প্রতিশোধ পর্ব ৭+৮

গল্পঃ #প্রতিশোধ
পর্বঃ ০৭+৮
লেখাঃ #Mst_Liza
,
সোহাগ মির্জাঃ এ আমি কি করেছি?

সোহাগ নিজের হাতদুটো সামনে নিয়ে আসে, এই হাত দিয়ে আমি আমার ফুলের মতোন নিষ্পাপ মিরাকে মেরেছি।ওর শরীরকে করেছি ক্ষত-বিক্ষত।না যানি কতটা যন্ত্রণা সহ্য করেছে আমার মিরা।এক্ষুনি আমি আমার মিরার কাছে গিয়ে ক্ষমা চাইবো।
,
রাইশাঃ কি বলছো ভাইয়া? কে মিরা?
,
সোহাগ কোনও উত্তর না দিয়েই ছুটে রুমে চলে যায়।মিরা? কোথায় তুমি? এই মিরা? সোহাগ মিরাকে ওয়াশরুমেও পাই না।
সোহাগ সারা বাড়িতে তন্নতন্ন করে খুঁজে চলেছে। কোথাও মিরাকে পাচ্ছে না।রাইশা সোহাগের পিছন পিছন ছুটছে।কিন্তু কিছু বুঝে উঠতে পারছে না।

রাইশাঃ তোমার কি হয়েছে ভাইয়া? এরকম কেন করছো?

সোহাগ মির্জাঃ মিরা কোথায় তুমি??? মিরা কি আমায় ছেড়ে চলে গেল?
বাড়িতে যা ঘটেছে,, তাহলে কি নেহা আমার মিরাকে…..
কিছু ভাবতেই,,সোহাগ পাগলের মতো হয়ে যায়।

রাইশাঃ শান্ত হও ভাইয়া! আমাকে বল কি হয়েছে?

সোহাগ মির্জাঃ ছুটকি, আমি অনেক বড় ভুল করে ফেলেছি..
সোহাগ মিরার সাথে করা সব অন্যায়ের কথা বোনকে খুলে বলে।
নেহা আমাকে ভুল বুঝিয়েছিল ছুটকি।এখন আমি কি করব? কোথায় পাব আমার মিরাকে?
সোহাগ নিজের হাত দুটো দেয়ালের সাথে বার বার আঘাত করতে থাকে।
জালেমের মতো এই হাত দিয়ে অত্যাচার করেছি তোমার উপর মিরা।আমি সত্যিই খুব খারাপ।

রাইশাঃ এ কি করছো তুমি ভাইয়া? রক্ত ঝড়ছে তোমার হাত থেকে।

সোহাগ মির্জাঃ ঝড়ুক রক্ত! আমি আমার মিরার শরীর থেকে এর থোকেও বেশি রক্ত ঝড়িয়েছি।

রাইশাঃ প্লিজ শান্ত হও। আমাদের এখন পুলিশ স্টেশন যাওয়া উচিত। তাহলেই ভাবির খোঁজ পাবো।
,
,
পুলিশ স্টেশনে,
অফিসার জসীমঃ একি মি. সোহাগ মির্জা!আপনি এখানে? কোন অসুবিধা? আমাকে একটা ফোন করলেই পারতেন।আপনি কেন কস্ট করে আসতে গেলেন।

রাইশাঃ স্যার, একটা বিপদে পরে এসেছি আমরা।

অফিসার জসীমঃ কি বিপদ?

রাইশা আর সোহাগ অফিসার জসীমকে সব খুলে বলে।

অফিসার জসীমঃ আচ্ছা, মি.মির্জা আপনার পি.এ হাসানের ফোন নাম্বার আর গাড়ীর নম্বরটা আমাদেরকে দিয়ে যান। আমরা দেখছি কিছু করতে পারি কিনা।হাসানের সাথে যদি নেহার কোনও যোগাযোগ থেকে থাকে তাহলে নেহাকে ধরা আমাদের পক্ষে সহজ হয়ে দাড়াবে।
,
ওদিকে….
,
মিরাঃ নাআআআআ… এই বিয়ে আমি করতে পারবো না।আমার এতো বড় সর্বনাশ করবেন না হাসান ভাই।যেতে দিন আমায়! আমি আপনার ছোট বোনের মতোন।মিরা নিজের হাতটা হাসানের থেকে ছাড়ানোর অহেতুক চেস্টা চালাচ্ছে !

হাসানঃ প্লিজ মিরা! প্লিজ! তুমি আমায় ভাই বলো না! আমার খুব কস্ট লাগে কস্ট! কাজী সাহেব তারাতাড়ি বিয়েটা পড়ান না।

কাজীঃ বল মা কবুল?

মিরাঃ প্লিজ, আপনারা বোঝার চেস্টা করুন আমি বিবাহিতা।এই লোকটা আমাকে তুলে নিয়ে এসেছে। মিরা চিৎকার জুড়ে দেয়।কেউ আছেন?বাঁচান আমায় এই রাক্ষসটার কাছ থেকে।

হাসানঃ আহহা জান এতো চিৎকার চ্যাচামেচি কেন করছো? এখানে কেউ আসবে না।আর তোমার শরীরটা খারাপ না? এতো উত্তেজিত হইও না। শুধু একটাবার বিয়েটা হতে দাও দেখও সব ঠিক হয়ে যাবে।

মিরাঃ আপনাকে খুব ভালো ভেবেছিলাম ভাইয়া।আমি কখনও ভাবতে পারি নি সেই আপনিই এভাবে আমায় নিজের নোংরা রূপটা দেখাবেন।

হাসানঃ তুমি আমাকে যায় বলো, তোমাকে আমি ভালোবাসি মিরা।খুব সুখে রাখবো।ওই সোহাগ মির্জা তোমায় কখনও সুখে রাখতে পারবে না। ও তো কখনও তোমায় ভালোবাসে নি।আমি তোমায় ভালোবাসাতে ভরীয়ে দেব।একটা বার বিয়েটা হতে দাও। বিয়ের পর তোমায় আমি কখনও ওর মতো অত্যাচার করবো না শুধু আদর দেবো দেখও।

মিরাঃ আমি যানি উনি আমার উপর অনেক অত্যাচার করেছে।অত্যাচারী বীরপুরুষের মতো নিজের পুরুষত্ব খাটিয়েছে।হয়তো উনি আমাকে কখনও ভালোই বাসে নি।তবু্ও উনি তো আমার স্বামী! ভালোবাসি উনাকে আমি।আমি কিছুতেই এই জীবনে আর উনার জায়গায় কাউকে বসাতে পারবো না।আর তোর মতোন সয়তানকে তো নয়ই।

হাসানঃ এই., মিরা! জান আমার।দেখ তুই তুকারি করো না।একটু পরেই তোমার স্বামী হব।এখন এমন ব্যবহার করলে চলে?

মিরাঃস্বামী আর তুই? তুই ভাবলি কিভাবে যে তোকে আমি বিয়ে করবো?

হাসানঃ বিয়ে তো আমাকে তোমায় করতেই হবে।আর সেটা আজই।

মিরা কিছু বুঝে উঠতে পারে না! কি করবে? তারপর অনেক ভেবে বলে, আমি ওয়াশরুমে যাবো।

হাসানঃ আগে বিয়েটা হোক তারপর যেও।

মিরাঃ নাহ এক্ষুনি যাবো।

হাসানঃ ঠিক আছে চলো।

মিরা ওয়াশরুমের ভেতরে গেলে হাসান বাইরে দরজার কাছে দাড়িয়ে অপেক্ষা করতে থাকে।অনেক্ষন হয়ে যায় মিরা বাইরে আসে না। হাসান ওয়াশরুমের জরজাটা ভাঙে।কিন্তু এখানে মিরা নেই। জানালার কাচগুলোও খোলা।

হাসানঃ নাহহ মিরা এভাবে তুমি পালাতে পারও না।অনেক সাধনা করে তোমাকে আমি পেয়েছি।

এমন সময়ে, পুলিশ এসে হাসানকে ধরে নিয়ে যায়।পুলিশের কেলানি খেয়ে হাসান যা করেছে সব শিকার করে আর হাসানের মাধ্যেমে নেহাকেও পুলিশের কাছে ধরা পরতে হয়।

[আপনারা ভাবছেন মিরা ওয়াশরুমের থেকে পালিয়ে সোহাগের কাছে গিয়েছে? নাহহ, মিরা আর সোহাগের কাছে যায় নি।তবে মিরার শরীর এতোটা দূর্বল ছিল যে মিরা নিজের সর্বচ্চো প্রচেষ্ঠা দিয়ে হাসানের কবল থেকে বেড়িয়ে এসে রাস্তায় ঢলে পড়ে]

হুমাইরা বেগম আর তার স্বামী শাহীন খান মেয়ের শ্বশুড়বাড়ির থেকে ফিরছিল।তাদের গাড়ির সামনে এসেই মিরা ঢলে পরে।

হুমাইরা বেগমঃকি করলে এটা?

শাহীন খানঃ আমি কি ইচ্ছা করে করেছি?

হুমাইরা বেগমঃ এতো কথা না বলে গাড়ি থেকে নেমে চলো মেয়েটির কাছে।

শাহীন খানঃ হ্যাঁ, চলো।

দুজনে মিরার কাছে যায়। মিরাকে টেনে মুখ দেখেই দুজনে হতভম্ব হয়ে পড়ে।

হুমাইরা বেগমঃ ওগো, এতো মিরা। মিরা মা কি হয়েছে তোমার? আমাকে শুনতে পারছো? এতো রাতে এখানে কিভাবে এলে?

শাহীন খানঃ হুমাইরা, দেখছো তো মেয়েটার অবস্থা ভালো না।আগে বাড়িতে নিয়ে চলো পরে মেয়েটা চোখ খুললে সব জিজ্ঞাসা করো।

হুমাইরা বেগমঃ হুমম।

দুজনে মিরাকে তাদের বাড়িতে নিয়ে যায়।

চলবে….

গল্পঃ #প্রতিশোধ
পর্বঃ ০৮
লেখাঃ #Mst_Liza
,
চোখ খুলেই মিরা চোখের সামনে সোহাগকে দেখতে পাই।সোহাগকে দেখে মিরা নিজের মুখটা ঘুরিয়ে নেয়।দেখে এপাশে হুমাইরা বেগম, শাহীন খান আর সেই মেয়েটা দাড়িয়ে আছে যার জন্য সোহাগ মিরার উপর গতকাল এতোটা অত্যাচার চালিয়েছে।মুহূর্তেই মিরার কানে সোহাগের বলা প্রত্যেকটা কথা বেজে ওঠে।মনে মনে ভাবে, এতোটা ভালোবাসেন এই মেয়েটাকে, যার জন্য আমার গায়ে ওভাবে হাত তুললেন?

সোহাগ মিরার ডান হাতটা ধরে নিজের বুকের বাম পাশটায় রাখে,

সোহাগ মির্জাঃ কস্ট দিয়েছি তোমাকে আমি! আর নিজেও কস্ট পেয়েছি।যানো তোমাকে না পেয়ে কতোটা দুশ্চিন্তায় ছিলাম?

মিরা নিজের হাতটা সোহাগের থেকে ছাড়িয়ে নেয়।
সোহাগ আবার মিরার হাতটা শক্ত করে ধরে, নিজের হাতের মুঠোয় আনে।তারপর মাথাটা হাতের সাথে ঠেকায়।

সোহাগ মির্জাঃ প্লিজ এমনটা করো না মিরা! আমাকে ক্ষমা করে দাও! আমি সত্যিই খুব অনুতপ্ত।

এবার মিরা নিজের মুখ খোলে।কান্না জড়িত কন্ঠে বলে,

মিরাঃ আমার কাছে কেন ক্ষমা চাচ্ছেন? আমি আপনার কে? আমার জন্য তো আপনার কস্ট হবার কথা না! আমি চলে যাব আপনার জীবন থেকে আর কখনও আসবো না।এই মেয়েটাকে নিয়ে আপনি সুখে থাকেন।আর যদি পারেন ওকে বিয়ে করে নিয়েন।তাহলে যদি আপনার পরনারীর সাথে রাত্রী যাপনটা কমে।আপনার যেভাবে ইচ্ছা সেভাবে দিন কাটান।তাতে আমার কি?

রাইশাঃ ভাবি, এসব তুমি কি বলছো?

মিরাঃ ভাবি???

রাইশাঃ হ্যাঁ, ভাবি। তোমার বুঝতে কোথাও একটা ভুল হচ্ছে।আসলে ভাইয়া তোমার সাথে যা করেছে এর সবকিছুই নেহার চক্রান্ত।

মিরাঃ…..?

রাইশা মিরাকে সব খুলে বলে।নেহা যা যা করেছে এতোদিন ধরে সব বুঝিয়ে বলে মিরাকে। মিরা সব শুনে সোহাগকে ক্ষমা করে দেয়, কিন্তু তা প্রকাশ করে না। রাইশাকে বলে,

মিরাঃ সব বুঝলাম ননদিনী কিন্তু আমি এটা বুঝতে পারছি না।এখানে আসলাম কিভাবে?

হুমাইরা বেগমঃ আমরা নিয়ে এসেছি।

মিরাঃ তোমরা নিয়ে এসেছো?

হুমাইরা বেগমঃ হুমম।তুমি আমাদের গাড়ির সামনে এসে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছিলে।আমরা কি ওভাবে তোমাকে রেখে আসতে পারতাম? প্রতিবেশী হওয়ার তো একটা কর্তব্য থাকে।সোহাগকে ফোন দিলাম! শুনলাম একটা জরুরি দরকারে বাইরে আছে। এতো রাতে তোমাকে একাও সোহাগের বাড়িতে রেখে আসতে পারতাম না। তাই আমাদের বাড়িতে নিয়ে আসলাম।

মিরা সোহাগের দিকে তাকায়। দেখে সোহাগ এখনও অস্থির হয়ে আছে।মিরা একটু হালকা কাশী দেয়,

মিরাঃ উহু উহু।শুনছেন?

সোহাগ নিরুপায়ের মতো মিরার দিকে তাকায়।

মিরাঃ চলুন বাড়িতে যাবো!

মিরার মুখে কথাটা শুনে সোহাগের ফ্যাকাসে মুখটা উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। মাথা কাত করে সম্মতি যানায়।

মিরা উঠতে যায় কিন্তু পারে না।সারা শরীরের ব্যাথায় কুঁকড়ে থাকে।সোহাগ বুঝতে পারে মিরার খুব কস্ট হচ্ছে।তাই মিরাকে কোলে তুলে নেয়।আর মিরা তাকিয়ে দেখে সবাই মুচকি হাসছে।লজ্জায় মিরা সোহাগের বুকে মুখ লুকায়।
,
,
মির্জা প্যালেস,
রাত অনেক গভীর।রাইশা তার রুমে গিয়ে শুয়ে পড়েছে।আর সোহাগ মিরাকে নিয়ে রুমে গিয়ে শুইয়ে দিয়েছে।

মিরাঃ আজ আমায় সোফায় শুয়াবেন না?

সোহাগ মির্জাঃ মিরা…….?

মিরাঃ আমি কি কিছু ভুল বলেছি? সেই বিয়ের প্রথম দিনটা আপনার মনে আছে? কতটা স্বপ্ন আর আশা নিয়ে আপনার ঘরে এসেছিলাম আমি।আর আপনি কি করেছিলেন? আমাকে স্টোর রুমে নিয়ে বন্ধ করে রেখেছিলেন।
সোহাগের শার্টের কলার টেনে ধরে, এই আপনি যানেন না আমি অন্ধকারকে ভীষণ ভয় পাই? তাহলে কেন অমনটা করেছিলেন আমার সাথে বলুন?

সোহাগ দুই হাত দিয়ে মিরার গালটা আকড়ে ধরে, আমি ভুল করেছি স্বীকার করছি মিরা।প্লিজ আমায় তুমি ক্ষমা করে দাও। আর কখনও তোমার সাথে এমনটা করবো না।বিশ্বাস কর আমাকে! আমি সত্যিই খুব অনুতপ্ত।

মিরাঃ বিশ্বাস আর আপনাকে? আপনার মতোন একটা খারাপ, পাষাণ আর নির্দয় মানুষকে কখনও ক্ষমা করা যায় না।

সোহাগ মির্জাঃ প্লিজ মিরা আমায় একটা সুযোগ দাও।

মিরাঃ সুযোগ???
মিরা একটু ভেবে দেখার রিএ্যাক্ট করে,
ঠিক আছে একটা সুযোগ আপনাকে আমি দিতে পারি কিন্তু তার জন্য আপনাকে পরীক্ষা দিতে হবে।সেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেই আমার ক্ষমা পাবেন।

সোহাগ মির্জাঃ কেমন পরীক্ষা?

মিরাঃ সকালে ঘুম থেকে উঠেই রাইশা আর আমার জন্য চা করে দিবেন।তারপর সকালের নাস্তা বানিয়ে আমাদের সাথে ব্রেকফাস্ট করে অফিসে যাবেন।দুপুরে জাস্ট বারোটা বাজলেই বাড়িতে চলে আসতে হবে।নিজের হাতে রান্না করে আমাদের সাথে লান্স করবেন।তারপর এঁটো থালাবাসন পরিষ্কার করে দু’ঘন্টা আমার শরীরের যেখানে যেখানে এতোদিন আঘাত করেছেন, ম্যাসার্চ করবেন।সন্ধ্যায় আবার অফিস যাবেন। রাতে বেশী রাত করে ফিরতে পারবেন না।আর সাথে করেও কোনো মেয়েকে আনতে পারবেন না।আসার সময়ে আমার জন্য আখঁ কিনে আনবেন।যদি সারাদিনের কাজে যেমনটা বলেছি তার মধ্যে কোন গাফিলতি খুঁজে পাই তাহলে সেই আখঁ দিয়ে আপনাকে সায়েস্তা করব।আর যদি দেখি সবকিছু ঠিক ঠাক করেছেন তাহলে একসাথে বসে রাতে আখঁ খেতে খেতে জোসনা বিলাস করব।

মিরা কথাগুলো বলে একটা জোড়ে নিশ্বাস নেই।সোহাগের দিকে তাকালে দেখে সোহাগ হা করে আছে।

কি পারবেন তো এসব করতে?

সোহাগ মির্জাঃ এটা পরীক্ষা নাকি টর্চার?

মিরাঃ ওহহ তার মানে আপনি দিবেন না পরীক্ষাটা? ঠিক আছে ক্ষমাও পাবেন না।

সোহাগ মির্জাঃ না আমি সেটা বলতে চাই নি?

মিরাঃ তো কি বলতে চেয়েছেন?

সোহাগ মির্জাঃ একটা ঢোক গিলে, আচ্ছা মিরা এসব কতোদিন করতে হবে?

মিরাঃ যতোদিন না আমি বুঝবো আপনি একজন আদর্শ স্বামী হয়ে উঠতে পেরেছেন ততোদিন।

সোহাগ মির্জাঃ আদর্শ স্বামী হতে গেলে এসব করতে হয় বুঝি?

মিরাঃ এই আপনি রাজি কিনা তাই বলুন তো আগে?

সোহাগ মির্জাঃ ঠিক আছে।চেস্টা করব।

মিরাঃ ওকে এখন ঘুমান!

সোহাগ বিছানায় যেই শুতে যাবে,

মিরাঃ এই করছেন কি?

সোহাগ মির্জাঃ কেন ঘুমাচ্ছি!

মিরাঃ এখানে কেন ঘুমাচ্ছেন।
বিছানার থেকে বালিশটা নিয়ে সোহাগের মুখের উপর ছুড়ে মেরে বলে, যান গিয়ে সোফায় ঘুমান।

চলবে…..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here