প্রতিশোধ পর্ব -০৩

#প্রতিশোধ
#৩য়_পর্ব
#রাইটার_মেঘাদ্রিতা_মেঘা
আমি কলেজে ঢুকতেই দেখি আবির ভাইয়া মেইন গেইটের কাছে দাঁড়িয়ে আছে,
আমি তার সামনে গিয়ে একটা লাল টুকটুকে গোলাপ ব্যাগ থেকে বের করে এগিয়ে দিয়ে বলি,
বিয়ে করবেন আমাকে?

আবির ভাইয়া আমার দিকে হা করে তাকিয়ে আছে।
আমি বললাম,
কি হলো?
শোনেন নি কি বলেছি?

বিয়ে করবেন আমাকে?
আবির ভাইয়া ফুল টা হাতে নিয়ে উত্তর দিলো হুম করবো।

সেদিন থেকে শুরু হলো আমাদের প্রেম।
নতুন নতুন প্রেম আমাদের,
দুজন যেন দুজনকে ছাড়া বাঁচবোনা।
এতটা গভীর প্রেম আমাদের।

আমি প্রতিদিন ক্লাস শেষে কলেজে অপেক্ষা করি আবির কখন আসবে,
আবিরও লেইট করেনা।
ও আসলে আমরা দুজন মিলে গল্প করি,ঘুরিফিরি খাই দাই।
তারপর আবার যে যার মত বাসায় চলে যাই।

আজ আবির আমার আগেই চলে এসেছে।
_বাহ আজ এত তাড়াতাড়ি।
চাঁদ আজ কোন দিকে উঠেছে?
_সব সময় যেই দিকে উঠে সেই দিকেই।
_ওহ আচ্ছা।
_মেঘা!
_হুম বলো।
_বিয়ে করবে আমাকে?
_হুম করবো তো।
_আমার পরিবার কি নিয়ে আসবো তোমার বাসায়?
_তুমি কি সিরিয়াস?
_হুম একদম।
_ওকে আমি বাসায় গিয়ে বলি আম্মুকে।
তারপর নিয়ে এসো।
_আমি তোমাকে অনেক ভালবাসি মেঘা।
_আমিও।

আমি বাসায় গিয়ে আম্মুকে বলি,আবিরের পরিবার আসবে আমাদের বাসায়,আমাদের বিয়ের কথা বার্তা বলতে।

আমি কি আসতে বলবো?
আম্মু আমার দিকে অবাক নজরে তাকায়।
আর মাত্রই কিছু বলতে যাবে,
আমি আম্মুকে থামিয়ে দিয়ে বলি,
আমি আবিরকেই বিয়ে করবো।

আম্মু আর কিছু বলেনা।

আম্মু আব্বুর সাথে কথা বলে আবিরের বাসার লোকজনকে আসতে বলে।

আমি আবিরকে জানিয়ে দেই আসার কথা।

আবির আবিরের পরিবার নিয়ে আমাদের বাসায় আসে।

দুই পরিবারের সম্মতিতে আমাদের একটা বিয়ের ডেইট ফিক্সড হয়ে যায়।

আমরা দুজনই খুব খুশি।

পরের দিন সকালে আমি অধরাদের বাসায় যাই।

গিয়ে আন্টিকে বলি আমার আর আবিরের কথা।
আর বলি,অধরা চাইতো আমরা দুজন যেন একই বাড়ীর বউ হই।
ও তো আর নেই..

কথা টা বলে আমি কান্না করে দেই।
আন্টিও আমাকে জড়িয়ে ধরে কান্না করে দেয়।

আর দোয়া করে সুখী যেন হই।

আমিও বিয়ের জন্য দাওয়াত দিয়ে আসি।

আজ আমাদের হলুদ সন্ধ্যা।

বিয়ের কেনাকাটা সব আমরা দুজনই করেছি।
আমি সব কিছুই অধরার পছন্দে করেছি।

আবির ফোন দিয়েছে।
_এই তো অল্প কিছু ক্ষণ পরই আমাদের হলুদ,আর তারপরই আমাদের বিয়ে ভাবতেই কেমন খুশি যে লাগছে।
বলে বুঝাতে পারবোনা জানো।

_হুম সেইম।
কিন্তু অধরার কথা কি মনে পড়ছেনা একটুও?

আবির চুপ হয়ে যায়।
_তা কি আর বলা লাগে।

_যাক মন খারাপ করোনা।
অধরা নেই তো কি হয়েছে,অধরার আত্মা তো আছে,এই যে আমিই তো ওর আত্মা।

_হুম সেই জন্যই তো বেশি খুশি।

_আচ্ছা রেডি হবো আমি।
মেয়েদের সাজতে কত টাইম লাগে তা তো জানোই।

_আচ্ছা সাজো।
খুব সুন্দর করে সাজো।
আমি যেন অন্য দিকে আর চোখ না ফেরাতে পারি।

_আচ্ছা ঠিক আছে।

আমি সেজে রেডি হই।

আবির রাও চলে আসে আমাদের বাসায়।

দুই পক্ষের হলুদ এক সাথে হয়।
সবাই খুব আনন্দ করে,

_তুমি জানো আজ তোমাকে অদ্ভুত সুন্দর লাগছে?
_হুম জানি।
_কিভাবে জানো?
_কারণ আজ অধরার পছন্দ মত সাজ দিয়েছি যে তাই।
_সত্যিই চোখ ফেরাতে ইচ্ছে করছেনা জানো।
_হয়েছে হয়েছে,বুঝেছি।
এত প্রশংসা করতে হবেনা।

_চলো মানুষ জন দেখছে।
আজ বাদে কাল আমার বউ হবে,এখন দেখলে কি সমস্যা?
_আগে তো হই,
এখনো বিয়ে হতে অনেক বাকি।
এর মধ্যে কত কিছুই তো হয়ে যেতে পারে।
বিয়েও তো ভেঙে যেতে পারে।
_কি যে বলোনা তুমি।
এসব আবোল তাবোল একদম বলবানা।
আমি তোমায় অনেক ভালবাসি।
_হুম বুঝলাম।

হলুদ দেয়া শেষ সবার।
তাই আমরা সবাই মিলে গান প্লে করে ছাদে নাচানাচি করি।

সবাই নাচে এত টাই মগ্ন ছিলো যে এক পর্যায়ে নাচতে নাচতে আবির পা পিছলে ছাদ থেকে নিচে পড়ে যায়।

আর আমি একটা চিৎকার দিয়ে বলে উঠি,
আবিইইইইইইর..

চলবে..
সরি ছোট করে পোস্ট করার জন্য।
অসুস্থ তাই টাইপ করতে কষ্ট হচ্ছিলো স্ক্রিনে তাকিয়ে।তবুও আপনারা দীর্ঘ অপেক্ষায় আছেন বলে পোস্ট করলাম।
ধন্যবাদ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here