পূর্ণতা নাকি শূন্যতা পর্ব -০৯

#পূর্ণতা_নাকি_শূন্যতা
#রেজওয়ানা_রমা
#পর্ব_০৯

বাড়ি ফিরতে রাত হয়ে যায়। দুপুরে লাঞ্চ টা দুজন বাইরেই করেছি। বাড়ি ঢুকতেই বড় মা ভাইয়ার দিকে রাগী চেহারা নিয়ে তাকালেন। সিদ্ধাত ভাইয়া আমাকে রুমে চোখের ইশারায় যেতে বলে।আমি অনিচ্ছা স্বত্ত্বেও রুমে চলে আসি।

বড়মা: কি হচ্ছে এসব?
সিদ্ধাত: দেখতে পাচ্ছো না?
বড়মা: দেখছি বলেই জিজ্ঞাসা করছি। এভাবে ঘুরাঘুরি করতে না করছি আর তুই?
সিদ্ধাত: তোমার বউমা কে নিয়েই তো ঘুরছি। অন্য কাউ কে নিয়ে তো যাচ্ছি না
বড়মা: ও কথা স্বপ্নেও ভেবো না।
সিদ্ধাত : ভাবিও না। ঈশা ছাড়া আমি অসম্ভব। আর হ্যাঁ তুমি এভাবে রাগ করে থেকো না তো। হাসলে তোমায় ভালো লাগে। একটু হাসো। এটা স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো ( গাল টেনে)
বড়মা: জ্ঞান না দিয়ে গিয়ে ফ্রেস হয়ে নে। আমি কফি পাঠাচ্ছি
সিদ্ধান্ত : ওকে সুইটহার্ট

☆☆ আম্মুর রাগ ভাঙিয়ে রুমে চলে এলাম।আজকের দিন টা আমার বেশ ভালোই কেটেছে। বিয়ের দিন যত এগিয়ে আসছে আমার মনের ভিতর কেমন জানি ভয় জন্ম নিচ্ছে। আদৌ পূর্ণতা পাবে তো!ঈশা আমার হবে তো! হতেই হবে। ঈশা শুধু আমার। ঈশা কে আমার চাই তো চাই। যে কোনো মুল্যে, যেকোনো উপায়ে। বিয়ের জন্য সবাই অনেক এক্সাইটেড। ঈশাদের বাড়িতে এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে সাজানো হয় নি। লোকে দেখলেই বুঝবে কতটা ধুমধাম করে বিয়ে হচ্ছে। আর হবেই তো বাপের একমাত্র মেয়ে।ঈশা সবার অনেক আদরের। একবারেই বাচ্চাদের মত। ভীষন নরম মনের। একটুও আঘাত সহ্য করতে পারে না। পাগলি একটা। এইসব ই একলা মনে ভাবছি তখনই আমার রুমে প্রবেশ করে সিফাত

সিফাত: কিরে বউ নিয়ে তো ভালোই ঘুরলি
– আরে ধুর ঘুরতে পারলাম আর কই। ওকে নিয়ে গিয়েছি তো প্রায় বিকেলের দিকে।
– বাট ঘুরেছিস তো
– একটু
– একটু? ওকে ব্রো নো প্রবলেম। আর কিছু দিন পরেই তো নিজের করে পাবা। সারাদিন ঘুরে বেড়িয়ো
– হুরু। কিন্তু ঈশা কে ছাড়া না সত্যি কিছু ভালো লাগে না
– তোরে জিজ্ঞাসা করেছিলাম ঈশার মধ্যে কি পেয়েছিস, ও তো একটা বাচ্চা মেয়ে। দোস্ত এতো বছর পর ঈশা কে নিজেই দেখার পর বুঝলাম তুই কেন এতো পাগল

সিফাতের কথায় মুচকি হেসে দিলাম। আমার হাসি দেখে সিফাত আবারও বলা শুরু করে
,
– সত্যি দোস্ত তোর পছন্দ আছে
– হুম দেখতে হবে তো
– তোর পছন্দের তারিফ না করে পারছি না
– হয়েছে থাম। নজর দিবি না একদম
– মাথা খারাপ নাকি ওর দিকে নজর দিয়ে তোর হাতে খুন হই
– এই তো বুঝেছিস। কিন্তু সিফাত আমার ভয় লাগছে। কেন জানি না মনে হচ্ছে কিছু একটা গন্ডগোল হবে
– হুরু। কিছুই হবে না। সব ঠিক ঠাক ই চলছে।
– ঠিক থাকলে তো ভালো। কিন্তু ঈশা কে যদি না পাই
– এসব বলছিস কেন
– জানি না। মনের ভিতর কেমন জানি হচ্ছে। মনে হচ্ছে কিছু একটা ঘটতে চলেছে
– চিন্তা করিস না কিচ্ছু হবে না
– তোকে একটা কথা বলা হয় নি
-কি?
– আমরা বিয়ে করে নিয়েছি
-কিহ!
-হুম
-কবে? কখন? আর কেন? তোদের বিয়ে তো সামনেই তাহলে?
-আমার ডাউট হচ্ছিলো মেঘ কে নিয়ে। আর মনের ভিতর সেই অনাকাঙ্ক্ষিত ভয়। তাই বিয়ে করে নিয়েছি
– আমাকে বললি না একটা বার। আর বিয়ে যেহেতু করেই ফেলেছিস তাহলে এখন আর ভয়ের কি আছে। ঈশা তো এখন শুধু তোর।
– হুম। তবুও…
– থাম। এইসব বাদ দে। মাথার ভিতরে খারাপ কিছু আনিস না। আর হ্যাঁ তুই না বলেছিলি বিয়ে টা তোদের বাড়ি থেকে হবে তাহলে আর কবে কি করবি? বেশি তো সময় নেই
– হুম। আম্মু কে বলেছিলাম। আম্মু বলল কাল সকালে চলে যাবো। বাড়ি তে অনেক কাজ। আজকেই যাওয়া হতো কিন্তু বিয়ের শপিং এর চক্করে আর হলো না
– তাহলে কাল আমরা ওবাড়ি যাচ্ছি
– হুম
-ওকে। ওহ ভালো কথা এই মেঘের কাহিনী টা তো বললি না
– বলবো কোনো একদিন
– এখন বল
– আরে
– বল
-পরে বলি
-এখন
– আচ্ছা ঠিক আছে বলছি,

সেদিনের পর মানে ১১ বছর পর যখন ঈশার দেখা পেয়েছিলাম তখন আমার মত খুশি কেউ ছিল না। আমার সব কিছুতেই ঈশা ছিলো। কিন্তু ঈশার মনে আমি ছিলান না। ছিল মেঘ। সেদিন আমার গাড়িতে ঈশার ধাক্কা লেগেছিলো কারন ও তখনও মেঘের চিন্তায় বেখেয়ালে হাটছিলো। যে সময় টা ঈশার সাথে আবারও দেখা হয় তখন ওর মেঘের সাথে ঝামেলা চলছিলো। আর ও ডিপ্রেশনে ভুগছিলো। আংকেল আন্টি খুব দুশ্চিন্তায় ছিলেন ওকে নিয়ে। মেঘ কে আংকেল আন্টির কখনই পছন্দ ছিলো না। উনারা সব সময় ঈশা কে বোঝাতেন কিন্তু ঈশা জেদি। আর ওর জেদের কাছে আংকেল আন্টি নিরব থাকতে বাধ্য হয়। এইভাবেই চলছিলো ঈশা আর মেঘের স্টোরি টা। কিন্তু মেঘ ঈশা কে ধোকা দেয়। ঈশা তখন ভেঙে পড়ে। ভীষন ভাবে। এমন কি ও সুইসাইড করার চেষ্টাও করে। ঈশার অবস্থা দিন কে দিন খারাপ হচ্ছিলো।আর সেই সময় টাই আমার সাথে ঈশার আবারও দেখা হয়। আমার সুপ্ত ভালোবাসা আবারও জেগে উঠে। ঈশার সাথে কথা বলার চেষ্টা করতাম কিন্তু ও কারো সাথে কথা বলতো না। সবাই কে ইগনোর করতো। আমাকেও। আর আমি ওর এই অবহেলা সহ্য করতে পারছিলাম না। ভিতরে ভিতরে আমি শেষ হয়ে যাচ্ছিলাম যার জন্য এতো কিছু সে অন্য কারো জন্য নিজেকে শেষ করছে। এটা আমার জন্য মেনে নেওয়া সহজ ছিলো না। ইনফ্যাক্ট এটা কখনও কারো জন্য সহজ হবেও না। ঈশা ঠিক মত খাওয়া দাওয়া করতো না। কারো সাথে মিশতো না। এমন কি ওর বেস্টফ্রেন্ডের সাথেও না। ঈশা কে এভাবে আমি মেনে নিতে পারছিলাম ন। ঈশা অসুস্থ হয়ে পড়ছিলো। ঈশার এমন অবস্থা দেখে আংকেল আন্টি ওকে বিয়ে দেওয়া সিদ্ধাত নেয়। এতে ও আরও বেশি ডিপ্রেশনে পড়ে। ঈশা যতটা না ডিপ্রেশড তার চেয়ে কয়েক হাজারগুন বেশি ডিপ্রেশনে আমি পড়ি। তখন আব্বু আবারও আমাদের বিয়ের প্রপোজাল দেয়। আংকেল রাজিও হয়ে যায়।

– কিন্তু ঈশা? ঈশা রাজি হয়েছিলো?
– না ঈশা রাজি হয় নি।
– পরে রাজি হলো কিভাবে?
– তার পর,
ঈশা আমাদের বিয়ের খবর শুনে রাগে জেদে ওর রুমের সব জিনিস ভাঙতে শুরু করে। চিল্লাচিল্লি করে বিয়ে করবে না। সবাই ওকে অনেক বোঝানোর চেষ্টা করে। কিন্তু ও কিছুতেই বুঝতে চায় না। তারপর কিছুটা সময় নেয় ও। এই সময় এ ঈশা কেমন যেন ম্যাচুউড হয়ে গিয়েছিলো। খুব কম কথা বলতো। হ্যাঁ তে হ্যাঁ , না তে না মিলিয়ে কথা বলতো। নিজের কোনো মতামত প্রকাশ করতো না। একা থাকতো। আগের তুলনায় একটু ভালো ছিলো। খাওয়া দাওয়া ঠিক মত করতো। ক্লাস করতো। একটা ডিসিপ্লিনের মধ্যে চলতো। তারপর ও একদিন বলে যে ও বিয়ের আগে আমার সাথে একবার কথা বলতে চায়। আমি সেদিন অনেক বেশি খুশি হয়েছিলাম। ঈশা আমার সাথে কথা বলবে। খুব এক্সাইটেড ছিলা আবার মনের ভিতর একটা ভয় ছিল। ঈশা বিয়ে ভাঙতে বলবে না তো। একটু খানি ভয় আর অনেক টা আশা নিয়ে দেখা করে ছিলাম।

– পরে দেখা করে ঈশা কি বলল?
– বলছি ই তো। কথার মাঝখানে কথা বলিস কেন? (ধমক দিয়ে)
– ওহ সরি সরি। আর বলবো না।
– তার পর
আমি ঈশা কে নিতে এবাড়ি তে এসেছিলাম। সেদিন দেখেছিলাম ঈশাকে পরিপাটি হয়ে বের হতে। ও সেদিন লাল চুড়িদার পরেছিলো। একদম পরীর মত লাগছিলো ওকে। আমি কিছু সময় এর জন্য থমকে গিয়েছিলাম ওকে দেখে। একটা মেয়ে এতো সুন্দর হয় কি করে। ছোট থেকেই সেই একই ভাবে সৌন্দর্য বেড়েই চলছে ওর। চুল গুলো কিভাবে পেচিয়ে বাধা ছিলো। এই ভাবে চুল বাধা কে কি যেন বলে আমি সঠিক জানি না। তবে বেনী নয়। ওর এই গেটআপে একদম অন্য রকম লাগছিলো। ও সিড়ি দিয়ে নামছিলো তখন আমি নিচে দাঁড়িয়ে ওকে দেখছিলাম মুগ্ধ চোখে। যেন আমি কোনো পরী দেখছি। ওই কয়েক দিনের মধ্যে আমি ওকে এতো পরিপাটি হয়ে বের হতে দেখি নি। স্বাভাবিকের তুলনায় সেদিন সেজেছিলো। সাজ বলতে চুল বেধেছিলো, চোখে কাজল ছিল। ঠোঁটে ছিল হালকা লিপস্টিক। এটুকুতেই অসম্ভব সুন্দর লাগছিলো। ও কে নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম। ড্রাইভ করছিলাম আর বার বার আড় চোখে ওকে দেখছিলাম। কেউ কোনো কথা বলছিলাম না। আসলে আমি কিভাবে কথা শুরু করবো বুঝতে পারছিলাম না। হঠাৎই ঈশা তখন বলে উঠে,

– অনেক দূরে নিয়ে চলো সিদ্ধাত ভাইয়া। এই শহর থেকে অনেক দূরে। প্রকৃতিক কোনো একটা পরিবেশে নিয়ে চলো

আমি ঈশার কথায় শুধু মাথা নাড়িয়ে উত্তর দেই। কি বলবো বুঝতে পারছিলাম না।

– ওয়েট ওয়েট। ঈশা তখন তোকে ভাইয়া ডাকলো?
– হুম। ছোট থেকেই সিদ্ধাত ভাইয়া বলেই ডাকে। আর সেদিন এর আগেও যত বার কথা হয়েছে ততবার ভাইয়া ই ডেকেছে
-🤣
– হাসবি না ( রেগে)
– লাইক সিরিয়ারি? ভাইয়া? আর এখনো এই ভাইয়া ই চলছে
– এটা আমার কপাল।
– আচ্ছা তারপর বল
– তারপর,

এর মধ্যেই ডিনারের জন্য ডাকতে আসে লামু। পরের ঘটনা তখন আর বলা হয়ে উঠে না। বিধায় আমি সিফাত কে বললাম,
– আচ্ছা বাকি টা পরে বলি। চল ডিনার করে নেই
– হুম চল

ডিনার করে আমি নিজের রুমে এসেছি। ঈশাও রুমে চলে গিয়েছে। ভাবছি আজকেও ঈশার কাছে যাবো। কিন্তু এই সিফাত টা তো এক্ষুনি এসে বাকি টা শুনতে চাইবে। উফফ কিভাবে বাচবো সিফাতের হাত থেকে। আল্লাহ বুদ্ধি দাও। এর মধ্যেই সিফাতের আগমন,

সিফাত: চলে এসেছি বন্ধু।
– উদ্ধার করেছো
– ওই এমনে বলিস কেন
– না কিছু না
– আচ্ছা তার পর কি হলো বল।
-তোর খাওয়া ঠিক মতো হয়েছে?
– হ্যাঁ হবে না কেন
– না মানে এতো এক্সাইটেড।
– বন্ধুর লাভ স্টোরি শোনার মজা আছে। তোর গল্পের শুরু থেকে তো শুনতে পারি নাই
– শুনব কেমনে? পালিয়ে গেলে
– আরে পালাবো ক্যান। ডাক্তারি প্রোফেশন টাই এমন
– হয়েছে থাম অজুহাত দিস না আর
-আচ্ছা বল এবার তার পর কি হলো?
– তারপর,
অনেক টা পথ পাড়ি দিয়ে অর্থদের গ্রামে যাই। অর্থের সাথে ফোনে কথা বলে নিয়েছিলাম। আর ও আমার কথা মত সব ব্যবস্থা করে রেখেছিলো। গাড়ি থেকে নামার পর ঈশা চারিদিকে দেখছিলো। আমি বুঝতে পারছিলাম ওর এখানে ভালো লাগছে। আমি ওকে অবজার্ভ করছিলাম। ওর মুখে হাসি ফুটেছিলো। ওই ওর হাসি দেখে আমার যে কতটা ভালো লেগেছিলো বলতে পারবো না। এর পর ঈশা আমাকে মেঘের কথা শেয়ার করে।

– আরে মেঘের কি কথা বলেছিলো? আমি তো সেটাই জানতে চাইছি
– তুই আবার কথার মাঝখানে কথা বললি?
– সরি সরি সরি। মেঘের কথা টা বল
– তার পর,

ঈশা মেঘের কাছে প্রতারণার স্বীকার হয়। ঈশা খুব নরম সুরে সেদিন বলেছিলো,
– আজকে আমি তোমাকে কিছু কথা বলতে চাই সিদ্ধাত ভাইয়া
– হুম বল
– তুমি তো জানো তোমার সাথে আমার বিয়ে ঠিক করেছে আব্বু আম্মু
– হুম
– তুমিও নিশ্চয় রাজি। আমিও রাজি সিদ্ধান্ত ভাইয়া। কিন্তু বিয়ের আগে আমার কিছু সময় চাই। আমি মেঘ কে ভুলতে চাই
– ঠিক আছে। কত টা সময় চাই তোর?
– যত দিন না মেঘ কে ভুলতে পারি তত দিন আমরা বিয়ে করবো না
– ওকে। তুই যা বলবি তাই হবে
– জানো সিদ্ধাত ভাইয়া মেঘ আমাকে খুব বাজে ভাবে ঠকিয়েছে। নাটক করেছে আমার সাথে। খেলেছে আমার ইমোশন নিয়ে। আমি ওকে খুব বিশ্বাস করতাম কিন্তু ও আমার বিশ্বাস ভেঙে দিয়েছে। আমি মেঘ কে খুব ভালোবাসি সিদ্ধাত ভাইয়া। মেঘ কে ছাড়া আমার নিশ্বাস বন্ধ হয়ে আসে। আমি কি করে তোমাকে বিয়ে করবো বলো। আমাকে একটু সময় দাও।

ঈশা কান্নাভেজা কন্ঠে কথা গুলো বলেছিলো। ঈশার কথায় আমার পৃথিবী অন্ধকার হয়ে এসেছিলো। বার বার কানের মধ্যে বাজছিলো ‘ আমি মেঘ কে খুব ভালোবাসি সিদ্ধাত ভাইয়া’। এই কথা টা যেন আমার হজম হচ্ছিলো না। আমি ওকে ভালোবেসে এই পযর্ন্ত এলাম। ওকে পাওয়ার আশায় ওর কাছ থেকে দূরে থাকলাম আর ও কিনা অন্য কাউ কে ভালোবাসে। কিভাবে মেনে নেবো এটা আমি? মেঘ কে ছাড়া ওর নিশ্বাস বন্ধ হয়ে আসে। আর ওকে ছাড়া যে আমার নিশ্বাস বন্ধ হয়ে আসে। মুহুর্তের মধ্যেই রাগে হাত মুষ্টিবদ্ধ করে নেই…………..
.
.
.
.
.

#চলবে_কি?

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here