকিছু তিনি দেশ ও দেশের মানুষকে দিয়ে গিয়েছেন নিজের জন্য কিছুই রাখেন নি? প্রশ্নগুলোর কোন উত্তর এতদিনে পাওয়া যায় নি। সবরকম তদন্ত এক প্রকার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং আমজাদ শেখের খু*’নীক মানসিক রোগী প্রমাণিত হওয়ায় তাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে, চিকিৎসা ফলপ্রসূ হলেই শা*’স্তি কার্যকর করা হবে।

****
সন্ধ্যাপর বাসায় প্রবেশ করে আরসাল। আজকে কলেজ থেকে আর বাসায় আসে নি। তিথির সাথে দেখা করে, ঘুরাঘুরি করে ভালো কিছু সময় কাটিয়ে বাসায় ফিরেছে সে। রুমে এসে দেখে আলিজা রুমে নেই। প্রায় প্রতিদিন সে বাসায় এসে দেখে আলিজা নেই। বেশিরভাগ সময় আলিজা নওরীনের সাথেই থাকে বিষয়টা তার ভালোই লাগে।

আরসাল ফ্রেশ হয়ে রুমে আসতেই দেখে আলিজা বিছানায় বসে আছে। তাকে দেখেই এগিয়ে এসে সামনে দাঁড়ালো।

” আপনি আমাকে ডাকেন নি কেন?

” তুমি তো নওরীনের রুমে ছিলে বোধ হয়।

” না আমি আম্মির রুমে ছিলাম।

” আম্মি! তুমি তো আন্টি বলতে।

” এখন থেকে আম্মি।

” বাহ।

” জি, এত দেরি কেন হলো আসতে? মাঝেমাঝেই আপনার আসতে দেরি হয় কেন বলুন তো কারো সাথে দেখা করতে যান নাকি?

” কা কার সা সাথে দেখা করতে যাব? বন্ধুদের সাথে একটু আড্ডা দিয়ে বাসায় ফিরি।

” হ্যাঁ সময় দেওয়া বন্ধু পর্যন্তই যেন থাকে। মেয়েঘটিত কোন ব্যাপার থাকলে জানে মে*’রে ফেলব বলে দিলাম।

” আমি একজনকে ভালোবাসি আলিজা।

” কিহ?

” হ্যাঁ।

” বুঝলাম না।

” বললাম আমি একজনকে ভালোবাসি।

” মজা করছেন তাই না?

এটুকুতেই আলিজার চোখ ছলছল করে ওঠে। আবারও মনে পড়ে যায় পুরো দুনিয়া তার সাথে খারাপ করেছে আরসালের কাছে ভালোবাসা আশা করা বোকামি ছাড়া কিছু না।

আরসাল যদিও বা সিদ্ধান্ত নিয়েছিল আলিজাকে সব বলে দেবে কিন্তু সাহস করে বলে উঠতে পারে নি সে। পৃথিবীতে সেই খারাপ শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত সে, যে শ্রেণির পুরুষ ঘরে স্ত্রী রেখে বাহিরে পরনারীতে আসক্ত থাকে। কিন্তু আরসাল এখানে দোটানায় আছে, না পারছে তিথিকে ছাড়তে আর না পারছে আলিজাকে সব পরিষ্কার করে বলতে।

” আমি ভুল আশা করে ফেলেছিলাম আপনার কাছে আরসাল। আমি ভেবেছিলাম আপনার বাবা জোর করে বিয়ে দিয়েছে জন্য আপনি নারাজ কিন্তু এখানে তো অন্য বিষয়।

” আরে বাবা আমি তো মজা করলাম।

” একটা সত্যি কথা বলব শুনবেন?

” কি?

” আমি আপনাকে ভালোবাসি।

আরসাল কিছুক্ষণ চুপ থেকে কিছু না বলে বাহিরের দিকে যেতে লাগলে আলিজা সামনে গিয়ে দাঁড়ায়।

” কোথায় যাচ্ছেন আপনি?

” বাহিরে যাচ্ছি।

” বাহিরে থেকেই আসলেন এখন আবার বাহিরে কেন?

” বাসায় থেকে কি করব?

” আমি আছি না, আমার সাথে আড্ডা দিবেন।

” বাহিরে সবাই অপেক্ষা করছে।

” ভয় পান?

” কিসের ভয়?

” এই যে আমার সাথে সময় কাটালে যদি আমাকে ভালোবেসে ফেলেন!

” বা*’জে কথা।

” একদম সত্যি কথা। আপনি আমাকে এক সপ্তাহ সময় দেন শুধু আমার সাথেই কাটাবেন।

” তাহলে?

” তাহলে নিজেই বুঝতে পারবেন আপনি আমাকে ভালোবাসেন।

” চ্যালেঞ্জ নিচ্ছো মনে হচ্ছে। এখানে চ্যালেঞ্জ নেওয়ার কি আছে।

” হ্যাঁ চ্যালেঞ্জই ধরুন। আপনি তো ভয় পান।

আরসাল কিছু না বলে বাহিরে চলে যায়। আলিজা ওখানেই ঠায় দাঁড়িয়ে থাকে। তবে কি আরসাল সত্যিই তাকে ভালোবাসবে না কখনও! সে কেন তাহলে আরসালের সবটা জেনেও মিথ্যা আশা নিয়ে এখানে পড়ে আছে? আলিজা বারান্দায় চলে যায়, খোলা আকাশের দিকে চেয়ে থাকে। এত বড় আকাশের নিচে মানুষের অভাব নেই কিন্তু এত এত মানুষের মধ্যেও তার একটা ব্যক্তিগত মানুষের খুব অভাব। কেউ একজন তো তার জন্য থাকতে পারতো তার জন্য যে কিনা তার সব কথা মন দিয়ে শুনবে, সাহারা দিবে ভালোবাসবে, বিপদে পাশে থাকবে। কিছু কিছু মানুষ খুব সঙ্গীহীনতায় থাকে তবু তো তাদের পরিবার অন্যান্য কাছের মানুষ থাকে কিন্তু আলিজার যে পূর্ণতার খাতা একদম শূন্য।

সেদিন আরসাল গোসলে গেলে আলিজা রুমেই ছিল। রুমটা এলোমেলো থাকায় ঠিক করছিল এমন সময় মেসেঞ্জারে মেসেজের শব্দ হতেই কৌতুহলবশত মেসেঞ্জারে যেতেই যেন পুরো পৃথিবী অন্ধকার হয়ে যায় তার। হাত দিয়ে মুখ চেপে কান্না থামিয়ে মেসেজ দেখতে থাকে।
সে ভেবেছিল সময় লাগলেও সে আরসালের কাছাকাছি হতে পারবে একজন মানুষ অন্তত তার হবে। কিন্তু তার ধারণা সম্পর্ক মিথ্যা প্রমাণিত হয়ে গিয়েছে সেদিন। তবুও সেদিন থেকে চেষ্টা করে যাচ্ছে আরসালকে বুঝতে না দিয়ে সবকিছু ঠিক করার। সে চাইছে আরসাল যেন তাকে ভালোবাসে।

****
আরসাল বাহিরে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিয়ে বাসায় ফিরে যাওয়ার আগে তিথির সাথে ফোনে কথা বলছিল। এমন সময় একটা ছেলে সামনে এসে দাঁড়ায়, তার সমবয়সীই হবে। একদম তার সামনে দাঁড়িয়ে আছে সে। আরসাল এবার ফোন হোল্ড করে জানতে চায় কিছু বলবেন? ছেলেটা ইশারা করে ফোনটা রাখতে বলে। আরসাল তিথিকে ফোন রাখতে বলে কলটা কেটে দেয়।

” জি বলুন?(আরসাল)

” আপনার সাথে কিছু কথা ছিল।

” হ্যাঁ বলুন।

” আমি শিহাব, তিথির প্রেমিক।

” মানে ঠিক বুঝলাম না।( বসা থেকে দাঁড়িয়ে যায় আরসাল)

” আপনি হয়তো তিথির সাথেই কথা বলছিলেন। আপনাকে আমি কয়েকদিন ধরে ফলো করছি কথা বলার সুযোগ খুঁজছি।

” কি বলতে এতকিছু করছেন আপনি?

” প্লিজ আপনি মাথা ঠান্ডা করুন আর আমার কথাগুলো শুনুন। আমি আপনার ফেসবুক আইডিতে রিকুয়েষ্ট ও পাঠিয়েছি মেসেজ ও দিয়েছি আপনি দেখেন নি তাই সামনাসামনি দেখা করার প্রয়োজন অনুভব করলাম। তিথির সাথে আমার সম্পর্ক চার বছর।

” কি বলছেন আপনি?

” হ্যাঁ যা বলছি সত্যি বলছি।

” হুট করে এসে একটা কথা বলে দিলেন আর আমি বিশ্বাস করলাম?

” তা কেন করবেন? আমি সব প্রমাণ আপনাকে দিয়ে দিয়েছি মেসেজ চেক করে নিবেন প্লিজ। আমাদের একসাথের ছবি, মেসেজ, ভয়েস সবকিছু আপনাকে দিয়েছি। তার ভয়েস শুনলে অবশ্যই চিনতে পারবেন।

” আমি দেখছি দাঁড়ান।

” ভাই ওগুলো পরে দেখে নিবেন এখন আমার কথাগুলো শোনেন প্লিজ।

” হুম।

” তিথির সাথে আমার সম্পর্ক চার বছরের। খুব ভালো দিন যাচ্ছিলো আমাদের মাঝে মাঝে তাকে সন্দেহ হতো ঠিকই কিন্তু সে আমাকে বুঝিয়ে সব ঠিক করে নিতো। ইদানীং কিছুদিন সে আমাকে একদম ইগনোর করছে। না আগের মত কল, মেসেজ, অফিসেও তেমন কথা বলেনা আমাকে এড়িয়ে চলে। সেদিন অফিসে তিথি বড় স্যারের কাছে গেলে ওর ফোন চেক করি। তিথির আর আমার পাশাপাশি ডেস্ক। আপনার সাথে কনভারসেশন দেখে আমার ম*’রে যাওয়ার মত অবস্থা। এত ভালোবাসার পরও কিভাবে মানুষ ঠকাতে পারে! তিথি যেমনই হোক আমি ওকে ভীষণ ভালোবাসি, ওকে আমি হারাতে পারব না ভাই। ওই মেয়েটা আমার জীবন, ওকে না পেলে আমার কি হবে আমি নিজেও জানি না। আর ভাই আমি যতটুকু বুঝেছি আপনি বিবাহিত তাহলে কেন শুধু শুধু স্ত্রীকে ঠকাচ্ছেন? এটা করবেন না প্লিজ, তিথিকে প্লিজ ভিক্ষা দিন আমাকে, আমি ওকে ছাড়া বাঁচবো না। আমি আপনার পায়ে পড়ছি ভাই প্লিজ আমার সাথে এই অন্যা*’য়টা করবেন না। তিথি আপনার জন্য আমাকে ইগনোর করছে আপনি সরে গেলে চারজনেরই ভালো হয়। আপনি আপনার স্ত্রীর সাথে ভালো থাকুন আমার ওপরও একটু দয়া করুন প্লিজ ভাই।

” আপনি যদি প্রমাণ করতে পারেন তিথির সাথে আপনার সম্পর্ক ছিল বা আছে তাহলে আমি কথা দিলাম আমি সরে আসব।( শিহাবের কথা শুনে এক ধাপ পিছিয়ে গিয়ে নিজেকে শক্ত করে দাতে দাত চেপে কথাটা বলল আরসাল।)

” সব প্রমাণ আমি আপনাকে দিয়ে দিয়েছি প্লিজ দেখে নিন।

” ওগুলো তো ফেইক ও হতে পারে।

” মেসেজ, আইডি ফেইক হতে পারে কিন্তু ওর গলার স্বর তো চিনবেন।

” ভয়েসও তো এডিট হতে পারে।

” আচ্ছা ভাই ওয়েট করেন আমি আপনাকে এক্ষুনি প্রমাণ করে দিচ্ছি।

শিহাব নিজের প্যান্টের পকেট থেকে ফোনটা বের করে। তিথির ফোন নম্বর বের করে আরসালকে দেখায়।

” নম্বরটা দেখে নিন এটাও আবার বিশ্বাস করতে কষ্ট হতে পারে। আমি আমার ভালোবাসার পরিক্ষা দিতে প্রস্তুত।

” জি কলটা দিতে থাকুন।

শিহাব এবার তিথির ফোনে কল দেয়। প্রথমবার কল রিসিভ করে না। দ্বিতীয়বার কল দিতেই কলটা রিসিভ করে নেয়। শিহাব এবার ফোনটা লাউডস্পিকারে দেয়। আরসাল খুব মনোযোগ সহকারে ঘটনা পর্যবেক্ষণ করে।

” তিথি…..

” হ্যাঁ বলো, তোমাকে বলেছি এই সময় কল দেবে না রুমে মা থাকে।

” একটা কথা জানার জন্য শুধু কল দিয়েছিলাম।

” কি কথা বলো।

” আমি তো তোমার জন্য একটা রিং কিনতে এসেছিলাম কিন্তু তোমার পছন্দ হবে কি না তা তো জানি না।

” আমাকে না জানিয়ে রিং কেন কিনতে যেতে হবে তোমার?

” এসেছি এসেছি আমার পছন্দমতো নিলাম।

” তুমিও না!

” আমিও কি?

” কিছু না থাকো রাখছি।

” ভালোবাসি বলবে কে?

” ভালোবাসি তো!

” আচ্ছা এখন রাখছি।

” ঠিক আছে।

ফোনটা রেখেই শিহাব আরসালের দিকে তাকায়। আরসাল কথা বলার শক্তি হারিয়ে ফেলেছে। এই তিথির জন্য সে কি না করেছে। নিজের বিবাহিত স্ত্রীকেও সে স্ত্রীর অধিকার দেওয়া তো দূর ডিভোর্স দেওয়ার কথা ভেবেছিল। নাহ আর না, সে কিভাবে এতদিন চোখে কাপড় বেধে ছিল! নিজের কাজ আর চরিত্রের প্রতি থুথু ফেলতে ইচ্ছে করছে তার। আলিজা কি তখন ওই ব্যবহারের পর, এতদিন অবহেলা করার পর তাকে তার মনে জায়গা দেবে! কিন্তু দুষ্ট গোরুর চেয়ে শূন্য গোয়াল ভালো। আলিজা গ্রহণ করলে করবে না করলে একাকী থাকবে তবু যে নারীর জন্য এত কিছু করার পরও যার মনে অন্যকারও বসবাস তার কাছে আর ফিরবে না।

” ভাই।

” হু

” শুনলেন তো, এবার প্লিজ আপনার কথাটা রাখুন।

” হ্যাঁ কথা যেহেতু দিয়েছি, কথা আমি রাখব।

” আপনি তো বলেছিলেন আমি প্রমাণ করতে পারলে আপনি নিজেকে সরিয়ে নেবেন। আপনি প্লিজ তিথিকে অবহেলা করা শুরু করুন, আমাদের যে কথা হয়েছে এসব সে যেন না জানে।

” জানবে না।

দুজনের মধ্যে আরও কিছুক্ষণ কথাবার্তা চলে। আর এই আলাপে একজনের হৃদয় ভাঙে সাথে আরেকজনেরটা সতেজতা লাভ করে।

*****
রাত বারোটা বাজে, আলিজা আরসালের জন্য অপেক্ষা করতে করতে ঘুমিয়ে গিয়েছে। আরসাল বাসার সদর দরজায় দাঁড়িয়ে আলিজাকে কল দেয়। ফোন বেজে উঠতেই আলিজার ঘুম ভেঙে যায়।

” আরসাল!

” দরজার বাহিরে দাঁড়িয়ে আছি। সবাই কি ঘুমিয়েছে?

” হ্যাঁ, আমিও ঘুমিয়ে গিয়েছিলাম। কখন এসেছেন আপনি?

” ফোনে কথা বলবে নাকি দরজা খুলে দেবে?

” স্যরি স্যরি আমি আসছি।

আলিজা তাড়াতাড়ি করে বিছানা ছেড়ে গিয়ে দরজা খুলে দেয়। আরসাল ভেতরে চলে আসে, আলিজাও দরজা লক করে আরসালের সাথে রুমে চলে আসে।

” খুব কষ্ট দিয়ে ফেলছি তাই না?

” কিভাবে?

” এই যে এতরাতে ঘুম থেকে উঠে দরজা খুলে দিতে হয়।

” সমস্যা নেই আপনার কাজ থাকতেই পারে। আপনি ফ্রেশ হয়ে আসুন আমি খাবার প্লেটে দিচ্ছি।

আরসাল এতক্ষণ খেয়াল করে নি আলিজা কালো রঙের একটা সুতি শাড়ি পরেছে। ফর্সা শরীরে যেন কালো রঙটা একটু বেশিই ফুটে উঠেছে। প্রতিদিনের চেয়ে আজকে একটু বেশিই সুন্দর লাগছে তাকে। হয়তো অন্যদিনও সুন্দর লেগেছে কিন্তু আরসাল তো এই মেয়ের সৌন্দর্য্য খেয়াল করে নি আজকে হঠাৎ চোখে লাগছে কেন!

” আজ হঠাৎ শাড়ি?

রুম থেকে বাহিরে যাওয়ার সময় আরসালের এমন কথায় আলিজা থেমে যায়।

” খারাপ লাগছে? অন্যদিন তো আমার দিকে নজরই দেন নি। খারাপ লাগলে বলুন না প্লিজ আমি চেঞ্জ করে আসছি।

” না না পরে থাকো সুন্দর লাগছে।

” আচ্ছা ঠিক আছে। আপনি ফ্রেশ হয়ে আসুন, আমি খাবার দিচ্ছি।

” আলিজা…..

” জি বলুন।

” ভালোবাসো?

” হঠাৎ এমন প্রশ্ন? কিছু হয়েছে আপনার?

” বলো না, প্রশ্ন করলে উত্তর দিবে উল্টো প্রশ্ন করতে হয় না।

” হ্যাঁ।

” সাতদিন সময় চেয়েছিলে না?

আলিজা মুখে কিছু না বলে অবাক চোখে আরসালের দিকে তাকিয়ে থাকে। তার আবার আজ কি হলো বাহিরে থেকে এসে! এতরাতে বাহিরে থেকে আসার সময় রাস্তার কোন ভূ*’ত ঘাড়ে চেপে বসে নি তো! কারণ এতদিনে আরসাল খারাপ ব্যবহার তো কখনও করে নি কিন্তু এভাবেও তো কথা বলে নি।

” কি হলো?

” হ্যাঁ? হ্যাঁ হ্যাঁ চেয়েছিলাম।

” সারাজীবন তোমাকে দিয়ে দেব, নেবে?

” আরসাল! আমার মনে হয় আপনি কোন বিষয় নিয়ে চিন্তিত আছেন, ফ্রেশ হয়ে খাওয়া দাওয়া করে ঘুমান সকালে সব ঠিক হয়ে যাবে।
কথাগুলো বলে আলিজা বাহিরে যেতে লাগলে আরসাল আলিজার হাত ধরে টান দেয়, আলিজা টাল সামলাতে না পেরে আরসালের বুকে এসে পড়ে। পরক্ষণেই সাথে সাথে নিজেকে ঠিক করে নেয়।

” আমি একটা প্রশ্ন করেছি বুঝতে পারো না তুমি? যাও তুমি তোমার খাবার খেয়ে ঘুমাও। — বলেই আরসাল ওয়াশরুমের দিকে চলে যায়।

” শুনুন, রাগ করছেন কেন? আপনি তো কখনও আমার সাথে এভাবে কথা বলেন নি তাই আমার কেমন অস্বস্তি লাগছিল, মনে হচ্ছিলো আপনার কিছু হয়েছে বা আপনি অসুস্থ। প্লিজ রাগ করবেন না আমার ওপর।

আরসাল কোন কথা না বলে জোরে ওয়াশরুমের দরজা বন্ধ করে দেয়। এদিকে আলিজা থ’ মে*’ রে দাঁড়িয়ে থাকে। সে কি করবে এখন, কি ই বা করা উচিৎ তার!!!

যারা পড়ছেন গল্পটা তারা অবশ্যই লাইক অন্তত দিয়ে রাখবেন প্লিজ। হাতে সময় থাকলে কমেন্ট করে জানাবেন কেমন লাগছে গল্পটা আপনার কাছে। সবাই দুই/ তিনটা করে কমেন্ট করবেন, ইমোজি কমেন্ট করবেন না।
চলবে…..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here