প্রণয়িনী পর্ব -২৩

#প্রণয়িনী
#আফসানা_মিমি
|২৩তম পর্ব |

দুইদিন কেঁটে গিয়েছে। বৃদ্ধ চাচা এখন সম্পূর্ণ সুস্থ। বৃদ্ধ চাচাটির নাম সেলিম। আমি সেলিম চাচা বলে সম্বোধন করি। আমার সম্মোধন করা দেখে এখন বাড়ি ভর্তি সকলেই চাচা বলে সম্বোধন করেন। সেলিম চাচা খুবই ভালো মনের মানুষ। দুইদিনে সবাইকে খুব সুন্দর করে আপন করে নিয়েছেন। আর আমার পরিবার তো ড্রামাবাজ পরিবার! মা তো সেলিম চাচাকে ভাই বানিয়ে ফেলেছেন আর বাবা বন্ধু। কিন্তু এদের মাঝে দুই সাদা বিলাই সেলিম চাচার থেকে দূরে দূরে থাকে। সাদা বিলাই চেয়েছিল সেলিম চাচাকে কোন বৃদ্ধাশ্রমে রেখে আসতে কিন্তু সেখানে বাঁধ সাধি আমরা সবাই। বাবার কথা হচ্ছে সেলিম চাচা এখন এ বাসায় থাকবে, টুকটাক বাজার করবে আর বাগানের দেখাশুনা করবে। অন্তত পক্ষে আমাদের বাসায় থেকে তিন বেলা খেতে পারবে তো রাস্তায় না ঘুরে! আমাদের বাড়ির সকলের মত এক। আমরা এক সাইডে আছি কিন্তু আমাদের এক হয়ে যাওয়াতে সাদা বিলাই এবং নিজের সাথে সাথে হামিকেও সেলিম চাচার থেকে দূরে দূরে রাখে।

——-

দুপুরে গোসল করে এসে ড্রেসিং টেবিলের সামনে দাঁড়িয়ে হাতের চুড়ি পরছি। আজ শুক্রবার। সপ্তাহিক ছুটি। সাদা বিলাই আজ অফিসে যায়নি, বাড়িতেই আছে। তাই একটু সাবধানে থাকতে হচ্ছে। কখন না যেন সাদা বিলাই এসে ঘাপটি মেরে ধরে বলে বসে!

– ও শুভ্রপরী! চলনা বাচ্চার প্ল্যান করি?

না বাবা! সাদা বিলাইয়ের সাথে নেই আমি। এমনি আমি নিজেই বাচ্চা আর আমার হবে বাচ্চা! এখনো তো আমি দুষ্টুমি করে বেড়াই পরে যখন বাচ্চাসহ দুষ্টুমি করব তখন সবাই আমাকে বকবে। আমার ভাবনার মাঝে সাদা বিলাই এসে হাজির হয়। এতক্ষন সে কোথায় ছিলো আল্লাহ মালুম। সাদা বিলাই পিছন থেকে গভীরভাবে আমাকে জড়িয়ে ধরে আমার চুলে মুখ গুঁজে দাঁড়িয়ে আছে। চোখ বন্ধ করে চুলের সুবাস নিচ্ছে আর প্রশান্তির হাসি হাসছে। যা আমি ড্রেসিং টেবিলের আয়নায় দেখতে পাচ্ছি।

– শুভ্রপরী, তোমার মাথার চুলের সুবাসে আমি প্রতিনিয়ত মাতাল হয়ে যাই। কি মাখো তোমার ঐ কেশবে? এই শুভ্রপরী, তুমি কি জানো? তুমি আমারই প্রণয়িনী! যার প্রণয়ে শত শত বছর ডুবে থাকতে পারি। তুমি কি এটা জানো! আমার প্রণয়ে যে উন্মাদনায় ভর্তি! আমার প্রণয়ের প্রণয়িনীতে ডুবলে অতলে তলিয়ে যাবে। এই শুভ্রপরী কিছু বলো না!

সাদা বিলাইয়ের এক একটা কথায় আমার শরীরে কম্পন সৃষ্টি করছে। না পারছি সইতে না পারছি কিছু বলতে! কথা বলতে বলতে সাদা বিলাই আমার কাঁধে নাক ঘষে যাচ্ছে। সাদা বিলাইয়ের এমন দুষ্টু মিষ্টি অত্যাচার থেকে রেহাই পেতে কাঁপা কাঁপা কণ্ঠস্বরে সাদা বিলাইয়ের উদ্দেশ্যে বললাম,

– সাদা বিলাই দেখুন! একদম দুষ্টুমি করবেন না। আমি চুলে শ্যাম্পু লাগাই । আতর, গোলাপ জল মাখি না। আর আমি তো পুরোটাই আপনার তাহলে এভাবে বলেন কেন সব সময়? আমার কেমন কেমন যেন লাগে!

– কেমন লাগে শুভ্রপরী?

– ছাড়েন আমাকে নয়তো চিমটি কাঁটবো।

সাদা বিলাই আমাকে ছেড়ে দূরে সরে গিয়ে বিরক্তিমাখা কণ্ঠস্বরে বলল,

– দিলে তো আমার রোম্যান্টিক মুড টা নষ্ট করে? সব সময় আমার মুড নষ্ট করে কি পাও বলো তো! আর তোমার মাথার চুল ভেজা কেন? মুছে নাও।

সাদা বিলাইয়ের কথায় বুঝতে পারলাম বেটা খুব কষ্ট পেয়েছে। তাই দুষ্টুমি স্বরে বললাম,

– শুনেছি! যারা নাকি বউদের ভালোবাসে না তাঁরা নাকি বউয়ের মাথার চুল কখনও মুখে দেয় না। এখন তাঁর প্রমাণ পেলাম। যাক গে মানুষ শুধু শুধু প্রণয়িনী বলে চিল্লায়। আসলে এসব কিছুই না। যাই! আমি আমার কাজ করি।

কথাগুলো বলে রুম থেকে বের হতে নিবো তখনই নিজের হাতে বলিষ্ঠ হাতের টান অনুভব করি। সাদা বিলাই আমার হাতে টান দেয়াতে একদম সাদা বিলাইয়ের বক্ষে গিয়ে আছড়ে পড়ি। মাথা তুলে সাদা বিলাইয়ের মুখশ্রীতে তাকিয়ে ভয় পেয়ে যাই। রক্তিম চোখে খুব ভয়ংকর দেখাচ্ছে সাদা বিলাইকে। সাদা বিলাই আমাকে একটু জোড়ে চেপে ধরে দাঁতে দাঁত চেপে বলল,

– আমার প্রণয় নিয়ে তোমার সন্দেহ আছে? আমার প্রণয়ের উপর আঙ্গুল তুলতে তোমার খারাপ লাগে নি? এই মেয়ে! বুঝো না আমি অভিমান করেছি? অধিকার সহকারে ভাঙ্গতে পারো না আমার অভিমান? কিসের এত জড়তা তোমার? সবসময় দূরে দূরে থাকো কেন বলো তো!

সাদা বিলাই যে আমার কথা এভাবে সিরিয়াস নিবে ভাবিনি। টলমল চোখে প্রত্যুওরে বললাম,
– আমি ভাবতে পারিনি আপনি কষ্ট পাবেন আমার কথায়। আমিতো দুষ্টুমি করছিলাম।

সাদা বিলাই আমার কান্নামাখা কন্ঠস্বর শুনে ভরখে গেলেন। দু’হাতে আমার গাল স্পর্শ করে কপালে অধর ছুঁয়ে বললেন,

– আমি রাগ হইনি বা কষ্ট পাইনি শুভ্রপরী, আমার ভালোবাসা তোমার মত পবিত্র। আমি এমন একজনকে ভালোবেসেছি যার মন পবিত্র। আর আমার ভালোবাসার উপর আঙ্গুল তোলা মানে আমার ভালোবাসার মানুষটির উপর আঙ্গুল তোলা। ভালোবাসি তো অনেক বউ? ভয় হয় তোমাকে হারানোর।

সাদা বিলাইয়ের কথা শুনে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলাম। সত্যিই আমি ভাগ্যবতী, রাদের মত স্বামীকে পেয়ে।

——–

সকাল থেকে বাড়িতে তোড়জোড় চলছে। যে যা পারছে তেমন গোছগাছ করছে। আমিও কাজ করছি,ফলের ঝুড়িতে ফল গুছাচ্ছি। সকলের এমন দৌঁড়া-দৌঁড়ির কারন হচ্ছে, আজ পিকনিকে যাবো সবাই মিলে। আমার ফল গুছানোর মধ্যেই সেলিম চাচা হাসিমুখে এগিয়ে এসে বলেন,

– তুবা মা! আমি কি তোমাকে কোন সাহায্য করব?

– না চাচা, এখন কোন সাহায্য লাগবে না। এইতো আমার হাতের কাজ শেষ। তুমি বরঞ্চ বিশ্রাম নাও সকাল থেকে অনেক কাজ করেছ। এমনিতেই কিছুদিন আগে তোমার অ্যাক্সিডেন্ট হয়েছে এখনও শরীর অনেক দুর্বল।

আমার কথায় সেলিম চাচা হাসি দিয়ে চলে গেলেন। আর আমি আমার কাজে মনোযোগ দিলাম।

– আরমান কোথায় তুমি? উপরে আসো তো!

সাদা বিলাইয়ের ডাক দেয়াতে ভয় পেয়ে যাই। এই সাদা বিলাই না! আমাকে না দেখলে মনে হয় পাগল হয়ে যায়।
হাতের কাজ শেষ করে সাদা বিলাইয়ের কাছে গেলাম। গায়ে শার্ট পরিধান করতে করতে আচ্ছামত আয়মান আয়মান বলে চিল্লিয়ে যাচ্ছে থামার কোন নাম নে। সাদা বিলাইয়ের এহেন কান্ডে সাদা বিলাইয়ের কাছে এসে কোমড়ে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে রাগান্বিত কন্ঠস্বরে বললাম,

– আয়মান বলে কেন চিলাচ্ছেন? হাতের কাছেই তো সবকিছু আছে। তাহলে এত চিল্লাচ্ছেন কেন?

সাদা বিলাই আমার কথা শুনে মুচকি হাসি দিয়ে আমাকে টেনে তার কাছে নিয়ে আসে। ললাটের উপরে আসা চুলগুলো কানের পেছনে গুঁজে দিয়ে নরম স্বরে বলে,

আমার তো আমার শুভ্রপরীকে চাই। আমার শুভ্রপরীকে সর্বক্ষণ আমার চোখের সামনে দেখতে চাই। তাইতো ডাকি আমার শুভ্রপরীকে! এখন বলো – তুমি তৈরি হবে কখন?

সাদা বিলাইয়ের কথা শুনে নিজের পানে তাকালাম। আসলেই তো! কাজের ঝামেলায় তৈরি হতে ভুলে গিয়েছি। সাদা বিলাইকে অপেক্ষা করতে বলে ওয়াসরুমে চলে গেলাম ফ্রেশ হতে। একদম পরিপাটি হয়ে নিজেকে আয়নায় আবারও দেখে নিলাম। না, খারাপ লাগছে না। নিচ থেকে শাশুড়ি আম্মু ডাকায় চলে গেলাম।

গাড়ি চলছে আপন গতিতে। ড্রাইভ করছে আমার সাদা বিলাই আর তার পাশে আমি। আমাদের পেছনে আমার দুই মা। মায়ের কোলে হামি বসে আছে। বড়ো গাড়ি হাওয়ায় আটজন বসা যাবে গাড়িতে। আমাদের গাড়ির পেছনে একদম শেষে বাবা আর সেলিম চাচা বসে আছেন। সেলিম চাচা আর বাবা বসে গল্প করে যাচ্ছেন। আর আমার পাশের দুষ্ট সাদা বিলাই একটু পর পর আমার হাতে নিজের হাত ছুঁয়ে দিচ্ছেন তাঁর কান্ড দেখে যখনই আমি চোখ রাঙাচ্ছি তখন সে একচোখ টিপে মুচকি হেঁসে যাচ্ছেন।

আমরা যে স্থানে যাবো সেটা মূলত শহর থেকে প্রায় পনেরো কিলোমিটার দূরে। আমাদের গাড়ির ঠিক দুইশত গজ সামনে কিছু লোক একটা মেয়েকে মেরে যাচ্ছে। এ অবস্থা দেখে সাদা বিলাই গাড়ি থামিয়ে দেয়। আমাদের গাড়ি থামানো দেখে লোকগুলো পাশের জঙ্গলে ঢুকে পড়ে। আর মেয়েটা নিচে পড়ে থাকা চাল যা বালুর সাথে মিশে আছে তা দুই হাতে আঁকড়ে ধরে পলিতে পুরতে চেষ্টা করছে কিন্তু পারছে না। কারণ, পলিথিনের পুরোটাই ছেঁড়া। মেয়েটার অবস্থা দেখে সত্যিই খুব খারাপ লাগছে। সাদা বিলাই একবার আমার পানে তাকিয়ে আমার ভাবভঙ্গি বোঝার চেষ্টা করলেন। আমি সাদা বিলাইয়ের দিকে তাকিয়ে বুঝাতে চাচ্ছি যে আমাদের সাহায্য করা প্রয়োজন। সাদা বিলাই আমার কথাটা হয়তো বুঝলেন। মেয়েটার কাছে এসে নম্রভাবে জিজ্ঞেস করলেন,

– তুমি এখানে কি করছ? আর ঐ লোকগুলো’ই বা কারা ছিল?

মেয়েটি আমাদের দেখে ভয় পেয়ে যায়। কিছু বলতে পারছে না ভয়ের কারণে। সাদা বিলাই আমাকে চোখে ইশারা করলেন যেন মেয়েটিকে আশ্বাস দেই যে, আমরা ভালো লোক। মেয়েটির কাঁধে হাত দিয়ে মেয়েটিকে আশ্বস্ত করার জন্য বললাম,

– ভয় পেয়ো না। আমরা ঐ লোকদের মত খারাপ না। আমরা ভালো। আমরা সামনে পিকনিক করতে যাচ্ছিলাম পথে তোমার সাথে দেখা হলো এখন বল কি হয়েছে?

মেয়েটা এবার কেঁদে কেঁদে আমাদের উদ্দেশ্যে বলল,

– আমার নাম হামিদা। লোকে আমাকে পাগল বলে। আমি নাকি পাগল কিন্তু বিশ্বাস করুন আমি পাগল না। আমি ভালো। খুব ভালো! পেটের দায়ে ভিক্ষা করি। এই যে সারাদিন বিক্রয় করার পর দুই মুঠো চাল পেয়েছিলাম তা নিয়ে বাড়ি ফিরছিলাম কিন্তু প্রথে এই লোক গুলো কোথা থেকে এসে আমাকে মারতে শুরু করে। মেয়েটার কথা শুনে সাদা বিলাই মেয়েদের উদ্দেশ্যে বলল,
– বাড়িতে কে কে আছে?

– আমার কেউ নেই।

-আমাদের সাথে যাবে?

-যাবো, কিন্তু আমি কাজ করে খাবো। আপনাদের ঘাড়ের উপর বসে থেকে কিছুই নেব না।

মেয়েটায কথা শুনে বুঝতে পারলাম যে মেয়েটির আত্মসম্মান বোধ আছে। মেয়েটার কথা শুনে মুচকি হেসে বললাম,

– চিন্তা করো না আমাদের বাসায় কোন কাজের লোক নাই। লাগেও না আমরা সবাই পরিবারের মতো থাকি। তুমি এখন থেকে আমাদের পরিবারের একজন সদস্য। এবারতো যাবে আমাদের সাথে?

মেয়েটিকে নিয়ে গাড়িতে ফেরত আসলাম। মেয়েটিকে পিছনে মার পাশে বসিয়ে নিজে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।
নদীর পাড়ে প্রকৃতির সাথে মিশে পিকনিক করতে এসেছি। একপাশে রান্নার ব্যবস্থা করা হয়েছে যেখানে বাবুর্চির রান্না করে যাচ্ছে। আর একপাশে মুরুব্বীরা নানান আলোচনা করছেন। আর আমি আমাদের সাথে নিয়ে আসা হামিদাকে হাত মুখ ধুয়ে ভালো কাপড় দিলাম যা আমি আসার সময় নিয়ে এসেছিলাম। কাপড় দেখে হামিদা খুব খুশি হলো মনে হচ্ছে। হাত মুখ ধুয়ে কাপড় নিয়ে ঝোপের আড়াল থেকে কাপড় পরিবর্তন করে আসলো। আমি হামিদার দিকে তাকিয়ে দেখলাম মেয়েটি খুবই সুন্দর। আর মেয়েটির মচেহারা দেখে মনে হচ্ছে খুব চতুর একজন মেয়ে। মনে হচ্ছে যে, সে একাই পুরো বাংলাদেশে চলাফেরা করতে পারবে যা আমার দ্বারা সম্ভব না।

দুপুরের লাঞ্চ করে বসে আছি মাদুর বিছিয়ে। এখন এইপাশে আমি আর সাদা সাদা বিলাই একা। আমার পায়ের উপর সাদা বিলাই শুয়ে আকাশ দেখছেন। আর আমি চোখ বন্ধ করে সমুদ্রের নদীর পানির আওয়াজ শোনা যাচ্ছি। কি যেন ভেবে সাদা বিলাই আমাকে ডেকে উঠলেন,

– আয়মান, লুকোচুরি খেলবে?

সাদা বিলায়ের কথাটা শুনে খুশিতে মন নেচে উঠল ঝটপট হাসিমুখে উত্তর দিলাম,

– অবশ্যই খেলব। আমি হামিকে, হামিদাকে নিয়ে খেলবো সাথে আপনিও থাকবেন। বলুন রাজি?

আমার কথা শুনে সাদা বিলাই আমার নাক টেনে বলল,

– আমরা সবাই খেলবো। বাবা-মা, হামি, হামিদা সেলিম চাচা আমি তুমি সবাই।

সাদা বিলের কথা শুনে সাদা বিলাইকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে সাদা বিলাইয়ের গালে ঠোঁটে ছুঁয়ে দিলাম। আমার কান্ডে সাদা বিলাই হতবাক হয়ে গালে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে রইলো আর আমিও এই ফাঁকে লজ্জায় ছুটে পালিয়ে আসলাম।

নির্দিষ্ট সময়ে খেলা শুরু হলো। একে একে সবাই যার যার স্থানের লুকিয়ে পরলো। আমি জঙ্গলের কাছটায় একটা ঝোপ আছে সেখানে ঢুকে পড়লাম। আমাদেরকে এখন খুঁজে যাচ্ছে সাদা বিলাই। প্রায় অনেকক্ষণ পর কারো কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে উঁকি দিয়ে দেখলাম সাদা বিলাই এদিকেই আসছেন আমার দিকে। কিন্তু এর মধ্যেই কোথায় থেকে সাদা বিলাই মাকে দেখে ফেলে যা তাদের কথার আওয়াজ আমি শুনতে পাচ্ছি। সাদা বিলাই মাকে পেয়ে মার কাছে গিয়ে হাসাহাসি করতে থাকে।

এদিকে আমার কেন যেন মনে হচ্ছে পিছনে কেউ আছে। কারণ আমি জঙ্গলের সাইডে। পিছনের জঙ্গল থেকে কেমন যেন পাতার শব্দ ভেসে আসছে। কৌতুহল ঠেকাতে না পেরে পিছন ফিরে তাকাবার সময় কেউ আমার নাকে রুমাল চেপে ধরে।
বুঝতে পারলাম প্রথম দিনের মতো কেউ আমাকে কিডন্যাপ করতে চাচ্ছে। প্রায় কয়েক মিনিটের ব্যবধানে আস্তে আস্তে নিস্তেজ হয়ে গেল আমার শরীর।

” জানিনা ভালো হবে না খারাপ,
প্রিয়জনের সাথে সাক্ষাৎ হয় যেন দিন বা রাত।
বিপদ ঘনিয়ে এসেছে যে আমার,
দেখা মিলবে কি আমার তাঁর!

চলবে……..

[

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here