প্রাণদায়িনী পর্ব -০২

#প্রাণদায়িনী ❤
#পর্বসংখ্যা_০২.
#ফাবিয়াহ্_মমো .

– ওই জা’নোয়ারটা তোকে কি করেছে সত্যি বল! ঠোঁটে কাপড় বেঁধে দিলে ওমন লাল হয়? লাল কেনো হয় আমি কি জানিনা? তুই আমার কাছে ওই জানোয়ারের কথা লুকাচ্ছিস?

তেজালো সুরে চিল্লিয়ে উঠলো তায়েবা, দারুণ রাগ দেখিয়ে এশার হাতদুটো সজোড়ে ঝটকা মেরে ছেড়ে দিলো। এশা যে কঠিন কিছু লুকিয়ে বেড়াচ্ছে সেটা বুঝতে আর বাকি নেই। মাথাটা ঠান্ডা করার চেষ্টা চালালো তায়েবা, এশার প্রতি সকল রাগ চেপে রেখে সেখান থেকে হনহন করে চলে গেলো। রুমে এসে ঘুমন্ত মেয়ের দিকে একপলক তাকালো তায়েবা, রাগে-জিদে হাতদুটো মুষ্ঠিবদ্ধ করে দম নিতে লাগলো। ফাইজার দিক থেকে দৃষ্টি সরিয়ে তৎক্ষণাৎ বিছানার উপর থেকে ফোন তুলে নিলো, ফোনের স্ক্রিনে ডায়াল করতে-করতে রুমের দরজাটা চাপিয়ে দিলো, কাঙ্ক্ষিত জায়গায় কল বসিয়ে ফোনটা কান ঠেকালো তায়েবা, রাগে দাঁত কটমট করে জানালার কাছে গিয়ে দাঁড়াতেই কলটা রিসিভ হয়ে গেলো। তায়েবা ঠোঁট শক্ত করে সাথে-সাথে গলা চড়িয়ে বললো,

– কুলা’ঙ্গার কোথাকার! তুই দেশে এসেও আমাকে শান্তি দিলি না! তোর মতো বে’জন্মার কাছ থেকে আমি রেহাই পেলাম না! আমার ভাবতেও ঘে’ন্না লাগে তুই আমার ভাই! তুই জন্মের সময় ম’রে গেলি না ক্যান শয়’তান! তুই ম’রলি না ক্যান! বেঁচে থেকে আর কতো কষ্ট দিবি জানো’য়ার? তুই কি আমায় মে’রে ফেলতে এসেছিস না? আয় তাহলে, এক্ষুণি গাড়ি ঘুরিয়ে আসবি! এসে এক্ষুনি আমাকে মে’রে দিয়ে যাবি।

তায়েবার ক্রুদ্ধ স্বর শুনে ওপাশের ব্যক্তিটা নিরব হয়ে আছে। আদৌ কথাগুলো শুনেছে কিনা কে জানে। তায়েবা রাগ সামলাতে না পেরে বাঁহাতের মুঠোতে জানালার উড়ন্ত পর্দাটা মুচড়ে ধরলো,পাতলা পর্দাটা দলা পাকিয়ে মোচড়াতে থাকলে হঠাৎ ফোনের ওপাশ থেকে কন্ঠ ভেসে এলো,

– তোর ননদ দেখি হেব্বি একটা চিজ। তোকে কিছু বলেনি? তুই যে এতো বোকা হবি সেটাতো জানতাম না। ড্রেস চেন্ঞ্জ দেখেও বুঝতে পারলি না? থাক গে, বাদ দিলাম। তোর মতো গাধার কাছে বাক্য খরচ করার মানে হয়না।

তায়েবা সঙ্গে-সঙ্গে এমন ক্ষোভ দেখালো, কার্টেন হ্যাঙ্কারটা বিকট শব্দ করে ফ্লোরে পরে গেলো। চরম রাগে গজগজ করতে থাকলে ওপাশের ব্যক্তিকে ক্রুদ্ধ গলায় বললো,
– তোকে আমি ছাড় —

কথা শেষ করার আগেই শব্দ শুনে ঘুমন্ত ফাইজা হাউমাউ করে কেদেঁ উঠলো। তায়েবা তৎক্ষণাৎ মেয়ের দিকে তাকালে তাড়াতাড়ি ফাইজাকে থামানোর জন্য চলে গেলো। কানের ফোনটা কাধের সাথে চেপে ধরতেই ফাইজাকে কোলে তুললো। কল কিন্তু তখনও কাটেনি, সময়টা হুরহুর করে যাচ্ছিলো তখন। তায়েবা মেয়ের দিকে ব্যস্ত হলে কাধে চেপে ধরার ফোনটা আবারও শক্ত কন্ঠের জানান দিলো,

– তোর ননদকে বলবি আমার নাম্বারে কল দিতে। এক্যুরেট দশটায় কল দিতে বলবি। কোনো চালাকি যদি করিস, আমার ক্ষমতা কতদূর সেটা তোর ভালোই জানা আছে। এ দেশের পুলিশ কিন্তু মাল বুঝে, কাজ না। তুই আমার সাথে পাকনামো করতে যাবি না, তোর স্বামীর ঘিলু উড়াতে কিন্তু দু’সেকেন্ডও লাগবে না, এজন্য সাবধান!

ঝড়ের বেগে কথাগুলো শেষ করে কল কেটে দিলো তায়েফ। এর বিপরীতে বাকরুদ্ধ হয়ে গেলো তায়েবা। মাথাটা প্রচণ্ড টেনশনে ভনভন করছে। ফোনটা বিছানায় ছেড়ে দিয়ে ফাইজাকে বুকের সাথে মিশিয়ে নিলো, চিন্তা করতে থাকলো কি করে এর থেকে উদ্ধার পাওয়া যায়। তায়েফের ঘনিষ্ঠ একটা বন্ধু আছে, যার আপন বাবাই রা’জনীতির লোক। এক্ষেত্রে বন্ধুকে বলে পুলিশবাহিনীকে টেক্কা দেওয়াটা মুশকিল কোনো ব্যাপার না, তাছাড়া তায়েফ কিষাদৌ এশাকে কিছু করেছে কিনা সেটাও অস্পষ্ট। চিন্তা করতে-করতে নির্বাক তায়েবা বিছানায় হেড সাইডে পিঠ ঠেকিয়ে ভাবতে লাগলো। ঘড়ির সময়টা বেদম স্পিডে যেতে-যেতে দশটার কাটায় থামলো। তায়েবা চোখ ঘুরিয়ে ঘড়ির সময়টা দেখলো ঠিকই, কিন্তু এশাকে কল করার কথা বললো না। রাতটুকু এশাকে বিশ্রামের জন্য ছেড়ে দিয়ে নিজের রুমের আফিফের জন্য অপেক্ষা করতে লাগলো সে।

অপরদিকে রাতের খাবার খেয়ে বিছানায় শুয়েছে এশা। কেবলই নিদ্রার জন্য রুমের লাইটটা অফ করলো। চোখদুটোতে ঘুমের আনাগোনা নেই, নির্ঘুম চোখে তাকিয়ে আছে সিলিংয়ের সিটি ফ্যানটার দিকে। সাদা ফ্যানটা ঘুরতে-ঘুরতেই এশার মনে গতরাতের ঘটনাগুলো স্মরণ করাতে সাহায্য করছিলো। গতকাল বিকেলের দিকে বান্ধুবীর ছোট বোনকে পড়াতে বেরিয়েছিলো এশা, নিজের অবসর ছুটিগুলো কাজে লাগানোর উদ্দেশ্যেই টিউশনি করা। বড় ভাই আফিফ এতে মতবিরোধী করলেও শেষে এশার মিনতিতে রাজি হয়। এশা জানতো না তখন, ঠিক দূরেই একটা গাড়ি তার জন্য অপেক্ষা করছিলো। গাড়িটা সুযোগ বুঝেই তাকে হরণ করে ওমন আবাসিক ফ্ল্যাটে তুলে আনে। মিরপুরের সবচেয়ে আভিজাত্য ভবনের একটা ফ্ল্যাট ছিলো ওটা, দেখেই বোঝা যাচ্ছিলো ফ্ল্যাটে কেউ দীর্ঘদিন যাবৎ বসবাস করছে। এশাকে যখন ড্রয়িংরুম থেকে অন্য একটা রুমে নিয়ে গেলো তখন বুঝতে পারলো ওটা বেডরুম। বুকটা তৎক্ষণাৎ মোচড়ে এলো এশার! না-জানি শয়তানের দলগুলো সম্মানে হাত দেওয়ার পায়তারা করছে! এশা হাত-পা বাঁধা অবস্থায় ছোটাছুটি শুরু করলে একপর্যায়ে কাঠের টেবিলে বসানো হয়। টেবিলটা সোফার কাছে রাখতেই রুমে প্রবেশ করে অজ্ঞাত পুরুষ। সেই পুরুষটার দিকে তাকিয়ে আচমকা কেদেঁ দিলো এশা, লোকটা কিন্তু একপলকের জন্যও এশার দিকে তাকালো না। সে কানে ফোন লাগিয়ে কথা বলতে-বলতে ব্যস্ত ভঙ্গিতে ভেতরে ঢুকলো, ফিটফাট করা সোফায় আরামসে বসতেই পায়ের-উপর-পা তুলে দিলো। একজন এসে তার হাতে বিদেশী ব্যান্ডের জলন্ত নিকোটিন ধরিয়ে দিলো, এশা সবই অশ্রুচোখে দেখছিলো, কিন্তু মুখে কাপড় বাধা থাকায় কিচ্ছু উচ্চারণ করতে পারছিলো না। ফোনে অনেকক্ষণ কথা বলে শেষমেশ এশার দিকে তাকাতে লাগলো লোকটা। লোকটার গভীর চাহনি এশাকে খুঁটিয়ে-খুঁটিয়ে দেখতে ব্যস্ত, চোখ ছোট-ছোট করে সিগারেটে টান দিচ্ছিলো। কানে দ্বিতীয় দফায় ফোন লাগিয়ে তাচ্ছিল্যের সাথে কথা বললো, এরপর সাঙ্গুর হাতে দিয়ে দিলো ফোনটা। তর্জনী তুলে সবাইকে রুম থেকে বেরিয়ে যেতে বললো, এই দৃশ্য দেখে ছটফট করে উঠলো এশা। হাতের শক্ত বাধঁনটা খোলার জন্য প্রাণপনে চেষ্টা চালাতে থাকলো, এদিকে অর্ন্তদৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকা লোকটা একটা রকিং চেয়ার নিয়ে তার মুখোমুখি গিয়ে বসলো। ঘেমে-নেয়ে একাকার এশা টলমল চোখে চেয়ারে বসা লোকটার দিকে অসহায় চাহনিতে তাকিয়ে রইলো, কিছুক্ষণ পর নিরবতার চাঁদরে ছেদ করে লোকটা ধোয়া ছেড়ে বললো,

– তায়েবার জমজ ভাই আমি। জমজ হলেও চেহারায় তেমন মিল খুজেঁ পাবে না। জেনেটিক্যালি আমাদের চেহারা অমিল, বিশেষ মিল বলতে ওর আর আমার গায়ের রঙ সেম। নিশ্চয়ই আমাকে দেখে প্রচুর প্রশ্ন জাগছে, সব বলবো। বলার জন্যই এখানে তুলে আনা হয়েছে। সাথে কিছু করার চিন্তাও রেখেছি, সেটা না করে ছাড়বো না।

শেষ কথাটা শুনে বুকটা ধ্বক করে উঠলো এশার। মুখবাঁধা অবস্থায় টলমল চোখ থেকে ফোঁটায়-ফোঁটায় পানি পরতে লাগলো। হঠাৎ লোকটা ওর দিকে দু’হাত বাড়িয়ে দিলো, আতঙ্কে চোখ কুঁচকে ফেললো এশা। সারা শরীরে কাঁপন ধরিয়ে হাতদুটো এশার দুগাল ছুঁয়ে কানের পাশ দিয়ে গেলো। এশা চমকে উঠে চোখদুটো আরো খিঁচুনি দিয়ে বুজে ফেললো, কিন্তু সেকেন্ডের মধ্যে টের পেলো লোকটা তার মুখের বাধঁন খুলে দিয়েছে। মুখে আর কোনো চাপাভাব টের পাচ্ছে না এশা। দীর্ঘ নিশ্বাসের প্রতিটি উষ্ণতা সাড়া মুখে পরছিলো, বুঝতে পারছিলো লোকটা নিজের মুখটা খুব কাছে এনে ফেলেছে। এশা চোখ খুলার সাহস পেলো না, কিন্তু নাকে কটু গন্ধ পাচ্ছে। এই গন্ধটা প্রায়ই কলেজ থাকতে পেতো, বড় ভাই যখন অবিবাহিত ছিলো, তখন তার রুমে প্রতি রাতেই গন্ধটা পেতো। এশা কি যেনো ভেবে আস্তে-আস্তে চোখ খুলে তাকালো, খুলতেই দেখতে পেলো লোকটা কাঁচের বোতলে মুখ লাগিয়ে চোখ কুঁচকে কিছু খাচ্ছে। তরল পানীয়টা যথেষ্ট বিস্বাদযুক্ত সেটা চোখেমুখে স্পষ্ট ফুঁটে উঠেছে। এশা আর কথা না বলে পারলো না, স্বাভাবিক ভঙ্গিতে প্রশ্ন করতে গিয়ে মাঝে-মাঝে তোতলা সুরে বলে উঠলো,

– আ-আআপনি আমায় কি-কিকি উদ্দেশ্যে আটকে রেখেছেন? আপনি কি মুক্তিপণ চাচ্ছেন?

মুখ থেকে মদের বোতলটা বিরক্তির সাথেই সরিয়ে ফেললো, চোখ খুলে এশার দিকে তাকাতেই বোতলটা টেবিলে রাখলো। নেশায় ঢুলুঢুলু চোখে গলায় ঢোক গিলে ক্ষুদ্ধ গলায় বললো,
– তোমার পকেটে কতো ভরবো সেটা বলো। আমার তো তোমাকে দিয়ে কাজ, টাকা দিয়ে কাজ নেই।

এশা চকিত ভঙ্গিতে বলে উঠলো,
– আমাকে দিয়ে? আমাকে দিয়ে কি কাজ আপনার? আমিতো আপনাকে ঠিকমতো চিনোও না। আপনি কে সেটাও একটু আগে আপনার মুখ থেকে শুনেছি। আপনি কেনো আমায় তুলে এনেছেন? কেনো ক্ষতি করতে চাইছেন?

তায়েফ স্মিত হেসে উত্তর দিলো,
– তোমাকে ক্ষতি করতে পারলে —

এটুকু ভাবতেই হঠাৎ ভাবনার মধ্যে বাধা দিলো কলিংবেলের শব্দ। এশা বুঝতে পারলো তার বড় ভাই ফিরে এসেছে। রেডিয়াম ঘড়ির দিকে তাকিয়ে সময়ের হিসেবটা দেখতেই বুঝলো, রাত এখন পৌণে বারোটা। এশা আশ্চর্য হলো, সময় কিভাবে হুরহুর করে চলে যাচ্ছে? এবার কোলবালিশটা টেনে সেটাকে জড়িয়ে ধরে ঘুমানোর চেষ্টা করলো এশা। আবারও গতরাতের স্মৃতিগুলো ভাসছে। লোকটার পুরো নাম ছিলো আরেফিন তায়েফ, পড়নের পোশাক এবং কথাবার্তার ধরণ যেনো জানান দিচ্ছে সে শৌখিন পরিবারের কেউ। স্মার্টলি কথা বলার স্টাইলটাও বেশ আর্কষর্ণীয় ছিলো, কোনোভাবেই বোঝা যাচ্ছিলো না তার মূখ্য উদ্দেশ্য কি। সিগারেট ধ্বংস করতে-করতে এক বোতল বিদেশী এ্যালকোহল শেষ করলো তায়েফ। সারা রুমে যখন নিকোটিনের ধোয়ায় বিষাক্ত হয়ে উঠেছে, তখনই এশা সেটা সহ্য করতে না পেরে বমি করে ফেলে। গায়ের পোশাকটা নোংরা হয়ে গেলে তায়েফের নির্দেশে শাড়ি আসে। এশা সেই শাড়ি পরতে নারাজ, কোনোক্রমেই এই শাড়িতে হাত দিবেনা, সে বাড়ি যাবে! এদিকে তায়েফও নাছোড়বান্দা, ভয়ংকর এক হুঙ্কার দিয়ে এশাকে শাড়ি পরার জন্য অন্য রুমে সাঙ্গুদের সাথে পাঠিয়ে দেয়। ঘন্টাখানিক পরে রুমে ফিরে এশা, এসেই চোখের সামনে চেয়ারে মাথা ছেড়ে দেওয়া অবস্থায় তায়েফকে দেখতে পায়। খালি রুমে এশার ইচ্ছে করছিলো ওই ব্যাটার গালে ঠাটিয়ে চ’ড় মে’রে দিতে! কিন্তু পরে কি হয় সেটা চিন্তা করতেই এশা আর সেই চিন্তায় গেলো না। রুমের লাইট না জ্বললেও দূর-দূরান্তে নিয়নবাতির আলো সরাসরি এ ফ্ল্যাটে ঢুকেছে, জানালাগুলো বিশাল বড়-বড় এবং থাইগ্লাস সরিয়ে জানালায় বসার চওড়া জায়গা রয়েছে। এশা তায়েফের ঘুমন্ত অবস্থার সুযোগ নিয়ে হাঁটতে-হাঁটতে জানালার কাছে গিয়ে দাঁড়ায়, বাঁহাতে থাইগ্লাসটা বামে টেনে খুলে ফেলে, বাতাসের ঠান্ডা পরশ এসে গায়ে লাগে এশার। বিগলিত মনে সহসা শান্তিতে চোখের পাতা বুজে আসে ওর, বুক ফুলিয়ে দম নিতেই সেটা ঠোঁট বেদ করে ছেড়ে দিতে থাকে। নির্জন রাতে নিরিবিলি শহরে ঠান্ডা হাওয়ার পসরা নেমেছে, প্রকৃতি যেনো বিলিয়ে বেড়াচ্ছে ঠান্ডা হাওয়ার স্পর্শ। পেছনে কিছু টের পেতেই আকস্মিকভাবে চোখ খুলে তাকালো এশা, বুকটা হুট করেই ধড়ফড়-ধড়ফড় করে যাচ্ছে, গলা শুকিয়ে রুক্ষ হচ্ছে প্রচুর, ভয়ে জীর্ণ হয়ে আসছে শরীর। এশা একটু-একটু করে পেছনে ঘুরে তাকাতেই নিশ্বাস যেনো আঁটকে গেলো, বুকের উপর পাথর চাপার মতো নিশ্বাসটা সেখানেই থমকে গেলো! শাড়ির আচঁলটা ডানহাতে কায়দা করে পেঁচাতে ব্যস্ত তায়েফ, চোখের দৃষ্টি শান লাগালো ছুড়ির মতো ধারালো হয়ে আছে। আচঁলে টান খেতেই এক ঝটকায় সৌষ্ঠব্য বুকটার উপর হুমড়ি খেয়ে পরলো, টের পেলো তার বাহুদুটো কেউ পাঁচ আঙ্গুলে কঠিনভাবে ধরেছে।

– চলমান .

#FABIYAH_MOMO .

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here